স্বাস্থ্যকর সুসম্পর্ক চাইলে ব্যস্ততার মধ্যেই সঙ্গীকে সময় দিতে

সঙ্গীকে খুশি রাখার উপর নির্ভর করে একটি সম্পর্কের স্থায়ীত্ব ও সুখী জীবন।  একে অন্যের উপর খুশী না থাকলে সহজে সম্পর্কে ভাঙ্গন আসে, সম্পর্ক আস্থাহীন হয়ে পরে। অনেক কারণেই সঙ্গীকে হারাতে হয় তবে ভাঙনের পেছনে মূলত কাজ করে এই অখুশি থাকাই।   প্রেম নিয়ে অনেকের মধ্যে আবার ভ্রান্ত ধারণা আছে। কেউ মনে করে দামি উপহার কিংবা ভালো রেস্টুরেন্টে না খাওয়ালে ভালোবাসা টিকে না। কিন্তু এই ধারণা ঠিক নয়। ব্যস্ততাপূর্ণ এই জীবনে কাছের মানুষের সঙ্গে একটু সময় কাটানো কিংবা সামান্য স্পর্শতেই প্রকাশ পেতে পারে ভালোবাসা। কিছু সাধারণ কাজেই সহজে সঙ্গী খুশি হবে এবং ভালোবাসাও বাড়বে বহু গুণ।

# ছবি তুলুন কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়ার জন্য নয়। নিজেদের স্মৃতি হিসেবে রাখুন। এই ছবিই যখন দেখবেন তখন ভালোবাসার মানুষটির সঙ্গে কাটানো সেই মুহূর্ত বার বার ফিরে আসবে।

# সবসময় মাথায় রাখবেন, আপনার ক্যারিয়ারই একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ নয়। তার কাজও গুরুত্বপূর্ণ। তাই তার কথাগুলোও মন দিয়ে শুনুন।

# সঙ্গীর সঙ্গে কথা বলার সময় ফোন ব্যবহার থেকে দূরে রাখুন। সঙ্গীর কথা শুনুন। কথা বলার সময় ফোন সঙ্গে রাখলে আপনার সঙ্গীর মনে হতেই পারে, আপনি তার কথায় গুরুত্ব দিচ্ছেন না।

# নিজের কাজ-কর্মের কথা শেয়ার করুন। দিন যতটাই খারাপ যাক, সঙ্গীকে বলুন। এতে সম্পর্কের গভীরতা বাড়বে। তাকে বোঝান তিনিও আপনার নিত্য জীবনের অঙ্গ।

# সঙ্গীকে কতটা ভালবাসেন, তা একটি চিরকুটে লিখে রাখুন। এমন জায়গায় রাখুন, যাতে তার চোখে পড়ে। এতে সে আচমকা খুশি হবে।  সঙ্গীকে নিয়ে একসঙ্গে সিনেমা দেখুন।

# ডেটে যান। প্রেম করছেন কিংবা বিয়ে করে ফেলেছেন বলে ডেট করতে ভুলে যাবেন না। আর ডেটে যাওয়ার সময় অবশ্যই পরিপাটি হয়ে বের হবেন।

# সম্ভব হলে সঙ্গীর কর্মক্ষেত্রে ফুল পাঠান। এতে তিনি যেমন সারপ্রাইজড হবেন, তেমনই তার ভালো লাগবে। আর তার ফল আপনিই পাবেন।

# তার পছন্দের গানের তালিকা তৈরি করুন। কখনো কোনো অনুষ্ঠানে বা সুযোগ পেলে সেই গান তাকে উপহার দিন। এতে রোমান্স বাড়বে।

# সম্পর্কের জন্য বিশ্বাস খুবই গুরুত্বপূর্ন, আস্থাহীন সম্পর্ক টিকে থাকে না। সঙ্গীকে বিশ্বাস করুন তার কথার মূল্যায়ন আপনাদের সুন্দর জীবনের স্বার্থেই করা উচিত।

# এই রান্না করার বিষয়টি কিন্তু নারী পুরুষ উভয়ের জন্যই প্রযোজ্য। নারীরা তার সঙ্গীর পছন্দের খাবার রান্না করে খাওয়ালেই আপনার সঙ্গী অনেক বেশি খুশি থাকবেন। পুরুষেরাও এই কাজটি করতে পারেন। তবে পুরুষেরা যদি পছন্দের খাবার নাও রাঁধতে পারেন তারপরও সঙ্গীকে সারপ্রাইজ করতে কিছু রান্না করে সামনে এনে দিলেই সঙ্গিনী অনেক খুশি হয়ে যাবেন।

# কোনো উপলক্ষ থাকলে তো একে অপরকে উপহার দেয়াই হয়। কিন্তু এর বাইরেও সঙ্গীর কথা মনে করে ছোট্ট কিছু নিয়ে এলেন, তাকে সারপ্রাইজ করে দিলেন, এতেও সঙ্গী অনেক বেশি খুশি হবে। এর জন্যও অনেক খরচ করার প্রয়োজন নেই। একটি ফুল বা ছোট্ট একটি কার্ডই যথেষ্ট।  সুত্রঃ বিডি লাইফ ষ্টাইল

নারী-পুরুষের যৌন অধিকার বনাম বৈষম্যমূলক আইন!

একজন নারী যে কারও সাথে যে কোনও ধরণের যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে।  নারীর এ যৌনতায় আইনে কোথাও কোনও বাঁধা নেই। নারীকে দণ্ড দেওয়ার কোন বিধানও বাংলাদেশের আইনে নেই।  আবার পুরুষের ক্ষেত্রেও যৌন সম্পর্ক স্থাপনে আইনগত কোন বাঁধা নেই।

বলা আছে, যে কোন প্রাপ্ত বয়স্ক কুমারী, বিধবা এবং বিবাহ বিচ্ছেদে একা হয়ে যাওয়া নারীর সাথে সম্মতিতে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা যাবে।  নারী-পুরুষের এ যৌনতায় আইনে বাঁধা নেই কিন্তু সমাজে বাঁধা আছে, ধর্মে বাঁধা আছে, লালিত মনস্তত্ত্ব ও মূল্যবোধে বাঁধা আছে।  সেকারণে, সমাজে যৌনতার চৌর্যবৃত্তি অনেক বেশি। তবে পৃথিবীর অনেক দেশেই নর-নারীর যৌন সম্পর্ক একেবারেই জৈবিক, স্বাভাবিক এবং প্রত্যাশিত ব্যাপার। সেখানে যৌনতা মানুষের মানবাধিকার হিসেবে বিবেচিত।

ভারতের সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতি এ কে সিক্রি ২০১৭ সালের ১১ ফেব্রুয়ারী জিন্দাল গ্লোবাল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি আলোচনা সভায় বলেন মহিলার যৌন অধিকারের অর্থই হল তার পছন্দের পুরুষের সঙ্গে তিনি যৌন মিলন করবেন, তাকে তার স্বামী হতেই হবে, এমন কোনও মানে নেই। তিনি বলেন, একজন মহিলার ইচ্ছার ওপর নির্ভর করবে তার গর্ভবতী হওয়ার বিষয়টি। তিনি তার নিজের শরীরের সঙ্গে কী করবেন আর কী করবেন না তা সর্ম্পূণ নির্ভর করছে সেই নারীর ওপর। এটা নারীর শরীর, তাই অধিকারও তারই।

পৃথিবীর সকল দেশেই যৌনতার সীমানা সেখানকার আইন, সামাজিকতা ও সাংস্কৃতিক বোধের দ্বারা নির্ধারিত। তবে সীমানাটি কোথাও বিস্তৃত, কোথাও সংকীর্ণ। যৌনতার ক্ষেত্রে অতি প্রাচীনকাল থেকে গড়ে ওঠা একটি সীমানা হচ্ছে বিয়ে। যৌন সম্পর্ক স্থাপন এবং বিয়ের ক্ষেত্রে বয়স আইনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

মেয়ের বয়স ১৮ আর ছেলের বয়স ২১ আবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণের সংজ্ঞা থেকে পাই যে, ১৬ বছর বয়স যে কোন মেয়ের বিবাহের জন্য বিবেচনাযোগ্য একটি বয়স। পাশাপাশি ১৬-১৮ বছর বয়সের নারীদের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে যৌন মিলনকে এ আইন স্বীকৃতি প্রদান করেছে। আমাদের মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট হানিফ সেখ বনাম আছিয়া বেগম মামলা, যা ৫১ ডিএলআরের ১২৯ পৃষ্ঠায় এবং অন্য একটি মামলায়, যা ১৭ বিএলটিএর ২৫ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে যে, ১৬ বছরের অধিক কোনো মেয়েকে যদি কোনো পুরুষ বিয়ের প্রলোভন দিয়ে যৌনকর্ম করে তা হলে তা ধর্ষণের নামান্তর হবে না।

কোনও পুরুষ যদি ১৪ বছর কিংবা ১৪’র অধিক বয়সের কোনও নারীর সাথে (পারস্পরিক সম্মতিতে) যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে তবে তাকে দণ্ডবিধি অনুযায়ী ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত হতে হবে না। তবে ১৪ বছরের কম বয়সী কোনও নারীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করলে তাকে ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত হতে হবে। কারণ ১৪ বছরের কম বয়সী কোনও নারী যৌন সম্পর্ক স্থাপনের অনুমতি দিতে পারে না। দণ্ডবিধির ধারা ৩৭৫ অনুযায়ী স্ত্রী ব্যাতিত ১৪ বৎসরের কম বয়স্ক কোনও নারীর সাথে তার সন্মতিক্রমেও যৌনকর্ম করলে তা ধর্ষণ বলে গণ্য হয়।

উপরের দুটি আইন বিশ্লেষণে আমরা যা পাই তাহলো নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন অনুযায়ী যৌন সম্পর্ক স্থাপনে সম্মতি দেবার বয়স ১৬ বছর। আর দণ্ডবিধি অনুযায়ী ১৪ বছর বয়স পূর্ণ হলে একটি মেয়ে কোনও পুরুষকে তার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করার জন্য সম্মতি দিতে পারে। অথচ বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন অনুযায়ী নারীর ১৮ বছরের আগে বিয়ে করার অধিকার নেই।

একটি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইনগ্রন্থ সে দেশের সংবিধান। আমাদের সংবিধানের ২৮ (২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্র ও গণজীবনের সর্বস্তরে নারী-পুরুষের সমান অধিকার লাভ করবেন। আবার ২৮ (৪) অনুচ্ছেদ অনুসারে নারী বা শিশুদের অনুকূলে কিংবা নাগরিকদের যে কোন অনগ্রসর অংশের অগ্রগতির জন্য রাষ্ট্র বৈষম্যমূলক বিশেষ বিধান প্রণয়ন করতে পারে।

এদিকে ১৮ বছর বয়সী যে কোন নারী পুরুষ সাবালক-সাবলিকা হিসেবে ভোটার তালিকায় নাম উঠছে এবং তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছে। রাষ্ট্র পরিচালনায় যোগ্য ব্যক্তি নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন, নিজের মতামত প্রকাশ করছেন। অথচ জীবন সঙ্গী নির্বাচনে পুরুষের বয়স হতে হচ্ছে ২১ বৎসর।

