এক তরফা প্রেম নেশার মত, বিচ্ছেদের থেকেও যন্ত্রণাদায়ক!

আপনাকে ভালোবাসে না, অথচ আপনি তাকে মন-প্রাণ উজার করে ভালোবাসেন। হ্যা, এটা কে একতরফা ভালোবাসা বলে। কিন্তু তার ভালোবাসা পাবেন এই আশায় কতদিন আপনি একা একা অপেক্ষা করবেন?

বুকের সীমাহীন ভালোবাসার মূল্যায়ন না পেয়ে হাজারো প্রকৃত প্রেমিক প্রেমিকার হৃদয় ভাঙার গল্প রয়েছে। কিন্তু সেই কাঙ্খিত মানুষটি যদি একটু গুরুত্ব দিত তা হলে কত জীবনই না বদলে যেত। এ অভাবেই থেকে যায় একটি হৃদয়ের প্রতি অপর একটি হৃদয়ের একতরফা ভালোবাসা।  চাইলেও কাঙ্খিত ব্যক্তিকে ভুলে যাওয়া যায় না। সত্যি বলতে সম্ভব হয় না। কী করেই বা সম্ভব, মনের মন্দির তো তার ফিরে আশার প্রদীপ জ্বেলে অপেক্ষায় থাকে।  আর সেজন্যই একটি মানুষের হাজারো অবহেলা সয়েও তবুও তার জন্য অপেক্ষা করা।  কিন্তু এভাবে কতদিন অপেক্ষা করা যায়?

প্রথমেই বলা হয়েছে একতরফা প্রেম/ভালোবাসা কাকে বলে। তবে এধরণের প্রেমে পড়া কী উচিত বা এমনটা হলে কীভাবে নিজেকে নিজের জায়গায় ফিরিয়ে আনা যায়? এপ্রশ্ন অগুণিত মানুষের।

একতরফা প্রেমে কী কখনো হৃদয় ভাঙে?
এমন প্রশ্ন প্রসঙ্গে ভারতের মনোবিজ্ঞানী ও সম্পর্ক-বিশেষজ্ঞ প্রিতি সাইনি জানিয়েছেন, মূলত হৃদয় ভাঙা বলতে সেটাই বুঝায় যেখানে দু পক্ষের স্বীকৃতিতে প্রেম হয়েছিল। কিন্তু কোনো কারণে তা চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছায় না। আবার একতরফা ভালোবাসাতেও এটা সত্য। এখানে তো একজনের ক্ষেত্রে অবশ্যই। যেখানে আপনার অনুভূতি ছিল কিন্তু তা প্রকাশ পায়নি বা প্রকাশ পেলেও স্বীকৃতি পায়নি। কখনো কখনো এই একতরফা ভালোবাসার অনিশ্চয়তার জন্যই কষ্টের কারণ বেড়ে যায়।  হয়তো কাঙ্খিত ব্যক্তি এক সময়ে ভালোবাসা বুঝতে পারবে, স্বীকৃতি দিবে- এ আশা মন থেকে দূর করা উচিত।  যে কারণে হৃদয় ভাঙার কারণ প্রত্যাখান নয়।  আর স্বীকৃতি না পাওয়াটা হতাশায় থেকে যায়।

সময় প্রয়োজন:
যে আপনাকে ভালোবাসে না তাকে ভালোবাসা এক প্রকার আসক্তি বা নেশার মত। যেখানে আপনার ভালোবাসার কোনো স্বীকৃতি নেই সেখানে প্রত্যাখান হওয়ারও সম্ভাবনা নেই। অযথাই কল্পনা করে তাকে নিয়ে স্বপ্ন না দেখা উত্তম। এতে করে কষ্টের কারণ বেড়ে যায়। ভুল মানুষকে নিয়ে স্বপ্ন দেখার অ্যভাস পরিহার করার জন্য এখনি দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন, যদি আপনিও একতরফা ভালোবাসায় আসক্ত হয়ে থাকেন। কিছুটা সময় প্রয়োজন হবে, হোক। তবুও ভালো।

যেভাবে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে:
মনোবিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞদের মতে, এমন পরিস্থিতিতে বাস্তবতাকে মেনে নিতে হবে।  তাও সম্ভব না হলে সব সময় নিজেকে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করতে হবে। ফলে ভুল করেও সেই মানুষটির কথা আর মনে পড়বে না।  কষ্টের কারণও বাড়বে না। আর যদি বাস্তবতা মেনে নিতে পারেন তাহলে উত্তম হয়। বাস্তবতায় কখনো কোনো আবেগ পৌঁছাতে পারে না। এখানে শুধুই বিবেকবোধ কাজ করে। খুব সহজেই নিজেকে মুক্ত করে সফলতার নতুন পথে পরিচালিত করা যায়।