ভালোবাসা আসলে কী? কেনইবা সবাই একটুখানি ভালোবাসার ছোঁয়া পেতে এতটা কাঙ্গাল, এতটা আকুল? কী এমন ম্যাজিক ভালোবাসায়? কবিতা, গল্প, গান কিংবা উপন্যাসে লেখকরা ভালোবাসার মানে আবিষ্কারের প্রাণান্ত চেষ্টা করেছেন, করছেন অহর্নিশ। যুতসই ‘অনুবাদ’ মিলছে কোথায়? ভালোবাসা আসলে তবে কী মোহ, মরীচিকা! ভালোবাসা নামের সেই রহস্যের মায়াজালে বন্দী হয়েছেন খেলার জগতের অনেক তারকারাই। ভালোবাসা রঙে রঙিন হয়ে ওঠা সেই সব তারকাদের ভুবনে চলুন ডুব দিয়ে আসি…
‘ভালোবাসা অনেকটা হাওয়ার মতো! আপনি দেখতে পারবেন না, কিন্তু ঠিকই অনুভব করতে পারবেন!’ একটি সুন্দর আকর্ষণীয় মানুষ। সে ছেলে মেয়ে উভয় হতে পারে। তাকে দেখে কারও খুব ভালোলাগতে পারে, তার সৌন্দর্য ব্যক্তিত্বে কেউ পাগল হতে পারে। এমনটি অনেকের হতে পারে। তাকে দেখে মনে ভালোলাগা, প্রেমভাব জাগ্রত হতে পারে। তার প্রতি মোহ, মায়া অনেক কিছু হয়, যখন সেই কাঙি্ক্ষত মানুষটি তার আবেদনে সারা দেয়, কাছে আসে যখন সে সারা দেয় প্রথম প্রথম খুব ভালোলাগে তাকে, তার সঙ্গে কাটানো সময়কে। কিন্তু মন থেকে আসলে কোনো রকম সংযোগ হয় না। মানুষটি সৌন্দর্য রূপ চেহারা তা আকর্ষণ করলেও মানুষটির সুন্দর মন আছে কি না সেটা আর জানা সুযোগ বুঝা হয় না। কোনো সম্পর্ক শুধু সৌন্দর্য আকর্ষণে খুব বেশিদিন সম্পর্কটা মন থেকে টিকে থাকে না। সময়ের সঙ্গে সৌন্দর্য আকর্ষণ কমতে থাকে, আবার কারও শুধুই দেখতে ভালোলাগে বা সবাইকে আমার জীবনে সুন্দর কেউ আছে, হয়তো সেটা দেখাতে কারও ভালোলাগে।
কিন্তু মন থেকে মানুষটি জন্য কোনো ভালোবাসা সৃষ্টি হয় না, প্রেমভাব যেটা জেগে উঠে সেটা মোহ, মায়াতে সাময়িক। বিয়ের পরেও সেই ভালোবাসা মোহো মায়া বেঁচে থাকে অনেকে কিছু বছর, তারপর সব কিছু শূন্যতায় ভরে যায়। কাছের প্রিয় মানুষটিকে তখন ভালোলাগে না, ভালোবাসা তো সেখানে বন্দী মতো থাকে কোনো বিশেষ প্রয়োজনে, বিশেষ উপলক্ষে। সম্পর্কটাও ফুলের মতো একদিন বাসি হয়ে যায় কারও কাছে, মন থেকে সম্পর্ক তা কখনো সৃষ্টি হয় না বলে সম্পর্কটা একদিন শেষ হয়ে যায় আবেদন ধরে রাখতে না পেরে। শুধু সম্পর্কটা সংসারের প্রয়োজনে অভ্যাস আচরণে নামমাত্র টিকে থাকে।
‘আমি বলছি না ভালোবাসতেই হবে, আমি চাইকেউ একজন আমার জন্য অপেক্ষা করুক,শুধু ঘরের ভেতর থেকে দরোজা খুলে দেবার জন্য ।বাইরে থেকে দরোজা খুলতে খুলতে আমি এখন ক্লান্ত।’