নৈতিক স্খলনে বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদ

মনোরোগ চিকিৎসক মোহিত কামালের মতে, নৈতিক স্খলনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনা। তাঁর মতে, প্রবাসীদের সঙ্গে স্ত্রীর বিয়ে বাড়ছে মূলত সন্দেহ-অবিশ্বাস থেকে। বিদেশে হাড়ভাঙা খাটুনির পর স্ত্রীর সঙ্গ পান না তাঁরা। এমনকি তাঁদের জীবনে অন্য কোনো বিনোদনও নেই। দেশে স্ত্রী কী করছে এই চিন্তায় অস্থির থাকেন তাঁরা। তার ওপর দেশ থেকে অনেক সময় বাবা-মা বা ভাইয়েরা তাঁর স্ত্রীর আচরণ সম্পর্কে নানা অভিযোগ করেন। এগুলো তাঁর মনকে বিষিয়ে দেয়।

স্ত্রীকে ফোন করে তাঁরা তখন কটুকাটব্য করতে থাকেন। এতে সম্পর্ক তিক্ত হয়ে পড়ে। তবে এ কথাও ঠিক, দীর্ঘকাল স্বামীর অনুপস্থিতিতে অনেকে বিবাহ- বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এটা একটা জৈবিক কারণ। স্বামীর অনুপস্থিতিতে এই জৈবতাড়নাই তাঁকে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়তে প্ররোচিত করে। পোশাক-কর্মীদের মতো যাঁরা নিম্নআয়ের মহিলা, অনেক দরিদ্র পুরুষই তাঁদের বিয়ে করেন অর্থনৈতিক সুবিধা লাভের জন্য। অনেক সময় স্ত্রীর টাকায় নেশা করেন অনেকে, কেউ বা গোপনে অন্য নারীতে আসক্ত হয়ে পড়েন। এই মেয়েরা এখন অর্থনৈতিকভাবে কিছুটা হলেও স্বাবলম্বী। তাঁরা এ অন্যায় মুখ বুজে সহ্য করেন না। তাই বিবাহবিচ্ছেদ ঘটানোর মতো সিদ্ধান্ত নেন।

উচ্চবিত্ত পরিবারের ক্ষেত্রে দেখা যায় স্বামী ব্যবসা বা বড় চাকরি করেন। নিয়মিত মদ্য পান করাকে সোশ্যাল স্ট্যাটাসের অন্তর্ভুক্ত মনে করেন। মদ্যপ অবস্থায় স্ত্রীর ওপর শারীরিক-মানসিক নির্যাতন করেন। এ ছাড়া এ শ্রেণীর মেয়েদের মধ্যেও নানা হতাশা থেকে বিয়ে-বহির্ভূত সম্পর্ক স্থাপনের অনেক নজির আছে। সব মিলিয়ে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে চিড় ধরে, যার অনিবার্য ফল বিবাহবিচ্ছেদ।
মাদকাসক্তি ও যৌতুকের মতো সামাজিক ক্ষত সারানো গেলে বিবাহবিচ্ছেদ অনেকাংশে কমবে বলে মনে করেন মোহিত কামাল। তাঁর মতে সমাজে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। এ ছাড়া আর কোনো নিদান নেই।

মোহিত কামাল, মনোরোগ চিকিৎসক
সুত্রঃ প্রথম আলো 

আবার বিয়ে, বাচ্চা নিয়ে চিন্তা!

একা একা জীবন পার করা যায়। তবে একজন সঙ্গী থাকলে ক্লান্তি ভর করে না। তাই পুনরায় কোনো সম্পর্ক শুরু করার আগে চাই সন্তানের পূর্ণ সমর্থন।

বেশ কয়েক বছর আগে দ্বিতীয় বিয়ে করেন মাহফুজ। তার স্ত্রী মারা যাওয়ার সময় তাদের ছেলেটির বয়স ছিল ৪ বছর। পারিবারিক চাপে আবার বিয়েতে সম্মতি দেন। যিনি দ্বিতীয় স্ত্রী হয়ে আসেন তারও ছিল দ্বিতীয় বিয়ে। আগের ঘরে একটি মেয়ে আছে তার।

বাবার বিয়ের কথা অন্যদের মুখে শুনে মাহফুজের ছেলেটি তার কাছ থেকে দূরে সরে যেতে থাকে। তিনিও নিজের বিয়ের কথা সন্তানকে সরাসরি বলতে পারেননি।

মাহফুজ বলেন, “ভেবেছিলাম, ও তো ছোট, তেমন কোনো সমস্যা হবে না। সে সময় সবাই এমনটাই বলেছিল। তবে ছেলেটি কেমন চুপচাপ হয়ে গেল। আমার দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে বোঝাপড়া ভালো হল না তার। স্ত্রীও তার মেয়েটিকেই বেশি যত্ন করত। বড় হওয়ার পর ছেলেটি আমাকে ছেড়ে চলে যায়। ওকে আসলে বুঝতে পারিনি আমি। ওর অভিমান বুঝতে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল।”

বিচ্ছেদ কিংবা মৃত্যু- প্রিয়জনকে হারিয়ে জীবন অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়ে। তবু থেমে থাকে না জীবন। চলে যায় অমোঘ নিয়মে। এ চলার পথেই হয়তো নতুন সঙ্গীর প্রয়োজন পড়ে। অনেকেই এ সময় সন্তানের কথা ভেবে সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগেন— সন্তান নাকি নিজের জীবন কোনটা প্রাধান্য দেবেন? বাবা অথবা মায়ের নতুন সঙ্গীকে সব সময় মেনে নিতে পারে না সন্তান।

এসব পরিস্থিতি অনেকটা এড়ানো সম্ভব, যদি শুরুতেই বিষয়টি সন্তানের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করা যায়। এক্ষেত্রে সন্তানের সিদ্ধান্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে। নাট্যব্যক্তিত্ব সারা যাকের বলেন, “মানুষের এসব সম্পর্কের জায়গা বেশ জটিল। মনোজগতে নানান ধরনের আলোড়ন চলতে থাকে। এ সমাজে বাবার আবার বিয়ে যদিও সন্তানদের কাছে নতুন কিছু নয়। তবে মায়ের দ্বিতীয় বিয়ে এখনও অপ্রত্যাশিতই। একজন মানুষ একা হয়তো তার জীবন পাড়ি দিতে পারে। তবে তার চলার পথে বন্ধু বা একজন সঙ্গী থাকলে ক্লান্তি ভর করে না।”

সমাজকেও এই বিষয়ে উদার হতে হবে। এটি মনে করা অন্যায় যে সঙ্গীবিহীন অবস্থায় মানুষকে থাকতে হবে। তবে মনে রাখতে হবে, স্ত্রী থাকা অবস্থায় বা তাকে না জানিয়ে বিয়ে করা দণ্ডনীয় অপরাধ।

স্ত্রীর মৃত্যু বা বিবাহ বিচ্ছেদের পর সন্তানকে না জানিয়ে হুট করে সংসারে নতুন সঙ্গী নিয়ে আসেন অনেকে। যা সন্তানের মনোজগতে প্রভাব ফেলে। আকস্মিক এ আঘাত সে মেনে নিতে পারে না। পারিবারিক সম্পর্কে টানাপড়েন শুরু হয়। এ ক্ষেত্রে মা-বাবা যদি আগেই সন্তানের সঙ্গে পুরো বিষয়টি নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করে নেন, তাহলে পরে সমস্যায় পড়তে হবে না।

অভিনয়শিল্পী রোকেয়া প্রাচী বলেন, “একটা ছোট শিশুরও মনস্তাত্বিক ব্যাখ্যা থাকে। তাই সন্তানকে বোঝাতে হবে, এ বিষয়ে সে-ই মূল সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী। তার ইচ্ছা-অনিচ্ছাই সব। নতুন সঙ্গী নিয়ে সংসার শুরুর সময়ই সন্তানকে সব বুঝিয়ে বলুন। তাকে পরিচয় করিয়ে দিন। সন্তানের সঙ্গে নতুন মানুষের বোঝাপড়া ভালো হলে বা বন্ধুত্ব গড়ে উঠলে সিদ্ধান্ত নিতে সহজ হবে।”

