আবেগপ্রবণ পুরুষ

পুরুষ আর আবেগ! বিষয়দু’টোকে অনেকেই ঠিক মেলাতে পারেন না। বেশিরভাগ পুরুষই আবেগের বহিঃপ্রকাশে অস্বস্তিবোধ করেন। সিনেমার পরদায় অবশ্য নায়কদের আমরা মেলোড্রামাটিক দৃশ্যে দেখে থাকি। তবে বাস্তবে সেই দৃশ্য অনেক পুরুষই পছন্দ করেন না। আর তাঁদের স্ত্রীদেরও এ ব্যাপারে অনুযোগ রয়েছে।

শুধু যে পুরুষদের মধ্যে আবেগের অভাবই তাঁদের অনুযোগের বিষয়, তা নয়! পুরুষরা যৌনমিলনের সময়ে আবেগতাড়িত হন না—এটাও অনেক স্ত্রীরাই অভিযোগ করে থাকেন। তবে পুরুষরা আবার পালটা প্রশ্ন করেন এই বলে যে সঙ্গীর সঙ্গে মিলিত হওয়াটাই এক ধরনের আবেগ। এটাই কি যথেষ্ট নয়! সকলের আগে ভেবে দেখা প্রয়োজন যে আবেগপ্রবণতা আসলে কী। মোটের উপর যে কোনও কাজে প্যাশনের অভাব, উৎসাহ না দেখানোকেই আবেগের অনুপস্থিতি বলে ধরি আমরা। মিলনের সময় শীতল প্রতিক্রিয়াও ঠিক তাই।

তবে পুরুষ ও মহিলা উভয় পক্ষেরই কয়েকটি জিনিস মাথায় রাখা প্রয়োজন। অনেক পুরুষই আছেন যাঁরা মিলনের সময়ে নিজের দুর্বলতা ঢাকার উপায় হিসেবে শীতল ব্যবহার করেন। আবার অনেক পুরুষ ভাবেন আবেগপ্রবণ হওয়াটা আদৌ পুরুষালি গুণ নয়। তাই মিলনের সময়ে বেশি আবেগে ভেসে যাওয়ার পক্ষপাতি নন তাঁরা।


আমাদের সমাজে ছোটবেলা থেকেই ছেলেদের সেখানো হয় চোখের জল না ফেলতে। কোনও পুরুষ কান্নাকাটি করলে তা অনেকসময় হাসির খোরাক হয়ে দাঁড়ায়। তাই, অনেক পুরুষই তাঁদের অনুভূতি, মুড, সেন্টিমেন্ট ইত্যাদিকে চেপে রাখেন। ধীরে ধীরে এটাই তাঁদের অভ্যেসে দাঁড়িয়ে যায়।

মিলনের সময়েও মহিলাদের মতো নিজেকে অতটা মেলে ধরতে পারেন না অনেক পুরুষই। পুরুষদের দোষ দেওয়ার আগে মহিলাদের এই বিষয়টি ভেবে দেখা প্রয়োজন। সাধারণত, অনেক পুরুষই সেক্সুয়াল কমিটমেন্ট চট করে করতে চান না। অর্থাৎ, একটি কমিটেড সম্পর্কে না থাকলে নিজেকে উজাড় করে দিয়ে মিলিত হতে চান না। পেড সেক্স অবশ্যই এর ব্যতিক্রম। কিন্তু অনেকের কাছেই যৌনমিলন হল আবেগের চরম বহিঃপ্রকাশ। অনেক মহিলাই এটা বুঝতে পারেন না।


স্ত্রীরা চাইতেই পারেন যে তাঁদের স্বামীরা আবেগপ্রবণ হবেন—এতে দোষের কিছু নেই। তবে সকলেই যে একরকম হবেন তা তো নয়। ধৈর্য ধরুন। স্বামীর সঙ্গে কথা বলুন। ধীর ধীরে তিনিও আপনার প্রতি ইমোশনাল হবেন।


আপনার স্ত্রী যদি আপনার থেকে আরও বেশি আবেগ প্রত্যাশা করেন, তাহলে নিজেকে একটু বদলানোর চেষ্টা করে দেখুন না। এতে কিন্তু আপনার পৌরুষ চলে যাবে না! আবার স্ত্রীরাও একটু চেষ্টা করে দেখুন না, স্বামীরা যদি নিজের মতো থাকেন, তাহলে সম্পর্কে খুব একটা সমস্যা হবে না।

যে যেমন তাঁকে সেরকম থাকতে দিলেই সবচেয়ে ভাল। দু’জনেই একটু মানিয়ে নিতে পারলে সুস্থ সম্পর্কে আর কীই বা চাই!

দাম্পত্য কলহ সামলাবেন কিভাবে?

দাম্পত্য কলহে যদি স্বামী-স্ত্রী নিজেরে মধ্যে বনিমনা না হয় তবে পারিবারিকভাবে খোলামেলা আলোচনা করতে হবে। আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ বের করতে হবে। এছাড়া ঘনিষ্ঠ বন্ধু-বা কাছের মানুষের সহযোগিতা নিতে হবে।কারণ দাম্পত্য কলহ থেকে হতে পারে মানসিক রোগ। 

বিয়ে হচ্ছে একজন নর ও নারীর মধ্যে স্বর্গের সম্পর্কের বন্ধন। তবে এখানে যখন বিষাদের ছাড়া নেমে আসে তখন আসে দাম্পত্য কলহ। 

দাম্পত্য কলহের কারণ

১. দু’জন মানুষের মধ্যে মতপার্থক্য থাকবে কিন্তু একসঙ্গে থাকতে হলে, মতপার্থক্য দূর করে আনতে হবে। এতে দু’জনকেই ছাড় দিতে হবে। 

২. স্বামী  অনেক সময় দেখা যায় স্ত্রীকে ডমিনেট করে। উচ্চশিক্ষিত স্বাবলম্বী অনেক মেয়ে তা মেনে নিতে পারছে না। এতে দ্বন্দ্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে।

৩. বিয়ের আগে অতিরিক্ত আবেগ কাজ করে। অনেকেই ভেবে চিন্তে জীবনসঙ্গী বাছাই করতে পারে না। পরবর্তীতে আশা-আকাঙ্ক্ষা এবং বাস্তবতার বিশাল পার্থক্য, মানসিক চাপে, দ্বন্দ্বের কারণ হয়।

৪. দীর্ঘদিন ধরে যৌন জীবনে অতৃপ্ত থাকলে, সম্পর্কের ভয়াবহ অবনতি ঘটে। বিশেষ করে স্ত্রীরা তা প্রকাশ করতে পারে না।

৫. অনেক স্বামী-স্ত্রী তাদের মনের সুখ দুঃখগুলো নিজেদের মধ্যে শেয়ার করতে পারে না। শেয়ারিং না থাকলে সম্পর্কের অবনতি ঘটবে, সমাধান বের হবে না।

৬. বর্তমানে অনেকেই দাম্পত্য বা বিবাহবহির্ভূত অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে যাচ্ছে। যা ভয়াবহতম দাম্পত্য দহনের কারণ। 

৭. দাম্পত্য দহনে লিপ্ত দায়ী স্বামী বা স্ত্রী যে কোনো একজন বা দু’জনই মানসিক রোগে আক্রান্ত থাকতে পারে। আপনার জীবনসঙ্গীর অস্বাভাবিক আচরণের কারণ হতে পারে মানসিক রোগ।

৮. যারা নেশা করে, তারা তাদের পার্টনারকে অমূলক সন্দেহ করে, শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন করে। শুরুতে বন্ধু পরে পরিণত হয় অবৈধ প্রেমে।

কীভাবে দাম্পত্য কলহ দূর করবেন

মতামতের পার্থক্য কমিয়ে আনা, দায়িত্ব পালন, পরনারী বা পরপুরুষে সম্পর্কে না জড়ানো, শারীরিক মানসিক নির্যাতন না করা, পার্টনারকে পর্যাপ্ত সময় দেয়া। প্রয়োজনে সাইকিয়াট্রিস্টের কাছে Couple Therapy নিতে হবে। দু’জনকেই Co-Operative হতে হবে। 

ভালোবাসাহীন দাম্পত্য জীবনের চেয়ে একা থাকা ভালো। সম্পর্ককে বাগানের মতো পরিচর্চা করতে হবে। যেসব মানসিক রোগ হতে পারে- বিষণ্ণতা, অতিরিক্ত উৎকণ্ঠা, ফোবিয়া, হিস্টিরিয়া, আত্মহত্যার প্রবণতা ইত্যাদি।

ডা. মো. হারুনুর রশীদ 
লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, ডেল্টা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল

কতটুকু ভালো সঙ্গী পেলে সন্তুষ্টি আসে পুরুষের!

