তরুণীরা যেমন পাত্র পছন্দ করেন!

মেয়েদের বিয়ের বিষয়ে যেন নিজে থেকে কিছু বলতে নেই। ছেলে দেখতে-শুনতে যেমনই হোক তাতে কি; ছেলে তো প্রতিষ্ঠিত! পরিবারের পছন্দ হয়েছে তো – ব্যাস; এখন বিয়েটা হয়ে যাক।

না! এভাবে মেয়ের উপর সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিবেন না। আপনি অবশ্যই মেয়ের জন্য যোগ্য পাত্র খুঁজবেন তবে মেয়ের কেমন জীবনসঙ্গী পছন্দ তা আগে জেনে নিন ।

একটি মেয়ে জীবনসঙ্গী নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখে, কল্পনায় গুছানো সংসারের ছবি আঁকে কিন্তু মেয়েদের পছন্দ কে আমাদের সমাজে অনেকাংশেই গুরুত্ব দেয়া হয় না যা অনুচিত।

তরুণীরা যেমন পাত্র পছন্দ করেঃ

শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ পাত্র পছন্দে নারীরা সব থেকে বেশী প্রাধান্য দেয় যে বিষয়ে তা হল শিক্ষাগত যোগ্যতা। কেবলমাত্র আর্থিক সচ্ছলতার জন্য নয় এক্ষেত্রে একজন শিক্ষিত পুরুষের মানবিক মানসিকতা নারীর কাছে মুখ্য।

মতের বা মানসিকতার মিলঃ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান নেহাল করিম বলেন – ‘এখন পাত্র-পাত্রী উভয়েই খুব সচেতন। তাঁরা নিজেরাই পছন্দ করে বিয়ে করছেন। এ ক্ষেত্রে শারীরিক সৌন্দর্যের চেয়ে তাঁদের সাংস্কৃতিক ও পারিবারিক মিলের বিষয়কে প্রাধান্য দেওয়া উচিত। মনে রাখতে হবে, বিয়ের ক্ষেত্রে আইনি বন্ধনই বড় নয়, মানসিক বন্ধনটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’

বর্তমানে মেয়েরা চায় তাদের জীবনসঙ্গী এমন হবে যার সাথে মতের মিল থাকবে। বছরের পর বছর একটি মানুষের পছন্দের বা মতের সাথে নিজের জীবন বলি দেয়ার বিষয়ে মেয়েরা আজকাল বেশ সতর্ক।

কর্মঠ সঙ্গীঃ

পুরুষের শিক্ষাগত যোগ্যতা আছে, চাকরি বা ব্যবসা করছে কিন্তু কর্মঠ নয় এরকম পাত্র নারীরা পছন্দ করেনা। বর্তমান শিক্ষিত নারীরা এ বিষয়ে বেশী সচেতন। নারীরা যেমন পুরুষদের উপর এখন আর নির্ভরশীল হতে চায় না তেমনি কর্মঠ নয় এমন পুরুষও তাদের পছন্দ নয়।

পোশাকে রুচিশীলঃ

বিশেষজ্ঞদের মতে, রুচিহীন পোশাকের পুরুষদের কোনো কিছুই নারীদের আকর্ষণ করে না। সাধারণত চলতি ফ্যাশন নারীদের কাছে প্রিয়। ভালো পোশাকই ব্যক্তির রুচির পরিচায়ক।

সঠিক বয়সের পার্থক্যঃ

আজকাল নারীরা যেমন স্বাবলম্বী হচ্ছে তেমনি জীবনসঙ্গিনীর বয়সের ব্যবধানের বিষয়ে বিশেষ পছন্দ রাখছে। পুরুষের বয়সসীমা নারীর বয়সসীমার চেয়ে বেশী ব্যবধান হলে এখনকার নারীরা বিয়ের সম্মতি দিতে নারাজ। একজন জীবনসঙ্গী বাছায়ের জন্য স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী পাত্রের পাত্রীর চাইতে ৩-৫ বছরের বয়সের পার্থক্য থাকা উচিত।

শারীরিক সুস্থতাঃ

এখন আর পূর্বের মত পাত্র বাছায়ে নারীরা শুধুমাত্র বাহ্যিক সৌন্দর্য ও ক্যারিয়ারের কারণে পাত্র পছন্দ করে ফেলেন না। পাত্রের শারীরিক গঠন ও সুস্থতা নিয়ে সচেতন নারীরা। ভবিষ্যৎ এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা ভেবে পাত্র/পাত্রীর সুস্থতার পরীক্ষা গুরুত্বপূর্ন একটি বিষয়।

