ঝগড়া ছাড়া সম্পর্ক

সম্পর্কে ঝগড়া হলে দুপক্ষের মধ্যে ভয় কাজ করে এই বুঝি সম্পর্ক শেষ হয়ে গেল। ঝগড়া কেউ ইচ্ছে করে করতে চায়না কিন্তু পরিস্থিতিতে ঝগড়া হয়ে যায়। তবে দাম্পত্যে সম্পর্কে ঝগড়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। মনের মাঝে সমস্যা বা যে কোন কিছু পুষে রাখা উচিত নয় বরং ঝগড়া করে হলেও মনের অবস্থার বহিঃপ্রকাশ ঘটানো উচিত।

সাম্প্রতিক এক গবেষণায় জানা গেছে, ৪৪ শতাংশ মার্কিন দম্পতি মনে করেন সপ্তাহে অন্তত একবার গুছিয়ে ঝগড়া হওয়ার মানে সম্পর্কে পারস্পরিক যোগাযোগ বেশ ভাল।

দাম্পত্যে সম্পর্কে ঝগড়ার ও প্রয়োজন আছে –

সমস্যার প্রতি মনোযোগঃ

দাম্পত্যে সম্পর্কে অনেক সমস্যা বিরাজ করে যা পরস্পর আলোচনা আসেনা বা বলা হয়ে উঠে না। কিন্তু ঝগড়ার সময় ব্যক্তিরা না বলা সমস্যাগুলো নিয়েই কথা বলে তাই পরবর্তীতে সমস্যার প্রতি সম্পর্কের মনোযোগ দেখা যায়।

যত্নশীলঃ

ঝগড়ার সময় মনে হয় এই বুঝি সম্পর্কের ইতি টানল কিন্তু ঝগড়া শেষ হলে পরিস্থিতি এই যেন পানি। ফলাফল যত্ন বেড়ে যায় পরস্পরের প্রতি। ভুল বোঝাবোঝি দূর হয়ঃ দাম্পত্যে সম্পর্কে অনেক খুঁটিনাটি বিষয় পরস্পরের মধ্যে খোলামেলা আলোচনা করা হয়না তাই দুজন ব্যক্তিই মনে ভুল বোঝাবোঝি বয়ে চলে। আর এরকম পরিস্থিতিতে যখন ঝগড়া হয় তখন ভুল বোঝাবোঝির অবসান ঘটে।

ভুল বোঝাবোঝি দূর হয়ঃ

দাম্পত্যে সম্পর্কে অনেক খুঁটিনাটি বিষয় পরস্পরের মধ্যে খোলামেলা আলোচনা করা হয়না তাই দুজন ব্যক্তিই মনে ভুল বোঝাবোঝি বয়ে চলে। আর এরকম পরিস্থিতিতে যখন ঝগড়া হয় তখন ভুল বোঝাবোঝির অবসান ঘটে।

সম্পর্কের প্রতি অনীহা কাটায়ঃ

যখন দুজন ব্যক্তির মধ্যে যে কোন বিষয়ে আলোচনা, সমঝোতা বিষয়টি থাকে না, যে যার মত ছাড় দিতে থাকে তখন সম্পর্কে একঘেয়েমি কাজ করে। সম্পর্কের এ পরিস্থিতিতে ঝগড়া বিষয়টি কাজে লাগে। ঝগড়া হলে পরবর্তী সময়ে সম্পর্কের প্রতি অনীহা কাটে।

সম্পর্কের প্রতি মায়া বাড়েঃ

সব সময় ঝগড়ার ফলে সম্পর্কের প্রতি অনেক সময় বিরক্ত কাজ করে। মনে হয় সব শেষ করে দেয়াই ভালো কিন্তু ঝগড়া শেষে বেশ কিছুদিন মান-অভিমানের পর সম্পর্ক শেষ করতে গিয়ে আর শেষ করা হয়না মায়ার টানে।

যোগাযোগ বাড়েঃ

ঝগড়ার করার জন্যও ব্যক্তির সাথে দেখা করা বা কথোপকথন বাড়ে যার ফলে ঝগড়া হলেও সম্পর্ক শেষ হয়না বরং যোগাযোগের মাত্রা বেড়ে যায়।

একটি সমীক্ষার ফলাফল বলছে, যে সমস্ত দম্পতি বা যুগলরা ঝগড়া করেন বা বেশি বেশি অভিমান করেন, তাঁরাই তুলনা মূলক ভাবে সম্পর্কের দিক থেকে অনেক বেশি সুখী, তাদের থেকে – যারা মনের ভাব লুকিয়ে রাখেন।