পবিত্র বন্ধনটির মূল ভিত্তি হল স্বামী-স্ত্রীর ভালোবাসা

শুরু হোক নতুন করে

মিলন আনন্দের। তবে তীব্রতার নিক্তিতে মাপলে বিচ্ছেদের পাল্লাটাই বোধহয় বেশি ভারী হয়। রিয়েল লাইফে অনেক সময়ই হ্যাপি এ্যান্ডিং হয় না। অনেকেই প্রথম লাইফ পার্টনারের সাথে শেষতক কন্টিনিউ করতে পারেন না। ত্রুটি কার সেটা নিয়ে মাতামাতি করে চললেও সমাজ কখনোই এর সমাধান বাতলায় না। কিংবা বাতলাতে পারে না।

পারিবারিক জীবনে ভাঙন ও বিপর্যয় অত্যন্ত মর্মান্তিক ব্যাপার। বিবাহবিচ্ছেদ হচ্ছে এ বিপর্যয়ের চূড়ান্ত পরিণতি। দাম্পত্য জীবনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ-বিরোধ, মনোমালিন্য দেখা দিতেই পারে। কিন্তু স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বিবাদ যখন চরমে, পরস্পর মিলেমিশে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে শান্তিপূর্ণ ও মাধুর্যমন্ডিত জীবন-যাপন যখন একেবারেই অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়, পারস্পরিক সম্পর্ক যখন হয়ে পড়ে তিক্ত, বিষাক্ত, একজনের মন যখন অপরজন থেকে এমনভাবে বিমুখ হয় যে, তাদের শুভ মিলনের আর কোন সম্ভাবনা থাকে না, তখনই মানুষ এই চূড়ান্ত পন্থা অবলম্বনে বাধ্য হয়।

ডিভোর্সই তখন নিষ্কৃতিলাভের একমাত্র উপায়। বাংলাদেশে প্রচলিত মুসলিম পারিবারিক আইনের ৭ ধারামতে, তালাক সংক্রান্ত যে বিধান প্রবর্তন করা হয়েছে, সেখানে তালাক ঘোষণার কোন পদ্ধতি বলা হয় নি। মুসলিম পারিবারিক আইনে বলা হয়েছে, কোনো পুরুষ তাহার স্ত্রীকে তালাক দিতে চাইলে তাহাকে মুসলিম আইনে অনুমোদিত যেকোনো পদ্ধতিতে ঘোষনার পরই তিনি তাহার স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন এ মর্মে চেয়ারম্যানকে লিখিতভাবে নোটিশ প্রদান করবেন এবং স্ত্রীকেও উহার নকল দিবেন। অর্থাৎ তালাক প্রদান বা ঘোষণার ক্ষেত্রে ইসলামি শরিয়তের প্রবর্তিত পদ্ধতিই হচ্ছে মুসলিম পারিবারিক আইনের পদ্ধতি। তাই শরিয়ত প্রবর্তিত তালাক সংক্রান্ত বিধানাবলী ভালোভাবে জানা ও বোঝা খুবই জরুরী। বিশেষ করে নিকাহ রেজিষ্ট্রারদের এ সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরি।

তালাকের সংজ্ঞা

তালাক শব্দের অর্থ ত্যাগ করা বা বন্ধন খুলে দেওয়া বা বাঁধন খুলে ফেলা বা শক্ত রজ্জুর বাঁধন খুলে ফেলা। আরবি ভাষায় বলা হয়, আমি শহর ত্যাগ করেছি। শরিয়তের ভাষায় তালাক অর্থ বিবাহের বাঁধন খুলে দেওয়া বা বিবাহের শক্ত বাঁধন খুলে দেওয়া। মুসলিম পারিবারিক আইনে বিরোধ মীমাংসার জন্য এবং স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে আপস করার দায়িত্ব চেয়ারম্যান বা সালিস পরিষদের উপর। তিনি উভয়পক্ষকে নোটিশের মাধ্যমে উপস্থিত হবার জন্য বলবেন। কোন পক্ষ যদি হাজির না হয়, তবে তাকে হাজির করার ক্ষমতা তার নেই। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে আপস-মীমাংসার চেষ্টা করা ছাড়া চেয়ারম্যানের আর কোন দায়িত্ব নেই। মজার ব্যাপার হলো, এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে বাংলাদেশে পুরুষদের চেয়ে নারীদের মধ্যেই তালাক প্রবণতা বেশি।

