বিয়ের প্রস্তাব কাকে দিবেন;কিভাবে দিবেন

বিয়ে মানুষের জীবনে নতুন এক অধ্যায়। অনেক নারী ও পুরুষ আছেন বিয়ের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিলেও যাকে ভালো লাগে তাকে প্রস্তাব দিতে সংকোচবোধ করেন। এর প্রধান কারন অযাচিত ভয়; যদি বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখান হয়!

বিয়ের প্রস্তাব দেয়া মূলত তখনই সহজ হবে যখন আপনি বিয়ের প্রস্তাব কাকে দিবেন এ বিষয়টি যাচাই করে নেন। আপনার যেমন জীবনসঙ্গিনীর বিষয়ে কিছু প্রত্যাশা রয়েছে তেমনি বিপরীত ব্যক্তির মনেও রয়েছে নিজস্ব কিছু চাহিদা ও পছন্দ।

যে বিষয়গুলো দেখে ব্যাক্তি কে বিয়ের প্রস্তাব দিবেনঃ

ব্যাক্তির শিক্ষাগত যোগ্যতা আপনার থেকে অনেক কম বা বেশী হবে এমন কারও কথা না ভাবাই ভালো।

যাকে বিয়ে করতে চাচ্ছেন, তার আর আপনার পেশা, সামাজিক অবস্থান, পারিবারিক কালচার, ভবিষ্যতে দুজন পেশাগত বিষয়ের দিকগুলো মানিয়ে নিতে পারবেন কি না। এ বিষয়টি অবশ্যই খেয়ালে রাখবেন।

দুই পরিবারের অবস্থা কতটুকু সামঞ্জস্যক তা দেখা উচিত।

আগে জানার চেষ্টা করুন তার ব্যক্তিত্ব আর আপনার ব্যক্তিত্বে মিল রয়েছে কিনা বা মিলিয়ে নেয়ার মত কিনা।

ব্যাক্তির সাথে আপনার বয়সের ব্যবধান কত।

যাকে বিয়ে করতে চাচ্ছেন সে মানসিক দিক থেকে বিয়ের জন্য প্রস্তুত আছে কি না জেনে নিন।

যাকে পছন্দ করছেন তাকে বিয়ের প্রস্তাব পাঠানোর আগে তার সাথে আলোচনা করে জেনে নিন, অথবা বিশ্বস্ত কাউকে দিয়ে তার মনস্তাত্ত্বিক অবস্থা বুঝার চেষ্টা করুন।

যেভাবে বিয়ের প্রস্তাব দিবেনঃ

সাক্ষাতের জন্য এমন একটি পরিবেশ বাছাই করুন অথবা তৈরি করুন যে পরিবেশে পছন্দের ব্যক্তি মানসিক ভাবে উৎফুল্ল থাকে।

সময় ও দিন নির্ধারণ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যেদিন আপনি ব্যক্তির সাথে দেখা করতে যাবেন সেদিনটি দুজনের ছুটির দিনটি বেঁছে নিন ও সময় বিবেচনা করে দেখা করুন, যেনো কোন তাড়াহুড়ো না থাকে।

আকর্ষণীয় উপহার দিতে পারেন অথবা সম্ভব হলে তার পছন্দ জেনে প্রিয় কিছু উপহার দিন।

তার সাথে এমন ভাবে আচরণ করুন যেন সে যতটুকু সময় আপনার সাথে থাকবে অবশ্যই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবে।

আপনি তাকে পছন্দ করেন, বিয়ের কথা ভাবছেন; এ কথাটি এক লাইনে না বলে তার সাথে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি উপস্থাপন করুন, আপনি তাকে কেন বিয়ে করতে চাচ্ছেন।

বিবাহবিডিতে যাদের প্রোফাইল আছে তারা তাদের পছন্দের বিষয়গুলোকে প্রধান্য দিয়ে মুহুর্তের মধ্যেই জীবনসঙ্গী খুঁজতে পারেন। এবং সরাসরি অথবা বিবাহবিডির এক্সিকিউটিভদের মাধ্যমে প্রোপোজাল পাঠাতে পারেন।

বিবাহবিডিতে আপনি আপনার পছন্দের প্রফেশন, পাত্র-পাত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা, জেলা, আর্থিক অবস্থা, বৈবাহিক অবস্থা, বর্তমান অবস্থান, বর্ন, গোত্র, ধর্ম সহ ১৮ টি সার্চ ক্যাটাগরীর মাধ্যমে চাহিদা অনুযায়ী কাংখিত সঙ্গীকে সহজেই খুঁজতে সক্ষম হবেন।

তাছাড়া আপনার প্রদত্ত সঙ্গী বাছাইয়ের বিবরন (পার্টনার প্রেফারেন্স) এর সাথে মিলিয়ে বিবাহবিডি সার্চ ইঞ্জিন স্বয়ংক্রিয় ভাবে ডাটাবেইজের সেই সব প্রোফাইল খুঁজে আপনার সামনে এক নিমিষেই হাজির করে।

স্বাস্থ্যকর সুসম্পর্ক চাইলে ব্যস্ততার মধ্যেই সঙ্গীকে সময় দিতে

সঙ্গীকে খুশি রাখার উপর নির্ভর করে একটি সম্পর্কের স্থায়ীত্ব ও সুখী জীবন।  একে অন্যের উপর খুশী না থাকলে সহজে সম্পর্কে ভাঙ্গন আসে, সম্পর্ক আস্থাহীন হয়ে পরে। অনেক কারণেই সঙ্গীকে হারাতে হয় তবে ভাঙনের পেছনে মূলত কাজ করে এই অখুশি থাকাই।   প্রেম নিয়ে অনেকের মধ্যে আবার ভ্রান্ত ধারণা আছে। কেউ মনে করে দামি উপহার কিংবা ভালো রেস্টুরেন্টে না খাওয়ালে ভালোবাসা টিকে না। কিন্তু এই ধারণা ঠিক নয়। ব্যস্ততাপূর্ণ এই জীবনে কাছের মানুষের সঙ্গে একটু সময় কাটানো কিংবা সামান্য স্পর্শতেই প্রকাশ পেতে পারে ভালোবাসা। কিছু সাধারণ কাজেই সহজে সঙ্গী খুশি হবে এবং ভালোবাসাও বাড়বে বহু গুণ।

# ছবি তুলুন কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়ার জন্য নয়। নিজেদের স্মৃতি হিসেবে রাখুন। এই ছবিই যখন দেখবেন তখন ভালোবাসার মানুষটির সঙ্গে কাটানো সেই মুহূর্ত বার বার ফিরে আসবে।

# সবসময় মাথায় রাখবেন, আপনার ক্যারিয়ারই একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ নয়। তার কাজও গুরুত্বপূর্ণ। তাই তার কথাগুলোও মন দিয়ে শুনুন।

# সঙ্গীর সঙ্গে কথা বলার সময় ফোন ব্যবহার থেকে দূরে রাখুন। সঙ্গীর কথা শুনুন। কথা বলার সময় ফোন সঙ্গে রাখলে আপনার সঙ্গীর মনে হতেই পারে, আপনি তার কথায় গুরুত্ব দিচ্ছেন না।

