মানুষটাকে কি ভবিষ্যৎ জীবনসঙ্গী হবার যোগ্য !

যখন কারো প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তখন কিছু আচার আচারন, ভাব বহিঃপ্রকাশের মাধ্যমে বোঝা যায় –  আপনি আপনার সঙ্গীকে কি পরিমাণ ভালোবাসেন এবং তার বিপরীতে কি পরিমাণ সাড়া তার কাছ থেকে পাচ্ছেন এবং তা বিয়ের বন্ধনের জন্য যথেষ্ট কিনা । একই ভাবে কিছু বিষয় লক্ষ্য করলে সহজেই বোঝা যায় যে,  আপনার সম্পর্কটি বিয়ের মত একটি সিরিয়াস সিদ্ধান্তে যাওয়ার মত পরিপক্ষতা পেয়েছে  কি না।  যাকে নিয়ে দীর্ঘ পথ পাড়ি দেয়ার কথা ভাবছেন সে আপনার জন্য সঠিক মানুষ কি না।  এবং  মানুষটাকে ভবিষ্যৎ জীবন সঙ্গী হিসাবে গ্রহণ করবেন কি না –

ভবিষ্যৎ কল্পনাঃ আপনি যখন কারো প্রতি দুর্বল হয়ে পড়েন তখন তাকে নিয়ে ভবিষ্যৎ জীবন কল্পনা করতে শুরু করেন, ঠিক রূপকথার গল্পের মতো। এরকম ভাবনা গুলোর সৃষ্টি হয় মানুষের হরমোনের ক্রিয়ার ফলে এবং প্রতিটা মানুষের মনে এরকম কল্পনা আসে।  যদিও সব ভালোবাসার সম্পর্ক বিয়ের পিঁড়ি পর্যন্ত যায় না।  আপনি যখন আপনার ভালোবাসার মানুষটাকে সারা জীবনের সঙ্গী হিসাবে পেতে চাইবেন তখন অবশ্যই বাস্তবতাকে বিবেচনা করবেন শুধু কল্পানায় ভেসে যাবেন না।

সঙ্গীর মতামতঃ যখন দুজন মানুষ একে অন্যকে পাগলের মত ভালোবেসে এক হয়ে যায় এর অর্থ এই নয় যে তারা আদর্শ জীবন সঙ্গী হবে।  বিয়ে বিষয়টা খুব পরিষ্কার মাথায় বিবেচনা করা উচিৎ। একটা স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক তখন তৈরি হবে তখনই, যখন আপনার সঙ্গীকে আপনি সমর্থন করবেন।  যদিও অনেক ক্ষেত্রে আপনাদের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে।

ক্ষমা করাঃ যে কোন সম্পর্কের শুরুতে সঙ্গীর কোন দোষ বা ত্রুটি আমাদের চোখে পড়ে না কিন্তু সময়ের সাথে সাথে হয়তো আমাদের সঙ্গী আমাদের মনে কষ্ট দিতে পারে, এমন কোন ঘটনা ঘটাতে পারে যেটা আমরা ভাবতেও পারি না।  যখন সঙ্গীর এই দোষ গুলো ক্ষমা করতে প্রস্তুত থাকবো, তখনই ভালোবাসার মানুষকে জীবন সঙ্গী করবো।  অবশ্য এই ক্ষেত্রে বড় কোন অপরাধ কে বিশেষ ভাবে বিবেচনা করবো, ক্ষমার অযোগ্য দোষকে ক্ষমা করার ক্ষেত্রে অবশ্যই সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো।

ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্য কে স্থান দিনঃ সকল মানুষ তাদের চিন্তা চেতনায় আলাদা হয়, দুজন মানুষ একে অন্যকে ভালোবাসলেও তাদের ভাবনা, স্বপ্ন অথবা ইচ্ছা গুলো আলাদা হতে পারে।  যদি ভালোবাসার মানুষকে জীবন সঙ্গী হিসাবে গ্রহণ করতে প্রস্তুত থাকেন তবে এই ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্য কে সম্মান দিতে হবে।

প্রতিক্রিয়া আপনার পরিমাপকঃ জীবন সঙ্গী নির্বাচনে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে আপনি কিভাবে প্রতিক্রিয়া করচ্ছেন।  ভালোবাসার সম্পর্কের ক্ষেত্রে আপনার আচরণকে লক্ষ্য করলে আপনি নিজেই বুঝবেন সম্পর্কটা বিয়ে পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া ঠিক হবে কিনা।  যদি সম্পর্কটা নিয়ে বেশী খুঁতখুঁত করেন তবে সম্পর্কটাকে বিয়ে পর্যন্ত না নেওয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

ভালোবাসলে মন থেকে ভালোবাসতে হবে, তা না হলে পরিণতিটা বিয়ে পর্যন্ত গড়াবে না। ভালোবাসা ছাড়া যেমন কোন বিয়ে অপূর্ণ থাকে, ঠিক তেমনি সঠিক মানুষ ছাড়া ভালোবাসাও অপূর্ণ থেকে যায়।