বিবাহবিডির ৮২% ইউজারই সার্ভিসটি অন্যকে রেফারেন্স করেন

বাংলাদেশের অনলাইন মেট্রিমনি জগতের সুপরিচিত ও জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠান বিবাহবিডি ডট কম দীর্ঘ ৯ বছর ধরে বিশ্বব্যাপী বাঙ্গালী কমিউনিটির মাঝে মেট্রিমনি সেবা প্রদান করে আসছে।  গত ৯ বছরে আমরা সবসময় চেষ্টা করেছি আমাদের সার্ভিসটিকে আরো সফল ও কার্যকরী করে তোলার যা কিনা এখনো চলমান।   বিবাহবিডি ডট কম সবসমই সার্ভিসের মান ও কার্যকরীতায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।  সে উদ্দেশ্যে গত অক্টোবর ২০১৭ মাসে আমরা আমাদের মেম্বারশীপ কিনেছেন এমন ইউজার মাঝে একটি জরীপ চালনা করি।

জরীপে দেখা যায়, অংশগ্রহণকারী ইউজারদের মাঝে মাত্র ৯% বিবাহবিডি ডট কমের সার্ভিসে সন্তুষ্ট নন, ২৮% ইউজার খুবই সন্তুষ্ট এবং ৬৩% ইউজার সন্তুষ্ট।  এবং  ৮২% ইউজার বলেছেন তারা আমাদের সার্ভিসটি অন্যকে রেফারেন্স করবেন।  এই জরিপে প্রাপ্ত ৯% ইউজার যারা আমাদের সেবায় সন্তুষ্ট হতে পারেননি তাদের বেশীর ভাগই সঠিক ভাবে বিবাহবিডির ফিচার গুলো ব্যবহার করতে পারেননি বলে মনে করেন বিবাহবিডি ম্যানেজমেন্ট, যেহেতু বিবাহবিডি একটি সেলফ সার্ভিস তাই অসন্তুষ্ট ইউজারদের  পুনরায় একই সার্ভিস ফ্রী প্রদান করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় ।  

বিবাহবিডি ডট কম বিশ্বাস করে আমাদের জন্য গ্রাহকের মতামতই হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পাথেয়।  আমাদের ৯১% গ্রাহকদের সন্তুষ্টি আমাদের জন্য সন্দেহাতীত ভাবে অনেক বড় অর্জন।  তবুও জরীপের মাধ্যমে আমরা জানতে চেয়েছিলাম আমাদের সার্ভিসে গ্রাহকদের কোন অভিযোগ কিংবা পরামর্শ আছে কিনা।  সার্ভিসের উন্নয়ন ও আন্তরিক সেবা প্রদানে আমরা সবসময়ই সচেষ্ট এবং আমরা যেকোনো গঠনমূলক সমালোচনা মুক্তমনে গ্রহন করি।  গ্রাহকদের থেকে প্রাপ্ত  মতামত ও পরামর্শের ভিত্তিতেই আমরা আমাদের সেবাটি আরো গ্রহণযোগ্য এবং কার্যকরী করে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছি এবং ভবিষ্যতেও চালাবো।

শারমিন সুলতানা
টিম লিডার , বিবাহবিডি ইউজার সার্ভিস

সম্পর্কে জড়ানোর আগে

ভালো লাগা থেকে সম্পর্কে জড়ানোর আগে এর গুরুত্বটা বুঝতে হবে। তা না হলে শুরুতে যে আকর্ষণবোধ থাকে, পরে তা তেতো হয়ে ওঠে। সম্পর্ক গড়লে তার পরিণতি কী হবে, সেটি ভেবে সম্পর্কে জড়ানো উচিত।  এ ছাড়া সম্পর্কে জড়ানোর আগে আরও কয়েকটি বিষয় বিবেচনা করা উচিত।  জেনে নিন বিষয়গুলো:

প্রত্যাশা: সম্পর্কে প্রত্যাশার বিষয়টি আগে মিটমাট করে নিন। সঙ্গীর আবেগের সঙ্গে আপনার আবেগ কতটুকু যায়, সেটা আগে বুঝতে হবে। প্রয়োজনে সম্পর্কের ধরন ও প্রত্যাশাগুলোর বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করে নিন। এতে পরে সম্পর্কে ঝুট-ঝামেলা কম হবে, দুজনের বোঝাপড়া শক্ত হবে।

ত্যাগ: সম্পর্কের ক্ষেত্রে কে কতটুকু ছাড় দেবেন, সম্পর্কে জড়ানোর আগে তা নির্ধারণ করে নিতে পারলে ভালো। দুজনের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে সমন্বয় সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকতে হবে। সম্পর্কে জড়ানোর আগে ছাড় দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে সম্ভাব্য সবকিছু ভেবে তারপর সম্পর্কে জড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

পরিচয়: সম্পর্কে জড়ানোর আগে নিজের পরিচয়ের সঙ্গে আপস করতে হচ্ছে কি না, এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে নিন। মনে রাখবেন, কোনো কিছু সমন্বয় করা মানে আপস করা নয়। নিজের ব্যক্তিত্ব বিসর্জন দিতে হয়—এমন সম্পর্কে জড়ানোর আগে সতর্ক থাকুন।

অতীত: নতুন সম্পর্কে জড়ানোর আগে অবশ্যই পুরোনো সম্পর্কের সবকিছু ছেড়ে দিতে হবে। এতে নতুন সম্পর্কে ঝড় ওঠার আশঙ্কা কম। এ ছাড়া সঙ্গীর সঙ্গে অতীত নিয়ে প্রতারণা করা ঠিক নয়। পুরোনো সম্পর্কের সঙ্গে কোনো যোগসূত্র থাকলে তা নতুন সঙ্গীকে আগে খোলাসা করে বলা উচিত।

সময়: সুখী সম্পর্ক গড়তে সঙ্গীর সঙ্গে ভালো সময় কাটানো গুরুত্বপূর্ণ। হাতে যখন সঙ্গীকে দেওয়ার মতো যথেষ্ট সময় থাকবে, তখনই কেবল সম্পর্কের কথা ভাববেন। তা না হলে সঙ্গীকে সময় না দেওয়ার অভিযোগে খুটখাট লেগেই থাকবে। সম্পর্ক বিষিয়ে উঠবে। তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, হাফিংটন পোস্ট, প্রথম আলো