দণ্ডবিধির ৪৯৭ ধারায় বিয়ের পবিত্রতা রক্ষা করার জন্য ব্যাভিচারকে দুস্কর্ম এবং অপরাধ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। এ আইনে বলা হয়েছে, “কোনও লোক যদি, অপর কোনও নারীর স্বামীর বিনা সম্মতিতে যৌনসঙ্গম করে, এরূপ যৌনসঙ্গম ধর্ষণের অপরাধ না হলে, সে লোক ব্যাভিচার করেছে বলে পরিগণিত হবে। এর জন্য ওই পুরুষকে যেকোনও বর্ণনার কারাদণ্ডে (যার মেয়াদ সাত বছর পর্যন্ত হতে পারে) বা জরিমানা দণ্ডে বা উভয় দণ্ডে শাস্তিযোগ্য হবে। এরূপ ক্ষেত্রে স্ত্রীলোকটির পরকীয়া কিংবা দুষ্কর্মের সহায়তাকারিণী হিসেবে শাস্তিযোগ্য হবে না”। 

পরকীয়ার অপরাধ শুধু পুরুষের জন্য, নারীর জন্য নয়।  আবার নারী যদি অবিবাহিতা বা বিধবা হয় তাহলে পুরুষও কোনও শাস্তি পায় না।  কারণ এক্ষেত্রে মামলার বাদী হওয়ার মত কেউ থাকেনা।

তবে মহামান্য লাহোর হাইকোর্ট বলেছেন, অবিবাহিত পুরুষ ও স্ত্রীলোক যদি দীর্ঘদিন ধরে একত্রে বসবাস করে তাহলে বলা যাবে না যে, তারা ব্যাভিচারের অপরাধ করেছে। (পিএলডি ১৯৬২, ৫৫৮)।

দণ্ডবিধি, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের মধ্যে বিয়ের বয়স নিয়ে বিরোধ আছে। এ বিরোধের ফলে একটি মেয়েকে নানা ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়। যেমন, প্রেমঘটিত কারণে কোনও কিশোরী যদি অভিভাবকের সম্মতি ছাড়া তার প্রেমিককে বিয়ে করে তবে মেয়ের অভিভাবক অধিকাংশ ক্ষেত্রেই উক্ত প্রেমিক এবং তার অভিভাবকদের বিরুদ্ধে অপহরণ বা ধর্ষণ অথবা উভয় ধরনের মামলা করে এ অজুহাতে যে, তাদের মেয়ে অপ্রাপ্তবয়স্ক। বয়স প্রমাণের জন্য কোনও সনদপত্রের আইনগত বাধ্যতামূলক ব্যবস্থা ও এর প্রয়োগ নেই বিধায় মেয়ে যদি প্রাপ্তবয়স্কও হয় তবুও এ ধরনের মামলা করার সুযোগ আছে।

মামলা হবার পর মেয়েটিকে নিয়ে তার অভিভাবক, পুলিশ এবং তার প্রেমিক পক্ষের লোকজনদের মধ্যে টানাহেঁচড়া শুরু হয়। এর পরিণতিতে মেয়েটিকে প্রায়শঃ নিরাপদ হেফাজতের নামে জেলখানায় যেতে হয়। স্বেচ্ছায় বাল্যবিবাহকারী কিংবা বাল্যবিবাহের শিকার একটি মেয়ে যতকাল প্রাপ্তবয়স্কা না হবে তত কাল তাকে নিরাপত্তা হেফাজতের জন্য জেলে রাখার আদেশ দিতে পারে আদালত। এর ফলে হাজার হাজার মেয়ে দিনের পর দিন জেল খাটছে। 

আবার পুরুষের বিয়ে করার অধিকার তৈরি হয় ২১ বছরে। তবে কম বয়সে বিয়ে করলেও ২১ বছর পূর্ণ হওয়ার আগ পর্যন্ত পুরুষকে জেলে থাকতে হয় না। অথচ অল্প বয়সে কোনও মেয়ের বিয়ে হলে যতদিন না তার বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হয় ততদিন সেই মেয়েটিকে জেলে থাকতে হয়। মানুষ এখানে আইন মানতে চায় না। কিন্তু সমাজ বাস্তবতাকে মানে।

ধর্মীয় বিশ্বাস বলছে, তুমি যদি যৌনতা চাও তবে বিয়ে কর। বয়স কোনও বিষয় নয়। সুরা নিসা বলছে ‘ শিশুরা যখন স্বপ্নে বীর্যপাত করে তখন তাদের শৈশব অতিক্রম করে সাবালকের সীমায় পৌছে যায়।’

আমাদের আইন, রাষ্ট্র, সংবিধান ও সামাজিক আচরণে আজব সব বৈপরীত্য! পৃথিবীর তাবৎ সহানুভূতি ঢেলে দেওয়া হচ্ছে প্রেমিক-প্রেমিকার প্রতি; সাহিত্যে, কলায়, রসবোধে, জীবনের সর্বত্র কিশোর প্রেমকে উপজীব্য করা হচ্ছে; তরুণ মনস্তত্ব ও মূল্যবোধকে প্রেমের প্রতি সহানুভূতিশীল করে গড়ে তোলা হচ্ছে। অথচ নরনারীর প্রেমবোধের বিজ্ঞানকেই অস্বীকার করা হচ্ছে। অবৈজ্ঞানিক ধারণার ওপর প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক আইনে মানুষকে বেঁধে ফেলার উপকার ও অপকারের বিষয়গুলো খতিয়ে দেখার জন্য আইনজ্ঞ বিজ্ঞজনদের প্রতি অনুরোধ রইল।

সর্বশেষ রাষ্ট্রযন্ত্রের সমীপে নিবেদন এই,
যে আইন মানবাধিকার রক্ষা করতে পারে না, যে আইন মানুষকে স্বাধীনতা বঞ্চিত করে, যে আইন সংবিধান সমুন্নত রাখতে পারে না, সেই আইন আর যাই হোক নারী-পুরুষের অধিকার ও সুবিধা-অসুবিধা রক্ষা করতে সক্ষম এ কথা বিশ্বাস করার কোনো যৌক্তিক অবকাশ নেই। কাজেই মানবিকতার দিক দিয়ে হলেও এ আইনের শীঘ্রই সংশোধনের প্রয়োজন। খুব অবাক হই, আমরা কীভাবে মানবিকতা ভুলতে বসেছি।

একুশ শতকের দোরগোড়ায় যেখানে আমরা তথ্যপ্রযুক্তি থেকে শুরু করে মহাকাশেও পা বাড়িয়েছি, সেখানে আজও নারী-পুরুষের অধিকার, তাদের ইচ্ছাকে বেঁধে রেখে দিয়েছি। যৌনতাকে এখনও আমরা মানবিকতার চোখে দেখি না, এটা খুবই কঠোর বাস্তব।

লেখক: সিরাজ প্রামাণিক
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবীগবেষক ও আইন গ্রন্থ প্রণেতা।  
সুত্রঃ lawyersclubbangladesh

স্পর্শ বিহীন দাম্পত্য জীবন ভয়ংকর!

যৌনতাবিহীন বিবাহিত জীবন যাপনকারীর সংখ্যা বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে।  খোদ কামসূত্রের দেশ ভারতেও এনিয়ে জরিপে দেখা যায় ট্রেন্ড পশ্চিমাদের পথেই।  ২০০৪ সালের জরিপে বিবাহিত দম্পতিদের ৩৭ শতাংশের সপ্তাহে একবারের বেশি যৌনমিলনের অভিজ্ঞতা হলেও সংখ্যাটি এখন কমে ২০ এর নিচে নেমেছে।

আমেরিকায় ১৯৯৪ সালের এক জরিপে দেখা গিয়েছিল ২ শতাংশ বিবাহিত দম্পতি বিগত এক বছরে একবারও সেক্স করেননি।  আর ২০ শতাংশ আমেরিকান বিবাহিত দম্পতি বছরে ১০ বারের কম সেক্স করেছেন।  বাংলাদেশের বিবাহিতদের যৌন জীবনের কি অবস্থা সেটা অবশ্য জানা যায় না।

তবে অর্থনৈতিক সঙ্কট, দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি, সামাজিক অস্থিরতা, মিডিয়ায় নেতিবাচক সংবাদের প্রভাব সহ বিভিন্ন কারনে যেমন – প্রত্যহ  পানি, বিদ্যুৎ সঙ্কট,  অধিক পরিশ্রম সহ বিভিন্ন কারনে মানুষের স্বাভাবিক যৌনতায় প্রভাব পড়ে।

ভারতে সেক্সবিহীন বিবাহিত জীবন যাপনকারীর সংখ্যা বৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে বলা হয়- ভারতীয় এখনকার তরুণরা মনে করে শারীরিক মিলন কোনো জরুরি বিষয় নয়। বিশেষ করে বিত্তের পেছনে ছুটে বেড়ানো দম্পতিদের কাছে অনেক বেশি দরকারি হলো অফিসের প্রমোশন, বড় ব্যবসা, বসকে খুশি করা, অফিসের গাদা গাদা কাজ করা, দামী গাড়ি কেনা, ভালো রেস্টুরেন্টে খাওয়া, সন্তানকে দামি স্কুলে পড়ানো এবং সেগুলো নিয়ে গল্প করা।

দিনে এতো বেশি কাজের তালিকা তাদের থাকে যে দিনের শেষে তালিকার শেষ দিকে থাকা সেক্স ঘুমের মধ্যেই চলে যায়! এই ধরনের বিবাহিতদের জীবনে যে সেক্স নিয়ে অতৃপ্তি নেই তাও আবার বলা যাবে না। যেকারণে ভারতের জরিপ থেকে দেখা যায় তুলনামূলকভাবে কম ব্যস্ত জীবনের জয়পুরে যৌনজীবনের তৃপ্তি যেখানে ৭৪ শতাংশ সেটা দিল্লীতে মাত্র ১২ শতাংশ।

অনেকে আবার মনে করেন সেক্স হলো রাজা বাদশাহ শেখ আর অলস মানুষদের জন্য। কেউ কেউ অলস শব্দের প্রতি আপত্তি জানিয়ে বলে থাকেন বেকার মানুষদের জন্য হলো সেক্স! তাদের যুক্তি হলো- সেক্স করার জন্য যে পূর্ব প্রস্তুতি নেওয়া দরকার সেটা কর্মজীবী মানুষের জন্য কঠিন।

যারা ঢাকার রাস্তায় ৫ ঘণ্টা ধরে জ্যামে বসে থেকে ৮ ঘণ্টা অফিস করে বাড়িতে ফেরেন তারা এই দলের সঙ্গে সহমত পোষণ করবেন বৈকি। কিন্তু দার্শনিক টাইপের পুরুষরা মনে করেন, একজন সফল পুরুষের পেছনে যেমন একজন নারীর অনুপ্রেরণা থাকে তেমনি নারী তৎপর হলে পুরুষ সেক্সে আগ্রহ বোধ করে।

অনেকে আবার বলতে চান বিয়ে তো ভালোবাসার জন্য। সেক্সের জন্য নয়। বিবাহিত জীবনে আবার সেক্স ছাড়া শুধুমাত্র ভালোবাসা কিভাবে হয় সেনিয়ে আরেকপক্ষ কথা বলে থাকেন। এর একটি জবাব বোধহয় এমন যে, বিয়ে আর ভালোবাসা যেমন অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত তেমনি সেক্সও।

তবে গবেষকগণ দেখেছেন যে, বিয়ের তিন বছর পরে বিবাহিত জীবনে সেক্সের ভূমিকার পতন ঘটে! এজন্য অবশ্য দম্পতিদের মধ্যে একে অন্যকে দোষারোপ করার প্রবণতাও দেখা যায়।

কেউ কেউ নিজেদের জীবনের ব্যস্ততার কথা বলেন। কেউ কেউ পরামর্শ দিয়ে থাকেন, এক ঘরে দিনের পর দিন না থেকে বরং সম্ভব হলে বউকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়ে কিংবা নিজে বাড়ি ছেড়ে ঘুরে আসলে বিবাহিত জীবনে সেক্সের ভূমিকা বাড়তে পারে। অর্থাৎ শেয়ার বাজারের পতন না ঠেকানো গেলেও বিবাহিত জীবনে সেক্সের পতনের সমাধান আছে!

