কোন মাধ্যমে প্যাকেজ কিনবেন (মুড অফ পেমেন্ট )

আপনার যদি ডাচবাংলা ব্যাংকের ডেবিট কার্ড (নেক্সাস) থেকে থাকে কিংবা যেকোন ব্যাংকের ভিসা বা মাষ্টার চিহ্নিত কোন কার্ড থাকে তবে আপনি বিবাহবিডি ডট কম থেকেই সরাসরি প্যাকেজ কিনে সর্বোচ্য ২ মিনিটের মধ্যেই পেইড মেম্বার হিসাবে সুবিধা পেতে পারেন। তাছাড়া বিবাহবিডি ডট কমের ৩ টি ব্যাংক একাঊন্ট রয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক, ডাচবাংলা ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া – প্যাকেজ প্রাইজ ব্যাংকে ডিপোজিট করে বিবাহবিডি ডট কমের হট লাইন নাম্বারে SMS  অথবা ফোনে যোগাযোগ করা হলে স্বল্প সময়ের  মধ্যেই  আপনার প্রোফাইল আইডির বিপরীতে প্যাকেজ টি সয়ংক্রিয় ভাবে ACTIVE         হয়ে যাবে। কিংবা মোবাইল ব্যাংকিং বা বিকাশ এর মাধ্যমে পেমেন্ট করে মেম্বারশীপ আপগ্রেড করতে পারবেন। তাছাড়া ও আপনার যদি পেপ্যাল একাউন্ট থাকে তবে পেপ্যালের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে পারবেন।

নিচে ইউজারদের সুবিধার্থে বিবাহ বিডি ডট কমের ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার সহ ব্যাংক  দেয়া হলোঃ

 

ভিসা / মাষ্টার কার্ড দিয়ে কিভাবে প্যাকেজ কিনবেন

বিবাহবিডিতে লগিন করার পর, বাম পাশের ম্যানুর নীচের দিকের প্যানেল
Payment Option থেকে Upgrade account                   এ ক্লিক করুন –

ছবি গুলো অনুসরন করুনঃ

চিত্রঃ ১
চিত্রঃ২
চিত্রঃ৩
চিত্রঃ৪
যথাযথ ভাবে আপনার  ক্রেডিট কার্ডের তথ্য দিয়ে SUBMIT বাটনে ক্লিক করলে সয়ংক্রিয় ভাবে আপনার মেম্বারশীপ টি আপগ্রেড হয়ে যাবে । এবং কনফার্মেশন নোটিফিকেশন ও ইমেইল পাবেন।

তারপর ও কোন সমস্যায় পড়লে বিবাহবিডি ডট কমের কাষ্টমার সাপোর্ট এক্সিকিউটিভের সাহায্য নিতে ০১৯২২১১৫৫৫৫ এ কল করুন।

কিভাবে পছন্দের প্রোফাইলের সাথে যোগাযোগ করবেন

আপনি কয়েকটি প্রন্থায় বিবাহবিডির ইউজারদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন –

১) প্রোপোজাল পাঠিয়েঃ
আপনার কাছে আসা প্রোপোজাল গুলো এক্সেপ্ট করুন এবং এক্সেপ্ট করার পর প্রোফাইল টি পুনরায় ওপেন করার পর ঐ প্রোফাইলের নীচে ইউজারের কন্টাক্ট ইনফরমেশন পাওয়া যাবে।

ছবিতে দেখুনঃ

২) ম্যাসেজ লিখেঃআপনি আপনার যোগাযোগের সকল তথ্য দিয়ে (ফোন নাম্বার, ইমেইল, এড্রেস) সরাসরি আপনার পছন্দের ইউজারকে ম্যাসেজ লিখতে পারেন এ ক্ষেত্রে ঐ ইউজারকেও বিবাহবিডির কোন একটি মেম্বারশীপে থাকতে হবে।  ছবিতে দেখুনঃ

৩) সরাসরি কন্টাক্ট ডিটেইল পিক করেঃ আপনার পছন্দের কোন ইউজারের কন্টাক্ট ডিটেইলস (ফোন নাম্বার, অল্টারনেটিভ ফোন নাম্বার, ইমেইল, বর্তমান ঠিকানা, স্থায়ী ঠিকানা ) নিতে হলে তার প্রোফাইল ওপেন করুন –

ছবিতে দেখুনঃ
 

ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যাংকার কিংবা প্রবাসী পাত্রপাত্রী খুঁজতে

বিবাহযোগ্য ছেলে মেয়ে ; চিন্তিত অভিভাবক।  পাত্র পাত্রীর খোঁজে চলে ফিসফিস গোচরে অগোচরে।  আত্মীয় পরিজন কিংবা পরিচিতদের মধ্যে চলে পাত্র পাত্রীর খুঁজার পালা। পাত্র পাত্রীর খুঁজ পেলেই চলে – ঢাক ঢোল পিটিয়ে পাত্র পাত্রীর দেখার আয়োজন, কোন কারনে যদি সমন্ধ ভেচতে যায় তখন যেন প্রতিবেশীরও আগ্রহ বেড়ে যায় অনেকগুন আর অস্থির অভিভাবকের প্রত্যহ জীবনে যোগ হয় আরো একটি দীর্ঘশ্বাস।

 

বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগে ট্রেডিশনাল এই পাত্র পাত্রীর দেখার সিষ্টেম মোটেও সুখের নয় আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত ছেলে মেয়েদের জন্য। আর তাই শিক্ষিত অনেক পরিবারের ছেলে মেয়েরাই এখন লগিন করছে বিবাহবিডি ডট কমে

কেন বিবাহবিডিতে পাত্র/পাত্রী খুঁজবেনঃ
আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী ও পছন্দের প্রফেশনের অসংখ্য পাত্র/পাত্রী থেকে নিজের পছন্দের পাত্র/পাত্রী খুঁজার অধিকার অবশ্যই আপনার আছে। তো কেন মুখ বুঁজে বসে থাকবেন? জীবন একটায় আর একটি সুখী জীবনের জন্য চাই একজন সুন্দর মানুষ। তাই নিজেই বিবাহবিডিতে প্রোফাইল করুন, নিজেই খুঁজুন এবং নিজেরাই পাত্র/ পাত্রী কিংবা তার অভিভাবকের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করুন। এতে লোক জানাজানি ঝামেলা যেমন নেই তেমনি খরচ ও কম।

বিস্তারিত জানতেঃ ০১৯২২ ১১ ৫৫৫৫  এ কল করুন ২৪/৭

নিচের এই স্ক্রীন শর্ট থেকে দেখে নিন বিবাহবিডিতে কোন প্রফেশনের কত জন পাত্র/পাত্রী আছে যারা কিনা হয়তো আপনার মতই একজনের অপেক্ষায় দিন গুনছে। সরাসরি লিংকে যেতে ক্লিক করুন।
যে সকল শিক্ষিত ছেলে মেয়ারা ভূল সঙ্গী নির্বাচন করে ইতি মধ্যে সেপারেটেড কিংবা ডিভোর্স নিয়েছেন, ঠিক তাদের মতই অনেক ছেলে মেয়ে ও আবার নতুন করে সুখী হতে বিবাহবিডিতে প্রোফাইল করেছেন আপনি চাইলেই তাদের প্রোফাইল দেখেও সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন।