সংসার এর টানাপোড়ন

সবার জীবনেই একটা ভবিষ্যত পরিকল্পনা থাকে।খুব হাস্যকর মনে হলেও একসময় আমার ভবিষ্যত পরিকল্পনা ছিল একজন আদর্শ গৃহিণী হব।যদিও বিয়ের পরপরই বুঝতে পেরেছিলাম সেটা আদোতে কত কঠিন।শ্বশুর বাড়িতে প্রথম প্রথম অনেকেই আস্ত নতুন বউ দেখতে।ভেবেছিলাম মানুষগুলো আমাকে দেখতে এসেছে।তাই যথাসম্ভব তাদের সাথে হাসি মুখে কথা বলার চেষ্টা করেছি।যদিও দুদিন না যেতেই আমার সে ভুল ভেংগে গেল তাদের কথাবার্তা শুনে।  বউ কি শুধু হাসতেই জান?মা কাজকাম কিছু শেখাইনি?দেখি তো মা তোমার বাপে কি কি দিছে? ওমা শুনলাম বড়লোকের বেটি।এখন তো দেখি সবই শোনা কথা।আপা আপনার কপাল বড়ই খারাপ।সেদিন জামালের বউ দেখতে গেলাম আহা তার শ্বশুরে ঘরডা সাজায়ে দিছে।সবই কপাল।  পাড়া প্রতিবেশির আহাজারিতে আকাশ বাতাস ভারি হয়ে যায়।তার ছিটেফোঁটা আমার শ্বশুর বাড়িতে ও পড়ে।তাদের মধ্যেও শোকের ছায়া নেমে আসে।

আমি পড়েছি মহা মুশকিলে। আদর্শ গৃহিণী হওয়ার স্বপ্ন বুঝি অংকুরেই বিনষ্ট হল।তবু হাল ছাড়ার পাত্রি আমি না।মহা উতসাহে গৃহস্থালি কাজে মনোনিবেশ করলাম।মা সব সময় বলত লেখাপড়ার মত কঠিন কাজটা যে মেয়ে পারে তার জন্যে কোন কাজ ই কঠিন না।বিয়ের পর দায়িত্ব ঘারে এসে পড়লে ঠিকই সব শিখে যাবি।সত্যিই দেখলাম একটু একটু করে সব কাজ শিখে ফেলছি।যদিও পেয়াজ কাটতে গিয়ে নাকের জল চোখের জল এক করছি।ভাতের মাড় গালাতে গিয়ে হাত পুড়িয়ে ফেলছি, মরিচ কাটলে সারাদিন হাত জ্বলছে তবুও পারছি।কিছুদিন পরেই দেখলাম এসব আর সেভাবে হচ্ছেনা।মনে মনে খুশি হলাম এবার বুঝি পাকা রাঁধুনি হব।আদর্শ গৃহিণী হওয়া এখন শুধু সময়ের ব্যাপার।বান্ধবীরা যখন চাকরির পরীক্ষা একের পর এক দিয়ে যাচ্ছে আমিও তখন আমার স্বপ্ন পুরনে একএক টা ধাপ পার হচ্ছি। সবকিছু যখন শিখে ফেলেছি তখন মনে হল আমি আসল জিনিসটা আজও শিখিনি।সংসারে সব চাইতে গুরুত্বপূর্ণ হল অভিনয় জানা।যে যত ভাল অভিনেত্রী হতে পারে সে তত সবাইকে সুখি করতে পারে।আর নিজেও সুখি হতে পারে।আমার তখন মনে হল কি করলাম এতদিন লেখাপড়া শিখে।যদি অভিনয়টাই না পারলাম।সেই সাথে মায়ের উপর খুব রাগ ও হল।ছোটবেলা থেকে যদি সব কিছুর পাশাপাশি অভিনয়টাও একটু শেখাত তাহলে আজ আর বিপদে পড়তে হত না। মনে হল আমার আদর্শ গৃহিণী হবার স্বপ্ন বুঝি এ জীবনে আর পুরন হলনা।তবুও আমি হাল ছাড়লামনা।সংসারে সুখি হতে গেলে এবং অন্যকে সুখি করতে গেলে যে যে অভিনয় গুলো করতে হয় তা ইতোমধ্যে আমি জেনে গিয়েছিলাম।

এই যেমন স্বামী রাগ করলে বকাঝকা করবে।মাঝে মাঝে গায়ে হাত তুলবে।স্ত্রীর তাতে মোটেও রাগ করলে চলবেনা।বরং এক গালে চড় মারলে হাসি হাসি মুখ করে আরেক গাল বাড়িয়ে দিতে হবে।শ্বশুরের জন্যে চা বানিয়ে আনলে তা যদি তার পছন্দ না হয় এবং তিনি যদি সেটা ফেলেও দেন তবে কষ্ট পাওয়া যাবেনা।বরং কিছুই হয়নি এমন ভাবে আবার চা বানানোই মনোনিবেশ করতে হবে।শ্বাশুড়ির যেকোন কথা হাসি মুখে গ্রহন করতে হবে।বাপের বাড়ি থেকে ফোন করলে যেমন ই থাকিনা কেন তাদের কে বোঝাতে হবে যে আমি ভালো আছি।পাড়া প্রতিবেশিরা যখনি যেটাই বলুক তাতেই আমার মংগল ভেবে চুপ থাকতে হবে।ইত্যাদি ইত্যাদি আরো অনেক কিছু।   যদিও এতকিছু আমার জন্যে কঠিন ছিল তবুও আমি দমে গেলাম না।জীবনের লক্ষ আমাকে পূরন করতেই হবে।

এরই মধ্যে আবারও পাড়া প্রতিবেশিদের আহাজারি শুরু হল।আহারে এ কেমন বউ।শুনছিলাম এত এত লেখাপড়া জানে।তা এতদিনে তো কোন চাকরিই পাইলনা।আজকালকার দিনের কোন মাইয়াডা ঘরে বইসা থাকে।রমিজের পুলার বউডা আই এ পাশ দিছে।সে তো সরকারী প্রায়মারি স্কুলে চাকরি করে।মাসে ২০ হাজার টাকা বেতন পায়।তোমারি কপাল খারাপ গো।   আবার ও তাদের আহাজারিতে আকাশ বাতাসের সাথে আমার সংসার ও কেঁপে উঠল।আমার মনে হল এতদিন যা করেছি তা পুরোটাই পন্ডশ্রম।আদর্শ গৃহিণী হওয়ার স্বপ্ন আমার আর এ জন্মে বুঝি পূরণ হলনা।সংসারের মান বাঁচাতে আমি এবার চাকরি নামক সোনার হরিণের পেছনে ছুটতে লাগলাম।

