ত্বকের ঘষা-মাজা

শুধু সাজই তো যথেষ্ট নয়। ত্বকের নিয়মিত যত্নও নিতে হবে। আর এই যত্নের একটা অংশ হলো ঘষা-মাজা, অর্থাৎ স্ক্রাবিং।
ত্বক পরিষ্কারের অন্যতম পদ্ধতি হলো স্ক্রাবিং করা। এর মাধ্যমে ত্বকের মৃত কোষ পরিষ্কার হয়ে যায়। উজ্জ্বলতা বেড়ে যায় ত্বকের। তবে ত্বকের ধরন বুঝে স্ক্রাবিং করতে হবে। তা না হলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
সপ্তাহে অন্তত এক দিন মুখসহ সারা শরীর স্ক্রাবিং করা উচিত। এতে একদিকে ত্বক পরিষ্কার হয়, অন্যদিকে শরীর-মন ঝরঝরে থাকে। রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। ভালো কোনো রূপচর্চা কেন্দ্রে গিয়েও স্ক্রাবিং করাতে পারেন। তখন ১৫ দিনে একবার করা যেতে পারে। কিউবেলার রূপবিশেষজ্ঞ ফারজানা আরমান বলেন, তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণের প্রবণতা থাকে। তাই ব্রণ থাকলে স্ক্রাবিং করা যাবে না। এতে ব্রণের প্রকটতা বেড়ে যাবে। নাক-কপালে ব্রণ না থাকলে শুধু সেই অংশটুকু স্ক্রাবিং করলেই হবে। তাতেও কাজ হবে।
বাজারে ত্বকের ধরন অনুযায়ী নানা ধরনের স্ক্রাব পাওয়া যায়। কোনোটা শুধু মুখের জন্য, কোনোটা হাত-পা আবার কিছু আছে পুরো শরীর স্ক্রাবিংয়ের জন্য। তবে ভালো মানের স্ক্রাব ব্যবহার করতে হবে। ব্যবহারের পর ত্বকে কোনো ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলে ব্যবহার না করাই ভালো। প্রয়োজনে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
হাতের কাছে যেসব উপাদান পাওয়া যায় সেসব দিয়েও স্ক্রাবিং করা যেতে পারে। এর জন্য প্রয়োজন আলস্য দূর করে একটুখানি ইচ্ছা-আগ্রহ।
হারমনি স্পা ও ক্লিওপেট্রার রূপবিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা ঘরে বসে স্ক্রাব করার বিভিন্ন প্যাক নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন।

স্বাভাবিক ত্বকের জন্য:
কাঁচা হলুদের পেস্টের সঙ্গে চালের গুঁড়া, দুধ, মধু ও জলপাই তেল মিশিয়ে নিতে হবে। এটি সপ্তাহে এক দিন ব্যবহার করা যেতে পারে। এ ছাড়া বেসনের সঙ্গে গ্লিসারিন, গোলাপজল, জলপাই তেল মিশিয়েও প্যাক তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন। স্বাভাবিক ত্বকের জন্য ডিমের কুসুম (হলুদ অংশ), ১ টেবিল চামচ বেসন ও দুধের প্যাক বেশ কার্যকর।

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য:
বেসন, শসার রস ও গাজরের রস মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। তৈলাক্ত ত্বকে নাকে ব্ল্যাক হেডস ও হোয়াইট হেডসের প্রবণতা দেখা যায়। এসব দূর করতে ডিমের সাদা অংশ নাকে ম্যাসাজ করে এর ওপর টিস্যু চেপে ২০ মিনিট রাখতে হবে। এরপর এক টানে তুলে ফেলতে হবে।

শুষ্ক ত্বকের জন্য:
সয়াবিন পাউডার, দুধের সর, কাঁচা হলুদ, গাজরের রস ও চালের গুঁড়া মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এটি শুষ্ক ত্বকের মৃত কোষ যেমন পরিষ্কার করে, তেমনি উজ্জ্বলতাও বাড়ায়।

মিশ্র ত্বকের জন্য:
মিশ্র ত্বকে শুধু টি-জোন অর্থাৎ নাক-কপালই তৈলাক্ত হয়। ডিমের সাদা অংশ, মধু, দুই-তিন ফোঁটা লেবুর রস, দুধের সর এবং ওটমিল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করতে হবে।

