ম্যাট্রিমনি বা ম্যাট্রিমনি সার্ভিস বা ম্যাট্রিমনি সাইট

ম্যাট্রিমনি বা ম্যাট্রিমনি সার্ভিস বলতে “বিয়ে” সংক্রান্ত সকল বিষয় গুলোকে বুঝায়।

বাংলাদেশের আপামর জনগোষ্টির কাছে ম্যাট্রিমনি শব্দটা এখনো খুব বেশী পরিচিত হয়ে উঠেনি। ম্যাট্রিমনি শব্দটি বিশেষ ভাবে তাদের কাছেই বেশী পরিচিত যারা অনলাইনে সক্রিয় থাকেন।

কেননা বাংলাদেশের প্রথম ম্যাট্রিমনিয়াল ওয়েব সাইট বিবাহবিডি ডট কম এর যাত্রার পর থেকে বর্তমানে প্রায় ২০০ এর অধিক ছোট ও মাঝারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে এই ধরনে সেবা নিয়ে কাজ করেছে এবং কিছু প্রতিষ্ঠান অনলাইনে খুই সক্রিয় এর মধ্যে বিবাহবিডি অন্যতম।


ম্যাট্রিমনি সার্ভিস ও ম্যাট্রিমোনি সাইট বা ওয়েব পোর্টালের কাজ কি?

বিয়ে বিষয়ক সকল ধরনের সেবা নিশ্চিত করাই একটি আদর্শ ম্যাট্রিমনিয়াল ওয়েব সাইটের উদ্দেশ্য। এক্ষেত্রে বিবাহবিডি ডট কম এর ওয়েব সাইট থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সেবা গুলো উল্লেখ করা হয়েছে –

  • পাত্র পাত্রীর চাহিদা অনুযায়ী যোগ্য জীবনসঙ্গীর সন্ধান নিশ্চিত করা।
  • পাত্রপাত্রী ও তাদের বৈধ অভিভাবকদের জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী সনাক্তকরন ও ক্রস চেক।
  • অনলাইন প্রযুক্তির মাধ্যমে একজন ইউজারকে ঘরে বসেই বিবাহবিডির ডাটাবেইজের সকল প্রোফাইল দেখার   ও পছন্দের প্রোফাইলের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করার সুযোগ।
  • ম্যাচমেকিং ও রয়েল ম্যাচ গ্রাহকদের জন্য কাষ্টমাইজ এসিষ্টেন্সি সার্ভিস ও মিটিং এর আয়োজন করা।
  • ম্যাট্রিমনিয়াল ইনভেষ্টিগেশন বা বিবাহপূর্ব পাত্রপাত্রীর বিষয়ে তথ্য অনুসন্ধান।
  • লিগ্যাল সার্ভিস
  • সার্বোক্ষনিক কল সেন্টার সার্ভিস
ম্যাট্রিমনি সার্ভিস
বাংলাদেশী ম্যাট্রিমনি সার্ভিস

বিবাহবিডি ডট কম দুই ভাবে সেবা প্রদান করে

১) সেলফ সার্ভিসঃ বিবাহবিডির সেলফ সার্ভিস বা স্বপরিবেশন সেবায় এক জন ইউজার নিজেই বিবাহবিডিতে লগইন করে পাত্র পাত্রীদের প্রোফাইল বাছাই করেন। পছন্দের পাত্রপাত্রী বা তাদের অভিভাবকের সাথে সরাসরি নিজেরাই যোগাযোগ করে থাকেন।

২) এসিষ্টেন্স সার্ভিসঃ এসিষ্টেন্স বা সহায়তা পরিসেবায় একজন ইউজারকে বিবাহবিডি ম্যাচমেকিং টিম তার পার্টনার প্রেফারেন্স অনুযায়ী প্রোফাইল পাঠায় এবং ইউজারের সম্মতি নিয়ে পছন্দের পাত্র/পাত্রীর সাথে মিটিং ( ফিজিক্যাল বা ভার্চুয়াল) এর আয়োজন করে । এই সেবার আওতায় একজন ইউজার চাইলে নিজেও অনলাইনে সিভি দেখতে পারেন আবার অফলাইনে থেকেও সেবা পেতে পারেন।