বাচ্চা কাচ্চা সেক্স জীবনে কিছুটা রাশ টানতে সহায়তা করে! অনেক ভাবেই এটা হয়। শহুরে জীবনে অনেকসময় বাচ্চা বাবা-মায়ের সঙ্গেই থাকে। আবার ছোট শিশুকে সামলানোর ধাক্কা সামলিয়ে সেক্স করার মতো মানসিকতা আর থাকে না!

এখন যে কারণটা বলব সেটা বেশ নতুন ধরনের! ফ্যান্টাসির নষ্ট প্রভাব! টিভি চ্যানেল আর ইন্টারনেটের কল্যাণে যেসব যৌন ছবি দেখে থাকেন দম্পতিরা তারা ব্যক্তিগত জীবনেও তেমন কিছু করতে চান যা বাস্তবসম্মত নয়, কিন্তু বিবাহিত জীবনের যৌন জীবনে তার প্রভাব পড়ে থাকে। ফ্যান্টাসির জগতে থাকার ক্ষেত্রে নারীদের চেয়ে পুরুষরা এগিয়ে। ফলে তাদের দিক থেকে সেক্সে অনীহা তৈরি হয়। যার প্রভাব বিবাহিত জীবনে পড়ে থাকে।

সুখী দম্পতিরা: সদ্য বিবাহিত দম্পতিদের সুস্বাস্থ্য, বিয়ে বাঁচিয়ে রাখতে ও সংসারে সুখ-শান্তি অব্যহত রাখতে কী করা উচিত তা নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমস। রিপোর্টে বলা হয়েছে, স্ত্রীকে খুশি রাখতে মাসে অন্তত ১১ বার মিলিত হওয়া উচিত দম্পতিদের।  কারণ, সমীক্ষা বলছে মাসে চার থেকে পাঁচবার মিলিত হওয়া দম্পতিদের মধ্যে এক ধরনের অসুখি ভাব বিরাজ করে।  সেই তুলনায় সুখী দম্পতিরা মাসে অন্তত ১১ বার মিলিত হন।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিয়ের প্রথম দুই বছর কেটে যাওয়ার পর দম্পতিদের জীবন খানিকটা থমকে যায়। বিয়ের পর যে উদ্দামতার সঙ্গে স্বামী-স্ত্রী মিলিত হন, সেই জোশ থাকে না। কিন্তু এটি একেবারেই করা উচিত নয়। দম্পতিদের মধ্যে খুনসুটি ও রোম্যান্স আগের মতোই থাকা উচিত।

সাইকোথেরাপিস্ট গ্যারি নুম্যান বলছেন, ‘রোজকার একঘেয়ে জীবনযাপন, বিল মেটানো, সন্তানের অসুস্থতা, কম ঘুমের কারণে এমনিতেই স্বামী-স্ত্রীর মেজাজ খিটখিটে হয়ে থাকে। দম্পতিদের মধ্যে ঝগড়া মেটাতে মিলন ম্যাজিকের মতো কাজ করে।’

সদ্য বিবাহিত দম্পতিদের সুস্বাস্থ্য, বিয়ে বাঁচিয়ে রাখতে ও সংসারে সুখ-শান্তি অব্যহত রাখতে কী করা উচিত তা নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমস।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, স্ত্রীকে খুশি রাখতে মাসে অন্তত ১১ বার মিলিত হওয়া উচিত দম্পতিদের। কারণ, সমীক্ষা বলছে মাসে চার থেকে পাঁচবার মিলিত হওয়া দম্পতিদের মধ্যে এক ধরনের অসুখি ভাব বিরাজ করে। সেই তুলনায় সুখী দম্পতিরা মাসে অন্তত ১১ বার মিলিত হন।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিয়ের প্রথম দুই বছর কেটে যাওয়ার পর দম্পতিদের জীবন খানিকটা থমকে যায়। বিয়ের পর যে উদ্দামতার সঙ্গে স্বামী-স্ত্রী মিলিত হন, সেই জোশ থাকে না। কিন্তু এটি একেবারেই করা উচিত নয়। দম্পতিদের মধ্যে খুনসুটি ও রোম্যান্স আগের মতোই থাকা উচিত।

সাইকোথেরাপিস্ট গ্যারি নুম্যান বলছেন, ‘রোজকার একঘেয়ে জীবনযাপন, বিল মেটানো, সন্তানের অসুস্থতা, কম ঘুমের কারণে এমনিতেই স্বামী-স্ত্রীর মেজাজ খিটখিটে হয়ে থাকে। দম্পতিদের মধ্যে ঝগড়া মেটাতে মিলন ম্যাজিকের মতো কাজ করে।’

সুখে থাকার উপায়: কথায় বলে—পুরুষ মানুষ দুই প্রকার।  জীবিত আর বিবাহিত।  সত্যিই কি বিয়ের পর পুরুষের সুখ চলে যায়? তাঁদের মন বিষিয়ে ওঠে? কিন্তু উপায় কী। হ্যাঁ, বিশেষজ্ঞরা বের করেছেন, বিবাহিত কিংবা দাম্পত্য জীবনে কীভাবে সুখে থাকা যায়।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে ‘সম্পর্ক’ বিশেষজ্ঞ টি তাশিরো বলেছেন, আপনি যদি অসাধারণ কাউকে পেতে চান, তাহলে আপনার জীবনসঙ্গী খুঁজে পাওয়া সত্যিই কঠিন হয়ে পড়বে।

তাশিরো তাঁর এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, যদি একটি ঘরের মধ্যে মধ্যম মান, আয়, চেহারা ও উচ্চতার ১০০ জন পুরুষ থাকেন, তাহলে সেখানে মাত্র ১৩ জন বিবাহযোগ্য পুরুষ পাওয়া যাবে। আর যদি কেউ ওই ১০০ জনের মধ্য থেকে আকর্ষণীয়, ছয় ফুট লম্বা কিংবা ৮৭ হাজার ডলার আয় করা কোনো পুরুষকে খোঁজেন, তাহলে মাত্র একজন পুরুষের দেখা মিলবে।

আর কৌতুকবোধসম্পন্ন, দয়ালু, এমনকি রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা আছে এমন পুরুষের সন্ধান করা হয়, তাহলে ১০০ জন পুরুষের মধ্যে একজনই পাওয়া অসম্ভব। ভড়কে গেলেন। ভাবছেন কাকে নিয়ে সংসার সাজাবেন? বিবাহিত জীবনে সুখে থাকবেন কীভাবে?

তাশিরোর যুক্তি হলো—টাকা-পয়সা, সৌন্দর্য বিবাহিত জীবনকে সুখী করতে পারে না। অন্তত একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত। তাঁর মতে, একটি ভালোবাসাময় সুখী বৈবাহিক সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য সবার মধ্যে যে গুণটি থাকা প্রয়োজন, তা হলো—আন্তরিকতা। আন্তরিক বলতে তিনি এমন কাউকে বুঝিয়েছেন, যিনি হবেন বিনীত, নমনীয়, বিশ্বাসযোগ্য, ভালো স্বভাব, সহযোগী মনোভাবাপন্ন, ক্ষমাশীল, উদার ও ধৈর্যশীল।

অন্য আরেক দল গবেষক মনে করে, ভালোবাসাই একজন নারী ও একজন পুরুষের মাঝে হূদয়ের অটুট বন্ধন তৈরি করে দেয়। তৈরি করে সাংসারিক বন্ধন। ভালোবাসা ব্যতীত কোনো সাংসারিক কিংবা দাম্পত্য জীবন সুখের হয় না। স্বামী ও স্ত্রী একে অন্যের পরিপূরক। একজনকে বাদ দিয়ে অন্যজন শূন্য, ফাঁকা।

একজন সুন্দর মনের ও সুন্দর গুণের স্ত্রী সংসারকে তাঁর নিজের আলোয় আলোকিত করে তুলতে পারেন। সাজিয়ে তুলতে পারেন সংসার জীবনকে সুখের স্বর্গীয় বাগানের মতো করে। তবে এই কাজের জন্য দরকার প্রেমিক স্বামীর স্ত্রীর প্রতি ঐকান্তিক মায়া-মমতা ও সুগভীর ভালোবাসা। এই ভালোবাসা থাকলে দেখবেন, বিবাহিত জীবনে সুখ কাকে বলে!

চাই আন্তরিকতা: টাকা-পয়সা, সৌন্দর্য বিবাহিত জীবনকে সুখী করতে পারে না। দাম্পত্য সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন আন্তরিকতা। বিনীত, নমনীয়, বিশ্বাসযোগ্য, ভালো স্বভাব, সহযোগী মনোভাবাপন্ন, ক্ষমাশীল, উদার ও ধৈর্যশীল গুণগুলো সংসার টিকিয়ে রাখতে সাহয্যে করে।

ভালোবাসাই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে হৃদয়ের অটুট বন্ধন। যা সাংসারিক বন্ধন তৈরি করে। ভালোবাসা ছাড়া কোনো সাংসারিক দাম্পত্য জীবন সুখী হতে পারে না। তাই দুজন দুজনের প্রতি মায়া-মমতা ও ভালোবাসা থাকতে হবে। একজনকে বাদ দিয়ে অন্যজনকে কল্পনা করা যায় না।  তাই যত বিপত্তি আসুক না কেন দুজন দুজনকে বুঝতে হবে। ছাড় দিতে হবে। আর ভালোবাসা থাকতে হবে। দেখবেন দাম্পত্য জীবনে সুখ কাকে বলে।

আসুন জেনে নেই দাম্পত্য জীবনে সুখে থাকার আরো কিছু উপায়:

১. মনের মিল: দাম্পত্য জীবনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন মনের মিল। মনের মিল না থাকলে সংসার জীবনে সুখী হওয়া যায় না। আর সবসময় মনের মিল না-ও হতে পারে। তাই বলে অন্য কারও তুলনা টেনে আনবেন না। এতে হীনম্মন্যতায় ভুগতে পারেন সঙ্গী। যে কোনো সমস্যায় দুজনে খোলাখুলি কথা বলুন। পরস্পরের পছন্দ–অপছন্দও জেনে নিন এবং গুরুত্ব দিন দেখবেন সুখেই কাটছে সংসার।

২. জোর করবেন না: আপনার স্ত্রীকে শারীরিক ঘনিষ্ঠতায় জোর করবেন না বা কোনো কিছু চাপিয়ে দেবেন না। অনেকেই মুখ ফুটে নিজের চাহিদার কথা বলতে পারেন না। ঠাণ্ডা মাথায় কথা বলুন। বুঝে নিন ঠিক কী চান তিনি।

