কর্ণফুলী গার্ডেন সিটি, কাকরাইল

কর্ণফুলী গার্ডেন সিটি, কাকরাইল

 

কাকরাইল রোড, ঢাকা।১৯৯৮ ইং সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। শপিং মলটি আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন, ক্যাপসুল লিফট, নিজস্ব স্ট্যান্ডবাই জেনারেটর সুবিধাসহ শীতাতপ নিয়ন্ত্রীত এবং টাইলস সজ্জিত নতুন ভবনে অবস্থিত। এখানে মোট দোকান সংখ্যা ৩০০ টি। মালিক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক শপিং মলটি পরিচালিত হয়।

 লোকেশন

  • কাকরাইল রাজমনি সিনেমা হলের মোড় থেকে শান্তিনগর মোড়ে যেতে হাতের বাম পাশে এটি অবস্থিত।

 ভবনের বিবরন

  • ১৫ তম তলা বিশিষ্ট ভবনের প্রথম তলা থেকে পঞ্চম তলা পর্যন্ত শপিং মল এবং অবশিষ্ট তলাগুলো এ্যাপার্টমেন্ট।

 পণ্য-সামগ্রীর বিবরন

প্রথম তলা গিফট আইটেম, কসমেটিক্স, বাচ্চাদের পন্য-সামগ্রী ইত্যাদি।
দ্বিতীয় তলা শাড়ি, সেলোয়ার কামিজ, প্যান্ট, শার্ট ইত্যাদি।
তৃতীয় তলা ছেলে মেয়েদের জুতো, প্যান্ট, শার্ট, পাঞ্জাবী, কামিজ ইত্যাদি।
চতূর্থ তলা জুয়েলারী, ফুড কোর্ট।
পঞ্চম তলা অফিস, এ্যাপার্টমেন্ট।

পণ্য-সামগ্রীর মান, মুল্য এবং ক্রেতা

  • এখানে প্রাপ্ত পন্য সামগ্রীর মান ভাল।
  • পন্য সামগ্রী কোন কোন দোকানে একদরে বিক্রয় হয়। আবার কোন কোন দোকানে দর কষাকষি করে ক্রয় করতে হয়।
  • এখানে সাধারনত উচ্চ বিত্ত, মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেনীর ক্রতাগন কেনাকাটা করতে আসেন।
  • এখানে ক্যাশের সাথে সাথে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমেও খরচ পরিশোধ করা যায়।

 গাড়ী পার্কিং ব্যবস্থা

  • এখানে গাড়ী পার্কিং এর নিজস্ব ব্যবস্থা রয়েছে। নিজস্ব পার্কিং ব্যবস্থাপনায় ৪০ টি গাড়ী পার্ক করা যায়। সামনের রাস্তায় এবং ফুটপাতে আরো ২০ টি গাড়ী রাখার সুবিধা রয়েছে।

 টয়লেট ব্যবস্থা

  • টয়লেট সুবিধা রয়েছে।
  • এখানে প্রত্যেকটি ফ্লোরে পুরুষ এবং মহিলাদের পৃথক টয়লেট ব্যবস্থা রয়েছে।
  • সার্বক্ষনিক টয়লেট পরিচ্ছন্ন রাখা হয়।

 এক্সিলেটর সুবিধা

  • এখানে এক্সিলেটর সুবিধা রয়েছে। এক্সিলেটর এর সংখ্যা ২ টি।

নিরাপত্তা ব্যবস্থা

  • এখানে নিরাপত্তার জন্য সিসিটিভি বা সিকিউরিটির ব্যবস্থা রয়েছে। তবে এখানে নিজস্ব একদল প্রশিক্ষিত ও চৌকস সিকিউরিটি গার্ড রয়েছে, মার্কেটের সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব তারা খুবই দক্ষতার সাথে পালন করে আসছে।

ওযু এবং নামাজের ব্যবস্থা

  • এখানে ওযু এবং নামাজের ব্যবস্থা আছে।

খোলা/বন্ধের সময়

  • সকাল ৯.৩০ টা থেকে রাত ৮.৩০ টা পর্যন্ত খোলা থাকে।

ভিড় এড়াতে চান

  • প্রতিদিনই ভিড় হয়।  সকাল ১০.৩০ টা থেকে দুপুর ২.৩০ টা পর্যন্ত এবং সন্ধ্যা ৫.৩০ টা থেকে রাত ৭.৩০ টা পর্যন্ত একটু বেশী ভিড় থাকে।

গাউসিয়া মার্কেট, ঢাকা

 গাউসিয়া মার্কেট, ঢাকা

 

শপিং মলটি আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন, নিজস্ব স্ট্যান্ডবাই জেনারেটর সুবিধাসহ শীতাতপ নিয়ন্ত্রীত এবং টাইলস সজ্জিত নতুন ভবনে অবস্থিত। এখানে মোট দোকান সংখ্যা ১০০০ (+) টি। মালিক সমিতি কর্তৃক শপিং মলটি পরিচালিত হয়।

 লোকেশন

  • নিউ মার্কেট এর বিপরীত দিকে এটি অবস্থিত।

পণ্য-সামগ্রীর বিবরন

প্রথম তলা মহিলাদের রেডিমেড বিভিন্ন রকমের পোষাক, শাড়ী, থ্রী-পিস, ওড়না, কসমেটিক্স, শাড়ীর জরি, চুমকি, লেইস, জুতো/স্যান্ডেল (মেয়েদের জন্য), ব্যাগ ইত্যাদি।
দ্বিতীয় তলা মহিলাদের রেডিমেড বিভিন্ন রকমের পোষাক, শাড়ী, থ্রী-পিস, ওড়না, কসমেটিক্স, শাড়ীর জরি, চুমকি, লেইস, জুতো/স্যান্ডেল (মেয়েদের জন্য), ব্যাগ, লেডিস টেইলার্স, বুটিক শপ ইত্যাদি।
তৃতীয় তলা শাড়ী এবং থ্রী পিসের পাইকারী দোকান ইত্যাদি।
চতূর্থ তলা বিবাহের সামগ্রী, বুটিক এবং এম্ব্রোয়ডারী শপ ইত্যাদি।

 পণ্য-সামগ্রীর মান, মুল্য এবং ক্রেতা

  • এখানে প্রাপ্ত পন্য সামগ্রীর মান ভাল।
  • পন্য সামগ্রী কোন কোন দোকানে একদরে বিক্রয় হয়। আবার কোন কোন দোকানে দর কষাকষি করে ক্রয় করতে হয়।
  • এখানে সাধারনত উচ্চবিত্ত, উচ্চ-মধ্যবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত শ্রেনীর ক্রেতাগন কেনাকাটা করতে আসেন।
  • এখানে ক্যাশের সাথে সাথে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমেও খরচ পরিশোধ করা যায়।

 গাড়ী পার্কিং ব্যবস্থা

  • এখানে গাড়ী পার্কিং এর নিজস্ব ব্যবস্থা নেই। সামনের রাস্তায় ৪০ টি গাড়ী পার্ক করা যায়।

টয়লেট ব্যবস্থা

  • টয়লেট সুবিধা রয়েছে।
  • এখানে প্রত্যেকটি ফ্লোরে পুরুষ এবং মহিলাদের পৃথক টয়লেট ব্যবস্থা রয়েছে।
  • সার্বক্ষনিক টয়লেট পরিচ্ছন্ন রাখা হয়।

 নিরাপত্তা ব্যবস্থা

  • সিসিটিভি নেই। তবে এখানে নিজস্ব একদল প্রশিক্ষিত ও চৌকস সিকিউরিটি গার্ড রয়েছে, মার্কেটের সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব তারা খু্বই দক্ষতার সাথে পালন করে আসছে।

 ওযু এবং নামাজের ব্যবস্থা

  • এখানে ওযু এবং নামাজের ব্যবস্থা আছে।

 খোলা/বন্ধের সময়

  • সপ্তাহের মঙ্গলবার বন্ধ থাকে। সকাল ১০.০০ টা থেকে রাত ৮.০০ টা পর্যন্ত খোলা থাকে।

ভিড় এড়াতে চান

  • প্রতিদিনই ভিড় হয়।  সাধারনত সকাল থেকে রাত পর্যন্ত একটু বেশী ভিড় থাকে।

পলওয়েল সুপার মার্কেট

পলওয়েল সুপার মার্কেট

 

