Arranged Marriage in Bangladesh

Arranged Marriages in Bangladesh are often assisted or arranged by the two families of the bride and groom but these can only take place with the consent of both parties.

Many young people will attend mixed schools, where pupils are taught and socialize in a more informal way.

Arranged Marriage in Bangladesh
Bangladeshi Marriage Photo | Bangladeshi arranged marriage couple on their wedding day

Arranged marriages ensure that marriages are based on compatibility rather than lustful feelings. It is thought that a marriage like this will be less likely to end in divorce.

Most religions consider family life to be a blessing and value the stability of marriage. For Muslims, marriage was created by Allah to provide a foundation for family life and the whole of society.

In the urban culture of modern Bangladesh, the differentiation between arranged and love marriages is increasingly seen as a “false dichotomy” with the emergence of phenomena such as “self-arranged marriages” and free-choice on the part of the prospective spouses.

Self-arranged marriages:

It is increasingly common in Bangladesh for a couple that has met by themselves and is involved romantically to go through the process of an arranged marriage with that specific partner in mind.

Since arranged marriages result in a deep meshing and unification of extended families and are believed to contribute to marital stability, many couples orchestrate their marriages with each other through the processes of an arranged marriage.

These marriages are often referred to as “self-arranged marriages” or “love-arranged marriages” in Bangladesh.

The arranged marriage process:

Arranged marriages vary widely by region and community across the worldwide Bangladeshis.

The marriage process usually begins with a realization in the family that a child is old enough to marry.

For a girl, it is during her graduation or early twenties; for a boy, it is after he is ‘settled’, with a decent job and consistent earnings.

The initiation can occur when a parent or a relative (such as an aunt or an elder sister or sister-in-law) initiates a conversation on the topic or the son/daughter approaches the parent/relative and expresses the desire to be married.

This relative effectively acts as a sponsor, taking responsibility to get the boy/girl married to a good partner.

Finding a matchmaker:

If the son/daughter has an identified love interest, the sponsor often takes it upon themselves to try to orchestrate a match with that individual.

If no such person exists, the sponsor begins the process of identifying suitable candidates.

This is usually done via an intermediary matchmaker who has a social reputation for maintaining discretion and brokering successful weddings. The sponsor approaches the matchmaker with a photograph.

The matchmaker is often an elderly socialite who is liked and widely connected to many families.

In some regions, specific professions are associated with matchmaking. If no good matchmaker is accessible to the family, the family may resort to matrimonial advertising in newspapers or Matrimonial websites Like BIBAHABD.

Meeting prospective spouses:

If the prospective partners express a desire to meet or if the families are enthusiastic about a potential match, it is customary for the prospective groom’s family to visit the prospective bride’s family.

It is traditional for the boy’s family to arrive (with the boy) and be seated with the entire girl’s family except the girl, who then makes a dramatic entrance dressed in fine clothes, often bringing tea and refreshments.

This practice is sometimes called “seeing the girl”, during this visit, the boy and girl are often encouraged to meet and talk by themselves in a separate room.

The families usually part after this initial meeting without any commitment made by either side and with the expectation that they will confer separately and send word through the matchmaker should they be interested in pursuing matters.

These meetings are understood to be non-exclusive, i.e., both the boy and girl are expected to similarly meet with other potential partners at this stage.

There is an expectation of total confidentiality. Families do not usually disclose who else is being considered for their son/daughter and expect reciprocal confidentiality from the other party.

If there is interest from both sides, the matchmaker passes the word to them. If the families are unfamiliar with each other or live in areas far apart, they will frequently launch inquiries through their social and kin networks, attempting to gather as much independent information as possible about the prospective partner.

Since urban Bangladeshi nuclear families often lack these extensive networks, many private detective agencies have begun to offer “Matrimonial Investigation Services” which investigate the personal and professional histories of a prospective spouse for a fee.

Engagement:

Once there is mutual agreement between the prospective bride and groom that they would like to marry, and no red flags have emerged about either party in the inquiries conducted formally or informally, the other prospective spouses are declined and their photographs and other documents returned.

Families usually attempt to maintain a high level of cordiality in these interactions, often invoking the idea of Match Making (predestined relationship, roughly equivalent to the idea that “marriages are made in heaven”) to defuse any sense of rancor or rejection.

An engagement ceremony or a pre-engagement ceremony follows.

In urban areas, the future spouses are often expected to go out on dates and develop a romantic relationship in the period between their engagement and their wedding.

In more conservative rural areas, a period of greater freedom in interaction, or even romantic courtship, between the man and woman follows.

Though dating may not be socially permissible, nonetheless the couple may talk over the phone.