ভালোর আসলে শেষ কোথায়; একজন পুরুষ কতটুকু ভালো সঙ্গী পেলে সন্তুষ্ট হবে তার কি কোন মানদন্ড আদৌ আছে? অথচ প্রত্যেক পরিবারে চাহিদা থাকে একজন ভালো মেয়ে, ভালো বৌ;  যদি ও ভালো বৌ বলতে মুলত যা বুঝায় তা হলো – ঐ পরিবেশে খাপ খাইয়ে চলতে পারার সক্ষমতা। এক্ষেত্রেও মেধার বিকল্প নেই; একজন মেধাবী বৌ তার ধৈর্য্য, মানসিক শক্তি, বুদ্ধিমত্তা ও দুরদর্শিতা দিয়ে একটি পরিবারের সদস্যদের আচার আচারন, আয় উন্নতি এমন কি ঐ পরিবারের সামাজিক অবস্থানটিও পরিবর্তন করতে পারেন। এজন্যই হইতো শত শত বছর ধরে প্রবাদ প্রবাদটি প্রচলিত “নদীর পানি ঘোলা ভালো, জাতের মেয়ে কালো ভাল”।

বিয়ে করার পর আপনি অন্য একটি পরিবারের অংশ হয়ে গিয়েছেন। স্বামী-স্ত্রী ছাড়াও এ পরিবারের রয়েছে আরও অনেক সদস্য। আর এসব মিলে সবার মন যোগানোর কথা চিন্তা করতে গেলে হয়তো আপনার মাথাটাই খারাপ হয়ে যাওয়ার যোগাড় হবে। তবে চিন্তা করবেন না, এ লেখায় থাকছে সহজ কয়েকটি উপায়  যার মাধ্যমে ভালো বৌ হবার চর্চাটা অন্তত আপনি করতে পারবেন।  বাস্তবে অতি সাধারণ মনে হলেও এসব উপায় হয়ে উঠতে পারে আপনার ভালো স্ত্রী হিসেবে নিজেকে তুলে ধরার অন্যতম পন্থা। এসব বিষয় পালন করলে নিজেকে আকর্ষণীয় ও অন্যদের কাছে অনুকরণীয় একজন যথার্থ স্ত্রী হিসেবে প্রকাশ করা সম্ভব হবে।

পজেটিভ হতে একটু সময় নিনঃ প্রত্যেক  মানুষ আলাদা আলাদা আচারনের অধিকারী,  একটি পরিবারের সবাই একরকম মানসিকতার হবে না। তাই নতুন সংসারে যাবার পর তাড়াহুড়া না করে কিছুদিন ধৈর্য্য সহকারে প্রত্যেকের আচার আচারন মানসিকতা খুব ক্লোজলী পর্যবেক্ষন করতে হবে। এ জন্য সবার সাথে কথা বলা; একসাথে খাবার খাওয়া, গল্প করা, শপিং এ যাওয়া, প্রতিবেশী / আত্মীয় বাড়ি বেড়াতে যাওয়া অন্যতম উপায়;  এবং পরিবারে সকল সদস্যের মানসিক অবস্থা বুঝে প্রত্যেকের ব্যাপারে আপনার নিজস্ব ষ্ট্রেটিজি সেট করতে। কথা বলার ক্ষেত্রে ও স্বামী কিংবা পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সার্ভিস/ সেবা ক্ষেত্রে ধৈর্য্য, সহনশীলতা ও দায়িত্বশীলতার পাশাপাশি কৌশলী হওয়ার বিকল্প নেই।

পরিবারের ঐতিহ্যবাহী রেসিপির সন্ধান করুন
অনেক পরিবারেই থাকতে পারে দীর্ঘদিন থেকে প্রচলিত ঐতিহ্যবাহী কোনো রেসিপি। দেখা যাবে আপনার সঙ্গী ছোটবেলায় তার মা বা দাদির কাছ থেকে এমন খাবার খেয়েছে, যা তার স্মৃতিতে রয়ে গেছে। এ ধরনের ঐতিহ্যবাহী খাবার তৈরির পদ্ধতি আয়ত্ব করুন এবং তা রান্না করুন। যদি সম্পূর্ণভাবে সে খাবারের মতো নাও হয়, তার পরও আপনি এ উদ্যোগের প্রশংসা পাবেন। আর এতে স্বামী ও পরিবারের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক অনেক গাঢ় হবে।

লিখে ফেলুন
স্বামীকে একটি প্রেমপত্র লিখে দেওয়ার ধারণা অনেকের কাছেই হাস্যকর বলে মনে হতে পারে। কিন্তু নিজের মনের কথা লিখে তা প্রকাশ করার মধ্যে যে আনন্দ আছে তার কোনো তুলনা হয় না। আর এর মাধ্যমে আপনাদের হৃদয়ের মিলও অনেক বাড়বে।

নিজেদের যত্ন নিন
বিয়ের পরই যে সবকিছুর শেষ, তেমন কোনো কথা নেই। স্বামী ও পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি আপনার নিজের শরীরের যত্ন নেওয়া অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। এ ছাড়াও নিয়মিত চুলের পরিচর্যা, নখ ও দেহের পরিচর্যার মাধ্যমে শরীর ঠিকঠাক রাখার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এ ছাড়াও শারীরিক অনুশীলন ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই।

সমর্থন করুন
স্বামীর ভালো কাজে সমর্থন যোগানো উচিত স্ত্রীর। তার গুরুত্বপূর্ণ কাজ কিংবা মানসিকভাবে স্বস্তিকর বিষয়ে সাহায্য-সহযোগিতা করা যেতে পারে। তার যদি কোনো লুকানো প্রতিভা থাকে তবে তা বিকশিত হতে সাহায্য করুন। এসব বিষয়ে সে যদি প্রতিষ্ঠিত হয়ে ওঠে তাহলে তা আপনারই সাফল্য হিসেবে পরিগণিত হবে। তার কোনো শখ যদি আপনার নিজের আগ্রহের বিষয় নাও হয়, তার পরও তা হেলাফেলা করার প্রয়োজন নেই। কারণ কোন বিষয়ে তার প্রতিভার বিস্ফুরণ ঘটবে তা কেউ বলতে পারে না। হতে পারে গান গাওয়া, যন্ত্র সংগীত, আবৃত্তি, ছবি আঁকা, ধাঁধা কৌতুক বলা !

কাজ ভাগ করে নিন
অতীতের মতো এখন বাড়ির কাজ শুধু নারীরাই করে না। কর্মব্যস্ত জীবনে এখন উভয়কেই নিজের নিজের কাজ করতে হয়। এ কারণে নারীর বা পুরুষের কাজ বলে কোনো কাজ থাকছে না বাসায়। আর এ অবস্থায় আপনার স্বামীকে তার পছন্দমতো কিছু কাজ ঠিক করে দিন নিয়মিত করার জন্য। আপনিও করুন কিছু কাজ। অনেক নারীই বাড়ির সব কাজ একাই করতে চান। একই বিষয়ে পুরুষের করা কাজ তাদের মনমতো না হওয়ায় এ বিপত্তি বাধে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, সবার কাজের ধরন একরকম নয়। তাই মনমতো না হলেও তাকে তার মতো কাজ করতে দিন। সব কাজ একা করলে তাতে অন্যের অংশগ্রহণ যেমন থাকে না, তেমনি তৈরি হতে পারে দূরত্ব।

খেলাধূলা আর হাসি
বড় মানুষ হলে যে কোনো খেলাধূলা করা যাবে না, এমন কোনো কথা নেই। গুরুগম্ভীর ভাব বাদ দিয়ে হালকা মেজাজে চলুন। মেতে উঠুন খেলা আর হাসিঠাট্টায়। এতে জীবন হয়ে উঠবে আনন্দে পরিপূর্ণ।

সারপ্রাইজ দিন
আপনার স্বামী যে শুধু সারপ্রাইজ দেবে এমন কোনো কথা নেই। তার বদলে আপনি নিজেও তাকে সারপ্রাইজ দিন। কোনো ছুটির দিনকে দারুণভাবে ব্যবহার করে কিংবা বিশেষ কোনো দিনে তাকে মজার উপহার দিয়ে চমকে দিন সবাইকে।

বিয়ে করুন যথা সময়ে, এর স্বাস্থ্যগত সুফল অনেক!

বিয়ের কথাটা শুনলেই কেমন যেন লাগে। চিন্তার বিষয়, বয়স হয়েছে তো! সে যাই হোক। বিয়ে করুন উপযুক্ত সময়ে। কারণ বিয়ে করার স্বাস্থ্যগত সুফল অনেক! কি ধরণের সুফল থাকতে পারে বিয়ে করার পর?