# নিজের কাজ-কর্মের কথা শেয়ার করুন। দিন যতটাই খারাপ যাক, সঙ্গীকে বলুন। এতে সম্পর্কের গভীরতা বাড়বে। তাকে বোঝান তিনিও আপনার নিত্য জীবনের অঙ্গ।

# সঙ্গীকে কতটা ভালবাসেন, তা একটি চিরকুটে লিখে রাখুন। এমন জায়গায় রাখুন, যাতে তার চোখে পড়ে। এতে সে আচমকা খুশি হবে।  সঙ্গীকে নিয়ে একসঙ্গে সিনেমা দেখুন।

# ডেটে যান। প্রেম করছেন কিংবা বিয়ে করে ফেলেছেন বলে ডেট করতে ভুলে যাবেন না। আর ডেটে যাওয়ার সময় অবশ্যই পরিপাটি হয়ে বের হবেন।

# সম্ভব হলে সঙ্গীর কর্মক্ষেত্রে ফুল পাঠান। এতে তিনি যেমন সারপ্রাইজড হবেন, তেমনই তার ভালো লাগবে। আর তার ফল আপনিই পাবেন।

# তার পছন্দের গানের তালিকা তৈরি করুন। কখনো কোনো অনুষ্ঠানে বা সুযোগ পেলে সেই গান তাকে উপহার দিন। এতে রোমান্স বাড়বে।

# সম্পর্কের জন্য বিশ্বাস খুবই গুরুত্বপূর্ন, আস্থাহীন সম্পর্ক টিকে থাকে না। সঙ্গীকে বিশ্বাস করুন তার কথার মূল্যায়ন আপনাদের সুন্দর জীবনের স্বার্থেই করা উচিত।

# এই রান্না করার বিষয়টি কিন্তু নারী পুরুষ উভয়ের জন্যই প্রযোজ্য। নারীরা তার সঙ্গীর পছন্দের খাবার রান্না করে খাওয়ালেই আপনার সঙ্গী অনেক বেশি খুশি থাকবেন। পুরুষেরাও এই কাজটি করতে পারেন। তবে পুরুষেরা যদি পছন্দের খাবার নাও রাঁধতে পারেন তারপরও সঙ্গীকে সারপ্রাইজ করতে কিছু রান্না করে সামনে এনে দিলেই সঙ্গিনী অনেক খুশি হয়ে যাবেন।

# কোনো উপলক্ষ থাকলে তো একে অপরকে উপহার দেয়াই হয়। কিন্তু এর বাইরেও সঙ্গীর কথা মনে করে ছোট্ট কিছু নিয়ে এলেন, তাকে সারপ্রাইজ করে দিলেন, এতেও সঙ্গী অনেক বেশি খুশি হবে। এর জন্যও অনেক খরচ করার প্রয়োজন নেই। একটি ফুল বা ছোট্ট একটি কার্ডই যথেষ্ট।  সুত্রঃ বিডি লাইফ ষ্টাইল

প্রিয়জনের অভিমান ভাঙাবেন যেভাবে

মান-অভিমান থাকে সব সম্পর্কেই। প্রত্যাশা এবং প্রাপ্তি না মিললেই আমাদের মন খারাপ হয়। আর আবেগের সম্পর্কে এই মন খারাপের সাথে মেশে ভালবাসার নানান হিসেব-নিকেশ। তখন ছোট্ট একটা বিষয়ে অভিমানের শুরু হলেও তা আর ছোট থাকে না। তাই প্রিয় সম্পর্কের অভিমান ভাঙানো অনেক সময়ই কঠিন কাজ হয়ে দাঁড়ায়। কী করবেন তখন? মানুষটিকে কষ্ট পেতে তো দেওয়া যাবে না! আসুন জেনে নিই, বিশেষজ্ঞরা কী বলেন-

জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইফ সাইন্স স্কুলের এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর সৌমিয়া প্রসাদ বলেন, আপনার প্রিয়জন হয়ত আপনার জন্য অনেক বিশেষ কিছু। তার জন্য আপনি সব করতে পারেন। কিন্তু তবুও একজন মানুষকে সব সময় সন্তুষ্ট রাখা কিন্তু সম্ভব নয়।

ই-বুক লেখিকা জুডি কোল বলেন, অনেক সময় সত্য কথা থেকেও ঝগড়ার উদ্ভব হতে পারে। আপনি হয়ত বললেন, ‘তুমি অনেক মোটা হয়ে গেছ’ বা ‘তোমার রান্না আজ ভাল হয় নি’। এ থেকেও বড় ঝগড়া হতে পারে।

তাই ঝগড়া নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে লাভ নেই। বরং কৌশল হিসেবে মেনে চলুন এই বিষয়গুলো-

বিষয় বদলাতে দেবেন না
প্রায়ই দেখা যায় ঝগড়া বা মান অভিমানে এক বিষয় থেকে কথা পরিবর্তন হতে হতে অন্য বিষয়ে চলে যায়। ছোট একটা কথা থেকে শুরু হয়েছিল, কিন্তু পুরাতন অনেক কথা যোগ হতে হতে সেটা বিশাল আকার ধারণ করে। তাই কোনভাবেই বিষয়টি বদলাতে দেবেন না। কথা বলার সময় সাবধানে থাকুন, যাতে অপরপক্ষ কোনভাবেই আপনার কথাকে কেন্দ্র করে আরও রেগে না যায়!

পাল্টা অভিযোগ করবেন না
ঝগড়া করার সময় আমাদের নিজেদের বাঁচানোর সবচেয়ে সাধারণ এবং পছন্দের উপায় হল পাল্টা দোষারোপ করে বেড়িয়ে পড়া। “তুমি কি কর? তুমি যখন কর আমার কেমন লাগে!” ইত্যাদি কথা বলে আমরা নিজেদের হয়ত সুরক্ষিত করি কিন্তু বিপদে ফেলে দিই সম্পর্কটাকে। নিজের অন্যায়টুকু মেনে নিন। অন্যায় না হলে বুঝিয়ে বলুন।

অহংকার ত্যাগ করুন
আমরা অনেক সময় অহংকারে নিজের ভুল দেখতে পাই না। প্রিয় মানুষটি কষ্ট পাচ্ছে দেখেও আমরা রাগ ছাড়তে পারি না। অভিমানকে গুরুত্ব দিই না। আপনার প্রিয়জন যখন অনেক সময় যাবত রেগে আছে, কষ্ট পাচ্ছে এবং আপনি কোনভাবেই বুঝতে পারছেন না কেন এই রাগ, পাল্টা আপনিও রেগে যাচ্ছেন, তখন একটু থামুন। ভাবুন। নিজের আচরণ খতিয়ে দেখুন। নিরপেক্ষ হয়ে বোঝার চেষ্টা করুন, ভুল আপনার নয় তো!