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বিবাহ বিচ্ছেদের কারণ গুলো কি? – জরিপ

বিবাহিত জীবনে অনাকাংখিত বিচ্ছেদ হতেই পারে, অনেক ক্ষেত্রে বিচ্ছেদ ডেকে আনে ভয়াবহ মানসিক বিপর্যয় আবার অনেক ক্ষেত্রে বিচ্ছেদেই মিলে মুক্তি। বিগত কয়েক বছর ধরে আমাদের দেশে বিবাহ বিচ্ছেদের পরিমান অনেকাংশেই বেড়েছে যা সাম্প্রতিক বিভিন্ন গবেষনায় উঠে এসেছে।

বিবাহবিডি ডট কম এ ২০১৪ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৬ হাজার ডিভোর্স পাত্র/পাত্রী রেজিষ্ট্রেশন করেছেন আমরা শুধু মাত্র ডিভোর্স পাত্র/পাত্রীদের কাছে চলমান এই জরিপের মাধ্যমে জানতে চাইবো সম্ভ্যাব্য কি কি কারনে তারা ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সম্মানিত পাঠক, এই ইউজার জরিপের মাধ্যমে আপনারাও আপনাদের সুচিন্তিত ব্যাক্তিগত মতামত দিতে পারেন যা সামগ্রিক ভাবে একটি সামাজিক সমস্যার সমাধানে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারে।


জরিপে অংশ গ্রহন করতে ক্লিক করুন


সাম্প্রতিক কিছু গবেষনায় জানা গেছে অধিকাংশ ডিভোর্সের ঘটনা ঘটছে মেয়েদের পক্ষ থেকে, যা শতকরা ৬৬ ভাগ। ডিভোর্সের ঘটনা বেশি ঘটছে উচ্চবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারে।  ঢাকা সিটি করপোরেশনের হিসাব অনুযায়ী ২০১৪ সালে রাজধানীতে ডিভোর্সের ঘটনা ঘটেছে ৮২১৪ দম্পতির। এর আগে ২০১২ সালে ৭৬৭২ দম্পতির মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটেছে।  ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসেই ৬১০ দম্পতির বিচ্ছেদ হয়েছে। তার মধ্যে ৪২৬ ডিভোর্সই হয়েছে স্ত্রী কর্তৃক।  ঢাকা সিটি করপোরেশনের উত্তরের গুলশান, বনানী, মহাখালী, বাড্ডা, মগবাজার, রামপুরা নিয়ে অঞ্চল-৩ এই এলাকায় ২০১৫ সালে ৫৯৮ দম্পতির মধ্যে ডিভোর্স হয়েছে।  এর মধ্যে স্বামী ডিভোর্স দেয় ২৩৫ এবং স্ত্রী দেয় ৩৬৩টি। রাজধানী সূত্রাপুর, বংশাল, নবাবপুর, কাপ্তান বাজার, নাজিরাবাজার ও লালবাগের অর্ধেক নিয়ে গঠিত ঢাকা সিটি করপোরেশন দক্ষিণের অঞ্চল-৪ এই এলাকায় ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে আক্টোবর পযর্ন্ত ২৫৮ দম্পতির মধ্যে ডিভোর্স হয়েছে। এর মধ্যে স্ত্রীর পক্ষ থেকে ১৭৩ এবং ৮৫টি ডিভোর্স হয়েছে স্বামীর পক্ষ থেকে।  তার আগের বছর একই এলাকায় ২৯১ দম্পতির মধ্যে ডিভোর্স হয়েছে।  এর মধ্যে ১৮৪টি ডিভোর্স হয়েছে স্ত্রীর পক্ষ থেকে।  (সুত্রঃ দেশীয় পত্রিকার খবর)

আমরা এই জরিপের মাধ্যমে আপনার সুচিন্তিত ব্যাক্তিগত মতামত চাইছি যা সামগ্রিক ভাবে একটি সামাজিক সমস্যার সমাধানে গুরুত্বপূর্ন অবদান রাখতে পারে।  এই জরিপে আপনার সম্পূর্ন গোপনীয়তা বজায় থাকবে।  আমরা আপনার সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।

নিবেদক
ইফফাত আরা ইসলাম ও শারমিন সুলতানা
এক্সিকিউটিভ – বিবাহবিডি ডট কম
ফোনঃ +88 09612211555

অর্ধ শতাব্দী পর স্বামীর দেখা পেলেন স্ত্রী

কথায় কথায় আমরা অনেকেই অতীতে কোন ঘটনা বলতে গিয়ে বলি সেই ১৯৫৩ সালের কথা। কিন্তু আদতেই ১৯৫৩ সালে স্বামীকে সেই শেষ দেখেছিলেন কিম। ভেবেছিলেন যুদ্ধে বুঝি মরেই গেছে স্বামী। কিন্তু অর্ধশতাব্দী পর জীবনের শেষ লগ্নে এসে আবার দেখা পেলেন সেই হারিয়ে যাওয়া স্বামী লি এর।

১৯৫৩ সালে যুদ্ধবিরতি চুক্তি সইয়ের দুদিন আগে লি সুন-সাংকে উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনীর আটক করে নিয়ে যায়। তারপর আর খোঁজ পাওয়া যায়নি তার। মারা গেছেন লি, এমনটা ভেবে বিধবার মতোই জীবন কাটাতে থাকেন কিম ইউন-হায়ে। কিন্তু ২০০৪ সালে হঠাত একটি ফোন তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। ফোনটি আর কেউ নয়, করেছিলেন লি।

