ভিনাস্ট্রাফোবিয়া – সুন্দরী নারীতে ভয়

মিস্টার জাবের, একটি বড় কোম্পানিতে কর্মরত। চাকরীর সুবাদে অসংখ্য মানুষের সাথে কথা বলা, ওঠা-বসা থাকলেও শুধুমাত্র সুন্দরী নারীর সামনে গেলে বেশ ইতস্ততবোধ করেন। তার সামনে কোন সুন্দরী নারী থাকলে কথা বলতে গেলে তার মুখ শুকিয়ে যায় বা কথা এলোমেলো হয়ে যায়।

পছন্দের মানুষটিকে বারবার কাছে পেয়েও কখনোই মনের কথা বলতে পারেননি, অনেক প্রস্তুতির পরও ফুলের তোড়া ফেরত নিয়ে এসেছেন। এমনকি বিয়ের জন্য পাত্রী দেখতে গিয়েও একই সমস্যা পাত্রীর সামনে তার হাত-পা কাঁপতে থাকে অথবা স্নায়ুগতি কমে যায়। এ বিষয়ে চিকিৎসকের শরাপন্ন হলে জানা যায় যে, জাবের সাহেব ভিনাস্ট্রাফোবিয়া রোগে আক্রান্ত।

ফোবিয়া মানে হল ভয় আর ভিনাস্ট্রাফোবিয়া হল সুন্দরী নারীদের প্রতি ভয়। এ ফোবিয়ার নামকরণ করা হয়েছে রোমান দেবী ভেনাস থেকে তবে খুব অল্প সংখ্যক পুরুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়।

কারনঃ

– পূর্বে সুন্দরী মেয়ের সাথে কোন খারাপ অভিজ্ঞতার ফলে। যেমন- যেকোন কারনে হৃদয়ভঙ্গ হওয়া, জনসম্মুখে অপমানিত হওয়া, বিবাহ বা প্রেমের বিচ্ছেদ ইত্যাদি।

– জেনেটিক বা বংশগত কারণে।

– পারিবারিকভাবে বেড়ে উঠার পরিবেশগত কারনে।

– ছোটবেলায় সুন্দরী শিক্ষকের কড়া শাসনের অভিজ্ঞতার ফলে সবাইকে কঠোর মনে হতে পারে।

লক্ষণঃ

সুন্দরী নারীর প্রতি স্বাভাবিক ভাবে সবারই এক আলাদা আকর্ষণ কাজ করে। দূর থেকে সুন্দরী নারী কে দেখতে ভালো লাগলেও কাছে গেলে ভয় পান অনেক পুরুষই। ব্যাপারটি অদ্ভুত হলেও সত্যি যে অনেক পুরুষ সুন্দরী নারীদের প্রচণ্ড ভয় পান।

– সুন্দরী নারীকে দেখলে অতিরিক্ত ঘামতে থাকা।

– তাদের সামনে নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা হওয়া।

– হার্ট বিট অনিয়মিত হওয়া।

– কথা বলার সময় মুখ শুকিয়ে যাওয়া বা কথা এলোমেলো হতে থাকা।

– সুন্দরী নারীর সঙ্গে কথা বলার সময় দৌড়ে পালানোর চেষ্টা অথবা চোখে মুখে অনীহাবোধ ফুটে ওঠা। – তাদের পাশে বসলে অথবা কথা বলার সময় হাত পা কাঁপা।

– সুন্দরী মেয়েদের থেকে সর্বদা দূরে থাকার চেষ্টা করা।

– স্নায়ুগতি কমে যাওয়া।

করণীয়ঃ

– মনোরোগ বিশেষজ্ঞের নিকট থেকে বিভিন্ন থেরাপি নেয়া যেতে পারে। যেমনঃ টকিং থেরাপি, এক্সপোজার থেরাপি।

– চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করলে এই ফোবিয়া থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

স্পেনের ভ্যালেন্সিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের মতে- কিছু সংখ্যক পুরুষ সুন্দরী নারীর পাশে পাঁচ মিনিট বসলেই নাকি পুরুষের মধ্যে মানসিক চাপ বৃদ্ধি পায়৷ যা শরীরে কোর্ট্রিসল নামক বিশেষ হরমোনের প্রবাহ বাড়িয়ে দেয় আর বিপত্তি সেখানেই৷ এই হরমোনের বাড়তি প্রবাহ আবার হৃদযন্ত্রের নানা রোগের জন্য দায়ী৷

আমাদের প্রত্যহ পাঠকদের মধ্যে নিশ্চয় হয়তো এমন কেউ নেই যদি থেকে থাকেন অবশ্যই বিয়ের আগে দ্রুত একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হবেন। সবার জন্য শুভ কামনা রইলো।

মানুষ কেন পরকীয়ায় জড়ায়

ইউকিপিডিয়ার মতে পরকীয়া (ইংরেজি: Adultery বা Extramarital affair বা Extramarital sex) হল বিবাহিত কোন ব্যক্তির (নারী বা পুরুষ) স্বামী বা স্ত্রী ছাড়া অন্য কোন ব্যক্তির সাথে বিবাহোত্তর বা বিবাহবহির্ভূত প্রেম, যৌন সম্পর্ক ও যৌন কর্মকান্ড। মানবসমাজে এটি লঘু বা গুরুভাবে নেতিবাচক হিসেবে গণ্য পাশ্চাত্য আধুনিক সমাজে এর প্রতি নেতিবাচক মনোভাব বজায় থাকলেও এটি আইনত অপরাধ বলে বিবেচিত হয় না, তবে অভিযোগ প্রমাণিত হলে পরকীয়াকারী ব্যক্তির বিবাহিত সঙ্গী তার সাথে বিবাহবিচ্ছেদের জন্য কোর্টে আবেদন করতে পারেন।

তবে কিছু ইসলামি রাষ্ট্রসমূহে এর জন্য কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে, যা হল পাথর নিক্ষেপ করে মৃত্যুদন্ড প্রদান। মনোচিকিৎসায় একথা স্বীকৃত যে, পিতামাতার পরকীয়া সন্তানের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর এবং সামাজিক সম্পর্ক ও যোগাযোগে বিরূপ প্রভাব ফেলে এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা সন্তানের মানসিক বিষন্নতার ও আগ্রাসী মনোভাবের জন্ম দেয়। এছাড়া পারিবারিক ও দাম্পত্য সম্পর্কের অবনতিতে পরকীয়া প্রভাব রাখে ।

জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের চাইল্ড অ্যাডোলসেন্ট ও ফ্যামিলি সাইকিয়াট্রি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন –

“মনোদৈহিক ও সামাজিক কারণে মানুষ পরকীয়ায় জড়ায়। প্রথমে আসে দৈহিক বিষয়। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যৌন সম্পর্কে অতৃপ্তি থেকে অনেকে এ সম্পর্কে জড়ায়। সেক্স মানুষের একটি শরীরবৃত্তীয় চাহিদা। যদি স্বামী-স্ত্রীর যৌনজীবন দুর্বল হয়, তাহলে অপর ব্যক্তির প্রতি আসক্তি তৈরি হতে পারে। কারো মধ্যে যদি DRD4 জিনের উপস্থিতি বেশি হয়, তাঁদেরও পরকীয়া বা বাড়তি সম্পর্কে জড়ানোর প্রবণতা থাকতে পারে।

অনেক সময় মানসিক সমস্যার কারণেও মানুষ পরকীয়ায় জড়াতে পারে। যাঁদের মধ্যে বাইপোলার মুড ডিজঅর্ডার আছে, তাঁদের পরকীয়ার সম্পর্কে জড়ানোর প্রবণতা দেখা যায়। তাঁরা কোনো কিছুর মধ্যে স্থিরতা খুঁজে পায় না।

সঙ্গীর উদাসীনতা ও দূরত্বের কারণেও অনেক সময় মানুষ পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে জানিয়ে তিনি বলেন, অনেক সময় স্বামী-স্ত্রী বাস্তবতার কারণে, কাজের কারণে হয়তো দূরে চলে যায়। তখন তাঁদের মধ্যে পরকীয়ার আগ্রহ বাড়ে। অনেক সময় পশ্চিমা সংস্কৃতির ধাঁচ নিজেদের মধ্যে আনতে চায়, তখন পরকীয়া বাড়ে। এ ছাড়া স্বামী-স্ত্রীর দ্বন্দ্ব, দূরত্ব ইত্যাদির জন্যও অন্যের প্রতি আগ্রহ, আসক্তির ঘটনা ঘটে”

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তানজির আহম্মদ তুষার বলেন –

“প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে পরকীয়ার বিষয়টি চলে আসছে। উন্নয়ন ও মঙ্গলের কথা চিন্তা করে মানুষ একগামী। তবে মানুষ মূলত বহুগামী। পরকীয়াতে যেকোনো একজনকে বিবাহিত হতে হবে অথবা দুজনই বিবাহিত থাকতে পারেন”।

মানুষ কেন পরকীয়ায় জড়ায় –

এ বিষয়ে তানজির আহম্মদ বলেন – “এক ধরনের প্রয়োজন বা চাহিদার কারণে মানুষ পরকীয়ায় জড়ায়। অনেক সময় শারীরিক প্রয়োজন থাকে। আর্থিক প্রয়োজন থাকে। স্ট্যাটাস বাড়ানোর জন্যও কেউ কেউ পরকীয়ায় জড়ায়। অনেক সময় মানসিক প্রয়োজন থাকে। আবার কিছু বিষয় শেয়ার করতে করতে অনেকে একসময় পরকীয়ায় জড়িয়ে যায়।

অতিরিক্ত নির্ভরতা থেকেও পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়তে পারে, আবার অনেক সময় অবস্থার কারণেও হয়তো পরকীয়ায় জড়ায়। হতে পারে একসঙ্গে কোথাও বেড়াতে গেল। একপর্যায়ে হয়তো ভালো লেগে গেল। তখনও পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। আবার দীর্ঘসময় একসঙ্গে কাটাতে কাটাতে, বন্ধুত্ব থেকেও অনেক সময় পরকীয়া হয়ে যায়। অনেকে শখ থেকেও পরকীয়ায় জড়ায়।

অন্য আরেকটি শরীর কেমন, একে জানার একটি আগ্রহ থাকে। অনেকে আবার ভাবে, ‘ওরা কি সুখী! এই মানুষটির সঙ্গে থাকতে পারলে হয়তো আমার অনেক সুখ লাগত।’ এ থেকেও অনেকে ওই ব্যক্তির প্রতি আগ্রহ অনুভব করে। অনেক সময় মিডিয়াও পরকীয়ার প্রবণতা তৈরি করে। বিভিন্ন ধরনের পর্নোসাইট দেখে পরকীয়ার প্রতি আগ্রহ তৈরি হতে পারে। আসলে অধিকাংশ মানুষেরই একটি বাড়তি চাহিদা থাকে। তবে সামাজিক ও ধর্মীয় নিয়মনীতির কারণে এ সম্পর্কে জড়ায় না। অনেকে কিছু সুবিধা আদায়ের জন্য পরকীয়া করে জানিয়ে তিনি বলেন, হয়তো আর্থিক সাহায্য পাবে এ সম্পর্কে জড়ালে, এমন ভাবনা থেকেও কেউ কেউ পরকীয়ায় জড়ায়”।

সাইকোলজিস্ট ইশরাত জাহান বীথি বলেন –

পরকীয়ার পেছনে জড়ানোর একটি বড় কারণ হলো শূন্যতা। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যখন শূন্যতা তৈরি হয়, তখন আরেকজন সেখানে প্রবেশ করে। হয়তো স্বামী বা স্ত্রীর আর আগের মতো করে কথা বলে না বা আদর করে না। যত্ন কম নেয়। এই বিষয়গুলোর কারণে অন্যের প্রতি আসক্তি তৈরি হয়। স্বামী-স্ত্রী দূরে থাকলেও এ সমস্যা হতে পারে। মেয়েদের বিয়ের আগে হয়তো যৌন চাহিদা তেমন থাকে না। বিয়ের পর তাঁরা বুঝতে পারে বিষয়টি। শুধু যৌনতায় অংশগ্রহণ নয়, কথাবার্তায়ও বিষয়টি থাকতে হয়। তখন যদি অন্য কেউ সেই কথাগুলো শোনায়, তাহলে তাঁর প্রতি আগ্রহ কাজ করে।

শারীরিক গঠন এ ব্যাপারে কাজ করতে পারে। কিছু কিছু ছেলে চিকন স্বাস্থ্যের মেয়ে পছন্দ করে। আবার কিছু কিছু ছেলে হয়তো একটু স্থুল স্বাস্থ্যের মেয়ে পছন্দ করে। সন্তান হওয়ার পর অনেক মেয়ে স্থুল হয়ে যায়। এতে স্ত্রীর প্রতি আগ্রহ কমে যেতে পারে। আবার নারীর বেলায়ও অনেকে হয়তো খুব হ্যান্ডসাম ছেলে পছন্দ করে, যা হয়তো তাঁর স্বামীর সঙ্গে মেলে না।

স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ছোট ছোট চাওয়াগুলো হয়তো পূরণ হচ্ছে না। হয়তো স্ত্রী চাঁদ দেখতে পছন্দ করে, স্বামী সেটিকে বিলাসিতা মনে করে। এ রকম সময় অন্য কেউ যখন সেই জায়গায় আসে, তখন নির্ভরতা বেড়ে যায়। আবার অনেকে ভাবে, আমি তো একসঙ্গে দুটোকেই ব্যালেন্স করছি। তাই আমি এমন একটি সম্পর্ক করতেই পারি।