সংবেদনশীল ত্বকের জন্য:
সয়াবিন গুঁড়া, দুধ ও মধু এই ধরনের ত্বকের জন্য ভালো।

এসব প্যাক পুরো শরীরেও ব্যবহার করতে পারেন। খেয়াল রাখতে হবে, স্ক্রাব ব্যবহারের পর আলতোভাবে ত্বক মালিশ করতে হবে। ত্বক পরিষ্কারের পর অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।
সূত্রঃ প্রথম আলো(নকশা/১৯-০৩-২০১৩)

বিয়ের সাজে

বিয়ের সাজ পরিকল্পনার আগে একটা থিম ভেবে নিতে পারেন। আর তার সঙ্গে মিলিয়ে নিতে পারেন শাড়ি, গয়না ও অন্য অনুষঙ্গ। যেমন, কেউ হয়তো বেছে নিলেন আদি ঢঙের সাজ, আবার কেউ চান এর সঙ্গে আধুনিকতা।

তবে মূল ভাব যেমনই হোক বিয়ের সাজ-পোশাক—সবকিছুতে থাকা চাই সামঞ্জস্য। সাজ-পোশাকে চড়া নয়, বরং স্নিগ্ধ ভাব থাকা ভালো। মেকআপ আর পোশাকের চাকচিক্যে কনের আসল সৌন্দর্য যেন হারিয়ে না যায়।

লেখা: রুহিনা তাসকিন

ঠোঁটের পরিচর্যা

ঠোঁট হবে আকর্ষণীয়, এটাই সবার কাম্য। কিন্তু ঠোঁট শুষ্ক হয়ে যাওয়ায় চামড়া ওঠা, ফাটাভাব ও কালচে হওয়া খুবই নিয়মিত সমস্যা। ঠোঁট মিউকাস মেমব্রেন দ্বারা আবৃত। ঠোঁটের ত্বক খুবই নরম ও সেনসেটিভ। ঠোঁটে কোনও তেলগ্রন্থি’ থাকে না। তাই বাইরের আবহাওয়া থেকে নিজেকে রক্ষা করা ঠোঁটের জন্য বেশ কঠিন। ঠাণ্ডা-গরম, সূর্যরশ্মি, দূষণ সবই ঠোঁটের জন্য ক্ষতিকর। এছাড়া ঠোঁট কামড়ানো বা জিভ দিয়ে ঠোঁট বারবার ভেজানোও ক্ষতিকর।

অপ্রয়োজনীয় প্রসাধন:
অপ্রয়োজনীয় প্রসাধন ঠোঁটকে শুষ্ক করে তোলে। সাময়িক সৌন্দর্যের জন্য প্রয়োজনীয় প্রসাধন ব্যবহার করবেন না।

টুথপেস্ট:
টুথপেস্ট আমাদের ঠোঁটের সংস্পর্শে আসে দু’বেলা। তাই যথাযথ টুথপেস্ট ব্যবহার না করলে ঠোঁটের ক্ষতি হতে পারে।

লিপস্টিক:
লিপস্টিকের কারণে ঠোঁটে অ্যালার্জি ও ঠোঁটের ক্ষতি হতে পারে। তাই আপনার ঠোঁটে যে কোম্পানির লিপস্টিক কোনও প্রতিক্রিয়া করবে না, সেটাই ব্যবহার করুন। প্রয়োজনে দামী কোম্পানির লিপস্টিক ব্যবহার করা ভালো।

লিপ বাম ও চ্যাপস্টিক:
ফাটা ঠোঁটের জন্য লিপ বাম ও চ্যাপস্টিক প্রয়োজন। এটা ঠোঁট কোমল ও মসৃণ করে। তবে অতি সুগন্ধিযুক্ত ও রসযুক্ত চ্যাপস্টিক ব্যবহার না করাই ভালো।

সাবান:
ঠোঁটের ত্বক সংবেদনশীল বলেই ঠোঁটে সাবান দেবেন না। চোখের চারপাশ এবং ঠোঁটে সাবান ব্যবহার করলে ক্ষতি হয়।