২০০৪ সালে চীন থেকে একটি ফোনকল আসে কিমের কাছে। তিনি মনে করেছিলেন, তার কাছে টাকা-পয়সা চেয়ে কেউ ফোন করে থাকবেন। বিগত বছরগুলোতে এরকম অনেক ফোনকল পেয়েছিলেন তিনি। তাই ওই কলটির প্রতিও তেমন গুরুত্ব দেয়ার প্রয়োজন মনে করছেন না। কিন্তু ফোন রিসিভ করে অপরপ্রান্ত থেকে ভেসে আসা কণ্ঠস্বর শুনে নিজেকে আর বিশ্বাস করতে পারছিলেন না কিম। ফোনে স্বামীকে কিম জিজ্ঞেস করেন, ‘আসলেই তুমি বেঁচে আছ?’ উত্তর আসে, ‘হ্যাঁ, আমি জীবিত’।

কিন্তু তবু বিশ্বাস হচ্ছিল না কিমের। নানা রকম প্রশ্ন করে যাচাই বাছাই করে নিচ্ছিলেন স্বামী হিসেবে দাবি করা মানুষটি আদতে সত্যিই তার হারিয়ে যাওয়া স্বামী কিনা। শেষ পর্যন্ত সব প্রশ্নের ঠিকঠাক উত্তর দিয়ে লি কিমকে বিশ্বাস করাতে সক্ষম হন যে তিনিই কিমের সেই হারিয়ে যাওয়া স্বামী।

কিন্তু যখন তারা সাক্ষাৎ করলেন, একে অপরকে তেমন একটা পরিচিত মনে হচ্ছিল না তাদের। হবেই বা কী করে, শুকিয়ে তো কৃশকায় বনে গেছেন লি, টলতে টলতে পথ চলেন। অন্যদিকে ভালোমন্দ খেয়ে বেশ মোটাসোটা হয়েছেন কিম। লির বিশ্বাসই হচ্ছিল না কিম তার সহধর্মিনী। অর্ধ শতাব্দী পর একে অপরের দেখা পেয়ে আবেগে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেললেন দুজনেই।

কিম নাক দেখে স্বামীকে শনাক্ত করতে পারলেও স্ত্রীর চেহারা দেখে ঠাহর করতে বেশ বেগ পেতে হলো লিকে। ‘ওকে দেখেতো মনে হচ্ছিল আগের সময়ের জমিদারনী। সব দক্ষিণ কোরীয় না খেয়ে মারা যাচ্ছে, আর আমেরিকানরা সব চাল নিয়ে যাচ্ছে, শুধু পঁচা আটাগুলো দিয়ে যাচ্ছেন-এমন অপপ্রচার শুনে তো আমি বিশ্বাস করেছিলাম সে মারা গেছে।’

লি শোনালেন তার হারিয়ে যাওয়া জীবনের গল্প। ১৯৫৩ সালে তাকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার পরে যুদ্ধশিবিরের একটি কারাগারে সাড়ে তিন বছর কাটান তিনি। এরপর তাকে উত্তর কোরিয়ার বিপজ্জনক কয়লা খনির স্থান অজিতে পাঠানো হয়। অজিতে গানপাউটার উৎপাদিত হয়। সেখানে তিনি ফের বিয়ে করেন, বাচ্চা-কাচ্চায় আসে নতুন সংসারে। কিন্তু যুদ্ধের আগের জীবন কখনও ভুলতে পারেননি তিনি।

লি বলেন, “উত্তর কোরিয়ার জীবন ছিল কঠিন। তাই আমি আমার নিজ শহরের কথা ভাবতাম। যদিও আমি বিশ্বাস করতাম আমার স্ত্রী ‍মারা গেছে তবু আমি সবসময় বিশ্বাস করতাম একদিন আমি ফিরব।’

কয়েক দশক পর ২০০৪ সালে উত্তর কোরিয়ার বাইরে লোক পাঠানো ও ভেতরের প্রবেশ করানোর দালাল চক্রের একজনের সঙ্গে পরিচয় হয় লি’র। ওই ব্যক্তিই কিমের খবর দেন লিকে। ‘সে আমাকে বলে যে কিম ইউন-হায়ে ও আমার ছেলে চীনে রয়েছে, তারা অনেক টাকা পয়সার মালিক। টাকা পয়সা নিয়ে ভালো জীবন যাপনের জন্য উত্তর কোরিয়ায় (নিজ শহরে) ফিরে যাওয়া উচিত বলেও আমাকে পরামর্শ দেয় সে।’

সিগারেট বিক্রি করে অতিকষ্টে ২০ হাজার উত্তর কোরীয় মুদ্রা ওন (প্রায় ১৫০ মার্কিন ডলার) জমা করেন লি। সেই সব টাকা দ্বিতীয় স্ত্রীকে দিয়ে ওকে পারতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি ছাড়লেন লি। তারপর আর ফিরে যাননি। প্রথম ভালবাসা, প্রথম স্ত্রী কিমকে নিয়েই শেষ জীবনটা সুখে কাটাতে চান লি।

অপরাজিতা/শুভ্রা.

সম্মতিতে যৌন সম্পর্কও বিয়ে !

