বিবাহ রেজিস্ট্রেশন কেন করতে হবে?

প্রশ্নটির উত্তর অতি ব্যাপক। সংক্ষেপে, সামাজিক মর্যাদা এবং আইনগত অধিকার রক্ষার জন্যই বিবাহ রেজিস্ট্রেশন করা অতি জরুরি। রেজিস্ট্রেশন ব্যাতীত আপনি আইনগত অধিকার থেকে বঞ্চিত হতে পারেন। মুসলিম পারিবারিক আইন অনুযায়ী বিবাহ রেজিস্ট্রেশন একটি প্রামাণ্য দলিল হিসেবে সাক্ষ্যগত মূল্য বহন করে। রেজিস্ট্রেশন ব্যাতিত বিবাহ প্রমাণ করা কঠিন ফলে মেয়েদের প্রতারিত হবার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয় সবচেয়ে বেশি। দেনমোহর, ভরণপোষণ, উত্তরাধিকার নির্ণয়, সন্তানের অভিভাবকত্ব ইত্যাদি দাবির ক্ষেত্রে বিবাহ রেজিস্ট্রিশন বা বিবাহের কাবিননামা আইনগত দলিল হিসেবে বিবেচিত হয়। পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে কাবিননামার গুরুত্ব ব্যাপক। কাবিননামায় বয়স উল্লেখ করতে হয় বিধায় বাল্য বিবাহ রোধও সম্ভব। এটি বিবাহিত ছেলে-মেয়ে উভয়ের ভবিষ্যত আইনগত অধিকার সংরক্ষণ করে। বিবাহ সম্পর্কে উভয় পক্ষ থেকেই যে কোন সময় জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে, তখন কাবিননামা প্রমাণ পত্র হিসেবে কাজ করে।

অন্যদিকে, আইনের দৃষ্টিতে বিবাহ রেজিস্ট্রেশন না করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ, তাই সকল বিবাহ রেজিস্ট্রেশন করা আইনত আবশ্যক।

বিবাহ রেজিস্ট্রেশন কী এবং কেন?

বিবাহ রেজিস্ট্রেশন হচ্ছে সরকারিভাবে বিবাহকে তালিকাভুক্তি করা। সরকারের নির্ধারিত ফরমে বিবাহের তথ্যবলী দিয়ে এই তালিকাভূক্তি করতে হয়। তালিকাভূক্তি ফরমটিকে কাবিননামাও বলে। ১৯৭৪ সালের মুসলিম বিবাহ ও তালাক (রেজিস্ট্রেশন) আইন অনুযায়ী প্রতিটি বিবাহ সরকার নির্ধারিত কাজী বা নিকাহ্ রেজিস্ট্রার দ্বারা রেজিস্ট্রেশন করা বাধ্যতামূলক। ১৯৭৪ সালের মুসলিম বিবাহ ও তালাক (রেজিস্ট্রেশন) আইনটি ২০০৫ সালে সংশোধনী আনা হয় এবং বিবাহ রেজিস্ট্রেশন না করাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়।

ওই সংশোধনীতে বলা হয়েছে, নিকাহ্ রেজিস্ট্রার বা কাজী বিবাহ সম্পন্ন হবার সঙ্গে সঙ্গেই বিবাহ রেজিস্ট্রেশন করবেন অথবা তিনি ছাড়া অন্য কেউ বিবাহ সম্পন্ন করলে ৩০ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট নিকাহ্ রেজিস্ট্রার বা কাজীর নিকট বিবাহের তথ্য প্রদান করতে হবে এবং কাজী উক্ত তথ্য প্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে বিবাহ রেজিস্ট্রি করবেন। যদি কেউ বিবাহ রেজিস্ট্রেশনের এসব বিধান লঙ্ঘন করেন তাহলে তার ২ (দুই) বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা ৩০০০ (তিন হাজার) টাকা জরিমানা বা উভয়দণ্ড হতে পারে। আইন অনুযায়ী কেউ যদি রেজিস্ট্রেশন বিষয়ে ভুক্তভোগী হয়ে থাকেন তবে প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট অভিযোগ দায়ের করতে পারেন।

উল্লেখ্য যে, রেজিস্ট্রেশন না হলে বিবাহ বাতিল হয় না তবে আইনগত অধিকার থেকে বঞ্চিত হবার সম্ভাবনা থাকে।

খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ক্ষেত্রেও ১৮৭২ সালের খ্রিস্টান ম্যারেজ এ্যাক্ট অনুযায়ী খ্রিস্টানদের বিবাহ রেজিস্ট্রেশন করা বাধ্যতামূলক। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ক্ষেত্রে হিন্দু পারিবারিক আইন অনুযায়ী হিন্দু বিবাহ রেজিস্ট্রেশনের কোনো বিধি বিধান নেই। তবে ২০১২ সালে প্রণীত “হিন্দু বিবাহ নিবন্ধন আইন” অনুযায়ী বিবাহ নিবন্ধনের বিধান থাকলেও তা বাধ্যতামূলক করা হয়নি। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ক্ষেত্রেও এরূপ বিধান নেই। এসব ক্ষেত্রে ভবিষ্যত প্রয়োজনীয়তার কথা বিবেচনা করে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে হলফনামা করে রাখা যেতে পারে।


কখন এবং কিভাবে বিবাহ রেজিস্ট্রেশন করতে হয় :

২০০৫ সালের মুসলিম বিবাহ ও তালাক (রেজিস্ট্রেশন) সংশোধিত আইন অনুযায়ী বিবাহ সম্পন্ন হবার সাথে সাথে বিবাহ রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। তবে নিকাহ রেজিস্ট্রার ছাড়া বিবাহ সম্পন্ন হলে ৩০দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট নিকাহ রেজিস্ট্রারের নিকট বিবাহ রেজিস্ট্রি করতে হয়। রেজিস্ট্রি করতে রেজিস্ট্রেশন সরকারি ফি দিতে হয়। দেনমোহরের পরিমাণের উপর ভিত্তি করে রেজিস্ট্রেশন ফি নির্ধারিত হয়। ধার্য্যকৃত দেনমোহরের প্রতি হাজার বা তার অংশবিশেষের জন্য ১০ টাকা হারে রেজিস্ট্রেশন ফি দিতে হয়। তবে রেজিস্ট্রেশন ফি এর মোট পরিমাণ ১০০ টাকার কম হবে না এবং ৪০০০ টাকার উপর হবে না। এই ফি সরকার কর্তৃক নির্ধারিত এবং পরিবর্তন হয়ে থাকে। রেজিস্ট্রেশন ফি পরিশোধের দায়িত্ব বরপক্ষের।

আইন অনুযায়ী বিবাহের গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় বা শর্ত যেমন, বর কনের বয়স, উভয়ের সম্মতি, দেনমোহর, তালাক প্রদানের ক্ষমতা ইত্যাদি পূরণ সাপেক্ষে কাজী বা নিকাহ রেজিস্ট্রার বিবাহ রেজিস্ট্রি করবেন। খ্রিস্টান বিবাহের ক্ষেত্রে যিনি বিবাহ সম্পাদন করবেন তিনিই বিবাহ রেজিস্ট্রেশন করবেন। রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হবার পর কাজী উভয়পক্ষকে রেজিস্ট্রেশন ফরম বা কাবিননামার সত্যায়িত কপি প্রদান করবেন।