প্রাচী আরও বলেন, “মা-বাবার পুনরায় বিয়ের পর সন্তানকে পর্যাপ্ত সময় দেওয়া উচিত। আগের মতো পারিবারিক আবহ বজায় রাখতে হবে। নতুন বাড়িতে উঠলে সেখানে সন্তান যেন পুরানো পরিবেশ খুঁজে পায়, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। হুট করেই তার আগের সব অভ্যাস পরিবর্তনের কথা বলা যাবে না। শিশুর হয়তো মা-বাবার সঙ্গে ঘুমানোর অভ্যাস। তাকে যদি আলাদা ঘরে থাকতে বলা হয়, তখন সে ভাববে, নতুন মানুষের কারণে তার সব হারাতে হচ্ছে।”

সন্তানের সীমাবদ্ধতা, পছন্দ-অপছন্দ— সব আগেই নতুন সঙ্গীকে জানিয়ে দিতে হবে। যদি দুই পক্ষেরই আগের ঘরের সন্তান থাকে, তাহলে যথেষ্ট সহনশীল হওয়া উচিত। কোনো ভেদাভেদ করা যাবে না। বাচ্চাদের মধ্যে কোনো ঝামেলা হলে তাদেরই সমাধান করতে দিন। এক্ষেত্রে বিয়ের আগেই দুই পক্ষের সন্তানের মধ্যে পরিচয় করিয়ে দেওয়া সবচেয়ে ভালো।

এই অভিনয়শিল্পী মতে, “বিয়ের দিনও কৌশলী হতে হবে। সন্তান যাতে মনে করে সেই-ই সবচেয়ে প্রাধান্য পাচ্ছে এবং সে একজন গুরুত্বপূর্ণ মানুষ। আসল কথা হল, সন্তান যারই হোক সে যেন বুঝতে পারে তার জীবনে নানান প্রাপ্তি যোগ হচ্ছে। বিনিময়ে কিছুই হারাতে হচ্ছে না। তাহলে পরিবারে সুখ-শান্তি থাকবে।”

সবচেয়ে বড় কথা হল, সবাইকে নিয়েই পরিবার। দ্বিতীয় বিয়ের পর স্বামী এবং স্ত্রী দুজনকেই সহনশীল হয়ে সংসার করতে হবে। আগের ঘরের সন্তান থাকলে তাকে সমান গুরুত্ব দিতে হবে। যত কারণই হোক, সুখি হওয়ার জন্যই মানুষ পুনরায় জীবন শুরু করে। আর পরিবারের সবাইকে নিয়েই সেটা সম্ভব।

ফিচারঃ বিডি নিউজ ২৪
ছবি : অপূর্ব খন্দকার

হু হু করে বয়স বেড়ে যাচ্ছে মনের মত জীবন সঙ্গী পেয়েছেন কি?

আপনি কি আপনার পরিবারের কোন সদস্যের জন্য ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যাংকার অথবা পছন্দের কোন প্রফেশনের  পাত্র/পাত্রী খুঁজছেন? তাহলে  নিশ্চিন্তে লগ ইন করুন বাংলাদেশের লিডিং ম্যাট্রিমিনিয়াল পোর্টাল  বিবাহবিডি ডট কম এ,  ২০০৯ সাল থেকে বিবাহবিডির সেবা নিয়েছে ১০,০০০ এর বেশী উচ্চ শিক্ষিত পরিবার।

বিবাহবিডি (বিবাহবিডি ডট কম) আপনার শতভাগ সেবা নিশ্চিত করতে  ২৪ ঘন্টা ৭ দিনই  প্রস্তুত আছে। এ সেবাটি সম্পূর্ন অনলাইন বেইজ  এবং  ১০০ ভাগ সেলফ সার্ভিস। ঘরে বসেই অনলাইনে রেজিষ্ট্রেশন করে নিজের মত করে প্রফেশন, এডুকেশন ব্যাকগ্রাউন্ড অনুযায়ী প্রতিষ্ঠিত পাত্র/পাত্রীর প্রোফাইল গুলো দেখে সহজেই বাচাই করে সরাসরি পাত্র/পাত্রী বা তার অভিভাবকের সাথে  নিজেই যোগাযোগ করতে পারবেন এবং তা অতি দ্রুত সময়ের মধ্যেই।

তাছাড়াও বিবাহবিডিতে আপনার অথবা  আপনার পরিবারের সদস্যের প্রোফাইলটি দেখে আপনাদের চাহিদা অনুযায়ী পাত্র/পাত্রী বা তাদের অভিভাবকেরাও সরাসরি আপনার সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবে।

আপনি কেন  বিবাহবিডিতে পাত্র/পাত্রী খুঁজবেন ?

  • বিবাহবিডি সম্পূর্ন একটি সেলফ সার্ভিস। যেখানে পাত্র/পাত্রী কিংবা অভিভাবকেরা অনলাইনে ফ্রী রেজিষ্ট্রেশন করে ৩ দিনের ট্রায়াল মেম্বারশীপ নিয়ে, নিজেরাই পাত্রপাত্রীর প্রোফাইল দেখে বাছাই করেন এবং পরবর্তীতে পছন্দের পাত্র/পাত্রী কিংবা তাদের অভিভাবকের সাথে নিজেরাই সরাসরি যোগাযোগ করে থাকেন।
  • প্রফেশন অনুযায়ী, অবিবাহিত,  ডিভোর্স, বিধবা/বিপত্নীক  পাত্র/পাত্রী খুঁজতে
  • প্রবাসী প্রতিষ্ঠিত পাত্র/পাত্রী খুঁজতে
  • বাংলাদেশের যে কোন জেলার প্রতিষ্ঠিত পাত্র/পাত্রী খুঁজতে

বিবাহবিডিতে আসা প্রোফাইল গুলো যাচাই হয় কিভাবে?

  • বিবাহবিডি ডট কম এ আছে (২৪/৭ দিন) এক্সপার্ট কাষ্টমার সাপোর্ট টিম। একটি প্রোফাইল আসার সাথে সাথেই আমাদের কাষ্টমার সাপোর্ট প্রোফাইলটিকে  বেশ কিছু পন্থায় যাচাই করে থাকে এবং পাত্র-পাত্রী ও অভিভাবকের সাথে সরাসরি ফোনে কথা বলে তার প্রদত্ত প্রত্যেকটি তথ্য সম্পূর্ন নিশ্চিত হয়ে তারপরই একটি প্রোফাইল এক্টিভ করে।

বিবাহবিডিতে প্রোফাইল প্রোফাইল করতে কি কি যোগ্যতা প্রয়োজন?

  • বিবাহবিডি ডট কম ছেলেদের  ক্ষেত্রে  শিক্ষাগত যোগ্যতা নূন্যতম ব্যাচেলর ডিগ্রী সহ চাকুরীজীবি কিংবা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠিত।
  • ডিভোর্স/ বিধবা কিংবা অবিবাহিত মেয়েদের ক্ষেত্রে নূন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা ইন্টারমিডিয়েট।

৩ দিন ফ্রী মেম্বারশীপের মেয়াদ কালীন সময়ে আপনি বিবাহবিডির সবগুলো প্রোফাইল দেখে পছন্দের প্রোফাইল গুলোকে (শর্টলিষ্ট/ ফেভারিট) করে নিতে পারবেন ।

কিভাবে পছন্দের কারো সাথে যোগাযোগ করবেন ?
বিবাহবিডি ডট কমের  রয়েছে  ৪ টি প্যাকেজ । অনিক্স, রুবী, পার্ল, ডায়ামন্ড। এই চারটি প্যাকেজের যে কোন একটি কিনে আপনি পছন্দের যে কারো সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবেন ।  

কোন প্যাকেজের কি কি সুবিধা ?
প্যাকেজ অনুযায়ী আপনি সয়ংক্রিয় ভাবে যোগাযোগের তথ্য পাবেনঃ

অনিক্স মেম্বারশীপ – মেয়াদ ৪৫ দিন – পছন্দের ৩ জনের সাথে যোগাযোগের তথ্য
রুবী মেম্বারশীপ – মেয়াদ ৯০ দিন  – পছন্দের ১০ জনের সাথে যোগাযোগের তথ্য
পার্ল মেম্বারশীপ – মেয়াদ ১৮০ দিন – পছন্দের ২৫ জনের সাথে যোগাযোগের তথ্য
ডায়ামন্ড মেম্বারশীপ – মেয়াদ ১৮০ দিন – পছন্দের ৪০ জনের সাথে যোগাযোগের তথ্য

যোগাযোগের তথ্যঃ  
পাত্র/পাত্রী ও অভিভাবকের ফোন নাম্বার, ইমেইল আইডি,  বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা।