সময় দিন
অনেক ক্ষেত্রে সময়ই হয় শ্রেষ্ঠ সমাধান। সাথে সাথে আপনি রাগ ভাঙ্গাতে গেলে আপনার প্রিয়জন্য বুঝতে নাও চাইতে পারেন। ধাতস্থ হতে হয়ত একটু সময় চাই তার। তাকে একটু স্থির হতে দিন। হয়ত নিজেই সে বুঝতে পারবে আপনার কোন দোষ নেই। অথবা মাথা ঠান্ডা হলে আপনার কথা গ্রহণ করা সহজ হবে তার পক্ষে।

সরি বলুন
ভালবাসার মানুষকে সরি বললে কেউ ছোট হয়ে যায় না। প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ক্ষমা চান। এরপর বিস্তারিত কথায় যান। অতিরিক্ত সরি আপনার আত্মসম্মানকে খাট করতে পারে। কিন্তু প্রয়োজন অনুযায়ী সরি বলা অনেক সময় সম্পর্ককে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচিয়ে দেয়।

পুরুষের যে ১০টি বিষয় ভালোবাসেন নারীরা!

কথায় আছে, নারীর মন স্বয়ং বিধাতাও বোঝে না! সেখানে পুরুষেরা বুঝে উঠবেন নারীর মন, সে একটু কঠিন বৈকি! কি করলে নারীর মন পাওয়া যাবে টা নিয়ে যুগে যুগে অনেক গবেষণা ও তর্ক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। কারণ আর কিছুই না, পছন্দের নারীর ভালোবাসা অর্জন। নারীরা সাধাণরত আত্মনির্ভরশীল, ব্যক্তিত্ববান এবং রোমান্টিক পুরুষদের ভালোবাসেন। আসুন তাহলে জেনে নেয়া যাক পুরুষের মধ্যে কি কি বৈশিষ্ট্য থাকলে নারীর মন জয় করে নেয়া যায়।

রসবোধ ও বুদ্ধিমত্তা

মেয়েরা সাধারণত একটু রসিক ছেলেদের ভালোবাসে। যে কোনো বিষয় নিয়ে উপস্থিত ভাবে রসালাপ করতে পারে এমন ছেলেদের প্রতি মেয়েরা বেশি আকৃষ্ট হয়। বুদ্ধিমান ছেলেরা নারীদেরকে বেশি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়।   আত্মবিশ্বাসী ছেলেরা মেয়েদের আকর্ষণের কেন্দ্রে থাকে সব সময়। দ্বিধাগ্রস্থ ছেলেদের প্রতি মেয়েরা আকৃষ্ট হয় না। একজন পুরুষ যত সুন্দর বা রূপবানই হোক না কেন সে যদি আত্মবিশ্বাসী না হয় তাহলে তার প্রতি কোনো মেয়ে নির্ভর করতে পারবে না।

উচ্চতা ও দৈহিক গড়ন
বিভিন্ন জরিপে সর্বদাই দেখা গিয়েছে যে নারীদের পছন্দ অধিক উচ্চতার পুরুষ। চেহারার সৌন্দর্যের চাইতে মেয়েরা অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে পুরুষের উচ্চতা ও বলিষ্ঠ গড়নকে।

আত্মনির্ভরশীল-

নারীদের পছন্দের তালিকায় আত্মনির্ভরশীল পুরুষরা সব সময়েই অগ্রাধিকার পায়। নিজের উপার্জনে চলে এমন পুরুষই নারীর পছন্দ। বাবার উপার্জনে দিনযাপন করা ছেলেদের খুব একটা পছন্দ করেনা নারীরা। সম্মানিত পদবীতে চাকরী করে এবং স্বচ্ছল পুরুষদেরকে নারীরা তাদের পছন্দের তালিকায় রেখে থাকে।

যত্নশীল-

নারীরা যত্নশীল ছেলেদের ভালোবাসে। তারা নির্ভর করার মত পুরুষদের পছন্দ করে যারা তাদের কাজে কর্মে সহায়তা করবে এবং যত্ন নিবে। যে সব পুরুষরা প্রতি বেলায় নিয়মিত খোজ খবর রাখে তাদেরও পছন্দ করেন নারীরা।

সুন্দর চুল-

নারীরা সচ্ছল পুরুষদের পছন্দ করে, এটা সত্য। তবে নারীদের পছন্দের তালিকায় প্রথমেই থাকে মাথা ভরা চুলের অধিকারী পুরুষেরা। এমনকি ধনী পুরুষদের চাইতেও নারীরা মাথায় সুন্দর চুলের অধিকারী পুরুষদের প্রতি বেশি আকর্ষণ বোধ করে থাকে।

স্বচ্ছতা

নারীরা পুরুষের কাছে সততা ও স্বচ্ছতা আশা করে। দীর্ঘমেয়াদী সর্ম্পকে জড়াতে চাইলে নারীর কাছে মিথ্যা বলা উচিত না। সত্য কথা বলতে দ্বিধা বোধ করলেও বলে ফেলুন। এতে নারীদের আস্থা অর্জন করতে পারবেন।

পুরুষালী আচরণ-

নিজের সঙ্গীর কাছ থেকে নারী খোঁজে নির্ভরতা ও নিরাপত্তা। যে পুরুষ তাকে নিরাপত্তা দিতে পারে, নারীর চোখে তারাই পুরুষালী আচরণের অধিকারী। আর এই ধরনের পুরুষদের জন্য নারীর আকর্ষণ সর্বাধিক।
পরিচ্ছন্ন সুন্দর পোশাক-
নারীরা স্মার্ট ও পরিচ্ছন্ন পোশাকের পুরুষ পছন্দ করে। নিজের ত্বকের রঙ এবং শারীরিক গঠনের সাথে মানানসই পোশাক পরিহিত পুরুষরা নারীদের আকর্ষণের কেন্দ্রে থাকে।
সুগন্ধী-
শরীরে দুর্গন্ধ থাকলে না্রীদের মন পাওয়া যা‌য়না। সুগন্ধির মাধ্যমে ব্যক্তিত্ব ও রুচিবোধ প্রকাশ পায়। তাই ভালোমানের রুচিশীল সুগন্ধী ব্যবহার করুন।   নারী ও পুরুষের একে অপরের দুর্বলতা প্রকৃতির একটি স্বাভাবিক নিয়ম। নারীরা পুরুষের কাছ থেকে নিখাদ ভালোবাসা এবং সম্মান আশা করে। তাই নারীর চোখে আকর্ষণীয় ও ব্যক্তিত্ববান পুরুষ হতে চাইলে নারীর প্রতি সম্মান দেখান এবং সততা বজায় রাখুন।

সন্তান-সম্ভবা মায়ের নিয়মিত যত্ন ও সন্তানের বৃদ্ধি

মা পৃথিবীর মধুরতম ডাক। আমাদের পৃথিবীর আলো দেখাতে তারা সীমাহীন কষ্ট সহ্য করেন। গর্ভাবস্থায় তাই মায়ের দরকার বাড়তি পুষ্টি, বাড়তি যত্ন। কিন্তু আমরা কি প্রত্যেকে আসলেই জানি সঠিক ভাবে কীভাবে যত্ন নিতে হবে!? মায়ের যত্ন কখনই তার নিজের একার পক্ষে করা সম্ভব না কারণ গর্ভ ধারণের পর অনেক মায়ের অবস্থাই নাজুক হয়ে যায়। আপনার কাছের মানুষটিকে মানসিক, নৈতিক সহায়তা করতে জেনে নিন কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য।

