আত্মসম্মানবোধ বাড়ান ভালোবাসার সম্পর্ক দৃঢ় হবে!

ইতিবাচক আত্মসম্মানবোধ যে কোন ব্যক্তির মানসিক স্বাস্থ্যের সাথে সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আত্মসম্মানবোধ মানুষের আবেগময় আচরণ যা দ্বারা ভালোবাসার সম্পর্কের ভারসাম্যতা রক্ষা হয় খুব সুন্দর ভাবে।  আত্মসম্মানবোধ বা আত্মমর্যাদাবোধ উপলব্ধির জন্য একজন সঠিক জীবন সঙ্গীর ভূমিকা অনেক বেশী।

আত্মসম্মানবোধ বৃদ্ধির মাধ্যমে কিভাবে ভালোবাসার সম্পর্কের গুরুত্ব আরো বৃদ্ধি করা যায় ?

সঙ্গীদের একে অন্যকে দোষারোপ, সমালোচনা, অভিযোগ এবং লজ্জা দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবেঃ  ভালোবাসার সম্পর্কের ক্ষেত্রে যদি সঙ্গী একে অন্যকে লাগাতার নানা কারনে দোষারোপ কিংবা অভিযোগ করতে থাকে তবে তাদের মধ্যে লজ্জা বা সংকোচবোধ বৃদ্ধি পায়, এরকম ঘটনা যদি পুনঃপুন হয় তবে, তাদের মন ছোট হতে শুরু করে। এতে আত্মসম্মানবোধ কমে যায় ও হীনমন্যতার সৃষ্টি হয় ফলে ভালোবাসাও কমতে থাকে। সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই চর্চা গুলোকে বন্ধ রাখতে হবে।

যে যেমন তাকে সেভাবে গ্রহণ করতে হবেঃ যদি ধরি কোন দম্পতির মধ্যে স্ত্রীর পছন্দ ঘর খুব গুছিয়ে রাখা অপরদিকে স্বামী চায় প্রয়োজন অনুসারে ঘরের জিনিস গুলোকে রাখতে। পছন্দের এরকম অমিল থাকলে একে অন্যের স্বভাব পরিবর্তন না করে দুজনকে একটা মধ্যবর্তী স্থানের সমাধান বেছে নিতে হবে, যেন সম্পর্কের মধ্যে কোন ঝামেলা প্রবেশ না করতে পারে।

একে অন্যকে উৎসাহিত করাঃ সঙ্গী একে অন্যকে মূল্যায়নের জন্য তাদের কাজের প্রশংসা করা উচিৎ এতে করে নিজ নিজ মনের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায়, শুধু আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি নয় এইটা ভালোবাসা প্রকাশের একটা ভালো মাধ্যমও বটে।

ত্রুটি গুলোকে গ্রহণ করাঃ পৃথিবীর কোন মানুষ ১০০ ভাগ সঠিক হয় না,  মানুষের মধ্যে ভুল বা ত্রুটি থাকবেই। ঠিক একই ভাবে আমাদের সঙ্গীদেরও অনেক রকম ত্রুটি থাকতে পারে,আমাদেরকে সঙ্গীর ত্রুটি গুলোকেও গ্রহণ করতে হবে। ভালোবাসতে হলে সঙ্গীর সম্পূর্ণটা ভালোবাসতে হবে, শুধু ভালোটা নয় । এতে সঙ্গীর হীনমন্যতা বোধ কমে যায়, আত্মসম্মানবোধ দৃঢ় হয় ফলে সঙ্গীর প্রতি ভালোবাসা বৃদ্ধি পায়।

মনের ভালোবাসাকে জাগ্রত রাখতে আমাদের মনের আবেগ গুলোকে সঠিক ভাবে চালনা করলে খুব সুন্দর ফলাফল পাওয়া যায় এতে সম্পর্ক গুলো অটুট থাকে।