ঠিকানাঃ পল্টন থানার পূর্ব দিকে জোনাকী হলের সাথে সড়কের বাম পাশে এই মার্কেটটি অবস্থিত।ভি. আই. পি রোড, নয়া পল্টন, ঢাকা।এই শপিং মলটি একটি ঐতিহ্যবাহী শপিং কমপ্লেক্স। এখানে মোট দোকান সংখ্যা ১৮০ – ২০০ টি। দোকান মালিক সমিতি কর্তৃক শপিং মলটি পরিচালিত হয়।

ভবনের বিবরনঃ
মার্কেট ভবনটি বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত যার ফলে এই মার্কেটের বিভিন্ন স্থান বিভিন্ন ভাবে সজ্জিত। সর্বোপরি মার্কেট ভবনটি একটি মাঝারি মানের ভবন।

পণ্য-সামগ্রীর বিবরন

প্রথম তলা জুতা, লেদার সামগ্রী প্রভৃতি।
দ্বিতীয় তলা টি-শার্ট, শার্ট, প্যান্ট প্রভৃতি।
তৃতীয় তলা গার্মেন্টস আইটেম।
চতূর্থ তলা বেল্ট, ঘড়ি, মানিব্যাগ প্রভৃতি।
পঞ্চম তলা বিবাহ ঘর।

পণ্য-সামগ্রীর মান, মুল্য এবং ক্রেতা

  • এখানে প্রাপ্ত পণ্য সামগ্রীর মান ভাল।
  • পণ্য সামগ্রী কোন কোন দোকানে একদরে বিক্রয় হয়। আবার কোন কোন দোকানে দর কষাকষি করে ক্রয় করতে হয়।
  • এখানে সাধারণত মধ্যবিত্ত শ্রেণীর ক্রেতাগণ কেনাকাটা করতে আসেন।
  • এখানে ক্যাশের সাথে সাথে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমেও দোকান ভেদে বিল পরিশোধ করা যায়।

 গাড়ী পার্কিং ব্যবস্থা

  • এখানে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ৩০ (ত্রিশ) টি গাড়ী পার্কিং এর ব্যবস্থা রয়েছে।  গাড়ী পার্কিং এর জন্য আলাদা চার্জ দিতে হয় না।

টয়লেট ব্যবস্থা

  • প্রত্যেক ফ্লোরে টয়লেট সুবিধা রয়েছে।

 নিরাপত্তা ব্যবস্থা

  • মার্কেটটির নিরাপত্তার জন্য সিসিটিভি নেই। এছাড়া এখানে নিজস্ব একদল প্রশিক্ষিত ও চৌকস সিকিউরিটি গার্ড রয়েছে, মার্কেটের সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব তারা খু্বই দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছে।

 খোলা/বন্ধের সময়

  • শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির জন্য শপিং মলটি বন্ধ থাকে। আর অবশিষ্ট ০৬ (ছয়) দিন সকাল ৯.০০ টা থেকে রাত ৯.০০ টা পর্যন্ত খোলা থাকে।

ভিড় এড়াতে চান

  • প্রায় প্রতিদিনই সকাল ১১.০০ টা থেকে দুপুর ২.৩০ টা বিকাল ৫.৩০ টা থেকে রাত ৮.৩০ টা পর্যন্ত একটু বেশী ভিড় থাকে।

পিংক সিটি শপিং কমপ্লেক্স

পিংক সিটি শপিং কমপ্লেক্স

 

ঠিকানা:
  বাড়ি# ১৫, রোড# ১০৩, গুলশান এভিনিউ, গুলশান ২,(গুলশান ২ গোলচত্ত্বর থেকে ২০০ গজ দক্ষিণ দিকে এসে হাতের বাম পাশে পিংক সিটি শপিং কমপ্লেক্স অবস্থিত।) ঢাকা।

সময়সূচী

  • প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত খোলা থাকে এই শপিং কমপ্লেক্স।
  • শপিং কমপ্লেক্সের সাপ্তাহিক পূর্ণদিবস বন্ধ রবিবার। এছাড়া সোমবার দুপুর ২ টা পর্যন্ত বন্ধ থাকে।

মার্কেট ভবন

  • শপিং কমপ্লেক্সটি ৪ তলা বিশিষ্ট।
  • এই শপিং কপ্লেক্সটির পূর্ব এবং উত্তর দিক দিয়ে প্রবেশের জন্য দুটি আলাদা পথ রয়েছে।
  • মার্কেটটি কেন্দ্রীয়ভাবে শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত।
  • পর্যাপ্ত বৈদ্যুতিক আলোর ব্যবস্থা রয়েছে।
  • অগ্নি নির্বাপণের জন্য মার্কেটের প্রত্যেক তলার পূর্ব দিকের কর্ণারে ছোট ছোট অগ্নি নির্বাপণ যন্ত্র মজুদ রয়েছে।
  • মার্কেটের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মীরা অগ্নি নির্বাপন যন্ত্রের ব্যবহার সম্পর্কে অবগত।

 যেসব পণ্য পাওয়া যায়
           এই শপিং কমপ্লেক্সে ৮০% বিদেশী এবং ২০% দেশীয় ব্র্যান্ডের পণ্য সামগ্রী পাওয়া যায়।

  • শিশু পোষাক (প্যান্ট, শার্ট, গেঞ্জি)
  • কসমেটিকস পণ্য
  • পারফিউম
  • শাড়ী (সূতি, নরমাল, ব্র্যান্ড)
  • থ্রি-পিস (সূতি, নরমাল, ব্র্যান্ড)
  • সালোয়ার কামিজ
  • মেয়েদে জুতা (নরমাল, হিল, বেল্ট)
  • ছেলেদের জুতা ,শার্ট, প্যান্ট
  • বিছানার চাদর
  • পর্দার কাপড়
  • স্বর্ণের অর্নামেন্টের দোকান
  • ডায়মন্ড অর্নামেন্টের দোকান
  • শিশুদের খেলনা
  • স্পোর্টস আইটেম (কেডস, মুজা, টি-শার্ট, ফুটবল, ব্যাটমিন্টন)
  • ব্যায়ামের যন্ত্রপাতি

পণ্যের গুনগত মান ও অন্যান্য

  • স্বর্ণের ক্ষেত্রে ৬ মাস পর্যন্ত ওয়ারেন্টি দেওয়া হয়। (রং, মান, ভেজাল ছাড়া)
  • স্বর্ণের ক্ষেত্রে আধুনিক ডিজিটাল মেশিনে আন্তর্জাতিক মানের মাপ ব্যবহার করা হয়।
  • কাপড়ের ক্ষেত্রে ৬ মাসের গ্যারান্টি দেওয়া হয়। (রং, কাপড় নষ্ট না হওয়া, আরামদায়ক)।
  • ক্রয়কৃত পণ্য কেনার ৭ দিনের মধ্যে কোনরুপ ক্ষতি না করা সাপেক্ষে পরিবর্তন করার ব্যবস্থা রয়েছে। এক্ষেত্রে কোন অতিরিক্ত চার্জ দিতে হয় না।

 পন্যগুলোর খুচরা দামের তালিকা-

পণ্যের নাম

সর্বনিম্ন দাম

সর্বোচ্চ দাম

প্যান্ট (সূতি, কটন)

     ৩০০ টাকা

২,০০০ টাকা

শার্ট (সূতি, কটন)

২৫০ টাকা

১,৫০০ টাকা

পার্টিড্রেস (সূতি, কটন)

৬০০ টাকা

২,০০০ টাকা

বেল্ট (সূতি, কটন)

৬৯ টাকা

গেঞ্জি (কটন কাপড়)

২২০ টাকা

জুতা (চামড়া, বেল্ট, সেন্ডেল)

৩০০ টাকা

২,০০০ টাকা

 

কসমেটিকস/ পারফিউম (ভারত, চীন, আমেরিকা)

পণ্যের নাম

দাম

নেইল পালিস

১,০০০ টাকা

ক্রিম

১,০০০ টাকা

সেন্টা

১,৫০০ টাকা

আতর

১২০ টাকা

বেনিটি ব্যাগ (চামড়া)

১,০০০ টাকা

 