৩. বিশেষ দিনে উপহার: বিশেষ দিন যেমন, বিবাহবার্ষিকী, জন্মদিন। এই দিন গুলোতে বিশেষ আয়োজন রাখতে পারেন। এছাড়া উভয়ে নিজেদের উপাহার দিতে পারেন। এত সংসার হবে আনন্দময়।

৪. ভুল বোঝাবুঝি: সংসার জীবনে ভুল বোঝাবুঝি, ঝগড়া হতে পারে। নিজেদের মধ্যে খোলামেলা আলোচনা করুন। ততে ভুল বোঝাবুঝির অবসান হবে। আর মনের মধ্যে কষ্ট চেপে রাখবেন না। এতে সঙ্গীর প্রতি বিশ্বাস কমে যায়।

৫. সঙ্গীর পছন্দকেও গুরুত্ব দিন: স্বামী বা স্ত্রী দুজন দুজনের পছন্দের গুরুত্ব দিন। সব সময় নিজেকে নিয়ে ভাববেন না।  ব্যস্ত থাকলেও, কাজের মধ্যে সময় বের করে খবর নিন। ভালোবাসা যেন শরীরসর্বস্ব না হয়। বরং মন জয় করুন।

৬. সপ্তাহে একদিন ঘুরতে যান: দাম্পত্য জীবনে সুখে থাকার অন্য আরেকটি উপায় হচ্ছে ঘুরে বেড়ানো। কারণ সারা সপ্তাহ কাজ করে মন ও শরীর ঠিক রাখতে এবং রোমাঞ্চ করেত সঙ্গীর সঙ্গে ঘুরে বেড়াতে পারেন। একসঙ্গে কোথাও যাওয়ার হলে, বারবার দেরি করার অভ্যাস ছাড়ুন। এতে তিক্ততা তৈরি হয়।

৭. হঠাৎ পরিবর্তন: হঠাৎ আপনার স্বভাব হোক বা সাজগোজ যাই হোক না কেন, জোর করে কিছু পাল্টে ফেলার চেষ্টা করবেন না। আরোপিত কোনো কিছুই দীর্ঘস্থায়ী হয় না। এত করে সংসারের শান্তি নষ্ট হয়। তাই সবকিছুর মধ্যে সংযত ভাব আনুন।  সুত্রঃ প্রিয় ডট কম, দেহঘড়ি 

সঙ্গীর মান ভাঙাবেন কিভাবে !

যে মানুষটি মনের সবচেয়ে কাছে, যে মানুষটিকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি আমরা, তাঁর সাথেই কিন্তু মান-অভিমান হয় সবচেয়ে বেশি! মনে করে দেখুন তো, তাঁর অবজ্ঞা, তাঁর একটুখানি অবহেলা কতখানি কষ্ট দেয় আপনাকে। একই ব্যাপার কিন্তু তাঁর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। আপনার অবহেলা, আপনার তাচ্ছিল্য কতটা কষ্ট দেয় তাঁকে।মাঝে মাঝে ছোট খাটো বিষয় নিয়ে ভালোবাসার মানুষটির সাথে রাগারাগি হয়, হয় মান অভিমান।ভালোবাসার মানুষটি অভিমান করে থাকলে কোনো কিছু যেন ভালো লাগেনা। আর তাঁর মনে যে অভিমানের সৃষ্টি হয়েছে, সেটা দূর করার কথা নিয়েও আপনার দুশ্চিন্তার শেষ থাকে না।মান-অভিমানের তিক্ততা দূর করে সম্পর্কটা আবার মধুর করে তুলতে চাই বাড়তি কিছুর ছোঁয়া। আহামরি কিছু নয়, বরং আপনার সামান্য আন্তরিকতা আর ছেলেমানুষিতেই সম্পর্কটা হয়ে উঠতে পারে আগের চাইতেও মধুর। ভালোবাসায় একটুখানি ছেলেমানুষি,একটুখানি পাগলামি করাই যায়। বয়স যাই হোক,ভালোবাসা তো কখনো পুরনো হয় না।জেনে নিন ভালোবাসার মানুষটির মান সহজেই ভাঙিয়ে ফেলার কিছু উপায় সম্পর্কে।

‘সরি’ বলুন:মন থেকে বলুন ‘সরি’ এ এমন এক শব্দ যা আপনার গলার স্বর, বডি ল্যাঙ্গুয়েজ সব কিছুতেই প্রতিফলিত হয়। তাই মন থেকে ‘সরি’ বলছেন কিনা, তা বুঝতে পারেন কাছের মানুষ। তাই ‘সরি’ বলুন ইগো ঝেড়ে, দ্বিধা সরিয়ে। আন্তরিকতার পরশ যেন মিশে থাকে আপনার ‘সরি’-তে।

দেরি করবেন না: সমস্যা বাসি করবেন না। এটাই সুখী সম্পর্কের অন্যতম চাবিকাঠি। খুচখাচ ঝগড়া জীবনের সঙ্গেই স্বাভাবিক হয়ে যায় ঠিকই। কিন্তু কিছু মুশকিল বেয়াড়া। তা সরাতে খাটতে হয়। আর এই খাটনিতে দেরি করলে তার আর দাম থাকে না। তাই আপনার তরফেও কিছু ভুল হয়েছে বুঝলে সঙ্গীর এগোনোর অপেক্ষা না করে আগে ‘সরি’ বলুন।

ইগো ছাড়ুন: ‘ইগো’ নামের মারাত্মক বোধ অকারণে স্থান-কাল-পাত্র ভুলে আমাদের পথ আগলে দাঁড়ায়। তাই সরি বলতে যাওয়ার আগে রাস্তা আটকে দিন ইগো’র। ভালোবাসলে কখনো ‘নত’ হতেই হয়। তাতে লজ্জা থাকে না, বরং কাছের মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে হয়ে ওঠা যায় আরও প্রিয়। না বুঝলে বুঝবেন, ভালোবাসায় গলদ আছে।

আলিঙ্গন করুন: ভালোবাসার মানুষটির মান ভাঙ্গাতে আলিঙ্গনের বিকল্প নেই। তাই ভালোবাসার মানুষটির মান ভাঙ্গাতে তাকে আলিঙ্গন করে ভালোবাসা প্রকাশ করুন। আপনার ভালোবাসার উষ্ণতায় নিমিষেই গলে যাবে তার মন।

চিঠি লিখুন: আপনি তাঁকে কতটা ভালোবাসেন, তাঁর জন্য কতটা ভাবেন, তাঁকে কষ্ট দিয়ে আপনি নিজে কতটা কষ্টে আছেন এসব লিখে ফেলুন এক টুকরো কাগজে। তারপর চিঠিটা গুঁজে দিন তাঁর হাতে। চিঠিটা পড়ার পর তিনি দেবেন তাঁর শ্রেষ্ঠ হাসিটা!

চিঠি/কার্ড পোস্ট করুন:তাঁর মন আরো ভালো করতে, তাঁকে আরো চমকে দিতে আপনার চিঠিটা পোস্ট করুন ডাকে বা কুরিয়ার করুন তাঁর ঠিকানায়। অথবা পাঠাতে পারেন আপনার অনুভূতি লিখে কোনো কার্ড। তিনি না খুশি হয়ে কোথায় যাবেন! আজকালকার যুগে ডাকে একটা চিঠি পাওয়া রীতিমত সারপ্রাইজ বৈকি।

ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিন:তারুণ্যের সম্পর্কে ফেসবুকে খুব চমৎকার একটা স্ট্যাটাস দিয়ে ভালোবাসা প্রকাশ করাটাও কিন্তু হতে পারে মান ভাঙানোর একটি চমৎকার কৌশল। মিষ্টি কিছু কথা বলে দিয়ে দিন না চমৎকার একটি স্ট্যাটাস। সাথে লিখে দিন প্রিয় গানের কয়েকটি লাইন। দেখবেন সে রাগ করে থাকতেই পারবে না।

চকলেট উপহার দিন:তাঁর প্রিয় চকলেট তাঁকে উপহার দিন। চকলেটের মিষ্টতা আপনাদের সম্পর্কের তিক্ততাকে দূর করে দেবে। আর হ্যা, সাথে ‘ভালোবাসি’ লেখা একটা কার্ড দিতে ভুলবেন না যেন! বিশেষ করে প্রেমিকার মান ভাঙাতে প্রেমিকদের তরফ থেকে এই চকলেট থেরাপি সর্বদাই কাজ করে।

গান গেয়ে শোনান:ব্যাপারটা একটু সিনেমাটিক হয়ে গেলেও তাঁর জন্য গান গেয়ে উঠুন। আপাতদৃষ্টিতে বিষয়টি ছেলেমানুষী মনে হলেও কাজে কিন্তু দেবে! আপনার হেঁড়ে গলায় গান শুনে তিনি মন খারাপ ভুলে হেসেও ফেলতে পারেন।

শপিং করতে নিয়ে যান:কেনাকাটা করিয়ে মান ভাঙানো কিন্তু দারুণ একটা আইডিয়া! সারপ্রাইজ গিফট তো আপনি দিয়েই থাকেন, এবার তাঁকে নিয়ে শপিংয়ে চলে যান। তাঁর পছন্দমতো জিনিস তাঁকে কিনে দিন। এই উপায় কাজ দেবেই! একসাথে দুজনে ঘুরতে ঘুরতে দেখবেন অভিমান কোথায় উড়ে গেছে!

ভালবাসুন: সব সময় কেবল ‘সরি’-তে মন না উঠলে, ঝগড়া মেটাতে গিয়ে দেখা হলেই সরি-র বদলে চওড়া হাসুন। এতে আপনার আন্তরিকতা সামনে আসবে। ভালোবাসার প্রকাশ থাকুক আপনার আচরণে। চাইলে নিরালায় একান্তে সময় কাটান। দু’-একটা কাছের ছোঁয়াচ থাকুক না, ক্ষতি কি! দেখবেন, ‘সরি’ না বলেও কেমন কাজ হয়েছে।
সূত্র: দেশ বিদেশে, স্বাধীনবাংলা ২৪, প্রিয়.কম

সম্পর্কটি ভালোবাসা নাকি মোহ!