স্কীন শর্ট দেখুন ডিভোর্স/ সেপারেটেড কতজন ছেলে আপনার মতই একজনের অপেক্ষায় আছে
কিভাবে বিবাহবিডিতে রেজিষ্ট্রেশন করবেন –
আপনি যদি বিয়ের ব্যাপারে সিরিয়াস হয়ে থাকেন তবে নীচের লিংকে ক্লিক করে ফ্রী রেজিষ্ট্রেশন করুন

বিস্তারিত জানতেঃ ০১৯২২ ১১ ৫৫৫৫  এ কল করুন ২৪/৭

কোন কারনে রেজিষ্ট্রেশন করতে সমস্যায় পড়লে বিবাহবিডির কাষ্টমার সাপোর্ট আপনাকে ২৪/৭ দিনই হেল্প করার জন্য প্রস্তুত আছে আপনি ফোনে (০১৯২২ ১১ ৫৫৫৫) তাদের সাহায্য নিতে পারেন।

আপনার রেজিষ্ট্রেশন টি শেষ হয়ে গেলে বিবাহবিডির একজন কাষ্টমার সাপোর্ট এক্সিকিউটিভ আপনাকে ফোন করে আপনার রেজিষ্ট্রেশনের প্রদত্ত তথ্য গুলো ফোনে রিভিও করে আপনাকে ৩ দিনের জন্য বিবাহবিডিতে ফ্রী এক্সেস দিবে ও বিবাহবিডির সার্ভিস সম্পর্কে পূর্নাঙ্গ ধারনা দিবে। ৩ দিনের ফ্রী ট্রায়াল মেম্বারশীপে আপনি আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী সব প্রোফাইল দেখে পছন্দের প্রোফাইল গুলোকে বাছাই করতে পারবেন। এবং পরবর্তীতে মেম্বারশীপ নিয়ে পাত্র কিংবা তার অভিভাবকের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবেন।

বিস্তারিত জানতে ফোন করুন বিবাহবিডি ২৪/৭ কাষ্টমার সাপোর্ট : ০১৯২২ ১১ ৫৫৫৫

বর্ষাকালীন অফার

দীর্ঘ দিন ধরেই কোন ধরনের ঝামেলা ছাড়াই ঘরে বসেই অনলাইনে পাত্র-পাত্রী খোঁজার সুবিধা দিয়ে আসছে বিবাহবিডি ডটকম।  ইতিমধ্যে যাঁদের প্রোফাইলের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে বা প্রোফাইল এখনো অসম্পূর্ণ অবস্থায় আছে, তাঁদের জন্য বিশেষ সুবিধা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিবাহবিডি।
১ থেকে ১০ জুনের মধ্যে প্রোফাইল সক্রিয় ও সম্পূর্ণ করলে ১০ দিনের জন্য বিনা মূল্যে বিবাহবিডির সুবিধা পাওয়া যাবে। পাশাপাশি মুঠোফোনে নোটিফিকেশন-সুবিধাও পাবেন তাঁরা।

দৈনিক প্রথম আলোঃ ০১-০৬-২০১৩ লিংক

ঐতিহাসিক রায়
বিবাহবহির্ভূত সন্তান সম্পত্তির উত্তরাধিকারী

গত বছরের ৩১ মার্চ একটি যুগান্তকারী রায় প্রদান করেছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। রিভানাসিদ্ধাপা ও অন্যান্য বনাম মালিক অর্জুন ও অন্যান্য ২০১১ মামলার রায়ে বলা হয়, ‘আইনগত বিবাহবহির্ভূত সন্তান বৈধ সন্তান হিসেবে গণ্য হবে এবং পিতামাতার অর্জিত ও পৈতৃক সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হবে।’ আপিল বিভাগের এ রায় পুনর্বিবেচনার জন্য সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ (বৃহত্তর বেঞ্চ) বরাবর মামলার নথিপত্র প্রেরণ করা হয়। যে ঘটনার প্রেক্ষাপটে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট এ রায় প্রদান করেন, তার সূত্রপাত ঘটে ভারতের কর্ণাটকে। মামলার বাদীপক্ষে ছিলেন মালিক অর্জুনের প্রথম স্ত্রী ও তাঁর দুই সন্তান আর বিবাদীপক্ষে ছিলেন মালিক অর্জুন, তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী ও দুই সন্তান। বাদীপক্ষ পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত যৌথ অংশীদারি সম্পত্তিতে তাদের অংশ দখলের দাবিতে কর্ণাটকের বিচারিক আদালতে বাটোয়ারা মামলা করে। মামলায় বাদীপক্ষ দাবি করে, তিনি বিবাদীর বৈধ স্ত্রী এবং তাঁর দুই সন্তানসহ বিবাদীর সঙ্গে অংশীদারি সম্পত্তির অংশীদার। সেই সঙ্গে তিনি আরো দাবি করেন যে বিবাদীর দ্বিতীয় বিবাহ অবৈধ। কারণ তাঁর প্রথম বিবাহ বর্তমান থাকা অবস্থায় দ্বিতীয় বিবাহ ও তাঁদের সন্তানের জন্ম হয়েছে, যার ফলে তারা অংশীদারি সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হবে না।