ধুমপান:
ধুমপান ঠোঁটের ত্বকের ক্ষতি করে ও কালচেভাব আনে।

ভিটামিন বি এর অভাব:
ভিটামিন বি এর অভাবে ঠোঁট ফেটে যেতে পারে ও ঠোঁটের কোণে ঘা হতে পারে। পুষ্টিকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন।

ত্বকের অসুখ:
ত্বকের অসুখ যেমন একজিমা, অ্যালার্জি ইত্যাদির কারণেও ঠোঁটের ক্ষতি হতে পারে। এতে চিকিৎসার প্রয়োজন।

শুষ্ক ঠোঁটের যত্ন:
ঠোঁট শুষ্ক হওয়ার আগেই তা প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। ইমোলিয়েন্ট, পেট্রোলিয়াম জেলি, কোল্ডক্রিম ইত্যাদি ঠোঁটে ব্যবহার করা প্রয়োজন।
– যথাযথ লিপস্টিকও কিন্তু ঠোঁটের শুষ্কতা প্রতিরোধ করে। তবে এক্ষেত্রে লিপস্টিকের উপাদান সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। ভিটামিনসমৃদ্ধ ও অয়েলবেসড লিপস্টিক ঠোঁটের জন্য ভালো। তবে লিপস্টিক ব্যবহারে ঠোঁটের ক্ষতি হলে সঙ্গে সঙ্গে তা ব্যবহার বন্ধ রাখুন।
– প্রয়োজনে যে টুথপেস্ট ব্যবহার করছেন তা বদলে ফেলুন। লক্ষ্য রাখবেন, সাদা রঙের টুথপেস্ট সাধারণত ভালো হয় ঠোঁটের জন্য।
– সাবান ও ফেসওয়াশ ঠোঁটে লাগাবেন না।
– সিগারেট খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
– পেট্রোলিয়াম জেলি বা ভেসলিন ব্যবহার করুন। যতক্ষণ বাড়িতে থাকবেন ঠোঁটে ভেসলিন লাগাবেন। এছাড়া সূর্যমুখী তেল ঠোঁটের জন্য খুব ভালো। এটা দিনে কয়েকবার ব্যবহার করতে পারেন। রাতে ভেসলিন লাগাতে ভুলবেন না।
– ঠোঁট বারবার জিভ দিয়ে ভেজাবেন না বা ঠোঁট কামড়াবেন না।
– ঠোঁটের মেকআপ ওঠাবার জন্য তুলোয় ভেসলিন লাগিয়ে আলতো ঘসে তুলবেন। কখনও লিপস্টিক লাগানো অবস্থায় ঘুমাতে যাবেন না।
– ভিটামিন, প্রচুর সবুজ শাক-সবজি ও ফল খাবেন।
– বিশেষ সমস্যা হলে অবশ্যই ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেবেন

তথ্যঃ স্বাস্থ্য বাংলা

প্লাস্টিক সার্জারি কি ?

এক ধরনের শল্য চিকিৎসার নাম প্লাস্টিক সার্জারি। এই চিকিৎসার ফলে জন্মগত বা কোনো দুর্ঘটনায় বিকৃত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের বাইরের চেহারা পরিবর্তন করা যায়। মুখে বসন্তের দাগ বা অন্য কোথাও কাটা, পোড়া এসবের খুঁত স্বচ্ছন্দে প্লাস্টিক সার্জারি করে দূর করা যায়। আপনারা গন্নাকাটা রোগী বোধহয় দেখেছেন। সাধারণত এদের ওপরের ঠোঁটের এক জায়গায় কাটা থাকে। প্লাস্টিক সার্জারিতে এমন চমৎকার মেরামত হয়ে যায়, আর ধরার উপায় থাকে না।

দেহের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির জন্য যে প্লাস্টিক সার্জারি করা হয় তাকে প্রসাধনিক শল্যচিকিৎসা (পড়ংসরপ ংঁৎমবৎু অথবা নবধঁঃু ংঁৎমবৎু) বলে। মুখে বসন্তের দাগ বা কুঁচকানো চামড়া এসবই দূর করা যেতে পারে।