#ফ্যানপোস্ট

প্রিয়জনের অভিমান ভাঙাবেন যেভাবে

মান-অভিমান থাকে সব সম্পর্কেই। প্রত্যাশা এবং প্রাপ্তি না মিললেই আমাদের মন খারাপ হয়। আর আবেগের সম্পর্কে এই মন খারাপের সাথে মেশে ভালবাসার নানান হিসেব-নিকেশ। তখন ছোট্ট একটা বিষয়ে অভিমানের শুরু হলেও তা আর ছোট থাকে না। তাই প্রিয় সম্পর্কের অভিমান ভাঙানো অনেক সময়ই কঠিন কাজ হয়ে দাঁড়ায়। কী করবেন তখন? মানুষটিকে কষ্ট পেতে তো দেওয়া যাবে না! আসুন জেনে নিই, বিশেষজ্ঞরা কী বলেন-

জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইফ সাইন্স স্কুলের এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর সৌমিয়া প্রসাদ বলেন, আপনার প্রিয়জন হয়ত আপনার জন্য অনেক বিশেষ কিছু। তার জন্য আপনি সব করতে পারেন। কিন্তু তবুও একজন মানুষকে সব সময় সন্তুষ্ট রাখা কিন্তু সম্ভব নয়।

ই-বুক লেখিকা জুডি কোল বলেন, অনেক সময় সত্য কথা থেকেও ঝগড়ার উদ্ভব হতে পারে। আপনি হয়ত বললেন, ‘তুমি অনেক মোটা হয়ে গেছ’ বা ‘তোমার রান্না আজ ভাল হয় নি’। এ থেকেও বড় ঝগড়া হতে পারে।

তাই ঝগড়া নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে লাভ নেই। বরং কৌশল হিসেবে মেনে চলুন এই বিষয়গুলো-

বিষয় বদলাতে দেবেন না
প্রায়ই দেখা যায় ঝগড়া বা মান অভিমানে এক বিষয় থেকে কথা পরিবর্তন হতে হতে অন্য বিষয়ে চলে যায়। ছোট একটা কথা থেকে শুরু হয়েছিল, কিন্তু পুরাতন অনেক কথা যোগ হতে হতে সেটা বিশাল আকার ধারণ করে। তাই কোনভাবেই বিষয়টি বদলাতে দেবেন না। কথা বলার সময় সাবধানে থাকুন, যাতে অপরপক্ষ কোনভাবেই আপনার কথাকে কেন্দ্র করে আরও রেগে না যায়!

পাল্টা অভিযোগ করবেন না
ঝগড়া করার সময় আমাদের নিজেদের বাঁচানোর সবচেয়ে সাধারণ এবং পছন্দের উপায় হল পাল্টা দোষারোপ করে বেড়িয়ে পড়া। “তুমি কি কর? তুমি যখন কর আমার কেমন লাগে!” ইত্যাদি কথা বলে আমরা নিজেদের হয়ত সুরক্ষিত করি কিন্তু বিপদে ফেলে দিই সম্পর্কটাকে। নিজের অন্যায়টুকু মেনে নিন। অন্যায় না হলে বুঝিয়ে বলুন।

অহংকার ত্যাগ করুন
আমরা অনেক সময় অহংকারে নিজের ভুল দেখতে পাই না। প্রিয় মানুষটি কষ্ট পাচ্ছে দেখেও আমরা রাগ ছাড়তে পারি না। অভিমানকে গুরুত্ব দিই না। আপনার প্রিয়জন যখন অনেক সময় যাবত রেগে আছে, কষ্ট পাচ্ছে এবং আপনি কোনভাবেই বুঝতে পারছেন না কেন এই রাগ, পাল্টা আপনিও রেগে যাচ্ছেন, তখন একটু থামুন। ভাবুন। নিজের আচরণ খতিয়ে দেখুন। নিরপেক্ষ হয়ে বোঝার চেষ্টা করুন, ভুল আপনার নয় তো!

সময় দিন
অনেক ক্ষেত্রে সময়ই হয় শ্রেষ্ঠ সমাধান। সাথে সাথে আপনি রাগ ভাঙ্গাতে গেলে আপনার প্রিয়জন্য বুঝতে নাও চাইতে পারেন। ধাতস্থ হতে হয়ত একটু সময় চাই তার। তাকে একটু স্থির হতে দিন। হয়ত নিজেই সে বুঝতে পারবে আপনার কোন দোষ নেই। অথবা মাথা ঠান্ডা হলে আপনার কথা গ্রহণ করা সহজ হবে তার পক্ষে।

সরি বলুন
ভালবাসার মানুষকে সরি বললে কেউ ছোট হয়ে যায় না। প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ক্ষমা চান। এরপর বিস্তারিত কথায় যান। অতিরিক্ত সরি আপনার আত্মসম্মানকে খাট করতে পারে। কিন্তু প্রয়োজন অনুযায়ী সরি বলা অনেক সময় সম্পর্ককে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচিয়ে দেয়।

পুরুষের যে ১০টি বিষয় ভালোবাসেন নারীরা!

কথায় আছে, নারীর মন স্বয়ং বিধাতাও বোঝে না! সেখানে পুরুষেরা বুঝে উঠবেন নারীর মন, সে একটু কঠিন বৈকি! কি করলে নারীর মন পাওয়া যাবে টা নিয়ে যুগে যুগে অনেক গবেষণা ও তর্ক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। কারণ আর কিছুই না, পছন্দের নারীর ভালোবাসা অর্জন। নারীরা সাধাণরত আত্মনির্ভরশীল, ব্যক্তিত্ববান এবং রোমান্টিক পুরুষদের ভালোবাসেন। আসুন তাহলে জেনে নেয়া যাক পুরুষের মধ্যে কি কি বৈশিষ্ট্য থাকলে নারীর মন জয় করে নেয়া যায়।

রসবোধ ও বুদ্ধিমত্তা

মেয়েরা সাধারণত একটু রসিক ছেলেদের ভালোবাসে। যে কোনো বিষয় নিয়ে উপস্থিত ভাবে রসালাপ করতে পারে এমন ছেলেদের প্রতি মেয়েরা বেশি আকৃষ্ট হয়। বুদ্ধিমান ছেলেরা নারীদেরকে বেশি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়।   আত্মবিশ্বাসী ছেলেরা মেয়েদের আকর্ষণের কেন্দ্রে থাকে সব সময়। দ্বিধাগ্রস্থ ছেলেদের প্রতি মেয়েরা আকৃষ্ট হয় না। একজন পুরুষ যত সুন্দর বা রূপবানই হোক না কেন সে যদি আত্মবিশ্বাসী না হয় তাহলে তার প্রতি কোনো মেয়ে নির্ভর করতে পারবে না।

উচ্চতা ও দৈহিক গড়ন
বিভিন্ন জরিপে সর্বদাই দেখা গিয়েছে যে নারীদের পছন্দ অধিক উচ্চতার পুরুষ। চেহারার সৌন্দর্যের চাইতে মেয়েরা অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে পুরুষের উচ্চতা ও বলিষ্ঠ গড়নকে।