সঠিক সময়ে নিয়মিত ভাবে চেক-আপ না করালে মা ও শিশু উভয়ের শারীরিক ক্ষতি হতে পারে। এমনকি বাচ্চা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই WHO (world health organisation ) ১৩ টি Antenatal visit নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে ৪ টি অবশ্যই করতে হবে। এর মানে হলো, গর্ভাবস্থায় কাছের স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়মিত এই পরীক্ষা করতে হবে দেখার জন্য যে বাচ্চা বা মায়ের কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা।

০১) ১৬ সপ্তাহের মধ্যে – রক্তশূন্যতা, সিফিলিস, প্রসব জনিত কোন জটিলতা আছে কিনা। জন্ম পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্য শিক্ষাও নিতে হবে।
০২) ২৪ থেকে ২৮ সপ্তাহের মধ্যে- বাচ্চা ঠিক মত বাড়ছে কিনা, পেটের বেড়ে যাওয়া অংশ মেপে পরীক্ষা করাতে হবে।
০৩) ৩২ তম সপ্তাহে- এক্লামশিয়া ( উচ্চ রক্ত চাপ, প্রস্রাবে প্রোটিন যাওয়া, হাত পা ফুলে যাওয়া আছে কিনা ), জন্ম পরিকল্পনাকে আরও উন্নত করা।
০৪) ৩৬ তম সপ্তাহে -বাচ্চার পজিশন, জরায়ুতে কীভাবে আছে, মাথা নাকি পা বা শরীরের অন্য অংশ নীচের দিকে তা জানতে হবে। জন্ম পরিকল্পনার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

শেষ হলো ভিজিটের পালা। কিন্তু এর সাথে কিছু টেস্ট-ও করতে হবে। ডাক্তাররা প্রায়ই এসব টেস্ট করতে দেন। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রসব জনিত কোন জটিলতা হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে তা আগেই নির্ণয় করা।

রুটিন টেস্টঃ

০১. Hb %, CBC, VDRL
০২. Random Blood Sugar
০৩. Ultrasonogram of whole abdomen

বিশেষ টেস্টঃ

০১. TORCHES test, HBS Ag
০২. Maternal serum alpha fetoprotein
০৩. Ultrasound examination
০৪. Cervical cytology ( pap smear )

গর্ভাবস্থার বিপদচিহ্ন সমূহঃ

এই বিপদচিহ্ন গুলোর একটিও দেখা দিলে সাথে সাথে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।

০১. তীব্র মাথা ব্যাথা
০২. অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
০৩. যোনিপথে রক্তপাত হওয়া
০৪. তলপেটে ব্যথা
০৫. চোখে ঝাপসা দেখা
০৬. হাত পা ফুলে যাওয়া
০৭. বাচ্চার নড়া চড়া বন্ধ হয়ে যাওয়া

গর্ভাবস্থায় মায়ের প্রয়োজন পুষ্টিকর খাদ্য। কারণ পূর্বে আপনি যাই খেতেন তা শুধু আপনার উপর প্রভাব ফেলত। আর এখন এটা আপনার বাচ্চার সুস্থতার সাথে জড়িত। খুব বেশি না কিন্তু সুষম খাদ্য খেতে হবে।  সাধারণত দিনে ২১০০ ক্যালরি খাদ্য একজন সুস্থ মানুষের জন্যে যথেষ্ট। কিন্তু গর্ভাবস্থায় চাহিদা বেড়ে যায়। ২৫০০ ক্যালরি সমপরিমাণ খাদ্য প্রয়োজন হতে পারে।

০১. প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাদ্য খেতে হবে। সবুজ শাক-সবজি, মাছ-মাংস খেতে হবে। অবশ্যই নিয়মিত খেতে হবে, পাশাপাশি ভাত, ডাল, শস্য দানা, আলুও খেতে হবে।

০২. আয়রন ও ফলিক এসিড এর চাহিদা বেড়ে যায়। আয়রন প্লাসেন্টা তৈরি হওয়ার জন্যে রক্ত যোগায়। ব্রকলি, কচু শাক, পালং শাক তাই গর্ভাবস্থায় জরুরী। ঘাটতি থাকে নিয়মিত ট্যাবলেট খেতে হবে। ঘাটতির পরিমাণ বেশি হলে রক্ত দিতে হতে পারে।

বাচ্চার ( সাপ্তাহিক ) অঙ্গ গঠনঃ  প্রথম তিন মাসে বাচ্চার সব অঙ্গ গঠন শুরু হয়। তাই এ সময় খুব সাবধানে থাকতে হয়।

০১) ৫ম সপ্তাহ – মস্তিস্ক, সুষুম্না কাণ্ড, হৃদপিণ্ড ও খাদ্যনালী গঠন হওয়া শুরু হয়।
০২)  ষষ্ঠ – ৭ম সপ্তাহ- হাত ও পা কুঁড়ির আকার ধারণ করে। কান ও চোখ তৈরি শুরু হয়। হৃদপিণ্ড তৈরি হতে থাকে ও সঠিক তালে স্পন্দিত হয়।
০৩)  ৮ম সপ্তাহ – ফুসফুস তৈরি শুরু হয়। মস্তিষ্ক বাড়তে থাকে।
০৪)  ৯ম সপ্তাহ – কনুই ও পায়ের পাতা দেখা সম্ভব হয়। স্তনের বোটা ও লোম তৈরি হয়। সব প্রয়োজনীয় অঙ্গ তৈরি হওয়া শুরু হয়।
০৫)  ১০ম সপ্তাহ- চোখের পাপড়ি আরও উন্নত হয়। অন্ন নালি ঘুরে নতুন অবস্থান নেয়। মুখ সুন্দর আকার নেয়।
০৬)  ১১তম-১২তম সপ্তাহ – মাথা শরীরের অর্ধেক আকার ধারণ করে। হাত পা সরু ও লম্বা হয়। বাচ্চা আঙ্গুল দিয়ে হাত মুঠো করতে পারে।

যা যা করা যাবে না ও সাধারণ কিছু উপদেশঃ

০১. ভারি কাজ করা যাবে না ( সিঁড়ি দিয়ে ওঠা নামা কম করতে হবে, ভারি জিনিস ওঠানো যাবে না, ঝাঁকুনি দেয়া যানবাহন বা রাস্তায় চলা যাবে না।
০২. ধূমপান, মদ পান বন্ধ করতে হবে। পর্যাপ্ত পানি খেতে হবে ও বিশ্রাম নিতে হবে।
০৩. অনেক ওষুধ আছে যা খেলে বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে বা বিকলাঙ্গ হতে পারে। প্রায়ই ব্যবহার করা হয় এমন কিছু ওষুধের নাম হচ্ছে – celecoxib, ibuprofen, all oral contraceptives, testosterone, griseofulvin, sulfisoxazole, povidone iodine, metronidazole, methotrexate এরকম আরও কিছু ওষুধ।  এ সময় যে কোন ওষুধ খাওয়ার আগেই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

সন্তান মায়ের জন্য অতি আদরের মানিক রতন। বাচ্চার মঙ্গলের জন্যে মা সবই করতে পারেন। একটু সচেতন থাকলেই এড়ানো যাবে ঝুঁকিপূর্ণ অনেক পরিস্থিতি। নিয়ম গুলো যত্নের সাথে পালন করুন। সুস্থ, সুন্দর বাচ্চার হাসি মুখ দেখার শুভকামনা রইল।