কেউ যদি মনে করে থাকেন বিয়ে করার কারণে আপনার মৃত্যুর দিন তাড়াতাড়ি ঘনিয়ে আসবে তাহলে আপনি ভুল ভাবছেন। কারণ ২০১৩ এর এক রিসার্চে দেখা গেছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জন্ম গ্রহণকারীদের মধ্যে যারা অবিবাহিত তারা বিবাহিত অথবা দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের মধ্যে যারা আছে তাদের তুলনায় তাড়াতাড়ি মারা যায়। এর কারণ হিসেবে দেখা গেছে জীবনসঙ্গী মানুষকে আবেগ অনুভূতি বাড়িয়ে দেয়, সামাজিকভাবে একত্রে রাখে, মানসিকভাবে সমর্থন দেয়, যার সব কিছুই সুস্থ স্বাভাবিক স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন।

মানসিক চাপ কম থাকে :

যদিও মাঝে মাঝে ঝগড়া লাগে তারপরও তার উপস্থিতি আপনার মনে এক ভালো লাগার অনুভূতি ছড়িয়ে দিবে। মানুষ যখন কোন মানসিক চাপের মধ্যে থাকে তখন শরীরে স্ট্রেস হরমোনের পরিমাণ বেড়ে যায়। এই স্ট্রেস হরমোন বিবাহিতের চেয়ে অবিবাহিতদের শরীরে দ্রুত বৃদ্ধি পায়। অতিরিক্ত পরিমাণে মানসিক চাপ শরীরে সমস্যার জন্ম দেয়, বিশেষ করে হজমের সমস্যার সৃষ্টি করে। রিসার্চে জানা গেছে স্ট্রেস হরমোন বিবাহিতদের শরীরে সেরকম ভাবে ক্ষতি করতে পারে না কিন্তু অবিবাহিতদের শরীরে নানা সমস্যার বাসা তৈরি করে।

হার্ট এ্যাটাকের সম্ভাবনা হ্রাস পায়:

ভালোবাসা হৃদযন্ত্রকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে যারা বিবাহিত অথবা কোন সম্পর্কের মাঝে আছে তাদের হার্ট-অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা নিঃসঙ্গ মানুষের চেয়ে কম। গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে যে সঙ্গীর নিবিড় সঙ্গ এবং নতুন পরিবারের নতুন সব আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু- বান্ধবের সাথে ভালো বন্ধনের কারণে হার্ট-অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকাংশে হ্রাস পায়। কারণ পরিবারের সাথে থাকলে মানুষ উৎফুল্ল থাকে। মনে কোন মানসিক চাপ থাকলে তা শেয়ার করতে পারে। এতে মনের উপর চাপ কম পড়ে।

বিয়ে শরীরের হাড় মজবুত করে। অবাক হচ্ছেন? আসলেও তাই। বিয়ে শরীরের হাড় শক্ত করে এবং বিভিন্ন হাড়ের রোগের ঝুঁকি কমায়। বিয়ে হাড়ের খনিজ ঘনত্ব ঠিক রেখে হাড়ের এক ধরণের রোগ “অস্টিওপরোসিস” হওয়ার ঝুঁকি কমায়। একজন ভালো জীবনসঙ্গী পত্নীর মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে হাড়কে ক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করে। তাই সুখী দাম্পত্য জীবন মহিলাদের হাড়ের খনিজ ঘনত্ব ঠিক রাখার জন্য জরুরী।

অস্ত্রোপচারের পর দ্রুত সুস্থ হওয়া:

কেউ যখন আপনার পাশে সারাক্ষণ থেকে আপনার পরিচর্যা করবে তখন আপনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। কিন্তু আপনি যখন একা থাকবেন সে ক্ষেত্রে আপনার সুস্থ হতে অনেক সময় লেগে যাবে। কারণ তখন আপনার সব কাজগুলো আপনার নিজেরই করতে হবে। এছাড়াও আপনি যখন কার সান্নিধ্যে থাকবেন তখন বেঁচে থাকার একটা কারণ খুঁজে পাবেন। এক্ষেত্রে জীবন সঙ্গী আপনার বেঁচে থাকার অবলম্বন হয়ে দাঁড়ায়।

অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর ঝুঁকি কমে:

জীবনে কতবার আপনি আপনার জীবনসঙ্গীকে আকস্মিক দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা করেছে? গবেষণায় দেখা গেছে তালাক প্রাপ্ত মহিলা এবং পুরুষেরা বিবাহিতদের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণ বেশি অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যায়। গবেষকদের মতে বিয়ে দুটি মানুষকে পাশাপাশি রাখে এবং এসব অনাকাঙ্ক্ষিত পরিণামের হাত থেকে রক্ষা করে।

বিষণ্ণতা কমায়:

একাকীত্বের কারণে অথবা অন্য সমস্যার কারণেও মানুষ বিষণ্ণতায় ভুগতে পারে। আর মানুষ যখন হতাশায় ভুগে তখন কি পরিমাণ মানসিক বিপর্যয় ঘটছে তার নিজের, তা সে বুঝতে পারে না। কারণ বিষণ্ণতার প্রথম উপসর্গ হচ্ছে আত্ম-উপলব্ধির হ্রাস পাওয়া। তাই বিষণ্ণতাকে সনাক্ত করতে এবং দূর করতে প্রয়োজন একজন সঙ্গীর। যে সব সময় আপনার সাথে থাকবে, যার সাথে আপনি সবকিছু শেয়ার করতে পারবেন।

ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়:

২০১৩ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, যে সকল মানুষ মরণ ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিল তাদের মধ্যে শতকরা ২০ ভাগ এর বেশি মানুষ আরোগ্য লাভ করতে সক্ষম হত যদি তারা বিবাহিত হত। এই সাফল্যের হার কেমোথেরাপির থেকেও বেশি। একটি স্বাভাবিক স্থিতিশীল সম্পর্কই প্রথম ধাপের ক্যান্সার সনাক্ত করতে পারে। আর এই বন্ধনই ক্যান্সারের সাথে লড়ে সুস্থ হওয়ার অনুপ্রেরণা যোগায়। একজন উপর্যুক্ত সঙ্গিনী তার সঙ্গীকে খারাপ এবং জীবনের জন্য ঝুঁকিকর কাজ করা থেকে বিরত রাখতে পারে। যেমনঃ মদ্যপান, মাদক সেবন ইত্যাদি।

স্মৃতিভ্রংশ প্রবণতা কমায়:

যদি জীবনে এমন সঙ্গী থাকে যার কাছে গেলে মনে শান্তি আসে তাহলে বার্ধক্য কখনো তাকে স্পর্শ করতে পারে না। গবেষণায় দেখা গেছে যারা তালাকপ্রাপ্ত হয়ে পুনরায় বিয়ে করে নি তাদের স্মৃতি শক্তি নষ্ট হওয়ার প্রবণতা প্রায় তিন গুন বেশি হয় এবং যারা মাঝ বয়সে বিধবা হওয়ার পর আর বিয়ে করেনি তাদের স্মৃতিভ্রংশ প্রবণতা ছয়গুণ বেড়ে যায়। গবেষকরা বলেন বিবাহিত এবং সারাজীবন মানসিকভাবে এবং সামাজিকভাবে পাশাপাশি থাকলে মন প্রফুল্ল থাকে এবং স্মৃতি শক্তি কম হ্রাস পায়।

বিভিন্ন অসুখ থেকে মুক্তি:

সুখী দম্পতিদের কখনো টাইপ -২ ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যা, ফাইব্রোমাইলজিয়া মত অসুখ হতে দেখা যায় না। যেকোনো জিনিস নিয়ে অতিরিক্ত মানসিক চাপ শরীরে উপর খারাপ ভাবে প্রভাব ফেলে। তাই সুস্থ থাকতে হলে সুখী দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত করা অতীব জরুরী।

জীবনসঙ্গী খুঁজতে বিবাহবিডি

উচ্চ শিক্ষা শেষে প্রতিষ্ঠিত হবার পরেও যদি আপনার  অথবা  পরিবারের প্রিয় সদস্যটির জন্য উপযুক্ত সঙ্গীর সন্ধান না পাওয়ায় কারনে বিয়ের ব্যাপারে সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগে থাকেন তবে আপনার জন্যই অনলাইন বেইজ ম্যাট্রিমনিয়াল সার্ভিস বিবাহ বিডি ডট কম। ঘরে বসেই ফ্রী রেজিষ্ট্রেশন করে  চাহিদা অনুযায়ী পাত্র/পাত্রীদের প্রোফাইল (ছবি সহ বায়োডাটা) দেখে পাত্র/পাত্রী কিংবা অভিভাবকের সাথে সরাসরি নিজেরাই যোগাযোগ করতে সক্ষম হবেন এবং তা অতি দ্রুততম সময়ের মধ্যে ।

কেমন জীবনসঙ্গী খুঁজবেন?

