বনানী ডেকোরেটর্স

       ঢাকার বহুল পরিচিত এবং জনপ্রিয় বনানী ডেকোরটর্স গত শতাব্দীর ষাটের দশকে বর্তমান মহাখালী ফ্লাইওভারের উত্তর পাশে ৭৮/সি, মহাখালীতে যাত্রা শুরু করে। প্রতিষ্ঠানটির ফোন নম্বর ৯৮৮৭৭৩৬ এবং মোবাইল নম্বর ০১৮১৮-৫৮৫০৪৮। এটি প্রতিদিন সকাল ৮.০০ টা থেকে রাত ৮.০০ টা পর্যন্ত খোলা থাকে।

ভাড়ায় যা পাওয়া যায়:

এখানে সব ধরনের পাতিল, কারী বাটি, জগ, গ্লাস, কাঁচ, মেলামাইন ও সিরামিকের প্লেট ও ডিস, ক্রোকারিজ, ক্যাটারিজ, কাবাব তৈরীর জন্য কয়লা, শিক, স্ট্যান্ড, চটপটি ও ফুচকা তৈরীর সামগ্রী, কাঠ ও প্লাস্টিকের চেয়ার-টেবিল, লাইটিং উপকরণ, জেনারেটর, ফ্যান, বেসিন, ফুল, সাউন্ড সিস্টেম, প্রজেক্টর, কার্পেট, গাছের টব, ও ডায়াস ভাড়ায় পাওয়া যায়।

বুকিং ও ভাড়া পদ্ধতি:

এখান থেকে পণ্য সামগ্রী দিন এবং অনুষ্ঠান উভয় ভিত্তিতে ভাড়া দেওয়া হয়ে থাকে। সরাসরি এবং ফোনের মাধ্যমে বুকিং দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। অনুষ্ঠানের দিন থেকে কমপক্ষে ৭ দিন আগে বুকিং নিশ্চিত করতে মোট ভাড়ার ৫০% টাকা অগ্রীম প্রদান করতে হয়।

প্যান্ডেল, গেইট ও ষ্টেইজ সাজানো:

বনানী ডেকোরেটর্স সিঙ্গেল, ডাবল, ব্যানার, শাহী, ফ্যান্সি গেইট তৈরী করে থাকে। এই গেইট তৈরীতে অনুষ্ঠানের স্থান ও অবস্থান অনুযায়ী সর্বনিম্ন ৮০০ থেকে সর্বচ্চো ৩,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। এছাড়া ত্রিপল ও কাপড়ের প্যান্ডেল প্রতি স্কয়ার ফিট ১০ থেকে ২০ টাকা হারে তৈরী করা হয়ে থাকে। প্রতি ফিট ২০ টাকা থেকে ৪০ টাকা হারে বর-কনের স্টেইজ, মিটিং এর স্টেইজ, গানের স্টেইজ এবং বড় ধরনের অনুষ্ঠানের স্টেইজ সাজিয়ে দেওয়া হয়। তাছাড়া রাস্তার উপর ২০,০০০ টাকা থেকে ৪০,০০০ টাকায় তোরণ তৈরী করে থাকে বনানী ডেকোরেটর্স।

বাবুর্চি ও ক্যাটারিং সার্ভিস ব্যবস্থা:

এই ডেকোরেটর্স থেকে বাবুর্চি ও খানসামাও সরবরাহ করা হয়ে থাকে। অনুষ্ঠানের ধরন অনুযায়ী বাবুর্চিকে ৫,০০০ টাকা থেকে ১৫,০০০ টাকা পর্যন্ত প্রদান করতে হয়। । এছাড়া নিজস্ব ক্যাটারিং এর ব্যবস্থা রয়েছে।

বিবিধ:

নিজস্ব পরিবহনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানস্থলে সমস্ত উপকরণ পৌছানো হয়ে থাকে। ক্যাশ ও কার্ডের মাধ্যমে বিল পরিশোধ করা যায়। এখানে ভিসা কার্ড ব্যবহার করা যায়।

বিক্রমপুর ডেকোরেটর

১৯৫৬ সালে বর্তমান বড় মগবাজার মোড় থেকে বাংলামোটরের পথে ২০০ গজ এগিয়ে হাতের ডান পাশে ইস্পাহানী স্কুল সংলগ্ন ৪০২/৩, নিউ ইস্কাটন রোড, ঢাকা – ১০০০ ঠিকানায় মেসার্স বিক্রমপুর ডেকোরেটর যাত্রা শুরু করে। সপ্তাহের ৭ (সাত) দিনই সকাল ৮.০০ টা থেকে রাত ৯.০০ টা পর্যন্ত এটি খোলা থাকে।
এই প্রতিষ্ঠানের ফোননম্বর ৯৩৩৩৫৭৮ এবং মোবাইল নম্বর ০১৭১১-৭৩৩৮০০।

ভাড়ায় পাওয়া যায়:

এখানে সব ধরনের পাতিল, কারী বাটি, জগ, গ্লাস, কাঁচ, মেলামাইন ও সিরামিকের প্লেট ও ডিস, ক্রোকারিজ, ক্যাটারিজ, কাবাব তৈরীর জন্য কয়লা, শিক, স্ট্যান্ড, চটপটি ও ফুচকা তৈরীর সামগ্রী, কাঠ ও প্লাস্টিকের চেয়ার-টেবিল, লাইটিং উপকরণ, জেনারেটর, ফ্যান, বেসিন, ফুল, সাউন্ড সিস্টেম, প্রজেক্টর, কার্পেট, গাছের টব, ও ডায়াস ভাড়ায় পাওয়া যায়।