ভালোবাসা আসলে কী? কেনইবা সবাই একটুখানি ভালোবাসার ছোঁয়া পেতে এতটা কাঙ্গাল, এতটা আকুল? কী এমন ম্যাজিক ভালোবাসায়? কবিতা, গল্প, গান কিংবা উপন্যাসে লেখকরা ভালোবাসার মানে আবিষ্কারের প্রাণান্ত চেষ্টা করেছেন, করছেন অহর্নিশ।  যুতসই ‘অনুবাদ’ মিলছে কোথায়?  ভালোবাসা আসলে তবে কী মোহ, মরীচিকা! ভালোবাসা নামের সেই রহস্যের মায়াজালে বন্দী হয়েছেন খেলার জগতের অনেক তারকারাই। ভালোবাসা রঙে রঙিন হয়ে ওঠা সেই সব তারকাদের ভুবনে চলুন ডুব দিয়ে আসি…

‘ভালোবাসা অনেকটা হাওয়ার মতো! আপনি দেখতে পারবেন না, কিন্তু ঠিকই অনুভব করতে পারবেন!’  একটি সুন্দর আকর্ষণীয় মানুষ।  সে ছেলে মেয়ে উভয় হতে পারে।  তাকে দেখে কারও খুব ভালোলাগতে পারে, তার সৌন্দর্য ব্যক্তিত্বে কেউ পাগল হতে পারে।  এমনটি অনেকের হতে পারে।  তাকে দেখে মনে ভালোলাগা, প্রেমভাব জাগ্রত হতে পারে।  তার প্রতি মোহ, মায়া অনেক কিছু হয়, যখন সেই কাঙি্ক্ষত মানুষটি তার আবেদনে সারা দেয়, কাছে আসে যখন সে সারা দেয় প্রথম প্রথম খুব ভালোলাগে তাকে, তার সঙ্গে কাটানো সময়কে।  কিন্তু মন থেকে আসলে কোনো রকম সংযোগ হয় না।  মানুষটি সৌন্দর্য রূপ চেহারা তা আকর্ষণ করলেও মানুষটির সুন্দর মন আছে কি না সেটা আর জানা সুযোগ বুঝা হয় না।  কোনো সম্পর্ক শুধু সৌন্দর্য আকর্ষণে খুব বেশিদিন সম্পর্কটা মন থেকে টিকে থাকে না। সময়ের সঙ্গে সৌন্দর্য আকর্ষণ কমতে থাকে, আবার কারও শুধুই দেখতে ভালোলাগে বা সবাইকে আমার জীবনে সুন্দর কেউ আছে, হয়তো সেটা দেখাতে কারও ভালোলাগে।

কিন্তু মন থেকে মানুষটি জন্য কোনো ভালোবাসা সৃষ্টি হয় না, প্রেমভাব যেটা জেগে উঠে সেটা মোহ, মায়াতে সাময়িক।  বিয়ের পরেও সেই ভালোবাসা মোহো মায়া বেঁচে থাকে অনেকে কিছু বছর, তারপর সব কিছু শূন্যতায় ভরে যায়।  কাছের প্রিয় মানুষটিকে তখন ভালোলাগে না, ভালোবাসা তো সেখানে বন্দী মতো থাকে কোনো বিশেষ প্রয়োজনে, বিশেষ উপলক্ষে।  সম্পর্কটাও ফুলের মতো একদিন বাসি হয়ে যায় কারও কাছে, মন থেকে সম্পর্ক তা কখনো সৃষ্টি হয় না বলে সম্পর্কটা একদিন শেষ হয়ে যায় আবেদন ধরে রাখতে না পেরে।  শুধু সম্পর্কটা সংসারের প্রয়োজনে অভ্যাস আচরণে নামমাত্র টিকে থাকে।

মানুষ আসলে এমনই, ভালোবাসার জন্য মানুষ কত কী করে! গানের ওই লাইনটাই বোধ হয় সত্য, ‘ভালোবাসা ছাড়া কেউ বাঁচে কী’। আবার অনেকে ভালোবাসাটা কী সেটা ঠিকঠাক বুঝতেই পারি না।  অথচ মনের মনে পুষে রাখি রাজ্যের ভালোবাসা।  নির্মলেন্দু গুণ যেমনটা লিখেছেন –
‘আমি বলছি না ভালোবাসতেই হবে, আমি চাই
কেউ একজন আমার জন্য অপেক্ষা করুক,
শুধু ঘরের ভেতর থেকে দরোজা খুলে দেবার জন্য ।
বাইরে থেকে দরোজা খুলতে খুলতে আমি এখন ক্লান্ত।’
মন থেকে সেই মানুষটি সঙ্গে যদি সম্পর্কের সুতো তা গাঁথা হয়, তাহলে সে সম্পর্ক তা শুধুই সৌন্দর্য আকর্ষণে টিকে থাকে না, সম্পর্ক তা ভালোবাসা, বিশ্বাস, শ্রদ্ধা, বন্ধুত্বে আজীবন টিকে থাকে।  কাছের মানুষ হয়ে বেঁচে থাকে।  কোনো রকম সম্পর্কের নাম ছাড়াও মন আত্মার হৃদয়ের এক অদৃশ্য জালে সম্পর্ক তা বেঁচে থাকে, মনের কাছে, পাশেই থাকে।   সুত্রঃ  প্রিয় ডট কম ও ইত্তেফাক

যে ভুলগুলো দাম্পত্য জীবনে অশান্তি কারণ হয়

দুজন মানুষ হৃদয়ের টানে কাছে আসে, একজন আরেকজনকে ভালোবাসে। তৈরি হয় সুন্দর একটা সম্পর্ক। ভালোবাসার সম্পর্কই গড়ায় বিয়ের সম্পর্কের দিকে। ফলে পরিণয়ের পরিণতি হয় সুন্দর একটা সংসার। তবে সব সময়েই কি ভালোবাসার মানুষের সাথে বিয়ে হয় না! তাই বলে তো জীবন থেমে থাকে না। মানুষ বিয়ে করে অন্য কাউকে করে যেতে থাকে সংসার। সেই সংসার যে সুখের হয় না, তাও নয়। সুখের হয় এবং অনেক সময় এ ভাবনাও মনে উঁকি দিয়ে যায় যে, এ মানুষটিই আমার জন্য “পারফেক্ট”! কিন্তু প্রেমের সময় করা কিছু ভুল কেড়ে নিতে পারে আপনার সংসারের শান্তি। ছারখার করে দিতে পারে আপনার সুখের জীবন। এটা যে শুধু প্রেমিক বা প্রেমিকা ছাড়া অন্য কাউকে বিয়ে করলে হবে তা নয়, ভালোবাসার মানুষটিকে বিয়ে করলেও হতে পারে! প্রেম চলাকালীন অবস্থায় আপনার করা কিছু ভুলের মাশুল আপনাকে দিতে হতে পারে সারাটা জীবন। তাই প্রেমের সময়ে করা কোন ভুলগুলো আপনার বিবাহিত জীবনে ডেকে আনতে পারে অশান্তি, তা জেনে নিনঃ

১. শারীরিক সম্পর্কে জড়ানোঃ পৃথিবীর কোনো ধর্মই বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্ককে সমর্থন করে না।  সকল ধর্মেই এ বিষয়ে রয়েছে কড়া নিষেধ। ধর্মীয়মতে, বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্ক সম্পূর্ণ অনৈতিক।  যখন বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্ক হয়, তা মনের ভেতর সূক্ষ্ম পাপবোধ প্রবেশ করিয়ে দেয়। ভালোবাসার মানুষটিকে বিয়ের পরও তা মনের ভেতর কাঁটার মতো বিঁধে থাকে।  আর তাছাড়া এটা চরিত্রের ওপর একটা দাগও বটে! তাই আবেগের তোড়ে ভেসে গিয়ে বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্কে না জড়ানোই উচিত হবে। আর যদি ভালোবাসার মানুষটির সাথে বিয়ে না হয়ে অন্য কারো সাথে বিয়ে হয়, তাহলে পাপবোধের বোঝা আপনাকে বয়ে বেড়াতে হবে সারাটা জীবন। মনে খচখচ করতে থাকবে, আপনি প্রতারণা করেছেন আপনার স্বামী বা স্ত্রীর সাথে।

২. পরিবার বা বন্ধুদের কাছে প্রেমিক/প্রেমিকার দুর্নাম করাঃ ভালোবাসার সম্পর্কে টানাপোড়েন হতে পারে। হতে পারে মান-অভিমান, মনোমালিন্য, ঝগড়াও। যাই হোক না কেন, ভুলেও নিজের প্রেমিক বা প্রেমিকা সম্পর্কে কোনো কটু কথা আপনার পরিবারের কাউকে বা বন্ধুদের বলবেন না। এমনকি তাঁর কোনো দোষ বা দুর্বলতার কথাও বলবেন না। কারণ বিয়ের পর আপনার প্রেমিক বা প্রেমিকার কানে এসব কথা কোনো না কোনোভাবে পৌঁছবেই। আর তখন তৈরি হবে সংসারে অশান্তি। এসব কারণে বিয়ের সম্পর্ক ভেঙে পর্যন্ত যেতে পারে। তাই সতর্ক থাকুন। প্রচন্ড রেগে গেলেও নিজেকে সামলে নিন এবং প্রেমিক বা প্রেমিকার নামে দুর্নাম করা থেকে বিরত থাকুন।

৩. অগ্রিম অর্থনৈতিক আশ্বাস দেয়াঃ এ বিষয়টি মূলত ছেলেদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। আপনার প্রেমিকাকে এমন কোনো অর্থনৈতিক আশ্বাস দেবেন না, যা আপনার পক্ষে পূরণ করা সম্ভব নয়। অনেক সময় আবেগের বশে বলে ফেলা কথা বা প্রতিশ্রুতি হয়তো পরবর্তীতে রাখার মতো অবস্থা থাকে না। ফলে বিয়ের পরে মেয়েদের আশা ভঙ্গ হয় এবং তাঁরা স্বামীদের ওপর থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলে। আবার অনেক মেয়ে দেখা যায় এই অর্থনৈতিক আশ্বাস শুনে লোভে পড়ে বিয়েতে আগ্রহী হয়ে ওঠে, যা অবশ্যই একজন পুরুষের কাম্য নয়।

৪. নিজের পারিবারিক ব্যাপারে সত্য গোপন করাঃ যে মানুষটিকে আপনি ভালোবাসেন, বিয়ে করতে চান, তাঁর সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে আপনার পরিবার সম্পর্কে জানার। আপনার প্রেমিক বা প্রেমিকাকে আপনার পরিবার সম্পর্কিত সব তথ্য জানান, কোনো কিছুই গোপন করবেন না। কারণ বিয়ের পর তিনি যদি গোপন কিছু জানতে পারেন, তাহলে তা সংসারে অশান্তির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। আপনি হয়ে উঠবেন তাঁর অবিশ্বাসের পাত্র। অনেকের পরিবারেই অনেক সমস্যা থাকতে পারে। যেমন কারো বাড়িতে বিমাতা রয়েছে, কারো বাবা-মা ডিভোর্সড, কারো ভাই, বোন, মা বা বাবা মানসিকভাবে অসুস্থ ইত্যাদি। পরিবারে এমন কোনো ব্যাপার থাকলে আপনার প্রেমিক বা প্রেমিকাকে তা অবশ্যই জানান। এসব বিষয় গোপন করলে তা আপনার বিবাহ-পরবর্তী জীবনে কাল হয়ে দাঁড়াবে।

৫. প্রাক্তন প্রেমিক বা প্রেমিকার সাথে বন্ধুত্ব রক্ষা করাঃ অনেকের জীবনে একের অধিক প্রেম আসে। আপনার বর্তমান প্রেমের সম্পর্কের আগেও হয়তো আরেকটি প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ ব্যাপারটি বর্তমান ভালোবাসার মানুষটির কাছে গোপন না করাই ভালো। অনেকেরই প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে গেলেও প্রাক্তন প্রেমিক বা প্রেমিকার সাথে যোগাযোগ থাকে বা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকে। বিয়ের আগ পর্যন্ত ব্যাপারটি ঠিক আছে। কিন্তু বিয়ের পর ব্যাপারটি সংসারে আগুন লাগানোর জন্য যথেষ্ট। স্বামী বা স্ত্রী এ নিয়ে আপনাকে খোটা দিতেই পারে। এ ব্যাপারটি থেকে ঘটতে পারে দাম্পত্য কলহের সূত্রপাত। তাই নতুন সম্পর্কে যাওয়ার পর ধীরে ধীরে প্রাক্তন প্রেমিক বা প্রেমিকার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিন। আর বিয়ের পরে তা যেন অবশ্যই না থাকে। এতে আপনারই মঙ্গল।