শাড়ি, থ্রি-পিস ও মেয়েদে পোষাক-

ব্র্যান্ডের নাম

পণ্যের নাম

পণ্যের দাম

শাড়ি কটন

২,৫০০ টাকা

হাতের কাজ করা

৬,০০০ টাকা

সূতি

২,০০০ টাকা

থ্রি-পিস কটন/ সিনথেটিক-

২০০০ টাকা

সুতি

২,৫০০ টাকা

মেয়েদের জুতা হিল, নরমাল, বেল্ট

১,০০০ টাকা

ছেলেদের পোষাক জিন্স প্যান্ট

২,৫০০ টাকা

শার্ট (নরমাল / হাফহাতা / ফুলহাতা)

১,৫০০ টাকা

টি-শার্ট (হাফহাতা জ্যোতি)

৬০০ টাকা

বেল্ট (চামড়া)

৫০০ টাকা

পাঞ্জাবি (বড় / শর্ট / সূতি)

৩,০০০ টাকা

জুতা (স্যান্ডেল)

১,২০০ টাকা

লেদার জ্যাকেট

৭,০০০ টাকা

বিছানা/ পর্দা বিছানার কাপড় (বড়)

৩,০০০ টাকা

পর্দার কাপড় (গজ )

৩০০ টাকা

সোফার কাপড় (নরমাল)

৩,০০০ টাকা

 

মার্কেটে একদরের দোকানের তালিকা-

দোকানের নাম

অবস্থান

Raymond নিচতলা
Thai Gallery (জুতা, সান্ডেল) নিচতলা
Celebration নিচতলা
Rainbow (পারফিউম দোকান) নিচতলা
Yellow (ছেলেদের পোষাক) নিচতলা
Shova Fashion (গার্মেন্টস পণ্য) নিচতলা
Gitanjoli Jewelers তৃতীয় তলা
Diamond Jewelers তৃতীয় তলা
Baby Shop চতুর্থ তলা

 

গাড়ি পার্কিং

  • শপিং মলের গ্রাউন্ড ফ্লোরে ৩০ টি গাড়ি পার্কিং সুবিধা রয়েছে।
  • পার্কিং এর প্রবেশ পথ শপিং মলের উত্তর পাশে অবস্থিত।
  • গাড়ি প্রতি পার্কিং চার্জ ২০ টাকা। পার্কিং সময় নিয়ে বাধ্যবাধকতা নেই।

 বিবিধ:

  • এখানে কোন পণ্য পাইকারী বিক্রির ব্যবস্থা নেই।
  • বিদেশী ক্রেতাদের পণ্য ক্রয়ে দোকানের সেলসম্যান ও সেলসগার্লরা সাহায্য করে থাকে।
  • ঋতু পরিবর্তনের সাথে পোষাক, কসমেটিকস প্রভৃতির পরিবর্তন হয়।
  • এখনো এখানে খাবারের আলাদা কোন জোন গড়ে ওঠেনি।
  • মার্কেটের প্রত্যেক তলার উত্তর পাশে পুরুষ ও মহিলাদের জন্য আলাদা ২ টি করে টয়লেটের ব্যবস্থা রয়েছে। অবস্থিত।

গোপনীয়তা নীতি

Bibahabd.com আপনার ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা সম্পর্কে দৃঢ়প্রতীজ্ঞ। এই গোপনীয়তার বিবৃতি বিবাহবিডির সকল ইউজারদের জন্য প্রযোজ্য।  অনুগ্রহপূর্ব  বিস্তারিত জানতে নিচের শর্তাবলী গুলো মনোযোগ সহ পড়ুন।

  • বিবাহবিডি ডট কম  ওয়েবসাইটটি প্রাপ্তবয়স্ক মহিলা এবং পুরুষ বয়সদের জন্য প্রযোজ্য। যেখানে মহিলাদের জন্য ১৮ বছর বয়স ও পুরুষদের জন্য ২১, তবে বিবাহবিডি ডট কম কতৃপক্ষ ও বিয়ের জন্য প্রস্তুত মানসিক ভাবে প্রস্তুত শিক্ষিত ও অর্থনৈতিক ভাবে সাবলম্বী  পাত্রের প্রোফাইলই একটিভ করবে।
  • বিবাহবিডি ডট কম   প্রোফাইল একটিভ করতে অবশ্যই পাত্র/পাত্রীর একজন বৈধ অভিভাবকের সাথে মৌখিক ভাবে কথা বলে নিশ্চিত হয়ে তার প্রোফাইল একটিভ করবে।

কাভারেজ এর ব্যাপ্তি:

  • বিবাহবিডি ডট কম তার ব্যবহারকারীর সকল তথ্য সম্পূর্ন ভাবে সংরক্ষন করবে যা হবে নিরাপদ।
  • আপনার প্রোফাইল প্রদত্ত বায়োডাটা গুলো বিবাহবিডি কর্তৃক ভেরিফাইড ইউজারগনই কেবল দেখতে পারবে।
  • কোন ইউজার আপনার সাথে যোগাযোগ করার পূর্বেই আপনি মোবাইলে / ইমেইলে সংবাদ পাবেন
  • বিবাহবিডির কোন  ইউজার চাইলে আপনাকে ব্লক করতে পারে।
  • বিবাহবিডির কেবল মাত্র পেইড মেম্বার গন তাহার সাথে যোগাযোগের সম্পূর্ন তথ্য লুকিয়ে রাখতে পারবে  যেমন ( ইমেইল, বর্তমান ঠিকানা, স্থায়ী ঠিকানা, ফোন নাম্বার, অভিভাবকের ফোন নাম্বার

আপনার ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ:

  • বিবাহবিডি আপনার উপযুক্ত পাত্র/পাত্রীর তথ্য যাচাই করে তারপর তাদের প্রোফাইল এক্টিভ করবে। যেন আপনি আপনার পছন্দের পাত্র/পাত্রীর সাথে নিজেই অথবা আপনার অভিভাবকের মাধ্যমে পারিবারিক ভাবে যোগাযোগ করতে পারেন।
  • কেবল মাত্র প্রিমিয়াম মেম্বারগনই নিজে থেকে পছন্দের পাত্র/পাত্রীদের সাথে যোগাযোগ করতে পারবে।
  • বিবাহবিডি কখনোই কোন তৃতীয় পক্ষ, অথবা  ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে কোন ধরনের মার্কেটিং এর জন্য আপনার ব্যক্তিগত তথ্য যেমন – ফোন নাম্বার, ইমেইল ইত্যাদি বিক্রী বা ভাড়া দিবেনা। কেন না বিবাহবিডি আপনার ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তায় আপনার সাথে চুক্তি বদ্ধ
  •  আমরা প্রতারণামূলক নিবন্ধীকরণের এড়ানোর জন্য ও আমাদের সাইটের নিজস্ব নিরাপত্তা বজায় রাখার লক্ষ্যে ও আমাদের সার্ভারে সমস্যা চিহ্নিত করার লক্ষ্য আপনার আইপি ঠিকানা (সাংখ্যিক কোড যে আপনার ব্যক্তিগত ইন্টারনেট সংযুক্ত পিসি চিহ্নিত করা) আপনার IP ঠিকানা, আপনার ব্রাউজার এবং ব্রাউজার সেটিংস সংক্রান্ত তথ্য সংরক্ষন করি। 
  • বিবাহবিডি আপনার সাহায্যে ২৪ ঘণ্টা ৭ দিনই আপনাকে ফোনে / ইমেইলে সেবা প্রদানে বদ্ধপরিকর।

আপনার ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার:

  • বিবাহবিডি নিজস্ব কোন তথ্য যেমন অফার, ডিস্কাউন্ট, বিশেষ কোন সুবিধা, নতুন ফিচার কিংবা সেবা মূল্যে বৃদ্ধি ও মূল্য হ্রাস সংক্রান্ত তথ্য আপনার কাছে পৌছে দিতে আপনার ইমেইল আইডি / ফোন নাম্বারে আপনাকে লিখিত এস এম এস বা ভয়েস এস এম এস অথবা কোন কাষ্টমার সাপোর্ট সরাসরি আপনার সাথে কথা বলতে পারে।
  • আপনি বিবাহবিডিটে লগিন করে আপনা নিউওজ লেটারে সেটিংস পরিবর্তন করতে সক্ষম  হবেন।
  • আপনি কেবল প্রিমিয়াম মেম্বারশীপে পদার্পন করার পরই অন্যান্য ব্যবহার কারীদের সাথে যোগাযোগের তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন। তাছাড়া কোন প্রিমিয়াম মেম্বার চাইলে আপনার সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবে অবশ্য তার আগেই বিবাহবিডি আপনাকে ইমেইল অথবা এস এম এস এ আপনাকে সংবাদ জানিয়ে দিবে।
  • আপনি চাইলে আপনার প্রোফাইল ডি এক্টিভেট করে দিতে পারবেন।