বুকিং ও ভাড়া পদ্ধতি:

প্রায় ৭ দিন থেকে ১০ দিন আগে বুকিং দিতে হয়। সরাসরি এবং ফোনের মাধ্যমে বুকিং দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। বুকিং নিশ্চিত করতে মোট ভাড়ার ৫০% টাকা অগ্রীম প্রদান করতে হয়।

প্যান্ডেল, গেইট ও স্টেইজ সাজানো:

প্রতি স্কয়ার ফিট ২০ টাকা হিসেবে সিঙ্গেল, ডাবল, বক্স, ব্যানার এবং শাহী সহ সব ধরনের গেইট তৈরী করে থাকে বিক্রমপুর ডেকোরেটর। এছাড়া প্রতি স্কয়ার ফিট ৫ টাকা থেকে ১৫ টাকা ত্রিপল প্যান্ডেল ও ত্রিপল ছাড়া প্যান্ডেল এবং প্রতি স্কয়ার ফিট ১০ টাকা থেকে ৩০ টাকা হারে বর-কনের স্টেইজ, মিটিং এর স্টেইজ ও গানের স্টেইজ সাজিয়ে থাকে প্রতিষ্ঠানটি।

বাবুর্চি ও ক্যাটারিং সার্ভিস:

এই ডেকোরেটর থেকে বাবুর্চি ও খানসামা সরবরাহ করা হয়ে থাকে। বাবুর্চিকে ঘন্টা প্রতি ২০ টাকা থেকে ৪০ টাকা এবং প্রত্যেক খানসামাকে ২০০ টাকা হারে মজুরী দিতে হয়।

বিবিধ:

দিন প্রতি ২০০ টাকা হারে ব্যবহৃত জিনিসপত্র ধোয়া, মসলা বাটা ইত্যাদির জন্য লোক সরবরাহ করে থাকে বিক্রমপুর ডেকোরেটর। নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থা নেই।

লাভলী ডেকোরটর্স

১৯৬৪ সালে বর্তমান রাজারবাগ পুলিশ লাইনের পূর্ব দিকে ৮৭৩ আউটার সার্কুলার রোডে লাভলী ডেকোরেটর্স যাত্রা শুরু করে। প্রতিষ্ঠানটির ফোন নম্বর ৯৩৪৮২৪২ এবং মোবাইল নম্বর ০১৭১১-৬১৫৪৭১। এটি প্রতিদিন সকাল ৭.০০ টা থেকে রাত ৮.০০ টা পর্যন্ত খোলা থাকে।

ভাড়ায় যা পাওয়া যায়:

এখানে সব ধরনের পাতিল, কারী বাটি, জগ, গ্লাস, কাঁচ, মেলামাইন ও সিরামিকের প্লেট ও ডিস, ক্রোকারিজ, ক্যাটারিজ, কাবাব তৈরীর জন্য কয়লা, শিক, স্ট্যান্ড, চটপটি ও ফুচকা তৈরীর সামগ্রী, কাঠ ও প্লাস্টিকের চেয়ার-টেবিল, লাইটিং উপকরণ, জেনারেটর, ফ্যান, বেসিন, ফুল, সাউন্ড সিস্টেম, প্রজেক্টর, কার্পেট, গাছের টব, ও ডায়াস ভাড়ায় পাওয়া যায়।

বুকিং ও ভাড়া পদ্ধতি:

এখানে ছোট অনুষ্ঠানে ২ দিন পূর্বে এবং বড় আয়োজনে ৭ দিন পূর্বে বুকিং দিতে হয়। সরাসরি এবং ফোনের মাধ্যমে বুকিং দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। বুকিং মানি হিসেবে ৫০% অগ্রীম প্রদান করতে হয়। কোন কারণে বুকিং বাতিল হলে ২০% টাকা কেটে রাখা হয়। সাধারণত দিন ভিত্তিক ভাড়া হয়ে থাকে। তবে আলোচনা সাপেক্ষে অনুষ্ঠানের ভিত্তিতেও ভাড়া হয়ে থাকে।

প্যান্ডেল, গেইট ও স্টেজ সাজানো:

লাভলী ডেকোরটর্সে কাপড়ের গেইট, ফেন্সি গেইট সাজানোর জন্য প্রতি স্কয়ার ফিট ৩০ টাকা হারে, শাহী গেইট প্রতি স্কয়ার ফিট ৩০ টাকা হারে, ডাবল গেইট প্রতি স্কয়ার ফিট ৪০ টাকা এবং সিঙ্গেল গেইট প্রতি স্কয়ার ফিট ২০ টাকা হারে প্রদান করতে হয়। এছাড়া ত্রিপল ও কাপড়ের প্যান্ডেল প্রতি স্কয়ার ফিট ৫ থেকে ২০ টাকা হারে তৈরী করা হয়ে থাকে। প্রতি ফিট ১৫ টাকা থেকে ৫০ টাকা হারে বর-কনের স্টেইজ, মিটিং এর স্টেইজ, গানের স্টেইজ এবং বড় ধরনের অনুষ্ঠানের স্টেইজ সাজিয়ে দেওয়া হয়। তাছাড়া রাস্তার উপর ২০,০০০ টাকা থেকে ৫০,০০০ টাকায় তোরণ তৈরী করে থাকে লাভলী ডেকোরেটর্স

