রুপ চর্চায় ফুল

fulফুলের রং আর মিষ্টি সুবাসে মন যেমন ভরে ওঠে, ঠিক তেমনি ফুল দিয়ে সাজতে পছন্দও করেন অনেকে। কেউ খোঁপায় ফুল গোঁজেন, তো কেউ হাতে জড়ান বেলি বা বকুল ফুলের মালা। আবার ত্বক ও চুলের যত্নে অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদানের পাশাপাশি ব্যবহার করা হয় ফুল।

রূপচর্চায় ফুলের ভূমিকা প্রসঙ্গে জানালেন হারমনি স্পা’র আয়ুর্বেদিক রূপবিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা। জেনে নিন রূপচর্চায় ফুলের কিছু ব্যবহার—

গোলাপ
গোলাপ ফুলের সঙ্গে মধু ও লাল আতা মিশিয়ে ত্বকে লাগালে ত্বক হয়ে উঠবে মসৃণ, উজ্জ্বল ও সতেজ।
ক্যামেলিয়া
ক্যামেলিয়া ফুল, দুধ ও চালের গুঁড়া একসঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে লাগালে ত্বক গভীরভাবে পরিষ্কার হবে আর ত্বক ফিরে পাবে লাবণ্য।
শাপলা
শাপলা ফুল, নিমের তেল ও তিল বাটা একসঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে লাগালে ব্রণ কমে যাবে।
বেলি
বেলি ফুলের সঙ্গে ঘৃতকুমারী ও মধু মিশিয়ে ত্বকে লাগালে ত্বক টানটান ও মসৃণ হয়ে উঠবে।
জবা
জবা ফুল ও চালের গুঁড়ার মিশ্রণ ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া এর সঙ্গে তিলের তেল মিশিয়ে চুলে লাগালে তা নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে।
কিছু সতর্কতা
বিভিন্ন মৌসুমে যেসব ফুল পাওয়া যায়, সেগুলো রূপচর্চায় কাজে লাগানো যেতেই পারে, তবে এর কোনোটিই সরাসরি ব্যবহার করা উচিত নয়, অবশ্যই কোনো কিছুর সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করা উচিত। কারণ, কোনোটির অম্লত্ব বেশি হতে পারে, আর সে ক্ষেত্রে হিতে বিপরীতও হতে পারে। তাই সরাসরি কোনো ফুল ত্বকে বা চুলে ব্যবহার করবেন না।

তথ্য সূত্রঃ নকশা

যুবক থেকে শুরু করে বয়ষ্ক-ফুরফুরে, সতেজ থাকতে

উষ্কোখুষ্কো চেহারা, শরীর থেকে ঘামের গন্ধ আসছে। এমন লোকরে সামনে পড়লে কার ভালো লাগে? তাই তো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও পরিপাটি থাকা প্রয়োজন। বাজারে পুরুষের জন্য নানা ধরনের প্রসাধন পাওয়া যায়। এই যেমন শেভিং জেল, শেভিং ক্রিম বা ফোম, ডিওডোরেন্ট ও সুগন্ধি। এসব প্রসাধনের ব্যবহার একদিকে আপনাকে সতেজ রাখবে, অন্যদিকে ব্যক্তিত্বও বাড়িয়ে তুলবে। তবে কেনার আগে ভালো মানের প্রসাধন বেছে নিতে হবে। আরেকটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে, এসব প্রসাধন আপনার ত্বকের জন্য উপযুক্ত কি না।

নির্ঝঞ্ঝাট শেভিংয়ের জন্য জেল

তরুণদের এখন শেভিংয়ের জন্য শেভিং জেলই পছন্দের তালিকায় শীর্ষে। বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের শেভিং জেল পাওয়া যায়। নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ডি মোর্শেদ নিয়মিতই ব্যবহার করেন শেভিং জেল। তিনি জানান, সকালবেলা উঠে প্রায় প্রতিদিনই ক্লাস করতে হয়। নিয়মিত শেভের জন্য ফোম, ক্রিমের তুলনায় জেল বেশ কার্যকর। দাড়ি কাটার সময় জেল ব্যবহারের জন্য দাড়ির গোড়া দ্রুত নরম হয়ে যায়। যার কারণে খুব সহজেই দ্রুত শেভ করা যায়।