 ** আপনি প্রাইভেসী ফিচার অন করে আপনার যোগাযোগের তথ্য লুকিয়ে রাখতে পারবেন। আপনি না চাইলে কোন ইউজার আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারবে না। 

বিবাহবিডির মুড অফ পেমেন্ট কি? কিভাবে সার্ভিস কেনা যায় ।

  • আপনার যদি ইন্টারনেশনাল পেমেন্ট গেটওয়ে পেপল এর কার্ড কিংবা একাউন্ট থেকে থাকে অথবা
  • বিশ্বের যেকোন দেশ থেকে আপনার  ভিসা, মাষ্টার কার্ড দিয়ে আপনি  অনলাইনেই সার্ভিস কিনতে সক্ষম ।
  • বাংলাদেশের ডাচবাংলা ব্যাংক ও ব্র্যাক ব্যাংকের ডেবিট কার্ড ও ক্রেডিট কার্ড দিয়ে অনলাইনেই সার্ভিস কেনা যায়।
  • আমাদের ৩ টি অনলাইন ব্যাংক একাউন্ট আছে সে গুলোতে সরাসরি ডিপোজিট করে আপনি সার্ভিস কিনতে  পারবেন –  ব্যাংক গুলো – ১)  ডাচ বাংলা ব্যাংক  ২) ব্র্যাক ব্যাংক  ৩) ব্যাংক এশিয়া

বিবাহবিডির বিগত দিনের কার্যক্রমঃ
BIBAHABD CEO @ ATN NEWS Young Nite :

TEAM LEADER @ SATV Web Intro

BIBAHABD UK Coordinator
@ বাংলাদেশ – ইউকে  যৌথ ই-কমার্স ফেয়ার – ২০১৩, গ্লুচেষ্টার মিলিনিয়াম হোটেল, লন্ডন
আয়োজকঃ গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, আইসিইটি মন্ত্রনালয় ও কম্পিউটার জগত


ডিসি, ঢাকা ও তথ্য মন্ত্রনালয় আয়োজিত ডিজিটাল ইনোভেশন ফেয়ার – ২০১৩,
পাব্লিক লাইব্রেরী চত্তর, শাহবাগ – ঢাকা
 

ডিজিটাল ইনোভেশন ফেয়ার – ২০১৩, বাঁ থেকে –
CEO BIBAHABD, DC – DHAKA,  Information Secretary – N.I Khan

7-9 Feb, 2013 পাব্লিক লাইব্রেরী প্রঙ্গনে : ই-বাণিজ্য মেলায় BIBAHABD.COM এর ষ্টল ।

বেসিস সফট এক্সপো ২০১২, বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক  সম্মেলন কেন্দ্র, ঢাকা

 

বেসিস সফট এক্সপো ২০০৯, বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র, ঢাকা

বিভিন্ন সময় আমাদের নিউজ কভারেজ এর স্ক্রীন শর্ট দেখতে ক্লিক করুনঃ এইখানে 

বিবাহবিডি ডট কমে রেজিষ্ট্রেশন করে ফ্রী ৩ দিন ট্রায়াল মেম্বারশীপের জন্য
নীচের ছবিতে ক্লিক করুনঃ

কীভাবে বুঝবেন বিয়ে টিকছে না?

বিশ্বে গত কয়েক বছরে বিবাহবিচ্ছেদের হার আতঙ্কজনকভাবে বেড়ে গেছে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় বিয়ের পর যত দিন গড়াতে থাকে পারস্পরিক সহমর্মিতা কিংবা আকর্ষণবোধ ধীরে ধীরে ফিকে হতে থাকে। স্বামী বা স্ত্রীর ছোটখাটো খুঁত আস্তে আস্তে বড় হয়ে দেখা দিতে থাকে। এক সময় দাম্পত্যের বন্ধনকে বোঝা মনে হয়। ভারমুক্তির জন্য তখন বিবাহবিচ্ছেদ ছাড়া আর উপায় থাকে না।
আপনার যদি মনে হয় স্বামী বা স্ত্রীর সঙ্গে আগের মতো আর আপনার তাল মিলছে না, সম্পর্কে তিক্ততা বেড়েই চলেছে; তাহলে ধরে নিতে পারেন আপনার দাম্পত্যজীবন ঝুঁকির মধ্যে। পরিস্থিতি ডিভোর্সের মতো বেদনাদায়ক পর্যায়ে গড়াতে পারে।
এ অবস্থায় আপনার বিয়েটা শেষ পর্যন্ত টিকবে কি না, তা বুঝতে নিচের সাধারণ লক্ষণগুলো আপনাকে সাহায্য করবে:

দুটি হৃদয় এখন আর আগের মতো অভিন্ন নয়
বিয়ে মানব-মানবীর হৃদয়ে এক অদৃশ্য বন্ধন তৈরি করে। স্বামী-স্ত্রীর দুই দেহে যেন এক প্রাণ। ভালোবাসার বন্ধন স্বামী-স্ত্রীকে দুঃখ-কষ্টে মানসিকভাবে এক করে রাখে। দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে একজন আরেকজনের ভাগ নেয়; বিশেষ করে, সংসারে সন্তান এলে এই পারস্পরিক দায়িত্বের ভাগাভাগির মানসিকতা বেড়ে যায়। কিন্তু আপনার যদি মনে হয় আগের মতো আর আপনি আপনার স্বামী বা স্ত্রীর প্রতি দায়িত্বশীলতা অনুভব করছেন না, সংসারের কোনো বিষয়ে একা একাই সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন; এমনকি ছুটির দিনে স্বামী বা স্ত্রীকে সময় না দিয়ে একাই বাইরে থেকে বেড়িয়ে আসছেন—তাহলেই বুঝবেন সম্পর্কে বড় ধরনের চিড় ধরেছে। আপনার দাম্পত্য বন্ধন হুমকির মুখে।

প্রতারণা
বর্তমানে যত ডিভোর্সের ঘটনা ঘটছে তার বেশির ভাগেরই মূল কারণ প্রতারণা। পুরোনো একটি প্রবাদ আছে: ‘বিশ্বাস হলো আয়নার মতো। আয়না একবার ভেঙে গেলে তা আপনি জোড়া লাগাতে পারেন, তাতে মুখও দেখতে পারেন। কিন্তু ভাঙা আয়নার ভাঙা দাগ থেকেই যাবে।’ কোনো স্ত্রী যদি স্বামীর সঙ্গে কিংবা কোনো স্বামী যদি তার স্ত্রীর সঙ্গে একবার প্রতারণা করে বা ঠকায়, তাহলে অবিশ্বাসের দাগ প্রতারিত স্বামী বা স্ত্রীর মনে স্থায়ীভাবে গেথে যায়। প্রতারিত স্বামী বা স্ত্রী সব সময় তার সঙ্গীকে সন্দেহের চোখে দেখতে থাকে। ভবিষ্যতে আবার প্রতারিত হওয়ার আশঙ্কা একপর্যায়ে তাকে ডিভোর্সের ফাইলে সই করতে বাধ্য করে।

দুজনের দুই রকমের ভাবনা
বিয়ের পর সাধারণত স্বামী-স্ত্রী দুজনের ভাবনা ও ভবিষ্যত্ পরিকল্পনা অভিন্ন থাকে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই অভিন্ন ভাবনা ভিন্ন হয়ে যেতে পারে। ধরুন, আপনি ঠিক করলেন স্ত্রী-সন্তান নিয়ে উন্নত বিশ্বের কোনো একটি দেশে স্থায়ীভাবে চলে যাবেন। উন্নত জীবনযাপন করবেন। কিন্তু দেখা গেল আপনার স্ত্রী দেশেই ভালো কিছু করার কোনো পরিকল্পনা করে বসে আছেন। এ নিয়ে মনকষাকষি হলে বুঝবেন আপনাদের অভিন্ন ভাবনার জগিট অদৃশ্য আত্মকেন্দ্রিকতার ঘুণে নষ্ট করে ফেলেছে। বুঝবেন আপনাদের পারস্পরিক রোমাঞ্চকর ভাববিনিময়ে ঘাটতি রয়েছে। সর্বোচ্চ ছাড় দিয়ে এই ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব না হলে বিবাহবিচ্ছেদ অবশ্যম্ভাব

