ঈর্ষা মানুষের মনের এক ধরনের অনুভূতি। তবে দাম্পত্য জীবনে ঈর্ষা অনুভূতি বরাবরই নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর যত দম্পতি ম্যারেজ থেরাপিস্টের শরণাপন্ন হন, তাদের এক তৃতীয়াংশই যান “ঈর্ষা” থেকে উদ্ভুত সমস্যা নিয়ে।
মূলত ভালোবাসা বা অধিকার সম্পর্ক থেকে এ ঈর্ষার সৃষ্টি হয় তবে ভালোবাসা থেকে জন্মানো এ ঈর্ষা কে গবেষকরা এক ধরনের রোগ বলে মনে করেন। তারা রোগটির নাম দিয়েছেন ‘ওথেলো সিনড্রম`।
নারীদের তুলনায় পুরুষেরা এ রোগে বেশী ভুগে থাকেন।দাম্পত্য সম্পর্কে যদি প্রতিযোগিতা দেখা দেয় তখন সম্পর্কে ঈর্ষার উৎপত্তি হয়।
যেমন- স্বামীর তুলনায় স্ত্রীর ভালো বেতনের চাকরী, স্ত্রীর সাফল্য, অথবা স্বামী বেকার থাকলে তখন সে পুরুষ হীনম্মন্যতায় ভুগেন। এক্ষেত্রে ৮০ শতাংশ পুরুষই ভাবেন যে তাদের স্ত্রী সংসারে নিজের আর্থিক ক্ষমতা দেখাতে চাইছে।
তৃতীয় ব্যাক্তি আগমনের ফলেও দাম্পত্য জীবনে ঈর্ষার সৃষ্টি হয়। নারী পুরুষ উভয়ই এ রোগে ভুগে থাকেন। এক্ষেত্রে নারী বা পুরুষ সঙ্গীকে হারানোর ভয় অনুভব করে থাকেন।
যৌন বিশেষজ্ঞ ও লেখক পলা হলের মতে, ভালবাসার ক্ষেত্রে অল্প মাপের ঈর্ষা ধনাত্মক শক্তি (positive force) হিসেবে কাজ করে। এটি আবেগকে বেগ দেয় এবং যৌন মিলনকে কামময় করে দাম্পত্য সম্পর্ককে জিইয়ে রাখে। কিন্তু উচ্চমাত্রার ঈর্ষা ঠিক এর বিপরীত। অযৌক্তিক ঈর্ষা থেকে জন্ম নেয় রাগ, বিতৃষ্ণা, বিশ্বাসহীনতা, প্রতিহিংসা,প্রতিশোধপরায়ণতা, ডিপ্রেশন, এবং সর্বোপরি দাম্পত্য কলহ। ঈর্ষা থেকে উদ্ভুত দাম্পত্য কলহ সময়ের সাথে বাড়ে বৈ কমে না এবং চুড়ান্ত পরিণতি রুপ নেয় বিবাহ বিচ্ছেদের ।