শেভিং ক্রিম ও ফোম

যুবক থেকে শুরু করে বয়ষ্ক—বেশির ভাগের শেভের জন্য পছন্দ শেভিং ফোম। একটু ফোমেই বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে শেভ করা যায় বলেই শেভিং ফোম বেছে নেন কেউ কেউ। তবে ফোম, জেল বা ক্রিম—যা-ই হোক না, গোসলের সময় শেভিং করা ভালো।

আফটার শেভের ব্যবহার

শেভের আগে হালকা গরম পানিতে মুখ ধুয়ে নিলে দাড়ি নরম হয়ে যায়। পুরো দাড়িতে ব্রাশ বা আঙুল দিয়ে শেভিং জেল, ফোম ভালো করে মাখিয়ে নিতে হবে। দাড়ি কাটার সময় রেজারের ব্লেড নিচের দিকে টানবেন, কখনোই ওপরের দিকে টানবেন না। ওপরের দিকে টানলে দাড়ির গোড়া উপড়ে আসার সম্ভাবনা থাকে। এ ছাড়া দাড়ির গোড়ায় গোটা বা ত্বক কেটে যেতে পারে। বারবার এভাবে শেভ করলে ত্বক খসখসে হয়ে যায়।

ছেলেদের সৌন্দর্য সেবা প্রতিষ্ঠান মেনস কেয়ারের স্বত্বাধিকারী

জাবেদ হোসেন জানান, আফটার শেভ লোশন ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটু সতর্ক থাকতে হবে। বাজারে প্রচলিত স্পিরিটযুক্ত আফটার শেভ লোশন ব্যবহার করলে গালে দাগ পড়ে যায়, দাড়ির গোড়া ফুলে যায়। এ ক্ষেত্রে মেনথলযুক্ত অ্যান্টিসেপটিক আফটার শেভ লোশন ব্যবহার করা যেতে পারে।যাঁদের ত্বক শুষ্ক, তাঁদের ত্বকে অ্যালকোহল ও লেবুযুক্ত আফটার শেভিং ক্রিম ব্যবহার না করাই ভালো। অনেকের শেভের পর ত্বকে র‌্যাশ হয়। তাঁরা আফটার শেভ লোশন ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।

গরমে ঘাম প্রতিরোধে

গরমে কারও কারও অতিরিক্ত ঘাম হয়। আর তা থেকে শরীরে দুর্গন্ধ তৈরি হয়। এ জন্য ব্যবহার করতে পারেন ডিওডোরেন্ট। গোসলের পরপরই ব্যবহার না করে কিছু সময় পর শুকনা শরীরে ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করুন। গরমে ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করলে ঘামের কারণে সৃষ্ট ব্যাকটেরিয়াকে প্রতিরোধ করা যায়।

সতেজ থাকতে সুগন্ধি

সুগন্ধির কথা বললেই শুধু মেয়েদের কথা ভেবে নেন অনেকেই, এই ধারণা ভুল। বাজারে নারী ও পুরুষের জন্য আলাদা সুগন্ধি পাওয়া যায়। কেনার সময় বিষয়টি মাথায় রাখলেই হবে। পারফিউম বা কোলন—যেকোনোটি পুরুষরা বেছে নিতে পারেন। সাধারণত পারফিউমের গন্ধটা একটু কড়া হয়ে থাকে। তুলনামূলকভাবে মৃদু গন্ধের হয়ে থাকে কোলন। ফলে অনুষ্ঠান ছাড়া পুরুষরা সব সময়ের জন্য কোলনই বেছে নিতে পারেন।

জাহিদ হোসাইন খান

কন্টাক্ট লেন্স

কন্টাক্ট লেন্স কি?

কন্টাক্ট লেন্স বলতে আমরা সাধারনত ডিসপোজেবল সফট কন্টাক্ট লেন্স কেই বুঝি। কেউ কেউ কন্টাক্ট লেন্স ইউজ করে ফ্যাশন এর জন্য। আবার কেউ কেউ চোখের প্রব্লেম এর জন্য। ফ্যাশনাবল লেন্স বলতে কালার লেন্স এর কথা বলা হচ্ছে। এটা মুহূর্তেই আপনার চোখের রং বদলে দিবে। আজ আপনার চোখ নীল সাগরের মত, তো কাল আবার হ্যাজেল এর মত। কিংবা পরশু ঘোলা ঘোলা।