সৎ এবং বিশ্বস্তঃ

সঙ্গী সৎ এবং বিশ্বস্ত হবে এমনটা প্রতিটি নারী আশা করেন। তারা চান সঙ্গী যেন অবশ্যই সৎ হয়। নারীরা সততার মাপকাঠিতে পুরুষকে সবার আগে যাচাই করেন তার বিশ্বস্ততা।

ব্যক্তিত্ববানঃ

ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন পুরুষদের নারীরা বেশি পছন্দ করে থাকেন। কারণ ব্যক্তিত্ববান পুরুষ সঙ্গীর পাশাপাশি অন্যের দৃষ্টি কাড়তে সক্ষম। কোন পুরুষ দেখতে আকর্ষণীয় না হলেও ব্যক্তিত্ববান হলে নারীরা তাদের পছন্দ করেন।

মানবিক গুণাবলীঃ

ব্যক্তির আচরণে তার মানবিক ও মানসিকতার প্রকাশ পায়। নারীকে কে নারী হিসেবে না দেখে নারীকে মানুষ হিসেবে দেখবে, সম্মান করবে, ইচ্ছে কে প্রাধান্য দিবে, সফলতা কে শ্রদ্ধা করবে, স্বাধীনতা দিবে। এসকল মানবিক গুনাবলিগুলো একজন জীবনসঙ্গীর মাঝে থাকবে এরকমটাই নারীরা চান।

কথা বলার ধরনঃ

একজন মানুষের কথা বলার ধরণের উপর ঐ ব্যাক্তির অনেকগুলো দিক ফুটে উঠে। একজন পুরুষের কথা বলা যত মার্জিত-ভদ্র ও আকর্ষণীয় হবে নারীরা সহজেই সে পুরুষের উপর আকৃষ্ট হয়ে উঠে।

কাজে গোছালোঃ

বর্তমান প্রেক্ষাপটে বেশিরভাগ নারীরা স্বাবলম্বী। পুরুষদের পাশাপাশি নারীরা বাহিরে কাজ করছে তবে অনেক নারীকে চাকরির পাশাপাশি একা ঘর সামলাতে হচ্ছে। তাই নারীরা চায় এমন জীবনসঙ্গী পেতে যারা ঘরের কাজে সহায়ক ও গোছালো হবে।

পৃথিবীতে সমস্ত গুণাবলীর ভাণ্ডার নিয়ে কোনো পুরুষই জন্মায়নি। সবদিক থেকে গুণাবলীসম্পন্ন পুরুষ সঙ্গী মেলা ভার। কিছু মৌলিক জিনিস আছে যেগুলো নারী-পুরুষের চাওয়ার মধ্যে তেমন কোনো পার্থক্য নেই। তবে পাওয়ার মধ্যে অনেক অনেক পার্থক্য আছে। সবার দৃষ্টিভঙ্গি কিন্তু এক নয়। আপনার চোখে যা সুন্দর অন্যের চোখে তা তেমন সুন্দর নাও হতে পারে। নারীর পছন্দ, অপছন্দ চাওয়া-পাওয়া ইত্যাদির বিস্তর সন্ধান করেছেন গবেষকরা। অনাবৃত রয়েছে অনেক রহস্য।

অস্ট্রেলিয়ান মনোবিজ্ঞানী সিগমন্ড ফ্রয়েড মনে করেন -মেয়েদের মন পুরুষদের চেয়ে অনেক পরিষ্কার থাকে। আর সে কারণে মেয়েরা তাদের মনটাকে ঘন ঘন বদলান। আবার তাদের অনেক প্রিয় বিষয় আছে যা তারা একেবারেই বদলান না।

বিয়ে করুন যথা সময়ে, এর স্বাস্থ্যগত সুফল অনেক!

বিয়ের কথাটা শুনলেই কেমন যেন লাগে। চিন্তার বিষয়, বয়স হয়েছে তো! সে যাই হোক। বিয়ে করুন উপযুক্ত সময়ে। কারণ বিয়ে করার স্বাস্থ্যগত সুফল অনেক! কি ধরণের সুফল থাকতে পারে বিয়ে করার পর?

