পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত এবং আলোচিত শব্দ “ভালোবাসা”। ভালোবাসা মূলত সাধনার বিষয়। আপনি যত বড় সাধক হবেন তত সফল হবেন। আপনি আজ উজাড় করে দিবেন পরবর্তীতে এর পরিমাণ উত্তম কিছু পাবেন এটাই প্রকৃতির ধর্ম। প্রকৃতির এ নিয়ম যদি আপনি বিশ্বাস করে থাকেন তাহলে হতাশায় না ভুগে ভালোবাসা দিয়েই ভালোবাসা আদায় করে নিন।
প্রত্যাশা রাখবেন নাঃ কি পেলাম, কতটুকু পেলাম এ নিয়ে হিসেব-নিকাশ করবেন না। মানুষ বেশী কষ্ট পায় যখন সে মনে প্রত্যাশা রাখে।
তার প্রিয়জন হনঃ আপনি তখনই একজন মানুষের প্রিজন হতে পারবেন যখন আপনার সঙ্গ তার ভালো লাগবে। তাই সম্পর্কে বন্ধুত্ব সম্পর্ক গড়ে তুলন।
স্বার্থপর হবেন নাঃ ভালোবাসার বিষয়ে স্বার্থ থাকতে নেই আর প্রকৃত ভালোবাসয় স্বার্থপরতা নেই ।
বিশ্বস্ত হনঃ যে কোন সম্পর্কে বিশ্বাস অতি গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যখন কারো বিশ্বস্ততা অর্জন করতে পারবেন তার কাছে আপনার চেয়ে মূল্যবান কিছু থাকবে না। সে আপনার কাছেই আসবে বার বার।
প্রয়োজন হবার চেষ্টা করুনঃ তার প্রয়োজন হওয়ার জন্য অবশ্যই ব্যক্তির কাজে সহযোগী হওয়ার চেষ্টা করুন, এর ফলে আপনাদের বোঝাপড়া বিষয়টি মজবুত হবে। প্রয়োজন থেকেই কিন্তু প্রিয়জন হওয়া সম্ভব।
ছাড় দিনঃ সম্পর্কে তখনই ফাটল ধরে বা ব্যক্তি অপছন্দের কারন হয়ে যায় যখন সম্পর্কে ছাড় দেয়ার বিষয়টি থাকে না। হারাবার ভয় হবেই এটাই স্বাভাবিক। পোষা পাখির মত আটকে রাখবেন না। মানুষটি যদি আপনাকে ভালোবাসে যে যতদুরেই যাক আপনার কাছে ফিরবেই।
ঈর্ষাঃ ব্যক্তিকে ভালোবাসেন আর মনে ঈর্ষা জন্মাবে না তা আসলে হয় না, তবে এর পরিমাণ যেন তীব্র না হয়। কারন অতিরিক্ত ঈর্ষাবোধ একটি রোগ ও সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার সম্ভবনা বাড়িয়ে দেয়।
হতাশা হবেন নাঃ চিন্তা করুন তো; দিন গড়িয়ে যেমন রাত আসে তেমনি রাত পেরিয়ে আবার ভোর হয়! তাই আজ যা কিছু করবেন সময় আপনাকে ফলাফল দিবেই তাই হতাশ হবেন না।
ভালো লাগা বা সম্পর্ক বিষয়টি চট করে হয়ে গেলেও ভালোবাসা তৈরি হয় ধীরে ধীরে। ভালোবাসা গড়ে উঠে পরস্পরের বোঝাপড়ার মধ্যে দিয়ে। সম্পর্ক আছে কিন্তু ভালোবাসা নেই বা একপক্ষের অনুভূতি এ বিষয়টি অনেক সম্পর্কেই দেখা যায়। আর এ সম্পর্ক গুলো প্রতিনিয়ত হতাশায় ভুগে, অতঃপর কারো কারো ক্ষেত্রে হয়ে যায় বিচ্ছেদ।
ভালোবাসা নিয়ে ‘ টমাস ফুলার বলেছেন -ভালোবাসতে শিখুন, ভালোবাসা দিতে শিখুন তাহলে আপনার জীবনে ভালোবাসার অভাব হবে না।