পরস্পরকে বোঝার চেষ্টার অভাব
পরস্পরের মধ্যে ভাবনাবিনিময় জোরালো দাম্পত্য সম্পর্কের পূর্বশর্ত। আপনি যদি আপনার স্বামী বা স্ত্রীর সঙ্গে নিজের ভাবনা শেয়ার না করেন, তাঁর সঙ্গে সারাক্ষণ নিরস-নিরুত্তাপ কথাবার্তা বলেন; সংসারের তেল নুন ডালের আলাপ-আলোচনাতেই দিন-রাত পার করেন, তাহলে বুঝবেন সম্পর্কে দূরত্ব বেড়েছে। একঘেয়েমি সাংসারিক আলোচনায় এক সময় হাঁপিয়ে উঠবেন, যা ডিভোর্সের মতো পরিণতি বয়ে আনতে পারে।

সুস্থ যৌন সম্পর্কের ঘাটতি
বিয়ের পরপর যৌন সংসর্গে স্বামী-স্ত্রীর যে আগ্রহ থাকে, সময়ের সঙ্গে সেই আগ্রহে ভাটা পড়া খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু যদি দেখেন যথেষ্ট তারুণ্য ও শারীরিক সক্ষমতা থাকার পরও আপনি আপনার স্বামী বা স্ত্রীর সংসর্গে অনীহা বোধ করছেন, তাহলে বুঝবেন সংসার ভাঙনের পথে। বাস্তবতা হলো স্বামী-স্ত্রীর স্বাভাবিক বন্ধন টিকিয়ে রাখার প্রধান শর্তই হল সুস্থ ও স্বাভাবিক যৌন সম্পর্ক।

অর্থকড়িও কাল হতে পারে
ধরুন স্বামী বা স্ত্রীর সঙ্গে আপনার সম্পর্ক শীতল হয়ে উঠেছে। এ অবস্থায় আপনার স্বামী বা স্ত্রী যদি আপনার উপার্জন, সঞ্চয়, বিনিয়োগ, ঋণ ইত্যাদি নিয়ে হঠাত্ করে বেশি আগ্রহী হয়ে ওঠেন, তাহলে সেটাকে খারাপ লক্ষণ হিসেবে মনে করা যেতে পারে। ডিভোর্সের পর আপনার স্বামী বা স্ত্রী আপনার সম্পদের কতটুকু হিস্যা পাবেন, তা হিসাব-নিকাশ করার জন্যই এমনটা করছেন বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে। মনে রাখবেন, বিয়ের সময় আর্থিক বিষয়টি ততটা বড় হয়ে সামনে না এলেও ডিভোর্সের সময় কোনো পক্ষই ছাড় দেয় না। কড়ায়-গন্ডায় নিজের হিস্যা বুঝে নেয় (অবশ্য এ ধরনের মানসিকতা পশ্চিমাদের মধ্যে প্রকট থাকলেও আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে ততটা নেই)।

আগের চেয়ে ঝগড়াপ্রবণ হয়ে ওঠা
দাম্পত্যজীবনে ভুলবোঝাবুঝি ও ঝগড়া হবেই। তবে স্বাভাবিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই ঝগড়া খুবই ক্ষণস্থায়ী। প্রচণ্ড ঝগড়ার পর দিনের শেষে স্বামী বা স্ত্রীর কানে ফিসফিস করে একটা ‘ম্যাজিক ওয়ার্ড’ উচ্চারণ করলেই সব রাগ এক মুহূর্তে পানি। কিন্তু যদি দেখেন আপনি আপনার স্বামী বা স্ত্রীর সঙ্গে সারাক্ষণই রূঢ় ভাষায় কথা বলছেন। দুজনই খিটমিটে আচরণ করছেন এবং তার জন্য অনুশোচনাবোধ করছেন না। এ অবস্থায় বুঝবেন সম্পর্কের স্থায়িত্ব নিয়ে ভাবার সময় এসে গেছে।

সুত্রঃ প্রথম আলো

সন্তান-সম্ভবা মায়ের নিয়মিত যত্ন ও সন্তানের বৃদ্ধি

মা পৃথিবীর মধুরতম ডাক। আমাদের পৃথিবীর আলো দেখাতে তারা সীমাহীন কষ্ট সহ্য করেন। গর্ভাবস্থায় তাই মায়ের দরকার বাড়তি পুষ্টি, বাড়তি যত্ন। কিন্তু আমরা কি প্রত্যেকে আসলেই জানি সঠিক ভাবে কীভাবে যত্ন নিতে হবে!? মায়ের যত্ন কখনই তার নিজের একার পক্ষে করা সম্ভব না কারণ গর্ভ ধারণের পর অনেক মায়ের অবস্থাই নাজুক হয়ে যায়। আপনার কাছের মানুষটিকে মানসিক, নৈতিক সহায়তা করতে জেনে নিন কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য।

সঠিক সময়ে নিয়মিত ভাবে চেক-আপ না করালে মা ও শিশু উভয়ের শারীরিক ক্ষতি হতে পারে। এমনকি বাচ্চা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই WHO (world health organisation ) ১৩ টি Antenatal visit নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে ৪ টি অবশ্যই করতে হবে। এর মানে হলো, গর্ভাবস্থায় কাছের স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়মিত এই পরীক্ষা করতে হবে দেখার জন্য যে বাচ্চা বা মায়ের কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা।

০১) ১৬ সপ্তাহের মধ্যে – রক্তশূন্যতা, সিফিলিস, প্রসব জনিত কোন জটিলতা আছে কিনা। জন্ম পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্য শিক্ষাও নিতে হবে।
০২) ২৪ থেকে ২৮ সপ্তাহের মধ্যে- বাচ্চা ঠিক মত বাড়ছে কিনা, পেটের বেড়ে যাওয়া অংশ মেপে পরীক্ষা করাতে হবে।
০৩) ৩২ তম সপ্তাহে- এক্লামশিয়া ( উচ্চ রক্ত চাপ, প্রস্রাবে প্রোটিন যাওয়া, হাত পা ফুলে যাওয়া আছে কিনা ), জন্ম পরিকল্পনাকে আরও উন্নত করা।
০৪) ৩৬ তম সপ্তাহে -বাচ্চার পজিশন, জরায়ুতে কীভাবে আছে, মাথা নাকি পা বা শরীরের অন্য অংশ নীচের দিকে তা জানতে হবে। জন্ম পরিকল্পনার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

শেষ হলো ভিজিটের পালা। কিন্তু এর সাথে কিছু টেস্ট-ও করতে হবে। ডাক্তাররা প্রায়ই এসব টেস্ট করতে দেন। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রসব জনিত কোন জটিলতা হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে তা আগেই নির্ণয় করা।

রুটিন টেস্টঃ

০১. Hb %, CBC, VDRL
০২. Random Blood Sugar
০৩. Ultrasonogram of whole abdomen

বিশেষ টেস্টঃ

০১. TORCHES test, HBS Ag
০২. Maternal serum alpha fetoprotein
০৩. Ultrasound examination
০৪. Cervical cytology ( pap smear )

গর্ভাবস্থার বিপদচিহ্ন সমূহঃ

এই বিপদচিহ্ন গুলোর একটিও দেখা দিলে সাথে সাথে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।

০১. তীব্র মাথা ব্যাথা
০২. অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
০৩. যোনিপথে রক্তপাত হওয়া
০৪. তলপেটে ব্যথা
০৫. চোখে ঝাপসা দেখা
০৬. হাত পা ফুলে যাওয়া
০৭. বাচ্চার নড়া চড়া বন্ধ হয়ে যাওয়া

গর্ভাবস্থায় মায়ের প্রয়োজন পুষ্টিকর খাদ্য। কারণ পূর্বে আপনি যাই খেতেন তা শুধু আপনার উপর প্রভাব ফেলত। আর এখন এটা আপনার বাচ্চার সুস্থতার সাথে জড়িত। খুব বেশি না কিন্তু সুষম খাদ্য খেতে হবে।  সাধারণত দিনে ২১০০ ক্যালরি খাদ্য একজন সুস্থ মানুষের জন্যে যথেষ্ট। কিন্তু গর্ভাবস্থায় চাহিদা বেড়ে যায়। ২৫০০ ক্যালরি সমপরিমাণ খাদ্য প্রয়োজন হতে পারে।

০১. প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাদ্য খেতে হবে। সবুজ শাক-সবজি, মাছ-মাংস খেতে হবে। অবশ্যই নিয়মিত খেতে হবে, পাশাপাশি ভাত, ডাল, শস্য দানা, আলুও খেতে হবে।