আত্মনির্ভরশীল-

নারীদের পছন্দের তালিকায় আত্মনির্ভরশীল পুরুষরা সব সময়েই অগ্রাধিকার পায়। নিজের উপার্জনে চলে এমন পুরুষই নারীর পছন্দ। বাবার উপার্জনে দিনযাপন করা ছেলেদের খুব একটা পছন্দ করেনা নারীরা। সম্মানিত পদবীতে চাকরী করে এবং স্বচ্ছল পুরুষদেরকে নারীরা তাদের পছন্দের তালিকায় রেখে থাকে।

যত্নশীল-

নারীরা যত্নশীল ছেলেদের ভালোবাসে। তারা নির্ভর করার মত পুরুষদের পছন্দ করে যারা তাদের কাজে কর্মে সহায়তা করবে এবং যত্ন নিবে। যে সব পুরুষরা প্রতি বেলায় নিয়মিত খোজ খবর রাখে তাদেরও পছন্দ করেন নারীরা।

সুন্দর চুল-

নারীরা সচ্ছল পুরুষদের পছন্দ করে, এটা সত্য। তবে নারীদের পছন্দের তালিকায় প্রথমেই থাকে মাথা ভরা চুলের অধিকারী পুরুষেরা। এমনকি ধনী পুরুষদের চাইতেও নারীরা মাথায় সুন্দর চুলের অধিকারী পুরুষদের প্রতি বেশি আকর্ষণ বোধ করে থাকে।

স্বচ্ছতা

নারীরা পুরুষের কাছে সততা ও স্বচ্ছতা আশা করে। দীর্ঘমেয়াদী সর্ম্পকে জড়াতে চাইলে নারীর কাছে মিথ্যা বলা উচিত না। সত্য কথা বলতে দ্বিধা বোধ করলেও বলে ফেলুন। এতে নারীদের আস্থা অর্জন করতে পারবেন।

পুরুষালী আচরণ-

নিজের সঙ্গীর কাছ থেকে নারী খোঁজে নির্ভরতা ও নিরাপত্তা। যে পুরুষ তাকে নিরাপত্তা দিতে পারে, নারীর চোখে তারাই পুরুষালী আচরণের অধিকারী। আর এই ধরনের পুরুষদের জন্য নারীর আকর্ষণ সর্বাধিক।
পরিচ্ছন্ন সুন্দর পোশাক-
নারীরা স্মার্ট ও পরিচ্ছন্ন পোশাকের পুরুষ পছন্দ করে। নিজের ত্বকের রঙ এবং শারীরিক গঠনের সাথে মানানসই পোশাক পরিহিত পুরুষরা নারীদের আকর্ষণের কেন্দ্রে থাকে।
সুগন্ধী-
শরীরে দুর্গন্ধ থাকলে না্রীদের মন পাওয়া যা‌য়না। সুগন্ধির মাধ্যমে ব্যক্তিত্ব ও রুচিবোধ প্রকাশ পায়। তাই ভালোমানের রুচিশীল সুগন্ধী ব্যবহার করুন।   নারী ও পুরুষের একে অপরের দুর্বলতা প্রকৃতির একটি স্বাভাবিক নিয়ম। নারীরা পুরুষের কাছ থেকে নিখাদ ভালোবাসা এবং সম্মান আশা করে। তাই নারীর চোখে আকর্ষণীয় ও ব্যক্তিত্ববান পুরুষ হতে চাইলে নারীর প্রতি সম্মান দেখান এবং সততা বজায় রাখুন।

সন্তান-সম্ভবা মায়ের নিয়মিত যত্ন ও সন্তানের বৃদ্ধি

মা পৃথিবীর মধুরতম ডাক। আমাদের পৃথিবীর আলো দেখাতে তারা সীমাহীন কষ্ট সহ্য করেন। গর্ভাবস্থায় তাই মায়ের দরকার বাড়তি পুষ্টি, বাড়তি যত্ন। কিন্তু আমরা কি প্রত্যেকে আসলেই জানি সঠিক ভাবে কীভাবে যত্ন নিতে হবে!? মায়ের যত্ন কখনই তার নিজের একার পক্ষে করা সম্ভব না কারণ গর্ভ ধারণের পর অনেক মায়ের অবস্থাই নাজুক হয়ে যায়। আপনার কাছের মানুষটিকে মানসিক, নৈতিক সহায়তা করতে জেনে নিন কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য।

সঠিক সময়ে নিয়মিত ভাবে চেক-আপ না করালে মা ও শিশু উভয়ের শারীরিক ক্ষতি হতে পারে। এমনকি বাচ্চা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই WHO (world health organisation ) ১৩ টি Antenatal visit নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে ৪ টি অবশ্যই করতে হবে। এর মানে হলো, গর্ভাবস্থায় কাছের স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়মিত এই পরীক্ষা করতে হবে দেখার জন্য যে বাচ্চা বা মায়ের কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা।

০১) ১৬ সপ্তাহের মধ্যে – রক্তশূন্যতা, সিফিলিস, প্রসব জনিত কোন জটিলতা আছে কিনা। জন্ম পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্য শিক্ষাও নিতে হবে।
০২) ২৪ থেকে ২৮ সপ্তাহের মধ্যে- বাচ্চা ঠিক মত বাড়ছে কিনা, পেটের বেড়ে যাওয়া অংশ মেপে পরীক্ষা করাতে হবে।
০৩) ৩২ তম সপ্তাহে- এক্লামশিয়া ( উচ্চ রক্ত চাপ, প্রস্রাবে প্রোটিন যাওয়া, হাত পা ফুলে যাওয়া আছে কিনা ), জন্ম পরিকল্পনাকে আরও উন্নত করা।
০৪) ৩৬ তম সপ্তাহে -বাচ্চার পজিশন, জরায়ুতে কীভাবে আছে, মাথা নাকি পা বা শরীরের অন্য অংশ নীচের দিকে তা জানতে হবে। জন্ম পরিকল্পনার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

শেষ হলো ভিজিটের পালা। কিন্তু এর সাথে কিছু টেস্ট-ও করতে হবে। ডাক্তাররা প্রায়ই এসব টেস্ট করতে দেন। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রসব জনিত কোন জটিলতা হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে তা আগেই নির্ণয় করা।

রুটিন টেস্টঃ

০১. Hb %, CBC, VDRL
০২. Random Blood Sugar
০৩. Ultrasonogram of whole abdomen

বিশেষ টেস্টঃ

০১. TORCHES test, HBS Ag
০২. Maternal serum alpha fetoprotein
০৩. Ultrasound examination
০৪. Cervical cytology ( pap smear )

গর্ভাবস্থার বিপদচিহ্ন সমূহঃ

এই বিপদচিহ্ন গুলোর একটিও দেখা দিলে সাথে সাথে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।

