বাংলাদেশে দিন দিন বেড়েই চলছে ডিভোর্সের হার। ডিভোর্স হঠাৎ করে হয় না। ডিভোর্স একরাতে বা আচমকা দুর্ঘটনার ফল না। বহুবিধ কারনে ডিভোর্স হয়ে থাকে।
ডিভোর্স শুধু স্বামী বা স্ত্রীর আইনগত বিচ্ছেদ নয়। এর মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রীর শারীরিক, মানসিক বিচ্ছেদ এবং সর্বোপরি সন্তানের সাথে তাদের সামগ্রিক সম্পর্কের টানা পড়ে।
ডিভোর্স যে দেয় এবং যাকে দেয়া হয় – দুজনের উপরই ভিন্ন মানসিক প্রভাব পড়ে। যে ডিভোর্স দেয় সে ভীতিবোধ, নির্ভার, দূরত্ববোধ, অসহিষ্ণুতা, বিরক্তিবোধ, সন্দেহ ও অনুশোচনায় ভোগে। আর যাকে ডিভোর্স দেয়া হয় সে হতবিহ্বল, প্রতারিত, আত্মনিয়ন্ত্রণহীন, নির্যাতিত, আত্মমর্যাদা হ্রাস, নিরাপত্তাহীনতা বোধ করে।
ধরুন, আপনি পুরনো বাসা ছেড়ে নতুন বাসায় উঠেছেন। নতুন বাসা আপনি কিভাবে সাজাবেন? অবশ্যই হুবহু পুরনো বাসার আদলে নয় বরং আপনি নতুন বাসায় উঠার সময় পুরনো কিছু জিনিস বাদ দিয়ে নতুন জিনিস কিনে ঘর সাজান বা সাজাবেন। ঠিক এভাবেই ডিভোর্সের পরবর্তী জীবনটা নতুন করে সাজান।
ডিভোর্সের পর করনীয়ঃ
আত্মবিশ্বাসী হন।
সমাজে মাথা উঁচু করে দাঁড়ান।
স্বাবলম্বী হন।
আপনাকে যে কেউ নেতিবাচক কথা বলবে আপনি সেগুলো এড়িয়ে চলুন।
নিজেকে সময় দিন।
সন্তানকে এমন ভাবে বড় করুন যেন তার বেড়ে ওঠায় নেতিবাচক প্রভাব না পরে।
পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের সাথে সময় কাটান।
পছন্দের কাজ করে সময় কাটান।
নিজেকে দোষ দেবেন না।
ডিভোর্স মানেই আপনার জীবন শেষ হয়ে যাওয়া নয়। আপনি চাইলে ডিভোর্সের পর আপনার জীবনে দ্বিতীয় সঙ্গীর কথা ভাবতেই পারেন, এ অধিকারটুকু আপনার আছে। তবে তাড়াহুড়ো করার কিছু নেই সময় নিন ও সম্পর্কে জড়ান তবে নতুন সঙ্গীকে সব কিছু জানিয়ে ।