বাবুর্চি ও ক্যাটারিং সার্ভিস:

এই ডেকোরেটর্সের নিজস্ব ক্যাটারিং সার্ভিস এবং এখান থেকে বাবুর্চি ও খানসামাও সরবরাহ করা হয়ে থাকে। অনুষ্ঠানের ধরন অনুযায়ী বাবুর্চিকে ৫,০০০ টাকা থেকে ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত প্রদান করতে হয়। ।

বিবিধ:

নিজস্ব পরিবহনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানস্থলে সমস্ত উপকরণ পৌছানো হয়ে থাকে। ক্যাশ ও কার্ডের মাধ্যমে বিল পরিশোধ করা যায়। এখানে ভিসা কার্ড ও মাষ্টার্স কার্ড ব্যবহার করা যায়।

হারুন ডেকোরেটর, হরনাথ ঘোষ রোড

       বর্তমান ৪১, হরনাথ ঘোষ রোড, লালবাগ, ঢাকা এই ঠিকানায় ১৯৭৬ সালে হারুন ডেকোরেটর আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করে। এটির অবস্থান লালবাগ কেল্লার ঠিক পাশে। প্রতিদিন সকাল ৮.০০ টা থেকে রাত ১০.০০ টা পর্যন্ত হারুন ডেকোরেটর খোলা থাকে।
প্রতিষ্ঠানের ফোন নম্বর ৮৬১৩৪১৫ এবং মোবাইল নম্বর ০১৭১৫-৭৩১১৭৭।

বুকিং ও ভাড়া পদ্ধতি:

অনুষ্ঠানের প্রায় ১৫ দিন আগে সরাসরি বা ফোনের মাধ্যমে বুকিং দেওয়া যায়। অগ্রীম বুকিং এর ক্ষেত্রে মূল বিলের ৫০% টাকা অগ্রীম প্রদান করতে হয়। বুকিং বাতিল করতে কমপক্ষে এক সপ্তাহ আগে জানালে সম্পূর্ণ অগ্রীম টাকা ফেরত দেওয়া হয়। অন্যথায় অগ্রীম থেকে ১০% টাকা কেটে রাখা হয়।

প্যান্ডেল, গেইট ও স্টেইজ সাজানো:

এখানে ডাবল, সিঙ্গেল, শাহী, বস, গেইট প্রতি স্কয়ার ফিট ২০ টাকা হারে তৈরী করা হয়ে থাকে। এছাড়া প্রতি স্কয়ার ফিট ৫ টাকা থেকে ২০ টাকা হারে ত্রিপল প্যান্ডেলের কাজ করা হয় থাকে। বর-কনের স্টেইজ, মিটিং ও গানের স্টেইজ তৈরীতে প্রতি স্কয়ার ফিট ১০ টাকা থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে। প্রয়োজনে গাড়ীর উপর ভ্রাম্যমান স্টেইজও তৈরী করে দিয়ে থাকে হারুন ডেকোরেটর। ডিজাইন অনুযায়ী ৩,০০০ টাকা থেকে ৮,০০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে।

বাবুর্চি ও ক্যাটারিং সার্ভিস:

হারুন ডেকোরেটর অনুষ্ঠান হিসেবে বাবুর্চি ৩,০০০ টাকা থেকে ১০,০০০ টাকা এবং জনপ্রতি খানসামা ২০০ টাকা হারে সরবরাহ করে থাকে।

বিবিধ:

ব্যবহৃত জিনিসপত্র ধোয়া ও মসলা বাটার কাজের জন্য ২০০ টাকা হারে আলাদা লোক সরবরাহ করে থাকে হারুন ডেকোরেটর। এখানে নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থা নেই।

ডেকোরেটর

বিয়ের আয়োজনে ডেকোরেটর এর প্রয়োজন অপরিসীম। বিভিন্ন  উপকরন যেমনঃ  পাতিল, কারী বাটি, জগ, গ্লাস, কাঁচ, মেলামাইন ও সিরামিকের প্লেট ও ডিস, ক্রোকারিজ, ক্যাটারিজ, কাবাব তৈরীর জন্য কয়লা, শিক, স্ট্যান্ড,  চটপটি ও ফুচকা তৈরীর সামগ্রী, কাঠ ও প্লাস্টিকের চেয়ার-টেবিল, লাইটিং উপকরণ, জেনারেটর, ফ্যান, বেসিন, ফুল, সাউন্ড সিস্টেম, প্রজেক্টর, কার্পেট, গাছের টব, ও ডায়াস ভাড়ায় আনতে হয়।  এসব ডেকোরেটর এর খোঁজ পাচ্ছেন খুব সহজেই এখান থেকে।
ডেকোরেটর এর নামের উপর ক্লিক করলেই পাচ্ছেন বিস্তরিত তথ্যঃ-

ঢাকার মধ্যে রয়েছেঃ-

১।হারুন ডেকোরেটর, হরনাথ ঘোষ রোড ( লালবাগ )
২।লাভলী ডেকোরটর্স ( খিলগাঁও )
৩।বিক্রমপুর ডেকোরেটর ( রমনা )
৪।বনানী ডেকোরেটর্স ( গূলশান )

 

সূত্রঃ অনলাইন-ঢাকা.কম

 

 

কোন কমিউনিটি সেন্টারে যাবেন ?

যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ঢাকা শহরের প্রতিটি এলাকাতে সরকারী ও বেসরকারী উদ্যোগে গড়ে উঠেছে কমিউনিটি সেন্টার। পানচিনি, বাগদান, বিবাহ, বিবাহত্তোর সংবর্ধনা, জন্মদিন, বিভিন্ন ধরনের সভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলসহ  যে কোন অনুষ্ঠানে ব্যাপক মানুষের সমাগম নিশ্চিত করা যায়। শুধু মানুষের সমাগমই নয় অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ধরনের কাজ, অন্দর সজ্জাসহ অনেক কাজ কমিউনিটি সেন্টার কর্তৃপক্ষ বা তাদের মনোনীত লোক করে থাকেন। নিজেদের শুধু তদারকি করলেই চলে। এলাকা ভেদে কমিউনিটি সেন্টারের ভাড়ার হার ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধার তারতম্য রয়েছে।

 ভবনের বৈশিষ্ট্য ও অন্দর সজ্জাঃ-

কমিউনিটি সেন্টারের ভবনসমূহ নতুন ও পুরাতন মিলিয়ে রয়েছে। এলাকা ভেদে ভবনগুলো নীচতলা থেকে চারতলা পর্যন্ত বিস্তৃত। বেশীর ভাগ ভবনের প্রতিটি তলা/ ফ্লোরই টাইলস করা, কিছু রয়েছে মোজাইক। দৃষ্টিনন্দন অন্দর সজ্জা, সুসজ্জিত বসার ব্যবস্থা এবং সুপরিসর ডাইনিং রুম যে কাউকে অবিভূত করে তুলবে। রয়েছে বর ও কনে বসার আলাদা ব্যবস্থা। আগত অতিথিদের মন সুরে ভরিয়ে দিতে রয়েছে অভ্যন্তরীন সিমফনি। প্রায় প্রতিটি কমিউনিটি সেন্টারই শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত। কেবল মাত্র অভিজাত এলাকাগুলোতে অবস্থিত কমিউনিটি সেন্টারেই নিজস্ব জেনারটের সাহায্যে লোডশেডিং এর সময় শীতাতাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা সচল রাখা হয়।

 ডাইনিং ও হলরুমে আসন সংখ্যাঃ-

কমিউনিটি সেন্টারগুলোতে জায়গা অনুযায়ী আগত অতিথিদের বসার জন্য গড়ে ১৫০ থেকে ৩০০ টি আসন থাকে। কোথাও কোথাও পুরুষ মহিলা বসার আলাদা ব্যবস্থা রয়েছে। ডাইনিং রুম  বা খাবার ঘরেও কমিউনিটি সেন্টারের জায়গা অনুসারে একসাথে ৪০০ জন থেকে ৭০০ জন একত্রে বসে আহার করতে পারবে। বেশীর ভাগ কমিউনিটি সেন্টারেই পুরুষ ও মহিলার খাবারের ব্যবস্থা আলাদা থাকে।

 ভাড়ার হার ও বুকিং দেওয়ার পদ্ধতিঃ-

কমিউনিটি সেন্টারগুলোতে ভাড়ার হার বছরে দুটি সময় ওঠা নামা করে। গ্রীষ্মের তুলনায় শীতের সময় অনুষ্ঠানাদি বেশি থাকায় এই সময় ভাড়া কিছুটা বেশি। তবে সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে নির্মিত কমিউনিটি সেন্টারগুলোতে ভাড়া তুলনামূলক অনেক কম। যেমন খিলগাঁও থানাধীন খিলগাঁও কমিউনিটি সেন্টারে শীত বা গ্রীষ্মকালে সারাদিন ৯,০০০ টাকা, অর্ধবেলা ৭,৫০০ টাকা, বাসাবো সিটি কর্পোরেশন কমিউনিটি সেন্টারে শীত বা গ্রীষ্মকালে সারাদিন ১২,০০০ টাকা, অর্ধবেলা ৬,৫০০ টাকা, পল্লবী থানাধীন পল্লবী ২নং ওয়ার্ড কমিউনিটি সেন্টারে শীত বা গ্রীষ্মকালে সারাদিন ৪,২৫০ টাকা, অর্ধবেলা ৪,৭৫০ টাকা, সবুজবাগ থানাধীন বাসাবো কমিউনিটি সেন্টার শীত বা গ্রীষ্মকালে সারাদিন ২০,০০০ টাকা, অর্ধবেলা ১৫,০০০ টাকা, সূত্রাপুর থানাধীন সূত্রাপুর  কমিউনিটি সেন্টার শীত বা গ্রীষ্মকালে সারাদিন ১১,০০০ টাকা, অর্ধবেলা ৫,৯০০ টাকা। এছাড়া বেসরকারী উদ্যোগে গড়ে উঠা খিলগাঁও থানাধীন কমিউনিটি সেন্টারগুলোর গ্রীষ্মকালে সারাদিনের জন্য ২০,০০০ টাকা থেকে ৫০,০০০টাকা পর্যন্ত এবং অর্ধবেলা (দুপুর/ রাত) ১০,৫০০ টাকা থেকে ৩০,০০০ টাকা পর্যন্ত। শীতকালে সারাদিনের জন্য ৩০,০০০ টাকা থেকে ৬০,০০০ টাকা পর্যন্ত এবং অর্ধবেলা (দুপুর/ রাত) ১৫,০০০ টাকা থেকে ৪০,০০০ টাকা পর্যন্ত।

