পুরুষের যে ১০টি বিষয় ভালোবাসেন নারীরা!

কথায় আছে, নারীর মন স্বয়ং বিধাতাও বোঝে না! সেখানে পুরুষেরা বুঝে উঠবেন নারীর মন, সে একটু কঠিন বৈকি! কি করলে নারীর মন পাওয়া যাবে টা নিয়ে যুগে যুগে অনেক গবেষণা ও তর্ক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। কারণ আর কিছুই না, পছন্দের নারীর ভালোবাসা অর্জন। নারীরা সাধাণরত আত্মনির্ভরশীল, ব্যক্তিত্ববান এবং রোমান্টিক পুরুষদের ভালোবাসেন। আসুন তাহলে জেনে নেয়া যাক পুরুষের মধ্যে কি কি বৈশিষ্ট্য থাকলে নারীর মন জয় করে নেয়া যায়।

রসবোধ ও বুদ্ধিমত্তা

মেয়েরা সাধারণত একটু রসিক ছেলেদের ভালোবাসে। যে কোনো বিষয় নিয়ে উপস্থিত ভাবে রসালাপ করতে পারে এমন ছেলেদের প্রতি মেয়েরা বেশি আকৃষ্ট হয়। বুদ্ধিমান ছেলেরা নারীদেরকে বেশি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়।   আত্মবিশ্বাসী ছেলেরা মেয়েদের আকর্ষণের কেন্দ্রে থাকে সব সময়। দ্বিধাগ্রস্থ ছেলেদের প্রতি মেয়েরা আকৃষ্ট হয় না। একজন পুরুষ যত সুন্দর বা রূপবানই হোক না কেন সে যদি আত্মবিশ্বাসী না হয় তাহলে তার প্রতি কোনো মেয়ে নির্ভর করতে পারবে না।

উচ্চতা ও দৈহিক গড়ন
বিভিন্ন জরিপে সর্বদাই দেখা গিয়েছে যে নারীদের পছন্দ অধিক উচ্চতার পুরুষ। চেহারার সৌন্দর্যের চাইতে মেয়েরা অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে পুরুষের উচ্চতা ও বলিষ্ঠ গড়নকে।

আত্মনির্ভরশীল-

নারীদের পছন্দের তালিকায় আত্মনির্ভরশীল পুরুষরা সব সময়েই অগ্রাধিকার পায়। নিজের উপার্জনে চলে এমন পুরুষই নারীর পছন্দ। বাবার উপার্জনে দিনযাপন করা ছেলেদের খুব একটা পছন্দ করেনা নারীরা। সম্মানিত পদবীতে চাকরী করে এবং স্বচ্ছল পুরুষদেরকে নারীরা তাদের পছন্দের তালিকায় রেখে থাকে।

যত্নশীল-

নারীরা যত্নশীল ছেলেদের ভালোবাসে। তারা নির্ভর করার মত পুরুষদের পছন্দ করে যারা তাদের কাজে কর্মে সহায়তা করবে এবং যত্ন নিবে। যে সব পুরুষরা প্রতি বেলায় নিয়মিত খোজ খবর রাখে তাদেরও পছন্দ করেন নারীরা।

সুন্দর চুল-

নারীরা সচ্ছল পুরুষদের পছন্দ করে, এটা সত্য। তবে নারীদের পছন্দের তালিকায় প্রথমেই থাকে মাথা ভরা চুলের অধিকারী পুরুষেরা। এমনকি ধনী পুরুষদের চাইতেও নারীরা মাথায় সুন্দর চুলের অধিকারী পুরুষদের প্রতি বেশি আকর্ষণ বোধ করে থাকে।

স্বচ্ছতা

নারীরা পুরুষের কাছে সততা ও স্বচ্ছতা আশা করে। দীর্ঘমেয়াদী সর্ম্পকে জড়াতে চাইলে নারীর কাছে মিথ্যা বলা উচিত না। সত্য কথা বলতে দ্বিধা বোধ করলেও বলে ফেলুন। এতে নারীদের আস্থা অর্জন করতে পারবেন।