কর্ণাটকের বিচারিক আদালত বাদীর দাবির পক্ষে রায় প্রদান করে বলেন, বিবাদীর দ্বিতীয় স্ত্রী ও তাঁর সন্তানরা অবৈধ। কারণ প্রথম স্ত্রী বর্তমান থাকা অবস্থায় বিবাদী দ্বিতীয় বিবাহে আবদ্ধ হয়েছেন। ফলে বাদীপক্ষ দাবীকৃত সম্পত্তির অংশীদার এবং দ্বিতীয় স্ত্রী ও তাঁর সন্তানরা ওই সম্পত্তির অংশীদার নন। বিবাদীপক্ষ অর্থাৎ মালিক অর্জুন ও তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী ও দুই সন্তান ওই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করেন। উচ্চ আদালত বিচারিক আদালতের রায়ের বিপরীতে হিন্দু বিবাহ আইন ১৯৫৫-এর ১৬(৩) ধারা উল্লেখ করে বলেন, বিবাহবহির্ভূত সন্তান বৈধ সন্তান হিসেবে বাদীপক্ষের সঙ্গে যৌথ পারিবারিক সম্পত্তির অংশ দাবি করতে পারবেন। এ রায়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে বাদীপক্ষ অর্থাৎ মালিক অর্জুনের প্রথম স্ত্রী ও তাঁর সন্তানরা হাইকোর্ট বিভাগে প্রথম আপিল করেন। আপিলের রায়ে বলা হয়, যেহেতু দ্বিতীয় বিবাহ ও তাঁর সন্তানরা অবৈধ, সেহেতু অবৈধ সন্তানরা ‘জন্মসূত্রে’ যৌথ অংশীদারি সম্পত্তির অধিকারী নন। সন্তানরা শুধু পিতা-মাতার অর্জিত সম্পত্তির অধিকারী হবেন। আদালত সেই সঙ্গে আরো বলেন, বিবাদীর দ্বিতীয় পক্ষের সন্তানরা পিতার মৃত্যুর পর সম্পত্তির অংশীদার হবেন। ওই প্র্রেক্ষাপটে বিবাদীপক্ষ অর্থাৎ মালিক অর্জুনের দ্বিতীয় স্ত্রী ও তাঁর সন্তানরা আপিল বিভাগে বর্তমান দ্বিতীয় আপিলটি করেন। রায়ে বিচারক জি এস সিংভি ও এ কে গাঙ্গুলি ঘোষণা করেন, ‘আইনগত বিবাহবহির্ভূত সন্তান বৈধ সন্তান হিসেবে গণ্য হবেন এবং পিতা-মাতার অর্জিত ও পৈতৃক সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হবেন।’ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ (২ নম্বর আদালত) যেসব পর্যবেক্ষণ ও আইনের বিধানের পরিপ্রেক্ষিতে রায় প্রদান করেন তা হলো : পূর্ববর্তী আদালতগুলো হিন্দু বিবাহ আইনের ১৬(৩) ধারাকে অনেক সংকীর্ণ অর্থে দেখেছেন। ১৯৭৬ সালে হিন্দু বিবাহ আইনে ১৯৫৫-এর ১৬ ধারা সংশোধিত হয়। সংশোধিত ১৬(১) ও (২) ধারায় বিবাহবহির্ভূত সন্তানকে বৈধ সন্তানের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ১৬(৩) ধারায় উলি্লখিত ‘সম্পত্তি’ অর্জিত, না শরিক, না পৈতৃক সম্পত্তি তা পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা হয়নি। তাই ১৬(৩) ধারা অনুযায়ী সম্পত্তির অধিকারের ক্ষেত্রে বিবাহবহির্ভূত কোনো সন্তানের প্রতি বৈষম্য করা যাবে না। এর পরও এ ধারার একটি সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সংশোধিত ১৬ অনুযায়ী বিবাহবহির্ভূত সন্তান বৈধ সন্তানের মতো পিতা-মাতার জীবদ্দশায় পৈতৃক বা অংশীদারি সম্পত্তির অংশ দাবি করতে পারেন না। কেবল পিতার মৃত্যুর পর তা দাবি করতে পারেন।

রায়ে আদালত হিন্দু বিবাহ আইন সংশোধনের দর্শনগত দিকটিও ব্যাখ্যা করেন। তাতে বলা হয়, সমাজে অতীতে যা অবৈধ ছিল বর্তমানে তা বৈধ হতেও পারে। কারণ সামাজিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে বৈধতার ধারণা এগিয়ে যায়। আর আইনের কাজ হচ্ছে সমাজের এই পরিবর্তনগুলো সংশোধনের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্ত করা। এ ক্ষেত্রেও বলা যায়, পিতা-মাতার সম্পর্ক আইন দ্বারা অনুমোদিত নাও হতে পারে, কিন্তু সন্তানের জন্মকে পিতা-মাতার স্বাধীন সম্পর্কের ভিত্তিতে দেখতে হবে এবং এ ধরনের সম্পর্কের ভিত্তিতে জন্মগ্রহণকারী সন্তান বৈধ সন্তানের মতো অধিকার ভোগ করবে। পাশাপাশি ভারতের সংবিধানের প্রস্তাবনায় বলা আছে, প্রত্যেক ব্যক্তি মর্যাদা, অবস্থান ও সুযোগের ক্ষেত্রে সমান অধিকার পাবে। সংবিধানের ৩৭ নম্বর অনুচ্ছেদে আরো বলা আছে, রাষ্ট্র কর্তৃক আইন তৈরির সময় সংবিধানে উলি্লখিত রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিকে স্বীকৃতি দিতে হবে। ৩৯(ঙ) ও ৩০০(ক) অনুচ্ছেদে বলা আছে, আইন দ্বারা কোনো ব্যক্তিকে সম্পত্তির অধিকারবঞ্চিত করা যাবে না। সুত্রঃ কালের কন্ঠ

তালাক, একে-অপরের বিরুদ্ধে মামলা ও তার ফলাফল

আইনের ভাষায় তালাক হচ্ছে ‘বিবাহ বন্ধন ছিন্ন করা অর্থাৎ স্বামী স্ত্রীর পারস্পরিক সম্পর্ক যদি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, একত্রে বসবাস করা উভয়ের পক্ষেই বা যে কোন এক পক্ষের সম্ভব হয় না, সেক্ষেত্রে তারা নির্দিষ্ট উপায়ে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে পারে।’

সুমির (ছদ্ম নাম) দাম্পত্য জীবনে এমনটিই ঘটেছিল। অবশেষে তিনি তার স্বামীকে তালাক প্রদান করেন। কাবিননামার ১৮ নম্বর ঘরে স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে তালাক প্রদানের ক্ষমতা দেওয়া ছিল। সেই অধিকারের ভিত্তিতে সুমী স্থানীয় কাজি অফিস থেকে তালাকের যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষ করে তালাকনামা স্বামীর বরাবর পাঠিয়ে দেন। কিন্তু স্বামীর বসবাসরত স্থানীয় চেয়ারম্যান অফিসে পাঠানো হয়নি কোনো তালাকের কপি। সুমীর এ বিষয়টি জানা ছিল না। স্থানীয় কাজি অফিস থেকেও পাঠানো হয়নি কোনো কপি।

কিন্তু আইন অনুযায়ী স্বামী বা স্ত্রী যে কেউ একে অপরকে তালাক দিতে চাইলে তাকে যে কোন পদ্ধতির তালাক ঘোষণার পর যথাশীঘ্রই সম্ভব স্থানীয় ইউপি/পৌর/সিটি মেয়রকে লিখিতভাবে তালাকের নোটিশ দিতে হবে এবং তালাক গ্রহীতাকে উক্ত নোটিশের নকল প্রদান করতে হবে। চেয়ারম্যান/মেয়র নোটিশ প্রাপ্তির তারিখ হতে নব্বই দিন অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত কোনো তালাক বলবৎ হবে না। কারন নোটিশ প্রাপ্তির ত্রিশ দিনের মধ্যে চেয়ারম্যান/মেয়র সংশ্লিষ্ট পক্ষদ্বয়ের মধ্যে আপোষ বা সমঝোতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে সালিশী পরিষদ গঠন করবে এবং উক্ত সালিশী পরিষদ এ জাতীয় সমঝোতার (পুনর্মিলনের) জন্য প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থাই  অবলম্বন করবে।