৬. বন্ধুদের অতিরিক্ত সময় দেয়াঃ বন্ধু-বান্ধবদের সাথে আড্ডা দিতে কার না ভালো লাগে! তবে তা অভ্যাস বা আসক্তির পর্যায়ে যেন না চলে যায়। কারণ প্রেমের সম্পর্কের সময়েও আমরা বন্ধুদের পর্যাপ্ত সময় দিতে পারি, কিন্তু বিয়ের পর তা আর সম্ভব হয় না। কিন্তু আপনি যদি এই অভ্যাসটি ধরে রাখতে চান, তাহলে সাংসারিক জীবনে অশান্তি আসবেই আসবে! কোনো স্বামী বা স্ত্রী চাইবেন না যে আপনি তাঁকে ছাড়া অন্য কোথাও অঢেল সময় ব্যয় করতে থাকেন। তাই এ ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। তাছাড়া প্রেমের সময়ে বেশি আড্ডাবাজ প্রকৃতির পুরুষকে অনেক নারীই আদর্শ স্বামী মনে করেন না, তাই বিয়ে প্ল্যান মাথায় থাকলে আড্ডাবাজ স্বভাবটা আস্তে আস্তে বদলে ফেলুন।  সূত্র:প্রিয়.কম

মেয়েদের যে বৈশিষ্ট গুলো ছেলেরা পছন্দ করে

বিয়ের পর নানা ধরণের অশান্তি লেগেই থাকে এই রকম দৃশ্য অনেকের সংসারেই দেখা যায়।  কিন্তু তখন তো আর কিছু করার উপায় থাকে না।  তাই বিয়ের বিষয়ে খুব সাবধাণতা অবলম্বন করা দরকার।জীবন সঙ্গী বেছে নেয়ার ক্ষেত্রে কোন ছাড় না দেয়াই ভাল। বরং দেখেশুনে সঙ্গী বাছাই করাই শ্রেয়। কারণ বিয়ের ক্ষেত্রে অনুমান সঠিক হয় না। যেমন মেয়েরা অনুমান করে যে তাকে যত সুন্দর দেখাবে, ছেলেরা তাকে তত পছন্দ করবে। অনুমানটি অনেকাংশে সত্যি, কিন্তু সৌন্দর্য ছাড়াও আরও অনেক কিছু আছে যা ছেলেরা পছন্দ করে।  আর একজন ছেলেই ভালোভাবে জানে– একজন মেয়ের কোন কোন বৈশিষ্ট্যগুলো তার ভাল লাগে ।

এখানে কিছু বৈশিষ্ট্যের কথা তুলে ধরা হল-যা ছেলেরা পছন্দ করে –

সরলতা : ছেলেরা সাধারণত সহজ–সরল মেয়েকে পছন্দ করে। যদিও ছেলেরা খুব ভাবুক/ফ্যাশনেবল মেয়েদের সঙ্গে মেশে এবং তাদের প্রতি অনেক উৎসাহী হয় তবুও তাদের সঙ্গে প্রেম করে না বা প্রেম করলেও তা শুধু মাত্র সময় কাটানোর জন্য করে। কারণ প্রত্যেকটি ছেলেই চায়– তার প্রেমিকা বা বউ খুবই সহজ সরল হবে। মেয়েদের যেমন সহজাত চাওয়া- তার স্বামী বা প্রেমিক অনেক স্মার্ট এবং সুপুরুষ হবে তেমনি এটাও ছেলেদের একটি সহজাত চাওয়া এবং স্বভাব।

নিরবতা এবং কোমলতা : ছেলেরা সাধারণত সেইসব মেয়েকে অনেক বেশি পছন্দ করে যারা বেশিরভাগ সময় নিরব ও চুপচাপ থাকে। অনেক আস্তে আস্তে কথা বলে, অনেক নরম স্বভাবের। যেসব মেয়ে চিল্লা-পাল্লা বা লাফ-ঝাপ করে বেড়ায় তাদের ছেলেরা পছন্দ করে না।

ফ্রেন্ডলীনেস ও হাসিখুশি ভাব : নরম স্বভাবের মানে এই নয় যে কারো সঙ্গে কথা বলে না। নরম স্বভাবের মানে হলো কারো সঙ্গে গায়ে পরে অপ্রয়োজনীয় কথা বলে না, কিন্তু কেউ যদি নিজে থেকে এসে কিছু জিজ্ঞেস করে তবে অবশ্যই বলে। অর্থাৎ মিশুক কিন্তু গায়ে পড়া নয়। এটা ছেলেদের একটি স্বভাব যে -যেসব মেয়েরা তাদের সঙ্গে গায়ে পরে কথা বলতে আসে, তাদের তার তেমন গুরুত্ব দেয় না।

শিক্ষা : একটা সময় ছিল যখন মেয়েদের শিক্ষার ব্যাপারটি ছেলেদের পছন্দের ক্ষেত্রে কোন ভূমিকা রাখত না। কিন্তু, যুগের পরিবর্তনে শিক্ষা ছেলেদের পছন্দের ক্ষেত্রে অন্যতম নিয়ামক।

স্মার্টনেস : ছেলেরা স্মার্ট মেয়েদের পছন্দ করে। স্মার্ট মানে যে ভীষণ ভাব নিয়ে চলতে হবে তা নয়, স্মার্ট মানে কাজে-কর্মে স্মার্ট। অর্থাৎ তাকে যে কাজটি করতে দেয়া হয়, সে কাজটিই সে বুদ্ধি দিয়ে সুন্দর করে গুছিয়ে করে।

সততাঃ মেয়েরা ছেলেদের সঙ্গে সত্যি কথা বলে না এবং কথা দিয়ে কথা রাখে না, ছলনা করে– ছেলেরা সাধারণত এটাই ভাবে। তাই যেসকল মেয়ে তাদের কথায় কাজে সৎ এবং কথা দিয়ে কথা রাখে ছেলেরা তাদেরকে বেশি পছন্দ করে।

অন্যের প্রতি যত্নবান : ছেলেরা এমন একজনকে মনের মানুষ হিসেবে চায় যে তাকে অসুস্থতার সময়, বিপদের সময়, যত্ন নেবে, আদর করবে। তাই যেসকল মেয়েরা অন্যের সেবা করার ব্যাপারে উৎসাহী এককথায় মমতাময়ী, তাদেরকে ছেলেরা অগ্রাধীকার দেয় বেশি।

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা : পরিষ্কার –পরিচ্ছন্ন মানুষকে সবাই পছন্দ করে, ছেলেরাও এর ব্যতিক্রম নয়। অপরিষ্কার অধিক সুন্দরী মেয়ের চেয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কম সুন্দরী মেয়েরও দাম বেশি।

চারিত্রিক বিশুদ্ধতা : উপরের সবকিছুর থেকে এটি সবচেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ।  আপনার রুপ, গুণ, মেধা সবই বিফলে যাবে যদি আপনার চারত্রিক বিশুদ্ধতা রক্ষিত না থাকে। একটা ছেলের কাছে সবকিছুর থেকে একটা মেয়ের চরিত্র সবচেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ। সূত্র : নতুন সময়

সম্পর্ক রক্ষায় বৈজ্ঞানিক উপায়

পারিবারিকভাবে হোক বা প্রেম করে- উভয় ক্ষেত্রেই ডিভোর্সের পরিমাণ আশঙ্কাজনক।  রেস্টুরেন্টে বসে কয়েক ঘণ্টার প্রেমালাপ বা সপ্তাহে দু’দিন ঘোরাঘুরি করা আর বিয়ের পর এক ছাদের নিচে থাকার মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে। যতই পূর্ব পরিচিত হোক না কেন, বিয়ের পরই একজন মানুষকে গভীরভাবে চেনা যায়।  কেউই শতভাগ নিশ্চয়তা দিয়ে বলতে পারছে না যে, কোনো দম্পতির কখনই ডিভোর্স হবে না।  যেকোনো সময় যে কারো ডিভোর্স হতে পারে, জনমনে এ ধরনের একটি শঙ্কা তৈরি হয়েছে।  ২০১৫ সালে শুধুমাত্র ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনেই ডিভোর্স কার্যকর হয়েছে মোট ৩,৫৩০টি!

দাম্পত্য জীবনে যারা একে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়, সঙ্গীর উপর প্রভাব বিস্তার করতে চায়, তারা সুখী হতে পারে না। অন্যদিকে পারিবারিকভাবে হওয়া বিয়ের ক্ষেত্রে দু’জন অপরিচিত মানুষের স্বভাবগত পার্থক্যের পাশাপাশি পূর্বের প্রেমের সম্পর্ক, সত্য গোপন করা, সন্দেহ প্রবণতা, বোঝাপড়ার অভাব, অনীহা কিংবা ভয়ের কারণে শারীরিক সম্পর্ক উপভোগ না করা বিবাহ-বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।কারণগুলো জানা থাকলে ডিভোর্সের দিকে ধীরে ধীরে এগোনো দম্পতিরা চাইলে হয়তো তাদের সম্পর্কটা রক্ষা করতে পারবেন।

সঠিক সময়ে বিয়ে করা: গবেষণায় দেখা গেছে, যারা ২৭-৩০ বছরের মধ্যে বিয়ে করেন তাদের দাম্পত্য জীবন তুলনামূলক বেশি মজবুত ও স্থায়ী হয়ে থাকে। অন্যদিকে যারা টিনএজ (১৩-১৯ বছর) বা ৩২+ বয়সে বিয়ে করে তাদের ডিভোর্সের হার বেশি। বিশেষ করে কম বয়সে বিবাহ বন্ধনে যারা আবদ্ধ হয় তারা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। এছাড়া স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বয়সে বেশি ফারাক থাকলে সেটাও ডিভোর্সের দিকে ঠেলে দেয়। যেসব দম্পতির বয়সের পার্থক্য ১ বছর তাদের ডিভোর্সের হার ৩ শতাংশ। বয়সের পার্থক্যটা পাঁচ বছরে দাঁড়ালে ১৮ শতাংশ এবং ১০ বছর হলে ৩৯ শতাংশ দম্পতির বিবাহ-বিচ্ছেদ হয়ে থাকে।

পেশা গত সচ্চলতা :  ১৯৭৫ সালের পরে হওয়া বিয়েগুলোর উপর গবেষণা করে অ্যালেকজান্ড্রা কিলওয়্যাল্ড দেখেছেন, যাদের স্বামী ফুল-টাইম কাজ করে তাদের ডিভোর্সের হার ২.৫ শতাংশ। অন্যদিকে যাদের স্বামী ফুল-টাইম কাজ করে না তাদের ডিভোর্সের হার ৩.৩ শতাংশ।শুনতে খারাপ লাগলেও গবেষণা এটাই বলছে যে, কলেজ গ্রাজুয়েট দম্পতিদের চেয়ে হাই স্কুল না পেরোনো দম্পতিদের মাঝে ডিভোর্সের হারটা প্রায় দ্বিগুণ। কারণ স্বল্পশিক্ষিত ব্যক্তিদের উপার্জন কম হওয়ায় তাদের জীবনযাত্রা বেশি কঠিন হয়ে পড়ে। আর যেখানে পদে পদে কষ্টের সম্মুখীন হতে হয়, সেখানে সাধারণত ভালোবাসাময় সুখী দাম্পত্য জীবন কাটানো সম্ভবপর হয়ে ওঠে না। ফলাফল বিবাহ-বিচ্ছেদ।

নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা: ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের গবেষক গটম্যান ও অন্যান্য গবেষকরা ‘ওরাল হিস্টোরি ইন্টারভিউ’ নামের একটি সাক্ষাৎকারের আয়োজন করেন। সেখানে দম্পতিদেরকে তাদের দাম্পত্য জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে বলতে দেয়া হয়। দম্পতিদের কথা পর্যালোচনা ও পর্যবেক্ষণ করে গবেষকরা ভবিষ্যদ্বাবাণী দিতে সক্ষম হয়েছিলেন কোন কোন দম্পতি ডিভোর্সের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।  ২০০০ সালে জার্নাল অব ফ্যামেলি সাইকোলজি-তে একটি লেখা প্রকাশিত হয়েছিল। ৯৫ জন নবদম্পতির ‘ওরাল হিস্টোরি ইন্টারভিউ’ নিয়ে সেগুলো খতিয়ে দেখা হয়েছে কোন কোন দম্পতির বৈবাহিক বন্ধন কতটা মজবুত কিংবা দুর্বল।

সঙ্গীর প্রতি নেতিবাচক ভাব প্রদর্শন:  মনোবিজ্ঞানী জন গটম্যান ডিভোর্সের পেছনে চারটি প্রধান কারণকে দায়ী করেছেন। যে দম্পতিদের মাঝে এই চারটি বিষয় উপস্থিত থাকে, তাদের ডিভোর্স হওয়ার সম্ভাবনা অত্যধিক।

১. সঙ্গীকে ছোট করে দেখা, অবজ্ঞা করা। ২. সঙ্গীর স্বভাব-চরিত্রের ব্যাপারে লাগাতার সমালোচনা করা।৩. দাম্পত্য জীবনের কোনো সংকটে বা কঠিন পরিস্থিতে নিজেকে সবসময় নির্যাতিত কিংবা ভুক্তভোগী হিসেবে উপস্থাপন করা।৪. একে অন্যের সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেয়া।

বাড়াবাড়ি রকমের রোমান্টিকতা:  বৈবাহিক জীবনের শুরুতে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে একটু বাড়তি উচ্ছ্বাস, আগ্রহ কাজ করে। এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সেটা যখন মাত্রা ছাড়িয়ে যায়, তখন সমস্যা সৃষ্টি করে। মনোবিজ্ঞানী টেড হিউসটন ১৬৮ জন দম্পতিকে তাদের বিয়ের পর থেকে টানা ১৩ বছর নজরে রেখেছিলেন। বিভিন্ন সময় দম্পতিদের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন তিনি। পরবর্তীতে এর উপর ভিত্তি করে ইন্টারপার্সনাল রিলেশনস অ্যান্ড গ্রুপ প্রসেস জার্নালে একটি পেপার প্রকাশ করেন। বিশ্বাস করতে কষ্ট হলেও এটাই সত্য যে, যাদের দাম্পত্য জীবনের শুরুতে তুলনামূলক কম ‘হলিউড রোমান্স’ থাকে, তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক মজবুত হয়।”

বাদানুবাদে নীরবতা : ২০১৩ সালে জার্নাল অব ম্যারেজ অ্যান্ড ফ্যামেলিতে একটি লেখা প্রকাশিত হয়। সেখানে বলা হয়েছে, সমস্যার সমাধান না করে এ ধরনের নীরবতা পালন বা কথা বলতে না চাওয়ার স্বভাবটা দাম্পত্য জীবনকে ডিভোর্সের দিকে ঠেলে দেয়। প্রায় সাড়ে ৩৫০ নব-দম্পতির সাক্ষাৎকারের ‍উপর ভিত্তি করে এই তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছিল। ২০১৪ সালে কমিউনিকেশন মনোগ্রাফ জার্নালে আরেকটি লেখা প্রকাশিত হয়। সেখানে বলা হয়েছে, যেসব দম্পতির একজন কোনো বিষয় নিয়ে কথা বলতে চেয়ে বিনিময়ে সঙ্গীর কাছ থেকে নীরবতা পায়, তারা দাম্পত্য জীবনে খুব একটা সুখী নয়।

গবেষক পল শ্রড বলেন, স্বামী-স্ত্রী দু’জনই একে অপরকে সৃষ্ট সমস্যার জন্য একে অন্যের উপর দোষ চাপিয়ে নয়, সমস্যার সমাধানের জন্য কে কতটা অবদান রাখার চেষ্টা করছে সেদিকে নজর দেয়া উচিত। পরস্পরের যদি সম্মান ও শ্রদ্ধা অক্ষুণ্ন রেখে দাম্পত্য জীবনের বিভিন্ন ঝামেলা মিটিয়ে ফেলার জন্য খোলামেলাভাবে কথা বলা জরুরি।

সূত্র: সংগৃহিত

বিয়েতে ভয়, আপনার গ্যামোফোবিয়া তো নয়!

কৈশোরে কিংবা তারুণ্যে বন্ধুদের সাথে আড্ডায় হয়তো অনেকেই বিয়ের ইচ্ছা পোষণ করে থাকেন। আবার অনেকে আক্ষেপ করেও বলেন যে, ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও বাবা মা বিয়ে দিচ্ছে না কিংবা তার মনের ইচ্ছা বুঝতে চাইছে না।  কিন্তু যখন সত্যিকার জীবনে বিয়ের বয়স হয়, তখন অনেক ক্ষেত্রেই বিয়ের প্রতি দেখা দেয় অনীহা। শুধু তাই নয়, দেখা যায় যে অনেক দিনের প্রেম থাকা সত্ত্বেও সম্পর্ককে বিয়ের নাম দিতে ভয় পাচ্ছেন তারা। বিয়ের জন্য যেন নিজেকে কোনো ভাবেই মানসিক ভাবে প্রস্তুত করে উঠতে পারেন না তারা।

বিয়ে করতে ভয় পাওয়ার বিষয়টিকে ‘গ্যামোফোবিয়া’ বলে।  বিয়ের কথা শুনে কিছুটা আতঙ্কিত বোধ করাটাও স্বাভাবিক।  তবে বিয়ের নাম শুনলেই যারা দৌড়ের ওপর থাকেন, তারা গ্যামোফোবিয়ায় ভুগতে পারেন।  যাদের মনে বিয়ের ভয় জেঁকে বসে এবং নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, অবশ্যই তাদেরকে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। তবে যারা বিয়ের কথা শুনে কেবল আতঙ্ক বোধ করছেন, তারা কিছুটা মানসিক জোর পেলেই বিয়েতে রাজি হবেন।

গ্যামোফোবিয়া কী? : বিয়ের বন্ধন ও স্থায়ী সম্পর্কে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়ার ভয়ই মূলত গ্যামোফোবিয়া।  গ্রিক শব্দ গ্যামো অর্থ বিয়ে ও ফোবিয়া মানে ভয়।   গ্যামোফোবিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের কাছে বৈবাহিক সম্পর্ককে কখনো সরল জীবনযাপনের হুমকিস্বরূপ মনে হয়।  এছাড়াও সম্পূর্ণ নতুন একটি মানুষের সঙ্গে বসবাস ও তার পরিবার মানিয়ে চলাকেও তারা সহজভাবে নিতে পারেন না।

কারণ:  সাধারণত যেকোন ফোবিয়ার কারণ হচ্ছে বাইরের উদ্দীপক ও তার মানসিক প্রভাব।  যেমন, অতীতের আঘাতমূলক ঘটনা। আবার এ ভয় জেনেটিক কারণেও হতে পারে। অল্প বয়সে বিভিন্ন সম্পর্কজনিত জটিলতাও এই ফোবিয়ার কারণ হতে পারে।   ধারণা করা হয় বংশগতি, জিন ও মস্তিষ্কের রসায়ন এবং বাস্তব অভিজ্ঞতার সম্মিলনে ফোবিয়া তৈরি হয়।

লক্ষণ:  ভয়ের মাত্রা ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হয়। তাই গ্যামোফোবিয়ার লক্ষণগুলোও আলাদা। যেমন—প্রচণ্ড দুশ্চিন্তা, উদ্বেগ, ভয় ও আতঙ্কগ্রস্ত থাকা। অস্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস, ঘেমে যাওয়া, হৃদপিণ্ডের উর্ধ্বগতি, গলা শুকিয়ে আসা, কাঁপুনি ইত্যাদি।

প্রতিকার : বিশেষজ্ঞদের মতে, ফোবিয়ার সবচেয়ে উপযোগী চিকিৎসা হচ্ছে সম্মোহন বা হাইপোথেরাপি, মনোবিজ্ঞানির সাথে পরামর্শ (সাইকোথেরাপি) ও নিউরো-লিঙ্গুইস্টিক প্রোগ্রামিং (অবচেতন মন যদি নেতিবাচক হয়ে থাকে তবে তাকে রিপ্রোগ্রাম করবার জন্য দরকার সচেতনতার সাথে নিজস্ব উপলব্ধি, দৃষ্টিভংগী এবং আবেগ সম্পর্কে সচেতন হওয়া)।   সাইকোলজির কিছু বিশেষ টেকনিক ব্যবহার করে নিজের মনের অবচেতন প্রক্রিয়াকে গাইড করা সম্ভব।

বিয়ের ভয় কাটানোর কয়েকটি পরামর্শ জেনে নিন:

বিয়ে ফিল্ম নয়: অনেকে হলিউড বা বলিউডের চলচ্চিত্রে বড় বড় বিয়ের আয়োজন দেখে আতঙ্কিত থাকেন। মনে রাখতে হবে, বিয়ে মানে চলচ্চিত্রের দৃশ্য নয়। বাস্তব দৃষ্টিকোণ থেকে বিয়েকে দেখুন। এটি জীবনের স্বাভাবিক অংশ। অতি কাল্পনিক বা অতি জাঁকজমকের কিছু নয়। বাস্তবতা মেনে যাঁরা বিয়ের কথা ভেবেছেন, তাঁদের ভয় কেটে গেছে।

অযৌক্তিক ভীতি নয়: বিয়ে নিয়ে অনেকেই অতিরিক্ত ভয়ে থাকেন। মনে সন্দেহ তৈরি হয়। আস্থাহীনতায় ভুগতে থাকেন। বিয়ের বিরুদ্ধে যত পয়েন্ট আছে, সব এক জায়গায় করুন। এরপর সেগুলো বিশ্লেষণ করে দেখুন। একসময় মনে হবে, বিয়ের বিরুদ্ধে কারণগুলোর কোনো অর্থই নেই।

নিজের পছন্দকে গুরুত্ব দিন: অনেক সময় দেখা যায়, যার বিয়ে তাঁর খবর নেই, পাড়া–পড়শির ঘুম নেই। অনবরত বিয়ের কথা বলে মনে আতঙ্ক তৈরি করে। আপনার একাকী জীবন নিয়ে যারা বেশি উদ্বেগ দেখায়, তাদের এড়িয়ে যান। বিয়ে নিয়ে ইতিবাচক চিন্তা করুন।  মনে রাখুন, বিয়ে সম্পূর্ণ নিজের পছন্দ অনুযায়ী করা ভালো।