যে ধরনের পাত্রপাত্রীর প্রোফাইল পাবেনঃ

৮৪ টি প্রফেশন ক্যাটাগরীর, যেকোন শিক্ষাগত যোগ্যতার, যেকোন ধর্মাবলম্বী – গোত্র কিংবা কাষ্টের, যেকোন বয়সের অবিবাহিত, ডিভোর্স,  বিধবা, বিপত্নীক, বাংলাদেশের যেকোন জেলার অধিবাসী, এবং বিশ্বের প্রায় ১৫০ টি দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশী।  তাছাড়াও বিবাহ বিডিতে রয়েছে কিছু ষ্পেশাল সার্চ ক্যাটাগরী যেমন – ডিসেবেলীটিস সার্চ (শারীরিক বা স্বাস্থ্যগত প্রতিবন্ধকতা আছে এমন), সিঙ্গেল ফাদার / মাদার  সার্চ ( ডিভোর্স কিংবা বিধবা/বিপত্নীক ও সন্তান আছে এমন )।

কেন বিবাহবিডিতে পাত্র/পাত্রী খুঁজবেনঃ

জীবন একটাই  আর একটি সুখী ও সুন্দর জীবনের জন্য চাই একজন সুন্দর মনের মানুষ। অসংখ্য প্রোফাইল দেখে সঠিক সিদ্ধান্তে পৌছাতে নিজেই বিবাহবিডিতে প্রোফাইল করুন, নিজেই খুঁজুন এবং নিজেরাই পাত্র/পাত্রী কিংবা তাদের অভিভাবকের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করুন।  এতে লোক জানাজানির ঝামেলা যেমন নেই তেমনি খরচ ও অনেক কম।

যারা দাম্পত্য জীবনে সেপারেটেড আছেন কিংবা ইতিমধ্যে ডিভোর্স নিয়েছেন, তাদের জন্য বিবাহবিডিতে রয়েছে – ম্যারিটাল ষ্টেটাস সার্চ ও ইজি সার্চ  অপশন যেখানে খুব সহজেই ডিভোর্স, বিধবা/বিপত্নীক, সেপারেটেড সহ [সিংগেল ফাদার] , [সিংগেল মাদার] প্রোফাইল গুলো ক্যাটাগরী অনুযায়ি সুবিন্যস্ত রয়েছে।

আপনি যদি বিয়ের ব্যাপারে সিরিয়াস হয়ে থাকেন তবে রেজিষ্ট্রেশন করতে এখনি লগ ইন করুন

ডিভোর্স কেন হয় ?

ইশতিয়াক আর সোনিয়া। দুজনই ঢাকা বিশ্বাবিদ্যালয় থেকে এমবিএ করেছেন। ছিলেন ব্যাচমেট। বন্ধুত্ব থেকে প্রেমে গড়িয়ে শেষমেশ সফল পরিণতি। একজন একটা মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানীতে কাজ করছেন বেশ ক বছর হল। আর সোনিয়া আছেন একটা ব্যাংকে। পরিবারে আর্থিক টানাপড়েন নেই। সমস্যা সময় নিয়ে।

ইশতিয়াকের মিটিং থাকলে ফিরতে রাত হয়। সেখানে সোনিয়া আগেই ফিরে বসে থাকেন মনমরা হয়ে। আর বাসায় এসে ইশতিয়াকের গভীর রাত অবধি অফিসের কাজ করার জন্য সোনিয়ার তো পর্বতসমান ক্ষোভ। অন্যদিকে কাজের ফাঁকে ইশতিয়াক হয়ত ফোন দিয়েছেন সেনিয়াকে। কিন্তু অফিসে এত ব্যস্ত সময় কাটে যে সোনিয়া হাই-হ্যালোর বেশি কথাই বলতে পারেন না। এসব নিয়ে বেশকিছুদিন ধরে মনোমালিন্য চলছে তাদের মধ্যে।  সম্পর্কটাও কেমন যেন একেবারেই থমকে গেছে। তবে কি ডিভোর্সে এর সমাপ্তি?