রামপুরা থানাধীন কমিউনিটি সেন্টারগুলোর গ্রীষ্মকালে সারাদিনের জন্য ২০,০০০ টাকা থেকে ৪০,০০০টাকা পর্যন্ত এবং অর্ধবেলা (দুপুর/ রাত) ১০,০০০ টাকা থেকে ২৫,০০০ টাকা পর্যন্ত। শীতকালে সারাদিনের জন্য ২৫,০০০ টাকা থেকে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত এবং অর্ধবেলা (দুপুর/ রাত) ১৭,০০০ টাকা থেকে ৩৫,০০০ টাকা পর্যন্ত।

ধানমন্ডি থানাধীন কমিউনিটি সেন্টারগুলোর গ্রীষ্মকালে অর্ধবেলার (দুপুর/ রাত) জন্য ২৫,০০০ টাকা থেকে ৬০,০০০ টাকা পর্যন্ত। শীতকালে অর্ধবেলার (দুপুর/ রাত) জন্য ৩০,০০০ টাকা থেকে ৭০,০০০ টাকা পর্যন্ত। তবে অত্যাধুনিক সুবিধা সম্পন্ন কমিউনিটি সেন্টারগুলো ১,০৫,০০০ টাকা পর্যন্ত অর্ধবেলার ভাড়া নিয়ে থাকে।

মিরপুর / পল্লবী থানাধীন কমিউনিটি সেন্টারগুলোর শীত বা গ্রীষ্মকালে সারাদিনের জন্য ১৫,০০০ টাকা থেকে ৩৫,০০০টাকা পর্যন্ত এবং অর্ধবেলা (দুপুর/ রাত) ৮,৫০০ টাকা থেকে ২০,০০০ টাকা পর্যন্ত।

এলাকা ভেদে সর্বনিম্ন ৫ দিন থেকে ৩ মাস পূর্বে বুকিং দিতে হয়। অভিজাত এলাকাতে খালি থাকার উপর নির্ভর করে বুকিংটা। বুকিং মানি বা অগ্রীম বাবদ মোট ভাড়ার শতকরা ১০ ভাগ থেকে শতকরা ৫০ ভাগ পর্যন্ত বুকিং এর সময় পরিশোধ করতে হয়।

 বাবুর্চি ও ওয়েটার বা খানসামাঃ-

যেকোন বড় আয়োজনে খাবার অন্যতম বিষয়। খাবার রান্নার জন্য কমবেশী প্রতিটি কমিউনিটি সেন্টারেরই নিজস্ব বাবুর্চি রয়েছে। খাবারের মেন্যু অনুযায়ী উপকরণ সরবরাহ করলে তারা নিজ দায়িত্বে মানসম্মত রান্না করে থাকেন। এজন্য অবশ্য তাদের আলাদা পারিশ্রমিক প্রদান করতে হয়। এলাকাভেদে ৫০০ জন থেকে ৭০০ জন লোকের রান্নার জন্য সবুজবাগ, বংশাল, সূত্রাপুর, লালবাগ, চকবাজার, খিলগাঁও ও রামপুরা থানাধীন কমিউনিটি সেন্টারের নিজস্ব বাবুর্চিদের পারিশ্রমিক ৫,০০০ টাকা থেকে ১৫,০০০ টাকা,মোহাম্মদপুর, মিরপুর ও পল্লবী থানাধীন কমিউনিটি সেন্টারের বাবুর্চিদের পারিশ্রমিক জনপ্রতি বা প্লেট প্রতি ১০ টাকা থেকে ৩০ টাকা,  পর্যন্ত প্রদান করতে হয়। এছাড়া ধানমন্ডি এলাকার কমিউনিটি সেন্টারগুলোতে বেশীর ভাগই বাবুর্চি নেই।

কোন কোন কমিউনিটি সেন্টার কর্তৃপক্ষ ওয়েটার বা খানসামা বিনামূল্যে সরবরাহ করে থাকে। কোথাও আবার ওয়েটার বা খানসামাদের অনুষ্ঠান প্রতি একজনকে ১৫০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত প্রদান করতে হয়। ২০০ জন লোকের জন্য ১০ জন থেকে ১২ জন এবং ৫০০ জন লোকের জন্য ১৫ জন থেকে ২০ জন ওয়েটার বা খানসামা প্রয়োজন হয়। এদের কিছু সংখ্যক প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত। রান্না ও খাবার পরিবেশনের সময় নিজেদের তদারকিটা  থাকতে হবে।

 ক্যাটারিং ব্যবস্থাঃ-

কমিউনিটি সেন্টারে ক্যাটারিং সার্ভিস এ প্যাকেজ আকারে জনপ্রতি সাদা পোলাও , মুরগীর রোষ্ট, রেজালা (গরু), বোরহানী, ফিরনী, টিকিয়া ও সালাদ  এই ৭ পদের জন্য ৩০০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা নিয়ে থাকে। তবে এখানে রেজালা (খাসী) হলে সাথে আরো ৩০/৪০ টাকা অতিরিক্ত যোগ করতে হবে।

