পছন্দের দুজন ব্যক্তি কাকে বাছাই করবেন?

প্রস্তাব পেতে কার না ভালো লাগে! আন্তরিকতার সাথে মনের দরজায় এসে কেউ যখন জীবনসঙ্গী হতে আবেদন জানায়,তখন কিন্তু নিজেকে বেশ অন্যরকমই লাগে। তবে ঝামেলা তখনই পোহাতে হয় যখন সেরা দুজন ব্যক্তির মধ্যে থেকে বাছাই করতে হয় একজনকে।

জীবনসঙ্গী হিসেবে কাকে বাছাই করবেন সে সিদ্ধান্তে শিথিল করুন নিজেকে কিছু প্রশ্নের মাধ্যমে –

কার উদ্দেশ্য কি?

শুনতে অদ্ভু্ত লাগলেও, এ প্রশ্নটি আপনার সিদ্ধান্ত গ্রহনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যারা আপনাকে তাদের জীবনসঙ্গী করতে চাচ্ছেন তারা কেন চাচ্ছেন ও তাদের ভবিষ্যৎ জীবন পরিকল্পনা কি তা খুঁজে বের করুন।

আপনার উদ্দেশ্য কি?

স্বার্থপরতা নয়, জীবনের গুরুত্বপূর্ণ এ সিদ্ধান্ত গ্রহনে আপনার জীবনের ভবিষ্যৎ উদ্দেশ্য কি তা বিবেচনায় রাখতে হবে। আপনার জীবনের উদ্দেশ্যের সাথে তাদের মধ্যে কোন ব্যক্তির উদ্দেশ্য একই বা কাছাকাছি তা মিলিয়ে নিন।

সত্যি কি আপনাকে চাচ্ছে?

এদের মধ্যে যাচাই করুন কে আপনাকে সত্যি চাচ্ছে আর কে অভিনয় করতে পারে। শুধু উদ্দেশ্যে মিল থাকলেও হাবেনা আপনাকে মন থেকে চাচ্ছে কিনা অথবা আবেগ কেটে গেলে ব্যক্তিও কেটে পরবেন কি না তা বুঝতে সময় নিন। প্রয়োজনে দুজনের সাথে আলাদা দিনে দেখা করুন ও তাদের মানসিক অবস্থা বোঝার চেষ্টা করুন।

আপনি কার সাথে স্বাচ্ছন্দ্যেবোধ করছেন?

আপনি কার সাথে স্বাচ্ছন্দ্যেবোধ করছেন আর কার সাথে করছেননা তা বুঝে নিতে কিন্তু অনেক সময় নেয়ার প্রয়োজন নেই। আপনি ব্যক্তির সাথে একদিন সময় কাটানোর মাধ্যমে বুঝে যাবেন তার সঙ্গ আপনি কতটুকু স্বাচ্ছন্দ্যেবোধ করছেন। তাই দুজন ব্যক্তির মধ্যে খুঁজে বের করুন কার সঙ্গ আপনার স্বাচ্ছন্দ্যে মনে হচ্ছে।

একটি কাগজে তালিকা করুন-

একটি কাগজে তালিকা তৈরি করুন দুজন ব্যক্তির সম্পর্কে। দুটি কাগজে দুজনার নাম, তাদের কোন বিষয়গুলতে আপনি আকর্ষণবোধ করছেন আর কোন বিষয়গুলো আপনার ভালো লাগেনা সেগুলো লিখুন। তালিকা করার পর সততার সাথে গননা করে কাগজেই ব্যক্তিদের নম্বর দিন। এখন সর্বাধিক নম্বর পাওয়া ব্যক্তিকে কিন্তু আপনি গ্রহন করতেই পারেন। তালিকাটি আপনি ছাড়া কাউকে দেখাবেন না।

আপনি কার সাথে হাসতে পারেন?

আপনি যদি কারো সাথে একসাথে হাসতে পারেন তবে আপনি একটি অমূল্য মুক্তো খুঁজে পেয়েছেন যা আপনার সম্পর্ককে ভালো এবং আনন্দময় করে তুলবে। আপনার জন্য অবশ্যই সে ব্যক্তি সঠিক যে আপনার জন্য হেসে ফেলতে পারেন এবং আপনাকেও হাসাতে পারেন।

পরামর্শ নিন আপনার শুভাকাংখীর থেকে-

সকলের জীবনেই এরকম কেউ না কেউ থাকেন যিনি ভালো চান ও ভালো পরামর্শ দেন। তেমনি আপনার জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ এবং আপনি কে তার প্রতিচ্ছবি হলেন আপনার শুভাকাংখী। তাই এরকম সিদ্ধান্ত গ্রহনে আপনার শুভাকাংখীর পরামর্শ নিতে পারেন।

জীবনসঙ্গী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে যখন আবেদনকারীর সংখ্যা বেশী পাওয়া হয় সিদ্ধান্ত গ্রহন ততই কঠিন হয়ে পরে। তাই সময় নিন ও ভালোভাবে যাচাই করে জীবনসঙ্গী বাছাই করুন।

আপনি যদি সময় নিয়ে ও সঠিক তথ্যের মাধ্যমে জীবনসঙ্গী খুঁজে নিতে চান তাহলে যুক্ত হন বিবাহবিডির সাথে। বিস্তারিত জানতে কল করুনঃ ০১৯২২১১৫৫৫৫

বিচ্ছেদের পর ফের নতুন সম্পর্ক

বিচ্ছেদের পর ফের সম্পর্ক গড়ার জন্য কেউ আপনার দরজায় কড়া নাড়তেই পারে। কিন্তু আপনি প্রস্তুত তো? দেখা যায়, বিচ্ছেদের পর পুনরায় সম্পর্কে জড়াতে অনেকেই সংশয়ে ভুগে থাকেন। কিছু বিষয় আপনাকে নতুন সম্পর্কের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে –

অভ্যাস পরিত্যাগ

আপনার হয়তো কিছু বদভ্যাস আছে যা দ্বারা আপনি পূর্বের সম্পর্কে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বা আপনার প্রতি আপনার সঙ্গী বিরক্ত ছিল। সে অভ্যাসগুলো খুঁজে বের করুন ও পরিবর্তন করুন।

নিজেকে জানুন

আপনাকে কেউ ভালো রাখবে এরকম চিন্তা করে সম্পর্কে জড়াবেন না। অন্য কেউ কখনও আপনাকে ভাল রাখতে পারে না। নিজেকে নিজের ভালো রাখতে হয়।

অতীত

অতীতের যে কোন বিষয়ের সাথে বর্তমান পরিস্থিতি কে যেমন তুলনা করতে যাবেন না তেমনি প্রাক্তনের সাথে বর্তমান ব্যক্তিকেও তুলনা করবেন না।

বিশ্বাস

স্বাভাবিকভাবেই বিচ্ছেদের ফলে নতুন কাউকে বিশ্বাস করা আপনার পক্ষে কঠিন হতে পারে। তার মানে সবাই যে আপনার বিশ্বাস নষ্ট করবে এমন ধারণা দূর করুন। সবাইকে একই পাল্লায় মাপা উচিত নয়।

ধারণা নয় ব্যক্তির কথাকে গুরুত্ব দিন

অতীত সম্পর্ক থেকে নানান অভিজ্ঞতা হয় সবারই। কিন্তু এ অভিজ্ঞতা থেকে বর্তমান পরিস্থিতির ধারনা যাচাই করে থাকেন অনেকেই, এতে করে কিন্তু নতুন সঙ্গীর সাথে আপনার ভুল বোঝাবুঝি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়তে থাকবে। তাই ধারণা থেকে নয় সঙ্গীর কথাকে গুরুত্ব দিন।

সম্পর্কে ভবিষ্যত অঙ্কন করতে যাবেন না

একটি সম্পর্কের ভবিষ্যৎ কেমন যাবে বা কি হবে এসব চিন্তায় মগ্ন হবেন না, তাহলে সম্পর্কে আপনি ভালো-খারাপ পরিস্থিতিগুলো সামলাতে পারবেন না।

তাড়াহুড়ো করবেন না

বিচ্ছেদ হয়েছে বলে একাকীত্ব দূর করতে চট করেই নতুন সম্পর্কে জড়াবেন না। সময় নিন, স্বচ্ছ ও সততার সাথে নতুন কাউকে ভাবুন।

আপনি কি পুনরায় বিবাহ সম্পর্কে আবদ্ধ হতে #জীবনসঙ্গী #খুঁজছেন? আপনি যদি #ডিভোর্স/ #বিধবা/ বিপত্নীক #জীবনসঙ্গী খুঁজে থাকেন তাহলে আজই রেজিস্ট্রেশন করুন #বিবাহবিডি ডট কম ওয়েব পোর্টালে। রেজিস্ট্রেশন করার পর আমাদের সার্ভিস টিম আপনার সকল সত্যতা যাচাই করে আপনার প্রোফাইল একটিভ করলে, আপনি সুযোগ পাবেন বিবাহবিডির সকল ভেরিফাই করা প্রোফাইল থেকে আপনার পছন্দমত জীবনসঙ্গী খুঁজে পেতে।

বিবাহ বিডি ডট কম

উচ্চ শিক্ষা শেষে প্রতিষ্ঠিত হবার পরেও যদি আপনি অথবা আপনার পরিবারের কোন সদস্য উপযুক্ত সঙ্গীর সন্ধান না পাওয়ায় কারনে বিয়ের ব্যাপারে সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগে থাকেন তবে আপনার জন্যই অনলাইন বেইজ ম্যাট্রিমনিয়াল সার্ভিস বিবাহবিডি ডট কম।

অনলাইনে ফ্রী রেজিষ্ট্রেশন করে ঘরে বসেই আপনি চাহিদা অনুযায়ী পাত্র/পাত্রীদের প্রোফাইল (ছবি সহ বায়োডাটা) দেখে পাত্র/পাত্রী কিংবা তাদের অভিভাবকের সাথে সরাসরি নিজেরাই যোগাযোগ করতে সক্ষম হবেন এবং তা অতি দ্রুততম সময়ের মধ্যে।

যে ধরনের প্রোফাইল পাবেনঃ

৮৪ টি প্রফেশন ক্যাটাগরীর, যেকোন শিক্ষাগত যোগ্যতার, যেকোন ধর্মাবলম্বী – গোত্র কিংবা কাষ্টের, যেকোন বয়সের অবিবাহিত, ডিভোর্স – বিধবা – বিপত্নীক, বাংলাদেশের যেকোন জেলার অধিবাসী, এবং বিশ্বের প্রায় ৫০ টি দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশী। তাছাড়াও বিবাহবিডিতে রয়েছে কিছু ষ্পেশাল সার্চ ক্যাটাগরী যেমন – ডিসেবেলীটিস সার্চ (শারীরিক বা স্বাস্থ্যগত প্রতিবন্ধকতা আছে এমন), সিঙ্গেল ফাদার / মাদার সার্চ ( ডিভোর্স কিংবা বিধবা/বিপত্নীক ও সন্তান আছে এমন )।

কেন বিবাহবিডিতে পাত্র/পাত্রী খুঁজবেনঃ

জীবন একটাই আর একটি সুখী ও সুন্দর জীবনের জন্য চাই একজন সুন্দর মনের মানুষ। অসংখ্য প্রোফাইল দেখে সঠিক সিদ্ধান্তে পৌছাতে নিজেই বিবাহবিডিতে প্রোফাইল করুন, নিজেই খুঁজুন এবং নিজেরাই পাত্র/পাত্রী কিংবা তাদের অভিভাবকের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করুন। এতে লোক জানাজানির ঝামেলা যেমন নেই তেমনি খরচ ও অনেক কম।

বিয়ে করুন যথা সময়ে, এর স্বাস্থ্যগত সুফল অনেক!