বিবাহ রেজিস্ট্রেশনের সুফল-কুফল :
বিবাহ রেজিস্ট্রেশন করলে আইনগত কিছু সুফল পাওয়া যায় কিন্তু রেজিস্ট্রেশন না করলে কুফলও রয়েছে অনেক, যেমন রেজিস্ট্রেশনের ফলে,

১) উভয় পক্ষ বিবাহ অস্বীকার করার আইনত সুযোগ থাকেনা এবং এর দ্বারা সামাজিক ও পারিবারিক দায়বদ্ধতা আরোপিত হয়।
২) রেজিস্ট্রেশনের ফলে সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার নির্ণয় সহজ হয়।
৩) স্ত্রী তার প্রাপ্ত দেনমোহর ও ভরণপোষণ আদায় বা দাবি করতে পারে।
৪) সন্তানের অভিভাবকত্ব নির্ণয় করতে সহজ হয়।
৫) স্বামী দ্বিতীয় বিবাহের জন্য উদ্যোগী হলে স্ত্রী আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারেন।
৬) রেজিস্ট্রেশনের ফলে বাল্য বিবাহ রোধ সম্ভব হয়।
৭) রেজিস্ট্রেশনের ফলে স্ত্রী ডিভোর্স দেয়ার ক্ষমতা প্রাপ্ত হতে পারে।

অন্যদিকে, বিবাহ রেজিস্ট্রেশন না হলে স্বামী বা স্ত্রীর আইনগত বৈধতা প্রমাণ করা কষ্টসাধ্য, অনেক ক্ষেত্রে প্রমাণ করা যায় না। রেজিস্ট্রেশন না হওয়ার ফলে স্বামী অথবা স্ত্রী উভয়ই আইনগত অধিকার থেকে বঞ্চিত বা প্রতারিত হবার সম্ভাবনা দেখা দেয়। আবার, রেজিস্ট্রেশন না করা আইনত শাস্তিযোগ্য অপরাধও বটে। মোট কথা, বিবাহ রেজিস্ট্রেশন একদিকে যেমন বাধ্যতামূলক অন্যদিকে এটি একটি সামাজিক এবং পারিবারিক প্রামাণ্য দলিল।

তথ্য সুত্রঃ advocateregan.com

বিচ্ছেদের পর ফের নতুন সম্পর্ক

বিচ্ছেদের পর ফের সম্পর্ক গড়ার জন্য কেউ আপনার দরজায় কড়া নাড়তেই পারে। কিন্তু আপনি প্রস্তুত তো? দেখা যায়, বিচ্ছেদের পর পুনরায় সম্পর্কে জড়াতে অনেকেই সংশয়ে ভুগে থাকেন। কিছু বিষয় আপনাকে নতুন সম্পর্কের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে –

অভ্যাস পরিত্যাগ

আপনার হয়তো কিছু বদভ্যাস আছে যা দ্বারা আপনি পূর্বের সম্পর্কে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বা আপনার প্রতি আপনার সঙ্গী বিরক্ত ছিল। সে অভ্যাসগুলো খুঁজে বের করুন ও পরিবর্তন করুন।

নিজেকে জানুন

আপনাকে কেউ ভালো রাখবে এরকম চিন্তা করে সম্পর্কে জড়াবেন না। অন্য কেউ কখনও আপনাকে ভাল রাখতে পারে না। নিজেকে নিজের ভালো রাখতে হয়।

অতীত

অতীতের যে কোন বিষয়ের সাথে বর্তমান পরিস্থিতি কে যেমন তুলনা করতে যাবেন না তেমনি প্রাক্তনের সাথে বর্তমান ব্যক্তিকেও তুলনা করবেন না।

বিশ্বাস

স্বাভাবিকভাবেই বিচ্ছেদের ফলে নতুন কাউকে বিশ্বাস করা আপনার পক্ষে কঠিন হতে পারে। তার মানে সবাই যে আপনার বিশ্বাস নষ্ট করবে এমন ধারণা দূর করুন। সবাইকে একই পাল্লায় মাপা উচিত নয়।

ধারণা নয় ব্যক্তির কথাকে গুরুত্ব দিন

অতীত সম্পর্ক থেকে নানান অভিজ্ঞতা হয় সবারই। কিন্তু এ অভিজ্ঞতা থেকে বর্তমান পরিস্থিতির ধারনা যাচাই করে থাকেন অনেকেই, এতে করে কিন্তু নতুন সঙ্গীর সাথে আপনার ভুল বোঝাবুঝি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়তে থাকবে। তাই ধারণা থেকে নয় সঙ্গীর কথাকে গুরুত্ব দিন।

সম্পর্কে ভবিষ্যত অঙ্কন করতে যাবেন না

একটি সম্পর্কের ভবিষ্যৎ কেমন যাবে বা কি হবে এসব চিন্তায় মগ্ন হবেন না, তাহলে সম্পর্কে আপনি ভালো-খারাপ পরিস্থিতিগুলো সামলাতে পারবেন না।

তাড়াহুড়ো করবেন না

বিচ্ছেদ হয়েছে বলে একাকীত্ব দূর করতে চট করেই নতুন সম্পর্কে জড়াবেন না। সময় নিন, স্বচ্ছ ও সততার সাথে নতুন কাউকে ভাবুন।

আপনি কি পুনরায় বিবাহ সম্পর্কে আবদ্ধ হতে #জীবনসঙ্গী #খুঁজছেন? আপনি যদি #ডিভোর্স/ #বিধবা/ বিপত্নীক #জীবনসঙ্গী খুঁজে থাকেন তাহলে আজই রেজিস্ট্রেশন করুন #বিবাহবিডি ডট কম ওয়েব পোর্টালে। রেজিস্ট্রেশন করার পর আমাদের সার্ভিস টিম আপনার সকল সত্যতা যাচাই করে আপনার প্রোফাইল একটিভ করলে, আপনি সুযোগ পাবেন বিবাহবিডির সকল ভেরিফাই করা প্রোফাইল থেকে আপনার পছন্দমত জীবনসঙ্গী খুঁজে পেতে।

বিবাহ বিডি ডট কম

উচ্চ শিক্ষা শেষে প্রতিষ্ঠিত হবার পরেও যদি আপনি অথবা আপনার পরিবারের কোন সদস্য উপযুক্ত সঙ্গীর সন্ধান না পাওয়ায় কারনে বিয়ের ব্যাপারে সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগে থাকেন তবে আপনার জন্যই অনলাইন বেইজ ম্যাট্রিমনিয়াল সার্ভিস বিবাহবিডি ডট কম।

অনলাইনে ফ্রী রেজিষ্ট্রেশন করে ঘরে বসেই আপনি চাহিদা অনুযায়ী পাত্র/পাত্রীদের প্রোফাইল (ছবি সহ বায়োডাটা) দেখে পাত্র/পাত্রী কিংবা তাদের অভিভাবকের সাথে সরাসরি নিজেরাই যোগাযোগ করতে সক্ষম হবেন এবং তা অতি দ্রুততম সময়ের মধ্যে।

যে ধরনের প্রোফাইল পাবেনঃ

৮৪ টি প্রফেশন ক্যাটাগরীর, যেকোন শিক্ষাগত যোগ্যতার, যেকোন ধর্মাবলম্বী – গোত্র কিংবা কাষ্টের, যেকোন বয়সের অবিবাহিত, ডিভোর্স – বিধবা – বিপত্নীক, বাংলাদেশের যেকোন জেলার অধিবাসী, এবং বিশ্বের প্রায় ৫০ টি দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশী। তাছাড়াও বিবাহবিডিতে রয়েছে কিছু ষ্পেশাল সার্চ ক্যাটাগরী যেমন – ডিসেবেলীটিস সার্চ (শারীরিক বা স্বাস্থ্যগত প্রতিবন্ধকতা আছে এমন), সিঙ্গেল ফাদার / মাদার সার্চ ( ডিভোর্স কিংবা বিধবা/বিপত্নীক ও সন্তান আছে এমন )।