উপযুক্ত বয়সে কোনো নারী ও পুরুষের যৌথ সম্মতিতে গড়ে ওঠা যৌন সম্পর্ক হলে ভারতে তা বিয়ে হিসেবে গণ্য হবে। মঙ্গলবার ভারতের মাদ্রাজ হাইকোর্ট বিয়ের সংজ্ঞার পরিসর বাড়িয়ে এ ধরনের রায় দেয়- এবিপি ইয়াহু ইন্ডিয়া’র এক প্রতিবেদনে এ খবর প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক মুসলিম নারী স্বামীর কাছ থেকে ভরণপোষণের আর্জির শুনানি করেন বিচারপতি কে সি কারনান।  বিচারপতি কে সি কারনান বলেন, “বিয়ের পূর্বে ২১ বছর বা তার বেশি বয়সের একজন পুরুষের সাথে আঠারো বছর বা তার বেশি বয়সের একজন নারীর যৌন সম্পর্ক তৈরি হলেই আইনত তারা স্বামী-স্ত্রী গণ্য হবেন।”

বিচারক বলেন, “কোনো নারী-পুরুষ আইনসম্মত বয়সে যৌন সম্পর্ক করে এবং এর ফলে এ নারী যদি গর্ভবতী হয় এবং সে নারী যদি ঐ পুরুষের স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দাবি করে তবে তা দাবি করার পূর্ণ অধিকার রয়েছে।”

গর্ভবতী না হলেও এ ধরনের সম্পর্কের যথাযথ প্রমাণ পেশ করলেই দুজনকে দম্পতি হিসেবে গণ্য করা হবে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মহিলার সাথে আইনসঙ্গতভাবে বিবাহ বিচ্ছেদ না করে ওই পুরুষ পুনরায় বিয়ে করতে পারবেন না।

এক্ষেত্রে সমাজকে সন্তুষ্ট করতে কিছু ধর্মীয় রীতি মানাতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “মালাবদল, আগুনকে সাক্ষী রেখে সাত পাক ঘোরা, অথবা রেজিস্ট্রেশন অফিসে রেজিস্টার করা উচিত। তবে না করলেও সমস্যা হবে না।”

এই নির্দেশের সপক্ষে যুক্তি দিয়ে তিনি বলেন, “যৌন সম্পর্কই বিয়ের মূলভিত্তি। যৌন সম্পর্ক থাকলে সেই নারী ও পুরুষ বিবাহিত দম্পত্তির মতো আইনি অধিকার পাবেন।”

সুত্রঃ  পরিবর্তন অনলাইন

অনলাইনের সম্পর্ক বেশি টেকসই

বিবাহিতদের মধ্যে যারা অনলাইন ব্যবহার করেন তারা অপেক্ষাকৃত বেশি সুখী এবং তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক চমৎকারভাবে টিকে থাকে। আর অনলাইনের পরিবর্তে যারা গতানুগতিকভাবে সামাজিক সম্পর্কের ওপর নির্ভরশীল তা স্কুল বা কোনো অনুষ্ঠানে হোক তাদের চেয়ে অনলাইনের সম্পর্ক রাখে এমন জুটি টেকসই হয় বেশি। অšত্মত অনলাইনের সম্পর্ক রাখে এমন জুটি যারা অনলাইন ব্যবহার করেন না তাদের চেয়ে ২৫ ভাগ বেশি সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে সক্ষম হন।

২০ হাজার দম্পতি যারা গত ২০০৫ থেকে ২০১২ সালে বিয়ে করেছেন তাদের অধিকাংশই বলেছেন, অনলাইনে তারা যে শুধু বন্ধু বান্ধবের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন তা নয়, বরং তারা তাদের কাছের মানুষের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগে অনলাইনকেই পছন্দ করেন। শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ক্যালিফোর্নিয়ার জেসটল্ট রিসার্চের গবেষকদের কাছে তারা বলেন, তাদের অনেকেরই প্রথম পরিচয় হয়েছে অনলাইনে।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল এ্যাকাডেমি অব সাইন্সের জার্নালে প্রকাশিত এ গবেষণা প্রবন্ধে বলা হয়েছে, গত কয়েক দশকে সামাজিক কোনো অনুষ্ঠান, বার, ক্লাব বা বিয়ে শাদীতে কারো সঙ্গে দেখা হবার চেয়ে শলাপরামর্শ এখন অনেকে অনলাইনে সেরে নিচ্ছেন। দম্পতিরা নিজেদের মধ্যে অনলাইনকে প্রাধান্য দিচ্ছেন। ফলে অনলাইন ডেটিং এখন বিলিয়ন ডলারের শিল্পে পরিণত হয়েছে।

অনলাইনে দম্পতিরা নিজেদের মধ্যে ছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, চ্যাট রুম, অনলাইন কমিউনিটিস, মাল্টি প্লেয়ার গেম, মেইলে যোগাযোগ রাখছেন সার্বক্ষণিকভাবে।

অনলাইনে দম্পতিরা নিজেদের সম্পর্কে বিয়ের আগে বি¯ত্মারিত জানতে পারে বলে তাদের বিয়ে টেকসই হচ্ছে বেশি। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও এধরনের অনলাইনের ওপর নির্ভরশীলতা অন্যান্য দেশেও বৃদ্ধি পাচ্ছে। গবেষণায় দেখা গেছে ইন্টারনেট এখন বিশ্বমাত্রিক হয়ে উঠেছে। তবে ইউরোপের মধ্যে ব্রিটিশরা সবচেয়ে বেশি অনলাইন নির্ভর জাতি হিসেবে পরিচিত।