বিয়ের কথাটা শুনলেই কেমন যেন লাগে। চিন্তার বিষয়, বয়স হয়েছে তো! সে যাই হোক। বিয়ে করুন উপযুক্ত সময়ে। কারণ বিয়ে করার স্বাস্থ্যগত সুফল অনেক! কি ধরণের সুফল থাকতে পারে বিয়ে করার পর?

কেউ যদি মনে করে থাকেন বিয়ে করার কারণে আপনার মৃত্যুর দিন তাড়াতাড়ি ঘনিয়ে আসবে তাহলে আপনি ভুল ভাবছেন। কারণ ২০১৩ এর এক রিসার্চে দেখা গেছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জন্ম গ্রহণকারীদের মধ্যে যারা অবিবাহিত তারা বিবাহিত অথবা দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের মধ্যে যারা আছে তাদের তুলনায় তাড়াতাড়ি মারা যায়। এর কারণ হিসেবে দেখা গেছে জীবনসঙ্গী মানুষকে আবেগ অনুভূতি বাড়িয়ে দেয়, সামাজিকভাবে একত্রে রাখে, মানসিকভাবে সমর্থন দেয়, যার সব কিছুই সুস্থ স্বাভাবিক স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন।

মানসিক চাপ কম থাকে :

যদিও মাঝে মাঝে ঝগড়া লাগে তারপরও তার উপস্থিতি আপনার মনে এক ভালো লাগার অনুভূতি ছড়িয়ে দিবে। মানুষ যখন কোন মানসিক চাপের মধ্যে থাকে তখন শরীরে স্ট্রেস হরমোনের পরিমাণ বেড়ে যায়। এই স্ট্রেস হরমোন বিবাহিতের চেয়ে অবিবাহিতদের শরীরে দ্রুত বৃদ্ধি পায়। অতিরিক্ত পরিমাণে মানসিক চাপ শরীরে সমস্যার জন্ম দেয়, বিশেষ করে হজমের সমস্যার সৃষ্টি করে। রিসার্চে জানা গেছে স্ট্রেস হরমোন বিবাহিতদের শরীরে সেরকম ভাবে ক্ষতি করতে পারে না কিন্তু অবিবাহিতদের শরীরে নানা সমস্যার বাসা তৈরি করে।

হার্ট এ্যাটাকের সম্ভাবনা হ্রাস পায়:

ভালোবাসা হৃদযন্ত্রকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে যারা বিবাহিত অথবা কোন সম্পর্কের মাঝে আছে তাদের হার্ট-অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা নিঃসঙ্গ মানুষের চেয়ে কম। গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে যে সঙ্গীর নিবিড় সঙ্গ এবং নতুন পরিবারের নতুন সব আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু- বান্ধবের সাথে ভালো বন্ধনের কারণে হার্ট-অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকাংশে হ্রাস পায়। কারণ পরিবারের সাথে থাকলে মানুষ উৎফুল্ল থাকে। মনে কোন মানসিক চাপ থাকলে তা শেয়ার করতে পারে। এতে মনের উপর চাপ কম পড়ে।

বিয়ে শরীরের হাড় মজবুত করে। অবাক হচ্ছেন? আসলেও তাই। বিয়ে শরীরের হাড় শক্ত করে এবং বিভিন্ন হাড়ের রোগের ঝুঁকি কমায়। বিয়ে হাড়ের খনিজ ঘনত্ব ঠিক রেখে হাড়ের এক ধরণের রোগ “অস্টিওপরোসিস” হওয়ার ঝুঁকি কমায়। একজন ভালো জীবনসঙ্গী পত্নীর মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে হাড়কে ক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করে। তাই সুখী দাম্পত্য জীবন মহিলাদের হাড়ের খনিজ ঘনত্ব ঠিক রাখার জন্য জরুরী।

অস্ত্রোপচারের পর দ্রুত সুস্থ হওয়া:

কেউ যখন আপনার পাশে সারাক্ষণ থেকে আপনার পরিচর্যা করবে তখন আপনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। কিন্তু আপনি যখন একা থাকবেন সে ক্ষেত্রে আপনার সুস্থ হতে অনেক সময় লেগে যাবে। কারণ তখন আপনার সব কাজগুলো আপনার নিজেরই করতে হবে। এছাড়াও আপনি যখন কার সান্নিধ্যে থাকবেন তখন বেঁচে থাকার একটা কারণ খুঁজে পাবেন। এক্ষেত্রে জীবন সঙ্গী আপনার বেঁচে থাকার অবলম্বন হয়ে দাঁড়ায়।

অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর ঝুঁকি কমে:

জীবনে কতবার আপনি আপনার জীবনসঙ্গীকে আকস্মিক দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা করেছে? গবেষণায় দেখা গেছে তালাক প্রাপ্ত মহিলা এবং পুরুষেরা বিবাহিতদের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণ বেশি অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যায়। গবেষকদের মতে বিয়ে দুটি মানুষকে পাশাপাশি রাখে এবং এসব অনাকাঙ্ক্ষিত পরিণামের হাত থেকে রক্ষা করে।

বিষণ্ণতা কমায়:

একাকীত্বের কারণে অথবা অন্য সমস্যার কারণেও মানুষ বিষণ্ণতায় ভুগতে পারে। আর মানুষ যখন হতাশায় ভুগে তখন কি পরিমাণ মানসিক বিপর্যয় ঘটছে তার নিজের, তা সে বুঝতে পারে না। কারণ বিষণ্ণতার প্রথম উপসর্গ হচ্ছে আত্ম-উপলব্ধির হ্রাস পাওয়া। তাই বিষণ্ণতাকে সনাক্ত করতে এবং দূর করতে প্রয়োজন একজন সঙ্গীর। যে সব সময় আপনার সাথে থাকবে, যার সাথে আপনি সবকিছু শেয়ার করতে পারবেন।

ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়:

২০১৩ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, যে সকল মানুষ মরণ ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিল তাদের মধ্যে শতকরা ২০ ভাগ এর বেশি মানুষ আরোগ্য লাভ করতে সক্ষম হত যদি তারা বিবাহিত হত। এই সাফল্যের হার কেমোথেরাপির থেকেও বেশি। একটি স্বাভাবিক স্থিতিশীল সম্পর্কই প্রথম ধাপের ক্যান্সার সনাক্ত করতে পারে। আর এই বন্ধনই ক্যান্সারের সাথে লড়ে সুস্থ হওয়ার অনুপ্রেরণা যোগায়। একজন উপর্যুক্ত সঙ্গিনী তার সঙ্গীকে খারাপ এবং জীবনের জন্য ঝুঁকিকর কাজ করা থেকে বিরত রাখতে পারে। যেমনঃ মদ্যপান, মাদক সেবন ইত্যাদি।

স্মৃতিভ্রংশ প্রবণতা কমায়:

যদি জীবনে এমন সঙ্গী থাকে যার কাছে গেলে মনে শান্তি আসে তাহলে বার্ধক্য কখনো তাকে স্পর্শ করতে পারে না। গবেষণায় দেখা গেছে যারা তালাকপ্রাপ্ত হয়ে পুনরায় বিয়ে করে নি তাদের স্মৃতি শক্তি নষ্ট হওয়ার প্রবণতা প্রায় তিন গুন বেশি হয় এবং যারা মাঝ বয়সে বিধবা হওয়ার পর আর বিয়ে করেনি তাদের স্মৃতিভ্রংশ প্রবণতা ছয়গুণ বেড়ে যায়। গবেষকরা বলেন বিবাহিত এবং সারাজীবন মানসিকভাবে এবং সামাজিকভাবে পাশাপাশি থাকলে মন প্রফুল্ল থাকে এবং স্মৃতি শক্তি কম হ্রাস পায়।

বিভিন্ন অসুখ থেকে মুক্তি:

সুখী দম্পতিদের কখনো টাইপ -২ ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যা, ফাইব্রোমাইলজিয়া মত অসুখ হতে দেখা যায় না। যেকোনো জিনিস নিয়ে অতিরিক্ত মানসিক চাপ শরীরে উপর খারাপ ভাবে প্রভাব ফেলে। তাই সুস্থ থাকতে হলে সুখী দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত করা অতীব জরুরী।

জীবনসঙ্গী খুঁজতে বিবাহবিডি

উচ্চ শিক্ষা শেষে প্রতিষ্ঠিত হবার পরেও যদি আপনার  অথবা  পরিবারের প্রিয় সদস্যটির জন্য উপযুক্ত সঙ্গীর সন্ধান না পাওয়ায় কারনে বিয়ের ব্যাপারে সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগে থাকেন তবে আপনার জন্যই অনলাইন বেইজ ম্যাট্রিমনিয়াল সার্ভিস বিবাহ বিডি ডট কম। ঘরে বসেই ফ্রী রেজিষ্ট্রেশন করে  চাহিদা অনুযায়ী পাত্র/পাত্রীদের প্রোফাইল (ছবি সহ বায়োডাটা) দেখে পাত্র/পাত্রী কিংবা অভিভাবকের সাথে সরাসরি নিজেরাই যোগাযোগ করতে সক্ষম হবেন এবং তা অতি দ্রুততম সময়ের মধ্যে ।

কেমন জীবনসঙ্গী খুঁজবেন?

বিয়ে মানুষের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। নতুন জীবন শুরু করতে জীবনসঙ্গীর কিছু দিক অবশ্যই যাচাই করে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত এবং তাড়াহুড়া একেবারেই না। আসুন দেখি কোন দিক গুলো অবশ্যই বিবেচনায় আনতে হবে।

শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ

জীবনসঙ্গী খুঁজার ক্ষেত্রে অবশ্যই ব্যক্তির শিক্ষাগত যোগ্যতা আপনার কাছাকাছি বা সমপরিমাণ কিনা বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে নিবেন। অতিরিক্ত শিক্ষাগত যোগ্যতা বা কম শিক্ষা এরকম কাউকে নিয়ে ভাবেন না।

বয়সের পার্থক্যঃ

যাকে জীবনসঙ্গী বানাবেন ভাবছেন তার বয়সের সাথে আপনার বয়সের দূরত্ব কম বা বেশী না হয় এ বিষয়টি খেয়াল রাখবেন। পারিবারিক মতামতঃ যারা পারিবারিকভাবে বিয়ের জন্য জীবনসঙ্গী খুঁজছেন তারা পরিবারের মতামত বুঝে সিদ্ধান্ত নিন এতে করে পরিবারের সাথে আপনার জীবনসঙ্গীর সম্পর্ক ভালো থাকবে।

পেশাঃ

জীবনসঙ্গী বাছাইয়ে ব্যক্তির আর আপনার পেশা কি তা দেখে নিন। ভবিষ্যতে দুজন পেশাগত বিষয়ের দিকগুলো মানিয়ে নিতে পারবেন কি না এ বিষয়টি অবশ্যই খেয়ালে রাখবেন।

পারিবারিক কালচার ও আর্থিক অবস্থাঃ

পারিবারিক কালচার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দুই পরিবারেরে মধ্যে সম্পর্কের আন্তরিকতা বাড়ে বা থাকে, যদি পারিবারিক কালচারগত বিষয়ে সামঞ্জ্যসতা থাকে। দুই পরিবারের পারিবারিক আর্থিক অবস্থার সামঞ্জস্য কতটুকু এ বিষয়টি দেখুন।