ডিভোর্স-পরবর্তী জীবন-যাপন

বলা হয়, বিবাহবিচ্ছেদ মৃত্যুর মতোই যন্ত্রণাদায়ক। ডিভোর্সের সবচেয়ে খারাপ প্রভাব পড়ে বাচ্চাদের উপর। বাবা-মায়ের মনোমালিন্যের কারণে নরকযন্ত্রণা ভোগ করতে হয় শিশুদের। অনেক ক্ষেত্রেই সিঙ্গেল ফাদার কিংবা সিঙ্গেল মাদারের পক্ষে এককভাবে শিশুকে বড়ো করা সম্ভব হয় না। ফলে দ্বিতীয় বিয়ের অপশন গ্রহণ করতে পারেন। সেক্ষেত্রে আগের পক্ষের বাচ্চাটি আরও নাজুক অবস্থায় পড়তে পারে। নতুন বাবা কিংবা মাকে মেনে নেয়া তার পক্ষে কঠিণ হয়ে পড়ে। যেমনটা হয়েছিলো বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী আইজ্যাক নিউটনের জীবনে। বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের ফলে শৈশব তিক্ত হয়ে যাওয়ায় পরবর্তীকালে তিনি এর স্মৃতিচারণা করতে চাইতেন না।

বৈবাহিক দ্বন্দ্ব এবং বিবাহবিচ্ছেদ যেমন আপনার পরিবারে বয়ে আনে অন্থিরতা তেমনি আপনার সন্তানদের মাঝে তৈরী করে চরম অনিরাপত্তা। গবেষকরা বলেন, বিবাহবিচ্ছেদ একটি শিশুর শিক্ষণ-প্রক্রিয়া ও মানসিক বৃদ্ধি বাধাগ্রস্থ করে। বিশেষ করে আন্তব্যক্তিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে তারা সমস্যার সম্মুখীন হয়। পাশাপাশি বিবাহবিচ্ছেদের ধারা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে সমস্যা সৃষ্টি করে।

আমেরিকান জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যানুযায়ী, বিচ্ছেদ হওয়া পরিবারের সন্তানেরা সারা জীবন আন্তর্ব্যাক্তিক যোগাযোগ এবং অন্যদের সঙ্গে আন্তরিকতা তৈরীতে সমস্যার সম্মুখীন হয়। এতে সন্তানেরা কাউকে বিশ্বাস করতে পারে না। এবং পরবর্তীতে বিবাহিত জীবনে এর প্রভাব পড়ে। পাশাপাশি বাবা-মায়ের প্রতি তাদের অবিশ্বাস বাড়ে। এতো আত্মহত্যার দিকে ঝুঁকি পড়ে সন্তানেরা।

ক্লিনিক সাইকোলজিস্ট ইলসে টারবালন্স বলেন, বিবাহবিচ্ছেদ কোনো বাবা, মা কিংবা সন্তানেরা চায় না। গবেষকেরা জানান, যেসব শিশু পারিবারিক চলমান দ্বন্দ্ব বা সংঘাতের মধ্যে বড় হয়, তারা স্বাভাবিকভাবে গড়ে উঠা শিশুদের চেয়ে মানসিকভাবে অনেক দুর্বল থাকে।

ডিভোর্সকে সবাই যে নেগেটিভ পারস্পেকটিভ থেকে দেখেন তা নয়। ডিভোর্স সম্পর্কে হলিউড তারকা টম হ্যাংকসের দৃষ্টিভঙ্গি শুনুন, এটা (ডিভোর্স ) কোন ক্রাইম নয়। কোনো ট্রাজেডিও নয়।আমার আব্বা তিনবার বিয়ে করেছেন। শেষ সঙ্গীদের সাথে তারা সুখেই আছেন।