এমনকি অনলাইনে যারা যোগাযোগ রাখে তারা সাক্ষাতে যোগাযোগের ইচ্ছে প্রকাশ করেন বেশি। কারণ তাদের মধ্যে তথ্য আদান প্রদান হয় বেশি। যুক্তরাষ্ট্রে এ গবেষণায় দেখা যাচ্ছে গত বছর ব্রিটেনে অšত্মত ৫৭ লাখ মানুষ ইন্টারনেট ডেটিংএ অভ্য¯ত্ম ছিল যা বৃদ্ধি পাচ্ছে ২২ ভাগ হারে। বিশেষ করে ২৫ থেকে ৩৪ বছর বয়সী মানুষের মধ্যে ইন্টারনেট বা অনলাইন ব্যবহার করার ঝোঁক সবচেয়ে বেশি।

Amadershomoy.com

বিভিন্ন দেশে বিয়ের মজার রীতি

কোন কোন সমাজের বিয়ের রীতি অন্য সমাজের বিপরীত। কোনো সমাজের বিয়ের রীতি আবার আরেক সমাজে হাসির উদ্রেক করে। বেশ মজাও দেয়। সে রকমই কয়েকটি দেশের মজার বিয়ের রীতি এখানে তুলে ধরা হলো।

বাংলাদেশ:

বাংলাদেশে ঘটক ছেলের পক্ষ থেকে মেয়ের বাড়িতে প্রস্তাব নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি মেয়ের পক্ষ হয়েও ছেলের বাড়িতে প্রস্তাব নিয়ে আসেন।আমাদের দেশে ঘটকদের প্রধান উদ্দেশ্য থাকে ছেলে ও মেয়ে উভয়কে পরস্পরের কাছে আকর্ষণীয়, সুদর্শন ও যোগ্য হিসেবে উপস্থাপন করা।

পেশাদার ও শখের- এ দুই শ্রেণীর ঘটক দেখা যায় বাংলাদেশে। পেশাদার ঘটকরা প্রতিটি ঘটকালির জন্য নির্দিষ্ট অর্থ ও দ্রব্যসামগ্রী গ্রহণ করে থাকেন। আর শখের ঘটকালি হচ্ছে আত্মীয়-স্বজনের পক্ষ থেকে বিশেষ প্রয়োজনে ঘটকের দায়িত্ব পালন করা।বাংলাদেশে বিয়ের অতীত রীতিনীতি বিষয়ে চীনের সঙ্গে খুব বেশি অমিল নেই। এ জন্য একটি ঘটনা বলা যেতে পারে-

তখন শীতকাল, পিঠা আর টাটকা সবজি খাওয়ার জন্য একবার প্রত্যন্ত এক গ্রামে আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে যাই। ঘটনাক্রমে সেদিনই ওই বাড়িতে মেয়ে দেখার জন্য ছেলের পক্ষের লোকজন আসেন।সবাই মেয়ে দেখার অপেক্ষায় আছেন। অবশেষে মেয়েটি শাড়ি পরে ঘোমটা দিয়ে এসে দাঁড়ালো। ছেলেপক্ষ থেকে তাকে হাঁটতে বললেন। মেয়েটি হাঁটলো। ঘোমটা খুলে চুল দেখাতে বলা হলে চুল দেখালো।

এরপর ছেলেপক্ষ তাকে হাসতে বললো। কোরান থেকে কিছু সুরা পাঠ করতে বলার পর হাত ও পায়ের নখ দেখাতে বলা হলো। মেয়েটিও একে একে সব করে দেখালো। অবশেষে ছেলেপক্ষ সন্তুষ্টি প্রকাশ করে মেয়ের হাতে কিছু টাকা গুঁজে দিলো।এই পুরো দৃশ্য পাত্র উপভোগ করলো ও তার আত্মীয়দের কাছে বিয়ের সম্মতি প্রকাশ করলো।

চীন:

চীনের ইতিহাস সুদীর্ঘ। বিস্তীর্ণ তাদের ভূখণ্ড। তাই, চীনের বিভিন্ন জায়গায় বিয়ের আচার ও রীতিনীতিও ভিন্ন। তবে মূল বিষয়গুলো প্রায় একই রকম।প্রাচীন চীনে একটি বিয়ের মোট ৬টি অনুষ্ঠান হতো। এগুলোর মধ্যে আছে মেয়ে পক্ষকে যৌতুক দেওয়া, বিয়ের বাগদান, ভোজ ইত্যাদি। সেসময় একটি ছেলে যদি এক মেয়েকে পছন্দ করতো, তাহলে তিনি মেয়ের বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে ঘটককে পাঠাতেন।

সেখানকার ঘটক দু’পক্ষের নাম, বয়স, পারিবারিক অবস্থা ইত্যাদি তথ্য দু’পক্ষকে জানিয়ে দিতো। দু’পক্ষ মোটামুটি রাজি হলে ঘটক মেয়েপক্ষের বাড়িতে ছেলেপক্ষকে যাওয়ার দিন নির্ধারণ করে দিতো।ছেলেপক্ষ মেয়ের বাড়িতে গিয়ে মেয়েকে দেখা ছাড়াও মেয়ের পরিবারের আর্থিক অবস্থা ও মেয়ের চরিত্র, মেজাজ-মর্জি যাচাই করে নিতো। তবে বিয়ের আগে মেয়েপক্ষ ছেলের বাড়িতে যেতো না।