কেউ যদি মনে করে থাকেন বিয়ে করার কারণে আপনার মৃত্যুর দিন তাড়াতাড়ি ঘনিয়ে আসবে তাহলে আপনি ভুল ভাবছেন। কারণ ২০১৩ এর এক রিসার্চে দেখা গেছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জন্ম গ্রহণকারীদের মধ্যে যারা অবিবাহিত তারা বিবাহিত অথবা দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের মধ্যে যারা আছে তাদের তুলনায় তাড়াতাড়ি মারা যায়। এর কারণ হিসেবে দেখা গেছে জীবনসঙ্গী মানুষকে আবেগ অনুভূতি বাড়িয়ে দেয়, সামাজিকভাবে একত্রে রাখে, মানসিকভাবে সমর্থন দেয়, যার সব কিছুই সুস্থ স্বাভাবিক স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন।

মানসিক চাপ কম থাকে :

যদিও মাঝে মাঝে ঝগড়া লাগে তারপরও তার উপস্থিতি আপনার মনে এক ভালো লাগার অনুভূতি ছড়িয়ে দিবে। মানুষ যখন কোন মানসিক চাপের মধ্যে থাকে তখন শরীরে স্ট্রেস হরমোনের পরিমাণ বেড়ে যায়। এই স্ট্রেস হরমোন বিবাহিতের চেয়ে অবিবাহিতদের শরীরে দ্রুত বৃদ্ধি পায়। অতিরিক্ত পরিমাণে মানসিক চাপ শরীরে সমস্যার জন্ম দেয়, বিশেষ করে হজমের সমস্যার সৃষ্টি করে। রিসার্চে জানা গেছে স্ট্রেস হরমোন বিবাহিতদের শরীরে সেরকম ভাবে ক্ষতি করতে পারে না কিন্তু অবিবাহিতদের শরীরে নানা সমস্যার বাসা তৈরি করে।

হার্ট এ্যাটাকের সম্ভাবনা হ্রাস পায়:

ভালোবাসা হৃদযন্ত্রকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে যারা বিবাহিত অথবা কোন সম্পর্কের মাঝে আছে তাদের হার্ট-অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা নিঃসঙ্গ মানুষের চেয়ে কম। গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে যে সঙ্গীর নিবিড় সঙ্গ এবং নতুন পরিবারের নতুন সব আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু- বান্ধবের সাথে ভালো বন্ধনের কারণে হার্ট-অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকাংশে হ্রাস পায়। কারণ পরিবারের সাথে থাকলে মানুষ উৎফুল্ল থাকে। মনে কোন মানসিক চাপ থাকলে তা শেয়ার করতে পারে। এতে মনের উপর চাপ কম পড়ে।

বিয়ে শরীরের হাড় মজবুত করে। অবাক হচ্ছেন? আসলেও তাই। বিয়ে শরীরের হাড় শক্ত করে এবং বিভিন্ন হাড়ের রোগের ঝুঁকি কমায়। বিয়ে হাড়ের খনিজ ঘনত্ব ঠিক রেখে হাড়ের এক ধরণের রোগ “অস্টিওপরোসিস” হওয়ার ঝুঁকি কমায়। একজন ভালো জীবনসঙ্গী পত্নীর মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে হাড়কে ক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করে। তাই সুখী দাম্পত্য জীবন মহিলাদের হাড়ের খনিজ ঘনত্ব ঠিক রাখার জন্য জরুরী।

অস্ত্রোপচারের পর দ্রুত সুস্থ হওয়া:

কেউ যখন আপনার পাশে সারাক্ষণ থেকে আপনার পরিচর্যা করবে তখন আপনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। কিন্তু আপনি যখন একা থাকবেন সে ক্ষেত্রে আপনার সুস্থ হতে অনেক সময় লেগে যাবে। কারণ তখন আপনার সব কাজগুলো আপনার নিজেরই করতে হবে। এছাড়াও আপনি যখন কার সান্নিধ্যে থাকবেন তখন বেঁচে থাকার একটা কারণ খুঁজে পাবেন। এক্ষেত্রে জীবন সঙ্গী আপনার বেঁচে থাকার অবলম্বন হয়ে দাঁড়ায়।

অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর ঝুঁকি কমে:

জীবনে কতবার আপনি আপনার জীবনসঙ্গীকে আকস্মিক দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা করেছে? গবেষণায় দেখা গেছে তালাক প্রাপ্ত মহিলা এবং পুরুষেরা বিবাহিতদের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণ বেশি অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যায়। গবেষকদের মতে বিয়ে দুটি মানুষকে পাশাপাশি রাখে এবং এসব অনাকাঙ্ক্ষিত পরিণামের হাত থেকে রক্ষা করে।

বিষণ্ণতা কমায়:

একাকীত্বের কারণে অথবা অন্য সমস্যার কারণেও মানুষ বিষণ্ণতায় ভুগতে পারে। আর মানুষ যখন হতাশায় ভুগে তখন কি পরিমাণ মানসিক বিপর্যয় ঘটছে তার নিজের, তা সে বুঝতে পারে না। কারণ বিষণ্ণতার প্রথম উপসর্গ হচ্ছে আত্ম-উপলব্ধির হ্রাস পাওয়া। তাই বিষণ্ণতাকে সনাক্ত করতে এবং দূর করতে প্রয়োজন একজন সঙ্গীর। যে সব সময় আপনার সাথে থাকবে, যার সাথে আপনি সবকিছু শেয়ার করতে পারবেন।

ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়:

২০১৩ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, যে সকল মানুষ মরণ ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিল তাদের মধ্যে শতকরা ২০ ভাগ এর বেশি মানুষ আরোগ্য লাভ করতে সক্ষম হত যদি তারা বিবাহিত হত। এই সাফল্যের হার কেমোথেরাপির থেকেও বেশি। একটি স্বাভাবিক স্থিতিশীল সম্পর্কই প্রথম ধাপের ক্যান্সার সনাক্ত করতে পারে। আর এই বন্ধনই ক্যান্সারের সাথে লড়ে সুস্থ হওয়ার অনুপ্রেরণা যোগায়। একজন উপর্যুক্ত সঙ্গিনী তার সঙ্গীকে খারাপ এবং জীবনের জন্য ঝুঁকিকর কাজ করা থেকে বিরত রাখতে পারে। যেমনঃ মদ্যপান, মাদক সেবন ইত্যাদি।

স্মৃতিভ্রংশ প্রবণতা কমায়:

যদি জীবনে এমন সঙ্গী থাকে যার কাছে গেলে মনে শান্তি আসে তাহলে বার্ধক্য কখনো তাকে স্পর্শ করতে পারে না। গবেষণায় দেখা গেছে যারা তালাকপ্রাপ্ত হয়ে পুনরায় বিয়ে করে নি তাদের স্মৃতি শক্তি নষ্ট হওয়ার প্রবণতা প্রায় তিন গুন বেশি হয় এবং যারা মাঝ বয়সে বিধবা হওয়ার পর আর বিয়ে করেনি তাদের স্মৃতিভ্রংশ প্রবণতা ছয়গুণ বেড়ে যায়। গবেষকরা বলেন বিবাহিত এবং সারাজীবন মানসিকভাবে এবং সামাজিকভাবে পাশাপাশি থাকলে মন প্রফুল্ল থাকে এবং স্মৃতি শক্তি কম হ্রাস পায়।

বিভিন্ন অসুখ থেকে মুক্তি:

সুখী দম্পতিদের কখনো টাইপ -২ ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যা, ফাইব্রোমাইলজিয়া মত অসুখ হতে দেখা যায় না। যেকোনো জিনিস নিয়ে অতিরিক্ত মানসিক চাপ শরীরে উপর খারাপ ভাবে প্রভাব ফেলে। তাই সুস্থ থাকতে হলে সুখী দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত করা অতীব জরুরী।

জীবনসঙ্গী খুঁজতে বিবাহবিডি

উচ্চ শিক্ষা শেষে প্রতিষ্ঠিত হবার পরেও যদি আপনার  অথবা  পরিবারের প্রিয় সদস্যটির জন্য উপযুক্ত সঙ্গীর সন্ধান না পাওয়ায় কারনে বিয়ের ব্যাপারে সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগে থাকেন তবে আপনার জন্যই অনলাইন বেইজ ম্যাট্রিমনিয়াল সার্ভিস বিবাহ বিডি ডট কম। ঘরে বসেই ফ্রী রেজিষ্ট্রেশন করে  চাহিদা অনুযায়ী পাত্র/পাত্রীদের প্রোফাইল (ছবি সহ বায়োডাটা) দেখে পাত্র/পাত্রী কিংবা অভিভাবকের সাথে সরাসরি নিজেরাই যোগাযোগ করতে সক্ষম হবেন এবং তা অতি দ্রুততম সময়ের মধ্যে ।

কেমন জীবনসঙ্গী খুঁজবেন?

বিয়ে মানুষের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। নতুন জীবন শুরু করতে জীবনসঙ্গীর কিছু দিক অবশ্যই যাচাই করে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত এবং তাড়াহুড়া একেবারেই না। আসুন দেখি কোন দিক গুলো অবশ্যই বিবেচনায় আনতে হবে।

শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ

জীবনসঙ্গী খুঁজার ক্ষেত্রে অবশ্যই ব্যক্তির শিক্ষাগত যোগ্যতা আপনার কাছাকাছি বা সমপরিমাণ কিনা বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে নিবেন। অতিরিক্ত শিক্ষাগত যোগ্যতা বা কম শিক্ষা এরকম কাউকে নিয়ে ভাবেন না।