বিয়ে মানুষের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। নতুন জীবন শুরু করতে জীবনসঙ্গীর কিছু দিক অবশ্যই যাচাই করে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত এবং তাড়াহুড়া একেবারেই না। আসুন দেখি কোন দিক গুলো অবশ্যই বিবেচনায় আনতে হবে।

শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ

জীবনসঙ্গী খুঁজার ক্ষেত্রে অবশ্যই ব্যক্তির শিক্ষাগত যোগ্যতা আপনার কাছাকাছি বা সমপরিমাণ কিনা বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে নিবেন। অতিরিক্ত শিক্ষাগত যোগ্যতা বা কম শিক্ষা এরকম কাউকে নিয়ে ভাবেন না।

বয়সের পার্থক্যঃ

যাকে জীবনসঙ্গী বানাবেন ভাবছেন তার বয়সের সাথে আপনার বয়সের দূরত্ব কম বা বেশী না হয় এ বিষয়টি খেয়াল রাখবেন। পারিবারিক মতামতঃ যারা পারিবারিকভাবে বিয়ের জন্য জীবনসঙ্গী খুঁজছেন তারা পরিবারের মতামত বুঝে সিদ্ধান্ত নিন এতে করে পরিবারের সাথে আপনার জীবনসঙ্গীর সম্পর্ক ভালো থাকবে।

পেশাঃ

জীবনসঙ্গী বাছাইয়ে ব্যক্তির আর আপনার পেশা কি তা দেখে নিন। ভবিষ্যতে দুজন পেশাগত বিষয়ের দিকগুলো মানিয়ে নিতে পারবেন কি না এ বিষয়টি অবশ্যই খেয়ালে রাখবেন।

পারিবারিক কালচার ও আর্থিক অবস্থাঃ

পারিবারিক কালচার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দুই পরিবারেরে মধ্যে সম্পর্কের আন্তরিকতা বাড়ে বা থাকে, যদি পারিবারিক কালচারগত বিষয়ে সামঞ্জ্যসতা থাকে। দুই পরিবারের পারিবারিক আর্থিক অবস্থার সামঞ্জস্য কতটুকু এ বিষয়টি দেখুন।

ব্যক্তির আচরণঃ

যাকে জীবনসঙ্গী বানাবেন ভাবছেন শুধু তার গুনের প্রশংসা বা সৌন্দর্য না দেখে তার আচরনের প্রতিও খেয়াল রাখুন। আপনি একজন ব্যক্তির সাথে কিছুক্ষণ কথা বললেই বুজতে পারবেন তার আচরণগত কোন সমস্যা আছে কিনা বা তার কোন অভ্যাস যা আপনার পরে পছন্দ নাও হতে পারে।

দায়িত্ববান ও কর্মক্ষমঃ

একটি নতুন সংসার শুরু করতে নারী-পুরুষ দুজনের ভূমিকা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে একজন দায়িত্ববান ও কর্মিক হবেন আরেকজন উদাসীন তা হলে সংসার শুরু হবে অশান্তি দিয়ে। তাই জীবনসঙ্গী বাছাইয়ে এ গুনাবলি আছে কিনা যাচাই করে নিন।

শারীরিক বিষয়ঃ

যাকে বিয়ে করবেন তার শারীরিক গঠন আপনার সাথে মানায় কি না খেয়াল রাখুন। ব্যক্তি স্বাস্থ্যগত দিক থেকে ঠিক আছে কিনা যাচাই করে নিন।

মানসিক প্রস্তুতিঃ

যাকে বিয়ে করতে চাচ্ছেন সে কি বিয়ের জন্য মানসিকভাবে তৈরি কিনা তা বোঝার চেষ্টা করুন। যদি সে বিয়ের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকে তাহলে ভাবতে পারেন।

জীবনসঙ্গী খুঁজার ক্ষেত্রে গুণবতী,সুন্দরী বা ছেলের অবস্থান বিষয়গুলো যাচাই করা ছাড়াও অনেক বিষয় রয়েছে যা আমরা দেখা প্রয়োজন মনে করি না। ফলে বিয়ের পর সংসারের অধ্যায় শুরু হয় ঝামেলা দিয়ে। তাই জীবনসঙ্গী খোঁজার ক্ষেত্রে অবশ্যই এ বিষয়গুলো প্রত্যেকের খেয়াল রাখা উচিত।

জীবনসঙ্গী খুঁজছেন? জেনে নিন কিছু তথ্য

নিজের পছন্দ হোক কিংবা পরিবারের পছন্দ –

বিয়ের ক্ষেত্রে তাড়াহুড়া করবেন না মোটেই। বিয়ে কোনো ছেলে খেলা নয়, আজীবনের বন্ধন। তাই জীবনসঙ্গী এমন একজন মানুষ হতে হবে, যার সাথে আপনার ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়া গুলো মেলে।

সকলেই তো আর প্রেম করে বিয়ে করেন না। অনেকেরই বিয়ে হয় পারিবারিকভাবে, যাকে আমরা “অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ” বলি। শুনতে খুব সহজ মনে হলেও বিষয়টা আসলে খুব একটা সহজ নয়। অনেকেই হয়তো বিয়ে করার কথা ভাবছেন, কিন্তু পছন্দের সঙ্গী কিভাবে খুঁজবেন বুঝতে পারেন না। আবার খুঁজে পেলেও আপনার সাথে মনের মিল হবে কিনা তা নিয়েও আছে দ্বিধা-দ্বন্দ।

জীবনসঙ্গী খোঁজাটা যেন এক বিশাল পরীক্ষা। “অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ” এর জন্য সঠিক জীবন সঙ্গী খুঁজে পেতে কিছু বিশেষ প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে চেষ্টা করাই ভালো। পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে গেলে খুব বেশি কাঠ-খড় পোড়ানো ছাড়াই মিলবে মনের মানুষের দেখা। আসুন তাহলে জেনে নেয়া যাক জীবনসঙ্গী খোঁজার ধাপ গুলো।

নিজের পছন্দ চুড়ান্ত করুনঃ

আপনি কেমন সঙ্গী চাইছেন কেমন হবে সঙ্গীর পারিবারিক অবস্থা, দেশের বাড়ি, শিক্ষাগত যোগ্যতা, চাকরী সব মিলিয়ে যেমন সঙ্গী আপনার পছন্দ সেটা মনে মনে ঠিক করে ফেলুন। নিজের পছন্দের সাথে সবসময়েই পরিবারের পছন্দের সামঞ্জস্য রাখুন। তাহলে বিয়ের পরে মানিয়ে নিতে সুবিধা হবে।

বয়সের পার্থক্য ও পেশাঃ

যাকে জীবনসঙ্গী বানাবেন ভাবছেন তার সাথে বয়সের পার্থক্য যেন খুব বেশী না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। সেই সাথে সঙ্গীর আয় বা পেশার দিকটি অবশ্যই মূল্যায়ন করতে হবে কেননা জীবন চালাতে অর্থনৈতিক নিরাপত্তা জরুরী।

পারিবারিক ও আঞ্চলিক সংস্কৃতিঃ

পারিবারিক ও আঞ্চলিক সংস্কৃতির বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা বিয়ে মানে দুজন ব্যাক্তি নয় বরং দুটি পরিবারের মধ্যে সম্পর্ক। যদি দুটি পারিবারের মধ্যে কালচারগত বিষয়ে সামঞ্জস্যতা থাকে তবে নতুন পরিবারে গিয়ে সহজেই মানিয়ে নেয়া যায়।

ব্যক্তির আচরণঃ

যাকে জীবনসঙ্গী বানাবেন ভাবছেন শুধু তার গুনের প্রশংসা বা সৌন্দর্য না দেখে তার আচরনের প্রতিও খেয়াল রাখুন। আপনি একজন ব্যক্তির সাথে কিছুক্ষণ কথা বললেই বুজতে পারবেন তার আচরণগত কোন সমস্যা আছে কিনা বা তার কোন অভ্যাস যা আপনার পছন্দ নাও হতে পারে।

দায়িত্ববান ও কর্মক্ষমঃ

একটি নতুন সংসার শুরু করতে নারী-পুরুষ দুজনের ভূমিকা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে একজন দায়িত্ববান ও কর্মঠ হবেন আরেকজন উদাসীন তা হলে সংসার শুরু হবে অশান্তি দিয়ে। তাই জীবনসঙ্গী বাছাইয়ে এ গুনাবলি গুলো আছে কিনা যাচাই করে নিন।

শারীরিক বিষয়ঃ

যাকে বিয়ে করবেন তার শারীরিক গঠন আপনার সাথে মানায় কি না খেয়াল রাখুন। ব্যক্তি স্বাস্থ্যগত দিক থেকে ঠিক আছে কিনা যাচাই করে নিন।

মানসিক প্রস্তুতিঃ

যাকে বিয়ে করতে চাচ্ছেন সে কি বিয়ের জন্য মানসিকভাবে তৈরি কিনা তা বোঝার চেষ্টা করুন। যদি সে বিয়ের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকে তাহলে ভাবতে পারেন।

জীবনসঙ্গী খুঁজার ক্ষেত্রে গুণবতী, সুন্দরী বা ছেলের অবস্থান যাচাই করা ছাড়াও অনেক বিষয় রয়েছে যা আমরা দেখা প্রয়োজন মনে করি না। ফলে বিয়ের পর সংসারের অধ্যায় শুরু হয় ঝামেলা দিয়ে। তাই জীবনসঙ্গী খোঁজার ক্ষেত্রে অবশ্যই এ বিষয়গুলো প্রত্যেকের খেয়াল রাখা উচিত।

সত্যি কি ভালোবাসতে শুরু করেছেন?

সম্পর্ক শুরুর প্রথম পর্যায়ে সাধারনত আমরা একটা গোলক ধাঁধার ভেতর থাকি। আমাদের মনটা কি চাইছে তা ঠিক বুঝে উঠতে পারিনা। নিজের অনুভূতিগুলো নিজের কাছেই অপরিচিত মনে হতে থাকে। আসলেই কি ভালোবাসা অনুভব করছেন নাকি শুধুই আকর্ষণ কাজ করছে, বিষয়টা অবশ্যই বুঝতে হবে তা না হলে ভুল সিদ্ধান্তের কারনে পরে কষ্ট পেতে হতে পারে। মনোবিজ্ঞানীরা ‘Focused on Heterosexual Relationships’ গবেষণার মাধ্যমে কিছু প্রশ্ন দাঁড় করিয়েছেন, যে প্রশ্নের উত্তর আপনাকে সাহায্য করবে আপনার মনের অনুভূতির সঠিক ব্যাখ্যা দিতে।

ইদানিং বিশেষ ধরনের মানুষিক চাপ অনুভব করছেন?