চোখের পাতা, ঠোঁট, নাক সব কিছুই প্লাস্টিক সার্জারির সাহায্যে পরিবর্তন করা যায়। কয়েক হাজার বছর আগে ভারতবর্ষেও প্লাস্টিক সার্জারির প্রচলন ছিল। সেকালে কিছু অপরাধীর নাক কেটে সাজা দেওয়া হত। প্লাস্টিক সার্জনরা ঝটপট গাল বা অন্য কোথাও থেকে চামড়া কেটে সেখানে বসিয়ে দিয়ে নতুন আস্ত নাক গড়ে তুলতে পারতেন। বর্তমান যুগে প্লাস্টিক সার্জারি অবশ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আরম্ভ হয়েছে। কিন্তু প্লাস্টিক সার্জারি কিভাবে করা হয় তা কি কেউ জানেন? যে জায়গাটা মেরামত করা দরকার ঠিক সেই আকারের চামড়া শরীরের অন্য এক জায়গা থেকে কেটে এনে বসিয়ে দেওয়া হয়। এর জন্য দুই পরত মাত্র চামড়া নেওয়া হয়, যাতে তাদের কোষ চটপট বেড়ে ওঠে আক্রান্ত জায়গাটা বেমালুম সারিয়ে তুলতে পারে। আজকাল যে কোনো বড় শহরের সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালে প্লাস্টিক সার্জারির সুযোগ রয়েছে। নিছক সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির জন্যও দলে দলে লোক প্লাস্টিক সার্জারির সাহায্য নেন।

হলুদের উপকরণ

মানবজীবনের প্রধান তিনটি অধ্যায় হল জন্ম, মৃত্যু ও বিয়ে। বিয়ে মানেই একটি আনন্দঘন মুহুর্ত। বিয়ের প্রধান কেন্দ্রবিন্দু বর ও কনে। বিয়ের অনুষ্ঠানিকতা নিয়ে আত্মীয় স্বজনদের মধ্যেও থাকে ব্যাপক পস্তুতি। কেনাকাটা বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পাদন জন্য অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা যারা ঢাকাবাসী অনেকেই বিয়ের কেনাকাটার জন্য সঠিক স্থানের সন্ধান না পাওয়ার কারণে, বেশিদামে কিংবা অনেক আইটেম সম্পর্কে না জানার জন্য কেনাকাটা সঠিক হয়ে ওঠেনা। বিয়ের আগে হলুদের আয়োজনে থাকে একটু  বিশেষ কিছু কেনার চেষ্টা।কারন হলুদ এ সবাই চায় খুব আকর্ষনীয় করে সাজাঁতে।হলুদের  কেনাকাটা সম্পর্কে কিছু তথ্য তুলে ধরা হল।

ঢাকা শহরে বিভিন্ন মার্কেট ও পাড়া মহল্লায় অল্প কিছু বিয়ের দোকান বিদ্যামান। এলিফ্যান্ট রোডে ৩০টির অধিক বিয়ের দোকান আছে।এ সব দোকানে যেমনি পাচ্ছেন বিয়ের কিছু পোশাক,তেমনি পাচ্ছেন হলুদের নানা উপকরণ। আর হিন্দুদের বিয়ের জন্য শাঁখারী পট্টির প্রায় পুরোটা জুরে রয়েছে অগনিত দোকান। আর পাইকারী কেনার জন্য ঢাকার চক বাজারে বেশ কতগুলো দোকান রয়েছে।

১।ডালা———————(২২০-৭০০)টাকা
২।কুলা———————-(১২০-৬০০)টাকা
৩।বাটি/প্রদীপ—————(১০-৫০)টাকা
৪।রাখী———————-(৬০-১২০০)টাকা
৫।চন্দন———————(১২০-২০০)টাকা
৬।পাটি———————-(১৫০-১৬০০)টাকা
৭।হলুদ তোয়ালে————–(১২০-৪৫০)টাকা
৮।আফসান——————(২০-৩০)টাকা
৯।পালকি———————(১৫০-৬০০)টাকা
১০।ঝুড়ি———————-(১০০-৭০০)টাকা
১১।মাছ ডালা—————–(২৫০-১২০০)টাকা