অপর ক্যাটারিং প্যাকেজে কাচ্চি বিরিয়ানী, রেজালা (গরু), বোরহানী, ফিরনী, টিকিয়া ও সালাদ  এই ৬ পদের জন্য ৩০০ টাকা থেকে ৩২৫ টাকা প্রদান করতে হয়। এছাড়া যদি নিজেরা ব্যবস্থা করা যায় তবে ক্যাটারিং প্যাকেজে খরচ হয় ২২০ টাকা থেকে ২৪০ টাকা পর্যন্ত।

 বর কনের ষ্টেইজ ও প্রধান গেইটের সাজসজ্জাঃ-

অনুষ্ঠানে বর কনের ষ্টেইজ, প্রধান গেইট ও অন্যান্য সাজসজ্জা নিজেরাও করা যায় আবার ঝামেলা এড়াতে কমিউনিটি সেন্টার কর্তৃপক্ষকে দায়িত্ব দেওয়া যায়। সেক্ষেত্রে চাহিদা অনুসারে বর কনের ষ্টেইজ সাজাতে এলাকা অনুযায়ী ২,০০০ টাকা থেকে ৬,০০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। তবে সাজসজ্জা যদি অতি আকর্ষনীয় হয় সে ক্ষেত্রে খরচ ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত হয়।  অনেক কমিউনিটি সেন্টারে কর্তৃপক্ষ নিজেরাই প্রধান গেইট সাজিয়ে দেয়। কোথাও কোথাও চাহিদা মোতাবেক গেইট সাজাতে  ৭,০০০ টাকা থেকে ২০,০০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়।

সুত্রঃ অনলাইন ঢাকা

ঢাকা শহরের কমিউনিটি সেন্টার গুলোর বর্তমান ভাড়া

রোজার পরপরই যারা বিবাহ করতে যাচ্ছেন তাদের জন্যে ঢাকা শহরের কমিউনিটি সেন্টার বা পার্টি সেন্টারগুলোর বর্তমান বাজারমূল্য এই লেখাটিতে দেবার চেষ্টা করেছি। কমিউনিটি সেন্টারের ভাড়া, ডেকোরেশন, খাওয়ার খরচের হিসাব -এ সবকিছুই পেয়ে যাবেন এখানে। বাজার ঘুরে সংগৃহীত এ লেখাটিতে যেসকল মূল্য প্রদান করা হলো, তা বিবাহের মৌসুম অর্থাৎ, নভেম্বর-জানুয়ারির জন্যে প্রযোজ্য নয়। অর্থাৎ, বিবাহের মৌসুমে কমিউনিটি সেন্টারগুলোর ভাড়া ১০-২০ হাজার টাকা বেড়ে যায়। কাজেই যারা বিবাহের প্ল্যান করছেন, তারা ডেট ফাইনাল করে অনতিবিলম্বে কমিউনিটি সেন্টার পছন্দ করে বুকিং দিয়ে ফেলুন। এই পর্বে ঢাকা শহরের নামীদামী কিছু কমিউনিটি সেন্টারের ভাড়া সংক্রান্ত তথ্য দেওয়া হলো। পরবর্তী পর্বে ঢাকা শহরের বাকী কমিউনিটি সেন্টার এবং অন্যান্য শহরের কমিউনিটি সেন্টারগুলোর ভাড়ার বিবরণও দেওয়া হবে।

তাহলে আসুন, জেনে নেই কিছু কমিউনিটি সেন্টারের বর্তমান ভাড়া:
১. হিলটাউন কমিউনিটি সেন্টার: ২৩/৪, খিলজী রোড (মিরপুর রোডের উপরে), শ্যামলী, ঢাকা-১২০৭। ফোন: ৯১১৮১২৬, ০১৫৫২৩০৪২২৮। মূল্য: ৩০০ লোকের জন্যে ভাড়া ২৬,০০০ টাকা, ৬০০ লোকের জন্যে ভাড়া ৩০,০০০ টাকা। যেহেতু জায়গা কম, তাই হলুদ বা ছোট অনুষ্ঠানের জন্যে এই কমিউনিটি সেন্টারটি উপযোগী।

২. পার্টি প্যালেস কমিউনিটি সেন্টার: ২৩/৫, শ্যামলী, মিরপুর রোড, ঢাকা-১২০৭। ফোন: ৯১২৩২৯৬। এটি রোজার পর ভেঙ্গে ফেলা হবে বলে শুনেছি।

৩. অঙ্গন কমিউনিটি সেন্টার: ৮/৯, আওরঙ্গজেব রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭। ফোন: ৮১৫৩৫৮৭, ০১৭১০০৯৬৯৭৭, ০১৯২৩১৯৮৬৮৮। ভ্যাটসহ ভাড়া ৩২,০০০ টাকা। খাবার+বাবুর্চি+ফুলের ডেকোরেশন -এসব কিছু নিজের খরচ। এই কমিউনিটি সেন্টারটি অপোকৃত ছোট। তাই সর্বোচ্চ ৫০০-৬০০ মানুষের জন্যে এটি ভাড়া করা যেতে পারে।