ব্যক্তির আচরণঃ

যাকে জীবনসঙ্গী বানাবেন ভাবছেন শুধু তার গুনের প্রশংসা বা সৌন্দর্য না দেখে তার আচরনের প্রতিও খেয়াল রাখুন। আপনি একজন ব্যক্তির সাথে কিছুক্ষণ কথা বললেই বুজতে পারবেন তার আচরণগত কোন সমস্যা আছে কিনা বা তার কোন অভ্যাস যা আপনার পরে পছন্দ নাও হতে পারে।

দায়িত্ববান ও কর্মক্ষমঃ

একটি নতুন সংসার শুরু করতে নারী-পুরুষ দুজনের ভূমিকা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে একজন দায়িত্ববান ও কর্মিক হবেন আরেকজন উদাসীন তা হলে সংসার শুরু হবে অশান্তি দিয়ে। তাই জীবনসঙ্গী বাছাইয়ে এ গুনাবলি আছে কিনা যাচাই করে নিন।

শারীরিক বিষয়ঃ

যাকে বিয়ে করবেন তার শারীরিক গঠন আপনার সাথে মানায় কি না খেয়াল রাখুন। ব্যক্তি স্বাস্থ্যগত দিক থেকে ঠিক আছে কিনা যাচাই করে নিন।

মানসিক প্রস্তুতিঃ

যাকে বিয়ে করতে চাচ্ছেন সে কি বিয়ের জন্য মানসিকভাবে তৈরি কিনা তা বোঝার চেষ্টা করুন। যদি সে বিয়ের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকে তাহলে ভাবতে পারেন।

জীবনসঙ্গী খুঁজার ক্ষেত্রে গুণবতী,সুন্দরী বা ছেলের অবস্থান বিষয়গুলো যাচাই করা ছাড়াও অনেক বিষয় রয়েছে যা আমরা দেখা প্রয়োজন মনে করি না। ফলে বিয়ের পর সংসারের অধ্যায় শুরু হয় ঝামেলা দিয়ে। তাই জীবনসঙ্গী খোঁজার ক্ষেত্রে অবশ্যই এ বিষয়গুলো প্রত্যেকের খেয়াল রাখা উচিত।

একটা ঠিকানা চাই

স্বাধীনতা পাওয়ার পর মানুষ আবার পরাধীন হতে চায়। মানুষ যখন কারো সঙ্গী হয়ে জীবনযাপন করেন একটা সময় সে সব ছেড়ে খোলা আকাশের মুক্ত পাখি হতে চায়। আবার মানুষ যখন খোলা আকাশে মুক্ত পাখি থাকে দিন শেষে সন্ধ্যা ঘনালে সে একটা ঠিকানা চায়।

এ ঠিকানা খোঁজাটা যেন ঠিক কবি নির্মলেন্দু গুনের কবিতার মতন-

আমি বলছিনা ভালো বাসতেই হবে:

আমি চাই,

কেউ একজন আমার জন্যে অপেক্ষা করুকশুধু ঘরের ভিতর থেকে দরজা খুলে দেবার জন্য…

জীবনকে একাকিত্বের জটিলতার কাঠগড়ায় দাড় করিয়ে রাখলেও মানুষ বেশ পরাধীন হতে চায়। খুব বেশী চাওয়া-পাওয়া নয় শুধু পাশে কেউ একজন থাকুক আর তার স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করুক এরকম একটা ঠিকানা চায় অনেকেই।

তেমনি কবি আব্দুল্লাহ আল মামুন তার কবিতায় সব কিছুর উর্ধে একজন মানুষকেই চেয়েছেন-

আমার একটা মানুষ চাই, মনের মত মানুষ চাইযে মানুষের মাঝে আমি, রাত-বিরাতে প্রতীক্ষণনিজেকে খুঁজে পাই ।

ভালোবাসার মানুষের সাথে বিচ্ছেদ অথবা বিয়ের পর বিচ্ছেদ মানুষকে যখন একা করে দেয়, তখন এ একাকী জীবন অতিক্রমের মধ্যে দিয়ে মানুষ পাশে কাউকে পাওয়ার প্রয়োজন অনুভব করেন। দেখা যায় অধিকাংশ বিচ্ছেদ ঘটে স্বাধীনতা না পাওয়ার অভিযোগে আবার তারাই পরাধীনতার গতিতে জীবন গড়ার ইচ্ছা অপ্রকাশিত রাখেন। স্বাধীনচেতা মানুষ সব দিক থেকে স্বাধীন হলেও একাকীত্ব তাদের জীবনে নানাভাবে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।যেমন-

হতাশায় ভোগা, গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিলম্ব, আত্মহত্যার প্রবনতা, মাদক গ্রহণ, মানসিক চাপ, জীবনের কোন অর্থ খুঁজে না পাওয়া, সমাজরোধী আচরণ, স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি যেমন স্ট্রোক / হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা।

গবেষকদের ভাষ্যমতে- একাকীত্ব এবং সামাজিক বিচ্ছিন্নতা দুটি একেবারেই ভিন্ন বিষয়। অনেকের মাঝে থেকেও একাকীত্ব বোধ করা অথবা একা থাকতে পছন্দ করা দুই ক্ষেত্রেই বেঁচে থাকার বিষয়টি প্রভাব ফেলে। বৃদ্ধ বয়সে বেশিরভাগ মানুষ একাকীত্বে ভোগেন। তাদের মৃত্যুর আশঙ্কাও থাকে বেশি। তবে তরুণদের মধ্যে এই ধরণের মৃত্যুর আশঙ্কা বয়স্কদের তুলনায় বেশি থাকে।আরও জানা যায়, সামাজিক বিচ্ছিন্নতা কিংবা নিঃসঙ্গ জীবনযাপনের ফলে ৬৫ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে অকাল মৃত্যুর প্রবণতা বেশি দেখা যায়।

বিয়ের প্রস্তাব কাকে দিবেন;কিভাবে দিবেন

বিয়ে মানুষের জীবনে নতুন এক অধ্যায়। অনেক নারী ও পুরুষ আছেন বিয়ের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিলেও যাকে ভালো লাগে তাকে প্রস্তাব দিতে সংকোচবোধ করেন। এর প্রধান কারন অযাচিত ভয়; যদি বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখান হয়!