 

বিয়ের পাইকারি বাজার
বিয়ের আইটেম সস্তায় কেনার জন্য চকবাজার পাইকারি মার্কেট একমাত্র উপায়। এখান থেকে সারা বাংলাদেশে পাইকারি বিক্রি হয়।
পাইকারী দরদাম
ডালা ও কুলা পাইকারি কেনা এবং বিক্রি হয় সেট হিসেবে (প্রতি সেটে থাকে তিনটি আইটেম)। পিস হিসেবেও বিক্রি হয়। ছোট সেট ৪০০-৫০০, মাঝারি ৮০০-১০০০ ও বড় সাইজের দাম ১২০০-১৫০০ টাকা। আজকাল রঙিন কাপড়ে মোড়ানো কারুকার্যখচিত ডালা ও কুলার চাহিদা বেশি। পাইকারি হিসাবে প্রতি পাটির দাম কারুকার্যখচিত ৫০০-৫৫০, সাধারণ ২২০-২৫০ টাকা।

কয়েকটি দোকানের নাম নিম্নরুপ

  • সানি জরি হাউজ-২, ২২৯, নিউ এ্যালিফ্যান্ট রোড, ফোন- ৮৬২৬৩৫৮, ৮৬২৩২৭২, মোবাইল- ০১৯২৩-৩৬৯৩৪২, ০১৭১০-৮২৬২৪৩, ০১৭৪১-৬৯২৭৪৯।
  • নবরুপ জরি হাউজ, ২২০ নিউ এ্যালিফ্যান্ট রোড (পেট্রোল পাম্পের বিপরীতে), মোবাইল- ০১৭১২-৬৫০১৬৯, ০১৬৭৩৪৯৬৯৮৪। সোনালী জরি হাউজ, ২২০, নিউ এ্যালিফ্যান্ট রোড, ফোন- ৮৬২৫৩৮৪।
  • বিয়ে শাদী, ২৩৪/১, নিউ এ্যলিফ্যান্ট রোড, মোবাইল- ০১৭১৫-৬৫৭৪৭০।
  • লগন-১, ২১৮/এ, নিউ এ্যালিফ্যান্ট রোড (বাটার মোড়), শেলটেক শিয়েরার বিপরীতে, মোবাইল- ০১৭১৫-৪২১৬৮৭।
  • রিলেশন, ২১৮/১ নিউ এ্যালিফ্যান্ট রোড ফোরাম মার্কেট (বাটার মোড়), মোবাইল- ০১৯২৩-২৮৯১৩৪, ০১৭৪৯-৫০৪৮০৬।
  • পাইকারির জন্য চকের খান মার্কেট, মরিয়ম প্লাজা সহ বেশ কয়েকটি মার্কেটে শত শত দোকান বিদ্যমান।

ফুলের খোঁজ

ফুল বিশ্বের মানুষের কাছে অতি প্রিয় এক বস্তু। ফুলকে সবাই ভালবাসে। আগে আমাদের দেশে ফুলের তেমন কদর ছিল না। বর্তমানে ফুলের চাহিদা অনেক বেশি। মানুষ এখন বিয়ের গাড়ি সাজাতে, গুণীজনদের বরণ করে নিতে, বিয়ে বাড়ি সাজাতে, জন্মদিনের অনুষ্ঠানে, পূজা-পার্বণে, গায়ে হলুদে, একুশে ফেব্রুয়ারিতে, সভা-সমিতি ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ফুলের ব্যবহার আগের চেয়ে অনেক বেড়ে গেছে। বিয়ের অনুষ্ঠানে প্রচুর ফুলের প্রয়োজন হয়। গায়েঁ হলুদ থেকে শুরু করে বিয়ে-বৌভাত সব দিনই ফুলের প্রয়োজন হয়।বিভিন্ন জায়গায় পেতে পারেন  এই ফুল।তবে বড় বড় কিছু ফুলের দোকানে পাচ্ছেন সাধ এবং সাধ্যের মধ্যে সব ধরনের ফুল,এমন কি সেখান থেকে ঘড় সাজানোর জন্য বিভিন্ন কেটালগ দেখে আগে থেকে বায়না করেও রাক্তে পারেন।
নিচে কিছু দোকানের তথ্য দেওয়া হচ্ছেঃ