বিয়ের দিন নিয়ে চীনের আরো কিছু মজার রীতিনীতি আছে। যেমন: বিয়ের দিন কনে লাল পোশাক পরে। বর্তমানে অবশ্য অনেক কনে পাশ্চাত্যের অনুকরণে সাদা রংয়ের লম্বা স্কার্ট পরেন। শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার সময় কনেকে কাঁদতে হয়।কনের বিদায়ের সময় বাবা-মাও চোখের জলে বুক ভাসায়। চীনের কোনো কোনো অঞ্চলে স্বামীর ঘরে প্রবেশের আগে কনেকে আগুন জ্বালানো একটি গামলা পার হতে হয়।এ রীতির অর্থ হলো, সব অমঙ্গল আগুনে পুড়ে যাক ও নতুন দম্পতির জীবন আগুনের মতো উজ্জ্বল হোক।

ফ্রান্স:

বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর ও প্রেমময় দেশগুলোর একটি হচ্ছে ফ্রান্স। সাদা রং ফ্রান্সের বিয়ের অনুষ্ঠানের প্রধান রং। সাজগোজের অলংকার, ফুল, কনের কাপড় সবই সেখানে সাদা হয়ে থাকে। এ থেকে বোঝা যায়, ফরাসিদের চোখে বিয়ে হচ্ছে শান্তি ও পবিত্রতার প্রতীক।

ব্রিটিশ:

বিয়ে সর্বদাই পবিত্র হওয়া উচিত। আর তাই পবিত্রতার প্রতীক হিসেবে ঐতিহ্যবাহী ব্রিটিশ-রীতির বিয়ে অনুষ্ঠানে কনে পদ্মফুল হাতে রাখে। ব্রিটিশদের চোখে এই ফুল সৌভাগ্যের প্রতীক।ব্রিটিশদের বিয়ের অনুষ্ঠান সাধারণত দুপুরে আয়োজিত হয়। তাদের বিয়ের কেক তৈরিতে হরেক রকম ফল ব্যবহার করা হয়। এ কেককে তাদের প্রথম সন্তানের জন্ম পর্যন্ত রেখে দেওয়া হয়।

জার্মানি:

জার্মানরা খুব শান্ত প্রকৃতির বলে ধারণা করা হলেও বিয়ে নিয়ে তাদেরও উন্মাদনার শেষ নেই। তাদের বিয়েতে বিশেষ পার্টির আয়োজন করা হয়। এই পার্টিতে বর ও কনেকে কেন্দ্র করে নানা মজা করা হয়। সবচেয়ে মজার ব্যাপারটি হচ্ছে, নাচতে নাচতে আনন্দের সঙ্গে থালা-বাসন ছুঁড়ে ফেলা।আবার যদি স্বামী স্ত্রীকে দেখতে চায়, তাহলে স্ত্রীর বন্ধুকে ঘুষ দেওয়ার মতো টাকা দিতে হয়। নইলে স্ত্রীকে দেখার অনুমোদন দেয় না বন্ধুরা।

গ্রিস:

গ্রিসের বিয়ের রীতিনীতিকে খুব সুস্বাদু একটি মিষ্টি রীতি বলা যেতে পারে। সেখানে কনেরা নিজের হাত মোজার ভেতরে কিছু মিষ্টি ক্যান্ডি রাখে। এ ব্যতিক্রমী কাণ্ডের কারণ, নিজের বিবাহিত জীবনকে আরো মিষ্টিময় করে তোলা। এছাড়া গ্রিকরা ঐতিহ্যবাহী রাউন্ড ডান্সের গোলাকার নৃত্যের মাধ্যমে বিয়ের অনুষ্ঠানে অতিথিদের অভ্যর্থনা জানায়।

রাশিয়া:

রাশিয়ার বিয়ের অনুষ্ঠানে যে শব্দ সবচেয়ে বেশি শোনা যায়, তা হলো ‘তিক্ত’। অনুষ্ঠানে যদি কেউ উচ্চস্বরে বলে, “তিক্ত, তিক্ত”, তাহলে সবাই একসঙ্গে তিক্ত বলবে। আর স্বামী ও স্ত্রীকে দাঁড়িয়ে গভীরভাবে চুমু খাবে।এরপর যতবার অতিথিদের মধ্য থেকে উচ্চস্বরে তিক্ত, তিক্ত বলা হবে, ততবার দম্পতিকে মিষ্টি চুমু দিয়ে অতিথিদের প্রতি সাড়া দিতে হবে।অন্তত দশ-বারো বার চুমু খেলে তবেই অতিথিরা সন্তুষ্ট হয়। কারণ, রুশদের ধারণা, স্বামী-স্ত্রীর চুমু মদের তিক্ততাকেও মিষ্টি করতে পারে!