আপনার ব্যক্তিগত তথ্য অফ কন্ট্রোল:

  • আপনি যতদিন না নিজে থেকে  চাইবেন ততদিন বিবাহবিডি ডট কম আপনার প্রোফাইল এক্টিভ রাখবে। আপনি যখনই চাইবেন আপনার প্রোফাইল বিবাহবিডি ডট কম থেকে অপসারন করতে, ইমেইল অথবা ফোনে রিকোয়েষ্ট করার পর বিবাহবিডী ডট কম তা নিশ্চিত ভাবে অপসারন করবে এবং ইমেইলে আপনাকে তা জানিয়ে দিবে।

আপনার ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা:

  • Bibahabd.com আপনার ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা রক্ষা দৃঢ়প্রতীজ্ঞ। আমরা আপনার তথ্য, উভয় অনলাইন এবং অফলাইন রক্ষা প্রতি সতর্কতা গ্রহণ করি।
  • আমরা আমাদের ক্ষমতা অনুয়ায়ী সব থেকে ফোটোগ্রাফ অপব্যবহার রোধ করার জন চেষ্ঠা করি। এছাড়াও ফোটোগ্রাফ ডাউনলোড করা বা কপি করার অনুমতি দেয় না, আমরা Bibahabd.com লোগো সহ সকল ছবিতে watermarked জুড়ে দেই। যা অবৈধ ভাবে ছবি ব্যবহারে প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করে।
  • যদি আপনি আমাদের ওয়েবসাইটে নিরাপত্তা সম্পর্কে কোন প্রশ্ন থাকে, অনুগ্রহ করে আমাদেরকে ইমেইল করুন

পরিবর্তনসমূহ এই বিবৃতি থেকে:

Bibahabd.com থেকে পর্যায়ক্রমে এই বিবৃতির পর্যালোচনা করে কিভাবে আমরা আপনার ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত করা হয় তা আপনি উত্সাহ দেয়.

আপডেট অথবা ব্যক্তিগত তথ্য মুছে ফেলা:

 আমাদের ডাটাবেস থেকে সার্বজনীন ও প্রাইভেট তথ্য অথবা অপসারণ করতে পারবেন। যেমন আর্থিক তথ্য একটি আর্থিক লেনদেন ও নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা নিবন্ধীকরণের সময় কিন্তু পরিবর্তিত ব্যবহারকারী দ্বারা করা সম্ভব নয় অথবা সরিয়ে প্রক্রিয়ার সময় জমা হিসাবে বেসরকারী তথ্য

বন্ধুর ইমেইল:

আপনি চাইলে আপনার কোন বন্ধুকে আমাদের সেবা সম্পর্কে জানাতে পারেন। যার একটি অপশন বিবাহবিডিতে রয়েছে।

যোগাযোগের তথ্য:
Bibahabd.com গোপনীয়তা এই বিবৃতি সম্পর্কে আপনার মন্তব্য স্বাগত জানায়। আপনার যদি মনে হয় যে আমরা এই বিবৃতি থেকে আপনি আপনার কোন প্রশ্নের জবাব পাচ্ছেন না তাহলে , টেলিফোন, ইমেইল অথবা পোষ্ট আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:

BIBAHABD.COM
হাউজ # ৩৬২/১ (৩য় তলা)
ডি,আই,টি  রোড পূর্ব রামপুরা – ঢাকা ১২১৯
ফোনঃ ০১৯২২১১৫৫৫৫, ০২-৯৩৩১১৭২

বিবাহবিডি ব্যবহার নীতিমালা

এটি আপনার এবং বিবাহবিডির মধ্যে আইনগত চুক্তি। বিবাহবিডির প্রতেক সদস্য নিম্নোক্ত সকল নীতিমালা মানতে বাধ্য থাকবে।যদি আপনি সম্মত না হন,দয়া করে বিবাহবিডির পরিসেবার জন্য নিবন্ধন করা থেকে বিরত থাকুন। বিবাহবিডি যেকোন সময়ে এই নীতিমালা পরিবর্তনের অধিকার রাখে।বিবাহবিডি শুধুমাত্র একটি যোগাযোগের একটি মাধ্যম যেখান থেকে সদস্যরা বিবাহ যোগ্য পাত্র/পাত্রীর বায়োডাটা দেখতে পারবে এবং পছন্দসই পাত্র/পাত্রীর অভিভাবকের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবে।

যোগ্যতা:

  • বিবাহবিডি তে নিবন্ধন করার জন্য পাত্র/পাত্রীকে বাংলাদেশি আইন অনুসারে বিবাহযোগ্য হতে হবে(বর্তমানে, ১৮ বছর বা তার উপর নারীদের জন্য এবং ২১ বৎসর বা তার উপর পুরুষদের জন্য)।
  • বিবাহবিডি শুধুমাত্র যারা বাংলাদেশ বিবাহ আইন অনুসরণ করে বৈধ বিয়ে করতে আগ্রহী তাদের সমর্থন ও সাহায্য করে।
  • আপনি কোনো আদালত, ট্রাইবুনাল বা অন্য আইনগত জটিলতার মাঝে থাকলে আমাদের সাইটে  প্রবেশ করা থেকে বিরত থাকুন।
  • এই সাইট ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি নিশ্চিত করুন যে আপনি কর্তৃপক্ষের মতৈক্যের মাধ্যমে সাইটে প্রবেশ করার আইনগত অনুমতি রাখেন।
  • আপনাকে এই সকল নীতিমালা মেনে চলতে সম্মত হতে হবে।

ব্যবহারের শর্তাবলী:

  • বিবাহবিডি সদস্যপদ আপনার একমাত্র ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য।
  • আপনার বিবাহবিডির সদস্যপদ একাউন্টটি  যেকোন ব্যক্তি অথবা সত্ত্বার কাছে হস্তান্তরযোগ্য নয়।
  • এই সাইট ব্যবহারের মাধ্যমে আপনার অ্যাকাউন্ট এবং পাসওয়ার্ড এর গোপনীয়তা বজায় রাখা,আপনার কম্পিউটারে প্রবেশাধিকার সীমাবদ্ধ রাখা এবং আপনার একাউন্টে কোনো কাজকর্ম বা পাসওয়ার্ড এর অধীনে ঘটা যেকোন ঘটনার সম্পূণ দায়িত্ত আপনার।

অনলাইন নিবন্ধন


  •  একজন সদস্য হিসেবে, আপনি সম্মত হন যে:
  • আপনি যেসব বিষয়বস্তু বা তথ্য বিবাহবিডি বা অন্যান্য সদস্যবৃন্দকে প্রদান করবেন তার জন্য একমাত্র  আপনি দায়ী।
  • আপনি বিবাহবিডির কোনো সদস্যকে কোন প্রকার মানহানিকর, বেঠিক, অবমাননাকর, অশ্লীল, অপবিত্র, যৌন হুমকি, হয়রানি, বর্ণবাদী আচরণ, বেআইনি বস্তু বা কোনো পদার্থ যা প্রেরণ অন্য দলের অধিকার (মেধা ও সম্পত্তি অধিকার এবং গোপনীয়তার ও প্রচারের অধিকার) লঙ্ঘন করে।
  • আপনাকে বিবাহবিডির সমস্ত আইনকানুন এবং বর্তমানে প্রযোজ্য নিয়ম-নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মধ্যে পরিসেবা নিতে হবে।
  • আপনার প্রোফাইল এ কোনো টেলিফোন নম্বর, যোগাযোগের ঠিকানা, নাম, URL, ইমেইল ঠিকানা, আপত্তিকর শারীরিক বা আপত্তিকর যৌন পরামর্শদানকারী বা গুণবাচক ভাষা  অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না এবং আপনি কোন নগ্ন বা ব্যক্তিগত তথ্য ধারণকারী ছবি পোস্ট করতে পারবেন না ।
  • বিবাহবিডির মাধ্যমে আপনি অন্য সদস্যদের কাছে বিজ্ঞাপন অথবা যে কোন পণ্য বা পরিষেবা বিক্রয় অথবা কিনতে পারবেন না অথবা সদস্যদের কাছে কোন জাঙ্ক ই মেইল প্রদান করতে পারবেন না।
  • আপনাকে কোন উপায়ে কোন কপিরাইট প্রদত্ত উপাদানের, ট্রেডমার্ক, অথবা অন্যান্য ধরনের মালিকানার তথ্য বা তথ্যের প্রতিলিপি মালিক এর লিখিত অনুমতি  ছাড়া পোষ্ট করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • আপনি অন্যান্য বিবাহবিডি সদস্যদের সাথে আপনার পারস্পরিক সম্পকের জন্য দায়ী।
  • বিবাহবিডি সঙ্গে কোন সঙ্গতি নেই এমন কোন প্রোফাইল বা ছবির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার অধিকার সংরক্ষণ করে।
  • বিবাহবিডি  আপনি এবং অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে কাযক্রম নিরীক্ষণ করে এবং কোন রকম নীতি বিরুদ্ধ কাজের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার অধিকার সংরক্ষণ করে।