০১. তীব্র মাথা ব্যাথা
০২. অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
০৩. যোনিপথে রক্তপাত হওয়া
০৪. তলপেটে ব্যথা
০৫. চোখে ঝাপসা দেখা
০৬. হাত পা ফুলে যাওয়া
০৭. বাচ্চার নড়া চড়া বন্ধ হয়ে যাওয়া

গর্ভাবস্থায় মায়ের প্রয়োজন পুষ্টিকর খাদ্য। কারণ পূর্বে আপনি যাই খেতেন তা শুধু আপনার উপর প্রভাব ফেলত। আর এখন এটা আপনার বাচ্চার সুস্থতার সাথে জড়িত। খুব বেশি না কিন্তু সুষম খাদ্য খেতে হবে।  সাধারণত দিনে ২১০০ ক্যালরি খাদ্য একজন সুস্থ মানুষের জন্যে যথেষ্ট। কিন্তু গর্ভাবস্থায় চাহিদা বেড়ে যায়। ২৫০০ ক্যালরি সমপরিমাণ খাদ্য প্রয়োজন হতে পারে।

০১. প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাদ্য খেতে হবে। সবুজ শাক-সবজি, মাছ-মাংস খেতে হবে। অবশ্যই নিয়মিত খেতে হবে, পাশাপাশি ভাত, ডাল, শস্য দানা, আলুও খেতে হবে।

০২. আয়রন ও ফলিক এসিড এর চাহিদা বেড়ে যায়। আয়রন প্লাসেন্টা তৈরি হওয়ার জন্যে রক্ত যোগায়। ব্রকলি, কচু শাক, পালং শাক তাই গর্ভাবস্থায় জরুরী। ঘাটতি থাকে নিয়মিত ট্যাবলেট খেতে হবে। ঘাটতির পরিমাণ বেশি হলে রক্ত দিতে হতে পারে।

বাচ্চার ( সাপ্তাহিক ) অঙ্গ গঠনঃ  প্রথম তিন মাসে বাচ্চার সব অঙ্গ গঠন শুরু হয়। তাই এ সময় খুব সাবধানে থাকতে হয়।

০১) ৫ম সপ্তাহ – মস্তিস্ক, সুষুম্না কাণ্ড, হৃদপিণ্ড ও খাদ্যনালী গঠন হওয়া শুরু হয়।
০২)  ষষ্ঠ – ৭ম সপ্তাহ- হাত ও পা কুঁড়ির আকার ধারণ করে। কান ও চোখ তৈরি শুরু হয়। হৃদপিণ্ড তৈরি হতে থাকে ও সঠিক তালে স্পন্দিত হয়।
০৩)  ৮ম সপ্তাহ – ফুসফুস তৈরি শুরু হয়। মস্তিষ্ক বাড়তে থাকে।
০৪)  ৯ম সপ্তাহ – কনুই ও পায়ের পাতা দেখা সম্ভব হয়। স্তনের বোটা ও লোম তৈরি হয়। সব প্রয়োজনীয় অঙ্গ তৈরি হওয়া শুরু হয়।
০৫)  ১০ম সপ্তাহ- চোখের পাপড়ি আরও উন্নত হয়। অন্ন নালি ঘুরে নতুন অবস্থান নেয়। মুখ সুন্দর আকার নেয়।
০৬)  ১১তম-১২তম সপ্তাহ – মাথা শরীরের অর্ধেক আকার ধারণ করে। হাত পা সরু ও লম্বা হয়। বাচ্চা আঙ্গুল দিয়ে হাত মুঠো করতে পারে।

যা যা করা যাবে না ও সাধারণ কিছু উপদেশঃ

০১. ভারি কাজ করা যাবে না ( সিঁড়ি দিয়ে ওঠা নামা কম করতে হবে, ভারি জিনিস ওঠানো যাবে না, ঝাঁকুনি দেয়া যানবাহন বা রাস্তায় চলা যাবে না।
০২. ধূমপান, মদ পান বন্ধ করতে হবে। পর্যাপ্ত পানি খেতে হবে ও বিশ্রাম নিতে হবে।
০৩. অনেক ওষুধ আছে যা খেলে বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে বা বিকলাঙ্গ হতে পারে। প্রায়ই ব্যবহার করা হয় এমন কিছু ওষুধের নাম হচ্ছে – celecoxib, ibuprofen, all oral contraceptives, testosterone, griseofulvin, sulfisoxazole, povidone iodine, metronidazole, methotrexate এরকম আরও কিছু ওষুধ।  এ সময় যে কোন ওষুধ খাওয়ার আগেই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

সন্তান মায়ের জন্য অতি আদরের মানিক রতন। বাচ্চার মঙ্গলের জন্যে মা সবই করতে পারেন। একটু সচেতন থাকলেই এড়ানো যাবে ঝুঁকিপূর্ণ অনেক পরিস্থিতি। নিয়ম গুলো যত্নের সাথে পালন করুন। সুস্থ, সুন্দর বাচ্চার হাসি মুখ দেখার শুভকামনা রইল।

লিখেছেনঃ শারমিন আখতার চৌধুরী

পুরুষত্বের সমস্যা সমাধানে…

অনেক সময় অনেক ভাঙনের শব্দ হয় না। অনেক ক্ষত থাকে যা চর্মচক্ষে দেখা যায় না। তবুও চোরাস্রোত ভেঙে দেয় সুখনদীর দুকূল। একই ছাদের নীচে থাকা দুজন মানুষকে নিয়ে যায় অশান্তির নরকে। অসুখী দাম্পত্য, বিবাহ বিচ্ছেদ-কলহ, এগুলো এখন নতুন কিছু নয়। অথচ এসব কিছুর অনেকগুলোর পেছনেই থাকে যৌনতার সমস্যা। যার সমাধান পেতে অনেকে ডাক্তারের কাছে যেতে সংকোচ করেন।