আর অপ্টিকাল সমস্যার জন্য যে লেন্স ব্যবহার করা হয়, সেগুলাতে পাওয়ার থাকে। বাংলাদেশে চক্ষু সমস্যার জন্য ডাক্তারেরা সাধারনত স্বচ্ছ লেন্স দিয়ে থাকেন। কারন কালার পাওয়ার যুক্ত লেন্স বাংলাদেশে ভালো ব্র্যান্ড এর পাওয়া যায় না। আর সেগুলা ঠিক সফট আর থাকে না যা আপনার চোখের উপর স্ট্রেস ফেলে। ফলে চোখ গরম হয়ে যায় ২-৩ ঘণ্টা পর ই।

লেন্স পরতে যা যা লাগবেঃ

১– লেন্স (দুই চোখের জন্যই)
২– সল্যুশন (এটা একটা তরল যার মাঝে লেন্স ভিজিয়ে রাখতে হয়)
৩– লেন্স বক্স (বক্স এর মাঝে লেন্স সল্যুশন এ ভিজিয়ে রাখতে হয়)
লেন্স কেনার সময় ই এগুলা সব দিয়ে দেয়া হয়।

ডিসপোজেবল সফট কন্টাক্ট লেন্স এর ব্যাবহার বিধিঃ

লেন্স পরা খুব ই সোজা। প্যাকেট খলার পর লেন্স টি বাম হাতের তালুতে রাখুন। এবার, কিছুটা সল্যুশন ঐ লেন্স এর উপর নিন। ডান হাতের আঙ্গুল দিয়ে লেন্স টি পরিস্কার করুন। সতর্ক থাকবেন, লেন্স টি যেন ছিঁড়ে না যায়। এবার লেন্স টি ডান হাতের তর্জনী তে নিন এবার বান হাত দিয়ে টেনে চোখটিকে বড় করুন আর লেন্স টিকে ভিতরে বসিয়ে দিন ডান হাত দিয়ে। শেষ হলে কয়েকবার চোখ বন্ধ করুন আর খুলুন। এভাবে দুচোখেই লেন্স পরুন।

লেন্স পড়ার আগে অবশ্যই খেয়াল করতে হবে লেন্স টি সোজা আছে কিনা। লেন্স এর দুইটা পার্শ্ব। কোনটা সোজা কিভাবে বুঝবেন? প্রথমে লেন্স টিকে তরজনির উপর রাখুন।  কোনা গুলো যদি উঁচু হয়ে থাকে তাহলে লেন্স সোজা আছে। আর যদি একটু ঝুলে থাকে, তাহলে লেন্স উল্টা।

একটানা এক সপ্তাহের বেশি লেন্স বক্স এ ইউজ না করে ফেলে রাখলে, মাঝে মাঝে সল্যুশন পালটাতে হয়।অবশ্যই খেয়াল রাখবেন, ডান চোখের লেন্স ডান বক্স এ, আর বাম চোখের লেন্স বাম বক্স এ রাখতে হবে। লেন্স বক্স এর উপর বাম ডান লেখা থাকে সাধারনত। ডিসপোজেবল সফট কন্টাক্ট লেন্স সাধারনত সকালে পরতে হয় আবার রাতে খুলে রাখতে হয়। এভাবে প্রতিটি লেন্স ২ মাস পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়। এক প্যাকেট এ প্রতি চোখের ছয়টা করে লেন্স থাকে।

কোন ব্র্যান্ড এর লেন্স কিনবেনঃ

১. johnson and johnson (বাংলাদেশে যেগুলা পাওয়া যায়,তার মাঝে এটাই বেস্ট )
২. acuvue
৩.bausch + lomb
৪.biofinity
৫. dailies
৬. fresh look
৭. air optix
৮. igel
৯. aqua flexi
এছাড়াও আরও অনেক ব্র্যান্ড আছে। কিন্তু ডাক্তার আপনাকে johnson and johnson ই নিতে বলবে।

কোথায় পাওয়া যাবেঃ

আপনার চক্ষু বিশেষজ্ঞের কাছেই পাবেন। তবে দাম একটু বেশি লাগবে । নিজে কিনতে চাইলে নিচে্র যেকোনোটিতে যেতে পারেন।