সমাপন:

  • আপনি বা  বিবাহবিডি যে কোনো সময় আপনার সদস্যপদ বাতিল করতে পারেন, কতৃপক্ষকে লিখিত নোটিশ পাঠানোর পর তা কার্যকর হবে।
  • বিবাহবিডি অবিলম্বে কোন নোটিশ ছাড়া নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য আপনার প্রবেশাধিকার বাতিল করার অধিকার রাখে।
  • কোনো সময়ে বিবাহবিডি আপনার যোগ্যতা মধ্যে কোন ত্রুটির কারনে অথবা আপনার যোগ্যতা সম্পর্কে কোন মিথ্যা বর্ণনা সম্পন্ন তথ্য, সংরক্ষণ করার জন্য আপনার সদস্যতার সাবস্ক্রিপশন ফি কোনো প্রত্যর্পণ ছাড়া আপনাকে সার্ভিস প্রদান স্থগিত করতে পারে। যে কোনো তথ্য যদি ভুল/মিথ্যা প্রমানিত হয় তাহলে বিবাহবিডি অবিলম্বে কোন নোটিশ ছাড়া আপনার সদস্যপদ বাতিল করতে পারে, এক্ষেত্রে সদস্য ফি অফেরতযোগ্য।

সদস্য দ্বারা ক্ষতিপূরণ:

আপনার কারণে বিবাহবিডির পরিচালক, অফিসার, কর্মচারী এবং এজেন্টের কোনো প্রকার ক্ষতি, দায় এবং খরচ (সহ যুক্তিসঙ্গত আইনগত ফি) সংক্রান্ত বা চুক্তির শর্ত ভঙ্গ সহ যে কোনো কিছু ঘটলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অনলাইন বিষয়বস্তু:

  • মতামত, পরামর্শ, বিবৃতি বা অন্যান্য তথ্য বা বিষয়বস্তু যা বিবাহবিডি সেবার মাধ্যমে উপলব্ধ করা হয় তার জন্য  বিবাহবিডি নয় বরং লেখক নিজ নিজ লেখার জন্য একমাত্র দায়ী।
  • বিবাহবিডি  পরিসেবার উপর প্রকাশিত কোনো তথ্যের উপযোগিতা, নির্ভুলতা, পূর্ণতা নিয়ে গ্যারান্টি দেয়না এবং এখানে প্রকাশিত কোনো মতামত, পরামর্শ বা বিবৃতি এর নির্ভুলতার প্রত্যয়ন অথবা নির্ভরযোগ্যতা জন্য দায়ী নয়।
  • বিবাহবিডি কোনো অবস্থাতেই সদস্যদের প্রেরিত তথ্যের উপর কারো ভরসার ফলে হওয়া কোন ক্ষতি বা অন্যান্য বিষয়বস্তুর জন্য  বিবাহবিডি  দায়ী থাকবে না।

সতর্কতামূলক – অনুগ্রহ করে পড়ুন:

  • এটা সম্ভব যে অন্যান্য বিবাহবিডি সদস্যরা বা ব্যবহারকারী (সহ অননুমোদিত ব্যবহারকারীদের, অথবা “hackers”) অপমানকর এবং অশ্লীল উপকরণ প্রেরণ করতে পারে যা আপনার জন্য অসস্তিকর।
  • এটাও সম্ভব ! অন্য কোনো সদস্য সেবা নেয়া কালীন আপনার প্রেরিত যে কোনো তথ্য আপনাকে আঘাত করার জন্য  ব্যবহার করতে পারে। বিবাহবিডি এ জন্য দায়ী নয়। তাই যত্নসহকারে ভেবে তথ্য প্রদান করুন।
  • বিবাহবিডি  সকল সদস্যের কাযক্রম পযবেক্ষণ করে এবং কোন রকম নীতি বিরুদ্ধ কাজের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার অধিকার সংরক্ষণ করে। উন্মুক্ত ওয়ালে দেয়া তথ্য এবং আপনার ব্যক্তিগত ইমেইল বার্তাগুলি পাবলিক এলাকায় পোস্টের জন্য একমাত্র আপনি দায়ী থাকবেন। আপনি এবং অন্যান্য বিবাহবিডি সদস্যদের মাঝে ইমেইল এ আদান-প্রদান করা তথ্য সবার জন্য উন্মুক্ত নয় এবং ব্যক্তিগত হিসাবে গণ্য হবে।

স্বত্বাধিকারীর অধিকার:

  •  এই পরিসেবার কপিরাইট তথ্য, ট্রেডমার্ক, এবং অন্যান্য সকল কিছুর মালিক বিবাহবিডি  এবং এর লাইসেন্সদাতাগণ।

উপরন্তু, অন্যরা স্বত্ত্বাধীকারযুক্ত তথ্য প্রেরণ করতে পারে, যা কপিরাইট সুরক্ষিত।

এছাড়া যে তথ্য জনসাধারণের ডোমেইনের মধ্যে বা যার জন্য আপনাকে অনুমতি দেওয়া আছে তা আপনি অনুকরণ, পরিবর্তন, প্রকাশ, প্রেরণ,বিতরণ,সম্পাদন, প্রদর্শিত অথবা কোন ধরনের মালিকানা তথ্য বিক্রি করতে পারবেন না।

বিবাহবিডির উন্মুক্ত পৃষ্টায় কনো তথ্য প্রেরণ করার মানে আপনি জ্ঞানত এটা করেছেন এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে তা  আপনাকে প্রতিনিধিত্ব করবে এবং অন্য সদস্যরা তা অণুকরণ, ব্যবহার, প্রদশন ও প্রতিলিপি তৈরি করতে পারবে।

তথ্য সদস্য সরবরাহ করে:

  • বিবাহবিডি তার সদস্যদের সকল ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষা করে এবং শুধুমাত্র যে তথ্য আইন কর্তৃক প্রয়োজন হয় তা প্রকাশ করে।

অভিযোগ:

বিবাহবিডি সেবা সংক্রান্ত কোন অভিযোগ থাকলে সমাধান পেতে [email protected] এ একটি ইমেইল করুন।

কপিরাইট নীতি:

সন্দেহজনক কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য যোগাযোগ তথ্য ব্যবহারকারীর বিশেষাধিকার বিনষ্টকরণের:

  • আমাদের কোনো ব্যবহারকারী যিনি এই সাইট থেকে বেআইনীভাবে একটি লাইসেন্স ছাড়া কপিরাইট তথ্য অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করবে তাৎক্ষণিকভাবে তার সদস্যপদ বাতিল করা হবে এবং বৈধ প্রতিরক্ষা নেয়া হবে। বিশেষ করে, ব্যবহারকারীদের যারা এই সাইটে বিষয়বস্তু নিবন্ধন, ছবি, গল্প, সফ্টওয়্যার অথবা অন্যান্য কপিরাইট উপাদান প্রেরণ করবে তা অবশ্যই কপিরাইট আইন বহিভূত নয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। স্বত্তধিকারীর অনুমতি বা আদালত বা কতৃপক্ষের অনুমতি প্রাপ্তির পর সদস্যপদ বাতিল করা হবে।এমন কি বিবাহবিডি কতৃপক্ষের বিশস্ততা হারালেও সদস্যপদ বাতিল হতে পারে।আপনি যদি মনে করেন যে আপনার কপিরাইট এই সাইটের মাধ্যমে ব্যাহত করা হয়েছে, [email protected] ঠিকানায় যোগাযোগ করুন।