আবার অনেকে মনে করেন, স্বামী বা স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও খুব ভালো একজন বন্ধু অথবা বান্ধবী থাকতে পারে। যার সঙ্গে মানসিক শেয়ারিং ও শারীরিক সম্পর্ক—দুটো বিষয়ই থাকতে পারে। এটা দোষের কিছু নয়। কারণ, বন্ধুত্বের সম্পর্কে কোনো প্রতিজ্ঞা নেই। যে কেউ যেকোনো সময় হয়তো এখান থেকে সরে আসতে পারে। একে অনেকে পরকীয়া বলে মনে করে না।

আবার অনেকে বিবাহবিচ্ছেদের পর বৈবাহিক সম্পর্কে জড়াতে চায় না। বিবাহিত কারো সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে নিজের চাওয়াগুলো পূর্ণ করতে চায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মানসিক ও শারীরিক প্রয়োজন মেটানোর বিষয়টিই এখানে মুখ্য হয়। এসব ভাবনা ব্যক্তিকে পরকীয়ার প্রতি আকৃষ্ট করে তোলে বলেই মনে করেন ইশরাত শারমীন রহমান।”

বিয়ে করুন যথা সময়ে, এর স্বাস্থ্যগত সুফল অনেক!

বিয়ের কথাটা শুনলেই কেমন যেন লাগে। চিন্তার বিষয়, বয়স হয়েছে তো! সে যাই হোক। বিয়ে করুন উপযুক্ত সময়ে। কারণ বিয়ে করার স্বাস্থ্যগত সুফল অনেক! কি ধরণের সুফল থাকতে পারে বিয়ে করার পর?

কেউ যদি মনে করে থাকেন বিয়ে করার কারণে আপনার মৃত্যুর দিন তাড়াতাড়ি ঘনিয়ে আসবে তাহলে আপনি ভুল ভাবছেন। কারণ ২০১৩ এর এক রিসার্চে দেখা গেছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জন্ম গ্রহণকারীদের মধ্যে যারা অবিবাহিত তারা বিবাহিত অথবা দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের মধ্যে যারা আছে তাদের তুলনায় তাড়াতাড়ি মারা যায়। এর কারণ হিসেবে দেখা গেছে জীবনসঙ্গী মানুষকে আবেগ অনুভূতি বাড়িয়ে দেয়, সামাজিকভাবে একত্রে রাখে, মানসিকভাবে সমর্থন দেয়, যার সব কিছুই সুস্থ স্বাভাবিক স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন।

মানসিক চাপ কম থাকে :

যদিও মাঝে মাঝে ঝগড়া লাগে তারপরও তার উপস্থিতি আপনার মনে এক ভালো লাগার অনুভূতি ছড়িয়ে দিবে। মানুষ যখন কোন মানসিক চাপের মধ্যে থাকে তখন শরীরে স্ট্রেস হরমোনের পরিমাণ বেড়ে যায়। এই স্ট্রেস হরমোন বিবাহিতের চেয়ে অবিবাহিতদের শরীরে দ্রুত বৃদ্ধি পায়। অতিরিক্ত পরিমাণে মানসিক চাপ শরীরে সমস্যার জন্ম দেয়, বিশেষ করে হজমের সমস্যার সৃষ্টি করে। রিসার্চে জানা গেছে স্ট্রেস হরমোন বিবাহিতদের শরীরে সেরকম ভাবে ক্ষতি করতে পারে না কিন্তু অবিবাহিতদের শরীরে নানা সমস্যার বাসা তৈরি করে।

হার্ট এ্যাটাকের সম্ভাবনা হ্রাস পায়:

ভালোবাসা হৃদযন্ত্রকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে যারা বিবাহিত অথবা কোন সম্পর্কের মাঝে আছে তাদের হার্ট-অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা নিঃসঙ্গ মানুষের চেয়ে কম। গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে যে সঙ্গীর নিবিড় সঙ্গ এবং নতুন পরিবারের নতুন সব আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু- বান্ধবের সাথে ভালো বন্ধনের কারণে হার্ট-অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকাংশে হ্রাস পায়। কারণ পরিবারের সাথে থাকলে মানুষ উৎফুল্ল থাকে। মনে কোন মানসিক চাপ থাকলে তা শেয়ার করতে পারে। এতে মনের উপর চাপ কম পড়ে।

বিয়ে শরীরের হাড় মজবুত করে। অবাক হচ্ছেন? আসলেও তাই। বিয়ে শরীরের হাড় শক্ত করে এবং বিভিন্ন হাড়ের রোগের ঝুঁকি কমায়। বিয়ে হাড়ের খনিজ ঘনত্ব ঠিক রেখে হাড়ের এক ধরণের রোগ “অস্টিওপরোসিস” হওয়ার ঝুঁকি কমায়। একজন ভালো জীবনসঙ্গী পত্নীর মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে হাড়কে ক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করে। তাই সুখী দাম্পত্য জীবন মহিলাদের হাড়ের খনিজ ঘনত্ব ঠিক রাখার জন্য জরুরী।

অস্ত্রোপচারের পর দ্রুত সুস্থ হওয়া:

কেউ যখন আপনার পাশে সারাক্ষণ থেকে আপনার পরিচর্যা করবে তখন আপনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। কিন্তু আপনি যখন একা থাকবেন সে ক্ষেত্রে আপনার সুস্থ হতে অনেক সময় লেগে যাবে। কারণ তখন আপনার সব কাজগুলো আপনার নিজেরই করতে হবে। এছাড়াও আপনি যখন কার সান্নিধ্যে থাকবেন তখন বেঁচে থাকার একটা কারণ খুঁজে পাবেন। এক্ষেত্রে জীবন সঙ্গী আপনার বেঁচে থাকার অবলম্বন হয়ে দাঁড়ায়।

অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর ঝুঁকি কমে:

জীবনে কতবার আপনি আপনার জীবনসঙ্গীকে আকস্মিক দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা করেছে? গবেষণায় দেখা গেছে তালাক প্রাপ্ত মহিলা এবং পুরুষেরা বিবাহিতদের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণ বেশি অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যায়। গবেষকদের মতে বিয়ে দুটি মানুষকে পাশাপাশি রাখে এবং এসব অনাকাঙ্ক্ষিত পরিণামের হাত থেকে রক্ষা করে।

বিষণ্ণতা কমায়:

একাকীত্বের কারণে অথবা অন্য সমস্যার কারণেও মানুষ বিষণ্ণতায় ভুগতে পারে। আর মানুষ যখন হতাশায় ভুগে তখন কি পরিমাণ মানসিক বিপর্যয় ঘটছে তার নিজের, তা সে বুঝতে পারে না। কারণ বিষণ্ণতার প্রথম উপসর্গ হচ্ছে আত্ম-উপলব্ধির হ্রাস পাওয়া। তাই বিষণ্ণতাকে সনাক্ত করতে এবং দূর করতে প্রয়োজন একজন সঙ্গীর। যে সব সময় আপনার সাথে থাকবে, যার সাথে আপনি সবকিছু শেয়ার করতে পারবেন।

ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়:

২০১৩ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, যে সকল মানুষ মরণ ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিল তাদের মধ্যে শতকরা ২০ ভাগ এর বেশি মানুষ আরোগ্য লাভ করতে সক্ষম হত যদি তারা বিবাহিত হত। এই সাফল্যের হার কেমোথেরাপির থেকেও বেশি। একটি স্বাভাবিক স্থিতিশীল সম্পর্কই প্রথম ধাপের ক্যান্সার সনাক্ত করতে পারে। আর এই বন্ধনই ক্যান্সারের সাথে লড়ে সুস্থ হওয়ার অনুপ্রেরণা যোগায়। একজন উপর্যুক্ত সঙ্গিনী তার সঙ্গীকে খারাপ এবং জীবনের জন্য ঝুঁকিকর কাজ করা থেকে বিরত রাখতে পারে। যেমনঃ মদ্যপান, মাদক সেবন ইত্যাদি।

স্মৃতিভ্রংশ প্রবণতা কমায়:

যদি জীবনে এমন সঙ্গী থাকে যার কাছে গেলে মনে শান্তি আসে তাহলে বার্ধক্য কখনো তাকে স্পর্শ করতে পারে না। গবেষণায় দেখা গেছে যারা তালাকপ্রাপ্ত হয়ে পুনরায় বিয়ে করে নি তাদের স্মৃতি শক্তি নষ্ট হওয়ার প্রবণতা প্রায় তিন গুন বেশি হয় এবং যারা মাঝ বয়সে বিধবা হওয়ার পর আর বিয়ে করেনি তাদের স্মৃতিভ্রংশ প্রবণতা ছয়গুণ বেড়ে যায়। গবেষকরা বলেন বিবাহিত এবং সারাজীবন মানসিকভাবে এবং সামাজিকভাবে পাশাপাশি থাকলে মন প্রফুল্ল থাকে এবং স্মৃতি শক্তি কম হ্রাস পায়।

বিভিন্ন অসুখ থেকে মুক্তি:

সুখী দম্পতিদের কখনো টাইপ -২ ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যা, ফাইব্রোমাইলজিয়া মত অসুখ হতে দেখা যায় না। যেকোনো জিনিস নিয়ে অতিরিক্ত মানসিক চাপ শরীরে উপর খারাপ ভাবে প্রভাব ফেলে। তাই সুস্থ থাকতে হলে সুখী দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত করা অতীব জরুরী।

জীবনসঙ্গী খুঁজতে বিবাহবিডি

উচ্চ শিক্ষা শেষে প্রতিষ্ঠিত হবার পরেও যদি আপনার  অথবা  পরিবারের প্রিয় সদস্যটির জন্য উপযুক্ত সঙ্গীর সন্ধান না পাওয়ায় কারনে বিয়ের ব্যাপারে সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগে থাকেন তবে আপনার জন্যই অনলাইন বেইজ ম্যাট্রিমনিয়াল সার্ভিস বিবাহ বিডি ডট কম। ঘরে বসেই ফ্রী রেজিষ্ট্রেশন করে  চাহিদা অনুযায়ী পাত্র/পাত্রীদের প্রোফাইল (ছবি সহ বায়োডাটা) দেখে পাত্র/পাত্রী কিংবা অভিভাবকের সাথে সরাসরি নিজেরাই যোগাযোগ করতে সক্ষম হবেন এবং তা অতি দ্রুততম সময়ের মধ্যে ।

কেমন জীবনসঙ্গী খুঁজবেন?

বিয়ে মানুষের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। নতুন জীবন শুরু করতে জীবনসঙ্গীর কিছু দিক অবশ্যই যাচাই করে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত এবং তাড়াহুড়া একেবারেই না। আসুন দেখি কোন দিক গুলো অবশ্যই বিবেচনায় আনতে হবে।

শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ

জীবনসঙ্গী খুঁজার ক্ষেত্রে অবশ্যই ব্যক্তির শিক্ষাগত যোগ্যতা আপনার কাছাকাছি বা সমপরিমাণ কিনা বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে নিবেন। অতিরিক্ত শিক্ষাগত যোগ্যতা বা কম শিক্ষা এরকম কাউকে নিয়ে ভাবেন না।

বয়সের পার্থক্যঃ

যাকে জীবনসঙ্গী বানাবেন ভাবছেন তার বয়সের সাথে আপনার বয়সের দূরত্ব কম বা বেশী না হয় এ বিষয়টি খেয়াল রাখবেন। পারিবারিক মতামতঃ যারা পারিবারিকভাবে বিয়ের জন্য জীবনসঙ্গী খুঁজছেন তারা পরিবারের মতামত বুঝে সিদ্ধান্ত নিন এতে করে পরিবারের সাথে আপনার জীবনসঙ্গীর সম্পর্ক ভালো থাকবে।

পেশাঃ

জীবনসঙ্গী বাছাইয়ে ব্যক্তির আর আপনার পেশা কি তা দেখে নিন। ভবিষ্যতে দুজন পেশাগত বিষয়ের দিকগুলো মানিয়ে নিতে পারবেন কি না এ বিষয়টি অবশ্যই খেয়ালে রাখবেন।

পারিবারিক কালচার ও আর্থিক অবস্থাঃ

পারিবারিক কালচার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দুই পরিবারেরে মধ্যে সম্পর্কের আন্তরিকতা বাড়ে বা থাকে, যদি পারিবারিক কালচারগত বিষয়ে সামঞ্জ্যসতা থাকে। দুই পরিবারের পারিবারিক আর্থিক অবস্থার সামঞ্জস্য কতটুকু এ বিষয়টি দেখুন।

ব্যক্তির আচরণঃ

যাকে জীবনসঙ্গী বানাবেন ভাবছেন শুধু তার গুনের প্রশংসা বা সৌন্দর্য না দেখে তার আচরনের প্রতিও খেয়াল রাখুন। আপনি একজন ব্যক্তির সাথে কিছুক্ষণ কথা বললেই বুজতে পারবেন তার আচরণগত কোন সমস্যা আছে কিনা বা তার কোন অভ্যাস যা আপনার পরে পছন্দ নাও হতে পারে।

দায়িত্ববান ও কর্মক্ষমঃ

একটি নতুন সংসার শুরু করতে নারী-পুরুষ দুজনের ভূমিকা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে একজন দায়িত্ববান ও কর্মিক হবেন আরেকজন উদাসীন তা হলে সংসার শুরু হবে অশান্তি দিয়ে। তাই জীবনসঙ্গী বাছাইয়ে এ গুনাবলি আছে কিনা যাচাই করে নিন।