রহমত উল্যাহ

বিয়ে নিয়ে আয়োজন

দেখে মনে হচ্ছিল, কারও বুঝি বিয়ে। ঢাকার গুলশানে একটি হোটেলের হলরুমের বাইরে শুধু ফুল আর ফুল। ফুলে মোড়া তোরণ, ফুলের ছোট থাম। একপাশে পালকি নিয়ে অপেক্ষমাণ বেহারা। হলঘরে পা বাড়িয়ে থমকে যেতে হলো আরেকবার। পাক্কা পাঁচটি বিয়ের মঞ্চ, কোনোটা কালো পর্দায় নীলচে তারার খই ফুটিয়েছে, কোনোটা রাজকীয় লালে মেখেছে সোনালি আবির। একপাশে ফুলের কুঞ্জ, আরেক পাশে ডানা মেলা প্রজাপতি। হঠাৎ দেখি, কনেরা এসে পড়েছে। আরে, সব দেখি লাক্স সুন্দরী! রাখি, সামিয়া, সামিহা, প্রসূন আর বিপাশা। ঘটনা কী? উত্তর মিলল পন্ডসের রঙিন ব্যানার দেখে। ওহ্, আয়োজন তা হলে শুধু কনেদের নিয়ে।১৭ অক্টোবর। বিয়ের মৌসুম সামনে রেখে শুরু হলো পন্ডসের আয়োজন ‘বিউটিফুল ব্রাইড’। পন্ডস এই অনুষ্ঠান শুরু করল বিউটি স্যালন ম্যাজিক মিরর-এর সহযোগিতায়। এক দিনের আয়োজনে আরও ছিল নিউ জড়োয়া হাউস, সানজানা আর ওয়েডিং ডায়েরির অংশগ্রহণ।

শুরু হতে চলল বিয়ের মৌসুম। শীতও এসে পড়ল বলে। এই তো সময় ত্বক আর নিজেকে নিয়ে ভাবার। ইউনিলিভার বাংলাদেশের বিপণন ব্যবস্থাপক মাহাতাব হোসেন বলেন, ‘বিয়ে মানেই রোমান্সের সেরা সময়। এ জন্য তো শুধু এক দিনের যত্ন হলেই হয় না। প্রয়োজন একটু বেশি সময়ের বিশেষ যত্ন। একই মতের কারণে ম্যাজিক মিররের মাধ্যমে আমাদের এই আয়োজন। উদ্দেশ্য একটাই, প্রত্যেক বাঙালি কনেকে সুন্দর করে তোলা।’

ম্যাজিক মিররের প্রধান মেকআপ শিল্পী ফারজানা হালিম হাই বলেন, এক দিনের মেকাপে সুন্দর কনে হওয়া যায় বটে, কিন্তু নিজেকে সুন্দর রাখতে প্রয়োজন ত্বক ও চুলের নিয়মিত যত্ন। কনে মানে নিজেকে রঙের আড়ালে ঢেকে ফেলা নয়, ছিমছাম মেকআপে নিজেকে ফুটিয়ে তোলাই আসল। সে জন্য একই রূপ বিশেষজ্ঞের সাহায্যে বিয়ের অন্তত এক মাস আগে থেকে প্রস্তুতি নেওয়া উচিত।

অনুষ্ঠানের বিয়ের মঞ্চ, ফুলসজ্জাসহ আয়োজনের ছবি তোলার দায়িত্বে থাকা ওয়েডিং ডায়েরির প্রধান প্রীত রেজা বলেন, একই আয়োজনে একই সমান্তরালে সবার হাঁটার লক্ষ্য একটাই। মানুষের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এ আয়োজনকে রঙিন করে তোলা। আর স্বপ্নপূরণের এই দিনের টুকরো টুকরো ছবি তুলে আনে ওয়েডিং ডায়েরিপাঠক, এই মৌসুমে আপনিও যদি এমন স্বপ্ন দেখেন, তা হলে প্রস্তুতি নিন এখন থেকেই।

-খাদিজা ফাল্গুনী

যুক্তরাজ্যে অবিবাহিত যুগলের সংখ্যা বাড়বে

২০৫০ সালের দিকে যুক্তরাজ্যে বিবাহিত যুগলের চেয়ে অবিবাহিত যুগলের সংখ্যা হবে বেশি। সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক খবরে আজ সোমবার এ কথা বলা হয়।যুক্তরাজ্যের সামাজিক ন্যায়বিচার কেন্দ্রের (সিজেএস) প্রতিবেদনে বলা হয়, কেবল মধ্য ও ধনিক শ্রেণীর পরিবারগুলোতে বিয়ের প্রবণতা বাড়ছে; কিন্তু স্বল্প আয়ের পরিবারগুলোতে বিয়ের প্রবণতা এখন ৫০ শতাংশের কম।

‘দ্য টেলিগ্রাফ’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০৫০ সালের মধ্যে বিবাহিত যুগলের পরিবারের সংখ্যা হবে তুলনামূলকভাবে কম।সিজেএসের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, পরিবার গুলোর ভাঙনরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হচ্ছে সরকার। ২০১০ সালে ডেভিড ক্যামেরনের নেতৃত্বে জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর এ ক্ষেত্রে অগ্রগতি ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

প্রতিবেদনে স্বীকার করা হয়, পরিবারের স্থায়িত্ব বাড়াতে সরকার বেশ কিছু চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছে; কিন্তু পরিবারের ভাঙনের পরিধি ও মূল্য এসবের তুলনায় অনেক বেশি।প্রতিবেদনে বলা হয়, জনকল্যাণ ও শিক্ষাব্যবস্থা সংস্কারের ক্ষেত্রে সরকার যেমন দ্রুত ও স্থায়ী ব্যবস্থা নিয়েছে, পরিবারগুলো শক্তিশালী করতে তেমন পরিষ্কার ও সমন্বিত কোনো পরিকল্পনা নেয়নি।

-Prothom alo

টুইটারে বিয়ে!