যদিও আরেক সাক্ষৎকারে তিনি তার বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে দুঃখও করেছেন। সেই সম্পর্কটা ভেঙে যাওয়া মানে ছিলো, আমি আমার সন্তানদের সেই একই শাস্তি দিচ্ছি, যেটার ভিতর দিয়ে আমি ওই বয়সে গেছি। (হ্যাংকসের শৈশবে তার বাবা-মায়ের ছাড়াছাড়ি হয়েছিলো )। কিন্তু, আমার বয়স ছিলো খুবই কম। বিয়ের সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার পক্ষে সেটা ছিলো খুবই অনিরাপদ। আমার বয়স ছিলো ২৩ বছর। ছেলে কলিন্স ততদিনে দুই বছরের হয়ে গেছে। এই দায়িত্বগুলো নেওয়ার জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম না। হ্যাংকসের সরল স্বীকারোক্তি।

সবার পক্ষে বিবাহবিচ্ছেদকে এত সহজভাবে মেনে নেওয়া সম্ভব হয় না। বিশেষত, ভারতীয় উপমহাদেশের রক্ষণশীল সমাজে বিবাহবিচ্ছেদকে ভালো চোখে দেখা হয় না। যেমন, বাঙালি হিন্দু ও মুসলিম সমাজে ডিভোর্সড নারীর পক্ষে দ্বিতীয় বিয়ে করা অত্যন্ত কঠিন। আর সেকেন্ড ম্যারেজ হলেও সমাজে ওই নারীর অবস্থান কয়েকধাপ নিচে নেমে যায়।

উন্নত বিশ্বে বিবাহবিচ্ছেদ বা বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ককে সহজভাবে দেখা হলেও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বিবাহবিচ্ছেদকে দেখা হয় বাঁকাচোখে। দেশের সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিবাহবিচ্ছেদের কারণে নারীকে সমাজের কাছে হেনস্তা হতে হয় নানাভাবে।

মনোচিকিৎসক মোহিত কামাল বলেন, বিবাহবিচ্ছেদের পর মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলার মতো শিথিল স্নায়ুর মানুষেরও অভাব নেই। তবে, এ ক্ষেত্রে নারীর সংখ্যাই বেশি। এর প্রধান কারণ, আমাদের সমাজে নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গির নিম্নমুখিতা।

প্রথম কাজ হবে এই সেপারেশন মেনে নেওয়া

ডিভোর্সের পর হতাশ হয়ে পড়াটা খুব স্বাভাবিক। কখনও কখনও হতাশার মাত্রা এতো বেড়ে যায় যে, অনেকে আত্মহত্যার পথও বেছে নেন। বিশেষত ইয়ং জেনারেশনের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। কিন্তু, বাস্তবতা মেনে নেয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। ভেতরের ক্ষোভ পুষে রাখবেন না।

টেক এ ব্রেক

মনে রাখবেন, আপনি সুপারম্যান কিংবা সুপারওম্যান নন। নতুন করে রিচার্জড হতে, রিঅর্গানাইজড হওয়ার জন্য একটু বিশ্রাম নিন। প্রবাদ আছে, যেকোনো ক্ষত সারাতে সময়ই সবচেয়ে মোক্ষম দাওয়াই। তাই নতুন কোন সম্পর্কে জড়ানোর আগে সময় নিন। তাড়াহুড়া করবেন না।

শেয়ার করুন

নিজের আবেগ-অনুভূতি আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের সাথে শেয়ার করুন। কথায় বলে, আনন্দ ভাগাভাগি করলে তা বেড়ে যায় এবং দুঃখ শেয়ার করলে তা হালকা হয়। একা চলার মতো হটকারী সিদ্ধান্ত নেবেন না। একাকিত্ব স্ট্রেস লেভেল বাড়ায়।