সুমী তালাকনামায় যেদিন স্বাক্ষর করেন, সেদিন থেকে পার হয়ে যায় দুই মাস। এর মানে ৯০ দিন ইদ্দতকাল পালন হতে হলে আর মাত্র এক মাস অপেক্ষা করতে হবে। সুমীর স্বামী আইনি দুর্বলতার সুযোগে এরই মধ্যে সুমীকে তার কাছে ফিরে পেতে পারিবারিক আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলাটির নাম দাম্পত্য অধিকার পুনরুদ্ধার মামলা। এই মূল মামলাটি করার এক সপ্তাহ পর সুমীর স্বামী একই আদালতে একটি অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন এই মর্মে যে, সুমী যাতে অন্য কোথাও বিয়ে না করতে পারেন। এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত সুমী ও তার বাবাকে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আপত্তি দাখিলের জন্য ১০ দিনের সময় দিয়ে তাদের ঠিকানায়  সমন পাঠিয়ে দেয়।

সমন হাতে পেয়ে সুমীর চেহারায় দুশ্চিন্তা আর অস্থিরতার ছাপ স্পষ্ট হয়ে উঠে। তার বাবাও হয়ে পড়ে বিধ্বস্ত। কারন এক মাসে দুটি সমন তারা পান। একটি দাম্পত্য অধিকার পুনরুদ্ধার মামলার লিখিত জবাব দাখিলের জন্য, আরেকটি অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আপত্তি দাখিলের জন্য।

দাম্পত্য অধিকার পুনরুদ্ধার মামলায় বিবাদী করা হয়েছে তিনজনকে। প্রথম বিবাদী সুমীর বাবা, দ্বিতীয় বিবাদী তার মা এবং তৃতীয় বিবাদী সুমী নিজে। আরজিতে সুমীর স্বামীর অভিযোগ, তাঁর স্ত্রীকে জোর করে তালাক দিতে বাধ্য করেছেন তার বাবা। এখন তিনি তাকে নিয়ে ঘর করতে চান। কিন্তু সুমীর ভাষায়, তার স্বামী দুশ্চরিত্রের লোক। নানাভাবে অত্যাচার করত। বাইরে মদ আর নারী নিয়ে ব্যস্ত থাকত। জুয়া খেলত। স্ত্রী আর তার মেয়ের প্রতি কোনো খেয়াল রাখত না। এমন পাষণ্ড আর নির্দয় লোকের সঙ্গে ঘর করার চেয়ে একা থাকা ভালো-এই সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে বাধ্য হয়ে তাকে তাকে তালাক দিই।

সুমী যাতে অন্য কোথাও বিয়ে না করতে পারেন এই অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদনে সুমীর স্বামীর অভিযোগ ‘বিবাদীগণ পরস্পর যোগসাজশে অন্যায় ও বেআইনিভাবে ৩ নম্বর বিবাদীকে অর্থাৎ তার স্ত্রীকে ইদ্দতকালীন সময়ের মধ্যেই অন্যত্র পুনঃবিবাহ দেওয়ার জোর অপতৎপরতায় লিপ্ত হইয়া জনৈক চাকুরীজীবী পাত্র নির্বাচন করিয়া ফেলিয়াছেন এবং যেকোন সময় তার স্ত্রীকে উক্ত পাত্রের সহিত বেআইনীভাবে পুনঃবিবাহ সংঘটন করিতে পারেন।’

কিন্তু আইনের প্রশ্ন হচ্ছে, পারিবারিক আদালতে দাম্পত্য অধিকার পুনরুদ্ধার মামলায় অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন চলে কি না। মকবুল মাজেদ বনাম সুফিয়া খাতুন মামলায় (৪০ ডিএলআর ৩০৫, এইচসিডি) মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের সিদ্ধান্ত এরকম যে, ১৯৮৫ সালে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জের সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা হয়। পারিবারিক আদালতের অধ্যাদেশে করা সর্বপ্রথম মামলাটিতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি উত্থাপিত হয়। এতে স্বামী তাঁর স্ত্রীর দ্বিতীয় বিয়ের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা প্রার্থনা করে। আদালত নিষেধাজ্ঞার আবেদন অগ্রাহ্য করেন। পরে জেলা জজ আদালতে আপিল করা হলে আপিল নামঞ্জুর হয়। পরে হাইকোর্ট বিভাগে রিভিশন করা হয়। হাইকোর্ট বিভাগ তার রায়ে বলেন, ‘পারিবারিক আদালত অধ্যাদেশে ২০ ধারা অনুযায়ী দেওয়ানি কার্যবিধির ধারা প্রয়োগ যোগ্য নয়।

অবশেষে সুমীর স্বামীর দায়ের করা মামলাটির শুনানি হলো। আদালত আদেশ দিলেন, ‘ইদ্দতকাল পর্যন্ত অর্থাৎ ৯০ দিন অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত স্ত্রী অন্যত্র বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হইতে পারিবে না এ মর্মে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা মঞ্জুর।’  সাধারণত আইন অনুযায়ী তালাকের নোটিশ প্রেরণের পর ইদ্দতকাল পর্যন্ত, অর্থাৎ ৯০ দিন অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত তালাক কার্যকর হয় না। এ সময় অন্যত্র বিয়ে করার ক্ষেত্রে আইনে নিষেধ আছে। আদালত ইদ্দতকাল পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা দিয়ে এ আইনের কার্যকারিতা আরও পাকাপোক্ত করলেন।

এখানে প্রশ্ন উঠতে পারে তাহলে মূল মামলাটির অর্থাৎ দাম্পত্য অধিকার পুনরুদ্ধার মামলাটির কী হবে?’  সহজেই বলা যায়, মূল মামলার জবাব দিতে হবে। মামলায় লড়তে হবে। শুনানিতে সুমী আদালতে উপস্থিত হয়ে বললেন, কাবিননামার ১৮ নম্বর ঘরে তার তালাক প্রদানের ক্ষমতা দেওয়া আছে। তিনি স্বেচ্ছায় এবং স্বজ্ঞানে তার স্বামীকে তালাক দিয়েছেন। আর তিনি তার স্বামীর ঘর করতে চান না। বিজ্ঞ আদালত ওই দিনই মামলাটি খারিজ করে দিলেন। আইনত সুমীর মেয়েটি সাবালিকা হওয়া পর্যন্ত মায়ের হেফাজতেই থাকবে।

১৯৩৯ সালের মুসলিম বিবাহ বিচ্ছেদ আইনে অত্যন্ত— সুষ্পষ্টভাবে বলা হয়েছে কি কি কারণে একজন স্ত্রী আদালতে বিয়ে বিচ্ছেদের আবেদন করতে পারবে।