০২. আয়রন ও ফলিক এসিড এর চাহিদা বেড়ে যায়। আয়রন প্লাসেন্টা তৈরি হওয়ার জন্যে রক্ত যোগায়। ব্রকলি, কচু শাক, পালং শাক তাই গর্ভাবস্থায় জরুরী। ঘাটতি থাকে নিয়মিত ট্যাবলেট খেতে হবে। ঘাটতির পরিমাণ বেশি হলে রক্ত দিতে হতে পারে।

বাচ্চার ( সাপ্তাহিক ) অঙ্গ গঠনঃ  প্রথম তিন মাসে বাচ্চার সব অঙ্গ গঠন শুরু হয়। তাই এ সময় খুব সাবধানে থাকতে হয়।

০১) ৫ম সপ্তাহ – মস্তিস্ক, সুষুম্না কাণ্ড, হৃদপিণ্ড ও খাদ্যনালী গঠন হওয়া শুরু হয়।
০২)  ষষ্ঠ – ৭ম সপ্তাহ- হাত ও পা কুঁড়ির আকার ধারণ করে। কান ও চোখ তৈরি শুরু হয়। হৃদপিণ্ড তৈরি হতে থাকে ও সঠিক তালে স্পন্দিত হয়।
০৩)  ৮ম সপ্তাহ – ফুসফুস তৈরি শুরু হয়। মস্তিষ্ক বাড়তে থাকে।
০৪)  ৯ম সপ্তাহ – কনুই ও পায়ের পাতা দেখা সম্ভব হয়। স্তনের বোটা ও লোম তৈরি হয়। সব প্রয়োজনীয় অঙ্গ তৈরি হওয়া শুরু হয়।
০৫)  ১০ম সপ্তাহ- চোখের পাপড়ি আরও উন্নত হয়। অন্ন নালি ঘুরে নতুন অবস্থান নেয়। মুখ সুন্দর আকার নেয়।
০৬)  ১১তম-১২তম সপ্তাহ – মাথা শরীরের অর্ধেক আকার ধারণ করে। হাত পা সরু ও লম্বা হয়। বাচ্চা আঙ্গুল দিয়ে হাত মুঠো করতে পারে।

যা যা করা যাবে না ও সাধারণ কিছু উপদেশঃ

০১. ভারি কাজ করা যাবে না ( সিঁড়ি দিয়ে ওঠা নামা কম করতে হবে, ভারি জিনিস ওঠানো যাবে না, ঝাঁকুনি দেয়া যানবাহন বা রাস্তায় চলা যাবে না।
০২. ধূমপান, মদ পান বন্ধ করতে হবে। পর্যাপ্ত পানি খেতে হবে ও বিশ্রাম নিতে হবে।
০৩. অনেক ওষুধ আছে যা খেলে বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে বা বিকলাঙ্গ হতে পারে। প্রায়ই ব্যবহার করা হয় এমন কিছু ওষুধের নাম হচ্ছে – celecoxib, ibuprofen, all oral contraceptives, testosterone, griseofulvin, sulfisoxazole, povidone iodine, metronidazole, methotrexate এরকম আরও কিছু ওষুধ।  এ সময় যে কোন ওষুধ খাওয়ার আগেই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

সন্তান মায়ের জন্য অতি আদরের মানিক রতন। বাচ্চার মঙ্গলের জন্যে মা সবই করতে পারেন। একটু সচেতন থাকলেই এড়ানো যাবে ঝুঁকিপূর্ণ অনেক পরিস্থিতি। নিয়ম গুলো যত্নের সাথে পালন করুন। সুস্থ, সুন্দর বাচ্চার হাসি মুখ দেখার শুভকামনা রইল।

লিখেছেনঃ শারমিন আখতার চৌধুরী

ভরণপোষণ পাওয়া আপনার অধিকার

তিথির (ছদ্মনাম) বিয়ে হয়েছে প্রায় তিন বছর। এর মধ্যে কোলজুড়ে এসেছে একটি সন্তান। বিয়ের পরই জানা গিয়েছিল স্বামী মাদকাসক্ত। এ থেকে বের করে আনার চেষ্টাও কম করেনি তিথি। কিন্তু কিছুতেই কিছু হয়নি। সন্তান জন্মানোর পর স্বামী তিথিকে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেন। তিথিকে দেন না কোনো ভরণপোষণ, এমনকি একমাত্র সন্তানের জন্যও কোনো টাকা পাঠান না। তিথি লেখাপড়া তেমন একটা করেননি যে চাকরি করবেন, আবার বাবার বাড়ির আর্থিক অবস্থাও ভালো নয়। এখন কীভাবে তিথি আদায় করবেন নিজের আর সন্তানের ভরণপোষণ। তিথি হয়তো জানেন না, আইন তাঁর ভরণপোষণের অধিকার নিশ্চিত করেছে। মুসলিম আইনে আর্থিকভাবে সচ্ছল ব্যক্তিরা তাঁদের স্ত্রী, সন্তানসন্ততি, মা-বাবা, যাঁরা আর্থিকভাবে অসমর্থ, তাঁদের ভরণপোষণ দিতে বাধ্য।

ভরণপোষণ কারা পাবেন
স্ত্রী স্বামীর কাছ থেকে বিয়ে বর্তমান থাকা অবস্থায় ভরণপোষণ পাওয়ার অধিকার লাভ করেন। ছেলেসন্তান সাবালক না হওয়া পর্যন্ত এবং মেয়েসন্তান বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত বাবার কাছ থেকে ভরণপোষণ লাভ করার অধিকারী। ছেলেসন্তান সাত বছর পর্যন্ত এবং মেয়েসন্তান বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত যদি মায়ের কাছে কিংবা মায়ের মা, অর্থাৎ নানির কাছে থাকে, তবু বাবা তার ভরণপোষণ দিতে বাধ্য।

এ ছাড়া পঙ্গু, অক্ষম, পাগল এবং মানসিক ও শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী সাবালক সন্তানও বাবার কাছে ভরণপোষণ পাবে। তবে সন্তান যদি অন্যায়ভাবে বাবার সঙ্গে থাকতে অস্বীকার করে কিংবা যে শিশু তার নিজস্ব সম্পত্তির আয় থেকে নিজের ভরণপোষণ করতে সক্ষম, সে শিশুর ভরণপোষণ দিতে বাবাকে বাধ্য করা যাবে না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আলাদাভাবে বসবাস করলেও স্ত্রী স্বামীর কাছে ভরণপোষণ পাওয়ার অধিকার রাখেন। যেমন ১. স্ত্রীকে তাৎক্ষণিক দেনমোহর পরিশোধ না করলে ২. স্বামীর নিষ্ঠুরতার কারণে ৩. স্বামী যদি অভ্যাসগতভাবে খারাপ ব্যবহার করেন ৪. দীর্ঘকাল স্ত্রীর কাছ থেকে স্বামী দূরে থাকলে ৫. অনুমতি ছাড়া স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করলে।

পরিমাণ
ভরণপোষণের পরিমাণ স্বামী-স্ত্রীর সামাজিক মর্যাদা ও আর্থিক সংগতির ওপর নির্ভর করে। অনেক সময় নিকাহনামায় উল্লেখ থাকে, স্বামী মাসিক কত টাকা ভরণপোষণ হিসেবে দেবেন। সাধারণ অবস্থায় স্বামী তাঁর নিজ গৃহেই স্ত্রী বা স্ত্রীদের খাদ্য, বস্ত্র ও বাসস্থান দিয়ে থাকেন। আইনসংগত বা যুক্তিযুক্ত কারণে যখন স্ত্রী আলাদা বসবাস করেন, তখন স্বামী নগদ অর্থ দ্বারা ভরণপোষণ জোগাবেন।

তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী কেবল ইদ্দতকালীন ভরণপোষণ পাবেন। অর্থাৎ, তালাক কার্যকর হওয়ার পর স্ত্রী মাত্র তিন মাসের জন্য ভরণপোষণ পাবেন। তবে স্বামীর মৃত্যুর পর স্ত্রীকে যে ইদ্দত পালন করতে হয়, সেই সময়ের জন্য স্ত্রী কোনো ভরণপোষণ পাবেন না। গর্ভবতী থাকলে সন্তান প্রসব না হওয়া পর্যন্ত যেহেতু তালাক কার্যকর হয় না, তাই সন্তান প্রসব হওয়া পর্যন্ত স্ত্রীকে ভরণপোষণ দিতে হবে।