প্র্যাকটিক্যাল হোন

স্বাভাবিক সময়ের যে প্রতিক্রিয়া ও ব্রেকআপকালীন প্রতিক্রিয়ার মাঝে যে পার্থক্য আছে, সেটা বুঝার চেষ্টা করুন। নিজের মনোবেদনার কারণ বোঝার চেষ্টা করুন। অনুভূতির সাথে লড়বেন না।

বিশ্বাস রাখুন নিজের উপর

সব শেষ হয়ে যায় নি। পুরোনোকে ভুলে আবার নতুন করে শুরু করা সম্ভব। ডিভোর্সের পর অনেকেরই আত্মবিশ্বাস ভেঙে যায়। তারপরও ভরসা রাখুন। কারণ, সম্পর্কে ভাঙন খুবই স্বাভাবিক।

অন্যের কাছে খুলে বললে কষ্টের ভার কম লাগবে

বিশেষত ব্রেকআপের ক্ষেত্রে তা আরও বেশি সত্য। আলোচনার মাধ্যমে অনেক সময়ই সুফল পাওয়া যায়। যন্ত্রণার কথাগুলো বলে ফেললে নিজের ওপর চেপে থাকা বোঝাটা অনেক হালকা হয়ে যায়।

ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সান্নিধ্যে থাকুন

ব্রেকআপ বা ডিভোর্সের পর ফ্রেন্ডস ও রিলেটিভদের সাপোর্ট টনিকের মতোই কাজ করে। অনেকেই এ সময়টা একা থাকতে চান। কিন্তু, এসব ক্ষেত্রে দেখা গেছে, এই ধরণের আইসোলেশনের কারণে পুরো বিষয়টা আরো খারাপের দিকে যায়।

যেসব বন্ধু ও ফ্যামিলি মেম্বারদের বিশ্বাস করা যায়

সাপোর্টের জন্য তাদের কাছে যান। যারা এর আগে ব্রেকআপ কিংবা ডিভোর্সের মধ্য দিয়ে গেছে, তাদের পরামর্শ বেশি সহায়ক হতে পারে। ডিভোর্সের পরও যে মানুষের জীবন আছে, এই বিষয়টি আপনি তাদের কাছ থেকে ভালো জানতে পারবেন। সেইসব মানুষের সাথে সময় কাটান যারা আপনাকে বোঝেন, যারা আপনাকে সত্যিকার অর্থেই সাপোর্ট করেন। সাবধানতার সঙ্গে সঙ্গী বাছাই করুন। কারণ, অনেকেই আপনার দুর্বল অবস্থার সুযোগ নিতে পারে।

বাইরের সাহায্য

তা হতে পারে কোন কাউন্সেলর। বর্তমানে আমাদের দেশে অনেকেই এটা নিয়ে কাজ করেন। সারা যাকের, মোহিত কামাল, মেহতাব খানম প্রমুখের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। সাপোর্ট গ্রুপে জয়েন করতে পারেন, যেখানে আপনি আপনার মনের কথা খুলে বলতে পারেন।

নতুন বন্ধু

ব্রেকআপ বা ডিভোর্সের সাথে সাথে আপনার পুরোনো গন্ডিটাও হারিয়ে ফেলেছেন বলে মনে করেন, হতাশ হবেন না। ফ্রেন্ডশীপ করুন নতুন কারো সাথে। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং করুন। স্পেশাল ইন্টারেষ্ট ক্লাবে জয়েন করতে পারেন। কমিউনিটি সার্ভিসে যোগ দিতে পারেন। ভলান্টিয়ার হিসেবে বিভিন্ন অলাভজনক কমিউনিটিতে কাজ করতে পারেন।

