দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ভাঙতে পারে এ সাত কারণে

কারো সঙ্গে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য কী করা যাবে ও করা যাবে না, তার একটা সাধারণ তালিকা আছে। আপনার আচরণে যদি নিচের বিষয়গুলো বেশি থাকে, তাহলে ধরে নিন আপনার সম্পর্ক শীঘ্রই ভাংছে।

১. খুতঁখুঁতে স্বভাব
খুঁতখুঁতে স্বভাব কোনো সম্পর্কের ক্ষেত্রে লাল পতাকার মতো কাজ করে। আপনি যদি সবকিছুতেই খুঁত বের করেন তাহলে তা হতে পারে সম্পর্ক ভাঙার কারণ। আপনার সঙ্গীর পরিধেয় কাপড়, কথাবার্তা কিংবা দৈনন্দিন বিষয়ে সমালোচনা ও খুঁত খোঁজার ফলে ধারণা হতে পারে তার উপস্থিতি আপনার সহ্য হচ্ছে না। হতে পারে তার অনেক কিছুই আপনার মনের মতো নয়। তার মানে এই নয় যে, তার সব বিষয়ে পরিবর্তন আনার অধিকার সে আপনাকে দেবে। তার অদ্ভুত বন্ধুদের দূরে সরানো কিংবা রাত-দিন ভিডিও গেম খেলা বন্ধ করা– এসব অসংখ্য বিষয়ে চাপ না দেয়াই ভালো। মনে রাখবেন, সব বিষয়ে তাকে বিরক্ত করবেন না।

২. কাজই আপনার জীবন
আপনার চাকরি কিংবা কাজ নিঃসন্দেহে আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তবে আপনার সব বিষয়ের মধ্যমণি হিসেবে এ কাজকে রাখবেন না। কাজে তার কোনো জরুরি সাহায্য দরকার না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে বেশি আলোচনা না করাই ভালো। কাজের জন্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ তারিখ মিস করা কিংবা সঙ্গীর সঙ্গে থাকার সময়েও অফিসের কাজে ব্যস্ত থাকা নিঃসন্দেহে তার জন্য বিরক্তিকর। এতে সঙ্গীর মনে হতে পারে তার সঙ্গে সম্পর্কের চেয়ে আপনার কাছে কাজই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য পরামর্শ হচ্ছে, কাজের সময় কাজ। সঙ্গীর সঙ্গে সময় কাটানোর সময় দূরে সরিয়ে রাখুন কাজ।

৩. আপনার ঘোড়া সামলান
কারো সঙ্গে ডেটিং শুরুর সঙ্গে সঙ্গে তাকে বিয়ের জন্য প্রস্তাব দিতে যাবেন না। অপেক্ষা করুন। স্রোতের সঙ্গে ভাসার চেষ্টা করুন। পরিচয়ের পরের দিনই আপনার পিতা-মাতার সঙ্গে তার পরিচয় করিয়ে দেয়ার চেষ্টা করবেন না। আগে আপনার মতামত তাকে জানান, তার মতামত জানুন। সে যদি আগ্রহী হয়, সবকিছু যদি ঠিক থাকে তাহলেই কেবল অগ্রসর হোন, নাহলে তাকে যেতে দিন।

৪. অতিরিক্ত ছেলেমানুষি
প্রতিদিন আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আপনি একজন দারুণ আকর্ষণীয় মানুষ বলা যেতে পারে। কিন্তু এসব বিষয় প্রতিনিয়ত আপনার নতুন সঙ্গীকে বলতে যাবেন না। এতে সে বিগড়ে যেতে পারে। সবকিছু একসঙ্গে না জানিয়ে ভবিষ্যতের জন্য কিছু সংরক্ষণ করে রাখুন।

৫. বিশ্বাসহীনতা
কোনো সুস্থ সম্পর্কের চাবিকাঠি হচ্ছে বিশ্বাস। বিশ্বাসকে ‍বুঝতে দিন। আপনি যদি ক্রমাগত সে কার সঙ্গে আছে, কার সঙ্গে কথা বলছে এসব নিয়ে ভাবতে হয়, তাহলে সম্পর্কের বিষয়ে নতুন করে চিন্তা করতে হবে। এভাবে ক্রমাগত ডুবতে থাকলে আপনি কাজি অফিস পর্যন্ত পৌঁছাতে পারবেন না।

৬. নিজের ছিদ্রগুলো দেখিয়ে দেয়া
আপনার বস আপনাকে ঘৃণা করে, আপনার বন্ধুরা হিংসা করে, আপনার বাবা-মা কোনো দাম দেন না, আপনি মোটা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বেশি আলোচনা করবেন না। নিজের সব দুর্বলতা আপনার সঙ্গীর কাছে প্রকাশ না করাই ভালো। কোনো সঙ্গীই এসব বিষয় শুনতে পছন্দ করে না। তার বদলে সুখী ও ইতিবাচক বিষয় শুনতেই সবাই পছন্দ করে।

৭. খোলা রাখুন দরজা
আপনি যদি অন্য কারো সঙ্গে নতুন সম্পর্কে জড়িয়ে যান, তাহলে পুরনো সম্পর্ক থেকে পিছিয়ে যাওয়াই ভালো। এ বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করাই বুদ্ধিমানের কাজ। মাথায় রাখতে হবে, নিজের ক্ষেত্র ছাড়া আপনার সঙ্গীর ক্ষেত্রেও এমনটা হতে পারে।

সুত্রঃ কালের কণ্ঠ 

প্রকাশ করেছেন

Best Marriage Media Bangladesh

Best Marriage Media in Bangladesh | Bibahabd is the Leading Bangladeshi Matrimony website, Provides online and offline matchmaking service for marital relationship.

One thought on “দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ভাঙতে পারে এ সাত কারণে”

মন্তব্য করুন