দাম্পত্যে রাগ অভিমান ও কষ্ট

মানব মনের অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ বিষয়টি বেশ চমৎকার ও আকর্ষণীয়। আপনার অবচেতন মন যদি কারো প্রতি রাগ, অভিমান বা কষ্ট পোষে রাখে তবে তা আপনি মুখে নয় বরং তা আচরনে প্রকাশ করবেন।

তবে মনোবিজ্ঞানীদের মতে- ভালোবাসার সম্পর্কে রাগ, অভিমান থাকা ভালো। এতে সম্পর্কের ভিত্তি মজবুত হয়।

অহেতুক রাগ এড়িয়ে চলুনঃ

রাগ হল মানুষের মনের হিংসাত্মক মনোভাব। রাগ বা ক্ষোভ মানুষের মনে বেশীদিন জমা থাকলে এক পর্যায়ে অপর ব্যক্তির উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এছাড়া যার মনে ক্ষোভ অনুভূতি কাজ করতে থাকে সে মানসিক দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রাগ যে কারো প্রতি সৃষ্টি হতে পারে। তবে দাম্পত্যে জীবনে অতিরিক্ত রাগ এড়িয়ে চলা ভালো।

অভিমানের মূল্যায়ন বুঝতে হবেঃ

অভিমান বিষয়টি দারুন একটি অনুভূতি যা দাম্পত্য জীবনে থাকা প্রয়োজন। ‘অভিমান অনুভূতি’ মূলত কাছের মানুষের সাথেই ঘটে থাকে। অভিমান হয় অপর ব্যক্তির প্রতি ভালোবাসা ও প্রত্যাশা থেকে। তবে ব্যাক্তির অভিমান কে সর্বক্ষণ অবহেলা করলে সম্পর্ক খারাপ দিকে যেতে পারে।

অযথা কষ্ট নিতে নেইঃ

সুখ-দুঃখের অঙ্গিনায় তৈরি হয় কষ্ট। কষ্ট যেকোন কারনেই আসতে পারে। হতে পারে পারিবারিক বা ব্যক্তিগত কারন। তবে কষ্ট ভাগাভাগি করে নিলে দাম্পত্য জীবনে এর প্রভাব অনেকটা কমে আসে।

গবেষণায় দেখা গেছে – রাগ যাদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যগুলোর একটি, তাদের হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা অন্যদের তুলনায় দ্বিগুণ।

রাগ, অভিমান ও কষ্টের নেতিবাচক দিকঃ

অতিরিক্ত রাগের ফলে দাম্পত্যে কলহ বাড়তে থাকে।

রাগ ও কষ্ট পরস্পর শ্রদ্ধাবোধ নষ্ট করে, অনেক সময় মানসিক দিক থেকে উভয়কে ক্ষতিগ্রস্ত করে।

অভিমান ও রাগ থেকে সম্পর্কে প্রতিযোগিতা দেখা দেয়।

অতিরিক্ত কষ্টের ফলে পরস্পরের সম্পর্কের প্রতি অনীহা কাজ করে।

রাগ, অভিমান কষ্টেরও কিছু ইতিবাচক দিক আছেঃ

সঙ্গীর রাগ ভাঙ্গানোর ফলে সম্পর্ক ক্ষীর মধুময় হয়।

অভিমান শেষে ভালোবাসা ও প্রত্যাশার স্বীকৃতি ঘটে।

কষ্ট বাস্তবতা শেখার ফলে পরবর্তী পথ চলায় পরস্পরের প্রতি আস্থা বাড়ে।

সম্পর্কে সচেতনতার বৃদ্ধি ঘটে।

সম্পর্কে রাগ, অভিমান, কষ্ট বিষয়গুলো ঠিক যেন টক, ঝাল, মিষ্টি স্বাদের মত যা দাম্পত্যে জীবনে উপভোগ করা দরকার। তবে এ বিষয়গুলো বেশীদিন মনে পুষে না রাখাই ভালো। এ পরিস্থিতি গুলোতে দুজন সমঝোতায় আসতে পারলে ভালোবাসা ও সম্পর্ক আগের চেয়ে মধুর হয়।