৪. নিউ প্রিয়াংকা কমিউনিটি সেন্টার: ২/৯, স্যার সৈয়দ রোড, আসাদগেট, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭। ফোন: ৯১১৪২৮৮, ৮১২১২৮৬, ০১৭১১০২৬৯১৫। প্রতি ১০০০ গেস্টের জন্যে হল ভাড়া (ডেকোরেশনসহ) ৭০,০০০ টাকা। প্রতি ৫০০ গেস্টের জন্যে হল ভাড়া (ডেকোরেশনসহ) ৬০,০০০ টাকা। খাবার+বাবুর্চি ভাড়া -এসব কিছু নিজের খরচ। প্রতি ১০০০ অথবা প্রতি ৫০০ গেস্টের বেশি গেস্ট এলে সেক্ষেত্রে প্রতি ১০০ জনের জন্যে ৩০০০ টাকা করে ভাড়া প্রদান করতে হবে। এছাড়া ১০০০ গেস্টের খাবার ভ্যাট বাবদ ৫০০০ টাকা সরকারকে প্রদান করতে হবে।

৫. সূচনা কমিউনিটি সেন্টার: রিং রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭ (কৃষি মার্কেট সংলগ্ন), ১৫/১২, ব্লক-এফ, টিক্কাপাড়া, মোহাম্মদপর, ঢাকা-১২০৭। ফোন: ০১৯১১৩৯২৫৮৪, ০১৬৭০১০৯২৭২। প্রতি ১০০০ জন গেস্টের জন্যে হল ভাড়া, ডেকোরেটর, লাইটিং, বেয়ারা, জেনারেটর, এসি -এসব সহ মূল্য ৪৬,৭৫০ টাকা। খাবার ও ভ্যাটের টাকা আলাদা। প্রতি ১০০০ জন গেস্টের বেশি গেস্ট এলে সেক্ষেত্রে প্রতি ১০০ জনের জন্যে ৩০০০ টাকা করে ভাড়া প্রদান করতে হবে।

৬. বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনফারেন্স সেন্টার: বুকিং ইনফরমেশন আগারগাঁও, শেরেবাংলানগর, ঢাকা, ফোন: ৮৮০২-৯১০০০২৩, ৮৮০২-৯১০০০১৪-৫, ৮৮০২-৯১০০০১৭
৭. সামারাই কনভেনশন সেন্টার: ২৩/জি/৭, পান্থপথ (বসুন্ধরা সিটি মার্কেটের বিপরীতে)। ফোন: ৮৬২২৫০৯, ০১৭২৭৬৯৯৩৭৪, ০১৭১৫৯৫৫৩১৮, ০১৭২৭৩৪৬৮৭৭, ৭১২০৭৩৪, ০১৭১৩০৪৬০৬৬। প্রতি ১০০০ গেস্টের জন্যে হল ভাড়া ৫০,০০০ টাকা, ডেকোরেটর ভাড়া ৫০,০০০ টাকা, লাইটিং এবং সাউন্ড বাবদ ভাড়া ৪০০০ টাকা, গ্যাস এবং ওয়াসা বাবদ ভাড়া ৫০০০ টাকা। মোট ১,১৩,০০০ টাকা। ফুড ভ্যাট ১৫%। ফুল সাজানো এবং ডেকোরেশনের জন্য আলাদা ভাড়া প্রযোজ্য।

৮. সোহাগ কমিউনিটি সেন্টার ১, ২ এবং ৩: ৯১, নিউ ইস্কাটন রোড, ঢাকা-১২১৭। ফোন: ৯৩৩৪০৬৮, ৮৩৫১২৯১। হল ১ এবং ২ এর ক্ষেত্রে প্রতি ১০০০ জন গেস্টের জন্য হল ভাড়া+ডেকোরেটর বিল+খাদ্যের উপর ভ্যাট বাবদ ৭৭,৮০০ টাকা দিতে হবে। আর প্রতি ৫০০ জন গেস্টের জন্যে উপরিউক্ত খাতে ৫৫,৪০০ টাকা প্রযোজ্য। হল -৩ টি ছোট, যেখানে সর্বোচ্চ ৬০০ মানুষ ধরে।

৯. স্পেকট্রা কনভেনশন সেন্টার:
যোগাযোগের জন্য এখানে ক্লিক করুন

বিয়ের গাড়ি-ভাড়া

বিয়ের দৃশ্য কল্পনা করতে গেলে আমাদের মনের মানস পটে ভেসে ওঠে একটি পালকির চিত্র। ছয়জন বেহারা কাঁধে করে বয়ে নিয়ে যাচ্ছেন পালকিটি। আর পেছনে পায়ে হেঁটে হেঁটে যাচ্ছেন বরযাত্রীরা। এটা অনেক পুরোনো গ্রামবাংলার বরযাত্রার চিত্র। কিন্তু এখন সময় পাল্টেছে। পাল্টেছে যাতায়াতের মাধ্যমও। সময়ের পটপরিবর্তনের ফলে আধুনিকায়নের ছোঁয়া লেগেছে মানব জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে। এখন বরযাত্রা হয় গাড়িতে করে। এমনকি হেলিকপ্টারে করে যাওয়াও কল্পনাতীত নয়। বিয়েতে যাতায়াতের জন্য কী ধরনের গাড়ি ব্যবহূত হয় এবং তার খরচ ও খোঁজখবরের বিস্তারিত জানাতেই এই আয়োজন-

প্রাইভেটকারঃ
সাধারণত বরকে বহনের জন্য প্রাইভেটকারই বহুল প্রচলিত। যারা ভাড়ার প্রাইভেট কার ব্যবহার করতে চান, তাদের জন্য টয়োটার নর্মাল প্রাইভেটকারগুলোই সহজলভ্য। সাধারণমানের এই প্রাইভেটকারগুলোর ভাড়া প্রতিদিন পনের’শ থেকে দুই হাজার টাকার মধ্যে। তবে, যাদের আর্থিক সচ্ছলতা বেশি তারা অনেকেই একটু বিলাসবহুল গাড়ি ব্যবহার করতে চান।