কেন বিবাহবিডিতে পাত্র/পাত্রী খুঁজবেনঃ

জীবন একটাই আর একটি সুখী ও সুন্দর জীবনের জন্য চাই একজন সুন্দর মনের মানুষ। অসংখ্য প্রোফাইল দেখে সঠিক সিদ্ধান্তে পৌছাতে নিজেই বিবাহবিডিতে প্রোফাইল করুন, নিজেই খুঁজুন এবং নিজেরাই পাত্র/পাত্রী কিংবা তাদের অভিভাবকের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করুন। এতে লোক জানাজানির ঝামেলা যেমন নেই তেমনি খরচ ও অনেক কম।

বিয়ে করুন যথা সময়ে, এর স্বাস্থ্যগত সুফল অনেক!

বিয়ের কথাটা শুনলেই কেমন যেন লাগে। চিন্তার বিষয়, বয়স হয়েছে তো! সে যাই হোক। বিয়ে করুন উপযুক্ত সময়ে। কারণ বিয়ে করার স্বাস্থ্যগত সুফল অনেক! কি ধরণের সুফল থাকতে পারে বিয়ে করার পর?

কেউ যদি মনে করে থাকেন বিয়ে করার কারণে আপনার মৃত্যুর দিন তাড়াতাড়ি ঘনিয়ে আসবে তাহলে আপনি ভুল ভাবছেন। কারণ ২০১৩ এর এক রিসার্চে দেখা গেছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জন্ম গ্রহণকারীদের মধ্যে যারা অবিবাহিত তারা বিবাহিত অথবা দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের মধ্যে যারা আছে তাদের তুলনায় তাড়াতাড়ি মারা যায়। এর কারণ হিসেবে দেখা গেছে জীবনসঙ্গী মানুষকে আবেগ অনুভূতি বাড়িয়ে দেয়, সামাজিকভাবে একত্রে রাখে, মানসিকভাবে সমর্থন দেয়, যার সব কিছুই সুস্থ স্বাভাবিক স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন।

মানসিক চাপ কম থাকে :

যদিও মাঝে মাঝে ঝগড়া লাগে তারপরও তার উপস্থিতি আপনার মনে এক ভালো লাগার অনুভূতি ছড়িয়ে দিবে। মানুষ যখন কোন মানসিক চাপের মধ্যে থাকে তখন শরীরে স্ট্রেস হরমোনের পরিমাণ বেড়ে যায়। এই স্ট্রেস হরমোন বিবাহিতের চেয়ে অবিবাহিতদের শরীরে দ্রুত বৃদ্ধি পায়। অতিরিক্ত পরিমাণে মানসিক চাপ শরীরে সমস্যার জন্ম দেয়, বিশেষ করে হজমের সমস্যার সৃষ্টি করে। রিসার্চে জানা গেছে স্ট্রেস হরমোন বিবাহিতদের শরীরে সেরকম ভাবে ক্ষতি করতে পারে না কিন্তু অবিবাহিতদের শরীরে নানা সমস্যার বাসা তৈরি করে।

হার্ট এ্যাটাকের সম্ভাবনা হ্রাস পায়:

ভালোবাসা হৃদযন্ত্রকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে যারা বিবাহিত অথবা কোন সম্পর্কের মাঝে আছে তাদের হার্ট-অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা নিঃসঙ্গ মানুষের চেয়ে কম। গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে যে সঙ্গীর নিবিড় সঙ্গ এবং নতুন পরিবারের নতুন সব আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু- বান্ধবের সাথে ভালো বন্ধনের কারণে হার্ট-অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকাংশে হ্রাস পায়। কারণ পরিবারের সাথে থাকলে মানুষ উৎফুল্ল থাকে। মনে কোন মানসিক চাপ থাকলে তা শেয়ার করতে পারে। এতে মনের উপর চাপ কম পড়ে।

বিয়ে শরীরের হাড় মজবুত করে। অবাক হচ্ছেন? আসলেও তাই। বিয়ে শরীরের হাড় শক্ত করে এবং বিভিন্ন হাড়ের রোগের ঝুঁকি কমায়। বিয়ে হাড়ের খনিজ ঘনত্ব ঠিক রেখে হাড়ের এক ধরণের রোগ “অস্টিওপরোসিস” হওয়ার ঝুঁকি কমায়। একজন ভালো জীবনসঙ্গী পত্নীর মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে হাড়কে ক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করে। তাই সুখী দাম্পত্য জীবন মহিলাদের হাড়ের খনিজ ঘনত্ব ঠিক রাখার জন্য জরুরী।

অস্ত্রোপচারের পর দ্রুত সুস্থ হওয়া:

কেউ যখন আপনার পাশে সারাক্ষণ থেকে আপনার পরিচর্যা করবে তখন আপনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। কিন্তু আপনি যখন একা থাকবেন সে ক্ষেত্রে আপনার সুস্থ হতে অনেক সময় লেগে যাবে। কারণ তখন আপনার সব কাজগুলো আপনার নিজেরই করতে হবে। এছাড়াও আপনি যখন কার সান্নিধ্যে থাকবেন তখন বেঁচে থাকার একটা কারণ খুঁজে পাবেন। এক্ষেত্রে জীবন সঙ্গী আপনার বেঁচে থাকার অবলম্বন হয়ে দাঁড়ায়।

অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর ঝুঁকি কমে:

জীবনে কতবার আপনি আপনার জীবনসঙ্গীকে আকস্মিক দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা করেছে? গবেষণায় দেখা গেছে তালাক প্রাপ্ত মহিলা এবং পুরুষেরা বিবাহিতদের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণ বেশি অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যায়। গবেষকদের মতে বিয়ে দুটি মানুষকে পাশাপাশি রাখে এবং এসব অনাকাঙ্ক্ষিত পরিণামের হাত থেকে রক্ষা করে।

বিষণ্ণতা কমায়:

একাকীত্বের কারণে অথবা অন্য সমস্যার কারণেও মানুষ বিষণ্ণতায় ভুগতে পারে। আর মানুষ যখন হতাশায় ভুগে তখন কি পরিমাণ মানসিক বিপর্যয় ঘটছে তার নিজের, তা সে বুঝতে পারে না। কারণ বিষণ্ণতার প্রথম উপসর্গ হচ্ছে আত্ম-উপলব্ধির হ্রাস পাওয়া। তাই বিষণ্ণতাকে সনাক্ত করতে এবং দূর করতে প্রয়োজন একজন সঙ্গীর। যে সব সময় আপনার সাথে থাকবে, যার সাথে আপনি সবকিছু শেয়ার করতে পারবেন।

ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়:

২০১৩ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, যে সকল মানুষ মরণ ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিল তাদের মধ্যে শতকরা ২০ ভাগ এর বেশি মানুষ আরোগ্য লাভ করতে সক্ষম হত যদি তারা বিবাহিত হত। এই সাফল্যের হার কেমোথেরাপির থেকেও বেশি। একটি স্বাভাবিক স্থিতিশীল সম্পর্কই প্রথম ধাপের ক্যান্সার সনাক্ত করতে পারে। আর এই বন্ধনই ক্যান্সারের সাথে লড়ে সুস্থ হওয়ার অনুপ্রেরণা যোগায়। একজন উপর্যুক্ত সঙ্গিনী তার সঙ্গীকে খারাপ এবং জীবনের জন্য ঝুঁকিকর কাজ করা থেকে বিরত রাখতে পারে। যেমনঃ মদ্যপান, মাদক সেবন ইত্যাদি।

স্মৃতিভ্রংশ প্রবণতা কমায়:

যদি জীবনে এমন সঙ্গী থাকে যার কাছে গেলে মনে শান্তি আসে তাহলে বার্ধক্য কখনো তাকে স্পর্শ করতে পারে না। গবেষণায় দেখা গেছে যারা তালাকপ্রাপ্ত হয়ে পুনরায় বিয়ে করে নি তাদের স্মৃতি শক্তি নষ্ট হওয়ার প্রবণতা প্রায় তিন গুন বেশি হয় এবং যারা মাঝ বয়সে বিধবা হওয়ার পর আর বিয়ে করেনি তাদের স্মৃতিভ্রংশ প্রবণতা ছয়গুণ বেড়ে যায়। গবেষকরা বলেন বিবাহিত এবং সারাজীবন মানসিকভাবে এবং সামাজিকভাবে পাশাপাশি থাকলে মন প্রফুল্ল থাকে এবং স্মৃতি শক্তি কম হ্রাস পায়।

বিভিন্ন অসুখ থেকে মুক্তি:

সুখী দম্পতিদের কখনো টাইপ -২ ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যা, ফাইব্রোমাইলজিয়া মত অসুখ হতে দেখা যায় না। যেকোনো জিনিস নিয়ে অতিরিক্ত মানসিক চাপ শরীরে উপর খারাপ ভাবে প্রভাব ফেলে। তাই সুস্থ থাকতে হলে সুখী দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত করা অতীব জরুরী।

জীবনসঙ্গী খুঁজতে বিবাহবিডি

উচ্চ শিক্ষা শেষে প্রতিষ্ঠিত হবার পরেও যদি আপনার  অথবা  পরিবারের প্রিয় সদস্যটির জন্য উপযুক্ত সঙ্গীর সন্ধান না পাওয়ায় কারনে বিয়ের ব্যাপারে সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগে থাকেন তবে আপনার জন্যই অনলাইন বেইজ ম্যাট্রিমনিয়াল সার্ভিস বিবাহ বিডি ডট কম। ঘরে বসেই ফ্রী রেজিষ্ট্রেশন করে  চাহিদা অনুযায়ী পাত্র/পাত্রীদের প্রোফাইল (ছবি সহ বায়োডাটা) দেখে পাত্র/পাত্রী কিংবা অভিভাবকের সাথে সরাসরি নিজেরাই যোগাযোগ করতে সক্ষম হবেন এবং তা অতি দ্রুততম সময়ের মধ্যে ।

একটা ঠিকানা চাই

স্বাধীনতা পাওয়ার পর মানুষ আবার পরাধীন হতে চায়। মানুষ যখন কারো সঙ্গী হয়ে জীবনযাপন করেন একটা সময় সে সব ছেড়ে খোলা আকাশের মুক্ত পাখি হতে চায়। আবার মানুষ যখন খোলা আকাশে মুক্ত পাখি থাকে দিন শেষে সন্ধ্যা ঘনালে সে একটা ঠিকানা চায়।

এ ঠিকানা খোঁজাটা যেন ঠিক কবি নির্মলেন্দু গুনের কবিতার মতন-

আমি বলছিনা ভালো বাসতেই হবে:

আমি চাই,

কেউ একজন আমার জন্যে অপেক্ষা করুকশুধু ঘরের ভিতর থেকে দরজা খুলে দেবার জন্য…

জীবনকে একাকিত্বের জটিলতার কাঠগড়ায় দাড় করিয়ে রাখলেও মানুষ বেশ পরাধীন হতে চায়। খুব বেশী চাওয়া-পাওয়া নয় শুধু পাশে কেউ একজন থাকুক আর তার স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করুক এরকম একটা ঠিকানা চায় অনেকেই।

তেমনি কবি আব্দুল্লাহ আল মামুন তার কবিতায় সব কিছুর উর্ধে একজন মানুষকেই চেয়েছেন-

আমার একটা মানুষ চাই, মনের মত মানুষ চাইযে মানুষের মাঝে আমি, রাত-বিরাতে প্রতীক্ষণনিজেকে খুঁজে পাই ।

ভালোবাসার মানুষের সাথে বিচ্ছেদ অথবা বিয়ের পর বিচ্ছেদ মানুষকে যখন একা করে দেয়, তখন এ একাকী জীবন অতিক্রমের মধ্যে দিয়ে মানুষ পাশে কাউকে পাওয়ার প্রয়োজন অনুভব করেন। দেখা যায় অধিকাংশ বিচ্ছেদ ঘটে স্বাধীনতা না পাওয়ার অভিযোগে আবার তারাই পরাধীনতার গতিতে জীবন গড়ার ইচ্ছা অপ্রকাশিত রাখেন। স্বাধীনচেতা মানুষ সব দিক থেকে স্বাধীন হলেও একাকীত্ব তাদের জীবনে নানাভাবে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।যেমন-

হতাশায় ভোগা, গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিলম্ব, আত্মহত্যার প্রবনতা, মাদক গ্রহণ, মানসিক চাপ, জীবনের কোন অর্থ খুঁজে না পাওয়া, সমাজরোধী আচরণ, স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি যেমন স্ট্রোক / হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা।

গবেষকদের ভাষ্যমতে- একাকীত্ব এবং সামাজিক বিচ্ছিন্নতা দুটি একেবারেই ভিন্ন বিষয়। অনেকের মাঝে থেকেও একাকীত্ব বোধ করা অথবা একা থাকতে পছন্দ করা দুই ক্ষেত্রেই বেঁচে থাকার বিষয়টি প্রভাব ফেলে। বৃদ্ধ বয়সে বেশিরভাগ মানুষ একাকীত্বে ভোগেন। তাদের মৃত্যুর আশঙ্কাও থাকে বেশি। তবে তরুণদের মধ্যে এই ধরণের মৃত্যুর আশঙ্কা বয়স্কদের তুলনায় বেশি থাকে।আরও জানা যায়, সামাজিক বিচ্ছিন্নতা কিংবা নিঃসঙ্গ জীবনযাপনের ফলে ৬৫ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে অকাল মৃত্যুর প্রবণতা বেশি দেখা যায়।

বিয়ের প্রস্তাব কাকে দিবেন;কিভাবে দিবেন

বিয়ে মানুষের জীবনে নতুন এক অধ্যায়। অনেক নারী ও পুরুষ আছেন বিয়ের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিলেও যাকে ভালো লাগে তাকে প্রস্তাব দিতে সংকোচবোধ করেন। এর প্রধান কারন অযাচিত ভয়; যদি বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখান হয়!