নিজের যত্ন নেওয়া সবচেয়ে জরুরী

মানুষের জীবনে ডিভোর্স নিঃসন্দেহে একটি হাইলি স্ট্রেসফুল ঘটনা। যেহেতু এটা গোটা জীবনেই পরিবর্তন এনে দেয়, সেহেতু সেই সময় নিজের যত্ন নেয়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এ ধরণের মেজর ব্রেকআপের পর আপনি মানসিক এবং শারীরিক দুভাবেই ভঙ্গুর থাকতে পারেন। নিজের সাথে এমন আচরণ করুন, যেনো আপনি একটি সাময়িক অসুস্থতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। প্রচুর বিশ্রাম নিন। স্ট্রেসফুল কাজ কমিয়ে দিন। যতটা সম্ভব কম কাজ করুন।

সেলফ কেয়ার টিপস, নিজের নিয়মিত পরিচর্যা

গান শুনুন, যোগব্যায়াম করুন। মেডিটেশন ক্লাসে যান। নতুন ভাষা শিখতে পারেন। প্রিয় কোন বই পড়ুন। ধোঁয়াউঠা নতুন কফিতে শুরু করুন নতুন দিন। মুক্ত বাতাসে নিজের বাগানে একটু হেঁটে আসুন। কিংবা চলে যান বোটানিক্যাল গার্ডেনে। কিছুটা সময় কাটান প্রকৃতির মাঝে। সত্যিকারভাবে আপনি কী চান, তা লক্ষ্য করুন। নিজেকে শুনুন। অন্যরা কী চায়, সেদিকে মনোযোগ দেবেন না। কোনটা আপনার নিজের জন্য ভালো, তা লক্ষ্য করুন।

একটি রুটিন করুন এবং তা মেনে চলুন

ডিভোর্স কিংবা রিলেশনশিপে ব্রেকআপ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে। চাপ, অনিশ্চয়তা, বিশৃঙ্খলা তৈরী করে। রেগুলার রুটিন আপনাকে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে সাহায্য করবে।

সময় নিন অপেক্ষা করুন

ঝোঁকের মাথায় নতুন চাকরীতে জয়েন করা কিংবা সব ছেড়েছুড়ে নতুন কোনো শহরে যাওয়ার মতো মেজর ডিসিশন নেবেন না। সময় গেলে আবেগ কমবে। নিরাবেগ অবস্থায় আপনি অপেক্ষাকৃত ভালো ডিসিশন নিতে পারবেন।

অ্যালকোহল, ড্রাগস বা এমন কিছুকে প্রশ্রয় দেবেন না

এগুলো জীবনে দীর্ঘস্থায়ী বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। এমনকি আপনাকে মৃত্যুর মুখেও ঠেলে দিতে পারে।

নতুন নতুন বিষয়ে উৎসাহ খুঁজুন

আশাবাদী হোন। একটি সম্পর্কের শেষ, অনেক নতুন কিছু শুরু করার প্রেরণা যোগায়। সেটা কাজে লাগান। আনন্দ খুঁজুন, আনন্দ করুন। জীবনকে নতুনভাবে উপভোগ করুন।

পুষ্টিকর খাবার খান, ব্যায়াম করুন, বিশ্রাম নিন

ডিভোর্স একজন মানুষের জীবনে মেজর সেটব্যাকগুলোর একটি। বাইরের ফোর্সগুলো হয়তো আপনাকে কিছুটা হেল্প করতে পারে। শেষ পর্যন্ত এটা নিজেকেই ফেস করতে হয়। যত সহজে একে মেনে নিতে পারবেন, তত তাড়াতাড়ি এই শোক কাটিয়ে উঠতে পারবেন। কবিগুরুর বাণী এখানেও প্রাসঙ্গিক, ভালোমন্দ যাহাই আসুক, সত্যেরে লও সহজে।

লিখেছেনঃ

বিদিত চৌধুরী
গনমাধ্যম কর্মী

প্রকাশ করেছেন

Best Marriage Media Bangladesh

Best Marriage Media in Bangladesh | Bibahabd is the Leading Bangladeshi Matrimony website, Provides online and offline matchmaking service for marital relationship.

4 thoughts on “শুরু হোক নতুন করে”

  1. আল্লাহ রাব্বুলআলামিন সবাইকে হেফাজত করুন। এমন কঠিন অবস্থা থেকে রক্ষা করুন।

মন্তব্য করুন