আদালতে যাওয়ার আছে অধিকার
আইনসম্মত স্বামী যদি স্ত্রী ও সন্তানদের ভরণপোষণ না দেন, তাহলে পারিবারিক আদালতে প্রতিকার চাওয়া যায়। ১৯৮৫ সালের পারিবারিক আদালত অধ্যাদেশ অনুযায়ী এ অধিকার রয়েছে। সন্তান ও বৃদ্ধ মা-বাবাও আদালতের মাধ্যমে ভরণপোষণ পাওয়ার জন্য মামলা করতে পারেন।

চেয়ারম্যান বা মেয়রের কাছেও আবেদন করা যায়
স্ত্রী খোরপোশ দাবি করে স্বামীর বিরুদ্ধে চেয়ারম্যানের বা মেয়রের কাছে আবেদন করতে পারবেন। আবেদন পাওয়ার পর চেয়ারম্যান বা মেয়র স্ত্রী ও স্বামী উভয় পক্ষের পছন্দমতো একজন করে প্রতিনিধি নিয়ে সালিসি পরিষদ গঠন করবেন। সালিসি পরিষদ স্ত্রীর দাবির যৌক্তিকতা যাচাই করে ভরণপোষণের পরিমাণ নির্ধারণ করে সিদ্ধান্ত দেবে এবং সেই মোতাবেক একটি প্রত্যয়নপত্র প্রদান করবে।


লেখক: তানজিম আল ইসলাম , আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
প্রথম আলো থেকে সংগ্রহীত

বিয়েটা হলো মা-বাবার অমতে…

Couple-in-Loveবাড়ির সবচেয়ে ছোট, শান্ত আর চুপচাপ কলেজপড়ুয়া মেয়েটি একদিন হঠাৎ উধাও হয়ে গেলেন। খোঁজ করতে করতে তাঁর ঘরে পাওয়া গেল সাবেক গৃহশিক্ষকের লেখা একতাড়া চিঠি, যার কোনো কোনোটিতে এ রকম একটি ঘটনার পরিকল্পনার আভাস। কী ঘটেছে, তা নিয়ে আর সন্দেহ রইল না কারও। মা শয্যাশায়ী হলেন। বাবা লাইসেন্স করা বন্দুক নিয়ে চেঁচাতে লাগলেন। এমন লক্ষ্মী একটা মেয়ে এমন কাজ করতে পারে, বিশ্বাসই করলেন না বড় ভাইয়েরা। কাজেই সব দোষ গিয়ে পড়ল বেচারা গৃহশিক্ষকের ওপর। তাঁর নামে অপহরণের মামলা হলো, প্রভাব খাটিয়ে থানায় ধরে আনা হলো। কিন্তু মেয়ে সাবালক এবং স্বেচ্ছায় তাঁর সঙ্গে গেছে প্রমাণিত হওয়ায় পুলিশ তাঁকে ছেড়েও দিল। কিন্তু ভাইয়েরা ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নন। তাই একদিন রাস্তায় মেয়ের ভাইয়েরা মারধর করলেন প্রেমিকপ্রবরকে। পালিয়ে বিয়ের সাধ মিটিয়ে দেওয়ার জন্য হাত-পা প্রায় ভেঙেই দিলেন। বর্ণনা করছিলেন ঘটনার নায়ক নিজেই। ২০ বছর আগে মফস্বল শহরের বেচারা গৃহশিক্ষক আর বর্তমানের এক উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা। সে যে কী সময় গেছে! হ্যাঁ, এখন দুই পরিবারের সবাই বিষয়টা মেনে নিয়েছেন বটে, বড় ভাইয়েরা বোনজামাইকে যথেষ্ট ভালোবাসেন এখন; কিন্তু সেই মারের দাগ এখনো হাঁটুতে রয়ে গেছে।

হুট করে কাউকে না জানিয়ে পরিবারের অমতে বিয়ে করে ফেলা সেই রোমিও-জুলিয়েটের আমল থেকে শুরু করে এখনকার দিনেও ঘটছে। কখনো কখনো দুই পরিবারে এমন ঘটনার প্রতিক্রিয়া হয় ভয়াবহ। কেবল সদ্যবিবাহিত ছেলেমেয়ের ওপর তাঁরা ঝাঁপিয়ে পড়েন তা নয়, কখনো কখনো তাঁরা নিজেরাও জড়িয়ে পড়েন নানা কোন্দল, মারামারিতে—এমনকি রক্তপাতও দেখা যায় এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে।

বিয়ে মানে কেবল দুটি ছেলেমেয়ের নয় বরং দুটি পরিবারের বন্ধন। বিয়ের আগে-পরে দুই পরিবারের নানা অনুষ্ঠান-আচার পালনের মাধ্যমে এই সম্পর্ক রচিত হয়। তাই হুট করে না জানিয়ে বিয়েতে এই প্রথা ও স্বাভাবিকতা ব্যাহত হয়। ফলে ভালোভাবে কেউই বিষয়টি মেনে নিতে পারেন না। আর এসব ক্ষোভ আর ক্রোধ গিয়ে পড়ে সেই ছেলেমেয়ে দুটির ওপর। এক ভয়ংকর বৈরী সময় পার করতে হয় নববিবাহিত দম্পতিকে। কিন্তু এই ক্ষোভ যদি রীতিমতো জিঘাংসা আর নিষ্ঠুরতায় পরিণত হয়, তখন? সম্প্রতি পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদটি একটু মনে করিয়ে দিচ্ছি।

গত ১৮ জুন ঢাকার খিলক্ষেত থানার নিকুঞ্জ মডেল কলেজের ছাত্রী মনিরা পারভীনকে নিয়ে পালিয়ে বিয়ে করেন নাসির হোসেন। প্রথম দিন এক বন্ধুর বাড়িতে থাকলেও পরদিন পরিবারের আশ্বাসে বাড়ি ফেরেন তাঁরা। কিন্তু বাড়ি ফেরার পরই নাসিরের বাবা, চাচা ও অন্য আত্মীয়রা চড়াও হন মনিরার ওপর। নাসিরকে অন্য একটি ঘরে আটকে রেখে প্রচণ্ড মারধর করা হয় মনিরাকে। ইট ও কাঠ দিয়েও পেটানো হয়। গুরুতর জখম মনিরা ২২ জুন মারা যান। (সূত্র: প্রথম আলো, ২৬ জুন)

আমাদের সমাজের দৃষ্টিতে ‘পালিয়ে বিয়ে করা’ অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে, কিন্তু সেই অপরাধের শাস্তি কি ছেলে বা মেয়েটিকে একেবারে মেরে ফেলা? পরিবারের সম্মান কি একটা তরতাজা তরুণ প্রাণের চেয়েও বেশি হয়ে দাঁড়ায়? প্রতিবেশী দু-একটি দেশে মেয়েদের প্রায়ই শিকার হতে হয় ‘অনার কিলিং’-এর। এই অনার কিলিং মানে আর কিছু নয়, পরিবারের সম্মান রক্ষার্থে দোষী মেয়েটিকে হত্যা করা। মেয়েদের প্রাণ কি এই দুনিয়ায় এতই ঠুনকো আর সস্তা?

এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মাহবুবা নাসরীন বলেন, সন্তানেরা যদি নাবালক হয়, তবে এই বিয়ে যে বৈধ হবে না এবং নিজের পায়ে দাঁড়ানো পর্যন্ত অপেক্ষা করার পরামর্শ দিয়ে আপাতত বিষয়টা মেটানো যায়। দুই পরিবার একসঙ্গে বসে বিষয়টা মীমাংসা করতে পারে। আলোচনায় পরিবার ও পাড়ার মুরব্বিদেরও নেওয়া যায়। যদি তাঁরা সাবালক হন, তবে ধীরে-সুস্থে বিষয়টা মেনে নিয়ে কীভাবে একে সামাজিক রূপ দেওয়া যায়, তা নিয়ে আলোচনা চলতে পারে। কিন্তু সহিংস হওয়া, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা, এমনকি প্রাণে মেরে ফেলার মতো ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক ও অন্যায়। তাঁর সঙ্গে একমত জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক সালমা আলী। তিনি বলেন, মেয়ের বয়স ১৮ বছর ও ছেলের বয়স ২১ বছর হলে আইন অনুযায়ী তাঁরা বিয়ে করতে পারবেন। এটি নিয়ে অভিভাবকেরা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত না হয়ে ছেলের সম্পর্কে খোঁজখবর নিন। ছেলেটি মাদকাসক্ত, বিবাহিত ইত্যাদি সমস্যা থাকলে মেয়েকে বুঝিয়ে বলতে হবে।

