সম্পর্ক বাঁচাতে প্রয়োজন বোঝাপড়া!

সম্পর্ক গুলোকে বুঝতে হলে মানুষটার অভিমানের ভাষা গুলো বুঝতে হবে।  কেউ যদি রাতে না খেয়ে বলে খিদে নেই তাহলে নিজে একা খেয়ে বাতি বন্ধ করে ঘুমিয়ে যাবার অর্থ হল আপনি তার অভিমানের ভাষা বোঝেননি।  সে হয়ত ভেবেছিল , তার খিদে নেই শুনে আপনি তার প্রতি একটু মনোযোগী হবে।  সে হয়ত চেয়েছিল আজ আপনি তাকে নিজ হাতে খাইয়ে দিবেন। সে এমন ভাবে বলেছে ‘আমি তোমাকে বুঝতে চাই’ যার সারমর্ম হল, সে আসলে আপনাকে বুঝতে চায় না।

প্রতিউত্তরে আপনি অসংখ্যবার বলে গেছেন, ‘তুমি তাকে বুঝতে চাও না’ এই যে তুমি তাকে বুঝতে চাও না,ব্যাকটির শেষ শব্দের এই ‘ না’ টা সে আসলেই বুঝে উঠতে পারেনি। সে জানলোই না, এই ‘ না’ এর ভেতরে কত লাইন অভিমান আর আক্ষেপ ছিল।  আপনাকে একটু খেয়াল রাখতে হবে আপনার কতটুকু সে মেনে নিয়েছে আর কতটুকু মন থেকে নিয়েছে। মেনে নিতে নিতে এক সময় দেখবেন মানুষটা শুধুই মেনে নিচ্ছে, এর হৃদয়ে আর কোন ‘মন’ অবশিষ্ট নেই।

সম্পর্কে যাবার আগে আপনি হয়ত একটা মোহে ছিলেন, তার সব কিছুই ভাললাগা টাইপ একটা ঐশ্বরিক ব্যাপার।  সম্পর্কে আসার আগে আপনাকে এইটুকু পার্থক্য বুঝতেই হবে, প্রেম এবং ভালোবাসা এক জিনিস না।  প্রেম অনেকটা চঞ্চল প্রকৃতির। একটা সাদামাটা গানের লাইনে হেলুসিনেশন চলে আসে।  প্রেমের রসয়ানে পাগলামি আছে। একটা পাগল মানুষের ভেতরে ঢুকে মানুষটাকে দিয়ে সারারাত প্রিয়তমার বাসার সামনে দাঁড় করিয়ে রাখে।  সব থেকে সাংঘাতিক ব্যাপার হল, প্রেম অনেক সময় ভালো না বাসলেও ভালোবাসার চেষ্টা করে!

ভালোবাসা স্থির। সে মানুষটার সমস্ত দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেয়।  সে টিনএইজের প্রথম প্রেমের মত পাগলামি করে না; তবে সে পাগলের মতই ভালোবাসে।’ আমি তোমাকে ভালোবাসি’ এটা আসলে বলবার বিষয় না।  ভন্ড এবং প্রতারকরাও বলে, বরংচ বেশিই বলে।  এটা করে দেখাতে হয়।  সম্পর্ক গুলো কেমন হবার কথা ছিল সেটা আমাদের চোখের দিকে তাকালেই আঁচ করা যায়।