বিয়ের প্রস্তাব দেয়া মূলত তখনই সহজ হবে যখন আপনি বিয়ের প্রস্তাব কাকে দিবেন এ বিষয়টি যাচাই করে নেন। আপনার যেমন জীবনসঙ্গিনীর বিষয়ে কিছু প্রত্যাশা রয়েছে তেমনি বিপরীত ব্যক্তির মনেও রয়েছে নিজস্ব কিছু চাহিদা ও পছন্দ।

যে বিষয়গুলো দেখে ব্যাক্তি কে বিয়ের প্রস্তাব দিবেনঃ

ব্যাক্তির শিক্ষাগত যোগ্যতা আপনার থেকে অনেক কম বা বেশী হবে এমন কারও কথা না ভাবাই ভালো।

যাকে বিয়ে করতে চাচ্ছেন, তার আর আপনার পেশা, সামাজিক অবস্থান, পারিবারিক কালচার, ভবিষ্যতে দুজন পেশাগত বিষয়ের দিকগুলো মানিয়ে নিতে পারবেন কি না। এ বিষয়টি অবশ্যই খেয়ালে রাখবেন।

দুই পরিবারের অবস্থা কতটুকু সামঞ্জস্যক তা দেখা উচিত।

আগে জানার চেষ্টা করুন তার ব্যক্তিত্ব আর আপনার ব্যক্তিত্বে মিল রয়েছে কিনা বা মিলিয়ে নেয়ার মত কিনা।

ব্যাক্তির সাথে আপনার বয়সের ব্যবধান কত।

যাকে বিয়ে করতে চাচ্ছেন সে মানসিক দিক থেকে বিয়ের জন্য প্রস্তুত আছে কি না জেনে নিন।

যাকে পছন্দ করছেন তাকে বিয়ের প্রস্তাব পাঠানোর আগে তার সাথে আলোচনা করে জেনে নিন, অথবা বিশ্বস্ত কাউকে দিয়ে তার মনস্তাত্ত্বিক অবস্থা বুঝার চেষ্টা করুন।

যেভাবে বিয়ের প্রস্তাব দিবেনঃ

সাক্ষাতের জন্য এমন একটি পরিবেশ বাছাই করুন অথবা তৈরি করুন যে পরিবেশে পছন্দের ব্যক্তি মানসিক ভাবে উৎফুল্ল থাকে।

সময় ও দিন নির্ধারণ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যেদিন আপনি ব্যক্তির সাথে দেখা করতে যাবেন সেদিনটি দুজনের ছুটির দিনটি বেঁছে নিন ও সময় বিবেচনা করে দেখা করুন, যেনো কোন তাড়াহুড়ো না থাকে।

আকর্ষণীয় উপহার দিতে পারেন অথবা সম্ভব হলে তার পছন্দ জেনে প্রিয় কিছু উপহার দিন।

তার সাথে এমন ভাবে আচরণ করুন যেন সে যতটুকু সময় আপনার সাথে থাকবে অবশ্যই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবে।

আপনি তাকে পছন্দ করেন, বিয়ের কথা ভাবছেন; এ কথাটি এক লাইনে না বলে তার সাথে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি উপস্থাপন করুন, আপনি তাকে কেন বিয়ে করতে চাচ্ছেন।

বিবাহবিডিতে যাদের প্রোফাইল আছে তারা তাদের পছন্দের বিষয়গুলোকে প্রধান্য দিয়ে মুহুর্তের মধ্যেই জীবনসঙ্গী খুঁজতে পারেন। এবং সরাসরি অথবা বিবাহবিডির এক্সিকিউটিভদের মাধ্যমে প্রোপোজাল পাঠাতে পারেন।

বিবাহবিডিতে আপনি আপনার পছন্দের প্রফেশন, পাত্র-পাত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা, জেলা, আর্থিক অবস্থা, বৈবাহিক অবস্থা, বর্তমান অবস্থান, বর্ন, গোত্র, ধর্ম সহ ১৮ টি সার্চ ক্যাটাগরীর মাধ্যমে চাহিদা অনুযায়ী কাংখিত সঙ্গীকে সহজেই খুঁজতে সক্ষম হবেন।

তাছাড়া আপনার প্রদত্ত সঙ্গী বাছাইয়ের বিবরন (পার্টনার প্রেফারেন্স) এর সাথে মিলিয়ে বিবাহবিডি সার্চ ইঞ্জিন স্বয়ংক্রিয় ভাবে ডাটাবেইজের সেই সব প্রোফাইল খুঁজে আপনার সামনে এক নিমিষেই হাজির করে।

সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার দায়িত্ব কার?

ভালোলাগা থেকেই একটি সম্পর্কের শুরু, যার রেশ টেনে যায় ভালোবাসায়, আর সমাপ্তি বিয়ে পর্যন্ত। কিন্তু এই স্বর্গতুল্য সম্পর্ককে টিকিয়ে বা আগলে রাখার দায়ভার কার – নারী না পুরুষের? উত্তরটি সহজ- দু’জনেরই। কিন্তু কৌশলগত দিক থেকে এই দায়িত্ব-কর্তব্য ও বোঝাপড়াগুলো দু’জনের জন্য ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে।

দায়িত্ব নিন দু’জনেইঃ একটি কথা উভয়েরই মনে রাখা উচিত, একতরফা আর যাই হোক সম্পর্ক হয় না। আমরা প্রায়ই ভুল করি, রিলেশনশিপ টিকিয়ে রাখা ও ভাঙনের সমস্ত দায়িত্ব ও সম্ভাবনা একটি পক্ষের ওপর ছেড়ে দিই। পুরুষেরা নারীদের আর নারীরা পুরুষদের দোষারোপ করেন। আপনিই ভাবুন, একটি সম্পর্ক কী করে একটি পক্ষ সামলে নেবেন? বাকি যিনি থাকবেন তার কোনো রেসপনসিবিলিটি, সেনসিবিলিটি ও যত্নের প্রয়োজন নেই? যদি না-ই থাকে, তাহলে তা সম্পর্ক নয়। সম্পর্কটা দাড়িপাল্লার মতো, যার দু’টো দিক সমান ভার নিলেই ভারসাম্য বজায় থাকে।

নিজেকে দিয়ে বিচার করুনঃ আপনি কর্মজীবী, আপনার সঙ্গীও তাই। কর্মক্ষেত্র ছাড়াও আপনাদের উভয়েরই পরিবার, বন্ধু ও অন্যান্য সামাজিক কিছু সম্পর্ক রয়েছে। দু’জনের দিক থেকেই এ বিষয়গুলোকে ছাড় দিন। লক্ষ্য করুন, আপনার আচরণে আপনার সঙ্গী এসব সম্পর্ক সহজভাবে সচল রাখতে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছেন কিনা। যদি তিনি আপনাকে এ বিষয়ে ছাড় দিতে পারেন তাহলে আপনিও দিন। যদি আপনি তাকে চাপে রাখেন, তার স্বাভাবিক জীবনযাপনে বাধার কারণ হন, তাহলে একটা সময় পর আপনার সহজ বিষয়গুলোকেও আপনার সঙ্গীর কাছে কঠিন হয়ে ঠেকবে। তৈরি হবে তুলনাবোধ। তার মনে হবে- তিনি আপনাকে ছাড় দিচ্ছেন, তবে আপনি কেন নন?