অপরদিকে চল্লিশোর্ধ রায়হান সাহেবের প্রমোশন হচ্ছে না পাঁচ বছর।বসের সাথে ঝামেলা। সন্তানেরা বড় হচ্ছে। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চাহিদাও বাড়ছে।রায়হান সাহেবের উপায় কী? এমনকি স্ট্রেস সামলাতে না পেরে ইদানীং স্ত্রীর গায়ে হাতও তুলছেন। ফলে স্ত্রী সন্তানসহ আলাদা হয়ে যাবেন বলে সরাসরি বলে দিয়েছেন। আইনী পরিভাষায় যা ডিভোর্স।

মনোবৈজ্ঞানিক গবেষণায় ডিভোর্সের পেছনের কিছু কারণ উঠে এসেছে। আর্থ-সামাজিক কারণগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সাধারণত আর্থ-সামাজিক ইস্যু পরিমাপের পদ্ধতি হল শিক্ষা আর উপার্জন। গবেষণায় দেখা গেছে, সাধারণত উচ্চবিত্ত ও উচ্চশিক্ষিত দম্পতিরা তাদের আবেগ, সময়, পার্টনারের আত্মকেন্দ্রিকতা, অসামঞ্জস্যতা, ভালোবাসার অভাব ইত্যাদির সাথে আপস করে না এবং শান্তিপূর্ণ বিচ্ছেদের দিকে এগিয়ে যায়।

অন্যদিকে আর্থ-সামাজিক মাপকাঠিতে নিজের সারিতে যারা রয়েছে তাদের বিচ্ছেদের কারণগুলো কখনও আর্থিক, কখনও নির্যাতন, কখনও বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক অথবা মাদকাসক্তি।

বিবাহবিচ্ছেদের আরও কিছু ব্যবহারিক নির্ধারক রয়েছে। কে কত বছর বয়সে বিয়ে করেছে, সাংসারিক জীবন কত বছরের কিংবা সন্তানের সংখ্যা বা সন্তানের বয়স। সাধারণত অল্প বয়সের বিয়ে সাংসারিক জীবনের আয়ু বাড়ায়। এখানে বিচ্ছেদের ঝুঁকি থেকে যায়। কারণ হিসেবে গবেষকেরা যে বিষয়গুলোকে সামনে এনেছেন সেগুলো হল, মানসিক অপরিপক্বতা, অস্থায়ী চাকরি ইত্যাদি। এছাড়া অল্প বয়সে লাইফ পার্টনারকে বুঝেই বা ওঠা যায় কতটুকু?

ফলে তুলনামূলক পরিণত বয়সে বিয়ে অনেক জটিলতা থেকে বাঁচিয়ে দিতে পারে। অনেক সময় আমরা খুব দ্রুত দম্পতিদের ডিভোর্সের পথ বেছে নিতে দেখি। এর পেছনে যেসব করণ রয়েছে বলে মনে করা যায় সেসব হল, পার্টনারদের মাঝে পারস্পরিক মৌলিক সামঞ্জস্য আবিষ্কারে ব্যর্থ হওয়া, মূল্যবোধের সংঘাত এবং ব্যক্তিত্বের দ্বন্দ্ব।

আবার দীর্ঘসময় দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত করা মানুষদের যে ডিভোর্স হচ্ছে না তা নয়। সেক্ষেত্রে কারণগুলোও ভিন্ন। যেমন, সন্তান প্রতিপালনে বেশি মনোযোগ দিতে গিয়ে জীবনের সব কিছু থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে একসময় হতাশায় ভোগা, সম্পর্কের মাঝে কোন নতুনত্ব খুঁজে না পেয়ে একচক্রে ঘুরপাক খেতে খেতে ইদানীং অনেক দীর্ঘ সংসার ভেঙে যাচ্ছে। পাশ্চাত্যের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও এমন ঘটনা হরহামেশা ঘটছে।