শারীরিক বিষয়ঃ

যাকে বিয়ে করবেন তার শারীরিক গঠন আপনার সাথে মানায় কি না খেয়াল রাখুন। ব্যক্তি স্বাস্থ্যগত দিক থেকে ঠিক আছে কিনা যাচাই করে নিন।

মানসিক প্রস্তুতিঃ

যাকে বিয়ে করতে চাচ্ছেন সে কি বিয়ের জন্য মানসিকভাবে তৈরি কিনা তা বোঝার চেষ্টা করুন। যদি সে বিয়ের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকে তাহলে ভাবতে পারেন।

জীবনসঙ্গী খুঁজার ক্ষেত্রে গুণবতী,সুন্দরী বা ছেলের অবস্থান বিষয়গুলো যাচাই করা ছাড়াও অনেক বিষয় রয়েছে যা আমরা দেখা প্রয়োজন মনে করি না। ফলে বিয়ের পর সংসারের অধ্যায় শুরু হয় ঝামেলা দিয়ে। তাই জীবনসঙ্গী খোঁজার ক্ষেত্রে অবশ্যই এ বিষয়গুলো প্রত্যেকের খেয়াল রাখা উচিত।

পরিস্থিতি বুঝে সম্পর্ক

ভালোবাসা বা প্রেমের সম্পর্ক চাই খুব গোছালো আর মানুষটা তো হবে একদম নিখুঁত। একটি সম্পর্কে যাওয়ার সময় সবারই মনে থাকে রঙিন প্রত্যাশা। সাধারণত ভঙ্গুর বা এলোমেলো কারো সাথে সঙ্গী হতে চায় না কেউ। অথচ ভালোবাসার মূল্য কিন্তু এ মানুষগুলোই দিতে পারে।

যে কারনে কারো খারাপ সময়ের সঙ্গী হবেনঃ

আপনি যখন দুঃসময়ে কারো সাথে সম্পর্কে জড়াবেন তখন সে আপনাকে মিথ্যা স্বপ্ন দেখাবে না এতে করে আপনি প্রত্যাশার জালে ডুবে থাকবেন না বিধায় কষ্টও পাবেন না।

আবেগের চেয়ে বাস্তবতার উপলব্ধি উভয়ের মাঝে বিরাজ করবে যা আপনাদের সম্পর্কে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

কাউকে গড়ে নেয়ার মাঝে আলাদা একটা সুখ আছে। নিজে কিছু তৈরি করলে যেমন মনে এক ধরনের আনন্দ পাওয়া যায়।

কারো খারাপ সময়ে যদি তার সঙ্গী হতে পারেন তাহলে বন্ধুত্বের জায়গাটা সহজেই তৈরি হয়ে যায়। সম্পর্কে বন্ধুত্ব সম্পর্ক খুব জরুরী।

আপনি যখন তার দুঃসময়ে পাশে থাকবেন পরবর্তীতে আপনাকে নিয়েই তার ভালো সময় কাটাবে তাই চলার পথে হতাশ হবেন না।

স্বাভাবিক ভাবে সে আপনাকে অবিশ্বাস করতে পারে যে আপনিও হয়তো তার জীবন থেকে চলে যাবেন এমন অবস্থায় তাকে মানসিক শক্তির যোগান দিন। তাকে বলুন আপনি তার পাশে আছেন ও সারাজীবন থাকবেন।

আপনার প্রতি সঙ্গীর আস্থা বাড়াতে তাকে নিয়ে ঘুরতে যেতে পারেন বা তার সাথে বেশী সময় কাটান। এতে করে ব্যাক্তি যে খারাপ সময় কাটাচ্ছে সে বিষয় থেকে তার মনোযোগের পরিবর্তন ঘটবে।

সম্পর্কে শ্রদ্ধাবোধ রাখুন। তার ভালো লাগা আর আপনার ভালো লাগার মধ্যে অমিল হতে পারে তাই ধৈর্য্য রাখুন।

কারো খারাপ সময়ে পাশে থাকার ফলে সম্পর্কের ভালো সময়গুলো আসতে সময় লাগে, ধীরে ধীরে সম্পর্কের গুরুত্ব বাড়ে। আর এ সম্পর্ক গুলো সহজে ভাঙ্গে না বরং সুখী হয়।

কারো ভালো সময়ে তার সাথে সম্পর্কে জড়ানোর চেয়ে তার খারাপ সময়ে তাকে ভালোবাসুন এতে আপনি যেমন কাউকে নতুন জীবন গড়ার সুযোগ দিচ্ছেন তেমনি এর থেকে ভালো প্রতিদান সে আপনাকে দিবে।

জর্জ চ্যাপম্যানের মতে-

‘ভালোবাসা পাওয়ার চাইতে ভালোবাসা দেওয়াতেই বেশি আনন্দ।’

সম্পর্কে যত্নশীল আচরণ

জীবনসঙ্গীকে কেবল ভালবাসলেই হয়না ভালো রাখতেও জানতে হয়। আপনি হয়তো আপনার জীবনসঙ্গীকে ভালবাসছেন ঠিকই কিন্তু আপনি তার প্রতি যত্নশীল নন। এতে করে কিন্তু আপনাদের সম্পর্ক হঠাৎ বিরুপ হয়ে যেতে পারে।

সম্পর্কের যত্নশীল আচরণ গুলো কি?

যোগাযোগঃ

আপনি হয়তো খুব ব্যস্ত অথবা সময় করে জেনে নিচ্ছেন আপনার সঙ্গী কি করছে, কেমন আছে, ঠিকঠাক ভাবে আছে কিনা এ বিষয়গুলো হল সঙ্গীর প্রতি যত্নশীল আচরণ। আর আপনি যখন এ বিষয়গুলোর খোঁজ রাখছেন না ব্যস্ততার জন্য বা মনের ভুলে তখন বিষয়টি দাঁড়ায় সম্পর্কের প্রতি অযত্নশীল আচরণ যা আপনার সম্পর্কের মাঝে একসময় দূরত্ব তৈরি করবে।

একান্ত সময় কাটানঃ

দাম্পত্য সম্পর্কে যে বিষয়টি প্রতিদিন করা উচিত তা হল দুজন একান্ত কিছু সময় কাটানো। আপনাদের একান্ত সময়ে আপনারা পরস্পরের ভালো লাগা, অভিমান, অভিযোগ, চাওয়া-পাওয়া বিষয়গুলো বুজতে পারবেন তাই কিছু সময়ের জন্য হলেও একান্ত সময় কাটান।