অনাদিকাল থেকে যৌনতা নিয়ে মানুষের গবেষণার শেষ নেই। এই আধূনিক যুগে এ নিয়ে গবেষণা চরম মাত্রা পেয়েছে। গবেষকদের মধ্যে হুল্লুড় হলেও এখনকার সমাজে প্রকাশে এ নিয়ে কেউ টু শব্দটি করেন না। অথচ যৌন শিক্ষা নিয়ে প্রাপ্ত বয়স্কদের সম্যক জ্ঞান রাখা জরুরি বৈকি। কারণ এটি আমাদের জীবনের বড় একটা অংশ। বিবাহিত দম্পতিদের তো এ নিয়ে সাধারণ জ্ঞানটুকু থাকা একেবারেই জরুরি। সৃষ্টির শুরু থেকে আজ অবধি মানবজাতির এক অপার কৌতূহলের বিষয় যৌনতা। কীভাবে যৌনতাকে আরও উৎকর্ষ করে তোলা যায়। এ প্রশ্ন সার্বজনীন। বিভিন্নজন বিভিন্নভাবে এ প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছেন। বৈদিক যুগের মুনি-ঋষি থেকে শুরু করে আধুনিক যুগের চিকিৎসা বিজ্ঞানে এ নিয়ে বিস্তর মতবাদ আছে। কিন্তু প্রশ্ন একটাই, ‘যৌনশক্তি বৃদ্ধির সেই অমৃত উপাদান আসলে কী?’ আমাদের সমাজে যৌণবিষয়ক আলোচনা যেন ব্রাত্য। কিন্তু দাম্পত্য জীবনে এর প্রভাব অনস্বীকার্য। এ বিষয়ে সম্যক জ্ঞানের অভাব দাম্পত্য জীবনে কলহ ডেকে আনতে পারে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিবাহ-বিচ্ছেদ পর্যন্ত ঘটাতে পারে। সংসারে নিত্য মন কষাকষিতো আছেই।

স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যৌণতার সম্পর্ক স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া। কিন্তু এ ক্ষেত্রে দুজনের কারো যদি সমস্যা থেকে থাকে সেটার জন্য ব্যবস্থা নেয়া আবশ্যক। শুধু যে ওষুধ খেয়েই রোগ তাড়াতে হবে-বিষয়টা কিন্তু এমনও নয়। খাবারের মেন্যুতে কিছু পরিবর্তন আনলেও আমরা পেতে পারি সঠিক দাওয়াই। কৃত্রিম পন্থায় যৌনশক্তি বাড়াতে ভায়াগ্রা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার অন্ত নেই। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এর আগের প্রতিবেদনে ‘ভায়াগ্রার কাজ করবে তরমুজ’ শিরোনামে পরামর্শমূলক একটি লেখা প্রকাশিত হয়েছিল। পাঠকদের ব্যাপাক সাড়া মিলেছে এতে। আজ আলোচনা করা হবে ঘরোয়াভাবে কিভাবে অনেক যৌন সমস্যার সমাধান করা যায় তা নিয়ে। (প্রসঙ্গত, এই লেখা ডাক্তারি কোনো ব্যবস্থাপত্র নয়; পরামর্শমূলক প্রতিবেদন মাত্র।)

এক গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষত্বের সমস্যা নিয়ে ডাক্তারের কাছে যেতে কুন্ঠিত বোধ করেন অনেকে। এ কারণে আমরা চেষ্টা করেছি এর প্রাথমিক চিকিৎসা আপনি যাতে আপনার বাড়িতেও করতে পারেন। এবার আসুন জানা যাক যৌন অক্ষমতার প্রথম ধাপের চিকিৎসায় দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার্য কি কি উপকারে আসে।

রসুন
প্রতিদিন দু থেকে তিনটি রসুনের কোয়া কাঁচা অবস্থায় চিবিয়ে খান ৷ এতে আপনার যৌন ইচ্ছা কমে গিয়ে থাকলে তা বৃদ্ধি পাবে ৷ এ ছাড়া গমের তৈরি রুটির সঙ্গে রসুন মিশিয়ে খেলে তা আপনার শরীরে স্পার্ম উত্পাদনের মাত্রা বাড়ায় এবং সুস্থ স্পার্ম তৈরিতে এটি সাহায্য করে৷

পেঁয়াজ
কাম-উত্তেজক ও কামনা বৃদ্ধিকারী হিসাবে পেঁয়াজ বহুদিন থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে৷ সাদা পেঁয়াজ পিষে নিয়ে তাকে মাখনের মধ্যে ভালো করে ভেঁজে নিয়ে তা প্রতিদিন মধুর সঙ্গে খেলে তা থেকে উপকার পাওয়া যায়৷ কিন্তু একটি বিষয় মনে রাখবেন, এটি খাওয়ার আগে ঘণ্টা দুয়েক সময় আপনার পেট খালি রাখবেন৷ এইভাবে প্রতিদিন খেলে স্খলন, শীঘ্রপতন বা ঘুমের মধ্যে ধাতুপতন ইত্যাদি সমস্যার সমাধান হওয়া সম্ভব৷

গাজর
১৫০ গ্রাম গাজর কুঁচি এক টেবিল চামচ মধু এবং হাফ-বয়েল ডিমের সঙ্গে মিশিয়ে দুমাস খেলে আপনার শারীরিক এই অক্ষমতা কম হতে পারে৷

কিছু খাবার এর নাম বলব যেগুলো যৌন ক্ষমতা বাড়াতে যাদুমন্ত্রের মত কাজ করে । এগুলোর কিছু কিছু আমাদের চারপাশে পাওয়া যায় আবার কিছু পাওয়া যায় না । যা পান হাতের কাছে সেটাই খেতে পারেন । ভাল ফলাফল পাবেন । আসুন খাবারগুলোর নাম জেনে নেওয়া যাক

১. তরমুজ  ২. কালো চকোলেট  ৩. অ্যাস্পারাগাস  ৪. ঝিনুক  ৫. কুমড়া বীজ  ৬. রসুন  ৭. বাঁধাকপি  ৮. কলা   ৯. আভোকাডো  ১০. বাদাম  ১১. ডিম  ১২. তৈলযুক্ত মাছ  ১৩. মরিচ  ১৪. আখরোট  ১৫. ব্রকলি  ১৬. গরুর মাংস  ১৭. শিমের বীচি  ১৮. সেলেরি  ১৯. সয়া  ২০. মাকা গাছের শিকড়  ২১. গোজি বেরি  ২২. মধু  ২৩. ডুমুর  ২৪. সবুজ জলপাই  ২৫. আমলকী  ২৬. আলমণ্ড  ২৭. আম  ২৮. স্ট্রবেরি  ২৯. পিচ ফল  ৩০. আনারস। (খাবারগুলো আবার অতিভোজনের পর্যায়ে নিয়ে যাবেন না যেন, পরিমিত খান।)

এ-তো গেল কিছু উপকারী খাবারের তালিকা। এবার বলব কিছু টিপস-এর কথা।

১. দুজনই রাগ নিয়ন্ত্রণ করুন  ২. নিজেদের দুর্বলতাগুলো জানুন ৩. সাথীর প্রতি নমনীয় থাকুন ৪. হাজারো ব্যস্ততার মধ্যে পরস্পরকে সময় দিন। এবং ৫. একে অপরের দোষ-গুণগুলোকে মানিয়ে নিয়ে,পরস্পরকে শ্রদ্ধা করে ভালবাসার বাঁধনে বাধুন। সুখ ধরাছোঁয়ার বাইরের কিছু না। সুখের ঠিকানা হাতের মুঠোয়।

:: এস এস সরকার

 

সকালে রুটি-ভাজি, না দুধ-কর্নফ্লেকস?