বন এখন প্রযুক্তি নির্ভর। তাহলে বিয়েটাই বা কেন আটকে থাকবে সেকেলে পদ্ধতিতে। তাই প্রযুক্তিকে ব্যবহার করেই আইপ্যাডে টুইটের মাধ্যমে বিয়ে করেছেন তুরস্কের ইস্তাম্বুল নগরীর এক যুগল।   দুজনের হাতে দুই আইপ্যাড। বিয়ের সাজে পাশাপাশি বসে আছে বর আর কনে। এরপর আইপ্যাডে বিয়ের প্রতিশ্র“তি বাক্যে টুইট করে বিয়ের কাজটি সেরে নিয়েছেন তারা। এটিই বিশ্বে টুইটারে প্রথম বিয়ে বলে ধারণা করা হচ্ছে।   আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর এ বিয়ের বর হচ্ছেন ইস্তাম্বুলের উসকুদার এলাকার জেনগিজান জেনিক ও কনে জানদাল চেলিক। বর জেলিক একটি সংবাদভিত্তিক ওয়েবসাইটের স্যোসাল মিডিয়া এডিটর বলে জানিয়েছে তুরস্কের দৈনিক ‘মিল্লিয়েত ’।

আর সাধারণত স্থানীয় ধর্ম গুরুরাই বিয়ে পরিচালনা করে থাকেন। কিন্তু এ বিয়েতে এক্ষেত্রেও ছিল ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। তাদের বিয়ে পরিচালনা করেছেন উসকুদারের মেয়র মুস্তফা কারা। কারা তাদের টুইট করে জিজ্ঞাসা করেন তারা কি নিজেদের আইনগতভাবে স্বামী ও স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করতে চায়? তারপর ‘আমি রাজি’ এই বলে পাল্টা টুইট করে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা পালন করেন জেনিক ও চেলিক। এরপর চেলিকের হাতে বিয়ের সনদ তুলে দিয়ে নবদম্পতিকে আশীর্বাদ করেন মেয়র।  ইস্তাম্বুলের একটি হোটেলে সোমবার অনুষ্ঠিত এ বিয়েতে হাজার হাজার অতিথি উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত সবাই এলসিডি মনিটরে বিয়ের আনুষ্ঠানিতা উপভোগ করেন। সুত্রঃ বিডি নিউজ ২৪

ক্যানসারের দাওয়াই বিয়ে!

ক্যানসার মরণব্যাধি হিসেবেই পরিচিত। ব্যয়বহুল চিকিত্সা আর নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের মধ্য দিয়েই কাটাতে হয় ক্যানসার-আক্রান্ত ব্যক্তিকে। তবে ক্যানসার মোকাবিলায় নতুন একটি জাদুকরী ওষুধের সন্ধান দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ম্যারিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকের মতে, বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়া, ক্যানসার মোকাবিলায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। ক্যানসার-আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে বিবাহিতদের দীর্ঘদিন বাঁচার সম্ভাবনা অবিবাহিতদের তুলনায় অনেক বেড়ে যায় বলে জানিয়েছেন এই গবেষকেরা।

২০০০ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত ১৬৮ জন রোগীর ওপর এই গবেষণা চালানো হয়। এর মাধ্যমে দেখা গেছে, যাঁরা বিবাহিত, তাঁদের এক-তৃতীয়াংশ অবিবাহিতদের তুলনায় প্রায় তিন বছর বেশি বাঁচেন। ক্যানসার-আক্রান্ত রোগীদের দীর্ঘদিন বাঁচার জন্য প্রয়োজন নিয়মমাফিক জীবনযাপন, পর্যাপ্ত চিকিত্সা-ব্যবস্থা ও প্রয়োজনীয় যত্ন।
ম্যারিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গবেষকদের মতে, এটাই ব্যাখ্যা করে বিবাহ কীভাবে ক্যানসার মোকাবিলায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। গবেষণা দলের প্রধান এলিজাবেথ নিকোলাস বলেছেন, ‘বৈবাহিক অবস্থা ক্যানসার মোকাবিলায় একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বাধীন প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। কেন এমনটা হয়, সেটা স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করা কঠিন। কিন্তু আমাদের গবেষণা থেকে দেখা গেছে, সামাজিক সহায়তা ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীদের চিকিত্সার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা বিশ্বাস করি, যে রোগীরা ভালো সামাজিক যত্নআত্তি পাবেন, তাঁরা ক্যানসার মোকাবিলা করে বেশি দিন বেঁচে থাকতে পারবেন।’

ক্যানসার মোকাবিলার জন্য নতুন ওষুধ খুঁজে বের করার পাশাপাশি সামাজিক সহযোগিতা কীভাবে এই মরণব্যাধি মোকাবিলায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে, সেই বিষয়ে গবেষণা হওয়াও জরুরি বলে মনে করেন নিকোলাস। এএনআই।