এছাড়া লাইফ পার্টনার ব্যতীত গোপন অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে ডিভোর্সের মূল কারণগুলোর একটা বড় অংশজুড়ে। এর সাথে শারীরিক নির্যাতনও রয়েছে কারণ হিসেবে। গবেষণায় এসেছে, স্ত্রীর গায়ে হাত তোলার ব্যাপারে বাংলাদেশ প্রথম।

উক্ত বিষয়গুলো পাশ্চাত্যের গবেষণায় দেখা গেছে। আবার বাংলাদেশেও ডিভোর্সের কারণ হিসেবে এগুলোই উল্লেখযোগ্য। সম্পর্কের অবনতি আমাদের কারোরই কাম্য নয়, তেমনই অনেকে সামাজিকভাবে অথবা অর্থনৈতিক টানাপড়েনের ভয়ে কষ্টকর একটা সামাজিক সম্পর্কের জের টেনে বেড়ায়-সেটাও কাঙ্ক্ষিত নয়।

বিয়ে ভেঙে যাওয়া মানে ভালোবাসা শেষ হয়ে যাওয়া নয়। এর মানে একজন আরেকজনকে আর ঘৃণা না করা। অনেকেই বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর অনুশোচনায় ভোগে অথবা একটি অবাঞ্ছিত সম্পর্ক বয়ে নিয়ে কষ্টে থাকে। তাই এ রকম সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সবার সাথে পরামর্শ এবং সব ধরণের পরিস্থিতি বিবেচনা করা অনেক জরুরী।

লিখেছেনঃ  এ্যানি বাড়ৈ | সাইকোলজিক্যাল কাউন্সেলর, আপন

লাভ ম্যারেজ নাকি অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ

অজানা-অচেনা মানুষকে হুট করে বিয়ে করতে নারাজ থাকেন অনেকেই। আবার দীর্ঘদিনের চেনা মানুষটির সঙ্গেও বিয়ের পর বিবাহবিচ্ছেদ হতে পারে। এমনও জুটি আছেন, যাদের রীতিমতো সম্বন্ধ করে বিয়ে হয়েছে কিন্তু তারা আগে হয়তো একে অন্যকে চিনতেন না। তবে বিয়ের পর সম্পর্কে কোনোদিন ভাঙন ধরেনি!

আসলে দাম্পত্য জীবন নিয়ে আগে থেকেই কোনো ধারণা করা উচিত নয়। সবাই সুখী হতে চায়, কেউ সুখী হয়; কেউ হয় না। তবে লাভ ম্যারেজ হওয়ার পর দাম্পত্য কলহ বা বিচ্ছেদের বিষয়টি সবারই নজর কাড়ে।

এজন্য গুরুজনেরা বলে থাকেন, প্রেমের বিয়ে টিকবে না! কেউ কিন্তু বলে না অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ টিকবে না! বরং গুরুজনেরাই উপদেশ দিয়ে থাকেন, সম্বন্ধের বিয়ে স্থায়ী হয়। অনেকেই ভেবে থাকেন, তাহলে কোন বিয়েতে সুখী হওয়া যায় লাভ না-কি অ্যারেঞ্জ?

যেভাবেই বিয়ে হোক, সুখী দাম্পত্য জীবন উপভোগ করতে হবে 

সম্বন্ধ করে বিয়ে ঠিক হলেও আগে কয়েক বছর চুটিয়ে প্রেম করুন। এতেই বুঝতে ও চিনতে পারবেন পরস্পরকে। এর ধারণা পাবেন, বিয়ের পরে আপনাদের সম্পর্কটা কেমন হবে।

দু’জন আলাদা মানুষ যখন একসঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন; তখন পরস্পরের পছন্দ-অপছন্দ মেনে নিয়ে চলতে হবে। একে অন্যের সঙ্গে ভালোভাবে মিশে বিয়ে করলেও মনে রাখা জরুরি, আপনি যেমন আপনার সঙ্গী তেমন নাও হতে পারেন!