লিখেছেনঃ শারমিন আখতার চৌধুরী

পুরুষত্বের সমস্যা সমাধানে…

অনেক সময় অনেক ভাঙনের শব্দ হয় না। অনেক ক্ষত থাকে যা চর্মচক্ষে দেখা যায় না। তবুও চোরাস্রোত ভেঙে দেয় সুখনদীর দুকূল। একই ছাদের নীচে থাকা দুজন মানুষকে নিয়ে যায় অশান্তির নরকে। অসুখী দাম্পত্য, বিবাহ বিচ্ছেদ-কলহ, এগুলো এখন নতুন কিছু নয়। অথচ এসব কিছুর অনেকগুলোর পেছনেই থাকে যৌনতার সমস্যা। যার সমাধান পেতে অনেকে ডাক্তারের কাছে যেতে সংকোচ করেন।

অনাদিকাল থেকে যৌনতা নিয়ে মানুষের গবেষণার শেষ নেই। এই আধূনিক যুগে এ নিয়ে গবেষণা চরম মাত্রা পেয়েছে। গবেষকদের মধ্যে হুল্লুড় হলেও এখনকার সমাজে প্রকাশে এ নিয়ে কেউ টু শব্দটি করেন না। অথচ যৌন শিক্ষা নিয়ে প্রাপ্ত বয়স্কদের সম্যক জ্ঞান রাখা জরুরি বৈকি। কারণ এটি আমাদের জীবনের বড় একটা অংশ। বিবাহিত দম্পতিদের তো এ নিয়ে সাধারণ জ্ঞানটুকু থাকা একেবারেই জরুরি। সৃষ্টির শুরু থেকে আজ অবধি মানবজাতির এক অপার কৌতূহলের বিষয় যৌনতা। কীভাবে যৌনতাকে আরও উৎকর্ষ করে তোলা যায়। এ প্রশ্ন সার্বজনীন। বিভিন্নজন বিভিন্নভাবে এ প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছেন। বৈদিক যুগের মুনি-ঋষি থেকে শুরু করে আধুনিক যুগের চিকিৎসা বিজ্ঞানে এ নিয়ে বিস্তর মতবাদ আছে। কিন্তু প্রশ্ন একটাই, ‘যৌনশক্তি বৃদ্ধির সেই অমৃত উপাদান আসলে কী?’ আমাদের সমাজে যৌণবিষয়ক আলোচনা যেন ব্রাত্য। কিন্তু দাম্পত্য জীবনে এর প্রভাব অনস্বীকার্য। এ বিষয়ে সম্যক জ্ঞানের অভাব দাম্পত্য জীবনে কলহ ডেকে আনতে পারে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিবাহ-বিচ্ছেদ পর্যন্ত ঘটাতে পারে। সংসারে নিত্য মন কষাকষিতো আছেই।

স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যৌণতার সম্পর্ক স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া। কিন্তু এ ক্ষেত্রে দুজনের কারো যদি সমস্যা থেকে থাকে সেটার জন্য ব্যবস্থা নেয়া আবশ্যক। শুধু যে ওষুধ খেয়েই রোগ তাড়াতে হবে-বিষয়টা কিন্তু এমনও নয়। খাবারের মেন্যুতে কিছু পরিবর্তন আনলেও আমরা পেতে পারি সঠিক দাওয়াই। কৃত্রিম পন্থায় যৌনশক্তি বাড়াতে ভায়াগ্রা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার অন্ত নেই। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এর আগের প্রতিবেদনে ‘ভায়াগ্রার কাজ করবে তরমুজ’ শিরোনামে পরামর্শমূলক একটি লেখা প্রকাশিত হয়েছিল। পাঠকদের ব্যাপাক সাড়া মিলেছে এতে। আজ আলোচনা করা হবে ঘরোয়াভাবে কিভাবে অনেক যৌন সমস্যার সমাধান করা যায় তা নিয়ে। (প্রসঙ্গত, এই লেখা ডাক্তারি কোনো ব্যবস্থাপত্র নয়; পরামর্শমূলক প্রতিবেদন মাত্র।)

এক গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষত্বের সমস্যা নিয়ে ডাক্তারের কাছে যেতে কুন্ঠিত বোধ করেন অনেকে। এ কারণে আমরা চেষ্টা করেছি এর প্রাথমিক চিকিৎসা আপনি যাতে আপনার বাড়িতেও করতে পারেন। এবার আসুন জানা যাক যৌন অক্ষমতার প্রথম ধাপের চিকিৎসায় দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার্য কি কি উপকারে আসে।

রসুন
প্রতিদিন দু থেকে তিনটি রসুনের কোয়া কাঁচা অবস্থায় চিবিয়ে খান ৷ এতে আপনার যৌন ইচ্ছা কমে গিয়ে থাকলে তা বৃদ্ধি পাবে ৷ এ ছাড়া গমের তৈরি রুটির সঙ্গে রসুন মিশিয়ে খেলে তা আপনার শরীরে স্পার্ম উত্পাদনের মাত্রা বাড়ায় এবং সুস্থ স্পার্ম তৈরিতে এটি সাহায্য করে৷

পেঁয়াজ
কাম-উত্তেজক ও কামনা বৃদ্ধিকারী হিসাবে পেঁয়াজ বহুদিন থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে৷ সাদা পেঁয়াজ পিষে নিয়ে তাকে মাখনের মধ্যে ভালো করে ভেঁজে নিয়ে তা প্রতিদিন মধুর সঙ্গে খেলে তা থেকে উপকার পাওয়া যায়৷ কিন্তু একটি বিষয় মনে রাখবেন, এটি খাওয়ার আগে ঘণ্টা দুয়েক সময় আপনার পেট খালি রাখবেন৷ এইভাবে প্রতিদিন খেলে স্খলন, শীঘ্রপতন বা ঘুমের মধ্যে ধাতুপতন ইত্যাদি সমস্যার সমাধান হওয়া সম্ভব৷

গাজর
১৫০ গ্রাম গাজর কুঁচি এক টেবিল চামচ মধু এবং হাফ-বয়েল ডিমের সঙ্গে মিশিয়ে দুমাস খেলে আপনার শারীরিক এই অক্ষমতা কম হতে পারে৷

কিছু খাবার এর নাম বলব যেগুলো যৌন ক্ষমতা বাড়াতে যাদুমন্ত্রের মত কাজ করে । এগুলোর কিছু কিছু আমাদের চারপাশে পাওয়া যায় আবার কিছু পাওয়া যায় না । যা পান হাতের কাছে সেটাই খেতে পারেন । ভাল ফলাফল পাবেন । আসুন খাবারগুলোর নাম জেনে নেওয়া যাক