বয়সের পার্থক্যঃ

যাকে জীবনসঙ্গী বানাবেন ভাবছেন তার বয়সের সাথে আপনার বয়সের দূরত্ব কম বা বেশী না হয় এ বিষয়টি খেয়াল রাখবেন। পারিবারিক মতামতঃ যারা পারিবারিকভাবে বিয়ের জন্য জীবনসঙ্গী খুঁজছেন তারা পরিবারের মতামত বুঝে সিদ্ধান্ত নিন এতে করে পরিবারের সাথে আপনার জীবনসঙ্গীর সম্পর্ক ভালো থাকবে।

পেশাঃ

জীবনসঙ্গী বাছাইয়ে ব্যক্তির আর আপনার পেশা কি তা দেখে নিন। ভবিষ্যতে দুজন পেশাগত বিষয়ের দিকগুলো মানিয়ে নিতে পারবেন কি না এ বিষয়টি অবশ্যই খেয়ালে রাখবেন।

পারিবারিক কালচার ও আর্থিক অবস্থাঃ

পারিবারিক কালচার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দুই পরিবারেরে মধ্যে সম্পর্কের আন্তরিকতা বাড়ে বা থাকে, যদি পারিবারিক কালচারগত বিষয়ে সামঞ্জ্যসতা থাকে। দুই পরিবারের পারিবারিক আর্থিক অবস্থার সামঞ্জস্য কতটুকু এ বিষয়টি দেখুন।

ব্যক্তির আচরণঃ

যাকে জীবনসঙ্গী বানাবেন ভাবছেন শুধু তার গুনের প্রশংসা বা সৌন্দর্য না দেখে তার আচরনের প্রতিও খেয়াল রাখুন। আপনি একজন ব্যক্তির সাথে কিছুক্ষণ কথা বললেই বুজতে পারবেন তার আচরণগত কোন সমস্যা আছে কিনা বা তার কোন অভ্যাস যা আপনার পরে পছন্দ নাও হতে পারে।

দায়িত্ববান ও কর্মক্ষমঃ

একটি নতুন সংসার শুরু করতে নারী-পুরুষ দুজনের ভূমিকা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে একজন দায়িত্ববান ও কর্মিক হবেন আরেকজন উদাসীন তা হলে সংসার শুরু হবে অশান্তি দিয়ে। তাই জীবনসঙ্গী বাছাইয়ে এ গুনাবলি আছে কিনা যাচাই করে নিন।

শারীরিক বিষয়ঃ

যাকে বিয়ে করবেন তার শারীরিক গঠন আপনার সাথে মানায় কি না খেয়াল রাখুন। ব্যক্তি স্বাস্থ্যগত দিক থেকে ঠিক আছে কিনা যাচাই করে নিন।

মানসিক প্রস্তুতিঃ

যাকে বিয়ে করতে চাচ্ছেন সে কি বিয়ের জন্য মানসিকভাবে তৈরি কিনা তা বোঝার চেষ্টা করুন। যদি সে বিয়ের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকে তাহলে ভাবতে পারেন।

জীবনসঙ্গী খুঁজার ক্ষেত্রে গুণবতী,সুন্দরী বা ছেলের অবস্থান বিষয়গুলো যাচাই করা ছাড়াও অনেক বিষয় রয়েছে যা আমরা দেখা প্রয়োজন মনে করি না। ফলে বিয়ের পর সংসারের অধ্যায় শুরু হয় ঝামেলা দিয়ে। তাই জীবনসঙ্গী খোঁজার ক্ষেত্রে অবশ্যই এ বিষয়গুলো প্রত্যেকের খেয়াল রাখা উচিত।

কোর্টশিপে যা করবেন না

দীর্ঘদিনের প্রেমপর্বই হোক বা দেখেশুনে অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ – চার হাত এক হওয়ার আগে কোর্টশিপের এই সময়টা সকলের জন্যই বিশেষ গুরুত্বের। যে মানুষটার সঙ্গে সারাজীবন থাকবেন বলে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে চলেছেন তাঁকে একবার পরখ করে নেবেন না!