১।ফুলের মিউজিয়ামঃ
সাহবাগ ফুলের মার্কেট,(সাহবাগ থানার পাশে), ঢাকা-১০০০।
মোবাইলঃ০১৭১৫৯৭০৪৬১,০১৭২৬১৭২২১১।

২।জেরিন ফুলের দোকানঃ
সাহবাগ ফুলের মার্কেট,(সাহবাগ থানার পাশে), ঢাকা-১০০০।
মোবাইলঃ০১৯১১১৬৯১৪৫, ০১৭২৮৯৫৬৩১১।

৩।ফুলতলা ফুলের দোকানঃ
১০,ভাশানি রোড,সাহবাগ,ঢাকা-১০০০,
মোবাইলঃ০১৭২৯-২৯৭৭৭৭, ০১৯২২-৫৪৫১৮১, ০১৭৪৭-৯৭৫৮৩৫,০১৭১৭-২৭৬১৬৪।

৪।ফুলবাহার পুস্প কেন্দ্রঃ
সাহবাগ ফুলের মার্কেট,ঢাকা-১০০০
ফোনঃ০১৭১৫-৭৫২৫৮২, ০১৯৭৫-৭৫২৫৮২, ০১৭৪৫-১৫০০৯০।

যাত্রাবাড়িঃ বাড়ি-১৫/৩, রোড-১২,পশ্চিম যাত্রা বাড়ি,ঢাকা।
মোবাইলঃ০১৬৭৬-১৮৫২২, ০১৭১৫-৭৫২৫৮২।

খিলঁগাওঃবাড়ি-৩৩০/এ, খিলঁগাও তিলপাপাড়া,রোড-১২, ঢাকা-১২১৯,
ফোনঃ০১৭৪৯-৩৫৭৮১৭, ০১৭১৫-৭৫২৫৮২।

ওমেন্স ওয়াল্ড

ঠিকানাঃ

হেড অফিসঃ ৬১,সাহরাওয়ার্দি এভিনিউ,বারিধারা।

১। ৪৫-ক,ইউ এ ই মৈত্রী কমপ্লেক্স মার্কেট (২য় তলা) , কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ, বনানী   ঢাকা – ১২১৩
২।৮০,সাতমসজিদ রোড,ধানমন্ডি।
৩।সামসুদ্দিন মেনশন/ ৪১, গুলশান এভিনিউ, গুলশান-২।
৪।কাকরাইল ৮০,ভি.আই.পি. রোড।
৫।উত্তরা,১৪-সোনারগাঁও জনপদ, সেক্টর-৯।
ফোন: ৬০৬৮৬৯
মোবাইলঃ ০১৭৫৫-৫১৮৮৮৮

সুমনস স্পা এন্ড স্কিন কেয়ার ক্লিনিক

ঠিকানা এবং অবস্থান:

সুমনস স্পা এন্ড স্কিন কেয়ার ক্লিনিকের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় অবস্থিত। এর অন্যান্য শাখাসমূহ  কলকাতা, থাইল্যান্ড এবং সৌদি-আরবে অবস্থিত। এর ঠিকানা নিম্নরুপ:

প্রধান কার্যালয়

সুমনস স্পা এন্ড স্কিন কেয়ার ক্লিনিক
মোতালেব টাওয়ার (৫ম তলা)
৮/২ পরীবাগ, হাতিরপুল, ঢাকা-১২০৫।
ফোন: ৮৮০২-৯৬৭৭৫৪১
মোবাইল: ০১৭১৬-৭৯৪২৬১

শাখা:

সুমনস স্পা এন্ড স্কিন কেয়ার ক্লিনিক
৩১/৩, নিউ আলীপুর, ট্র্যকঙ্গুলার পার্ক,
কলকাতা-৭০০০৫৩
ফোন: ৯৮৩৬০৬১৪৯০ (কলকাতা)
০৯৮৭৪৮০৩২০৬ (দিল্লী)

শাখা

সুমনস স্পা এন্ড স্কিন কেয়ার ক্লিনিক
৩৭১/৩৯, সংপ্রাপা রোড, ডনমুয়াং,
ব্যাংকক-১০২১০, থাইল্যান্ড।
ফোন: ++৬৫ ০৮১১৭০৩৫৪২