কারো সাথে নতুন সম্পর্কের শুরু করেছেন এতে যদি আপনার মানসিক চাপ বৃদ্ধি পেতে থাকে তবে ধরে নিতে হবে এই সম্পর্কটা ভালোবাসার সম্পর্কে রুপ নিতে পারে। কেননা চিকিৎসা বিজ্ঞানে উল্লেখ আছে মানুষ ভালোবাসলে তার স্ট্রেস হরমোন লেভেল বৃদ্ধি পায়। আপনি যদি বেশী চিন্তা করেন, বেশী অস্থির থাকেন বা একটু ঘোরে থাকেন তবে ধরে নিতে হবে আপনার স্ট্রেস হরমোন লেভেল বৃদ্ধি পেয়েছে, মানে আপনি ভালোবাসা অনুভব করছেন।

হঠাৎ নতুন কিছু করার চেষ্টা করছেন?

মানুষ যখন প্রেমে পড়ে তখন তার পছন্দের মানুষটির ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়ে সাধারণ চরিত্রের বাইরে নতুন ধরনের কিছু করার চেষ্টা করে। যেমন নতুন নতুন রেস্তরাঁতে নতুন ধরনের খাবার টেস্ট করা, ঘুরতে যাওয়া, তাকে মুগ্ধ করার বিভিন্ন প্রয়াসের পাশাপাশি বৈচিত্রতা আসে জীবন যাপনে ও চিন্তায় ।

সঙ্গী সম্পর্কে বেশী বেশী তথ্য সংগ্রহ করছেন?

আপনি যদি আপনার সঙ্গী সম্পর্কে অনেক বেশী কিছু জানার চেষ্টা করছেন তার মানে আপনি তার সাথে অনেক দূর যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। এটাই ভালোবাসা।

“I Love You” বলতে মনে ইচ্ছা জাগলে?

মুখে ভালোবাসি কথাটা বলতে সবার জড়তা আসে। আর যখন বোধ করবেন আপনি এই “I Love You” কথাটা বলতে কোন জড়তা বোধ করছেন না, তাহলে আপনি ভালোবাসতে শুরু করেছেন। ‘Heterosexual’ গবেষণায় বলা হয়েছে ভালোবাসি কথাটা প্রথম বলতে পুরুষরা বেশী আগ্রহী হয়।

আপনার আবেগ কি খুব বেশী তীব্র হচ্ছে?

অস্থির মনের মানুষ গুলো কোন সম্পর্কে জড়ালে এইটা নিয়ে নিজেকে বার বার প্রশ্ন করে থাকে, নিশ্চিত হবার জন্য। যারা বেশী আবেগ প্রবণ তাদের জন্য ভালোবাসার আবেগ গুলো আলাদা করাটা বেশ কঠিন হয়ে যায়। এই ধরনের আবেগপ্রবণ মানুষরা ভালোবাসতে শুরু করলে তার আবেগ তাদের আবেগ তীব্র থেকে তীব্র হয়।

আপনি যার প্রতি দুর্বল তার কাছ থেকে আপনার অনুভূতি গুলো কি ফিরে পাচ্ছেন ?

আপনি যদি একজন মেয়ে হয়ে থাকেন এবং ভালোবাসা অনুভব করে থাকেন, তবে আপনার অপর পক্ষের প্রতিক্রিয়া জানতে চেষ্টা করবেন। গবেষণায় দেখা গেছে মেয়েরা তাদের আবেগকে ছেলেদের তুলনাই বেশী নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।

আপনি কি তার সাথে সময় কাটাতে খুব বেশী আগ্রহী?

ভালোবাসা অনুভবের শুরুর দিকে আমাদের মস্তিষ্কের dopamine অংশ প্রতিক্রিয়া করে। এই অংশকে ‘প্রতিদানের অংশ’ বলে । এই প্রতিক্রিয়ার ফলে বার বার ভালোলাগার মানুষটাকে দেখতে মন চায়, তার সাথে সময় কাটাতে আগ্রহ বোধ করে। ভালোবাসার সম্পর্কের সুচনা এভাবে হয়।

যৌনতা, বিয়ে ও সামাজিকতা

যৌনতা মানব জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। স্বীকার করুন অথবা নাই করুন জীবনে যৌনতার রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। এটি মানুষসহ সকল জীবের অন্যতম চাহিদাগুলোরও একটি। একজন নারী ও পুরুষ বারো থেকে চৌদ্দ বছর বয়সপ্রাপ্ত হলেই তার যৌন চাহিদা দেখা দিতে থাকে। ফলে সে মনে মনে এই চাহিদা মেটানোর উপায় নিয়ে ভাবতে থাকে। এই চাহিদা কোন প্রক্রিয়ায় মেটানো সম্ভব? সকল সমাজ, সকল ধর্ম একটিই বৈধ ও প্রচলিত পন্থা এ ক্ষেত্রে আবিষ্কার করেছে। সেটি হচ্ছে ‘বিয়ে’। বিয়ের মাধ্যমে মানুষ তার যৌন চাহিদা পূরণ করে। সঠিক সময়ে বিয়ে করা যৌন সংক্রান্ত  কেলেঙ্কারী কিংবা দুর্ঘটনাসমূহ রোধের একটি অন্যতম উপায়। কাজেই আমাদের সমাজে বিয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বিভিন্ন দিক দিয়ে।

সভ্যতার আদি থেকেই যৌন চাহিদা মেটানোর জন্য সমাজ পতিতালয় তৈরি করেছে। সেখানে নিয়মিত যাতায়াত করেন কিছু কুরুচিপূর্ণ মানুষ। তারা  সেভাবেই শারীরিক চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু যৌনতা কি শুধু শারীরিক বিষয়? যৌনতা কি শুধু যে কোন নারী বা পুরুষের সাথে একটি নির্দিষ্ট সময় কাটিয়ে শরীর হাল্কা করা? সেটি পশুত্বের সামিল। যৌনতা মানব সৃষ্টির জন্য একটি বিশেষ কর্ম। এখানে শরীর, মন, আন্তরিকতা, পরস্পরের চাহিদা এবং এক ধরনের আত্মিক বিষয় জড়িত। এজন্যই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে গড়ে ওঠে এক গভীরতম সম্পর্ক। অথচ বিয়ের পূর্বে তাদের সাথে কোনো ধরনের পরিচয়ই হয়তো ছিল না।

যুগ ও অর্থনীতির চাহিদার কারণে আমাদের দেশ থেকে প্রচুর মানুষ বিদেশ যায়। কেউ যাচ্ছেন অর্থ উপার্জন করতে, কেউ উচ্চতর শিক্ষার জন্য। যে কারণেই  যাওয়া হোক না কেন এখানে যৌন বিষয়ে কি কোন সমাধানের কথা বলা আছে? নেই। এক বছর দুই বছর কিংবা তারচেয়েও বেশি সময় একজন পুরুষ বা একজন স্ত্রী কীভাবে নিজেদের যৌন চাহিদা মেটাবে একে অপরের অনুপস্থিতিতে? বিষয়টি বেমালুম সবাই ভুলে যান। ফলে নেমে আসে এক অশান্তি ও অবিশ্বাস। আমরা এমন ভান করি এসব ক্ষেত্রে যেন সব কিছু ঠিকঠাক আছে, স্বামী-স্ত্রী একে অপরের কাছ থেকে দূরে থাকা কোনো বিষয় নয়। বিশেষ করে যারা বিবাহিত। আর যারা বিয়ে করেনি আমরা ধরেই নিয়েছি যে, তারা একটু উল্টা-পাল্টা করবেই। এই উল্টাপাল্টা মানে এক ধরনের বিশৃংখলা। কিন্তু সবাই কেন জানি এ বিষয়টিও মেনে নিচ্ছি।