অবশ্য লাভ ম্যারেজের ক্ষেত্রে সঙ্গীকে চেনার প্রক্রিয়াটা অনেকদিনের। রোজই তাঁকে একটু একটু করে নতুন করে আবিষ্কার করার সময়-সুযোগও বেশি। দেখেশুনে বিয়ের ক্ষেত্রে কিন্তু এতটাও বিলাসিতার জায়গা থাকে না। বরং, সম্পূর্ণ অচেনা-অজানা একজনের সঙ্গে একছাদের তলায় দীর্ঘজীবন কাটানোর আগে কম্প্যাটিবিলিটি মিলিয়ে দেখে নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে বই কী! তবে কোর্টশিপে দু’টো মানুষ কীভাবে নিজেদের মতো করে সময় কাটাবেন, সেটা একান্তই তাঁদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে কোর্টশিপের সময়টায় কী কী করবেন না, সেদিকেও একটু খেয়াল রাখা জরুরি।

  • যদিও আপনি আপনার বাগদত্তার সঙ্গে নিরিবিলিতে যতটা সম্ভব বেশি সময় কাটাতে চাইবেন, কিন্তু কখনওই যেন তিনি হাঁফিয়ে না ওঠেন। সম্পর্কের প্রাথমিক শর্তই হল একে অপরকে স্পেস দেওয়া। আপনার নানা প্রশ্নের উত্তর তিনি দেবেন অবশ্যই, কিন্তু প্রথমেই নানা অবাঞ্ছিত প্রশ্ন করে ফেললে দমবন্ধকর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। ফলে, উলটোদিকের মানুষটি নিজের ভবিষ্যত সম্পর্কে আন্দাজ করে ফেলতে পারবেন! আর সেই ভবিষ্যত মোটেও সুখকর হবে না!
     
  • সঙ্গীর ব্যাপারে পাহাড়প্রমাণ প্রত্যাশা রাখবেন না। আবার আপনিও নিজে থেকে এমন কোনও কথা দিয়ে বসবেন না যা পরে পূরণ করতে না পারেন। শুধু সাময়িকভাবে ভাল থাকার জন্য এমন কোনও কমিটমেন্ট করবেন না যা মিথ্যে। সত্যি কথা বলুন। এর মাধ্যমেই পারস্পরিক বিশ্বাস অর্জন করতে পারবেন।
     
  • কোর্টশিপের সময়ে অযথা নিজের অতীত নিয়ে ঘাঁটবেন না। সঙ্গীর অতীত সম্পর্ক নিয়েও বেশি জলঘোলা করার প্রয়োজন নেই। তার মানে এই নয় যে একে অপরের কাছে অতীত সম্পর্ক লুকোবেন। এতে পরে আরও জটিলতা হতে পারে। কিন্তু একে অপরের প্রতি এই বিশ্বাসটা থাকা প্রয়োজন যে অতীতের কোনও রেশ আপনাদের বর্তমান সম্পর্কে পড়বে না। সংবেদনশীল মানসিকতা নিয়ে এগোন। উলটোদিকের মানুষটার কথাও শুনুন। শুধু নিজেই একতরফা বলে যাবেন না।
     
  • শর্তসাপেক্ষে সম্পর্কে রাজি হবেন না। বিয়ের পর চাকরি ছাড়তে হবে বা সঙ্গীর পছন্দসই জীবনযাপন করতে হবে—এরকম শর্ত মেনে নিলে বিয়ের পর সমস্যা হতে পারে। এগুলো সঙ্গীর ডমিনেন্ট মানসিকতার পরিচায়ক। আজ কেরিয়ার নিয়ে কোনও শর্ত চাপিয়ে দিলে আগামী দিনে উনি আপনার ব্যক্তিগত জীবন, পছন্দ-অপছন্দও নিয়ন্ত্রণ করতে চাইবেন।
     
  • ভান করবেন না। ধরুন, আপনার স্কাইডাইভিং পছন্দ নয়। আপনি তা খোলাখুলি জানিয়ে দিন। আপনি রান্না করতে না জানলেও লুকোনোর কিছু নেই। নিজের স্বকীয়তাকে লুকিয়ে রাখবেন না। সুত্রঃ সানন্দা

ট্রেডিশনাল ঘটক বনাম বিবাহবিডি ডট কম

একজন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ ও নারীর জীবনে অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি সিদ্ধান্ত হচ্ছে ‘বিবাহ’ এবং দাম্পত্য জীবন নিয়ে প্রতিটি মানুষের থাকে বিভিন্ন রকম আশা ও স্বপ্ন। একটি বিয়ে শুধু দুজন ব্যক্তির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং তৈরী করে দুটি পরিবারের মধ্যে সামাজিক বন্ধন। তাই একটি পরিবার সামাজিক ভাবে আরেকটি পরিবারের সাথে বন্ধন তৈরীর পূর্বে অনেক হিসেব নিকেশ করে থাকে।  এজন্য সঠিক ও যোগ্য পাত্র/পাত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রতিটি পরিবার নিজেদের চাহিদাকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকে বারংবার, এক্ষেত্রে অতিরিক্ত আবেগ বা আপোসকামীতা বয়ে আনতে পারে দুটি জীবনে অসহনীয় যন্ত্রনা ।