 সবচেয়ে বড় কথা, বড় কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ছেলেমেয়েরা পরিবারের কারও সঙ্গে পরামর্শ বা আলোচনা না করার অর্থ হলো পরিবারে তাঁদের বন্ধুস্থানীয় কেউ না থাকা। তাই অভিভাবকদের উচিত, সন্তানের আরও কাছাকাছি যেতে চেষ্টা করা, বন্ধুর মতো সবকিছু জানতে চেষ্টা করা, যাতে সন্তান অনাকাঙ্ক্ষিত ও হঠকারী কোনো সিদ্ধান্ত হুট করে না নেয়।

লিখেছেনঃ  তানজিনা হোসেন
প্রথম প্রকাশ – দৈনিক প্রথম আলো | জুলাই ০৩, ২০১৩

হিন্দু বিবাহ নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা উচিত

আমাদের দেশে হিন্দুধর্মাবলম্বীদের বিয়ে তাদের শাস্ত্রমতে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। হিন্দুধর্মাবলম্বীদের বৃহত্তম দেশ ভারত হিন্দু বিবাহ নিবন্ধন ও বিচ্ছেদসংক্রান্ত আইন বহু আগেই (১৯৫৫) প্রণীত হয়ে বলব আছে। এমনকি ভারতের একজন বিধবাও দ্বিতীয় দার পরিগ্রহ করতে পারেন।

আমাদের দেশে হিন্দু বিবাহবিচ্ছেদ ও বিধবা বিবাহ প্রচলন আইন প্রণীত না হওয়ায় আইনগতভাবে কোনো হিন্দু পুরুষ বা মহিলা বিবাহবিচ্ছেদ ঘটাতে পারেন না এবং একজন বিধবাও আবার বিয়ে করতে পারেন না।

স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা না হলেও সারা জীবন ক্ষেত্রবিশেষে পৃথক বাসস্থানে অবস্থান করতেও বিবাহবিচ্ছেদ ঘটাতে পারেন না। অনুরূপভাবে একজন যুবতী হিন্দু মহিলা তাঁর স্বামী রোগে-শোকে বা দুর্ঘটনাজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করলেও আবার বিয়ে করতে পারেন না। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের উদ্যোগে প্রণীত হিন্দু বিধবা বিবাহ প্রচলন আইন (১৮৫৬) ভারতে আইন হিসেবে গৃহীত হলেও আমাদের দেশে আদৌ এ ব্যাপারে কোনো আইন প্রণয়ন করা হয়নি।

হিন্দু বিবাহ নিবন্ধন আইন

হিন্দু নারীদের বিয়েসংক্রান্ত প্রতারণা, বিয়ে-পরবর্তী দালিলিক প্রমাণ সৃষ্টির লক্ষ্যে ও সহজে হিন্দু নারীদের আইনি সুরক্ষা প্রদানের উদ্দেশ্যে হিন্দু বিবাহ নিবন্ধন হিন্দুধর্মাবলম্বীদের জন্য ঐচ্ছিক রেখে ‘হিন্দু বিবাহ নিবন্ধন আইন-২০১২’ সংসদে পাস করা হয়। বিদেশ ভ্রমণ, অভিবাসন ইত্যাদি ক্ষেত্রেও বিবাহ নিবন্ধন-সম্পর্কিত দালিলিক প্রমাণ একটি অপরিহার্য বিষয়।

১৯৬১ সালে মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশের ৫ ধারার মাধ্যমে মুসলিম বিবাহ নিবন্ধন বাধ্যতামূলক এবং নিবন্ধন না করাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। মুসলিম শরিয়া আইন অনুসারে মুসলিম বিবাহবিচ্ছেদ ঘটানো যায় এবং বিধবা মুসলিম নারীও আবার বিয়ে করতে পারেন।

কোনো কোনো হিন্দু ধর্মীয় নেতার মতে, হিন্দু বিয়ে বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণে সাত পাকে বাঁধা বিধায় এ বিয়ের মাধ্যমে আত্মার সঙ্গে আত্মার, মাংসের সঙ্গে মাংসের ও অস্থিতে অস্থিতে মিলন ঘটায়। বিয়ের নিবন্ধন আইন প্রণীত হলে হিন্দু বিয়ের মূল ভিত্তি নষ্ট হবে বলেও তাঁদের ধারণা। নিবন্ধনের ফলে একজন হিন্দু মহিলার একজন হিন্দু পুরুষের সঙ্গে শুধু সম্পর্ক স্থাপিত হবে, স্বামীর অবর্তমানে স্বামীর পরিবারের কোনো দায়বদ্ধতা থাকবে না—এমনটাই দাবি তাঁদের।

অনেকেই এটাকে খোঁড়া যুক্তি হিসেবে উড়িয়ে দিতে চান। তাঁদের বক্তব্য হলো, বিবাহ নিবন্ধন হিন্দু বিয়ের আচার-অনুষ্ঠান, রীতি-নীতিতে কোনোভাবেই খর্ব করবে না। বিবাহ নিবন্ধনের মাধ্যমে শুধু বিয়ে প্রমাণের জন্য একটি অতিরিক্ত দালিলিক প্রমাণ সৃষ্টি হবে।

আইনের ৬ ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে, ‘হিন্দু ধর্ম, রীতি-নীতি ও আচার-অনুষ্ঠান অনুযায়ী হিন্দু বিবাহ সম্পন্ন হওয়ার পর ওই বিবাহের দালিলিক প্রমাণ সুরক্ষার উদ্দেশ্যে, বিবাহের যেকোনো পক্ষের নির্ধারিত পদ্ধতিতে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হিন্দু বিবাহ নিবন্ধক নির্ধারিত পদ্ধতিতে বিবাহ নিবন্ধন করিবেন।’ অনেক আইনজ্ঞ ও বিশিষ্টজনের মতে, কোনো আইন ঐচ্ছিক হতে পারে না, আইন প্রণয়নের উদ্দেশ্য হলো আইনে বিধিবিধান প্রতিপালনের বাধ্যবাধকতা।

তাঁদের মতে, হিন্দু বিবাহ নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হলে সাত পাক ঘোরা ও অন্যান্য আচার পালনে কোনো সমস্যা হবে না। গত ২৩ ডিসেম্বর প্রথম আলোর এক প্রতিবেদনে হিন্দু বিবাহ নিবন্ধন না থাকার কারণে কাননবালার বিড়ম্বনা তুলে ধরা হয়। সেখানে বলা হয়েছে, ১৭ বছর আগে কাননবালাকে তাঁর দুই সন্তানসহ ফেলে রেখে তাঁর স্বামী চলে যান এবং দ্বিতীয় বিয়ে করেন। গাজীপুরের স্বামী পরিত্যক্ত কাননবালা এখন একজন আশ্রয়হীন ভাসমান নারী।

কাননবালার দাবি, তাঁদের বিবাহের নিবন্ধনমূলক কোনো দালিলিক প্রমাণ না থাকায়ই তাঁর স্বামী তাঁকে এবং সন্তানদের অস্বীকার করার শক্তি পেয়েছেন। কাননবালা তাঁর জীবনের ঘটনাপ্রবাহ থেকে হিন্দু বিবাহ নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করার দাবি তুলেছেন সরকারের কাছে। দেশের আর্থ-সামাজিক ধর্মীয় ও যুগের চাহিদার কারণে হিন্দু বিবাহ নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা উচিত বলে মনে করি।

Hindu Marriage Media, Brahman Marriage Media, Kshatriya Marriage Media, Chhettri Marriage Media, Vaisya Marriage Media, Sudra Marriage Media, Hindu

কেন পরকীয়ায় এত জটিলতা ?