শাখা

সুমনস স্পা এন্ড স্কিন কেয়ার ক্লিনিক
আল বাথা মার্কেট
৫ বুলদিং, ভবন নং ৪
স্যুট: ৪২৬, রিয়াদ, সৌদি-আরব
ফোন: ০৫০২৫১৩৬১৩

সেবা সমূহ

এখানে ত্বক, চুলের এবং দেহের যত্নে বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রদান করা হয়। নিম্নে সেবাসমূহের বিবরন তুলে ধরা হলো:

চুলের যত্ন:

চুলের যত্নে ৫ ধরনের চিকিত্সাসেবা প্রদান করা হয়।

  • মাথায় টাক পড়া, চুল পাড়া, খুশকি এই তিনটি সমস্যা সমাধানে রয়েছে সুমন’স এ্যারোমা হেয়ার প্লাস ট্রিটমেন্ট (হেয়ার টনিক)। চিকিত্সার মেয়াদ ৯০ দিন।
  • খুশকি, চুল পড়া, আগা ফাটা এবং রুক্ষতা ইত্যাদি সমস্যায় রয়েছে অ্যারোমা প্যাকেজ হেয়ারিক্স+হেয়ার ট্রিটমেন্ট প্যাকেজ। চিকিত্সার মেয়াদ ১৫ দিন।
  • খুশকি, চুল পড়া, আগা ফাটা ইত্যাদি ক্ষেত্রে রয়েছে অ্যারোমা হেয়ার প্যাকেজ হারবাল ট্রিটমেন্ট। চিকিত্সার মেয়াদ ৪-৫ দিন।
  • সিল্কি এবং সফট চুলের জন্য এখানে রয়েছে প্রফেশনাল হেয়ার স্পা। এখানে এসে অথবা গ্রাহকের পরিচিত বিউটি পার্লারে গিয়ে অথবা বিস্তারিত নির্দেশনাবলী পড়ে বাড়িতে এই হেয়ার স্পা করতে পারেন।
  • সিল্কি সফট এবং আকর্ষণীয় চুলের জন্য ব্যবহার করা হয় অ্যারোমা হেয়ার অয়েল এ্যালোভেরা থেরাপী।
  • যাদের মাথা ঘামে, তৈলাক্ত এবং খুশকী হয় তাদের জন্য রয়েছে সুমনস এ্যারোমা হালবাল শ্যাম্পু।
ত্বকের যত্ন:
  • সুমনস অ্যারোমা ২৫ প্লাস একটি নাইট ক্রীম যা ত্বকের বলি রেখা, ভাঁজ, কোচকানোভাব দুর করে এবং নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের ভাঁজ পড়া প্রতিরোধ করে।
  • সুমনস অ্যারোমা চন্দন কেক, নিম কেক একটি বিশেষ ফেইস ওয়াশ যা ব্যবহারে ত্বক থাকে পরিস্কার, পরিচ্ছন্ন এবং জীবানুমুক্ত। এটি ত্বকে রোদে পোড়া কালচে ভাব, দাগ, ব্রণের দাগ দুর করে এবং ত্বক হয়ে উঠে উজ্জ্বল ও লাবণ্যময়।
  • “সুমনস অ্যারোমা ইন্ডিকা” ফুলের নির্যাস সমৃদ্ধ ত্বক পরিচর্যায় একটি বিশেষ হারবাল ক্রীম। এটি নিয়মিত ব্যবহারে ত্বককে করে ফুলের পাপড়ির মতো কোমল এবং উজ্জ্বল।
  • ত্বক চর্চার মুল কথা প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের যোগান। তা না হলে যে কোন ত্বকেই নির্জীব, শুস্ক এবং বয়সী ভাব চলে আসে। এই সমস্যা সমাধানে রয়েছে সুমনস অ্যারোমা এন্টি পলিউশন কুলিং জেল ক্রীম। এটি ত্বককে বিষাক্ত পলিউশন থেকে মুক্ত রেখে ত্বককে রাখে প্রানবন্ত।
  • চা পাতায় রয়েছে উচ্চমানের প্রয়োজনীয় এন্টি অক্সিডেন্ট যা নির্জীব তৈলাক্ত ত্বককে সজীব করে তোলে। সুমনস নারীশিং ক্রীম এমনই একটি দূর্লভ টি অয়েল।
  • সুমনস অ্যারোমা পরিবারের নতুন সংযোজন সুমনস অ্যারোমা ভিটা ৩। এটি একটি সান ব্লক ক্রিম। এটি সুর্যের অতি বেগুনী রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বককে সুরক্ষা করে।
দেহের যত্ন :
  • সঠিক পদ্ধতিতে শরীর পরিস্কার করতে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্রণ সমস্যা সমাধানে রয়েছে সুমনস অ্যারোমা বডি কেয়া (নিম চন্দন)।
  • ঘরের বাইরে বের হলে মুখ চুলসহ হাত পা সমগ্র শরীরই তেল ময়লা এবং সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে দেখা যায় মুখ এবং হাতের রংয়ের অমিল। এই সমস্যা দূর করতে রয়েছ এখানে ঘরোয়া প্রসাধনী অ্যারোমা বডি কেয়ার দুধ চন্দন প্যাক।
  • ত্বক এবং ব্রেস্টের গঠন সুন্দর করতে রয়েছে ব্রেস্ট এন্ড বডি কেয়ার। এটি একটি ম্যাসেজ ক্রীম। এটি নিয়মিত ব্যবহারে ব্রেষ্টকে শরীরে মাপ অনুযায়ী সুন্দর এবং আকর্ষণীয় শেপে নিয়ে আসবে। হাত ও কাধ সুগঠিত হবে।
ত্বকের ব্রণের চিকিত্সা:

মহিলাদের ত্বকের ব্রণ সমস্যা সমাধানে এখানে বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট পাওয়া যায়। নিম্নে সেগুলো আলোচনা করা হলো:

  • ত্বকের ব্রণ পরিচর্যায় এখানে রয়েছে হারবাল একনি ট্রিটমেন্ট প্যাকেজ এবং মরগাসা হারাবল কনসেপ্ট। যেকোন ধরনের ব্রণ পরিচর্যায় এবং নিয়ন্ত্রনে এটি একটি ফলদায়ক ক্রীম।
  • সুমনস অ্যারোমা জেন্টস+ফ্রেশ লুক ছেলেদের জন্য একটি বিশেষ ক্রীম যা ত্বকে রোদেপোড়া দাগ, কালচে দাগ, ভাজ পড়া, বয়সের দাগ দুর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
  • সদ্য মা হওয়া নারীদের চোখের নিচে কালো দাগ দুর করতে এখানে রয়েছে বিশেস ক্রীম।

কোর্স পরিচালনা

  • এখানে ত্বক এবং চুল পরিচর্যার উপর BEAUTY THERAPY WITH THAI SPA CONCEPT কোর্সটি পরিচালনা করা হয়ে থাকে। এই কোর্সটি ১৫ দিন মেয়াদী। এই কোর্সটি খরচ ১৪০০০ টাকা (বাংলাদেশীদের জন্য), ১০০০০ রুপি (ইন্ডিয়া) এবং ২০০ মার্কিন ডলার (বিদেশীদের জন্য)।
  • এখানে স্লিমিং এর উপর কোর্স করানো হয়।

ফারজানা শাকিলস হেয়ার এন্ড বিউটি পার্লার

ঠিকানাঃ

১। বাড়ি-৩/এ, রোড-২৮, পুরাতন ধানমন্ডি। ফোনঃ+৮৮০-২-৯১১৬০৫৭
২।গুলশান পিঙ্ক সিটি, প্লট-১৫, সাইট-৬, রোড-১০৩, ঢাকা-১২১২।  ফোনঃ +৮৮-০২-৮৮৩৭৪৫০

 

 

 

 

ড্রিমস বিউটি পার্লার

ঠিকানাঃ বাড়ি-৩১, রোড-৯/এ নতুন, (১৮ পুরাতন) ধানমন্ডি।
ঢাকা। বাংলাদেশ
ফোন-৯১১১৯৭০