বিয়ের প্রস্তাব দেয়া মূলত তখনই সহজ হবে যখন আপনি বিয়ের প্রস্তাব কাকে দিবেন এ বিষয়টি যাচাই করে নেন। আপনার যেমন জীবনসঙ্গিনীর বিষয়ে কিছু প্রত্যাশা রয়েছে তেমনি বিপরীত ব্যক্তির মনেও রয়েছে নিজস্ব কিছু চাহিদা ও পছন্দ।

যে বিষয়গুলো দেখে ব্যাক্তি কে বিয়ের প্রস্তাব দিবেনঃ

ব্যাক্তির শিক্ষাগত যোগ্যতা আপনার থেকে অনেক কম বা বেশী হবে এমন কারও কথা না ভাবাই ভালো।

যাকে বিয়ে করতে চাচ্ছেন, তার আর আপনার পেশা, সামাজিক অবস্থান, পারিবারিক কালচার, ভবিষ্যতে দুজন পেশাগত বিষয়ের দিকগুলো মানিয়ে নিতে পারবেন কি না। এ বিষয়টি অবশ্যই খেয়ালে রাখবেন।

দুই পরিবারের অবস্থা কতটুকু সামঞ্জস্যক তা দেখা উচিত।

আগে জানার চেষ্টা করুন তার ব্যক্তিত্ব আর আপনার ব্যক্তিত্বে মিল রয়েছে কিনা বা মিলিয়ে নেয়ার মত কিনা।

ব্যাক্তির সাথে আপনার বয়সের ব্যবধান কত।

যাকে বিয়ে করতে চাচ্ছেন সে মানসিক দিক থেকে বিয়ের জন্য প্রস্তুত আছে কি না জেনে নিন।

যাকে পছন্দ করছেন তাকে বিয়ের প্রস্তাব পাঠানোর আগে তার সাথে আলোচনা করে জেনে নিন, অথবা বিশ্বস্ত কাউকে দিয়ে তার মনস্তাত্ত্বিক অবস্থা বুঝার চেষ্টা করুন।

যেভাবে বিয়ের প্রস্তাব দিবেনঃ

সাক্ষাতের জন্য এমন একটি পরিবেশ বাছাই করুন অথবা তৈরি করুন যে পরিবেশে পছন্দের ব্যক্তি মানসিক ভাবে উৎফুল্ল থাকে।

সময় ও দিন নির্ধারণ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যেদিন আপনি ব্যক্তির সাথে দেখা করতে যাবেন সেদিনটি দুজনের ছুটির দিনটি বেঁছে নিন ও সময় বিবেচনা করে দেখা করুন, যেনো কোন তাড়াহুড়ো না থাকে।

আকর্ষণীয় উপহার দিতে পারেন অথবা সম্ভব হলে তার পছন্দ জেনে প্রিয় কিছু উপহার দিন।

তার সাথে এমন ভাবে আচরণ করুন যেন সে যতটুকু সময় আপনার সাথে থাকবে অবশ্যই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবে।

আপনি তাকে পছন্দ করেন, বিয়ের কথা ভাবছেন; এ কথাটি এক লাইনে না বলে তার সাথে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি উপস্থাপন করুন, আপনি তাকে কেন বিয়ে করতে চাচ্ছেন।

বিবাহবিডিতে যাদের প্রোফাইল আছে তারা তাদের পছন্দের বিষয়গুলোকে প্রধান্য দিয়ে মুহুর্তের মধ্যেই জীবনসঙ্গী খুঁজতে পারেন। এবং সরাসরি অথবা বিবাহবিডির এক্সিকিউটিভদের মাধ্যমে প্রোপোজাল পাঠাতে পারেন।

বিবাহবিডিতে আপনি আপনার পছন্দের প্রফেশন, পাত্র-পাত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা, জেলা, আর্থিক অবস্থা, বৈবাহিক অবস্থা, বর্তমান অবস্থান, বর্ন, গোত্র, ধর্ম সহ ১৮ টি সার্চ ক্যাটাগরীর মাধ্যমে চাহিদা অনুযায়ী কাংখিত সঙ্গীকে সহজেই খুঁজতে সক্ষম হবেন।

তাছাড়া আপনার প্রদত্ত সঙ্গী বাছাইয়ের বিবরন (পার্টনার প্রেফারেন্স) এর সাথে মিলিয়ে বিবাহবিডি সার্চ ইঞ্জিন স্বয়ংক্রিয় ভাবে ডাটাবেইজের সেই সব প্রোফাইল খুঁজে আপনার সামনে এক নিমিষেই হাজির করে।

সম্পর্কে প্রনয় আছে কিন্তু বন্ধুত্ব নেই; কি করবেন?

প্রণয় ও বন্ধুত্ব আলাদা দুটি শব্দ হলেও একটি সম্পর্কে এর দুটির উপস্থিতি এক সাথে থাকা খুব জরুরী। আপনার সঙ্গীকে আপনি ভালোবাসেন, তার সব দিক খেয়াল রাখছেন, একই ছাদের নিচে দুজন বাস করছেন, কিন্তু একে অপরের কাছে মন খুলে সব কথা বলছেন না বা বলতে পারেন না। এটি আপনাদের সম্পর্কের মাঝে জটিলতা আনতে পারে। স্বামী-স্ত্রী বন্ধুত্বের রূপ হয় অন্য রকম। তাই আপনাকে আগে বুঝতে হবে বন্ধুত্ব কার সাথে কি রকম হবে। পরিবারের সাথে বন্ধুত্ব, বন্ধুর সাথে বন্ধুত্ব আর স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের সাথে বন্ধুত্ব এক নয় কেননা সম্পর্ক গুলো আলাদা।