যোগাযোগ রাখুনঃ নারী-পুরুষ দু’জনেরই ব্যস্ততা রয়েছে। একটা কথা জানেন কি- বিশ্বের সবচেয়ে ব্যস্ততম মানুষটিও সবচেয়ে বেশি সম্পর্কযুক্ত থাকার ক্ষমতা রাখেন। শুধু চাই ইচ্ছেটা। কাজের ফাঁকে ফাঁকে দু’একটা ফোন করে খোঁজখবর নিন- তিনি কেমন আছেন, খেয়েছেন কিনা। আদতে একদম সময় নেই বলে কিছু নেই, ভুলে যাওয়াটা ভিন্ন বিষয়।

মনোযোগ দিন, বাধা নয়ঃ প্রিয় মানুষের প্রতি মনোযোগ মানেই এই নয়, তার দিকে সর্বক্ষণ নজর রাখতে হবে, তাকেই সারাক্ষণ ভাবতে হবে। তবে খেয়াল রাখা জরুরি। হতে পারে আপনার সঙ্গী আপনার প্রতি একটু বেশিই যত্নশীল, স্নেহপরায়ণ বা অবসেসড। কিন্তু এতে আপনি বিরক্ত। একটু ভেবে দেখুন তো- তিনি আপনাকে ভালোবাসেন বলেই আপনাকে নিয়ে ভাবেন, এতে বিরক্তি প্রকাশের কিছু নেই। হ্যা, যদি তার এই যত্নশীলতা আপনার স্বাভাবিক চলাফেরাকে বাধাগ্রস্ত করে তবে সেক্ষেত্রে ভিন্ন কথা। ব্যাপারটি আপনার সঙ্গীকে ঠাণ্ডা মাথায় বুঝিয়ে বলুন। সুন্দরভাবে বললে বা বোঝালে সবই সম্ভব।

ভালোবাসার প্রকাশঃ নারী হোন বা পুরুষ, ভালোবাসার প্রকাশ করাটা খুব জরুরি। কথায় কথায় ভালোবাসি বলতে হবে তা নয় কিন্তু। আপনার কাজ ও আচার-আচরণে যেনো সেটা প্রকাশ পায় আপনার সঙ্গীর কাছে।

ভয় নয় আশ্রয় হোনঃ সঙ্গীর কাছে আপনার প্রতিমূর্তি কী বা কেমন তা নিয়ে ভেবেছেন কখনও? তিনি কি আপনাকে ভয় পান নাকি আশ্রয় ভাবেন? আপনার কথা বা আচরণ কি তার ভয়ের কারণ? সম্পর্কে ভয় দূরত্ব সৃষ্টি করে। বর্তমান সময়ে রিলেশনশিপে স্ট্যাবিলিটির চেয়ে ব্রেক-আপের সংজ্ঞা বেশি স্পষ্ট। এসময়ের অনেক প্রেমিক যুগলদের কাছেই সম্পর্কের যেকোনো সমস্যার একমাত্র সমাধান হচ্ছে ব্রেক-আপ। আপনি কি আপনার সঙ্গীর যেকোনো ভুল, আচরণ বা ঘটনার কারণেই ব্রেক-আপের হুমকি তার দিকে ছুঁড়ে দিচ্ছেন বা তিনি দিচ্ছেন আপনাকে? যদি নিজেদের মধ্যে সমস্যা থাকে তাহলে সেটা নিজেরাই মিটিয়ে নিন। হোক একটু ঝগড়া, কথা কাটাকাটি, মান-অভিমান। সময় নিন, আপনাআপনিই সব ঠিক হয়ে যাবে। যদি ভালোবাসা সত্যিই থাকে, তবে মিটে যাবে সব। একসঙ্গে থাকবেন এটা যদি লক্ষ্য হয় তবে এসব ঝগড়া, পছন্দ-অপছন্দ নিয়ে কথা কাটাকাটির একসময় অবসান হয়ে যাবে। এটা নিশ্চিত। আর যদি এটা মাথায় থাকে যে, যেকোনো বিষয় নিয়ে লাগলেই ছেড়ে দেবেন বা ছেড়ে যাবেন তাহলে নিশ্চিত কোনোদিনও এসব সমস্যার সমাধান হবে না। কারণ মনে আশঙ্কা থাকবেই যে পাশের মানুষটি ছেড়ে যাবে একদিন।

অযথা দোষারোপ করবেন নাঃ কোনো নির্দিষ্ট ঘটনা নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে দোষারোপ করবেন না। ভুল সবারই হয়, ক্ষমা করুন। আর যদি আপনার ভুলের জন্য সে আপনাকে দোষারোপ করে তাহলে ক্ষমা চেয়ে নিন। সম্পর্কটাই যদি মূখ্য হয়, তবে ক্ষমা চাইতে বা করতে ক্ষতি কী। তবে এখানেও কথা আছে- আপনি কী চান সম্পর্কটা নিয়ে? যদি নিতান্ত ওই ব্যক্তিটিকেই আর সহ্য না হয় বা ভালোলাগা কেটে যায় অথবা নতুন কোনো সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তাহলে ভিন্ন বিষয়। সেক্ষেত্রে নতুন সম্পর্ককে আমন্ত্রণ জানানোর খাতিরে বর্তমান সঙ্গীর সঙ্গে নেতিবাচক আচরণ বা তাকে অহেতুক দোষারোপ না করে সরাসরি বলে দিন সত্যটা। অযথা সম্পর্কের সমস্ত অসময়ের দোষ তার কাঁধে চাপাবেন না।

সুখী হওয়াই মূখ্য, ভাঙন নয়ঃ অ‍াপনার সম্পর্কের মূলমন্ত্র কী? চিরদিন সুখী হয়ে একসঙ্গে বাঁচা নাকি ভাঙনের ভয়ে একে অপরের থেকে গা বাঁচিয়ে কোনোভাবে সম্পর্ক বয়ে চলা? কোনো বিষয় নিয়ে বিবাদ হলেই ব্রেক-আপের কথা মাথায় আনবেন না, নিতান্তই যদি বাধ্য না হোন। কথায় কথায় ব্রেক-আপের ভয় দেখাবেন না, এতে স্বাভাবিক আস্থা ও বিশ্বাসের অবক্ষয় হয়, যা সম্পর্ককে ঢিলে করে দেয়। ব্রেক-আপের ভয়কে সামনে রেখে কোনো সম্পর্ক সুস্থভাবে বেড়ে উঠতে পারে না। একে অপরকে বোঝান- আপনারা একসঙ্গে থাকবেন বলেই একই পথে চলছেন, তাই নিজেদের সব সমস্যাগুলোকে নিজেদেরই সামলে উঠতে হবে। ব্রেক-আপ করলে হয়তো একটি সম্পর্কের অবসান হবে, কিন্তু আদতে কি সুখী হওয়া সম্ভব?

নারী-পুরুষ উভয়েরই স্বাধীনতাবোধ রয়েছে। স্বাধীন চিন্তা ও নিজের একটি স্বতন্ত্র জগত রয়েছে প্রতিটি মানুষেরই। ভালোবাসার সম্পর্ক এমনই হওয়া উচিত যা পরস্পরের স্বাধীনতা, মূল্যবোধ ও সম্মানের স্থানগুলোকে অক্ষত ও সুরক্ষিত রাখবে।

কেন বিবাহবিডিতে জীবনসঙ্গী খুঁজবেন!