এক মগ কফি হাতে নিয়ে আয়েশ করে যখনই একজন বসলেন টেলিভিশনের সামনে, তখনই আরেকজন এসে একরকম ছিনিয়ে নিলেন রিমোটটা, তিনি তাঁর পছন্দের অনুষ্ঠান দেখবেন। এক দিন পছন্দের নাটক না দেখলে কী হয়, পরে তো এটি আবার দেখাবেই। কিংবা খেলার স্কোর কি ইন্টারনেট থেকে জেনে নেওয়া যায় না? স্বামীর সকালের নাশতায় রুটি-ভাজি না হলে চলছেই না, কিন্তু স্ত্রী শুরু করেছেন দুধ-কর্নফ্লেকস দিয়ে নাশতার চল। দিনের পর দিন খেতে হবে অপছন্দের খাবার? নাশতার টেবিলে একজন মুখ হাঁড়ি করে খাবার নাড়াচাড়া করছেন, এ দৃশ্যই বা কত দিন সহ্য করা সম্ভব? একসঙ্গে সিনেমা দেখতে যাওয়া হবে, কিন্তু কোনটা? ডিজনির নতুন অ্যানিমেশন সিনেমা, নাকি নতুন জেমস বন্ড? আড়াই ঘণ্টা কি ঝাড়া বসে থাকা সম্ভব সিনেমা হলে শুধু অন্যজনের পছন্দের মূল্য দিতে? ঘুমিয়ে পড়ার সুযোগও তো নেই।

একজন জানালা বন্ধ করে ঘুমাতে পারে না, আর আরেকজন জানালা খোলা রেখে ঘুমাতে পারে না। এই দুজনের বন্ধনই হলো বিয়ে। ঔপন্যাসিক জর্জ বার্নার্ড শ এ কথা বলে দিয়েছেন বহু আগেই। তাহলে ‘জানালা খোলা’ আর ‘জানালা বন্ধ’-এর দল কীভাবে দিনের পর দিন বাস করছে একসঙ্গে? মনোবিজ্ঞানীর মতে, ‘সমঝোতা, অন্যের রুচিকে গ্রহণ করার মানসিকতা, আর ভালোবাসা তো থাকতেই হবে।’

দুই পরিবার, দুই সংস্কৃতি, দুই রকমের বেড়ে ওঠা—এমন দুজন মানুষ যখন বিয়ের বন্ধনে জড়ান, তখন তাঁদের পরস্পরের এই পার্থক্যকেই সম্মান করতেই হবে। বিয়ের আগে থেকেই এর জন্য মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে রাখা ভালো। তবে অবশ্যই মনে রাখুন, এটি দুজনের বেলাতেই সত্য। একজন শুধু সমঝোতা, ত্যাগ করেই যাবেন, অন্যজন শুধু উপভোগ করবেন—এমন সম্পর্ক ইতিবাচক হতে পারে না। এমনই মত জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক মেখলা সরকারের।

মেখলা বলেন, একজনের একতরফা চেষ্টায় হয়তো সাময়িকভাবে সমস্যার সমাধান হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এভাবে দিনের পর দিন চললে দুজনের মাঝে তৈরি হবে বড় ফাঁক। সম্পর্কে কোনো একজনের প্রাধান্য থাকাটা ঠিক নয়, বরং দুজনের মধ্যে থাকা চাই সহযোগিতা ও শ্রদ্ধা। অবশ্যই কখনো কখনো প্রাধান্য দিতে হবে অন্যের পছন্দ, কিন্তু তাই বলে নিজেকে একদম বদলে ফেলাও ভালো নয়।

নিজেদের দাম্পত্যে রুচির তফাতটা বড় হয়ে উঠতে দেন না বলেই জানালেন রাশেদ হাসান (ছদ্মনাম)। ‘পার্থক্য যেমন আছে, তেমনি দুজনের কোনো কোনো জায়গায় মিলও তো আছে। আমি আর আমার স্ত্রী দুজনই বেড়াতে খুব পছন্দ করি। আবার ওর আর আমার পছন্দের খাবার ভিন্ন। যেমন: সে চিতল মাছ মোটেই খায় না, তবে আমার পছন্দ বলে রেঁধে দেয়। আর আমিও খেয়াল রাখি, ঘন ঘন যেন বাড়িতে এই মাছ কেনা না হয়। আবার আমি বুঝি যে বুদ্ধিবৃত্তিক বিষয়গুলোতে আমার আর ওর মতের বড় পার্থক্য আছে, ওর সঙ্গে তাই সচরাচর সাহিত্য, সিনেমা এগুলো নিয়ে আলোচনা করি না। এসব কথা বলার জন্য আমার বন্ধুরা তো আছেই।’ বলেন তিনি।

দুজনের পছন্দ দুই রকম মানে কিন্তু এই নয় যে, কারও রুচি খুব ভালো, অপরজন একবারেই নিম্ন রুচির। ‘স্বামী বা স্ত্রীর কোনো কিছু ভালো না লাগলেও খুব সমালোচনা করা ঠিক নয়। নেতিবাচক কোনো কথা বলার চেয়ে বরং চুপ করে থাকাও ভালো। অথবা একটু ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে নিজের পছন্দ জানাতে পারেন। যেমন: একজন হয়তো বাড়ির পর্দা কিনেছেন, কিন্তু সেটা অন্যজনের পছন্দ হচ্ছে না। সরাসরি এ কথা না বলে বরং বলতে পারেন, দেখতে যেমনই হোক, বেশ ভালো দামে পেয়েছ এটা।’ বলেন মেখলা সরকার।এক জায়গায় হয়তো মিল হচ্ছে না স্বামী-স্ত্রীর, কিন্তু অন্য নানা গুণ হয়তো আছে তাঁর। পরস্পরের কমতিগুলোর দিকে নজর না দিয়ে বরং ইতিবাচক ব্যাপারগুলোকে উপভোগ করতে শিখুন না।

দৈনিক প্রথম আলো হতে সংগ্রহিত

বিয়ের আগে বিয়ের পরে

‘বিয়ের আগে অসম্পূর্ণ ছিলাম, বিয়ের পর একদম বরবাদ হয়ে গেছি।’ কমেডিয়ান হেনরি ইয়াংম্যানের স্রেফ রসিকতা এটি। শুনে তো হাসবেনই, তবে একবার হয়তো নিজের বিয়ের পর প্রথম দিনকার কথাগুলোও মনে পড়ে যাবে।