কারণগুলো হলোঃ

১. চার বছর পর্যন্ত স্বামী নিরুদ্দেশ থাকলে।
২. দুই বৎসর স্বামী স্ত্রীর খোরপোষ দিতে ব্যর্থ হলে।
৩. স্বামীর সাত বৎসর কিংবা তার চেয়েও বেশী কারাদ- হলে।
৪. স্বামী কোন যুক্তিসংগত কারণ ব্যতিত তিন বছর যাবৎ দাম্পত্য দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে।
৫. বিয়ের সময় পুরষত্বহীন থাকলে এবং তা মামলা দায়ের করা পর্যন্ত বজায় থাকলে।
৬. স্বামী দুই বৎসর ধরে পাগল থাকলে অথবা কুষ্ঠ ব্যাধিতে বা মারাত্মক যৌন ব্যধিতে আক্রান্ত থাকলে।
৭. বিবাহ অস্বীকার করলে। কোন মেয়ের বাবা বা অভিভাবক যদি ১৮ বছর বয়স হওয়ার আগে মেয়ের বিয়ে দেন, তাহলে মেয়েটি ১৯ বছর হওয়ার আগে বিয়ে অস্বীকার করে বিয়ে ভেঙ্গে দিতে পারে, তবে যদি মেয়েটির স্বামীর সঙ্গে দাম্পত্য সর্ম্পক (সহবাস) স্থাপিত না হয়ে থাকে তখনি কোন বিয়ে অস্বীকার করে আদালতে বিচ্ছেদের ডিক্রি চাইতে পারে।
৮. স্বামী ১৯৬১ সনের মুসলিম পারিবারিক আইনের বিধান লংঘন করে একাধিক স্ত্রী গ্রহণ করলে।
৯. স্বামীর নিষ্ঠুরতার কারণে।

উপরে যে কোন এক বা একাধিক কারণে স্ত্রী আদালতে বিয়ে বিচ্ছেদের আবেদন করতে পারে। অভিযোগ প্রমাণের দায়িত্ব স্ত্রীর। প্রমাণিত হলে স্ত্রী বিচ্ছেদের পক্ষে ডিক্রি পেতে পারে, আদালত বিচ্ছেদের ডিক্রি দেবার পর সাত দিনের মধ্যে একটি সত্যায়িত কপি আদালতের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানের কাছে পাঠাবে।

১৯৬১ সনের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ অনুযায়ী চেয়ারম্যান নোটিশকে তালাক সংক্রান্ত নোটিশ হিসেবে গণ্য করে আইনানুযায়ী পদক্ষেপ নিবে এবং চেয়ারম্যান যেদিন নোটিশ পাবে সে দিন থেকে ঠিক নব্বই দিন পর তালাক চূড়ান্তভাবে কার্যকর হবে।

স্বামীর আদালত স্বীকৃত নিষ্ঠুর ব্যবহার সমূহ

ক) অভ্যাসগতভাবে স্ত্রীকে আঘাত করলে বা নিষ্ঠুর আচরণ করলে, উক্ত আচরণ দৈহিক পীড়নের পর্যায়ে না পড়লেও, তার জীবন শোচনীয় করে তুলেছে এমন হলে।
খ) স্বামী খারাপ মেয়ের সাথে জীবনযাপন করলে।
গ) স্ত্রীকে অনৈতিক জীবনযাপনে বাধ্য করলে।
ঘ) স্ত্রীর সম্পত্তি নষ্ট করলে।
ঙ) স্ত্রীকে ধর্মপালনে বাধা দিলে।
চ) একাধিক স্ত্রী থাকলে সকলের সাথে সমান ব্যবহার না করলে।
ছ) এছাড়া অন্য যে কোন কারণে (যে সকল কারণে মুসলিম আইনে বিয়ের চুক্তি ভঙ্গ করা হয়)।

লেখকঃ সাপ্তাহিক ‘সময়ের দিগন্ত’ পত্রিকার প্রকাশক-সম্পাদক ও আইনজীবী জজ কোর্ট, কুষ্টিয়া।

লিখেছেনঃ অ্যাডভোকেট সিরাজ প্রামাণিক

ব্যাঙের বিয়ে

ব্যাঙ্গা ব্যাঙ্গির বিয়া কুলা মাথায় দিয়া ও ব্যাঙ্গ পানি আন গিয়া /খালও নাই পানি, বিলও নাই পানি/ আসমান ভাইঙ্গা পড়ে ফোটা ফোটা পানি/ আম পাতা দিয়া দিলাম ছানি জাম পাতা দিয়া দিলাম ছানি/ তেও (তবু) পড়ে মেঘের (বৃষ্টির) পানি……. গানটি সুর করে গাইছেন কিশোরী ও মহিলারা। বাড়িটিতে উৎসবের আমেজ। গ্রামের নানা বয়সী লোকজনের ভিড়, বাড়ির এক পাশে চলছে রান্না-বান্না। ছেলেমেয়েরা ছোটাছুটি করছে। পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়া লোকজনও বাড়িটিতে কী হচ্ছে এক নজর দেখতে ভিড় জমাচ্ছে।

হাওর পারের জামলাবাজ গ্রামে গিয়ে এ দৃশ্য দেখা যায়। কী হচ্ছে_এমন প্রশ্নের উত্তরে জানা গেল গ্রামের নির্মল সরকারের বাড়িতে ব্যাঙের বিয়ে হচ্ছে। বাড়িতে রান্না হচ্ছে, গ্রামবাসী ও অতিথিদের জন্য। ব্যাঙের বিয়ে দিলে বৃষ্টি হয় এ বিশ্বাস থেকেই এমন আয়োজন। সাজানো হয়েছে বিয়ের আসর। মাঝখানে দুটি গর্তে আলাদাভাবে রাখা হয়েছে একটি নারী ও একটি পুরুষ ব্যাঙ। সেখানে আম পাতা ও জাম পাতার পানি দিয়ে গোসল করিয়ে বিয়ে দেওয়া হলো ব্যাঙ দুটিকে। পুরুষ ব্যাঙের অভিভাবক ছিলেন রোকেয়া বেগম (৪২) এবং নারী ব্যাঙের অভিভাবক মালা রানী দাশ (৩৫)।