পুরুষালী আচরণ-

নিজের সঙ্গীর কাছ থেকে নারী খোঁজে নির্ভরতা ও নিরাপত্তা। যে পুরুষ তাকে নিরাপত্তা দিতে পারে, নারীর চোখে তারাই পুরুষালী আচরণের অধিকারী। আর এই ধরনের পুরুষদের জন্য নারীর আকর্ষণ সর্বাধিক।
পরিচ্ছন্ন সুন্দর পোশাক-
নারীরা স্মার্ট ও পরিচ্ছন্ন পোশাকের পুরুষ পছন্দ করে। নিজের ত্বকের রঙ এবং শারীরিক গঠনের সাথে মানানসই পোশাক পরিহিত পুরুষরা নারীদের আকর্ষণের কেন্দ্রে থাকে।
সুগন্ধী-
শরীরে দুর্গন্ধ থাকলে না্রীদের মন পাওয়া যা‌য়না। সুগন্ধির মাধ্যমে ব্যক্তিত্ব ও রুচিবোধ প্রকাশ পায়। তাই ভালোমানের রুচিশীল সুগন্ধী ব্যবহার করুন।   নারী ও পুরুষের একে অপরের দুর্বলতা প্রকৃতির একটি স্বাভাবিক নিয়ম। নারীরা পুরুষের কাছ থেকে নিখাদ ভালোবাসা এবং সম্মান আশা করে। তাই নারীর চোখে আকর্ষণীয় ও ব্যক্তিত্ববান পুরুষ হতে চাইলে নারীর প্রতি সম্মান দেখান এবং সততা বজায় রাখুন।

পুরুষত্বের সমস্যা সমাধানে…

অনেক সময় অনেক ভাঙনের শব্দ হয় না। অনেক ক্ষত থাকে যা চর্মচক্ষে দেখা যায় না। তবুও চোরাস্রোত ভেঙে দেয় সুখনদীর দুকূল। একই ছাদের নীচে থাকা দুজন মানুষকে নিয়ে যায় অশান্তির নরকে। অসুখী দাম্পত্য, বিবাহ বিচ্ছেদ-কলহ, এগুলো এখন নতুন কিছু নয়। অথচ এসব কিছুর অনেকগুলোর পেছনেই থাকে যৌনতার সমস্যা। যার সমাধান পেতে অনেকে ডাক্তারের কাছে যেতে সংকোচ করেন।

অনাদিকাল থেকে যৌনতা নিয়ে মানুষের গবেষণার শেষ নেই। এই আধূনিক যুগে এ নিয়ে গবেষণা চরম মাত্রা পেয়েছে। গবেষকদের মধ্যে হুল্লুড় হলেও এখনকার সমাজে প্রকাশে এ নিয়ে কেউ টু শব্দটি করেন না। অথচ যৌন শিক্ষা নিয়ে প্রাপ্ত বয়স্কদের সম্যক জ্ঞান রাখা জরুরি বৈকি। কারণ এটি আমাদের জীবনের বড় একটা অংশ। বিবাহিত দম্পতিদের তো এ নিয়ে সাধারণ জ্ঞানটুকু থাকা একেবারেই জরুরি। সৃষ্টির শুরু থেকে আজ অবধি মানবজাতির এক অপার কৌতূহলের বিষয় যৌনতা। কীভাবে যৌনতাকে আরও উৎকর্ষ করে তোলা যায়। এ প্রশ্ন সার্বজনীন। বিভিন্নজন বিভিন্নভাবে এ প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছেন। বৈদিক যুগের মুনি-ঋষি থেকে শুরু করে আধুনিক যুগের চিকিৎসা বিজ্ঞানে এ নিয়ে বিস্তর মতবাদ আছে। কিন্তু প্রশ্ন একটাই, ‘যৌনশক্তি বৃদ্ধির সেই অমৃত উপাদান আসলে কী?’ আমাদের সমাজে যৌণবিষয়ক আলোচনা যেন ব্রাত্য। কিন্তু দাম্পত্য জীবনে এর প্রভাব অনস্বীকার্য। এ বিষয়ে সম্যক জ্ঞানের অভাব দাম্পত্য জীবনে কলহ ডেকে আনতে পারে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিবাহ-বিচ্ছেদ পর্যন্ত ঘটাতে পারে। সংসারে নিত্য মন কষাকষিতো আছেই।

স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যৌণতার সম্পর্ক স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া। কিন্তু এ ক্ষেত্রে দুজনের কারো যদি সমস্যা থেকে থাকে সেটার জন্য ব্যবস্থা নেয়া আবশ্যক। শুধু যে ওষুধ খেয়েই রোগ তাড়াতে হবে-বিষয়টা কিন্তু এমনও নয়। খাবারের মেন্যুতে কিছু পরিবর্তন আনলেও আমরা পেতে পারি সঠিক দাওয়াই। কৃত্রিম পন্থায় যৌনশক্তি বাড়াতে ভায়াগ্রা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার অন্ত নেই। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এর আগের প্রতিবেদনে ‘ভায়াগ্রার কাজ করবে তরমুজ’ শিরোনামে পরামর্শমূলক একটি লেখা প্রকাশিত হয়েছিল। পাঠকদের ব্যাপাক সাড়া মিলেছে এতে। আজ আলোচনা করা হবে ঘরোয়াভাবে কিভাবে অনেক যৌন সমস্যার সমাধান করা যায় তা নিয়ে। (প্রসঙ্গত, এই লেখা ডাক্তারি কোনো ব্যবস্থাপত্র নয়; পরামর্শমূলক প্রতিবেদন মাত্র।)