কাজে সহযোগিতা করাঃ

সাংসারিক বা ব্যক্তিগত যেকোনো ধরনের ছোট-বড় কাজে আপনার সঙ্গীকে সহযোগিতা করুন এতে করে আপনার সঙ্গী আপনার প্রতি ভরসা পাবে। দাম্পত্যে সম্পর্কে কাজে সহযোগিতা বিষয়টি নিয়ে স্বামী-স্ত্রী মধ্যে বেশ হিসাবনিকাশ হয় যার ফলে ঝগড়া হতে থাকে।

মানসিক অবস্থার খোঁজ নিনঃ

মানসিক অবস্থা ব্যক্তির আচরণের উপর প্রভাব ফেলে। যেমন- আপনার সঙ্গী অকারনে রেগে যাচ্ছে, বিষণ্ণ থাকছে, কথা কম বলছে, উদাসীন হয়ে যাচ্ছে এসব আচরণ যদি দেখতে পান তাহলে তার থেকে জেনে নিন কেন সে ভালো নেই। যখন আপনার সঙ্গী তার মনের অবস্থা আপনার কাছে জানাবে হতে পারে কিছু বিষয় আপনার তাকে সঠিক মনে হচ্ছে না তাই বলে ঐ অবস্থায় তাকে এমন কিছু বলবেন না যাতে তার কষ্ট আরও বেড়ে যায়। ঠিক এরকম সময়ে তার কথাগুলো জানুন ও তাকে হালকা হতে দিন। এছাড়া আপনারা দুজনই আপনাদের ব্যাপারে পরস্পরের কাছে সচ্ছ থাকুন।

শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানুনঃ

আপনার সঙ্গীর শারীরিক সকল অবস্থা ভালো আছে কিনা সে বিষয় খোঁজ নিন। এ খোঁজ নেয়াটা যেন শুধু জৈবিক চাহিদার জন্য না হয়ে থাকে। শারীরিক সুস্থতা মানুষের মানসিক অবস্থার উপরও প্রভাব ফেল। যদি আপনার সঙ্গী অসুস্থ থাকে তাহলে তার সেবা করুন। মনে রাখবেন ডাক্তার দেখানো আর ওষুধ কেনা কারো প্রতি যত্নশীল আচরণ হতে পারেনা।

সম্মান করুনঃ

সম্পর্কে সম্মান প্রদর্শন বিষয়টি থাকা অতি জরুরী। আপনাদের মাঝে হয়তো পর্যাপ্ত প্রেম-ভালোবাসা রয়েছে আবার আপনি যখন তখন হয়তো যা তা আচরণ পরিবার, বন্ধুবান্ধব বা বাহিরের কারো সামনে সঙ্গীর সাথে করে ফেলছেন এতে করে কিন্তু আপনার প্রতি তার মনোভাব ও সম্মান নষ্ট হতে থাকবে যা আপনাদের সম্পর্কে ধীরে ধীরে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

সঙ্গীর ইচ্ছেকে প্রাধান্য দিনঃ

আপনার সঙ্গীর ছোট-বড় চাওয়া বা আবদারগুলো পূরণ করার চেষ্টা করুন। হতে পারে আপনার সঙ্গী অসময়ে ঘুরতে যেতে চাচ্ছে অথবা কিছু কিনতে চাইছে তার চাওয়া পাওয়া গুলো পূরণ করুন এতে করে আপনার সঙ্গী একসময় আপনার ইচ্ছেগুলোকে তার ইচ্ছের চেয়ে বড় করে দেখবে।

মাঝে মধ্যে সঙ্গীকে চমকে দিনঃ

আপনার সঙ্গীর ভালো লাগা কিছু উপহার দিয়ে মাঝে মধ্যে তাকে চমকে দিন। কখনও কখনও আপনার বা তার ব্যস্ততার মাঝে ফোন করে বলুন ঘুরতে যাবেন এভাবে চমকে দিন। ব্যস্ততা কে ছুটি দিয়ে দুজন ভালো সময় কাটান এতে দুজনার মানসিক অবস্থা সম্পর্কে ভালো থাকবে।

সঙ্গীর পরিবারের প্রতি আন্তরিকতা প্রকাশ করুনঃ

আপনি সঙ্গীকে ভালবাসছেন, ভালো রাখছেন কিন্ত তার পরিবারের সাথে আপনার সম্পর্ক তেমন ভালো নয় বা আপনি ভালো ব্যবহার করছেন না এতে করে আপনার সঙ্গী পরিবারের কাছে ছোট হচ্ছে। সঙ্গীর পরিবারের প্রতি আন্তরিক হন এতে আপনার সঙ্গীর প্রতি অনেকটা যত্নশীল আচরণের বহিঃপ্রকাশ পায়।

কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুনঃ

আপনার সঙ্গী আপনার খুশির জন্য কিছু করলে তাতে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন। যেমন- আপনার জন্য রান্না করা, উপহার দেয়া, আপনার পছন্দমত ঘর সাজানো ইত্যাদি বিষয়ে তার করনীয় কাজে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন।

দাম্পত্য সম্পর্ক মানে কেবল প্রেম-ভালবাসা, জৈবিক চাহিদা বা অর্থ-সম্পদ নয়। একটি সম্পর্কে যত্নশীল আচরণ থাকা প্রয়োজন।

একটা ঠিকানা চাই

স্বাধীনতা পাওয়ার পর মানুষ আবার পরাধীন হতে চায়। মানুষ যখন কারো সঙ্গী হয়ে জীবনযাপন করেন একটা সময় সে সব ছেড়ে খোলা আকাশের মুক্ত পাখি হতে চায়। আবার মানুষ যখন খোলা আকাশে মুক্ত পাখি থাকে দিন শেষে সন্ধ্যা ঘনালে সে একটা ঠিকানা চায়।

এ ঠিকানা খোঁজাটা যেন ঠিক কবি নির্মলেন্দু গুনের কবিতার মতন-

আমি বলছিনা ভালো বাসতেই হবে:

আমি চাই,

কেউ একজন আমার জন্যে অপেক্ষা করুকশুধু ঘরের ভিতর থেকে দরজা খুলে দেবার জন্য…

জীবনকে একাকিত্বের জটিলতার কাঠগড়ায় দাড় করিয়ে রাখলেও মানুষ বেশ পরাধীন হতে চায়। খুব বেশী চাওয়া-পাওয়া নয় শুধু পাশে কেউ একজন থাকুক আর তার স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করুক এরকম একটা ঠিকানা চায় অনেকেই।

তেমনি কবি আব্দুল্লাহ আল মামুন তার কবিতায় সব কিছুর উর্ধে একজন মানুষকেই চেয়েছেন-

আমার একটা মানুষ চাই, মনের মত মানুষ চাইযে মানুষের মাঝে আমি, রাত-বিরাতে প্রতীক্ষণনিজেকে খুঁজে পাই ।