পরিবারের কোন সদস্যের বিয়ের জন্য উপযুক্ত সঙ্গী নির্বাচনে আমরা সাধারনত সাহায্য নিয়ে থাকি নির্ভরযোগ্য কোন মাধ্যমের। কখনো তা নিকট আত্মীয়, কখনো প্রফেশনাল ঘটক, আবার কখনো প্রযুক্তি নির্ভর অনলাইন ম্যাট্রিমনিয়াল ওয়েব পোর্টালের।

প্রশ্ন হচ্ছে সম-সাময়িক বিবেচনায় ঘটক কিংবা ম্যাট্রিমনিয়াল ওয়েব পোর্টাল বিবাহবিডি ডট কমের মধ্যে কোনটি বেশী গ্রহন যোগ্য, আস্থাশীল এবং দ্রুততর? বিবাহবিডি উপস্থাপন করছে এমনই তুলনামূলক কিছু তথ্য যা আপনাদের প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে সহায়ক হবে।

আসুন দেখি একটি তুলনা মূলক পার্থক্য –

১।  নিবন্ধনঃ


ঘটক: একজন শহরের প্রফেশনাল ঘটকের কাছে পাত্র-পাত্রীর বায়োডাটা জমা দেয়ার সময় নিবন্ধন ফী হিসাবে প্রথমেই এককালীন ফী দিতে হয় যা ক্ষেত্র বিশেষে ৩ থেকে ১৫ হাজার পর্যন্ত হয়ে থাকে।

বিবাহবিডি ডট কম: বিবাহবিডি ডট কম মূলত পাত্র-পাত্রী খোঁজার ও সরাসরি নিজেরাই যোগাযোগ করার জন্য বিশেষ ভাবে তৈরি করা একটি অনলাইন বেইজ সার্চ ইঞ্জিন। এখানে রেজিষ্ট্রেশন সম্পূর্ন ফ্রী। যে কেউ বিশ্বের যেকোন প্রান্ত থেকে সহজেই ফ্রী রেজিষ্ট্রেশন করতে পারে। এক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা, প্রফেশন, প্রোফাইল ভ্যারিফিকেশন এর উপর ভিত্তি করে বিবাহবিডি একটি ইউজার গ্রেড নিশ্চিত করে তারপরই প্রোফাইল এক্টিভেট করে এবং ৩ দিনের ফ্রী ট্রায়াল মেম্বারশীপ প্রদান করে, যেনো ব্যবহারকারী লগিন করে পছন্দের প্রোফাইল গুলো দেখে সহজেই বাছাই করতে পারে।

২।  পছন্দ ও যোগাযোগঃ


ঘটক: এক জন ঘটকের কাছে নিবন্ধন পরবর্তীতে প্রতিবার পাত্র-পাত্রীর সন্ধান ও মুখোমুখি সাক্ষাতের জন্য আপনাকে গুনতে হবে ২ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত।  ফলে আপনি চাইলেও সময় ও অর্থের কথা ভেবে খুব বেশী যাচায় বাছাই করার সুযোগ পাবেন না।  এক্ষেত্রে আপনার পছন্দের ব্যাপারে ঘটকের উপরই নির্ভর করতে হবে।  নিত্যনতুন বায়োডাটা দেখতে ও নিজেরাই পাত্র-পাত্রী কিংবা অভিভাবকের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করার কোন সুযোগ ঘটকের কাছ থেকে পাওয়া যায় না।

বিবাহবিডি ডট কম: বিবাহবিডি পাত্র পাত্রীর মধ্যে কোন রকমের মধ্যস্থতা করে না। এখানে আপনি নিজেই ঘরে বসেই কম্পিউটারে/মোবাইলে বিবাহবিডির ডাটাবেইজের সর্বশেষ সংগ্রহিত/ এক্টিভেট করা প্রোফাইল গুলো দেখে পাত্র-পাত্রী কিংবা তাদের অভিভাবকের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবেন। এজন্য বিবাহবিডিতে রয়েছে ৪ টি সহজলভ্য বিভিন্ন মেয়াদী মেম্বারশীপ প্যাকেজ। যার মাধ্যমে পাত্র-পাত্রীর পরিবার একে অন্যের সাথে তাৎক্ষনিক যোগাযোগ করতে পারে।

৩।  বায়োডাটা সংগ্রহ ও ব্যাপ্তিঃ


ঘটক: একজন ট্রেডিশনাল ঘটক নির্দিষ্ট একটি এলাকা/মহল্লার মধ্য সীমিত তথ্য নিয়ে তার পেশাগত দায়িত্ব পালন করে থাকে এবং অতি সনাতন পদ্ধতিতে।