এই ওয়েবসাইট ব্যবহার করার অর্থ আপনার কাছে সকল নীতিমালা গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে।

বিবাহবিডি রেজিষ্ট্রেশন হেল্প

রেজিষ্ট্রেশন করতে সর্বোচ্য ৫ মিনিট সময় আপনাকে ব্যায় করতে হবে । নিচে রেজিষ্ট্রেশনের ধাপ গুলো পর্যায় ক্রমে চিত্র সহকারে তুলে ধরা হলো।

ধাপঃ -১   মূল তথ্য

অবশ্যই সঠিক ইমেইল আইডি ও ফোন নাম্বার  দিয়ে এই ফরম টি পূরন করিতে হবে । এই ফরম টি পূরন করার পর আপনার প্রদত্ত ইমেইল আইডিতে বিবাহ বিডির লগিন করার পাসওয়ার্ড পাঠানো হবে ।

একাঊন্ট সেটিংস অপশন

বিবাহবিডি ডট কমে একাউন্ট সেটিংস লিংকটি একটি গুরুত্বপূর্ন অপশন। এই লিংক থেকে আপনি পাসওয়ার্ড চেইঞ্জ, ইমেইল সেটিংস, প্রাইভেসী সেটিংস ও আপনার প্রোফাইল টি ডিএক্টিভেট করতে পারবেন। অর্থাৎ আপনার একাঊন্টের গুরুত্বপূর্ন বিষয়গুলো আপনি এই অপশন থেকে নির্ধারন করতে পারেন।

প্রাইভেসী সেটিংসঃ
প্রাইভেসী সেটিংস আপনি আপনার পছন্দ মতো ঠিক করে নিতে পাররেন এজন্য নির্ধারিত ৩টি অপশনের একটি অপশন আপনাকে সিলেক্ট করতে হবে।

অপশনগুলো যথাক্রমেঃ
১। আপনার যোগাযোগের তথ্য বিবাহবিডির সকল পেইড মেম্বারকে দেখাতে চাইলে এই অপশন টি সিলেক্ট করুন।
২। আপনার যোগাযোগের তথ্য যদি শুধু মাত্র ডায়ামন্ড ইউজারদের দেখাতে চান তবে এই অপশন সিলেক্ট করুন।
৩। আপনি যদি চান কাঊকেই আপনার যোগাযোগের তথ্য দেখাবেন না তবে এই ৩ নং আপশন টি সিলেক্ট করুন।

ঊল্লেখ্য ফ্রী মেম্বার গন যারা ৪৫ দিনের জন্য ট্রায়াল হিসাবে বিবাহবিডির মেম্বার হইয়েছেন তারা প্রাইভেসী সেটিংস এর ২ ও ৩ নং অপশন টি সিলেক্ট করতে পারবেন না। শুধু মাত্র পেইড মেম্বার অর্থাৎ যারা মেম্বারশীপ প্যাকেজ কিনেছেন তারাই কেবল সবগুলো অপশন ইচ্ছামত সিলেক্ট করতে পারবেন।

বিশেষ বিবাহ আইনের অধীন বিয়ে

বিশেষ বিবাহ আইনের অধীন বিয়ে করতে চাইলে পাত্র ও পাত্রীকে একজন আইনজীবীর শরণাপন্ন হতে হবে৷ আইনজীবীর তত্ত্বাবধানে প্রস্তুতকৃত হলফনামায় পাত্র-পাত্রী স্বাক্ষর দানের পর ওই হলফনামা নোটারি পাবলিক কর্তৃক নোটরাইজড করতে হবে ৷ হলফনামায় অবশ্যই ‘বিশেষ বিবাহ আইনের অধীন বিয়ে’ শব্দগুচ্ছ লিখতে হবে ৷ অতঃপর সরকার অনুমোদিত বিশেষ বিবাহ রেজিস্ট্রারের কাছে নির্ধারিত ফরম পূরণপূর্বক ৩ জন সাক্ষীর উপস্থিতিতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে হয় ৷ উল্লেখ্য, বিশেষ বিবাহ আইনে বিয়ের ক্ষেত্রে যৌতুক প্রথা এবং আমন্ত্রিত অতিথিদের খাওয়া-দাওয়ার বাহুল্যতা নেই ৷

বিশেষ বিবাহ আইন : ১৮৭২ সালের বিশেষ বিবাহ আইনানুসারে যেসব ব্যক্তি খ্রিস্টান, ইহুদি, হিন্দু, মুসলিম, পার্সি, বৌদ্ধ, শিখ বা জৈন ধর্ম গ্রহণ করেননি, তাদের জন্য বিয়ের একটি ধরন নির্ধারণ করা এবং যেসব বিয়ের বৈধতা সম্পর্কে সন্দেহের অবকাশ রয়েছে, সেসব সুনির্দিষ্ট বিয়ের বৈধতা প্রদান করা সমীচীন ৷ বিশেষ বিবাহ আইনে বিয়ে অনুষ্ঠানের শর্তাবলী বিশেষ বিবাহ আইনের ২ ধারা মোতাবেক বিয়ে অনুষ্ঠানের শর্তাবলী নিম্নরূপ-

(ক) বিয়ের সময় বিয়ের পক্ষগণের মধ্যে কারোই কোনও জীবিত স্বামী বা স্ত্রী থাকতে পারবে না
(খ) গ্রেগরিয়ান পঞ্জিকা অনুসারে পুরুষ ব্যক্তির বয়স ১৮ বছর এবং মহিলার বয়স ১৪ বছর পূর্ণ হতে হবে,
(গ) পক্ষগণ রক্ত সম্পর্কে বা বৈবাহিক সম্পর্কে সম্পর্কযুক্ত হতে পারবেন না, যাতে তাদের একজনের ওপর প্রযোজ্য আইন দ্বারা ওই বিবাহ অবৈধ হতে পারে৷

বিয়ে যেভাবে সম্পন্ন করতে হবে বিশেষ বিবাহ আইনের ১১ ধারা মোতাবেক বিয়ে সম্পন্ন করতে হবে রেজিস্ট্রার এবং ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষরদানকারী তিনজন সাক্ষীর সম্মুখে৷ উল্লেখ্য, পক্ষগণকে রেজিস্ট্রার ও সাক্ষীগণের উপস্থিতিততে বলতে হবে ‘আমরা পরস্পর পরস্পরকে আইনসঙ্গত স্ত্রী অথবা স্বামী হিসেবে গ্রহণ করলাম ৷’   ১১ ধারার বিধানাবলী বাধ্যতামূলক করা হয়েছে [১৮ ডিএলআর (১৯৬৬) পাতা ৫০৯] ৷সহ-উত্তরাধিকারিত্বের ওপর কতিপয় বিয়ের ফলাফল হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ বা জৈন ধর্মাবলম্বী কোনও যৌথ পরিবারের কোনও সদস্যের এ আইন মোতাবেক বিয়ে হলে অনুরূপ পরিবার থেকে তার বন্ধন ছিন্ন হয়েছে বলে গণ্য হবে (২২ ধারানুসারে) ৷ বাংলাদেশে বিশেষ বিবাহ আইন বাংলাদেশের কোনও মুসলিম, খ্রিস্টান, ইহুদি, পার্সি, বৌদ্ধ, শিখ বা জৈন নন বা তাদের একজন যে কোনও এটি বা অন্য ধর্মে বিশ্বাসী তাদের মধ্যে বিয়ের ব্যবস্থা করতে হলে বিশেষ বিবাহ আইনের অধীন উপযুক্ত নিয়মাবলী অনুসরণ করা বাধ্যতামূলক ৷

এক্ষেত্রে একজন আইনজীবী কর্তৃক হলফনামা সম্পাদনের পর ওই হলফনামা নোটারাইজড করে বিশেষ বিবাহ রেজিস্ট্রারের উপস্থিতিতে সমুদয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে হবে৷