১-আমেরিকান অপটিকসঃ ১২০/১, আউটার সারকুলার রোড, মগবাজার, ঢাকা। ফোনঃ- ৯৩৫৮৮৭৯।

২-আনিকা মনিকা অপটিকসঃ ল্যান্ড মার্ক সপিং সেন্টার; গূলশান-২,ঢাকা। ফোনঃ-৯৮৮৪০৪৪।

৩-বসুন্ধরা অপটিকসঃ লেভেল#৫; ব্লক-ডি; বসন্ধরা সিটি, ঢাকা। ফোনঃ-৮১২১৯৭৫।

ত্বক যখন তৈলাক্ত

একটুতেই ত্বক তেলতেলে হয়ে যায়। কখনো কখনো দেখা দেয় ব্রণের উপদ্রব। এমন সমস্যা তৈলাক্ত ত্বকে বেশি। সমস্যা নিয়ে বসে থাকলে তো হবে না। সমাধানও আছে।রূপবিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা বলেন, ‘তৈলাক্ত ত্বকে বাড়তি যত্নের প্রয়োজন হয়। ত্বক সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে। তবে এ ধরনের ত্বকের সুবিধা হলো সহজে বয়সের ছাপ পড়ে না। আর যেসব সমস্যা হয় সঠিকভাবে পরিষ্কার করলে অনেকটাই এড়ানো সম্ভব।’ তৈলাক্ত ত্বকের যত্নের কথা জানিয়েছেন তিনি।

মুখের যত্ন:
তৈলাক্ত ত্বকে লোমকূপ বড় হয়ে যায়। তেল জমে সেসব বন্ধ হয়ে ব্রণও ওঠে। তাই প্রতিদিন ভালোভাবে ত্বক পরিষ্কার করতে হবে। বাড়িতে বসেই ত্বকের যত্ন নিতে পারেন। শসার রস তৈলাক্ততা দূর করতে খুবই কার্যকর। প্রতিদিন বাইরে থেকে এসে শসার রস দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে পারেন। এ ছাড়া স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করতে চাইলে এর সঙ্গে চালের গুঁড়া মিশিয়ে নিলেই হবে। যাঁদের মধুতে অ্যালার্জি নেই, তাঁরা সামান্য মধুও মিশিয়ে নিতে পারেন এই মিশ্রণে। সপ্তাহে দুই দিন এই প্যাক ব্যবহার করলে ত্বক পরিষ্কার হবে। ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইটহেডস দূর হয়ে যাবে। খেয়াল রাখতে হবে, ব্রণ থাকলে স্ক্রাব করা যাবে না।

অন্যান্য প্যাক:
শসার রসের সঙ্গে কর্নফ্লাওয়ার বা লাল আটা মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে প্যাক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এটি মুখে ও গলায় ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে। লোমকূপ বড় দেখানোর সমস্যা হলে একটু বাড়তি যত্ন নিতে হবে। এ জন্য ডিমের সাদা অংশ মুখে লাগিয়ে এরপর টিস্যু পেপার চেপে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে ধীরে ধীরে টিস্যু পেপার তুলে পানি দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করে ফেলুন। ত্বকে টানটান ভাব চলে আসবে। নিয়মিত ঘৃতকুমারী (অ্যালোভেরা) জেল দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করা যেতে পারে। ত্বকের জন্য এটি অনেক উপকারী। দিনে তিনবারের বেশি ফেসওয়াশ বা ক্লেনজার ব্যবহার করা উচিত নয়। প্রসাধন থেকে শুরু করে ফেসওয়াশ—সব হতে হবে তেলমুক্ত।

চুলের যত্নে:
তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীদের মাথার ত্বকও তেলতেলে হয়। ময়লা জমে বেশি। নিয়মিত যাঁদের বাইরে বের হতে হয়, তাঁরা প্রতিদিন মৃদু ধরনের শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন। তা না হলে সপ্তাহে অন্তত তিন দিন শ্যাম্পু করা উচিত। অনেক সময় তৈলাক্ত ত্বকের চুলেও রুক্ষতা দেখা দেয়। তখন কন্ডিশনার দিতে পারেন। অন্য সময় এটি ব্যবহার করার দরকার নেই। সপ্তাহে এক দিন নারকেল তেলের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে ভালোভাবে চুলে মালিশ করুন। এরপর তোয়ালে গরম পানিতে ভিজিয়ে চেপে নিয়ে সেটি মাথায় ১০ মিনিট পেঁচিয়ে রাখুন। এতে চুলের গোড়া মজবুত হবে। এরপর শ্যাম্পু করে ফেলুন।

হাত-পায়ের যত্নে:
শসার রস, গাজরের রস, চালের গুঁড়া, দুধ ও এক চা-চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করুন। সপ্তাহে অন্তত দুইবার হাত-পায়ে ব্যবহার করা যেতে পারে এই প্যাক।