বিলাসবহুল গাড়িগুলোর ভিতরে ঢাকা শহরে ভাড়া পাওয়া যায় মার্সিডিস বেঞ্চ, মিৎসুবিসি ল্যান্সার জিএল এক্স, টয়োটা করোলা জিএক্স ইত্যাদি এই গাড়িগুলোর ভাড়া প্রতি ১০ ঘন্টার জন্য ১০ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যে এ ছাড়া জিপ গাড়ির ভেতরে পাওয়া যায় টয়োটা প্রাডো, হ্যারিয়ার, পাজেরো ইত্যাদি। এই গাড়িগুলোর ভাড়া পড়বে প্রতি ১০ ঘন্টায় ১৫ হাজার টাকা।

বিলাসবহুল গাড়িগুলো ভাড়া পাওয়া যায় ‘হাটজ’-এ। ফোন : ৯৮৮৪৩১১, ৮৮১৩২৪২, ০১৯১৩২২২২৯।

তবে বিয়েতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহূত হয় মাইক্রোবাস। অধিক আসন থাকায় এবং সহজলভ্য হওয়ায় মাইক্রোবাসগুলো বেশি জনপ্রিয়। এবং মাইক্রোবাসগুলোর সুবিধা হচ্ছে খুব সাধারণভাবে এগুলো ব্যবহার করা যায়।  ঢাকার মধ্যে এবং ঢাকার বাইরে মাইক্রোবাসের ভাড়ার পরিবর্তন হয়। নয় সিটের মাইক্রোবাসগুলো ঢাকার মধ্যে ভাড়া ২ থেকে ৩ হাজার টাকার মধ্যে। আর ঢাকার বাইরে ভাড়া ৪ হাজার টাকা। ১২ সিটের মাইক্রোবাসের ভাড়া ২ হাজার টাকা থেকে ৩ হাজার টাকার মধ্যে। এ ছাড়া টয়োটা নোয়া ও ভক্সির ভাড়া ঢাকার মধ্যে প্রতি ১০ ঘন্টায় ৩ হাজার টাকা এবং ঢাকার বাইরে সাড়ে ৩ হাজার টাকা থেকে ৪ হাজার টাকা। এই গাড়িগুলো সাধারণত ৯ সিটের হয়ে থাকে।

রেন্ট-এ কারঃ

 

সেতু-রেন্ট-এ কার : ৯১৪২৬৪৪, ৮১৩০৭৪৬, ০১৮১৯২৮০০৮০
সোহাগ রেন্ট-এ কার : ০১৭১১৫৬৮৮৭৪, ৮১১৯৮১২১
মর্ডান রেন্ট-এ কার : ৮১৫৮৫৩০, ০১৭১৫০৫০৬৯৯, ০১৭১৩২৬১৬১৯
ভিআইপি রেন্ট-এ কার : ০১৭১৫১২৪১২৬, ০১৭২০২৭৭৭৯৯
সৌখিন রেন্ট-এ কার : ৯১৪৪৩৯৮, ০১৭১১৫২৮৪৫৩।

জেনে রাখুনঃ
যেহেতু সময় হিসাবে গাড়ি ভাড়া দেওয়া হয় সেহেতু কতক্ষণের জন্য গাড়ি ভাড়া নিবেন সেই ব্যাপারে পুরোপুরি নিশ্চিত হয়ে নিন। গাড়ি ভাড়া করতে হলে কমপক্ষে দু’দিন আগে বুকিং দেওয়া উচিত। গাড়ির জন্য আনুষঙ্গিক খরচ যেমন- টোল, পার্কিং চার্জ ইত্যাদি নিজেকেই বহন করতে হবে। জ্বালানি খরচ যিনি গাড়ি ভাড়া নেন, তার নিজেকেই বহন করতে হয়। (তবে অনেক সময় প্যাকেজ চুক্তিতেও গাড়ি ভাড়া নেয়া হয়। সেক্ষেত্রে আনুষঙ্গিক কোনো খরচ যিনি ভাড়া করেন তাকে বহন করতে হয় না।)  গাড়ি প্রতিষ্ঠানের এবং চালকের সম্বন্ধে বিস্তারিত তথ্য আগেই জেনে নিন। এবং তাদের ফোন নম্বর রেখে দেওয়াটাও জরুরি।  বিয়েতে ব্যবহারের সময় গাড়ি সাজানোসহ নানা কারণে গাড়ি নোংরা হতে পারে। তাই গাড়ির ড্রাইভারকে দু’তিন’শ টাকা টিপস দিন গাড়ি পরিষ্কার করার জন্য।

 ব্যতিক্রমী ভাবনা ::
অনেকে নিজের বরযাত্রাকে একটু ব্যতিক্রমী করতে ঘোড়ার গাড়ি বা টমটম ব্যবহার করেন। পুরান ঢাকায় ঘোড়ার গাড়ি ভাড়া পাওয়া যায়। ঘোড়ার গাড়ির ভাড়া প্রতিদিনের জন্য ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা।

কোথায় পাওয়া যাবে:
ভাই ভাই টমটম : ০১৭১২৫৭১৫৬৩, ০১৭২২৪৭১০৭৫।
নানানাতি টমটম : ০১৭১৫৯৬৭৩৩২।