কবে থেকে এ ধরনের বিয়ের সংস্কৃতি চলে আসছে এ বিষয়ে কেউই সুনির্দিষ্টভাবে বলতে পারেনি। তবে জানা যায় , বহুকাল ধরেই মাঘ ও ফাল্গুন মাসে বৃষ্টি না হলে হাওরপারের গ্রামগুলোতে ব্যাঙের বিয়ে দেওয়া হয়। কারণ এ সময় হাওরের বুকজুড়ে থাকে ধান আর ধান। হাওরপারের গ্রামবাসীর ধারণা ব্যাঙের বিয়ে হলে বৃষ্টি হবে এবং তাদের ধান উৎপাদন ভালো হবে। বিয়ে দেখতে আসা মধ্য তাহিরপুর গ্রামের আব্দুর রহিম (৯৮) জানান, তিনি ছোটবেলা থেকেই ব্যাঙের বিয়ে দেখে আসছেন এবং মেয়েদের সঙ্গে তাঁরাও তখন এতে অংশ নিতেন। এখন বৃষ্টি হলে হাওরে লাগানো ধানের উৎপাদন ভালো হবে। হাওরাঞ্চলে প্রচলিত অনেক সংস্কৃতি হারিয়ে গেলেও বৃষ্টির জন্য ব্যাঙের বিয়ে অনুষ্ঠানটি এখনো টিকে আছে।

প্রচণ্ড তাপদাহে পুড়ছে গাইবান্ধার মাঠ-ঘাট। ভরা বর্ষাকালেও বৃষ্টির দেখা নেই। ফেটে চৌচির শস্য ক্ষেত। কৃষক বাবার বিষন্ন মুখ দেখে কিশোর-কিশোরীরা আয়োজন করে ব্যাঙের বিয়ের। তাদের বিশ্বাস ব্যাঙের বিয়ে দিলেই বৃষ্টি নামবে অঝোর ধারায়। ক্ষেত জুড়ে ফলবে শস্য। গাইবান্ধার মেঘডুমুর গ্রামে এই বিয়েকে ঘিরে শুরু হয় উৎসর আমেজ। লাল নীল কাগজে সাজানো চারদিক। গায়ে হলুদের আয়োজনে যেতে ব্যস্ত কিশোরীরা। হলুদ শাড়ি, সাজগোজ সবই চলছে। কলাগাছ পুঁতে তৈরি বিয়ের আসর। প্রদীপ থেকে শুরু করে পান, সুপারী, দূর্বা ঘাস, মিষ্টিসহ বিয়ের সব উপকরণই প্রস্তুত।

বৃষ্টির আশায় ব্যাঙের বিয়ে ভারতীয় উপমহাদেশে গ্রামীণ সমাজের এক প্রাচীন রীতি। সেই রীতিতেই আগের দিন ধরে রাখা দু’টি ব্যাঙকে রং লাগিয়ে সাজানো হয়। ব্যাঙ ও বৃষ্টির ছড়া কেটে দেয়া হয় বিয়ে । সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকেলে পকুরে ছেড়ে দেয়া হয় নব দম্পতিকে। ব্যাঙ দম্পতি জলাশয়ে সাঁতার কাটে, আর তীরে বসে কিশোর কিশোরীরা ভাবে এবার বৃষ্টি হবে।  বিয়ের দিন, তার পরও ওদের মধ্যে দেখা যায়নি কোনো উত্তেজনা! কিন্তু গ্রামের সবাই উৎসুক হয়েই হাজির হয়েছিল বিয়েতে। রীতিমাফিক পূজা-অর্চনাও হয়েছে। ভারতের টাকহাটপুর গ্রামের বাসিন্দারা বিয়েতে বর-কনের সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য নয়, প্রার্থনা করেছেন বৃষ্টির জন্য! বিয়ের পাত্র-পাত্রী দুটি কোলা ব্যাঙ!

সম্প্রতি বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গে একটি এলাকায় ২৫০ মানুষ মিলে দিয়েছে ব্যাঙের বিয়ে৷ কারণ তারা ধরণীতে চায় বৃষ্টির ছোঁয়া৷ বিয়ের ‘‘বর-কনে”কে আনা হয়েছে ঢাকা থেকে ১১০ কিলোমিটার দূরের একটি গ্রাম থেকে৷ গ্রামবাসীরা এই বিয়ের ব্যবস্থা করেছিলো৷কারণ অনেকদিন ধরে সে অঞ্চলে বৃষ্টি না হওয়ায় পানির স্বল্পতা দেখা দিয়েছিলো৷সে গ্রামের স্কুল শিক্ষক নূর মোহাম্মদ জানান ‘‘তিনি ঐ বিয়ের অনুষ্ঠানে একজন অতিথি ছিলেন৷ ছেলে-বুড়ো, নারী সব মিলে সেখানে ২৫০ মানুষ অংশগ্রহণ করে৷ তারা সেখানে নাচে-গানে মুখর হয়ে উৎসবে মেতে উঠেছিলো৷ অতিথিদের ভাত-ডাল, মাছ, গরুর মাংস এবং মিঠাই দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়৷ ‘‘বর-কনে” এক ধরনের বিশেষ বিয়ের পোশাক পরেছিল৷ গ্রামবাসী সবাই মিলে তাদের আশীর্বাদ জানিয়েছে৷ তারপর ‘‘বর-কনে”কে ছেড়ে দিয়েছে পাশের একটি পুকুরে”৷ তিনি আরো জানান, ‘‘সেদিন রাতে সে অঞ্চলে বৃষ্টি হয়েছে৷ তাঁর বিশ্বাস এই বৃষ্টি সেই বিয়ের কারণেই হয়েছে”৷ ছড়া কবিতায় ব্যাঙের বিয়ের কথা শোনা থাকলেও বাস্তবে এমন বিয়ের কথা অবশ্য প্রথমবারের মতোই জানা গেল৷

বিচ্ছেদের পর কী হয় বিয়ের আংটি?

বিয়ের বন্ধনে আংটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সোনা বা রুপা যা দিয়েই তৈরি হোক না কেন, শোভা হিসেবে এতে হীরা বা স্ফটিক পাথর যা-ই থাক না কেন, দুটি হূদয়ের বিনি সুতোর বন্ধনের তাত্পর্য তুলে ধরে এই আংটি। বিবাহিত জীবনে স্বামী-স্ত্রীর কাছে এই আংটির মাহাত্ম্য ও আদর থাকে জীবন ভর। এই আংটিকে জড়িয়ে থাকে অনেক মধুর স্মৃতি। তবে কখনো যদি কোনো কারণে দাম্পত্য জীবনের পাট চুকে যায়, তখন বাগদান বা বাসর রাতের অনেক আকাঙ্ক্ষার এই আংটি হয়ে যায় বেদনার স্মৃতি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা হয়ে যায় নিতান্ত এক অকিঞ্চিত্কর জিনিস।

হলিউড তারকা টম ক্রুজ ও কেটি হোমসের কথাই ধরা যাক। ধুমধাম করে বিয়ের বন্ধনে জড়ান তাঁরা। মেয়ে সুরিকে নিয়ে বেশ সুখে কাটছিল তাঁদের দিন। এখন সবই অতীত। সম্প্রতি হঠাত্ বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন কেটি হোমস। দূরে থাকা টম ক্রুজ ওই সিদ্ধান্তে বেশ অবাক হন। কিন্তু কিছুতে আর জোড়া লাগেনি সেই সংসার। কেটি হোমস যে বেশ ক্ষুব্ধ হয়ে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, এর প্রমাণ মিলল বিচ্ছেদের পর। বিয়ের সেই আংটি ছাড়া ঘুরতে শুরু করেন তিনি। তাঁর এই আচরণের মধ্যে এমন একটা ব্যাপার ছিল—দেখো, তোমাকে ছাড়াই আমি ভালো থাকতে পারি।