সম্পর্কে প্রনয় ও বন্ধুত্ব বজায় রাখতে যা করা উচিৎঃ

একে অপরের পছন্দ সম্পর্কে জানুন, অনেকটা আইস ব্রেকিং গেম এর মত একে অপরকে ব্যাক্তিগত ভালো লাগা খারাপ লাগা নিয়ে প্রশ্ন করুন।

দুজন ব্যাক্তির ভিন্ন ভিন্ন পছন্দ থাকতেই পারে এটাই স্বাভাবিক; এতে হতাশ হবার কিছু নেই। একে অন্যের পছন্দকে শ্রদ্ধা করুন, নিজের পছন্দকে অন্যের উপর চাপিয়ে দিবেন না।

স্বামী স্ত্রী’র নিজেদের ব্যাক্তিগত বিষয় গুলো অন্য কারও সাথে শেয়ার করবেন না।

নিজেদের ভালো মুহূর্ত গুলোর গল্প আপনার সঙ্গীকে মনে করিয়ে দিন।

আপনার অনেক স্মৃতি হয়ত আপনার সঙ্গী ভুলে যেতে পারেন তাই মনে করিয়ে দিতে আপনি ডায়েরি লিখতে পারেন, হতে পারে সেটি কবিতা কিংবা ছোট গল্প চাইলে আদি নিয়মের মত চিঠি লিখে বা চিরকুট লিখে তাকে উপহার দিতে পারেন।

ভালোমন্দ বোঝাপড়া নিজেদের মধ্যে সমঝোতা করে নিবেন পরিবারকে বা বন্ধুবান্ধব দিয়ে নিজের স্ত্রী বা স্বামী কে বোঝাতে যাবেন না।

দুজন ব্যাক্তির উচিৎ একে অপরকে জানা এবং প্রতিদিন জানতে চাওয়া। নিজেদের বারংবার জানতে চাওয়ার মাঝে গড়ে উঠবে বন্ধুত্ব আর যেটা থাকা চাই সেটা হল – বন্ধুত্বের শ্রদ্ধাবোধ।

লাভ বম্বিং

সঙ্গীর কাছ থেকে মনোযোগ পেতে কে না ভালবাসেন! ভাবুন তো, প্রেমের শুরুর দিকেই যদি কেউ রোজ আপনাকে দামি দামি উপহার দিয়ে মন ভোলান তাহলে আপনার কাছেও সম্পর্কটা বড্ড রঙিন ঠেকবে এটাই স্বাভাবিক। হিরের নেকলেস, দামি রেস্তরাঁয় খাওয়ানো, লং ড্রাইভে নিয়ে যাওয়া ইত্যাদি যতরকমের উপায় আছে আপনাকে ইমপ্রেস করার তার মোটামুটি সবক’টাই করে ফেলেছেন আপনার সঙ্গী। আপনিও প্রথম দিন থেকেই তাঁর ব্যবহারে মুগ্ধ। তবে ধীরে ধীরে সম্পর্কের আসল খোলসটা উপলব্ধি করতে শুরু করেন আপনি। প্রাথমিক বিমুগ্ধতা কাটিয়ে তখন উন্মোচিত হয় সম্পর্কের তিক্ত রূপ। ডেটিংয়ের দুনিয়ায় এই নতুন ট্রেন্ডের নাম হল লাভ বম্বিং!

প্রথমদিকে আপনার মন জুগিয়ে চলে আপনার বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করাই হয়তো আপনার সঙ্গীর উদ্দেশ্য। একেবারে আপনার মনের মতো হয়ে উঠতে ঠিক যেমন যেমন আচরণ করা দরকার, তিনি সেগুলোই করছেন। সবসময়ই আপনার কাছাকাছি, পাশাপাশি থাকছেন। আপনার ছোটবড় সব বিষয়ে বড্ড বেশি মনোযোগ দিচ্ছেন। আবার খরচ করে দামি উপহার দিতেও দ্বিধা করছেন না। আর সবকিছুই এত দ্রুত ঘটছে যে আপনি উলটোদিকের মানুষটাকে পরখ করে দেখার অবকাশটুকুও পাচ্ছেন না। আর ক্রমেই তাঁর উপর বাড়ছে আপনার নির্ভরশীলতা।

‘পারফেক্ট পার্টনার’ পেয়ে গেছেন ভেবে আপনিও নিজের শরীর-মন উজাড় করে দিচ্ছেন। এই পর্যন্ত ঠিকঠাক চললেও, কিছুদিনের মধ্যেই হয়তো আপনার সঙ্গী আপনার এই অত্যধিক নির্ভরশীলতা ও আবেগের সুযোগ নেবেন। অনেকক্ষেত্রেই অনেকে উলটোদিকের মানুষটিকে সচেতনভাবেই ‘লাভ বম্বড’ করেন।

প্রাথমিক ভালবাসার পর্ব পেরিয়ে গেলে তখন তাঁরা আর আগের সঙ্গীর প্রতি অনুরক্ত থাকেন না। অনেকে তো আবার সম্পর্কের কোনও অস্তিত্বই স্বীকার করেন না! আগে থেকে তা বোঝা খুবই মুশকিল। কিন্তু যখন বুঝতে পারলেন তখন হয়তো আপনি এতটাই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন যে তখন আপনার জায়গা কোনও মনোবিদের চেম্বারে! ডেটিংয়ের মূল উদ্দেশ্য একে অপরকে আরও ভালভাবে চেনা। কিন্তু সেই ডেটিং পিরিয়ডেই যদি পার্টনারের কিছু কিছু আচরণে সন্দেহ হয়, তাহলে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।

