সিদ্ধান্ত নিন ভেবে চিন্তে

দাম্পত্য জীবনে সবসময় সুন্দর পরিস্থিতি বিরাজ করে না। তবে দাম্পত্য জীবন ভালো রাখতে আপনাকে যেকয়টি গুনাবলী অর্জন করতে হবে তার মধ্যে অন্যতম হলো “সিদ্ধান্ত গ্রহন”। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে, সঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে না পারার কারনে পারস্পারিক সম্পর্ক খারাপ পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়।

যে সিদ্ধান্তগুলো সম্পর্কে হিতের বিপরীতে কাজ করেঃ

মানুষ সব থেকে ভুল সিদ্ধান্ত তখনই নেয় যখন সে রাগের মাথায় সিদ্ধান্ত গ্রহন করে, তাই সিদ্ধান্ত গ্রহন করুন ঠাণ্ডা মাথায়।

মানুষ কি বলছে বা বলবে এ বিষয়টি কে পাত্তা যতই দিবেন দাম্পত্যে সম্পর্ক ততই বিগড়ে যাবে। যেমন- স্বামীর খারাপ পরিস্থিতি অথবা স্ত্রীর ভালো সাফল্য নিয়ে আশেপাশের মানুষদের বেশ গবেষণা থাকে যা পারিবারিক পরিবেশ নষ্ট করে।

বাচ্চা নেয়ার বিষয়ে সঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত গ্রহনের সুযোগ খুঁজে পান না অনেক দম্পতি কারন একটাই পারিবারিক মুরব্বীদের চাপ ও মানুষ কি বলবে।

দাম্পত্যে বিশ্বাস বিষয়টি পরস্পর পরিষ্কার রাখুন কারন স্ত্রী বা স্বামী যখন সন্দেহ করতে থাকেন এর থেকে একটা সময় সম্পর্কের প্রতিও বিশ্বাস নষ্ট হয়ে যায় যার ফলে বিচ্ছেদ ঘনিয়ে আসতে পারে।

অতিরিক্ত ভবিষ্যৎ নিয়ে পরিকল্পনা আপনার বর্তমান পরিস্থিতিকে মানসিক ও শারীরিক চাপে রাখে ফলে আশা ক্ষুণ্ণ হয়।

দাম্পত্যে সম্পর্কে কি পেয়েছেন আর কি পাননি এসব হিসাবনিকাশ কিন্ত আপনাকে অধিক প্রত্যাশায় নিয়ে যায় ফলে সম্পর্কের খারাপ পরিস্থিতিতে আপনি সিদ্ধান্ত গ্রহনে ভুল করতে পারেন।

দাম্পত্যে জীবনের অন্যতম ভুল সিদ্ধান্ত হল স্বামী-স্ত্রী যখন অন্য দম্পতির জীবন অনুকরণ করতে চায়। ভালো থাকতে চাওয়ার ইচ্ছা ও অধিকার সবারই আছে তবে নিজেদের পরিস্থিতি বিবেচনা করে জীবন সাজানো উচিত।

দাম্পত্যে সম্পর্কে পরস্পরের প্রতি যদি আন্তরিকতা না থাকে তখন স্বার্থপর হয়ে অনেকেই পরিবারে সকল বিষয়ে এককভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে থাকেন যার ফলাফল সম্পর্ক খারাপের দিকে যায়।

দাম্পত্যে সম্পর্কে অবশ্যই স্বামী-স্ত্রী মিলে সকল পরিস্থিতির সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে চেষ্টা করুন। যদি তৃতীয় ব্যক্তির প্রয়োজন মনে করেন তাহলে আপনাদের শুভাকাঙ্ক্ষীর কাছে যান অথবা দাম্পত্যে বিষয়ক কাউন্সিলরের শরাপন্ন হন।

দাম্পত্যে সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনার ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহনের কারনে স্বাভাবিক সম্পর্ক বিরুপ হতে পারে তাই যে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহন করুন ভেবে চিন্তে।