এবার শোনা যাক বিখ্যাত গায়ক সিল ও হেইডি কুম দম্পতির কথা। বিচ্ছেদ ঘোষণার পর টেলিভিশন সাক্ষাত্কারে সিল বলেছিলেন, তাঁর জীবনে সাবেক স্ত্রী হেইডি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। হেইডিকে যে তিনি মনে রেখেছেন, এর স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে আংটিটি অনামিকায় রেখে দেন। এক মাস পরই দেখা গেল, সিল ও হেইডি বিয়ের আংটি খুলে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আবেগের বশে তাঁরা কী পণ করেছিলেন, তা আর কারও মাথায় নেই। বিচ্ছেদের সঙ্গে বিয়ের আংটি অনামিকায় পরা বা না পরায় কী এমন আসে যায়?—এই প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গিয়ে নানা জনের নানা মত নিয়ে বিবিসি অনলাইনে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিবেদনে মাত্র ৩০ বছর বয়সে বিয়ে বিচ্ছেদ হওয়া ভার্জিনিয়া আয়রনসাইডের জীবনের গল্প তুলে ধরা হয়। বিয়ে বিচ্ছেদের পরও তিনি দীর্ঘদিন অনামিকায় ধারণ করেন বিয়ের আংটি। তাঁর ভাষায়, ‘আমি দ্রুত আমার নিজের সত্তায় ফিরে এসেছিলাম। তবে আংটিটি অনামিকায় ছিল। কারণ তা বেশ সুন্দর আর আমার হাতে বেশ মানিয়েছিল।’ তবে আংটিটি হারিয়ে গেলে বেশ কষ্ট পেয়েছিলেন ভার্জিনিয়া। এই কষ্ট সাবেক স্বামীর স্মৃতি হারিয়ে গেছে বলে নয়; বরং অনেক দিন ধরে আঙুলে পরে থাকা প্রিয় জিনিসটি আর নেই বলেই হয়েছিল। বিয়ে বিচ্ছেদের পর অনামিকায় আংটি পরে থাকার সঙ্গে মনস্তাত্ত্বিক একটি ব্যাপার আছে বলে মনে করেন ভার্জিনিয়া। তাঁর মতে, এই আংটি পরে থাকা বা না থাকার মাধ্যমে আপনি ভবিষ্যত্ জীবন নিয়ে একটি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। আপনি অন্য কারও সঙ্গে নতুন করে জীবন সাজাবেন, নাকি একা একাই জীবনের বাকি পথ পাড়ি দেবেন—সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হয়।

অনেকে মনে করেন, বিয়ে বিচ্ছেদের পর বিয়ের আংটি হাতে পরে থাকলে পুরোনো দিনের স্মৃতি মনে ভর করে। তখন আর নতুন করে জীবন নিয়ে ভাবার ইচ্ছা মানুষের হয় না। বরং স্মৃতিগুলো নিয়ে বেঁচে থাকার মধ্যেই মানুষ এক ধরনের তৃপ্তি পায়। আবার অনেকে অনামিকায় আংটি রাখার পক্ষে নন। তাঁরা নতুন করে জীবনটাকে সাজাতে চান। সে ক্ষেত্রে পুরোনো স্মৃতি তাঁরা রাখতে চান না, পাছে পুরোনো কথা মনে পড়ে যায়! অনেক নারী বিচ্ছেদের পরও তিনি যে স্বাভাবিক জীবনযাপন করছেন, তা সন্তানদের বোঝানোর জন্য অনামিকায় সাবেক স্বামীর দেওয়া আংটিটি পরে থাকেন। মানব-মানবীর সম্পর্ক নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন জুডি জেমস। তাঁর মতে, তারকারা বিচ্ছেদের পর বিয়ের আংটি নিয়ে এক ধরনের লুকোচুরি খেলায় মাতেন। আংটিটি না পরে কেউ কেউ বোঝাতে চান, তিনি আর তাঁর অতীতের সঙ্গে নেই, এখন এগিয়ে যেতে চান শুধু সামনে। অনেক তারকা এই প্রত্যাশা নিয়ে আংটিটি দ্রুত খুলে ফেলেন, সামনের দিনগুলোতে হয়তো আরও ভালো কোনো জীবনসঙ্গী জুটবে।

জুডির মতে, অনেকে বিচ্ছেদের পরও আংটি অনামিকায় পরে থাকেন। কারণ তাঁরা অন্যকে জানাতে চান না আসলে তাঁর জীবনে কী হয়ে গেছে। আবার অনেকে বিষয়টিকে ফেসবুকে স্ট্যাটাস আপডেট করার মতো হালকা মনে করে। এই শ্রেণীর মানুষের কাছে ব্যাপারটা খুব হালকা। বিচ্ছেদের পর আংটি খুলে তাঁরা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ফেলেন যে তিনি ‘সিঙ্গেল’। মানুষ এখন তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপারকে আর ব্যক্তিগত রাখতে চায় না বলেই এমন আচরণ করেন বলে তিনি মন্তব্য করেন।

হাবিব আলভিরাজ বিউটি কেয়ার

ঠিকানা, অবস্থান ও যোগাযোগঃ

হাউজ নং ৪১(২য় তলা), রোড নং ২৭ পুরাতন, ১৬নতুন, ধানমন্ডি আর/এ, ঢাকা-১২০৯।
এই পার্লারের নীচতলায় রেনেসাঁ ডেভেলপমেন্ট লিঃ, উপরে আলভিরাজ বিউটি কেয়ার এর মহিলাদের শাখা।
ফোন- ৯১৩০২৬৮ ও মোবাইল- ০১৭১৩৩৯৭৩২৭।

সেবা সমূহঃ

হেয়ার কাটিং
বড়দের – ১৫০ টাকা।
বাচ্চাদের – ২০০ টাকা।
হেয়ার কাট + কন্ডিশনার ওয়াশ- ২০০টাকা।
হেয়ার কাট + সেটিং- ২০০ টাকা।
স্টাইলিশ হেয়ার কাটঃ-
ক্যাটালগ/ ফ্যাশন কাট এবং ডিজাইন- ৩০০ টাকা এবং তদূর্ধ্ব।
উইগ সেটিং + টিমিং- ৩০০ এবং তদূর্ধ্ব।
বলড- বড়দের – ১৫০ টাকা।
বলড- বাচ্চাদের- ৩০০ টাকা।
বেয়ার্ড টিমিং (নরমাল)- ১০০ টাকা।
শেভ ( জেল/ফোম)- ১০০ টাকা।