প্রথমদিকে ভালবাসার ভান করলেও যদি দেখেন দিনে দিনে তিনি আপনার জীবনের উপর নিয়ন্ত্রণ আনতে চাইছেন, তাঁর ইচ্ছেটাকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন বেশি তাহলে সতর্ক হোন।যদি আপনার পার্টনার সারাদিনই আপনাকে প্রেম নিবেদন করতে থাকেন, আপনার সম্পর্কে সবসময়ই খুব ভাল ভাল কথা বলেন বা দামি উপহার দেন, তাহলেও একটু ভেবে দেখুন।প্রথম প্রথম আপনার মন জুগিয়ে চললেও কিছুদিন পরেই আপনার কাছ থেকে নানারকম সাহায্য বা অনুরূপ ব্যবহার তিনি প্রত্যাশা করতে পারেন। না দিলে অনেকসময় অশান্তিও হয়। লাভ বম্বাররা আপনাকে আর্থিকভাবে ক্ষতিও করতে পারে।

আবার একইসঙ্গে সায়কলজিকাল অ্যবিউজ়ও এর একটা বড় দিক। আপনি পরিবারের লোক বা বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটালে তা অনেক লাভ বম্বারেরই পছন্দ হয় না। এই পজ়েসিভনেস যদিও প্রায়শই নকল হয়!আজকের যুগে অনেকেই ডেটিংয়ের নামে নিছকই টাইমপাস করতে চায়। দীর্ঘকালীনসম্পর্ক বা বিয়ের কথা ভাবেই না। তাই, প্রথম থেকেই পার্টনারকে চেনার চেষ্টা করুন। তাঁর আবেগ, তাঁর বিশ্বাসযোগ্যতা ইত্যাদি সময় নিয়ে যাচাই করুন।

দাম্পত্ব্য সম্পর্কে ক্ষমতার ভারসাম্য

সম্পর্কের গুরুত্ব যার কাছে কম তার হাতেই বেশি ক্ষমতা চলে আসে। এই সমস্যার সমাধান লুকিয়ে আছে একে অপরের প্রতি বিশ্বাসেই।

সম্পর্কের মধ্যে ‘ক্ষমতা’ শব্দটাকে টেনে আনতে আমরা কেউই পছন্দ করি না। একটা সুস্থ সম্পর্কে থাকবে একে অপরের সঙ্গে সহযোগিতা এবং সব কিছু ভাগ করে নেওয়ার আশ্বাস। কিন্তু সহযোগিতা এবং শেয়ার, এই দুটো করতেই তো দু’জন মানুষকে লাগে। দু’জনের মধ্যে একজন যদি সেটা না করতে চায়?

আসলে সম্পর্কের গুরুত্ব যার কাছে কম তার হাতেই বেশি ক্ষমতা চলে আসে। অন্যজন যতই ভালবাসাকে বেশি প্রাধান্য দিক। ডিনারের প্ল্যান থেকে আরও গুরুত্বপূর্ণ কোনও বিষয়, সবই যদি একজনের সিদ্ধান্ত মতো চলে তাহলে মুশকিল! অন্যজনের অসম্মতির যেন কোনও অর্থই নেই! এর ফল?

সিদ্ধান্ত নেওয়ার জায়গাটা শুধুমাত্র একজনের দখলে থেকে যায়। হয়তো না চাইতেই সে অন্য জনের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে, যে তার মতামতের কোনও গুরুত্ব বা প্রয়োজনীয়তা নেই।

সম্পর্ককে ধরে রাখতে এই সমস্যার সমাধান কিন্তু করতে হবে ধৈর্য্য ধরে। কীভাবে?

  • প্রথমত যেটা করতে পারেন তা হল পার্টনারের এই স্বভাব মেনে নেওয়া। তার সিদ্ধান্তগুলোই মেনে চলা। এতে সাময়িকভাবে সমস্যার সমাধান হয়তো হবে, পাওয়া যাবে কিছুটা সহযোগিতার আশ্বাস। তবে দীর্ঘদিন এইভাবে চলা নিশ্চয়ই সম্ভব নয়। ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙবেই। নিজেকে গুরুত্বহীন করে রাখতে কেউ কত দিন পারে?
  • দ্বিতীয়, সহযোগিতা পাওয়ার জন্য লড়াই করা। এতে কিন্তু দুটো ফল হতে পারে। আপনার পার্টনার যদি নিজের ভুল বুঝতে পারেন, তাহলে তো সমাধানও আপনারা পেয়ে গেলেন। কিন্তু তিনি যদি ভাবেন যে আপনি অকারণে ঝগড়া করছেন? তাহলেও কিন্তু বেশি আঘাত পাবেন আপনিই।
  • এতেও সমাধান না হলে স্পষ্ট করে অন্যজনকে বলে দিন যে তিনি আপনার পাশে না থাকলেও আপনি নিজের কাজ নিজে করতে সক্ষম। আসা করা যায় এতে আপনার পার্টনার নিজের ভুল বুঝবেন। তবে আপনি নিজে যদি এই সম্পর্কের উপর খুব বেশি মানসিকভাবে নির্ভরশীল হয়ে থাকেন তাহলে হয়তো এই কাজটা আপনি নিজেই করে উঠতে পারবেন না।

তবে কি কোনও সমাধান সত্যিই নেই এই সমস্যার? আছে। আর সেটা লুকিয়ে আছে আপনাদের দু’জনের ভিতরেই। একে অপরের প্রতি বিশ্বাসে।

একটি সম্পর্কে যখন দু’জন দু’জনকে বিশ্বাস করেন তখন কোথাও না কোথাও এই বিশ্বাসটাও থাকে যে তাঁরা একে অপরকে ছেড়ে যাবেন না। দু’জনের উপরেই প্রভাব ফেলবে এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে একজন অন্যজনের ছোট-ছোট প্রয়োজন এবং ইচ্ছেগুলোকেও গুরুত্ব দেবে, থাকে এই বিশ্বাসও।

মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক তো শুধু ‘ক্ষমতা’য় সীমাবদ্ধ নয়। বন্ধুত্ব, ভালবাসা, সম্মান এই সবের কাছেই হেরে যাবে ক্ষমতার লড়াই।