যৌনতা যাতে পশুত্বে পরিণত না হয় সেদিকে আমাদের বিশেষ দৃষ্টি রাখতে হবে। কোনো পশু একমাত্র কুকুর ছাড়া যৌনক্রিয়া করার সময় একটু আড়াল খোঁজে, আড়ালে কাজটি সম্পাদন করে। অথচ পশ্চিমা দেশগুলোতে এবং পশ্চিমা দেশগুলোর আদলে প্রাচ্যের যেসব দেশ এগিয়ে যাচ্ছে সেসব দেশেও যৌনতা খোলামেলাভাবে প্রদর্শিত হচ্ছে, এটি কি খুব আনন্দের বিষয়? চীনেও দেখা যায় হাজার হজার লোকভর্তি ট্রেনে প্রেমিক-প্রেমিকা সবার সামনে দিবালোকে গভীর চুম্বনরত। পার্কে একটি মেয়েকে সবার সামনে কোলের ওপর বসিয়ে রেখেছে। আমি বেইজিংয়ের হোটেল রুমে বসে বসে দেখলাম রাস্তার পাশে একটি ছেলে ও একটি মেয়ে ঘন্টাখানেকের বেশি সময় ধরে বিভিন্ন ধরনের যৌনকাজ সম্পন্ন করল। তারপর সন্ধ্যা হয়ে এলো, পরে আর স্পস্ট দেখা গেল না। চীন এশিয়ার একটি দেশ। এটি পশ্চিমা কোনো ধনী দেশ নয়, সেখানেই এই অবস্থা আধুনিকতার নামে!  প্রকাশ্য দিবালোকে এবং সূর্য ডোবার আগে এগুলো কী হচ্ছে? আমাদের দেশের বিভিন্ন পার্কে যাবেন কম-বেশি অশ্লীল দৃশ্য চোখে পড়ে। পশ্চিমা দেশ থেকে আগত এসব কালচার কতটা আমাদের সাথে মানানসই? আমেরিকার বিভিন্ন সিটিতে ছেলেমেয়ে চলতে দেখা যায়, হাতে হাত ধরে কিংবা আরও কাছাকাছি কিন্তু সরাসরি প্রকাশ্যে যৌনতা প্রদর্শন খুব একটা চোখে পড়েনি। তবে বিষয়টি তারা সঠিক পথে পরিচালিত করছে না। আর তাই সেখানে পারিবারিক বন্ধন সাময়িক ব্যাপার, অত্যন্ত ঠুনকো। সেখানে লিভ টুগেদার প্রচলিত আর লিভ টুগেদার মানেই তো এক ধরনের বিকৃত অভ্যাস। কিছু কিছু স্টেটে প্রকাশ্যেই দেখা যায়, কোথাও হয়ত একটু রিজার্ভ। তবে কানাডাতে শপিং মলগুলোতে কিংবা রোস্তোরাঁয় প্রকাশ্যে চুম্বনের বিষয়টি প্রত্যক্ষ করেছি। কিন্তু তাদের অনুসারী দেশগুলো যেন দুই ধাপ এগিয়ে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের আগে হিলারী বলেছিলেন, তিনি নারীদের ‘গর্ভপাত’ করার আইন বহাল রাখবেন। এখানে যৌনতা ব্যাপারটি এত অবাধে চলে যে, যে কোনো সময় যে কোনো নারী গর্ভবতী হতে পারে। যেহেতু বাবার কোনো ঠিক থাকবে না কিংবা ফ্রি থাকার জন্য অসংখ্য নারী এখানে গর্ভপাত করেন। আমি দেখেছি কিছু ধর্মীয় সংগঠন এই গর্ভপাতের বিরুদ্ধে ব্যানার নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে  কিংবা ব্যানার টানিয়ে রেখেছে। এদের যৌন আচরণ পুরোপুরি আলাদা।

বিবাহ বিডি কল
বিবাহ বিডি কল সেন্টারঃ +৮৮ ০১৯২২১১৫৫৫৫

একটি সুখের সংসারে অবহেলিত যৌনতা মারাত্মক করুণ পরিণতি ডেকে আনতে পারে। এর মূল কারণ হচ্ছে যৌনতা সম্পর্কে স্বামী কিংবা স্ত্রীর উদাসীনতা। যে সংসারে স্ত্রী তার স্বামীকে কিংবা স্বামী তার স্ত্রীর যৌনসুখ মূল্যায়ন করে না, উদাসীন থাকে সেখানেই দেখা দেয় সমস্যা। স্ত্রী সুযোগ পেলে অন্য পুরুষের এবং স্বামী সুযোগ পেলে অন্য মেয়ের সান্নিধ্য পেতে চাইবে, এটাই স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়ায় তখন। প্রথম দিকে চুপি চুপি কিছু করা হলেও পরে তা বিদ্রোহী রূপ নেয় এবং এক সময় সংসারভাঙ্গা, হত্যা ইত্যাদি পর্যন্ত গড়ায় আর সংসার যদি টিকিয়ে রাখার চেষ্টাও করা হয় তাহলে সেটি  চলে অবিশ্বাসের মধ্যে, এক ধরনের ধোঁয়াশার মধ্যে । কাজেই স্বামী স্ত্রী উভয়কেই এই বিষয়ে সজাগ ও সচেষ্ট থাকা দরকার।

যৌনতা প্রাকৃতিক বিষয়, মানুষের অত্যাবশ্যকীয় চাহিদা। এখানে শরীর ও মনের সাথে গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান। একটি ছাড়া অপরটি প্রকৃত সুখকর, উপভোগ্য এবং সার্থক হয় না। তাই প্রাকৃতিক নিয়মেই এটি সম্পন্ন করতে হয়। মানুষ যখন এটি অবাধে, স্বেচ্ছারিতার মনোভাব নিয়ে ভোগ করার চেষ্টা করে, বিকৃত যৌনাচারে লিপ্তা হয় প্রকৃতি তখন বিরূপ হয়। যেমন অবাধ যৌনাচার ও বহুগামিতা মানুষের জন্য মরণব্যাধি ‘এইডস’ নিয়ে এসেছে। বিশ্বের মানুষকে এক ভীতিকর অবস্থায় নিক্ষিপ্ত করেছে। এ থেকে উত্তরণের জন্য সঠিক পারিবারিক এবং বৈধ যৌনচার করার জন্য পশ্চিমা চিকিৎসকগণ তাদের দেশের মানুষদের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। সুস্থ যৌনতাই এর একমাত্র সমাধান। পশ্চিমা গবেষকরা  আবিষ্কার করেছেন যে, সুস্থ যৌনচারই এইডস-এর মতো মরণব্যাধি এড়ানোর সঠিক পথ যা আমাদের সংস্কৃতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। ইদানিং সমকামিতা নামে আর এক যথেচ্ছারিতা, অবাধ ও বিকৃত যৌনাচার শুরু হয়েছে। এর ব্যাপ্তি গোটা বিশ্বে। এটি প্রকৃতিবিরোধী কাজ। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ, বিপরীত লিঙ্গের সাথে মিলন তো প্রকৃতির অবদান, প্রাকৃতিক সুখ ও তৃপ্তি সেখানে নিজেদের তৈরি নিয়ম পুরুষে-পুরুষে, নারীতে-নারীতে যৌনক্রিয়া সেটি কতবড় কুরুচির পরিচয় তা মানুষ হিসেবে আমাদের ভেবে দেখা উচিত!

যৌনতা এক তরফা বিষয় নয়। এখানে উভয়ের মতামত, ইচ্ছে, আগ্রহ এবং সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রয়োজন। একজনের ইচ্ছে, আগ্রহ বা অংশগ্রহণ এই ক্রিয়াকে সাফল্যমণ্ডিত করতে পারে না। বিষয়টি উপভোগ্যও হয় না। সঠিক যৌন তৃপ্তি ও প্রাকৃতিক চাহিদা মেটানোর জন্য দুজনকেই পালন করতে হয় সক্রিয় এবং আগ্রহী ভূমিকা। যে সংসারে  স্বামী-স্ত্রী দুজনই ব্যাপারটিতে সমভাবে আগ্রহী, সেখানে অবিশ্বাস ও হতাশা জন্ম নেওয়ার স্থান নেই। জীবন হয়ে ওঠে উপভোগ্য, আনন্দের ও সার্থক। তারা পারিবারিক, সামাজিক, ধর্মীয় যে কাজই করুক না কেন অত্যন্ত আনন্দের সাথে, তৃপ্তির সাথে এবং সার্থকভাবে তা করতে পারে। ফলে ধীরে ধীরে সাফল্যের শীর্ষে যেতে পারে। আর যে সংসারে একজন এ বিষয়ে অনাগ্রহী থাকে, উদাসীন থাকে তারা জীবন উপভোগ করতে পারে না সঠিকভাবে। মনোযোগ সহকারে কোনো কাজ করতে পারে না। জীবনকে সাফল্যের দিকে নিতে হলে স্বামী-স্ত্রীকে যৌনতা বিষয়ে সমভাবে আগ্রহী এবং সক্রিয় হতে হবে।  সুত্র ।| লেখকঃ মাছুম বিল্লাহ

অমিল গুলো মেনে নিন – সুখে থাকুন

তাকে বোঝার চেষ্টা না করাটাই হল প্রধান বাধা। ভালবাসা চান কিন্তু তার মন, মেজাজ, রুচি কেমন সেদিকে খেয়াল রাখছেন না, এমন হলে মিল হবে না। মিলন ত দূরে! খেয়াল রাখার কাজটা মানুষ সাধারণত অভ্যাসবশে করে। অভ্যাসবশে সবটা খেয়াল করতে পারলে সেটা খুব চমৎকার, কিন্তু অভ্যাসবশে সবটা খেয়াল করা নতুন নতুন মোটেও সম্ভব না।

বিশেষ মনোযোগ আবশ্যক। কারণ নতুন নতুন সে তার মনের কথা, সব কথা গড়গড় করে আপনাকে বলে দেবে না। হয়ত একটা শব্দ বলল, তাও এমনভাবে বলল যে তা আপনার মনে কোনো দাগ কাটল না। একটু পরেই ভুলে গেলেন। এমন হলে বিপদ আছে।

যা বলছে তা গভীরভাবে মন দিয়ে উপলব্ধি করুন। সমস্যা বোঝার চেষ্টা ও ভাল লাগার বিষয়-আশয় জানার চেষ্টা থাকবে। তারপর সমস্যা সমাধানের পদক্ষেপ ও ভাল লাগায় পানি ঢালা, সার দেওয়া, ভালবাসার চারা লাগানোর কাজটা! প্রক্রিয়া লম্বাই বটে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সবাই লম্বা সময় দেয়ও বটে, কিন্তু প্রায়ই একপক্ষ মোটেও ধৈর্য ধরতে চায় না! এখানে যথেষ্ট গোল বাধে।

তার মনের কথা, সমস্যার কথা বোঝার উপায় কী?