১. তরমুজ  ২. কালো চকোলেট  ৩. অ্যাস্পারাগাস  ৪. ঝিনুক  ৫. কুমড়া বীজ  ৬. রসুন  ৭. বাঁধাকপি  ৮. কলা   ৯. আভোকাডো  ১০. বাদাম  ১১. ডিম  ১২. তৈলযুক্ত মাছ  ১৩. মরিচ  ১৪. আখরোট  ১৫. ব্রকলি  ১৬. গরুর মাংস  ১৭. শিমের বীচি  ১৮. সেলেরি  ১৯. সয়া  ২০. মাকা গাছের শিকড়  ২১. গোজি বেরি  ২২. মধু  ২৩. ডুমুর  ২৪. সবুজ জলপাই  ২৫. আমলকী  ২৬. আলমণ্ড  ২৭. আম  ২৮. স্ট্রবেরি  ২৯. পিচ ফল  ৩০. আনারস। (খাবারগুলো আবার অতিভোজনের পর্যায়ে নিয়ে যাবেন না যেন, পরিমিত খান।)

এ-তো গেল কিছু উপকারী খাবারের তালিকা। এবার বলব কিছু টিপস-এর কথা।

১. দুজনই রাগ নিয়ন্ত্রণ করুন  ২. নিজেদের দুর্বলতাগুলো জানুন ৩. সাথীর প্রতি নমনীয় থাকুন ৪. হাজারো ব্যস্ততার মধ্যে পরস্পরকে সময় দিন। এবং ৫. একে অপরের দোষ-গুণগুলোকে মানিয়ে নিয়ে,পরস্পরকে শ্রদ্ধা করে ভালবাসার বাঁধনে বাধুন। সুখ ধরাছোঁয়ার বাইরের কিছু না। সুখের ঠিকানা হাতের মুঠোয়।

:: এস এস সরকার

 

সকালে রুটি-ভাজি, না দুধ-কর্নফ্লেকস?

এক মগ কফি হাতে নিয়ে আয়েশ করে যখনই একজন বসলেন টেলিভিশনের সামনে, তখনই আরেকজন এসে একরকম ছিনিয়ে নিলেন রিমোটটা, তিনি তাঁর পছন্দের অনুষ্ঠান দেখবেন। এক দিন পছন্দের নাটক না দেখলে কী হয়, পরে তো এটি আবার দেখাবেই। কিংবা খেলার স্কোর কি ইন্টারনেট থেকে জেনে নেওয়া যায় না? স্বামীর সকালের নাশতায় রুটি-ভাজি না হলে চলছেই না, কিন্তু স্ত্রী শুরু করেছেন দুধ-কর্নফ্লেকস দিয়ে নাশতার চল। দিনের পর দিন খেতে হবে অপছন্দের খাবার? নাশতার টেবিলে একজন মুখ হাঁড়ি করে খাবার নাড়াচাড়া করছেন, এ দৃশ্যই বা কত দিন সহ্য করা সম্ভব? একসঙ্গে সিনেমা দেখতে যাওয়া হবে, কিন্তু কোনটা? ডিজনির নতুন অ্যানিমেশন সিনেমা, নাকি নতুন জেমস বন্ড? আড়াই ঘণ্টা কি ঝাড়া বসে থাকা সম্ভব সিনেমা হলে শুধু অন্যজনের পছন্দের মূল্য দিতে? ঘুমিয়ে পড়ার সুযোগও তো নেই।

একজন জানালা বন্ধ করে ঘুমাতে পারে না, আর আরেকজন জানালা খোলা রেখে ঘুমাতে পারে না। এই দুজনের বন্ধনই হলো বিয়ে। ঔপন্যাসিক জর্জ বার্নার্ড শ এ কথা বলে দিয়েছেন বহু আগেই। তাহলে ‘জানালা খোলা’ আর ‘জানালা বন্ধ’-এর দল কীভাবে দিনের পর দিন বাস করছে একসঙ্গে? মনোবিজ্ঞানীর মতে, ‘সমঝোতা, অন্যের রুচিকে গ্রহণ করার মানসিকতা, আর ভালোবাসা তো থাকতেই হবে।’

দুই পরিবার, দুই সংস্কৃতি, দুই রকমের বেড়ে ওঠা—এমন দুজন মানুষ যখন বিয়ের বন্ধনে জড়ান, তখন তাঁদের পরস্পরের এই পার্থক্যকেই সম্মান করতেই হবে। বিয়ের আগে থেকেই এর জন্য মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে রাখা ভালো। তবে অবশ্যই মনে রাখুন, এটি দুজনের বেলাতেই সত্য। একজন শুধু সমঝোতা, ত্যাগ করেই যাবেন, অন্যজন শুধু উপভোগ করবেন—এমন সম্পর্ক ইতিবাচক হতে পারে না। এমনই মত জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক মেখলা সরকারের।

মেখলা বলেন, একজনের একতরফা চেষ্টায় হয়তো সাময়িকভাবে সমস্যার সমাধান হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এভাবে দিনের পর দিন চললে দুজনের মাঝে তৈরি হবে বড় ফাঁক। সম্পর্কে কোনো একজনের প্রাধান্য থাকাটা ঠিক নয়, বরং দুজনের মধ্যে থাকা চাই সহযোগিতা ও শ্রদ্ধা। অবশ্যই কখনো কখনো প্রাধান্য দিতে হবে অন্যের পছন্দ, কিন্তু তাই বলে নিজেকে একদম বদলে ফেলাও ভালো নয়।

নিজেদের দাম্পত্যে রুচির তফাতটা বড় হয়ে উঠতে দেন না বলেই জানালেন রাশেদ হাসান (ছদ্মনাম)। ‘পার্থক্য যেমন আছে, তেমনি দুজনের কোনো কোনো জায়গায় মিলও তো আছে। আমি আর আমার স্ত্রী দুজনই বেড়াতে খুব পছন্দ করি। আবার ওর আর আমার পছন্দের খাবার ভিন্ন। যেমন: সে চিতল মাছ মোটেই খায় না, তবে আমার পছন্দ বলে রেঁধে দেয়। আর আমিও খেয়াল রাখি, ঘন ঘন যেন বাড়িতে এই মাছ কেনা না হয়। আবার আমি বুঝি যে বুদ্ধিবৃত্তিক বিষয়গুলোতে আমার আর ওর মতের বড় পার্থক্য আছে, ওর সঙ্গে তাই সচরাচর সাহিত্য, সিনেমা এগুলো নিয়ে আলোচনা করি না। এসব কথা বলার জন্য আমার বন্ধুরা তো আছেই।’ বলেন তিনি।

দুজনের পছন্দ দুই রকম মানে কিন্তু এই নয় যে, কারও রুচি খুব ভালো, অপরজন একবারেই নিম্ন রুচির। ‘স্বামী বা স্ত্রীর কোনো কিছু ভালো না লাগলেও খুব সমালোচনা করা ঠিক নয়। নেতিবাচক কোনো কথা বলার চেয়ে বরং চুপ করে থাকাও ভালো। অথবা একটু ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে নিজের পছন্দ জানাতে পারেন। যেমন: একজন হয়তো বাড়ির পর্দা কিনেছেন, কিন্তু সেটা অন্যজনের পছন্দ হচ্ছে না। সরাসরি এ কথা না বলে বরং বলতে পারেন, দেখতে যেমনই হোক, বেশ ভালো দামে পেয়েছ এটা।’ বলেন মেখলা সরকার।এক জায়গায় হয়তো মিল হচ্ছে না স্বামী-স্ত্রীর, কিন্তু অন্য নানা গুণ হয়তো আছে তাঁর। পরস্পরের কমতিগুলোর দিকে নজর না দিয়ে বরং ইতিবাচক ব্যাপারগুলোকে উপভোগ করতে শিখুন না।