সঙ্গীর ওপর আস্থা রাখুন: আপনার যদি পছন্দের কেউ থাকে, তবে বিয়ে নিয়ে তাঁর সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন। বিয়ে সম্পর্কে কোনো ভয় থাকলে আলোচনা করে দেখতে পারেন। সহানুভূতিশীল সঙ্গী আপনার পাশে দাঁড়াবে এবং বিয়ের ভয় কাটাতে সাহায্য করবে।

নিজেকে গুছিয়ে নিন: যাঁরা বিয়ে করতে ভয় পান, তাঁরা নিজেকে আগে গোছগাছ করে বিয়ের জন্য প্রস্তুত করতে পারেন। একা কোথাও ছুটি কাটাতে যেতে পারেন। একা অনেকটা সময় কাটিয়ে সঙ্গীর অনুভব করেন কি না, বুঝতে চেষ্টা করুন। যদি একা সময় কাটানো কষ্টকর বোধ হতে থাকে, তবে বিয়ে করে ফেলুন।

স্বাভাবিক হোন: অতীতে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার বেদনা থাকতে পারে। অনেকে প্রতারণার ঘটনায় বিয়েতে বিতৃষ্ণায় ভুগতে পারেন। যদি এ ধরনের ঘটনা জীবনে থাকে, তবে বাস্তববাদী ও স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করুন। সম্পর্কসহ জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আঘাত আসতে পারে। অতীতের কষ্ট ভুলে যান, নতুন সম্ভাবনাকে ইতিবাচকভাবে মেনে নিন।

বাস্তবতা মানুন: অনেকে ভুল মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক হবে ভেবে বিয়ের দিকে যেতে ভয় পান। অপেক্ষায় সময় কাটান। অনেকে অপেক্ষা করেন বিশেষ কারও জন্য। কিন্তু মনে রাখতে হবে, কোনো মানুষ সম্পূর্ণ নিখুঁত নয়। কল্পনার ‘হিরো’ বাস্তবের সঙ্গে নাও মিলতে পারে।

উন্মুক্ত মন: যারা ইতিবাচক কথা বলে এবং যারা সংসারজীবনে সফল, তাদের কাছে কথা শুনুন। নেতিবাচক ও বাজে কথায় কান দেবেন না। নিজে ইতিবাচক থাকুন ও মন উন্মুক্ত রাখুন। আপনার মনের খোলা জানালায় শান্তির সুবাতাস বয়ে যাবে।

সূত্র : সংগৃহিত

বিয়ের আগে সঙ্গীর সম্পর্কে যা জানা জরুরি

সংসার মানে গোলাপের বিছানা নয়; সেখানে কাঁটার খোঁচাও খেতে হয়। আবার এমন করা যাবে না যে ঝড় আসবে বলে ঘর বাঁধব না। বরং শক্ত করে বাঁধব। ঝড়ের বিপরীতে দাঁড়িয়ে থাকব আপন জনের পাশে। সে জন্য একটা খসড়া পরিকল্পনা আন্তত থাকা চাই। সঠিক পরিকল্পনাতেই বদলে যায় অনেক কিছু। সংসারযাত্রার দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে বুঝেশুনে চলতে হয়।  মাথা খাটিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শুধু ভালোবাসায় সংসার টেকে না; সঙ্গীকে ভালোবাসার পাশাপাশি স্মার্টনেসও দেখাতে হয়। এক্ষেত্রে দুজনকেই একটু মানিয়ে নিয়ে চলতে হয়। বিপত্তি বাঁধে তখনই যখন দুজনের কোনো একজন সম্পর্কে ছাড় দিতে না চায়! আপনি তার সঙ্গে কতটা মিলেমিশে থাকতে পারবেন তা জানা যাবে কিছু বিষয়ে খেয়াল করলেই। সম্ভব হলে তার বিষয়ে জেনে নিন-

বয়স: বিয়ের ক্ষেত্রে বয়স খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ছেলেদের ক্ষেত্রে বেশি বয়সে বিয়ে হলে ইনফার্টিলিটি বা বন্ধ্যাত্ব হতে পারে। আবার মেয়েদের বেশি বয়সে বিয়ে হলে সন্তান শারীরিক-মানসিক প্রতিবন্ধী হওয়াসহ ত্রুটি নিয়ে জন্ম নেয়ার আশঙ্কা থাকে। সেক্ষেত্রে মেয়েদের ত্রিশ বছরের পর প্রথম বাচ্চা নেয়াটা খুবই ঝুঁকির কারণ হয়ে যায়। তবে মেয়েদের অল্প বয়সে বিয়ে হলেও বেশ কিছু স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে যায়। অল্পবয়সী মেয়েদের ক্ষেত্রে গর্ভধারণটা খুবই ঝুঁকির। তাই বিয়ের জন্য ছেলেমেয়ের উভয়ের বয়স বিবেচনা করাটা খুব জরুরি একটি বিষয়। বিয়ের পাত্র পাত্রী দুজনেই প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া বাঞ্ছনীয়। ছেলের বয়স মেয়ের বয়সের থেকে ৪/৫ বছর বেশি হলে ভালো।

সম্মতি : বিয়েতে ছেলের সম্মতি আছে কি না জেনে নেয়াটা যেমন জরুরী একই ভাবে মেয়ের সম্মতি আছে কি না সে বিষয়ে ছেলেরও জানা দরকার।

আয়ের উৎস : পাত্র বা পাত্রীর কর্মক্ষেত্রে খোঁজ নিন, তার উপার্জনের উৎস সম্পর্কে নিশ্চিত হোন। তিনি কোনও অবৈধ কাজের সঙ্গে জড়িত কি না বা তার আয়ের উৎস যথাযথ কি না সে ব্যাপারে খোঁজখবর করুন। অনেক সময় ছেলে কম বেতন পেলেও তা বাড়িয়ে বলা হয়। আবার কর্মক্ষেত্রে পদমর্যাদা ছোট হলে তা-ও গোপন করা হয়। মেয়েদের ক্ষেত্রে একই ব্যাপার ঘটতে পারে। বিয়ের পূর্বে নিজের আর্থিক সচ্ছলতার দিকটিও বেশ ভালো করে খতিয়ে দেখা উচিত।

বিশেষ কোন রোগ আছে কি না:  আমাদের সমাজে এর তেমন প্রচলন না-হলেও বিয়ের আগেই ছেলে এবং মেয়ের মেডিক্যাল টেস্ট করা জরুরি। এইডস, হেপাটাইটিস বা কোনও যৌন রোগ আছে কি না, তা জানা খুবই দরকার। যাতে তাঁর সঙ্গী সেই রোগে আক্রান্ত না-হয়। তাই বিয়ের আগে মেডিক্যাল টেস্টের প্রয়োজন আছে। বিশেষ কিছু রোগ বংশগতির মাধ্যমে পরবর্তী প্রজন্মে বিস্তার করে। এর মধ্যে রয়েছে থ্যালাসেমিয়া, মাসকুলার ডিসট্রফি (মাংসপেশীতে একধরনের দুর্বলতা), স্নায়ুর বিশেষ কয়েকটি অসুখ, (মৃগী রোগ), অ্যাজমা, গ্লুকোমা ইত্যাদি। এসব রোগের যাবতীয় পরীক্ষা বিয়ের আগেই করে নেয়া উচিৎ। আর সেজন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিন বিয়ে পরবর্তী সতর্কতা বিষয়ে।

ব্লাডগ্রুপ :  স্বামীর ব্লাডগ্রুপ নেগেটিভ হয় তাহলে স্ত্রীর ব্লাডগ্রুপ পজেটিভ বা নেগেটিভ যে কোনো একটি হলেই হবে। কিন্তু স্বামীর ব্লাডগ্রুপ যদি পজেটিভ হয়, তাহলে স্ত্রীকেও পজেটিভ ব্লাড গ্রুপের একজন হতে হবে। স্ত্রীর ব্লাডগ্রুপ নেগেটিভ হলে পরবর্তীতে সমস্যা দেখা দিতে পারে।। একজন নেগেটিভ ব্লাড গ্রুপের নারীর সাথে একজন নেগেটিভ ব্লাড গ্রুপের পুরুষের বিয়ে হওয়াটা নিরাপদ।।

পরিকল্পনা আলোচনা করে নিতে পারেন: ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে খোলাখুলি আলোচনা করুন। এতে বিয়ের পরে সংসার, ক্যারিয়ার ইত্যাদি বিষয়ে সমস্যা কম হবে। সম্ভব হলে বাচ্চা কবে নিতে চান এ ব্যাপারেও কথা বলুন। এছাড়াও আপনারা বিয়ের পর যৌথ পরিবারে থাকবেন, নাকি আলাদা থাকবেন, তাও বিয়ের আগে আলোচনা করে নিশ্চিত হয়ে নিন।কোথায় থাকবেন, কারও কর্ম নিয়ে কারও সমস্যা আছে কি না? তাও জেনে নিন।

সে কতটা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: বিয়ের আগে ভালো করে খেয়াল করুন সে কতটা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই বিষয়ে কোনো দ্বিধা থাকলে বিয়ে না করাটাই ভালো।

সঙ্গীর পরিবার: বিয়ের আগে সঙ্গীর পরিবারের সঙ্গে একবার হলেও দেখা করে নিন। তাহলে বিয়ের কথা শুরুর হওয়ার আগে আপনি বুঝতে পারলেন তাঁরা কেমন ধরনের মানুষ। এতে সব কথাবার্তা মানাতে সহজ হবে।

আপনাকে কতটুকু সম্মান করে: প্রতিটি সম্পর্কে সম্মান থাকাটা খুবই জরুরি। তাই বিয়ের আগে ভালো করে খেয়াল করুন সে আপনাকে কতটুকু সম্মান দিচ্ছে। এই বিষয়ে ঘাটতি থাকলে সংসারে কখনোই সুখী হতে পারবেন না। আপনার সিদ্ধান্তকে গুরুত্ব দেয় কি না যে বিয়ের আগে আপনার সিদ্ধান্তকে গুরুত্ব দেয়, সে বিয়ের পরও দেবে। তাই এমন মানুষকে চোখ বন্ধ করে বিয়ে করে ফেলুন। আর এমনটা যদি না হয়, তাহলে ভাবুন, ভাবুন, আরো ভাবুন ।

ঝগড়া কীভাবে সামলায়: ঝগড়া হওয়ার পর সে বিষয়টাকে কীভাবে সামলে নেয়, ভালো করে খেয়াল করুন। যদি দেখেন আপনার ওপর সব দোষ চাপিয়ে নিজে ভালো সাজে, তাহলে তাকে বিয়ে করাটা ঠিক হবে না। কারণ বিবাহিত জীবনেও সে এমনটাই করবে। ভালবাসা আর ক্ষমা এই দুটি জিনিষের কাছে পৃথিবীর অনেক যুক্তি ম্লান হয়ে যায়। বেঁচে থাকে পথ চলা। যারা নতুন বিয়ে করতে যাচ্ছেন তাদের জন্য শুভ কামনা রইল।  সূত্র: সংগৃহিত