ক্যানসার মরণব্যাধি হিসেবেই পরিচিত। ব্যয়বহুল চিকিত্সা আর নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের মধ্য দিয়েই কাটাতে হয় ক্যানসার-আক্রান্ত ব্যক্তিকে। তবে ক্যানসার মোকাবিলায় নতুন একটি জাদুকরী ওষুধের সন্ধান দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ম্যারিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকের মতে, বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়া, ক্যানসার মোকাবিলায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। ক্যানসার-আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে বিবাহিতদের দীর্ঘদিন বাঁচার সম্ভাবনা অবিবাহিতদের তুলনায় অনেক বেড়ে যায় বলে জানিয়েছেন এই গবেষকেরা।
২০০০ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত ১৬৮ জন রোগীর ওপর এই গবেষণা চালানো হয়। এর মাধ্যমে দেখা গেছে, যাঁরা বিবাহিত, তাঁদের এক-তৃতীয়াংশ অবিবাহিতদের তুলনায় প্রায় তিন বছর বেশি বাঁচেন। ক্যানসার-আক্রান্ত রোগীদের দীর্ঘদিন বাঁচার জন্য প্রয়োজন নিয়মমাফিক জীবনযাপন, পর্যাপ্ত চিকিত্সা-ব্যবস্থা ও প্রয়োজনীয় যত্ন।
ম্যারিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গবেষকদের মতে, এটাই ব্যাখ্যা করে বিবাহ কীভাবে ক্যানসার মোকাবিলায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। গবেষণা দলের প্রধান এলিজাবেথ নিকোলাস বলেছেন, ‘বৈবাহিক অবস্থা ক্যানসার মোকাবিলায় একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বাধীন প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। কেন এমনটা হয়, সেটা স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করা কঠিন। কিন্তু আমাদের গবেষণা থেকে দেখা গেছে, সামাজিক সহায়তা ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীদের চিকিত্সার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা বিশ্বাস করি, যে রোগীরা ভালো সামাজিক যত্নআত্তি পাবেন, তাঁরা ক্যানসার মোকাবিলা করে বেশি দিন বেঁচে থাকতে পারবেন।’
ক্যানসার মোকাবিলার জন্য নতুন ওষুধ খুঁজে বের করার পাশাপাশি সামাজিক সহযোগিতা কীভাবে এই মরণব্যাধি মোকাবিলায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে, সেই বিষয়ে গবেষণা হওয়াও জরুরি বলে মনে করেন নিকোলাস। এএনআই।