দৈনিক প্রথম আলো হতে সংগ্রহিত

বিয়ের আগে বিয়ের পরে

‘বিয়ের আগে অসম্পূর্ণ ছিলাম, বিয়ের পর একদম বরবাদ হয়ে গেছি।’ কমেডিয়ান হেনরি ইয়াংম্যানের স্রেফ রসিকতা এটি। শুনে তো হাসবেনই, তবে একবার হয়তো নিজের বিয়ের পর প্রথম দিনকার কথাগুলোও মনে পড়ে যাবে।

সারা রাত পড়াশোনা বা অন্যান্য কাজ করে ভোরের আলো ফোটার পর ঘুমাতে যাওয়ার অভ্যাস যে মেয়েটির, তাঁকে হয়তো বিয়ের পর ১১টা বাজতেই ঘুমানোর আয়োজন করতে হয়। মশারি খাটালেই দম বন্ধ হয়ে যেত যাঁর, তাঁর স্বামীর হয়তো একটি মশার গুনগুন কানে গেলেই ঘুম হারাম হয়ে যায়। পরিপাটি খাবার টেবিলে সবাই একসঙ্গে বসে খাওয়ায় অভ্যস্ত মেয়েটির, শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা হয়তো টেলিভিশনের সামনে বসেই কোনোমতে খেয়ে নেন।

ঝাল খাওয়ার একদমই অভ্যাস ছিল না মেয়েটির। কিন্তু শ্বশুরবাড়িতে সবাই খুব ঝাল খান। এক বছর চেষ্টা করেও মানিয়ে নিতে পারেননি মেয়েটি এই খাদ্যাভ্যাসে। এখন বাধ্য হয়েই নিজের জন্য আলাদা রাঁধার ব্যবস্থা করে নিতে হয়েছে। তাতে শাশুড়ি একটু ক্ষুণ্ন হয়েছেন, কিন্তু খাওয়াদাওয়ার কষ্ট থেকে তো মুক্তি পেয়েছেন তিনি। এ নিয়ে রোজকার খিটিমিটিও আর হয় না এখন। নাম না প্রকাশ করার শর্তে এমনই জানিয়েছে তিনি।

বিয়ের আগের জীবন আর বিয়ের পর—দুটোয় আকাশ-পাতাল তফাৎ, এমন বলেন অনেকেই। তবে সেই নতুন জীবনেও তো মানিয়ে নিতে হবে। আর সেজন্য চাই ধৈর্য আর ইচ্ছাশক্তি।

মনিকা’স বাঁধন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মনিকা পারভীন দীর্ঘদিন ধরে দম্পতিদের পরামর্শদাতা

হিসেবেও কাজ করছেন। তিনি মনে করেন, প্রেম করে বিয়ে করা জুটিদের মধ্যে একটা বোঝাপড়া আগেই তৈরি হয়ে যায়। একটু সতর্ক থাকতে হবে সম্বন্ধ করে বিয়ে হলে বা বিয়ের পর যৌথ পরিবারে থাকতে হলে। নতুন জীবনে সমস্যা হলে সেটা লুকিয়ে রেখে লাভ নেই। বরং বলে ফেলাতেই দুজনের বোঝাপড়া তৈরি হওয়া সম্ভব। তবে এখানেও খুব সাবধান। ‘বলার ধরন আর বলার সময় দুটোই খুব গুরুত্বপূর্ণ। একটা কিছু হলেই অনুযোগ না করে বরং পরে অন্তরঙ্গ সময়েও ভালোভাবে সেটি বুঝিয়ে বলা যায়। হাসিঠাট্টার মধ্যে বলা গেলে তো আরও ভালো।’ বলেন মনিকা পারভীন।

বাথরুম ভেজা থাকাটা হয়তো দারুণ বিরক্তিকর আপনার কাছে। অথচ স্বামী বাথরুমে যাওয়া মানেই পুরো বাথরুম ভিজে একাকার হওয়া। এমনকি কোনো দিন হয় যে সেই ভেজা বাথরুমে পা পিছলে গেল তাঁরই। তখন ঠাট্টা করে বলতে পারেন, ‘দেখলে তো তুমিই ভুগলে’। এভাবে বললে তিনি নিশ্চয়ই আরও সতর্ক হবেন। তিনি বাথরুম থেকে বের হওয়া মাত্রই চেঁচামেচি করাটা কোনো সমাধান নয়। আর এটাও মেনে নিতে হবে দশটা সমস্যার মধ্যে হয়তো সাতটির সমাধান হবে। বাকি তিনটি মানিয়ে নিতে হবে।

যৌথ পরিবার হলে শুরু থেকেই পরিবারের সবার সঙ্গে মিশতে হবে। অনেকেই ভাবেন, বিয়ের পর একটু চুপচাপ থাকি। কিছুদিন পর থেকে সংসারের কাজ করব, সবার সঙ্গে অন্তরঙ্গতা বাড়াব। এই মনোভাবও ঠিক নয় বলে মনে করেন মনিকা।

বাপের বাড়ির সুবিধাগুলো একটি মেয়ে শ্বশুরবাড়িতে এসে পাবেন না, তা কিন্তু নয়। তবে শুরুতেই নিজের সমস্যা বা অভ্যস্ততার ব্যাপারগুলো বলা ঠিক না। আর বলতে হলেও স্বামীকেই প্রথম বলা উচিত। তিনিই অন্যদের বুঝিয়ে বলবেন।

সকালে ঘুম থেকে উঠে নাশতা বানাতে হবে, ঠিক তা হয়তো এখনকার শাশুড়িরা আশা করেন না। কিন্তু উঠে একটু রান্নাঘরে যাওয়া, পরিবেশন করা, এটুকু করলে তিনি খুশি হন। এভাবে সম্পর্কটা সহজ হয়ে এলে একসময় তিনিই খেয়াল করবেন আপনার অসুবিধাগুলো। আর সঙ্গে সঙ্গেই সমস্যার কথা না বলে একটু সময় নিন। ভেবেচিন্তে পরে এ নিয়ে আলোচনা করুন।

রুহিনা তাসকিন (প্রথম আলো)

প্রেমে পুরুষের চেয়ে নারী বেশি সুখী

নারী-পুরুষ প্রেম করে। কিন্তু প্রেম করে কে বেশি সুখী—নারী না পুরুষ। এ নিয়ে হয়তো বলা কঠিন। তবে নতুন সমীক্ষার ফলাফলে দেখা গেছে, প্রেমে পুরুষের চেয়ে নারীরাই বেশি সুখী।  সম্প্রতি ব্রেনেডেন হেল্থ যুক্তরাজ্যের দুই হাজার নারী-পুরুষের ওপর সমীক্ষা চালিয়েছে।

সমীক্ষায় পুরুষদের তাঁদের বেতন, পদোন্নতি, শারীরিক গঠন, বাহ্যিক প্রকাশ, অর্থের উৎস, চাকরির নিরাপত্তা, অন্যের কাছে তাঁদের গ্রহণযোগ্যতা—এই সাতটি বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হয়।  আর নারীদের তাঁদের প্রেম, পরিবার, দাম্পত্য জীবন,  স্বাস্থ্য ও বসবাসের স্থান – এই পাঁচটি বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়।