ভালোবাসার মানুষের সাথে বিচ্ছেদ অথবা বিয়ের পর বিচ্ছেদ মানুষকে যখন একা করে দেয়, তখন এ একাকী জীবন অতিক্রমের মধ্যে দিয়ে মানুষ পাশে কাউকে পাওয়ার প্রয়োজন অনুভব করেন। দেখা যায় অধিকাংশ বিচ্ছেদ ঘটে স্বাধীনতা না পাওয়ার অভিযোগে আবার তারাই পরাধীনতার গতিতে জীবন গড়ার ইচ্ছা অপ্রকাশিত রাখেন। স্বাধীনচেতা মানুষ সব দিক থেকে স্বাধীন হলেও একাকীত্ব তাদের জীবনে নানাভাবে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।যেমন-

হতাশায় ভোগা, গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিলম্ব, আত্মহত্যার প্রবনতা, মাদক গ্রহণ, মানসিক চাপ, জীবনের কোন অর্থ খুঁজে না পাওয়া, সমাজরোধী আচরণ, স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি যেমন স্ট্রোক / হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা।

গবেষকদের ভাষ্যমতে- একাকীত্ব এবং সামাজিক বিচ্ছিন্নতা দুটি একেবারেই ভিন্ন বিষয়। অনেকের মাঝে থেকেও একাকীত্ব বোধ করা অথবা একা থাকতে পছন্দ করা দুই ক্ষেত্রেই বেঁচে থাকার বিষয়টি প্রভাব ফেলে। বৃদ্ধ বয়সে বেশিরভাগ মানুষ একাকীত্বে ভোগেন। তাদের মৃত্যুর আশঙ্কাও থাকে বেশি। তবে তরুণদের মধ্যে এই ধরণের মৃত্যুর আশঙ্কা বয়স্কদের তুলনায় বেশি থাকে।আরও জানা যায়, সামাজিক বিচ্ছিন্নতা কিংবা নিঃসঙ্গ জীবনযাপনের ফলে ৬৫ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে অকাল মৃত্যুর প্রবণতা বেশি দেখা যায়।

সিদ্ধান্ত নিন ভেবে চিন্তে

দাম্পত্য জীবনে সবসময় সুন্দর পরিস্থিতি বিরাজ করে না। তবে দাম্পত্য জীবন ভালো রাখতে আপনাকে যেকয়টি গুনাবলী অর্জন করতে হবে তার মধ্যে অন্যতম হলো “সিদ্ধান্ত গ্রহন”। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে, সঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে না পারার কারনে পারস্পারিক সম্পর্ক খারাপ পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়।

যে সিদ্ধান্তগুলো সম্পর্কে হিতের বিপরীতে কাজ করেঃ

মানুষ সব থেকে ভুল সিদ্ধান্ত তখনই নেয় যখন সে রাগের মাথায় সিদ্ধান্ত গ্রহন করে, তাই সিদ্ধান্ত গ্রহন করুন ঠাণ্ডা মাথায়।

মানুষ কি বলছে বা বলবে এ বিষয়টি কে পাত্তা যতই দিবেন দাম্পত্যে সম্পর্ক ততই বিগড়ে যাবে। যেমন- স্বামীর খারাপ পরিস্থিতি অথবা স্ত্রীর ভালো সাফল্য নিয়ে আশেপাশের মানুষদের বেশ গবেষণা থাকে যা পারিবারিক পরিবেশ নষ্ট করে।

বাচ্চা নেয়ার বিষয়ে সঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত গ্রহনের সুযোগ খুঁজে পান না অনেক দম্পতি কারন একটাই পারিবারিক মুরব্বীদের চাপ ও মানুষ কি বলবে।

দাম্পত্যে বিশ্বাস বিষয়টি পরস্পর পরিষ্কার রাখুন কারন স্ত্রী বা স্বামী যখন সন্দেহ করতে থাকেন এর থেকে একটা সময় সম্পর্কের প্রতিও বিশ্বাস নষ্ট হয়ে যায় যার ফলে বিচ্ছেদ ঘনিয়ে আসতে পারে।

অতিরিক্ত ভবিষ্যৎ নিয়ে পরিকল্পনা আপনার বর্তমান পরিস্থিতিকে মানসিক ও শারীরিক চাপে রাখে ফলে আশা ক্ষুণ্ণ হয়।

দাম্পত্যে সম্পর্কে কি পেয়েছেন আর কি পাননি এসব হিসাবনিকাশ কিন্ত আপনাকে অধিক প্রত্যাশায় নিয়ে যায় ফলে সম্পর্কের খারাপ পরিস্থিতিতে আপনি সিদ্ধান্ত গ্রহনে ভুল করতে পারেন।

দাম্পত্যে জীবনের অন্যতম ভুল সিদ্ধান্ত হল স্বামী-স্ত্রী যখন অন্য দম্পতির জীবন অনুকরণ করতে চায়। ভালো থাকতে চাওয়ার ইচ্ছা ও অধিকার সবারই আছে তবে নিজেদের পরিস্থিতি বিবেচনা করে জীবন সাজানো উচিত।

দাম্পত্যে সম্পর্কে পরস্পরের প্রতি যদি আন্তরিকতা না থাকে তখন স্বার্থপর হয়ে অনেকেই পরিবারে সকল বিষয়ে এককভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে থাকেন যার ফলাফল সম্পর্ক খারাপের দিকে যায়।

দাম্পত্যে সম্পর্কে অবশ্যই স্বামী-স্ত্রী মিলে সকল পরিস্থিতির সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে চেষ্টা করুন। যদি তৃতীয় ব্যক্তির প্রয়োজন মনে করেন তাহলে আপনাদের শুভাকাঙ্ক্ষীর কাছে যান অথবা দাম্পত্যে বিষয়ক কাউন্সিলরের শরাপন্ন হন।

দাম্পত্যে সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনার ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহনের কারনে স্বাভাবিক সম্পর্ক বিরুপ হতে পারে তাই যে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহন করুন ভেবে চিন্তে।

দ্বিতীয় বিয়ে ও সুখী হওয়ার সম্ভাবনা!