লাভ ম্যারেজের ক্ষেত্রে একটি বিষয় মাথায় রাখুন, বিয়ের আগে ও পরে কিন্তু পরিস্থিতি বদলায়। বিয়ের আগে যদি প্রেমিক আপনাকে সারাদিন ফোন করত কিন্তু বিয়ের পর যখন সে দিনে ২ বার ফোন করবে; তখন বিষয়গুলো মানিয়ে না নিলেই কলহ হবে।

প্রেমের সময় অনেকেই সঙ্গীকে নানাভাবে সুখী করার স্বপ্ন দেখায়। লাভ ম্যারেজের পর দেখা যায় সেসব আর ঘটে না; তখন সঙ্গী সেগুলো মনে করিয়ে দিয়ে কলহ সৃষ্টি হতে পারে। তাই লাভ ম্যারেজ করার আগে বিষয়গুলো নিয়ে একবার ভেবে দেখবেন।

আবার বিয়ে করার আগে

সঙ্গী হারালে জীবন স্থবির হয়ে পড়ে। বিচ্ছেদ বা মৃত্যুর ঘটনায় কেউ জীবনসঙ্গীকে হারাতে পারেন। কিন্তু জীবন তো থেমে থাকে না। আর জীবনের প্রয়োজনেই অনেকে বিয়ে করার কথা ভাবেন। কিন্তু চাইলেই কি সব সহজভাবে মেলে?  মা-বাবা-সন্তানের কথা ভেবে তখন সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগতে হয়। সন্তান, নাকি নিজের জীবন, কোনটাকে প্রাধান্য দেবেন? সমাজও অনেক সময় মনে করে, সঙ্গীবিহীন অবস্থায় জীবনযাপন কষ্টকর। তবে মনে রাখতে হবে, স্ত্রী থাকা অবস্থায় বা তাঁকে না জানিয়ে বিয়ে করলে সেটি দণ্ডনীয় অপরাধ।

অনেক সময় স্ত্রীর মৃত্যু বা বিবাহবিচ্ছেদের পর সন্তানকে না জানিয়ে হুট করে সংসারে নতুন সঙ্গীকে নিয়ে আসেন অনেকে। এটি সন্তানের মনোজগতে প্রভাব ফেলে। আকস্মিক এই আঘাত সে মেনে নিতে পারে না। পারিবারিক সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়। এসব পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব যদি ভাবনার শুরু থেকেই সন্তানের কাছে বিষয়টি গ্রহণযোগ্য করে তোলা যায়। সন্তানের সিদ্ধান্তকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে। মানবিক সম্পর্কের এই জায়গাগুলো বেশ জটিল। মনোজগতে নানা ধরনের আলোড়ন চলতে থাকে। তাই বড়দের বেশি ধৈর্য ধরতে হবে।

অনেক সময় শিশুটি নিজের মা-বাবার জায়গায় নতুন ব্যক্তিটিকে পছন্দ করতে পারে না। নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। এ ক্ষেত্রে মা-বাবাকে এগিয়ে আসতে হবে। কোনোভাবেই সন্তান যেন মানসিক চাপ বোধ না করে। সন্তানকে বোঝাতে হবে, এই বিষয়ে সে-ই মূল সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী। তার ইচ্ছা-অনিচ্ছাই সব। নতুন সঙ্গীর সঙ্গে বন্ধুত্বের শুরুতে তাকে সব বুঝিয়ে বলুন।