বিয়ে একটি অত্যন্ত পবিত্র বন্ধন। মনে করা হয় দুটি মানুষের এই বন্ধন জন্ম জন্মান্তরের। সামাজিক নিয়মে এ বন্ধনে আবদ্ধ হয় দুজন প্রাপ্তবয়স্ক নারী ও পুরুষ। বিয়ে শুধু দুজন ব্যক্তির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং তৈরী করে দুটি পরিবারের মধ্যে সামাজিক বন্ধন।

বিয়ে নিয়ে মানুষের মনে স্বাভাবিক ভাবেই থাকে নানান আশা ও স্বপ্ন, থাকে উত্তেজনা, চিন্তা দুশ্চিন্তা ও ভাবনা। আবার বিয়ের ব্যাপারে অনেকেই মানুষিক ভাবে নিজেকে প্রস্তুত করতে পারে না। এর প্রধান ও অন্যতম কারন হলো পছন্দ মত যোগ্য জীবনসঙ্গী খুঁজে না পাওয়া।

দীর্ঘ ১ যুগের বেশী সময় ধরে আমরা এই সমস্যাটির সহজ ও দ্রুত সমাধান দিচ্ছি – বাংলাদেশী ও প্রবাসী পাত্রপাত্রী সন্ধানের জন্য সম্পূর্ন অনলাইন ভিত্তিক ২৪ ঘন্টা কল সেন্টার সার্ভিস নিয়ে সর্বোক্ষনিক সেবা নিশ্চিত করছে বিবাহবিডি ডট কম সার্ভিস টিম।

বিবাহবিডি ডট কম একটি অনলাইন বেইজড সার্ভিস ওয়েব পোর্টাল। এ পোর্টালের সদস্য হয়ে আপনি নিশ্চিত খুঁজে পেতে পারেন আপনার পছন্দমত যোগ্য জীবনসঙ্গী।

আসুন জানি কেন বিবাহবিডিতে পাত্রপাত্রী খুঁজবেন
বিবাহবিডি সম্পূর্ন অনলাইন ভিত্তিক সেবা নিশ্চিত করে। অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসেই বিবাহবিডি ডট কম আপনার পছন্দমত পাত্রপাত্রী খুঁজে দিতে সহায়তা করবে।

বিবাহবিডি পোর্টালে লগ ইন করে পছন্দের প্রফেশন, পাত্র-পাত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা, জেলা / এলাকা ভিত্তিক, প্রবাসী, বৈবাহিক অবস্থা (যেমন – অবিবাহিত, ডিভোর্স, বিধবা অথবা বিপত্নীক), ধর্ম, গোত্র, বর্ণ সহ ১৮ টি সার্চ ক্যাটাগরীর মাধ্যমে চাহিদা অনুযায়ী আপনার কাংখিত সংঙ্গীকে সহজেই খুঁজে সরাসরি নিজেরাই যোগাযোগ করতে সক্ষম হবেন।

বিবাহ বিডি প্রোফাইল এক্টিভেট/সক্রিয় করার পূর্বে নিজস্ব কাষ্টমার সাপোর্ট টিম তা তিন স্থরের ভেরিফাই করে ।

পাত্র-পাত্রীর প্রোফাইল ভেরিফিকেশনের জন্য জাতীয় পরিচয় পত্র / জন্ম নিবন্ধন / একাডেমিক সার্টিফিকেট/ প্রবাসীদের জন্য ভিসা, পাসপোর্ট / ডিভোর্সদের জন্য ডিভোর্স সার্টিফিকেট যাচাই করে বিবাহবিডিতে একটি প্রোফাইল একটিভ করা হয় যার ফলে আপনি একজন পাত্র/পাত্রী পরিচয় বিষয়ক সঠিক তথ্য পাবেন।

বিবাহ বিডি ডট কম এর ব্যাপ্তি বিশ্বব্যপী এবং এটি সমকালীন একটি আধুনিক সেবা। তাই বিশ্বের যেকোন দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পাত্র-পাত্রী বা অভিভাবকগন প্রোফাইল দেখে নিজেরাই সরাসরি পাত্র/পাত্রী বা কাংখিত প্রোফাইলের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

বিবাহবিডি থেকে আপনি জীবনসঙ্গীর খোঁজ পাবার পর বিবাহবিডি আপনার কাছে কখনোই কোন সার্ভিস চার্জ দাবি করবেনা। বরংচ বিবাহবিডিতে আপনার সাক্সেস ষ্টোরী শেয়ার করলে বিবাহবিডিই আপনাকে অভিনন্দন জানিয়ে আপনার ঠিকানায় গিফট পাঠাবে।

সার্ভিস সংক্রান্ত যেকোন তথ্য ও সাপোর্টের জন্য ২৪ ঘন্টা ৭ দিনই হট লাইন ইউজার সাপোর্ট প্রস্তুত থাকে ।

আপনি বিবাহবিডিতে প্রোফাইল রেজিষ্ট্রেশন করার আগেই জানতে পারবেন আপনার চাহিদা অনুযায়ী কতজন সম্ভাব্য পাত্র পাত্রী বিবাহবিডিতে রয়েছে।তাই আপনার অথবা আপনার পরিবারের কোন সদস্যের জন্য যদি পাত্র/পাত্রী খুঁজে থাকেন তাহলে নিশ্চিন্তে বিবাহবিডি ডট কম ওয়েব পোর্টালে রেজিষ্ট্রেশন করুন। বিবাহবিডি ডট কম একটি নিরাপদ ও বিশ্বাসযোগ্য ওয়েব পোর্টাল ২৪ ঘন্টা / ৭ দিনই হট লাইন ইউজার সাপোর্ট প্রস্তুত থাকে।

লাভ বম্বিং

সঙ্গীর কাছ থেকে মনোযোগ পেতে কে না ভালবাসেন! ভাবুন তো, প্রেমের শুরুর দিকেই যদি কেউ রোজ আপনাকে দামি দামি উপহার দিয়ে মন ভোলান তাহলে আপনার কাছেও সম্পর্কটা বড্ড রঙিন ঠেকবে এটাই স্বাভাবিক। হিরের নেকলেস, দামি রেস্তরাঁয় খাওয়ানো, লং ড্রাইভে নিয়ে যাওয়া ইত্যাদি যতরকমের উপায় আছে আপনাকে ইমপ্রেস করার তার মোটামুটি সবক’টাই করে ফেলেছেন আপনার সঙ্গী। আপনিও প্রথম দিন থেকেই তাঁর ব্যবহারে মুগ্ধ। তবে ধীরে ধীরে সম্পর্কের আসল খোলসটা উপলব্ধি করতে শুরু করেন আপনি। প্রাথমিক বিমুগ্ধতা কাটিয়ে তখন উন্মোচিত হয় সম্পর্কের তিক্ত রূপ। ডেটিংয়ের দুনিয়ায় এই নতুন ট্রেন্ডের নাম হল লাভ বম্বিং!