ব্রাহ্ম সমাজের সিদ্ধান্ত : ব্রাহ্ম সমাজভুক্ত ব্যক্তিরা হিন্দু কিনা, তারা হিন্দু না হলে তাদের বিবাহরীতি পদ্ধতি কিভাবে হিন্দুমতে সম্পন্ন হবে ৷ যদি তাই হয় তাহলে ব্রাহ্ম সন্তানরা কোন আইনে উত্তরাধিকারের অধিকার পাবেন? এসব প্রশ্নের সমাধানকল্পে এগিয়ে আসেন ব্রাহ্ম সমাজের প্রতিষ্ঠাতা কেশবচন্দ্র সেন ৷ তিনি ঘোষণা দেন, সর্বধর্ম সমন্বয়ক হিসেবে যে কোনও ধর্মের লোক ব্রাহ্ম সমাজের সদস্য হতে পারেন ৷ সেক্ষেত্রে কোনও মুসলিম কিংবা খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী যদি ব্রাহ্মের দীক্ষা নেন, তাহলে কোন বিধিতে তাদের বিবাহকার্য সম্পন্ন হবে ৷ এসব সমস্যার আইনগত সমাধানের জন্য কেশবচন্দ্র সেন উদ্যোগী হন ৷ ১৮৬৭ সালের ২০ অক্টোবর ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্ম সমাজের এক অধিবেশনে তিনি ব্রাহ্ম বিবাহ বিধিবদ্ধ করার উত্কৃষ্ট উপায় নির্ধারণের জন্য ব্রাহ্মদের কাছে আবেদন জানান, ১৯৬৮ সালে সিভিল ম্যারেজ বিল উত্থাপন করলে সরকার সমর্থিত এ বিলে বলা হয়, ‘যদি কোনো ব্যক্তি হিন্দু অথবা মুসলমান অথবা ভারতবর্ষে প্রচলিত অন্য কোনও ধর্মাশ্রিত হয়ে সেই ধর্ম অবিশ্বাস করেন এবং সেই ব্যক্তি ওই ধর্ম প্রকাশ্যরূপে পরিত্যাগ না করে ওই ধর্মের বিবাহ পদ্ধতি অনুসারে বিবাহ করেন, তাহলে সেই বিবাহ আদালতে বৈধ বলে গণ্য হবে ৷’ কিন্তু এ ব্যাপা তত্কালীন সমাজে প্রবল মতবিরোধ দেখা দেয় ৷ ফলে এ আইন বিধিবদ্ধ না হয়ে পুনর্বিবেচনার জন্য পর্যালোচনা কমিটিতে পাঠানো হয় ৷

পর্যালোচনা কমিটি দীর্ঘ ২ বছর নানা দিক বিবেচনা করে ‘ব্রাহ্ম ম্যারেজ অ্যাক্ট’ প্রণয়রে সুপারিশ করে৷ অবশেষে নানা যুক্তিতর্ক, বাদানুবাদ ও শঙ্কা আশঙ্কার পর ১৮৭২ সালে ব্রাহ্ম বিবাহ বিধি সিভিল ম্যারেজ অ্যাক্ট নামে পাস হয় ৷ ব্রাহ্ম সমাজের বৈশিষ্ট্য হল- সাবালক পাত্র-পাত্রীরা ব্রাহ্ম সমাজ মন্দিরে উপস্থিত হয়ে স্ব স্ব ধর্মে বহাল থেকে ব্রাহ্ম রীতিতে সিভিল ম্যারেজ অ্যাক্টে বিবাহ করতে পারেন ৷ মন্দিরের আচার্য বিবাহে পৌরহিত্য করলেও তা রেজিিস্ট্র করে থাকেন সিভিল ম্যারেজ রেজিস্ট্রার ৷ ওই রেজিস্ট্রার বাংলাদেশ ব্রাহ্ম সমাজ ও আইনগতভাবে নিয়োগকৃত হতে হবে ৷ ব্রাহ্ম বিবাহে সংস্কৃতের পরিবর্তে বাংলায় মন্ত্রোচ্চারণ করতে হয় ৷ বিবাহ শেষে উপস্থিত অতিথিরা প্রার্থনা সভায় অংশ নেন এবং ব্রাহ্ম সংগীত গেয়ে বর-কনের মঙ্গল কামনা করেন ৷ এই প্রকার বিয়েতে যৌতুক প্রথা ও অতিথি আপ্যায়নের বাহুল্য নেই ৷

জানা যায়, ১২৮১ বঙ্গাব্দের বৈশাখে ব্রাহ্ম সমাজভুক্ত মুসলিম যুবক জালালউদ্দিন মিয়া ব্রাহ্ম বিবাহরীতিতে প্যারী বিবিকে বিয়ে করে সর্বত্র হৈচৈ ফেলে দেন ৷ ঢাকার ঐতিহাসিক সদরঘাট ও কোতোয়ালি থানার উত্তরে এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা কলেজিয়েট হাইস্কুল সংলগ্ন পাটুয়াটুলী রোডের ২-৪ লয়াল স্ট্রিটে বালাদেশ ব্রাহ্ম সমাজ কার্যালয়ে দেশের একমাত্র সিভিল ম্যারেজ রেজিস্ট্রার রেভারেন্ড প্রাণেশ সমাদ্দার বিশেষ বিবাহ আইনের অধীন বিয়ের কার্যক্রম সম্পন্ন করেন৷

সিভিল ম্যারেজ রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব পালনকারী প্রায় ৮৪ বছর বয়সী প্রাণেশ সমাদ্দার জানান, পাত্র-পাত্রীর পরস্পরের ধর্মীয় বিশ্বাস পৃথক হলে তারা যদি স্ব স্ব ধর্ম পালন করে বিয়ে করতে চায় তবে বিশেষ বিবাহ আইনের অধীন বিয়ে কার্য সম্পন্ন করতে হবে ৷ এ জন্য ৫০০০ টাকা এবং ৩ জন সাক্ষীর প্রয়োজন৷ বিশেষ বিবাহ রেজিস্ট্রার প্রাণেশ সমাদ্দারের চেম্বার সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামের মেয়ে ফাল্গুনী বড়ুয়া এবং যাত্রাবাড়ীর শহীদ হোসেন রোডের (হালে কর্ণফুলী গার্ডেন সিটি) মোস্তফা ভূইয়ার ছেলে মঞ্জুরুল প্রায় দুই মাস আগে বিশেষ বিবাহ আইনের অধীন বিয়ের সিঁড়িতে বসে ৷ ফাল্গুনী আর মঞ্জুরুলের মতো অনেকেই এভাবে যে যার ধর্ম বিশ্বাস ও ধর্মীয় মূল্যবোধ ঠিক রেখে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছে ৷

প্রাণেশ সমাদ্দার জানান, প্রতিবছর ৮/১০টি বিয়ে পড়ান তিনি ৷ দু’জনার ধর্ম দুটি হলেও সারাজীবন একত্রে জীবনসঙ্গী হিসেবে বসবাস করার জন্য বিশেষ বিবাহ আইনের অধীন বিয়ে করার বিকল্প নেই৷

বিশেষ বিবাহ আইনের অধীন বিয়ে করার সুযোগ আছে বলে স্বধর্মের উপযুক্ত পাত্র-পাত্রীকে বিয়ে না করে ভিন্ন ধর্মে বিশ্বাসীদের বিয়ে করার মানসিকতাকে এড়িয়ে চলার উদাত্ত আহ্বান জানাই ৷ বিশেষ বিবাহ আইনটি যুগোপযোগী করে সংশোধন করা দরকার ৷ তাছাড়া ম্যারেজ রেজিস্ট্রার নিয়োগ এবং কার্যকর পদ্ধতিতে বিয়ে সম্পন্ন করার বিষয়গুলো আরও সহজ ও স্বচ্ছ হওয়া দরকার ৷ আমাদের বিশ্বাস সরকার বিষয়গুলো নিয়ে ভাববে৷


বিশেষ বিবাহ আইন
খন্দকার মুজাহিদুল হক | তারিখ: ৩১-০১-২০১০ | প্রথম আলো 


বাংলাদেশে বিশেষ বিবাহ অনুষ্ঠিত হয় ‘বিশেষ বিবাহ আইন, ১৮৭২’ অনুযায়ী। কিন্তু এ বিয়ে কাদের জন্য প্রযোজ্য, বিয়ে অনুষ্ঠানের শর্তাবলি কী, সম্পাদনের পদ্ধতি কী, কার দ্বারা এ বিয়ে সম্পাদন হবে, এ বিয়ের ফলে জন্ম নেওয়া সন্তান কোন ধর্মের পরিচয়ে বড় হবে, এ বিয়ের স্বামী বা স্ত্রী কোন ধর্ম অনুসরণ করবেন, এ বিয়ের ফলে উত্তরাধিকার কে কতটুকু ভোগ করতে পারবেন প্রভৃতি বিষয় অনেকের কাছেই অস্পষ্ট।