এক গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষত্বের সমস্যা নিয়ে ডাক্তারের কাছে যেতে কুন্ঠিত বোধ করেন অনেকে। এ কারণে আমরা চেষ্টা করেছি এর প্রাথমিক চিকিৎসা আপনি যাতে আপনার বাড়িতেও করতে পারেন। এবার আসুন জানা যাক যৌন অক্ষমতার প্রথম ধাপের চিকিৎসায় দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার্য কি কি উপকারে আসে।

রসুন
প্রতিদিন দু থেকে তিনটি রসুনের কোয়া কাঁচা অবস্থায় চিবিয়ে খান ৷ এতে আপনার যৌন ইচ্ছা কমে গিয়ে থাকলে তা বৃদ্ধি পাবে ৷ এ ছাড়া গমের তৈরি রুটির সঙ্গে রসুন মিশিয়ে খেলে তা আপনার শরীরে স্পার্ম উত্পাদনের মাত্রা বাড়ায় এবং সুস্থ স্পার্ম তৈরিতে এটি সাহায্য করে৷

পেঁয়াজ
কাম-উত্তেজক ও কামনা বৃদ্ধিকারী হিসাবে পেঁয়াজ বহুদিন থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে৷ সাদা পেঁয়াজ পিষে নিয়ে তাকে মাখনের মধ্যে ভালো করে ভেঁজে নিয়ে তা প্রতিদিন মধুর সঙ্গে খেলে তা থেকে উপকার পাওয়া যায়৷ কিন্তু একটি বিষয় মনে রাখবেন, এটি খাওয়ার আগে ঘণ্টা দুয়েক সময় আপনার পেট খালি রাখবেন৷ এইভাবে প্রতিদিন খেলে স্খলন, শীঘ্রপতন বা ঘুমের মধ্যে ধাতুপতন ইত্যাদি সমস্যার সমাধান হওয়া সম্ভব৷

গাজর
১৫০ গ্রাম গাজর কুঁচি এক টেবিল চামচ মধু এবং হাফ-বয়েল ডিমের সঙ্গে মিশিয়ে দুমাস খেলে আপনার শারীরিক এই অক্ষমতা কম হতে পারে৷

কিছু খাবার এর নাম বলব যেগুলো যৌন ক্ষমতা বাড়াতে যাদুমন্ত্রের মত কাজ করে । এগুলোর কিছু কিছু আমাদের চারপাশে পাওয়া যায় আবার কিছু পাওয়া যায় না । যা পান হাতের কাছে সেটাই খেতে পারেন । ভাল ফলাফল পাবেন । আসুন খাবারগুলোর নাম জেনে নেওয়া যাক

১. তরমুজ  ২. কালো চকোলেট  ৩. অ্যাস্পারাগাস  ৪. ঝিনুক  ৫. কুমড়া বীজ  ৬. রসুন  ৭. বাঁধাকপি  ৮. কলা   ৯. আভোকাডো  ১০. বাদাম  ১১. ডিম  ১২. তৈলযুক্ত মাছ  ১৩. মরিচ  ১৪. আখরোট  ১৫. ব্রকলি  ১৬. গরুর মাংস  ১৭. শিমের বীচি  ১৮. সেলেরি  ১৯. সয়া  ২০. মাকা গাছের শিকড়  ২১. গোজি বেরি  ২২. মধু  ২৩. ডুমুর  ২৪. সবুজ জলপাই  ২৫. আমলকী  ২৬. আলমণ্ড  ২৭. আম  ২৮. স্ট্রবেরি  ২৯. পিচ ফল  ৩০. আনারস। (খাবারগুলো আবার অতিভোজনের পর্যায়ে নিয়ে যাবেন না যেন, পরিমিত খান।)

এ-তো গেল কিছু উপকারী খাবারের তালিকা। এবার বলব কিছু টিপস-এর কথা।

১. দুজনই রাগ নিয়ন্ত্রণ করুন  ২. নিজেদের দুর্বলতাগুলো জানুন ৩. সাথীর প্রতি নমনীয় থাকুন ৪. হাজারো ব্যস্ততার মধ্যে পরস্পরকে সময় দিন। এবং ৫. একে অপরের দোষ-গুণগুলোকে মানিয়ে নিয়ে,পরস্পরকে শ্রদ্ধা করে ভালবাসার বাঁধনে বাধুন। সুখ ধরাছোঁয়ার বাইরের কিছু না। সুখের ঠিকানা হাতের মুঠোয়।

:: এস এস সরকার