প্রথম আলো 

বধূ মিছে রাগ কোরো না

স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে মান-অভিমান হবেই, আবার মান ভাঙাতেও হবে। ছোট ছোট সমস্যা যেন বড় আকার ধারণ না করে।আটটার দিকে বাড়ি ফিরেই ফোন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন স্বামী। একের পর এক ফোন সেরে ল্যাপটপ নিয়ে বসা। ওদিকে মুখ থমথমে স্ত্রীর। সারা দিন পর দেখা, একটু হাসিমুখে কথাও বলা হলো না। এতই ব্যস্ততা!ছুটির দিন দুপুরে বসার ঘরে জেঁকে বসে আছে স্বামীর বন্ধুরা। স্বামীকে বারবার ইশারা করেও লাভ হচ্ছে না। ওঠার নাম নেই। একটা ছুটির দুপুর মাটি হয়ে যাবে তাহলে! ব্যস, স্ত্রীর মুখ অন্ধকার।

কিংবা মায়ের পরামর্শ ছাড়া স্ত্রী যেন চলতেই পারছেন না, তাই বলে দুজনের সব কথাই গিয়ে বলতে হবে মাকে? স্বামীর মনে অভিমানের ছায়া।খরচ বাঁচানোর জন্য চেষ্টা করছেন দুজনই, তাই বলে একটা দিনও কি একটু ভালো রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়া যাবে না। এই নিয়ে মতান্তর, শেষমেশ দুজনের কথা বন্ধ।

ছোট ঘটনা, বড় অভিমান। তুচ্ছ কথা-কাটাকাটি থেকে বড় ঝগড়া। কয়েক মিনিটের ঝগড়াতেই আপন এ মানুষকে মনে হতে পারে খুব দূরের কেউ। আর এসবের জের অনেক দূর পর্যন্তও গড়ায়। হয়তো মনে হতে পারে, একটু ঝগড়া হয়েছে এ আর এমন কী। কিন্তু সময়মতো মিটিয়ে না ফেলে তা জিইয়ে রাখা মোটেও উচিত নয়। হয়তো আবার কথা বলা শুরু হলো দুজনের। কিন্তু মনের কোণে একটু ক্ষোভ রয়েই গেল। এভাবেই মেঘের ওপর মেঘ জমে দুজনের জীবনে ফেলতে পারে কালো ছায়া।

‘যত বড় ঝগড়া-ই হোক। সঙ্গী কিন্তু আপনার জীবনের একটা বড় অবলম্বন। একটু অভিমান হয়েছে। তিনি ই কিন্তু আবার আপনার সমর্থনে সারা দুনিয়ার সঙ্গে লড়তে প্রস্তুত।’ বলেন মনোয়ারা চৌধুরী। শিক্ষকতা পেশায় আছেন তিনি। আর তাঁর স্বামী এস আর চৌধুরী কাজ করছেন গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইনের মেডিকেল অ্যাডভাইজার হিসেবে। ৪৮ বছরের দাম্পত্য জীবনে অভিমান, ঝগড়া হয়েছে অনেকবার। কিন্তু কোনোবারই তা মিটে যেতে বেশি সময় লাগেনি বলে জানালেন।ঝগড়া হয়েছে, কথা বন্ধ। এটা যেন দাম্পত্যের অলিখিত নিয়ম।রাগ হলে কে আগে মান ভাঙাতে আসে? সানজিদা আহমেদের (ছদ্মনাম) উত্তর—‘অবশ্যই আমি।

কথা বলা বন্ধ করে আবার নিজেই শুরু করে দিই। আমার এসব মান-অভিমানের পালা সাধারণত ঘটে রাতে ঘুমানোর আগে। সকালে অফিসে যাওয়ার জন্য তৈরি হতে হতেই আবার শেষ।’আর স্ত্রী রাগ করলে হেঁড়ে গলায় গান ধরাটাকে বেশ ভালো উপায় বলেই মানেন আহসান হাবীব (ছদ্মনাম)। আর এ ক্ষেত্রে ‘তোমার জন্য মরতে পারি ও সুন্দরী…’ এমন লাইনগুলোই নাকি ভালো। ‘গান ধরলে ও প্রথমে একটু রাগ রাগ ভাব করে। তার পরই হেসে ফেলে। ব্যস ঝগড়া শেষ। আমি বলি, আর কোনো দিন এমন হবে না। ও বলে, তুমি তো বারবারই এমন বলো, তার পরও একই কাজ করো। আমি আর কী বলব, বলি, আমি তো এমনই।’ বললেন তিনি।কে আগে মান ভাঙাবে? এগিয়ে আসা একটু কঠিনই বটে। মনোয়ারা চৌধুরী মনে করেন, এ ক্ষেত্রে ছেলেদের এগিয়ে আসাই ভালো। ‘মেয়েরা এমনিতেই একটু বেশি অভিমানী হয়। আবার অল্পতেই খুশি হয়ে যায়।  ঝগড়ার মুহূর্তটা জিইয়ে না রেখে স্বামী যদি একটু নরম হন, তাহলেই তো হলো।’

দুজনের ঝগড়ায় ভালো কোনো বন্ধু, কাছের আত্মীয়রাও মিটমাটের উদ্যোগ নিতে পারেন। আর সন্তানেরা তো বড় একটা ভূমিকা রাখেই। নিজে হয়তো স্যরি বলতে পারছেন না। সন্তানকেই বলতে পারেন মান ভাঙানোর ব্যবস্থা নিতে। তারা হয়তো সবাইকে নিয়ে আয়োজন করে ফেলতে পারে চমৎকার একটা পার্টি আবার পছন্দের কোনো কিনে আপনার তরফ থেকে উপহার দিতে পারে।

জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক মেখলা সরকার জানান, একজন রেগে গেলে অবশ্যই অন্যজনকে মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে। আর যে কারণেই মতান্তর হোক, তা নিয়ে অবশ্যই আলোচনা করে মতের অমিলটা দূর করতে হবে। তবে ঠিক সেই মুহূর্তেই নয়, বরং পরে দুজনই যখন শান্ত হবেন, তখন আলোচনা করা উচিত। এ নিয়ে কথা না বললে তা চাপা ক্ষোভ হিসেবে জমা হতে পারে, যা পরে সম্পর্কের অবনতি ঘটাবে।তবে নিজেদের ঝগড়ার কথা কাকে বলব আর কাকে বলব না সেটাও খেয়াল রাখতে হবে। অনেকেই আবার এর সুযোগ নিতে পারে।

যা নিয়েই মতান্তর হোক আদতে তো সেটা মান-অভিমানের দিকেই গড়ায়। আর তা যেন সেখানেই শেষ হয়ে যায়। এর বেশি যাতে না যেতে পারে এদিকে খেয়াল রাখতে হবে স্বামী-স্ত্রী দুজনকেই।

রাগ কিভাবে নিয়ন্ত্রনে রাখবেন এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন ডাঃ মেখলা সরকার