সারা বিশ্বে বিচ্ছেদের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। বর্তমান যুগে দম্পতিরা বিচ্ছেদের জন্য বেশ তাড়াতাড়ি প্রস্তুতি গ্রহন করেন। সম্পর্কে জড়িয়েই তা টিকিয়ে রাখার জন্য যথেষ্ট সময় একে অপরকে দিতে চান না। দাম্পত্য সম্পর্ককে বিচ্ছেদের মুখোমুখি না করে বরং দীর্ঘস্থায়ী ও টেকসই সম্পর্ক গড়তে প্রয়োজন একে অন্যের প্রতি বুঝাপড়া।
সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী করতে সচেতন হওয়ার কোন বিকল্প নেই –
সঙ্গীকে দোষারোপ করা থেকে বিরত থাকুন –
দাম্পত্যে কলহ মাঝে মধ্যেই ঘটবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু একে অপরের প্রতি যখন ঘন ঘন দোষারোপ করে তখনই সম্পর্কে কলহ বিরাজ করতে থাকে। পরস্পর দোষগুলো ছাড় দিন তাহলে সম্পর্কে কলহও কমে যাবে।
সঙ্গীকে স্পর্শে রাখুন –
স্পর্শ পরস্পরের প্রতি আকর্ষণ বাড়ায়। সম্পর্কের বয়স অনেকদিন হয়ে গেলও সঙ্গীকে নিজের স্পর্শে রাখুন। যেমন- পাশাপাশি হাঁটছেন সঙ্গীর হাত জড়িয়ে রাখুন, সম্পর্কের বয়স বাড়লেও রোমান্টিক আচরণ করুন।
স্বাচ্ছন্দ্য নিয়ে সম্পর্কের উন্নয়ন করুন –
সম্পর্কে একে অপরের প্রতি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ জাগাতে পারলে সমস্যাগুলো অনেকাংশে লাঘব হয়। কেবল সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য সম্পর্ক ধরে রাখতে যাবেন না। সঙ্গীর আপনার সাথে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে এমন আচরণের মাধ্যমে সম্পর্ক কে উন্নত করুন।
ক্ষমা করুন –
ভুল সবাই করে, এটি জীবনের একটি শীতল কঠিন ঘটনা। যদি সঙ্গীর প্রতি যত্নবান হন তবে তার ভুলের জন্য ক্ষমা করতে আপনাকে শিখতে হবে। একে অপরের প্রতি ক্ষোভকে ধরে রাখা কোনও সম্পর্কের জন্য মঙ্গল বয়ে আনেনা। তাই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে অবশ্যই ক্ষমা করা শিখতে হবে।
ইচ্ছের বিকাশ করুন –
সম্পর্কে কেবল একপক্ষের ইচ্ছা কে প্রাধান্য দিবেন না। দুজন আলাদা ব্যক্তি, দুজনার ইচ্ছাও আলাদা তাই সম্পর্ক কে সম্পর্কের অবস্থানে রেখে নিজস্ব ইচ্ছেগুলো পূরণ করুন ও একে অপরের ইচ্ছেকে সমর্থন করতে শিখুন।
প্রতিযোগিতা করবেন না –
সম্পর্ক কোন খেলা নয়। সম্পর্ক দুজন ব্যক্তির মাঝে পবিত্র বন্ধন। সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে হলে অনেক বিষয় বিসর্জন দিতে হবে। এর মধ্যে প্রধান হল সঙ্গীর প্রতি হিংসাত্মক আচরণ আনবেন না এতে সম্পর্ক প্রতিযোগিতামূলক পরিস্থিতিতে চলে যায়।
আপনার সূক্ষ্ম গুণাবলীগুলো চর্চা করুন –
এমন গুণাবলী নিয়ে কাজ করুন যা আপনাকে আরও ভাল ব্যাক্তি করে তোলে। সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটি করা সহজ – কারণ আনুগত্য, করুণা এবং বিশ্বাসের মতো এই গুণগুলি অনুশীলনের সুযোগ সর্বদা থাকে আর এ গুণগুলো সম্পর্কের সুন্দর রুপ প্রদান করে।
একে অপরকে উৎসাহিত করুন –
সম্পর্কে আছেন বলে কেবল সম্পর্ক নিয়েই ব্যস্ত থাকবেন না। আপনার নির্দিষ্ট কাজ করা বা নতুন জিনিস চেষ্টা করা থেকে বিরত থাকবেন না। আপনি আপনার সঙ্গীর কাজগুলোতে উৎসাহিত করুন এবং তার কাছ থেকে উৎসাহ পাওয়ার বিষয়টি তৈরি করুন এতে পরস্পরের প্রতি আন্তরিকতা বেড়ে উঠবে।
সঙ্গীর প্রশংসা করুন –
আপনার জীবনসঙ্গীর ভালো দিক ও গুনের জন্য তার সামনেই তার প্রশংসা করুন। আপনার জন্য উপহার বা রান্না করলে তাকে ধন্যবাদ দিন। দাম্পত্য সম্পর্কে প্রশংসা বিষয়টি অবশ্যই থাকা উচিত।