সন্তানের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিন। আপনার সন্তানের সঙ্গে তাঁর বোঝাপড়া ভালো হলে বা বন্ধুত্ব গড়ে উঠলে সিদ্ধান্ত নিতে সহজ হবে। বিয়ের পর মা-বাবার উচিত সন্তানকে পর্যাপ্ত সময় দেওয়া। আগের মতো পারিবারিক আবহ বজায় রাখতে হবে। নতুন বাড়িতে উঠলে সেটিতে সে যেন পুরোনো পরিবেশ খুঁজে পায়, সে ব্যবস্থা করতে হবে। হুট করেই তার আগের সব অভ্যাস পরিবর্তনের কথা বলা যাবে না। কেননা, শিশুটির হয়তো মা-বাবার সঙ্গে ঘুমানো অভ্যাস। তাকে যদি আলাদা ঘরে থাকতে বলা হয়, তখন সে ভাববে নতুন মানুষটির কারণে তার সব হারাতে হচ্ছে। সন্তানের সীমাবদ্ধতা, পছন্দ-অপছন্দ সব আগেই নতুন সঙ্গীকে জানিয়ে দিতে হবে। যদি দুপক্ষেরই সন্তান থাকে, তাহলে তাদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ করা যাবে না। কোনো ঝামেলা হলে এর মধ্যে মা-বাবার প্রবেশ না করাই ভালো। খুব ভালো হয় বিয়ের আগের একে-অপরের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলে। এমনকি বিয়ের দিনও কৌশলী হতে হবে। যাতে সন্তান মনে করে সে-ই সবচেয়ে প্রাধান্য পাচ্ছে এবং সে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।

নতুন সঙ্গীকে সন্তানের কাছে আস্থাভাজন হতে হবে। মা-বাবার বিয়ের পর সন্তান যেন নিজেকে বাইরের কেউ মনে না করে। শিশুর মনস্তত্ত্ব মা-বাবাই সবচেয়ে ভালো বোঝেন। তবু এ সময় বাড়তি যত্ন নিতে হবে। আগের চেয়ে অনেক বেশি দায়িত্বশীল হতে হবে তাঁদের। প্রাপ্তবয়স্ক ছেলেমেয়েরও শুরুতে মা-বাবাকে ভুল বোঝা উচিত নয়। মনে কোনো প্রশ্ন না রেখে সরাসরি কথা বললে সম্পর্কে ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হবে না।

সুত্রঃ প্রথম আলো
লিখেছেনঃ তৌহিদা শিরোপা | জুন ০৬, ২০১৬

কিভাবে পছন্দের প্রোফাইলের সাথে যোগাযোগ করবেন

আপনি কয়েকটি প্রন্থায় বিবাহবিডির ইউজারদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন –

১) প্রোপোজাল পাঠিয়েঃ
আপনার কাছে আসা প্রোপোজাল গুলো এক্সেপ্ট করুন এবং এক্সেপ্ট করার পর প্রোফাইল টি পুনরায় ওপেন করার পর ঐ প্রোফাইলের নীচে ইউজারের কন্টাক্ট ইনফরমেশন পাওয়া যাবে।

ছবিতে দেখুনঃ

২) ম্যাসেজ লিখেঃআপনি আপনার যোগাযোগের সকল তথ্য দিয়ে (ফোন নাম্বার, ইমেইল, এড্রেস) সরাসরি আপনার পছন্দের ইউজারকে ম্যাসেজ লিখতে পারেন এ ক্ষেত্রে ঐ ইউজারকেও বিবাহবিডির কোন একটি মেম্বারশীপে থাকতে হবে।  ছবিতে দেখুনঃ

৩) সরাসরি কন্টাক্ট ডিটেইল পিক করেঃ আপনার পছন্দের কোন ইউজারের কন্টাক্ট ডিটেইলস (ফোন নাম্বার, অল্টারনেটিভ ফোন নাম্বার, ইমেইল, বর্তমান ঠিকানা, স্থায়ী ঠিকানা ) নিতে হলে তার প্রোফাইল ওপেন করুন –

ছবিতে দেখুনঃ