নিঃসঙ্গ জীবন বয়ে আনে হতাশা

বর্তমান কর্মব্যস্ত পৃথিবীতে যারা একাকী বসবাস করেন তাদের হতাশায় ভোগার আশঙ্কা প্রায় ৮০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায় বলে জানিয়েছেন ফিনিশ গবেষকরা। গবেষণায় বলা হয়, নিঃসঙ্গ নারীদের জন্য বাসস্থানের পরিবেশ এবং পুরুষদের ক্ষেত্রে সামাজিক আনুকূল্যের অভাব ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। জরিপে দেখা যায়, গত তিন দশক ধরে পশ্চিমা দেশগুলোতে একা বসবাসকারীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে প্রতি তিনটি বাড়ির মধ্যে একটি বাড়িতে বসবাসকারী পরিবারের সদস্যসংখ্যা মাত্র একজন। একা বসবাসকারীদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করার জন্য কোনো না কোনো ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলেছে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সক্রিয় একটি সংস্থা। জনস্বাস্থ্য বিষয়ক জার্নাল ‘বায়োমেড সেন্ট্রাল’ এ প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয় বলে শুক্রবার জানিয়েছে বিবিসি।

এ গবেষণায় ফিনল্যান্ডের ৩ হাজার ৪ শ’ ৭১ জন হতাশাগ্রস্ত মানুষের মানসিক মন্দা রোধে ওষুধ ব্যবহারের প্রবণতা পর্যবেক্ষণ করা হয়। এদের মধ্যে ১ হাজার ৬শ’ ৯৫ জন পুরুষ ও ১ হাজার ৭শ’ ৭৬ জন নারী। তাদের জীবনযাপন সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করার পর দেখা যায়, ২০০০ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত পরিবারের সঙ্গে বসবাসকারীদের তুলনায় একা বসবাসকারীদের মধ্যে হতাশাগ্রস্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি।

গবেষক দলের প্রধান ড. লরা পুলক্কি-রাবাক বলেন, এ ধরনের গবেষণাগুলোতে সাধারণত ঝুঁকিগুলো খুব পরিষ্কারভাবে প্রকাশ পায় না। এমনকি এদের মধ্যে কতজন মানসিক স্বাস্থ্যসেবার বাইরে আছে তাও পরিষ্কার নয়। তবে পরিবারের সঙ্গে বসবাসকারীদের জন্য বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা করার সুযোগ থাকায় তারা মানসিক ও সামাজিক সহযোগিতা পায় বলে তাদের মধ্যে হতাশাগ্রস্ত হওয়ার প্রবণতা কম দেখা দেয়। আর আলোচনা না করতে পারার কারণেই বেশি হতাশায় ভোগেন একা বসবাসকারীরা।

সুত্রঃ- দৈনিক ইত্তেফাক

2 thoughts on “নিঃসঙ্গ জীবন বয়ে আনে হতাশা”

মন্তব্য করুন