প্রয়োজনে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে বের করতে হবে! নয়ত বলবে কেন? আপনি তার কে যে আপনাকে গড়গড় করে সব বলে দেবে?

বোঝার জন্য যথেষ্ট সময় দরকার। আগ্রহ থাকবে পুরোপুরি। তবে এগোতে হবে একটু করে। তাড়াহুড়ো করলে ফল ধরার সম্ভাবনা কম।

জানতে হবে বোঝাপড়ার সীমানা।

সে যতটুকু চায় ততটুকু বোঝার চেষ্টা করা ভাল। এমনকি সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়ে গেলেও মনে রাখা ভাল সে কতটুকু আপনাকে বলতে চায়। যা বলতে চায় না তার জন্য চাপাচাপি ভাল না।

ভালবাসা মানে সবকিছু শেয়ার করা?

এ ব্যাপারে সবাই এক মত না। সুতরাং তার একান্ত কিছু বিষয় তার মধ্যেই থাকতে দেওয়া ভাল। আপনি বরং আরো ঘনিষ্ঠ, আরো বিশ্বস্ত হওয়ার চেষ্টা করুন। তাহলে একদিন হয়ত সব বলে দেবে। প্রতিটা মানুষই দেহে ও মনে আলাদা। তাহলে আপনি তার সঙ্গে শতভাগ মিল চান কোন আক্কেলে? সে আমাকে এটা বলল না, সে কেন এটা করল—এসব নিয়ে দুঃখ-মনস্তাপ না করাই ভাল। বরং কিছু অমিল মেনে নিতে পারলেই সুখের সম্ভাবনা বেশি।

সম্পর্কের সুখ দুখ

জানালার শিক ধরে আকাশ পানে চেয়ে আছে তামান্না। পড়ন্ত বিকেলে মেঘেরা বাহারী রঙ গায়ে মাখিয়ে ছোটাছুটি করছে। অপরূপ সে দৃশ্য। কিন্তু সেদিকে তাকিয়ে থেকেও তা দেখছে না তামান্না। কিংবা বলা চলে দেখতে পারছে না। পারবে কিভাবে, তার মন তো তার নিজের মাঝে নেই। উদাস মন মহাশূন্য ভেদ করে ছুটে যাচ্ছে, খুঁজে বেড়াচ্ছে তার হারানো ঠিকানা। কিন্তু পাচ্ছে না। এ জন্য তামান্নার কষ্ট হচ্ছে। ভীষণ কষ্ট। বুকের মাঝে কষ্ট যেন কামড়ে ধরছে। বার বার ঘুরে ফিরে একটি মুখ ভেসে আসছে হৃদয়পটে। আর সঙ্গে সঙ্গে ফাকা হয়ে যাচ্ছে বুক, ফিরে আসছে কষ্টগুলো। দীর্ঘ পাঁচ বছরের ভালবাসার মানুষের সঙ্গে ব্রেকআপ হয়ে গেছে। কিন্তু বার বার ফিরে আসছে কাটানো মধুময় সে সময়গুলো আর সেই সঙ্গে ভালবাসা হারানোর কষ্ট। কোন কিছুতেই মন দিতে পারছে না সে। অথচ আর কিছুদিন পরেই তার পরীক্ষা। এখন কি করবে তামান্না? এরকম পরিস্থিতি তামান্নার মতো হাজারো তরুণ-তরুণীর। হৃদয় ভাঙ্গা কষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বিশ্বখ্যাত সংবেশনবিদ (হিপনটিসট) পল ম্যাককেনা এবং মনোচিকিৎসক ড. হগ উইলবর্ন কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। সেই আলোকেই কিভাবে ভগ্ন হৃদয়ের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় তা তুলে ধরা হলো।

কষ্টকে মেনে নিন

যাকে নিয়ে স্বপ্ন বুনেছেন, তার সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙ্গে গেলে কষ্ট লাগাই স্বাভাবিক। কষ্ট না লাগলে বরং বলতে হবে আপনার ভালবাসায় খাদ আছে। তাই কষ্ট লাগবেই, এমনটা ভাবা শুরু করুন, দেখবেন কষ্ট অনেকটাই কমে গেছে। মনে রাখবেন মানুষের জীবন সুখ-দুঃখ মিলেই। ভালবাসার রঙিন সময়টাতে সুখের ভেলায় চড়ে কল্পজগতে পাড়ি দিয়েছেন মহাসমুদ্র, বুনেছেন কতসহস্র স্বপ্ন তার ইয়ত্তা নেই। তাই বলে যে জীবন সবসময় একরকমভাবেই যাবে, তা তো নয়। এটা জীবনের ধর্মও নয়। রাতের অন্ধকার ঘরে প্রবেশ করে কোন কিছু চিন্তা না করেই আপনি লাইটের সুইচ দেন, ঠিক তেমনি ভালবাসার সম্পর্ক ভেঙ্গে গেলে অচেতনভাবেই আপনার মনে অতীতের স্মৃতি চলে আসবে আর তা আপনাকে পোড়াবে, ভেঙ্গেচুড়ে দিতে চেষ্টা করবে, এটাকে স্বাভাবিক ধরে নিন। দেখবেন ধীরে ধীরে কষ্ট কমে যাবে।

পুরনো অভ্যাসগুলোকে পাত্তা দেবেন না

ভালবাসার সময়টাতে আপনাদের জানতে কিংবা অজানন্তে অনেক অভ্যাসই তৈরি হয়ে গেছে। এই অভ্যাসগুলোই এখন কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে, তাই না? এক কথায় বলব, ঝেড়ে ফেলুন। যে অভ্যাসগুলো আপনি সে সময়ে করেছেন, সেগুলোকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার চেষ্টা করুন। জানি কষ্ট হবে, কিন্তু কী আর করা। মাথায় কেউ আর আঙুল চালিয়ে চুলগুলো এলোমেলো করে দিচ্ছে না, আঙুলে আঙুলে কাটাকাটি খেলা আর হচ্ছে না। এরকম হাজারো রোমান্টিক কাজ, কত খুনসুটিতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলেন। এখন তা পোড়াচ্ছে। মনে করার চেষ্টা করুন, এগুলো নিতান্তই সে সময়কার অভ্যাস, এগুলো চিরন্তন নয়। সে সময় এগুলোতে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন বলে এখনও যে তা করতে হবে এমনটা তো নয়, এভাবেই ভাবা শুরু করুন। দেখবেন অভ্যাসগুলোর শূন্যতা আপনাকে আর পীড়া দিচ্ছে না। ও, আর হ্যাঁ, আপনি অবশ্যই দুঃখবাদী রোমান্টিক গান শুনবেন না। এটা আপনার পোড়ামনের জ্বালা না কমিয়ে শতগুণ বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, সম্পর্ক ভাঙ্গার পর বেশিরভাগ মানুষই দুঃখের গান শোনে। না, একদমই না। আপনি মোটেও এ ধরনের গান শুনবেন না।

পরিবর্তন আনুন ভাবনায়

প্রেমময় সময়ে কত কিছুই না চিন্তা করেছেন ভাললাগার মানুষটিকে নিয়ে। কত স্বপ্নই না বুনেছেন। এখন ছাড়ুন তো এসব। অনেক হয়েছে, এবার ভাবনা থামান। ভাবনায় ভাললাগার মানুষটি বার বার চলে আসলেও মাথা ঝাড়া দিয়ে সরিয়ে ফেলুন। দেখুন তো অন্য কোন কিছু ভাবা যায় কিনা। যেমন ধরুন, আপনি আপনার চারপাশের পরিবেশ, মানুষ, সমাজ ইত্যাদি নিয়ে ভাবা শুরু করতে পারেন। মনে রাখবেন, ভাবনার আগের ফ্রেম থেকে নিজেকে সরিয়ে এনে নতুন ফ্রেম বসাতে হবে, নাহলে আপনার মুক্তি নেই। কী বুঝলেন তো? আরে ভাই, পুরনোকে আঁকড়ে ধরে পড়ে থাকলে তো হবে না, পৃথিবীতে কত কিছুই তো হচ্ছে, এগুলো নিয়ে ভাবা শুরু করুন, নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবা শুরু করুন। দেখবেন, একটা সময় কষ্ট ফিঁকে হয়ে আসবে।