যেসব ব্যক্তি মুসলিম, হিন্দু, খ্রিষ্টান, ইহুদি, পার্সি, বৌদ্ধ, শিখ বা জৈন ধর্ম গ্রহণ করেননি, তাঁদের মধ্যে এ বিয়ে হতে পারে। এ ছাড়া যেসব ব্যক্তি হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ বা জৈন ধর্ম গ্রহণ করেছেন, এ আইন দ্বারা তাঁদের জন্য বিয়ের বিকল্প একটি ধরন নির্ধারণ করা হয়েছে। আরও উল্লেখ করা প্রয়োজন, যেসব বিয়ের বৈধতা সম্পর্কে সন্দেহের অবকাশ রয়েছে, সেসব সুনির্দিষ্ট বিয়ের বৈধতা দেওয়া হয়েছে এ আইন দ্বারা।

‘বিশেষ বিবাহের ক্ষেত্রে ধর্ম ত্যাগ করা অত্যাবশ্যক। দুই পক্ষই ধর্ম ত্যাগ না করলে বিয়েটি বাতিল বলে গণ্য হবে। এ আইনের বিধানে যেকোনো ধরনের মিথ্যা বর্ণনা দেওয়া শাস্তিযোগ্য অপরাধ।  আবেদনকারী যদি বাস্তবে ধর্ম ত্যাগ না করে থাকেন, সে ক্ষেত্রে ধার্য হয়েছে—তিনি মিথ্যা বর্ণনা দিয়েছেন।’ [(১৯৬৬) ১৮ ডিএলআর ৫০৯]

বাংলাদেশে মুসলিম কোনো ব্যক্তি ইচ্ছা করলে অন্য ধর্মের কোনো ব্যক্তিকে মুসলিম আইন অনুযায়ীই বিয়ে করতে পারেন।  যদি অন্য পক্ষ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন তবে কোনো সমস্যাই নেই, অর্থাত্ বিয়েটি ‘বৈধ বিয়ে’। আর যদি অন্য পক্ষ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ নাও করেন, তবু মুসলিম পারিবারিক আইন অনুযায়ী বিয়ে করা যাবে। তবে এ ক্ষেত্রে বিয়েটি ‘অনিয়মিত’ হবে।  খ্রিষ্ট ধর্মের ক্ষেত্রেও কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।  অন্য পক্ষ খ্রিষ্ট ধর্ম গ্রহণ করলে কোনো সমস্যাই নেই। তবে অন্য পক্ষ খ্রিষ্ট ধর্ম গ্রহণ না করলে খ্রিষ্টান পারিবারিক আইন অনুযায়ী বিয়েটি ‘অনিয়মিত’ বিয়ে হবে।

বিয়ে সম্পাদনের ইচ্ছা পোষণ করলে দুই পক্ষের কোনো একজনকে অবশ্যই নিবন্ধক বরাবর লিখিত নোটিশ দিতে হবে। যে জেলার নিবন্ধক বরাবর নোটিশ প্রদান করবেন, নোটিশ প্রদানকারীকে অবশ্যই নোটিশ দেওয়ার কমপক্ষে ১৪ দিন আগে থেকে সেখানে বসবাস করতে হবে। নিবন্ধককে অবশ্যই ওই জেলার হতে হবে, যে জেলায় দুই পক্ষের অন্তত কোনো একজন নোটিশ দেওয়ার কমপক্ষে ১৪ আগে থেকে বসবাস করছেন।

বিয়ের প্রত্যয়নপত্র: বিয়ে সম্পাদনের পর নিবন্ধক ‘বিবাহ প্রত্যয়ন বই’য়ে প্রত্যয়নপত্র অন্তর্ভুক্ত করবেন, যা নির্ধারিত একটি ফরম। এবং এটি উভয় পক্ষ ও তিনজন সাক্ষী কর্তৃক স্বাক্ষরিত হবে।

নিবন্ধক সরকার-নির্ধারিত ফরমে ‘বিবাহ প্রত্যয়ন বই’য়ে লিপিবদ্ধ সব অন্তর্ভুক্তির অনুলিপি তাঁর জেলার ‘জন্ম, মৃত্যু ও বিয়ের রেজিস্ট্রার জেনারেল’-এর কাছে পাঠাবেন।

জন্মগ্রহণকারী সন্তানের বিবাহ: এ আইনের অধীনে বিয়ের ফলে জন্মগ্রহণকারী সন্তান যদি এ আইনের অধীনেই বিয়ের ইচ্ছা পোষণ করেন, তবে তাঁর পিতা বিয়ের ক্ষেত্রে যে আইনে রক্ত-সম্পর্কীয় ও বৈবাহিক সম্পর্কীয় বাধার সম্মুখীন ছিলেন, সে আইন এবং এ আইনের ২ ধারা তাঁর ওপর প্রযোজ্য হবে। এ আইনের কোনো কিছুই এ আইনের অধীনে বিয়ের ফলে জন্মগ্রহণকারী সন্তানের অন্য কোনো আইনে সম্পাদিত বিয়ের বৈধতা ক্ষুণ্ন করবে না।

মিথ্যা বর্ণনা-সংবলিত ঘোষণার প্রত্যয়নপত্র স্বাক্ষরের শাস্তি: এ আইন দ্বারা নির্দেশিত কোনো ঘোষণা বা প্রত্যয়নপত্র তৈরি করেন, স্বাক্ষর করেন বা সত্যায়ন করেন, যা মিথ্যা বর্ণনা, এবং তিনি জানেন ও বিশ্বাস করেন মিথ্যা বলে, বা সত্য বলে বিশ্বাস করেন না, এমন কোনো ব্যক্তি দণ্ডবিধির ১৯৯ ধারায় অপরাধী বলে বিবেচিত হবেন। সহ-উত্তরাধিকারিত্বের ওপর ফলাফল: হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ ও জৈন ধর্মে বিশ্বাসী কোনো পরিবারের কোনো সদস্যের এ আইনে বিয়ে হলে তিনি ওই পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন বলে গণ্য হবেন।

উত্তরাধিকারের অধিকার: হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ ও জৈন ধর্মে বিশ্বাসী কোনো ব্যক্তি এ আইনে বিয়ে করলে, ‘জাতিগত অসামর্থ্যতা দূরীকরণ আইন, ১৮৫০’ প্রযোজ্য হয় এমন ব্যক্তির মতো তাঁরও সম্পত্তির উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে একই অধিকার থাকবে এবং তিনি একই রকম অসামর্থ্যতার অধীন হবেন। তবে শর্ত হচ্ছে, এ ধারার কোনো কিছুই ওই ব্যক্তিকে ধর্মীয় পদ বা চাকরির, বা কোনো ধর্মীয় বা দাতব্য ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনার কোনো অধিকার প্রদান করবে না।

সম্পত্তির উত্তরাধিকার: হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ ও জৈন ধর্মে বিশ্বাসী কোনো ব্যক্তি, যিনি এ আইনের অধীন বিয়ে করেছেন, তাঁর সম্পত্তির, এবং এ বিয়ের ফলে জাত সন্তানের সম্পত্তির উত্তরাধিকার ‘উত্তরাধিকার আইন, ১৯২৫’  অনুযায়ী নিয়ন্ত্রিত হবে। ওই দুই ব্যক্তির মধ্যে এ বিয়ে হতে পারে, যাঁদের কেউই মুসলিম, হিন্দু, খ্রিষ্টান, ইহুদি, পার্সি, বৌদ্ধ, শিখ বা জৈন ধর্মে বিশ্বাস করেন না। কিংবা ওই দুই ব্যক্তির মধ্যে এ বিয়ে হতে পারে, যাঁদের প্রত্যেকেই এর একটি বা অন্য ধর্মে বিশ্বাস করেন— হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ বা জৈন। এ ছাড়া যেসব ব্যক্তি হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ বা জৈন ধর্মে বিশ্বাসী, এ আইন দ্বারা তাঁদের জন্য বিয়ের বিকল্প একটি ধরন নির্ধারণ করা হয়েছে। আরও উল্লেখ করা প্রয়োজন, যেসব বিয়ের বৈধতা সম্পর্কে সন্দেহের অবকাশ রয়েছে, সেসব সুনির্দিষ্ট বিয়ের বৈধতা দেওয়া হয়েছে এ আইন দ্বারা।