প্রথমদিকে আপনার মন জুগিয়ে চলে আপনার বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করাই হয়তো আপনার সঙ্গীর উদ্দেশ্য। একেবারে আপনার মনের মতো হয়ে উঠতে ঠিক যেমন যেমন আচরণ করা দরকার, তিনি সেগুলোই করছেন। সবসময়ই আপনার কাছাকাছি, পাশাপাশি থাকছেন। আপনার ছোটবড় সব বিষয়ে বড্ড বেশি মনোযোগ দিচ্ছেন। আবার খরচ করে দামি উপহার দিতেও দ্বিধা করছেন না। আর সবকিছুই এত দ্রুত ঘটছে যে আপনি উলটোদিকের মানুষটাকে পরখ করে দেখার অবকাশটুকুও পাচ্ছেন না। আর ক্রমেই তাঁর উপর বাড়ছে আপনার নির্ভরশীলতা।

‘পারফেক্ট পার্টনার’ পেয়ে গেছেন ভেবে আপনিও নিজের শরীর-মন উজাড় করে দিচ্ছেন। এই পর্যন্ত ঠিকঠাক চললেও, কিছুদিনের মধ্যেই হয়তো আপনার সঙ্গী আপনার এই অত্যধিক নির্ভরশীলতা ও আবেগের সুযোগ নেবেন। অনেকক্ষেত্রেই অনেকে উলটোদিকের মানুষটিকে সচেতনভাবেই ‘লাভ বম্বড’ করেন।

প্রাথমিক ভালবাসার পর্ব পেরিয়ে গেলে তখন তাঁরা আর আগের সঙ্গীর প্রতি অনুরক্ত থাকেন না। অনেকে তো আবার সম্পর্কের কোনও অস্তিত্বই স্বীকার করেন না! আগে থেকে তা বোঝা খুবই মুশকিল। কিন্তু যখন বুঝতে পারলেন তখন হয়তো আপনি এতটাই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন যে তখন আপনার জায়গা কোনও মনোবিদের চেম্বারে! ডেটিংয়ের মূল উদ্দেশ্য একে অপরকে আরও ভালভাবে চেনা। কিন্তু সেই ডেটিং পিরিয়ডেই যদি পার্টনারের কিছু কিছু আচরণে সন্দেহ হয়, তাহলে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।

প্রথমদিকে ভালবাসার ভান করলেও যদি দেখেন দিনে দিনে তিনি আপনার জীবনের উপর নিয়ন্ত্রণ আনতে চাইছেন, তাঁর ইচ্ছেটাকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন বেশি তাহলে সতর্ক হোন।যদি আপনার পার্টনার সারাদিনই আপনাকে প্রেম নিবেদন করতে থাকেন, আপনার সম্পর্কে সবসময়ই খুব ভাল ভাল কথা বলেন বা দামি উপহার দেন, তাহলেও একটু ভেবে দেখুন।প্রথম প্রথম আপনার মন জুগিয়ে চললেও কিছুদিন পরেই আপনার কাছ থেকে নানারকম সাহায্য বা অনুরূপ ব্যবহার তিনি প্রত্যাশা করতে পারেন। না দিলে অনেকসময় অশান্তিও হয়। লাভ বম্বাররা আপনাকে আর্থিকভাবে ক্ষতিও করতে পারে।

আবার একইসঙ্গে সায়কলজিকাল অ্যবিউজ়ও এর একটা বড় দিক। আপনি পরিবারের লোক বা বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটালে তা অনেক লাভ বম্বারেরই পছন্দ হয় না। এই পজ়েসিভনেস যদিও প্রায়শই নকল হয়!আজকের যুগে অনেকেই ডেটিংয়ের নামে নিছকই টাইমপাস করতে চায়। দীর্ঘকালীনসম্পর্ক বা বিয়ের কথা ভাবেই না। তাই, প্রথম থেকেই পার্টনারকে চেনার চেষ্টা করুন। তাঁর আবেগ, তাঁর বিশ্বাসযোগ্যতা ইত্যাদি সময় নিয়ে যাচাই করুন।

দাম্পত্ব্য সম্পর্কে ক্ষমতার ভারসাম্য

সম্পর্কের গুরুত্ব যার কাছে কম তার হাতেই বেশি ক্ষমতা চলে আসে। এই সমস্যার সমাধান লুকিয়ে আছে একে অপরের প্রতি বিশ্বাসেই।

সম্পর্কের মধ্যে ‘ক্ষমতা’ শব্দটাকে টেনে আনতে আমরা কেউই পছন্দ করি না। একটা সুস্থ সম্পর্কে থাকবে একে অপরের সঙ্গে সহযোগিতা এবং সব কিছু ভাগ করে নেওয়ার আশ্বাস। কিন্তু সহযোগিতা এবং শেয়ার, এই দুটো করতেই তো দু’জন মানুষকে লাগে। দু’জনের মধ্যে একজন যদি সেটা না করতে চায়?

আসলে সম্পর্কের গুরুত্ব যার কাছে কম তার হাতেই বেশি ক্ষমতা চলে আসে। অন্যজন যতই ভালবাসাকে বেশি প্রাধান্য দিক। ডিনারের প্ল্যান থেকে আরও গুরুত্বপূর্ণ কোনও বিষয়, সবই যদি একজনের সিদ্ধান্ত মতো চলে তাহলে মুশকিল! অন্যজনের অসম্মতির যেন কোনও অর্থই নেই! এর ফল?

সিদ্ধান্ত নেওয়ার জায়গাটা শুধুমাত্র একজনের দখলে থেকে যায়। হয়তো না চাইতেই সে অন্য জনের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে, যে তার মতামতের কোনও গুরুত্ব বা প্রয়োজনীয়তা নেই।

সম্পর্ককে ধরে রাখতে এই সমস্যার সমাধান কিন্তু করতে হবে ধৈর্য্য ধরে। কীভাবে?

  • প্রথমত যেটা করতে পারেন তা হল পার্টনারের এই স্বভাব মেনে নেওয়া। তার সিদ্ধান্তগুলোই মেনে চলা। এতে সাময়িকভাবে সমস্যার সমাধান হয়তো হবে, পাওয়া যাবে কিছুটা সহযোগিতার আশ্বাস। তবে দীর্ঘদিন এইভাবে চলা নিশ্চয়ই সম্ভব নয়। ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙবেই। নিজেকে গুরুত্বহীন করে রাখতে কেউ কত দিন পারে?
  • দ্বিতীয়, সহযোগিতা পাওয়ার জন্য লড়াই করা। এতে কিন্তু দুটো ফল হতে পারে। আপনার পার্টনার যদি নিজের ভুল বুঝতে পারেন, তাহলে তো সমাধানও আপনারা পেয়ে গেলেন। কিন্তু তিনি যদি ভাবেন যে আপনি অকারণে ঝগড়া করছেন? তাহলেও কিন্তু বেশি আঘাত পাবেন আপনিই।
  • এতেও সমাধান না হলে স্পষ্ট করে অন্যজনকে বলে দিন যে তিনি আপনার পাশে না থাকলেও আপনি নিজের কাজ নিজে করতে সক্ষম। আসা করা যায় এতে আপনার পার্টনার নিজের ভুল বুঝবেন। তবে আপনি নিজে যদি এই সম্পর্কের উপর খুব বেশি মানসিকভাবে নির্ভরশীল হয়ে থাকেন তাহলে হয়তো এই কাজটা আপনি নিজেই করে উঠতে পারবেন না।

তবে কি কোনও সমাধান সত্যিই নেই এই সমস্যার? আছে। আর সেটা লুকিয়ে আছে আপনাদের দু’জনের ভিতরেই। একে অপরের প্রতি বিশ্বাসে।

একটি সম্পর্কে যখন দু’জন দু’জনকে বিশ্বাস করেন তখন কোথাও না কোথাও এই বিশ্বাসটাও থাকে যে তাঁরা একে অপরকে ছেড়ে যাবেন না। দু’জনের উপরেই প্রভাব ফেলবে এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে একজন অন্যজনের ছোট-ছোট প্রয়োজন এবং ইচ্ছেগুলোকেও গুরুত্ব দেবে, থাকে এই বিশ্বাসও।

মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক তো শুধু ‘ক্ষমতা’য় সীমাবদ্ধ নয়। বন্ধুত্ব, ভালবাসা, সম্মান এই সবের কাছেই হেরে যাবে ক্ষমতার লড়াই।