বিয়ের পর সুখী সংসার জীবন গড়তে কে না চায়! তবে যে কোন কারনেই হোক প্রথম সংসারের ইতি ঘটে অনেকের জীবনে। সময় ও জীবন থেমে থাকেনা তবে খারাপ সময় অব্যাহত থাকে অনেকদিন, এর মধ্যে দিয়েই মানুষকে আবার বাঁচতে হয় নতুন করে। কেউ হয়তো নতুন ভাবনায় সঙ্গীহীন জীবনযাপন করেন আবার কেউ কেউ নতুন জীবনসঙ্গীর নিয়ে দাম্পত্যে জীবন শুরু করেন।

সম্প্রতি ‘হাফিংটন পোস্টে’র এক প্রতিবেদনে জানানো হয় –

দ্বিতীয় বিয়েতে নাকি সুখী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

যে সকল কারনে দ্বিতীয় বিয়েতে সুখী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছেঃ

স্বাভাবিকভাবে মানুষ পুরনো ভুল পুনরায় করেনা। তাই দ্বিতীয় বিয়েতে ব্যক্তিদের মধ্যে সংশোধন বিষয়টি তৈরি থাকে। যার ফলে দাম্পত্যে সম্পর্ক ভালো থাকে।

মানুষ সঙ্গ প্রিয় তবুও একই ছাদের নিচে নিত্য কলহ দাম্পত্যে সম্পর্কে বিচ্ছেদ ঘটায়। দীর্ঘ সময় মানুষ যখন নিঃসঙ্গ জীবন কাটায় তখন দ্বিতীয় সম্পর্কে কলহ বিষয়টি আসলেও তারা এড়িয়ে চলেন ফলে দাম্পত্যে সম্পর্কে শান্তি বিরাজ করে।

দীর্ঘকালীন সময়ের পুরনো অভিজ্ঞতার ফলে দ্বিতীয় বিয়েতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সমঝোতার বিষয়টি বেশ স্পষ্ট থাকে যার ফলে দ্বিতীয় দাম্পত্য জীবন সুখী হয়।

প্রথম দুর্ঘটনার স্বীকার হওয়ার পর দ্বিতীয় বার জীবনসঙ্গী বাছাইয়ে ব্যক্তিদের মধ্যে আবেগ বিষয়টি নিয়ন্ত্রনে থাকে। এক্ষেত্রে ব্যক্তিগণ যথেষ্ট সচেতন ও যাচাই করে জীবনসঙ্গী বেঁছে নেন। আর তাই তাদের মধ্যে আত্মীক সম্পর্ক শুরু থেকেই লক্ষ্য করা যায়।

অতীতে আস্থাহীনতায় সম্পর্ক কাটানো অভিজ্ঞতার ফলে দ্বিতীয় সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের প্রতি আনুগত্য থাকে তাই দাম্পত্য সম্পর্ক স্বাস্থ্যকর হয়।

বিয়ে প্রত্যেকটি মানুষের জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় যা কেউ অস্বীকার করতে পারবেনা। সমাজ, বিয়ে ও সংসার এ সকল বিষয় নিয়েই সভ্যতা টিকে আছে। বিয়ের পর অনেকের জীবনে ঝড়ঝাপটা আসে অতঃপর ডিভোর্স হয়। তাই বলে ব্যক্তির উচিত নিজের জীবনকে অবহেলা না করে সময় নিয়ে যাচাই করে জীবনসঙ্গী খুঁজে নতুন করে বেঁচে থাকা।

প্রবাদে আছে –

বিয়ে হচ্ছে বুদ্ধিমত্তার বিরুদ্ধে কল্পনার জয়। আর দ্বিতীয় বিয়ে হচ্ছে অভিজ্ঞতার বিপক্ষে আশাবাদের জয়।

প্রপোজাল কে আগে দেবে

পছন্দের মানুষটিকে সরাসরি ভালোলাগার বিষয়টি বলতে না পারলেও কখনও কখনও মনের অভিব্যক্তি তাকে বুঝিয়ে দেয় ‘ভালোবাসি’। অভিব্যক্তির ভাষা যতই স্পষ্ট হোক সরাসরি ভালো লাগার বিষয়টি না বলতে পারার কারনে – প্রিয় মানুষটি এক সময় হারিয়ে যায়। আবার ভালো লাগার কথাটি কে আগে বলবে তা নিয়ে দুই ব্যক্তির মধ্যে কাজ করে সংকোচ।

প্রস্তাব নিয়ে সংকোচবোধ না করে যা করবেনঃ

কারো প্রতি যথেষ্ট দুর্বলতা কাজ করলেও মেয়েরা পছন্দের অনুভূতি প্রকাশে বরাবরই সংকোচের বৃত্তে আটকে থাকে। ভালো লাগা ও প্রকাশ করার অধিকার ছেলে-মেয়ে উভয়েরই আছে। তাই কে কি ভাববে না ভেবে মানুষটিকে জানিয়ে দিন তার প্রতি আপনার ভালোলাগার অনুভূতি।

প্রত্যাখান হওয়ার ভয় ব্যক্তির মানসিক চাপ বাড়ায়। ছেলে বা মেয়ে প্রত্যাখান হওয়ার ভয়ে অনেক সময় অনুভূতি প্রকাশ করতে পারেনা, যার ফলে সম্ভাব্য সম্পর্ক হয়েও আর হয়ে উঠেনা। প্রত্যাখান হওয়ার সম্ভাবনাকে ভয় না করে প্রত্যাখান স্বাভাবিক বিষয় হতেই পারেন এরকম প্রস্তুতি নিয়ে প্রস্তাব দিয়ে নিজের মানসিক অবস্থা হালকা করুন।

প্রস্তাব দেয়ার আগে ব্যক্তিকে জানুন। আপনি যেমনটা তার সম্পর্কে ভাবছেন অথবা তার মনও আপনার কথা ভাবছে এমনটা নাও হতে পারে। তাই আগে সময় নিয়ে ব্যক্তিকে জেনে ভবিষ্যত সম্পর্কের জন্য প্রস্তাব দিন।

হতে পারে ভালো লাগার মানুষটি আপনার চলার পথের বন্ধু অথবা চেনা কেউ, হয়তো বা কারো মাধ্যমে পরিচিত এ ক্ষেত্রে আপনি তার সার্বিক অবস্থা বুঝে সঠিক সময়ে প্রস্তাব দিতে পারেন। অনেক সময় দেখা যায় পরিচিত কাউকে ভালো লাগলে অনেকেই তাড়াহুড়ো করে ভালো লাগার বিষয়টি জানিয়ে ফেলেন যা একেবারেই উচিত নয়।

আবেগ নিয়ন্ত্রনে রেখে সার্বিক বিবেচনা করুন তারপর প্রস্তাব দিন। কাউকে প্রচণ্ড ভালো লাগার ফলে নিজের চাওয়া-পাওয়া অথবা নিজের ভালো থাকা বিষয়টি ভুলে যাবেন না।

প্রস্তাব দেয়ার আগেই সম্পর্কের ভবিষ্যত কি হবে বা বিয়ে হবে নাকি হবে না, এসব নিয়ে অধিক চিন্তা করবেনা। সৎ থাকুন ও ইতিবাচক দিকগুলো ভাবুন।

সম্পর্ক বিষয়ক বিশেষজ্ঞ রেশমি সিনহা বলেন- ‘প্রথম প্রস্তাব দেওয়ার ক্ষেত্রে মেয়েদের বেশি চিন্তিত হতে দেখা যায়। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, সাহসী ও আত্মবিশ্বাসী মেয়েকেই পুরুষ সঙ্গী বেশি পছন্দ করেন।’