অতীতকে যেভাবে দেখছেন তা পাল্টে দিন

সম্পর্ক ভেঙ্গে গেছে, তাই বলে কী স্মৃতিরা চলে গেছে? মোটেই না। অতীত সম্পর্ক নিয়ে ভাবা, কষ্ট কষ্ট খেলা এক ধরনের বদঅভ্যাস। কী, এই কথা শুনে মেজাজ বিগড়ে গেল? ভাবছেন, আপনাকে নিয়ে ইয়ার্কি করা হচ্ছে। তা নয়। অনেক নিরাশাবাদী মানুষ আছেন যারা অতীতের দুঃখ নিয়ে পড়ে থাকতেই বেশি ভালবাসেন। এটা তাদের বদঅভ্যাস। এই বদঅভ্যাসের জন্য তাদের দীর্ঘ সাধনা দরকার। সেটার অন্য সমাধান আছে। আর আপনি যদি নিরাশাবাদী না হন, তাহলে অতীতের স্মৃতি মনে চলে আসলে ভাবুন ঐটা আপনার কল্পনা ছিল। আপনি ওগুলো সিনেমায় দেখেছেন, বাস্তবে নয়। হোক না মিথ্যা, সমস্যা থেকে যদি ভাল থাকা যায়। মনকে যা বোঝাবেন তাই বুঝবে। মন বড় বোকা, হে।

বিবাহবিডি কল সেন্টারঃ +৮৮ ০১৯২২১১৫৫৫৫

মনে মনে প্রিয়ার ছবি আঁকুন

কী পাগল ভাবছেন। এতক্ষণ স্মৃতি ভুলে থাকতে বলে, এখন আবার বলছি প্রিয়ার ছবি আঁকতে, পাগল ছাড়া আর কী। কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার বিষয়টা তো জানেন। এ পদ্ধতিটি আসলে সেরকমই। প্রথমে আপনি একটা দৃশ্যকল্প নিজের মনের মধ্য সেট করুন। চোখ বন্ধ করে দেখতে থাকুন আপনার ভালবাসার মানুষটি হাসছে, গাইছে, নাচছে, আপনার সঙ্গে খুনসুটি করছে। দেখতে বেশ ভালই লাগছে, তাই না। কিন্তু এ ভাললাগা তো বেশিক্ষণের নয়। একটু পরেই আসবে যন্ত্রণা। চিন্তা করবেন না। এবার দেখতে থাকুন আপনার ভাললাগার মানুষটি আপনার ওপর অযৌক্তিকভাবে রেগে যাচ্ছে, আপনি মান ভাঙ্গানোর চেষ্টা করছেন তবু কমছে না। দেখতে থাকুন তার বদ অভ্যাসগুলো আর সেই সঙ্গে আপনার খাপ খাওয়ানোর প্রাণান্তকর চেষ্টা। ভাবুন আপনি একজন সিনেমার পরিচালক ও অভিনেতা। আপনি আর আপনার ভাললাগার মানুষটি তাতে অভিনয় করছেন এবং দেখা দৃশ্যকল্পগুলো আপনার অভিনয় ও পরিচালনার মধ্য দিয়েই হচ্ছে। দেখুন তো আপনার অনুভূতিতে কোন পরিবর্তন আসছে কিনা। পরের দৃশ্যগুলোর কারণে আগের দৃশ্যকল্পের রঙিন ছবিগুলো সাদা কালো হয়ে যাচ্ছে, তাই তো। হ্যাঁ, এটাই আপনার বাস্তব জীবনে হতো যদি আপনার সম্পর্ক ছেদ না হতো। রঙিন জীবন সাদা কালো হয়ে যেত। এভাবে দৃশ্যকল্প আঁকলে দেখবেন ভালবাসার বেগ কমে গেছে।

সম্পর্কের উল্টো দিকটা তলিয়ে দেখুন

একটা কথা সবসময়ই সত্য, এক হাতে তালি বাজে না। এটা মাথায় আপনাকে রাখতেই হবে। যে সমস্যাগুলোর জন্য আপনার সম্পর্ক ভেঙ্গে গেছে, সেগুলো নিয়ে ভাবুন। সমস্যাগুলো তো নিশ্চয় ছোট ছিল না, তাই না? সম্পর্ক টিকে থাকলে সে সমস্যাগুলো আরও সৃষ্টি হতে পারত। তাই যা হয়েছে, ভাল হয়েছে, এমনটাই ভাবুন। মনে রাখবেন, দুষ্টু গরুর চেয়ে যেমন শূন্য গোয়াল ভাল, তেমনি সমস্যা তথা জটিলতাপূর্ণ সম্পর্কের চেয়ে না থাকাই ভাল। তাহলে আর সারা জীবন পস্তাতে হবে না। সম্পর্কের এই উল্টোদিকটি ভেবে দেখুন। দেখবেন, পুরনো সম্পর্কটি নিয়ে আপনার মধ্যে আর আপসোস জাগবে না। বরং মনে হবে, বেঁচে গেছি। আর যদি পারিবারিক কারণে আপনি নিজেই সম্পর্ক ছেদ করে থাকেন, তাহলেও সেটাকে আত্মত্যাগ হিসেবেই নিন। জীবনের প্রয়োজনে মানুষকে অনেক আত্মত্যাগ করতে হয়, অনেক কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়। তাই একে স্বাভাবিক ধরে নিন। নিজের পক্ষে যুক্তি দাঁড় করান। পরিবারের মানুষদের হাসিভরা মুখগুলোর কথা মনে করুন, দেখবেন আপনার কষ্ট অনেকটাই মনে যাচ্ছে।

নিজের দিকে তাকান

অনেক তো হলো, এবার নিজের দিকে তাকান। কান্নাকাটি অনেক করেছেন। আয়নায় নিজের চেহারাটি দেখুন। কী বিমর্ষ। চাঁদবদনের কী হাল করেছেন, দেখেছেন? এ কী সহ্য করা যায়! একটা কথা অপ্রিয় শোনায়, তবু চিরন্তন। আপনি বাঁচলে বাপের নাম। আর কিছু বলতে হবে? অনেক স্মৃতি স্মৃতি খেলা খেলেছেন, এবার নিজের দিকে একটু নজর দিন। এই দেশ সমাজ, আপনার পরিবারের প্রতি আপনার অনেক দায়িত্ব, এভাবে ভাবুন না একবার। নিজের জন্য এবং অন্যদের জন্য আপনাকে ঘুরে দাঁড়াতেই হবে, ভুলে যেতে হবে পুরনো স্মৃতি, এমন কথামালা আওড়াতে থাকেন। দেখবেন, আপনার ভেতর থেকে পুরনো স্মৃতি ভুলে নতুন করে বাঁচার তাগিদ সৃষ্টি হবে।

বিশ্বাস করুন আপনি আবারও প্রেমে পড়বেন

সময় বহমান, তাই তো? জীবনও বহমান। কারও জন্যই জীবন থেমে থাকে না। সম্পর্ক ভেঙ্গে গেছে বলে যে আবার কোন সম্পর্ক হবে না, তা তো না। এমন কোন নিয়ম তো কোথাও নেই যে, জীবনে আপনাকে একবারেই ভালবাসতে হবে। আর এমনটাও নয় যে, আপনি অতীতের ভালবাসা ছাড়া আর কাউকে ভালবাসতে পারবেন না। কেউ যদি বলে থাকে, তবে হয় আবেগের বশে বলে নয় ডাহা মিথ্যা কথা বলে। নতুন কারও সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার চিন্তা করুন। বন্ধু খুঁজুন। পারলে বিপরীত লিঙ্গের কারও সঙ্গেই বন্ধুত্ব করুন। বিপরীত লিঙ্গের মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব আপনার পুরনো স্মৃতিকে ভুলে যেতে সাহায্য করবে। আর প্রেম করতে পারলে তো সোনায় সোহাগা।

হল্লার মাঝে ডুবে যান

দুঃখের সময় মানুষ যদি নিঃসঙ্গ থাকে, তখনই মানুষ বেশি কষ্ট পায়। স্মৃতিরা তাড়া করে ফেরে। এজন্য একাকী না থেকে বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে হৈহল্লায় মেতে উঠুন। জানি, মন সায় দেবে না। তবু বলছি, একটু মনে জোর এনেই আড্ডা দিতে যান। প্রয়োজনে বেশি সময় আড্ডা দিন। দেখবেন নির্মল আড্ডার মধ্যে দিয়েই আপনি ভুলে যেতে থাকবেন, পুরনো স্মৃতি। বন্ধুদের নিয়ে দূরে ঘুরে আসতে পারেন, পিকনিক করতে পারেন। কিংবা জড়িয়ে পড়তে পারেন সমাজসেবামূলক কাজে। আর ঘর থেকে বের হওয়ার অসুবিধা থাকলে বই পড়া শুরু করেন কিংবা লেখালেখি। যেভাবেই হোক নিজেকে ব্যস্ত রাখুন। দেখবেন ধীরে ধীরে আপনার কষ্ট কমে যাচ্ছে। আপনি আবার ফিরে যাচ্ছেন স্বাভাবিক জীবনে।