সারা রাত পড়াশোনা বা অন্যান্য কাজ করে ভোরের আলো ফোটার পর ঘুমাতে যাওয়ার অভ্যাস যে মেয়েটির, তাঁকে হয়তো বিয়ের পর ১১টা বাজতেই ঘুমানোর আয়োজন করতে হয়। মশারি খাটালেই দম বন্ধ হয়ে যেত যাঁর, তাঁর স্বামীর হয়তো একটি মশার গুনগুন কানে গেলেই ঘুম হারাম হয়ে যায়। পরিপাটি খাবার টেবিলে সবাই একসঙ্গে বসে খাওয়ায় অভ্যস্ত মেয়েটির, শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা হয়তো টেলিভিশনের সামনে বসেই কোনোমতে খেয়ে নেন।

ঝাল খাওয়ার একদমই অভ্যাস ছিল না মেয়েটির। কিন্তু শ্বশুরবাড়িতে সবাই খুব ঝাল খান। এক বছর চেষ্টা করেও মানিয়ে নিতে পারেননি মেয়েটি এই খাদ্যাভ্যাসে। এখন বাধ্য হয়েই নিজের জন্য আলাদা রাঁধার ব্যবস্থা করে নিতে হয়েছে। তাতে শাশুড়ি একটু ক্ষুণ্ন হয়েছেন, কিন্তু খাওয়াদাওয়ার কষ্ট থেকে তো মুক্তি পেয়েছেন তিনি। এ নিয়ে রোজকার খিটিমিটিও আর হয় না এখন। নাম না প্রকাশ করার শর্তে এমনই জানিয়েছে তিনি।

বিয়ের আগের জীবন আর বিয়ের পর—দুটোয় আকাশ-পাতাল তফাৎ, এমন বলেন অনেকেই। তবে সেই নতুন জীবনেও তো মানিয়ে নিতে হবে। আর সেজন্য চাই ধৈর্য আর ইচ্ছাশক্তি।

মনিকা’স বাঁধন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মনিকা পারভীন দীর্ঘদিন ধরে দম্পতিদের পরামর্শদাতা

হিসেবেও কাজ করছেন। তিনি মনে করেন, প্রেম করে বিয়ে করা জুটিদের মধ্যে একটা বোঝাপড়া আগেই তৈরি হয়ে যায়। একটু সতর্ক থাকতে হবে সম্বন্ধ করে বিয়ে হলে বা বিয়ের পর যৌথ পরিবারে থাকতে হলে। নতুন জীবনে সমস্যা হলে সেটা লুকিয়ে রেখে লাভ নেই। বরং বলে ফেলাতেই দুজনের বোঝাপড়া তৈরি হওয়া সম্ভব। তবে এখানেও খুব সাবধান। ‘বলার ধরন আর বলার সময় দুটোই খুব গুরুত্বপূর্ণ। একটা কিছু হলেই অনুযোগ না করে বরং পরে অন্তরঙ্গ সময়েও ভালোভাবে সেটি বুঝিয়ে বলা যায়। হাসিঠাট্টার মধ্যে বলা গেলে তো আরও ভালো।’ বলেন মনিকা পারভীন।

বাথরুম ভেজা থাকাটা হয়তো দারুণ বিরক্তিকর আপনার কাছে। অথচ স্বামী বাথরুমে যাওয়া মানেই পুরো বাথরুম ভিজে একাকার হওয়া। এমনকি কোনো দিন হয় যে সেই ভেজা বাথরুমে পা পিছলে গেল তাঁরই। তখন ঠাট্টা করে বলতে পারেন, ‘দেখলে তো তুমিই ভুগলে’। এভাবে বললে তিনি নিশ্চয়ই আরও সতর্ক হবেন। তিনি বাথরুম থেকে বের হওয়া মাত্রই চেঁচামেচি করাটা কোনো সমাধান নয়। আর এটাও মেনে নিতে হবে দশটা সমস্যার মধ্যে হয়তো সাতটির সমাধান হবে। বাকি তিনটি মানিয়ে নিতে হবে।

যৌথ পরিবার হলে শুরু থেকেই পরিবারের সবার সঙ্গে মিশতে হবে। অনেকেই ভাবেন, বিয়ের পর একটু চুপচাপ থাকি। কিছুদিন পর থেকে সংসারের কাজ করব, সবার সঙ্গে অন্তরঙ্গতা বাড়াব। এই মনোভাবও ঠিক নয় বলে মনে করেন মনিকা।

বাপের বাড়ির সুবিধাগুলো একটি মেয়ে শ্বশুরবাড়িতে এসে পাবেন না, তা কিন্তু নয়। তবে শুরুতেই নিজের সমস্যা বা অভ্যস্ততার ব্যাপারগুলো বলা ঠিক না। আর বলতে হলেও স্বামীকেই প্রথম বলা উচিত। তিনিই অন্যদের বুঝিয়ে বলবেন।

সকালে ঘুম থেকে উঠে নাশতা বানাতে হবে, ঠিক তা হয়তো এখনকার শাশুড়িরা আশা করেন না। কিন্তু উঠে একটু রান্নাঘরে যাওয়া, পরিবেশন করা, এটুকু করলে তিনি খুশি হন। এভাবে সম্পর্কটা সহজ হয়ে এলে একসময় তিনিই খেয়াল করবেন আপনার অসুবিধাগুলো। আর সঙ্গে সঙ্গেই সমস্যার কথা না বলে একটু সময় নিন। ভেবেচিন্তে পরে এ নিয়ে আলোচনা করুন।

রুহিনা তাসকিন (প্রথম আলো)

প্রেমে পুরুষের চেয়ে নারী বেশি সুখী

নারী-পুরুষ প্রেম করে। কিন্তু প্রেম করে কে বেশি সুখী—নারী না পুরুষ। এ নিয়ে হয়তো বলা কঠিন। তবে নতুন সমীক্ষার ফলাফলে দেখা গেছে, প্রেমে পুরুষের চেয়ে নারীরাই বেশি সুখী।  সম্প্রতি ব্রেনেডেন হেল্থ যুক্তরাজ্যের দুই হাজার নারী-পুরুষের ওপর সমীক্ষা চালিয়েছে।

সমীক্ষায় পুরুষদের তাঁদের বেতন, পদোন্নতি, শারীরিক গঠন, বাহ্যিক প্রকাশ, অর্থের উৎস, চাকরির নিরাপত্তা, অন্যের কাছে তাঁদের গ্রহণযোগ্যতা—এই সাতটি বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হয়।  আর নারীদের তাঁদের প্রেম, পরিবার, দাম্পত্য জীবন,  স্বাস্থ্য ও বসবাসের স্থান – এই পাঁচটি বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়।

প্রথম আলো