বিবাহবিডি ডট কম:  বিবাহবিডি সম্পূর্ন অনলাইন ভিত্তিক সেবা নিশ্চিত করে। তাই বিশ্বের যেকোন দেশ ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে  পাত্র-পাত্রী বা অভিভাবকেরা প্রোফাইল দেখে নিজেরাই সরাসরি যোগাযোগ করতে পারে।  তাই এর ব্যাপ্তি বিশ্বব্যাপী এবং তা সমকালীন একটি আধুনিক সেবা।

৪।  বায়োডাটার তথ্য যাচাই ও সত্যতাঃ


ঘটক: প্রফেশনাল ঘটকের কাছে যে বায়োডাটা থাকে তা কতটুকু গ্রহনযোগ্য, তার সত্যতা নিয়ে আপনার সংশয় থাকতে পারে।  এবং একজন ঘটক কখনোই তার গ্রাহক প্রদত্ত বায়োডাটা গুলোর ভেরিফিকেশনের দায়িত্ব নেয় না।

বিবাহবিডি ডট কম: বিবাহবিডি প্রোফাইল এক্টিভেট/সক্রিয় করার পূর্বে নিজস্ব কাষ্টমার সাপোর্ট টিম দ্বারা তা ভেরিফাই করে এবং পাত্র/পাত্রী ও অভিভাবকের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত হওয়ার তারপরই একটি প্রোফাইল একটিভ করে।  এক্ষেত্রে প্রোফাইল ভেরিফিকেশনের  জন্য জাতীয় পরিচয় পত্র / জন্ম নিবন্ধন / একাডেমিক সার্টিফিকেট/ প্রবাসীদের জন্য ভিসা, পাসপোর্ট / ডিভোর্সদের জন্য ডিভোর্স সার্টিফিকেট যাচাই করন বিবাহবিডিতে বাধ্যতামূলক।

৫।  প্রোফাইল সার্চ ও ম্যাচমেকিং :


ঘটক: সাধারনত একজন ঘটক তার কাছে থাকা সীমিত বায়োডাটার মধ্যেই আপনার সঙ্গী খুঁজার জন্য আপনাকে বিভিন্ন ভাবে প্রভাবিত করে থাকে এবং এতে ক্ষেত্র বিশেষে ভুল সঙ্গী বাছায়ের সম্ভাবনা থাকে।

বিবাহবিডি ডট কমবিবাহবিডিতে আপনি আপনার পছন্দের প্রফেশন, পাত্র-পাত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা, জেলা, আর্থিক অবস্থা, বৈবাহিক অবস্থা, বর্তমান অবস্থান, বর্ন, গোত্র, ধর্ম সহ ১৮ টি সার্চ ক্যাটাগরীর মাধ্যমে চাহিদা অনুযায়ী কাংখিত সংঙ্গীকে সহজেই খুঁজতে সক্ষম হবেন।  তাছাড়া আপনার প্রদত্ত সঙ্গী বাছাইয়ের বিবরন ( পার্টনার প্রেফারেন্স) এর সাথে মিলিয়ে বিবাহবিডি সার্চ ইঞ্জিন স্বয়ংক্রিয় ভাবে ডাটাবেইজের সেই সব প্রোফাইল খুঁজে আপনার সামনে এক নিমিষেই হাজির করে।

৬।   বিবাহ ঠিক হলে সার্ভিস চার্জঃ


ঘটক: একজন ঘটকের মাধ্যমে বিবাহ সম্পাদনের পর আপনাকে মোটা অংকের চুক্তি ভিত্তিক অর্থ প্রদান করতে হয়, যা ২০ হাজার থেকে কখনো লাখ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।

বিবাহবিডি ডট কম: বিবাহবিডি থেকে আপনি জীবন সঙ্গীখোঁজে পাবার পর বিবাহবিডি আপনার কাছে কখনোই কোন সার্ভিস চার্জ দাবি করবেনা। বরংচ বিবাহবিডিতে আপনার সাকসেস ষ্টোরী শেয়ার করলে বিবাহবিডিই অাপনাকে অভিনন্দন জানিয়ে আপনার ঠিকানায় গিফট পাঠাবে।

সম্মানিত পাঠক, আশাকরি আপনারা উপরোক্ত অালোচনা ও পার্থক্য গুলো থেকে সহজেই সঠিক বিষয়টি অনুধাবন করে নিজেরাই যথাযথ সিদ্ধান্তে উপনিত হতে সক্ষম হবেন।