পরকীয়া কি সত্যিই রোমান্টিক !  বিবাহিত পুরুষ এবং নারী কখনও কারো সাক্ষাতে হঠাৎ প্রেমে পড়ে যান , বিষয়টি অত্যন্ত গোপনে লালন করতে থাকেন । অনেকে এই সম্পর্কের উপসংহারে আসতে পারেন আবার অনেকেই পারেন না । যারা পারেন সেই নারী কিংবা পুরুষরা যখন দেখেন তার ভালবাসা সত্যিই জীবনকে অর্থবহ করেছে তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন । কিন্তু তারা নিজের অজান্তেই এক ধরনের জটিলতাকে জীবনসঙ্গী করে নেন ।

বিবাহ একটি অত্যন্ত জটিল প্রকাশ্য চুক্তি । আর এই বিয়ের ঘটনা যখন দুইজন বিবাহিত নারী-পরুষের মধ্যে সংঘটিত হয় , তখন সেই জটিলতা হয় অকল্পনীয় । বিবাহিত জীবনে অন্য  কোন নারী কিংবা পুরুষের প্রেমে পড়ার অনেক কারণ রয়েছে ।  কিছু মানুষ আছে যাদের বিবাহিত জীবন মানসিক কিংবা শারীরিকভাবে সুখি নয় , তাই অন্য কোথাও সুখ খোঁজার চেষ্টা করে । কেউ কেউ বিবাহিত জীবনের বাহিরে সম্পর্ক তৈরী করাকে একটা ফ্যাশান হিসেবে নেয় , যাদের ক্ষেত্রে জটীলতা কম হয় । আবার কেউ কেউ প্রাকৃতিকভাবেই নিজের অজান্তে বিপরীত লিঙ্গের প্রেমে পড়ে যান । তবে যে কারনেই  হোক নতুন সম্পর্কের পরিণতি আসলে ,পুরানো সম্পর্ক কোন না কোনভাবেই বয়ে বেড়াতে হয় । বিশেষজ্ঞদের মতে পরকীয়া সবসময় মধুর, যা একঘেয়ে বিবাহিত জীবনকে প্রাণ দেয় , কিন্তু যখন ঐ সম্পর্ককে বিয়ে পর্যন্ত গড়ানো হয় , তখন শুরু হয় জটীলতা , বাস্তবতা ঐ মধুর জীবনকে অম্ল করে তোলে দ্রুত ।

পরকীয়া সম্পর্কের পর বিবাহিত জীবনে স্বামী-স্ত্রী উভয়ই নিরাপত্তাহীনতা ও আস্থাহীনতায় ভোগে । কেননা উভয় মনে করে যেকোন সময় জীবনসঙ্গী আবারো অন্য কারো প্রেমে পড়তে পারে । একজন নারী কিংবা পুরুষ মনে করে কেউ যদি দীর্ঘদিনের সম্পর্কের ইতি টেনে সন্তানদের উপেক্ষা করে ঘর ছাড়তে পারে, সে একদিন হয়ত আমার সাথেও প্রতারণা করতে পারে । এই চেতনা কখনই মরেনা এবং একসময় চাপ এমন হয় যে তা হ্যান্ডেল করা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে ।

পরকীয়ার বিয়েতে একটা বিষয় জন্ম নেই , যা সারা জীবন বয়ে বেড়াতে হয় , তা হলো  নারী কিংবা পুরুষ সবসময় নিজেকে বোঝাতে চেষ্টা করে তারা কোন ভুল করেনি কিন্তু নিজের ঘরভাঙার বেদনা তাদেরকে সবসময় অনুতপ্ত করে । আমাদের উপমহাদেশে পরিবারপ্রথা এখনও যথেষ্ট শক্ত । যেকারণে পরকীয়া এবং বিয়ে দুটোই পরিবার , বন্ধু ও সমাজে ঘৃন্য হিসেবে গৃহিত হয় । যেকারনে একাকী উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হয় , এই নিয়ে দুজনের ভুল বোঝাবুঝির অন্ত থাকেনা । আগের ঘরে সন্তান থাকলে সেই মা কিংবা পিতা ঐ সন্তানদের নিয়ে এক বিরাট জটিলতায় পড়েন , যা একসময় ছেলে-মেয়ের জীবন নষ্ট হওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়াই । কাজেই পরকীয়া করলে এই সকল জটীলতা মোকাবেলা করার  প্রস্তুতি নিন ।

– সংগ্রহিত

সন্দেহের ভূত…

সন্দেহের ভূত অনেকের মাথাতেই চেপে বসে। দাম্পত্যেই সাধারণত বেশি দেখা যায় এমন পরিস্থিতি। কখনো স্বামী, কখনো স্ত্রী মনে করেন যে তাঁর সঙ্গীর অন্য কারও সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। যদিও তা বাস্তবে সত্য নয়। এই সন্দেহপ্রবণতাকে বলা হয় মরবিড জেলাসি, যার আরেকটি পোশাকি নাম ওথেলো সিনড্রোম। শেক্সপিয়ারের নাটকের চরিত্র ওথেলো এই সন্দেহের ভূতের কবলে পড়ে তাঁর স্ত্রী ডেসডিমোনাকে হত্যা করেছিলেন।

ভ্রান্ত বিশ্বাস, খুঁতখুঁতে মনোভাব থেকে এ সমস্যা হয়ে থাকে অনেকের। এই সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তির স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড ব্যাহত হয়। সাধারণত ব্যক্তিত্বের ধরন, পারিপার্শ্বিকতার প্রভাব, আর্থিক অসংগতি, নিজের যৌন দুর্বলতা, আত্মবিশ্বাসের অভাব, মাদকে আসক্তি, মানসিক রোগ ইত্যাদি কারণে সন্দেহপ্রবণ হয়ে ওঠে ব্যক্তি। সন্দেহের কারণে অতি উৎকণ্ঠা, বিষণ্নতা, খুঁতখুঁতে বা মারমুখী আচরণ, ঘুমের সমস্যাও দেখা যায়। সন্দেহ দিনের পর দিন চলতে থাকলে দাম্পত্য সম্পর্কে ফাটল দেখা যায়, পারিবারিক সম্প্রীতি নষ্ট হয়। সবচেয়ে ভয়াবহ হলো সন্দেহের বশবর্তী হয়ে সন্দেহভাজনকে হত্যা, সন্তান হত্যা, গুরুতর আঘাত বা আত্মহত্যার মতো ঘটনাও ঘটতে পারে।

সন্দেহের বিষয়টি যখন বড় আকার ধারণ করে, তখন সেটাকে বলা হয় প্যারানয়েড ডিলিউশন। যাঁর মধ্যে এ সমস্যা থাকে, তিনি তাঁর সঙ্গীকে অবিশ্বাস করেন, বিশ্বাস করেন আশপাশের সবাই তাঁর ক্ষতি করতে চায়, কখনো মনে করতে পারেন তাঁর কাছের মানুষেরা তাঁর খাবারে বিষ মিশিয়ে দিচ্ছে ইত্যাদি। অপর দিকে ওথেলো সিনড্রোমের ক্ষেত্রে সন্দেহটি খুবই সুনির্দিষ্ট, সঙ্গীর অন্য কারও সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে—এই ভ্রান্ত বিশ্বাসের মধ্যেই সন্দেহ সীমাবদ্ধ।

সন্দেহের ভূত তাড়াতে:

দাম্পত্য সম্পর্কের মধ্যে সাধারণ ভুল-বোঝাবুঝি বা সন্দেহ তৈরি হলে বিষয়টিকে বড় হতে না দিয়ে শুরুতেই তা নিয়ে একে অপরের সঙ্গে আলোচনা করুন।
আপনার সন্দেহটি সঠিক কি না, তা বারবার যাচাই করে দেখুন।
সুস্পষ্ট প্রমাণ ছাড়া সঙ্গীকে দোষী সাব্যস্ত করবেন না, সন্দেহের ঘটনাটি তাঁর দিক থেকেও দেখুন।
সন্তানদের এই বিষয়ে জড়াবেন না।
গোপনে নজরদারি এড়িয়ে চলুন, গোয়েন্দার ভূমিকায় না থেকে বন্ধুর ভূমিকায় বিষয়টি জানার চেষ্টা করুন।
অধীনের কর্মচারী, কাজের লোক, গাড়িচালক বা নিরাপত্তাকর্মীদের কাছ থেকে এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করবেন না।
আপনাদের সম্পর্কে ফাটল ধরাতে তৃতীয় কেউ ষড়যন্ত্র করছে কি না, তা যাচাই করুন।
আপনি নিজে সন্দেহের শিকার হলে, সাময়িক সমাধানের জন্য মিথ্যা বলবেন না।
হঠকারী আচরণ এড়িয়ে চলুন।যদি মনে হয়, এটি সাধারণ ভুল-বোঝাবুঝির চেয়ে কিছু বেশি বা দুজনের কারও মধ্যে কোনো মানসিক সমস্যা রয়েছে, তবে দেরি না করে দ্রুত মানসিক রোগবিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

আহমেদ হেলাল (প্রথম আলো)