হেয়ার সেটিং

হেয়ার স্ট্রেইটেনিং (৩ মাসের জন্য)
রিবন্ডিং
পার্ম ( হাফ/ ফুল)
ব্লো ড্রাই
হেয়ার আয়রন

ফ্যাশন কালারস

ফ্যাশন কালার -১২০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা।
হেয়ার কালার ন্যাচারাল ব্লাক- ১০০০ টাকা।
হাইলাইট (সিঙ্গেল কালার)-১০০০ টাকা থেকে ১৪০০ টাকা পর্যন্ত।
হাইলাইট ( দুই বা তার বেশি কালার)- ১৮০০ টাকা থেকে ২২০০ টাকা পর্যন্ত।
অস্থায়ী কালার ( এক বা দুই কালার) – ৩০০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকা পর্যন্ত।
শুধু কালার অ্যাপ্লাই ( সার্ভিস চার্জ)+ শ্যাম্পু- ৫০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত।
কালার টিন্ট হেনা- ৪৫০ টাকা।

হেয়ার ডাই এবং অন্যান্য

লরেল কালো- ৭০০ টাকা।
রেভলন- ৭০০ টাকা।
হাই স্পিডী- ৮০০ টাকা।
শুধু ডাই অ্যাপ্লাই (সার্ভিস চার্জ) + শ্যাম্পু- ৪০০ টাকা।
বেয়ার্ড/ চেষ্ট- ২০০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত।

হেয়ার ওয়াশ (শ্যাম্পু)

সানসিল্ক/ অল ক্লিয়ার
সেলসান
হেড এন্ড সোল্ডার/ পেনটিন/ ভিটামিন
হারবাল শ্যাম্পু
কন্ডিশনার ওয়াশ
হেয়ার কেয়ার এবং ট্রিটমেন্ট
হেয়ার স্পা
রিবন্ডিং হেয়ারের ট্রিটমেন্ট
হেয়ার সাইন
ড্রাই/ ড্যামেজড হেয়ার ট্রিটমেন্ট (উইথ ওভেন)
প্রবেমেটিক
ফ্রুট প্যাক
প্রোটিন ট্রিটমেন্ট
ডীপ কন্ডিশনার ট্রিটমেন্ট
ওজোন থেরাপি উইথ প্যাক

বডি ম্যাসাজ

বডি ম্যাসাজ (২০মিনিট)- ৪০০ টাকা।
ট্র্যাডিশনাল বডি ম্যাসাজ (১ ঘন্টা)
ওয়েল/ ক্রীম- ৯০০ টাকা।
ওলিভ ওয়েল- ১০০০ টাকা।
বেবী ওয়েল- ১১০০টাকা।
এ্যারোমা ওয়েল- ১৩০০ টাকা।
ব্যাক ম্যাসাজ ( ৩০ মিনিট)- ৬০০ টাকা।
থাই ম্যাসাজ- ১৩০০ টাকা।

স্কিন কেয়ার সার্ভিস:

ফেস ওয়াশ উইথ ক্লিনজার বা টোনার
ফেস ম্যাসাজ উইথ হারবাল ফিস
ফেস স্ক্র্যাব
ব্ল্যাক হেডস রিমুভিং
ফেসিয়াল
আলভিরাজ স্পেশাল (তৈলাক্ত ও স্বাভাবিক ত্বক)-৭০০ টাকা।
আলভিরাজ ফ্লাওয়ার ফেসিয়াল (নরমাল এবং সেনসিটিভ ত্বক)- ৮৫০ টাকা।
পিমপল ট্রিটমেন্ট (১২ সপ্তাহে) – ৭০০ টাকা।

ফেসিয়াল

পিগমেনটেশন (১২ সপ্তাহ, প্রত্যেক সেটিং)- ৯৫০ টাকা।
থার্মো হার্ব- ১১০০ টাকা।
গ্যালভানিক ফেসিয়াল- ১২০০ টাকা।
গোল্ড ফেসিয়াল- ১৬০০ টাকা।
পার্ল ফেসিয়াল- ১৬০০ টাকা।
হোয়াইটেনিং ফেসিয়াল- ১৭০০ টাকা।
ভেজিটেবল পিল- ৯৫০ টাকা।
ট্যাটু – ৫০ ও তার থেকে বেশী
মেহেদী ট্যাটু- ১০০ টাকা।

কান ফোড়ানো (প্রত্যেক কান) উইথ গান – ৪০০ টাকা।
আইভ্রু ফোড়ানো- (প্রত্যেক ফোড়ানো) উইথ গান- ৪৫০ টাকা।

ট্যাটু করানোর জন্য আগে থেকে বুকিং দিতে হয়। অতঃপর পার্লারের পক্ষ থেকে সময় ও দিন জানিয়ে দেওয়া হয়।

ওয়েডিং প্যাকেজ

প্রথম দিন – প্যাকেজ- ১, ৪১৬৫ টাকা।
প্যাকেজ – ২, ২৭২০ টাকা।
দ্বিতীয় দিন – ১৮০০ টাকা।

খোলা-বন্ধের সময়সূচী

এই পার্লারের কোন সাপ্তাহিক বন্ধ নেই। সপ্তাহের প্রতি দিনই সকাল ১০.০০ টা থেকে রাত ৯.০০টা পর্যন্ত খোলা থাকে।

শীতাতপ ব্যবস্থা

এই পার্লারের অভ্যন্তরে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা রয়েছে।

বিদ্যুৎ ব্যবস্থা

এখানে বিকল্প বিদ্যুৎ ব্যবস্থা হিসেবে জেনারেটর রয়েছে। তবে জেনারেটরের সাহায্যে এসি চালানো হয় না।

বিশেষ সুবিধা

ওয়েটিং টাইম কাটানোর জন্য রয়েছে ম্যাগাজিন, দৈনিক পত্রিকা, টেলিভিশন। এমনকি কফি পান করার ব্যবস্থা রয়েছে।

ফোনে কল করে অগ্রিম বুকিং দেওয়া যায়। অগ্রিম বুকিং এর জন্য কোন চার্জ প্রযোজ্য নয়।

বিদেশী বিউটি এক্সপার্ট হাবিব এখানে আসেন। তার কাছে হেয়ার কার্ট করতে চাইলে আগে বুকিং দিতে হয় এবং পরের দিন পার্লারের পক্ষ থেকে এসএমএস এর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়। এই বিখ্যাত এক্সপার্টের কাছে হেয়ার কাটের চার্জ ৩,০০০ টাকা। তবে বিউটি টিপসের জন্য কোন চার্জ দিতে হয় না। এখানে বাচ্চাদের সেবার ব্যবস্থা আছে।

অন্যান্য

এই পার্লারে হোম সার্ভিস এর কোন ব্যবস্থা নেই।
এখানে গ্রাহকদের কাছে বিক্রির জন্য কোন পণ্য বা প্রসাধনী রাখা হয় না।