একক মায়েরা কেমন জীবনসঙ্গী আশা করেন!

আমাদের সমাজে বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা নতুন নয়।  বিচ্ছেদের কারণ গুলো বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন হয়।  কারণ যেটাই হোক বিচ্ছেদের কারনে একটা সংসার ভেঙ্গে যায়, এটায় বাস্তবতা।  তাই বলে জীবন এখানেই শেষ হয়ে যায় না, সময়ের সাথে জীবনকে চালিয়ে নিতে হয়। আমাদের দেশে অনেক মেয়েরা বিচ্ছেদের পর সন্তানকে নিয়ে আলাদা থাকছে এবং একা হাতে সন্তান লালন পালন করছে। আমেরিকতে প্রায় ৪৫% শতাংশ একক মা সন্তান লালন পালন করে। এই সংখ্যা বাংলাদেশে একদম কম না।

একা জীবন কাটানো খুব সহজ না, তাই তারা নতুন করে জীবন কে সাজাতে চেষ্টা করে। নতুন জীবনে প্রবেশের সময় একক মায়েরা অনেক বিষয়কে মাথায় রাখে, সঙ্গী নির্বাচনে তারা অনেক বেশী সতর্ক থাকে।  আপনি যদি একক মা হয়ে থাকেন তবে, সঙ্গীর ভিতরে যে বিষয় গুলো লক্ষ্য করবেন, তার একটা অংশ তুলে ধরার প্রয়াস করা হলো।

আপনার সময়কে গুরুত্ব যে দেবেঃ  যেহেতু আপনি আপনার বেশীর ভাগ সময় আপনার সন্তানকে দিচ্ছেন, এ বিষয়টা বুঝে যে ব্যক্তি আপনার কাছে তার জন্য সময় আশা করবে, আসলেই সে আদর্শ সঙ্গী হবে।

সন্তানের স্থানঃ  একক মায়ের কাছে তার পৃথিবী জুড়ে তার সন্তান থাকে।  আপনার জীবনে যে নতুন মানুষটাকে আশা করছেন তার কাছে যদি আপনার সন্তানের একটা বিশেষ স্থান থাকে।  স্থানটা যদি সে ভালোবাসা দিয়ে তৈরী করে নেয়, তবে মানুষটা আপনাকে বুঝবে।

মানুষিক স্বস্থিঃ বিচ্ছেদের পর একজন মাকে তার সন্তানকে নিয়ে অনেক বাঁধা বিপত্তি পার করতে হয়। অনেক বড় সংগ্রাম করতে হয়।  সামাজিক নানা প্রতিকূল অবস্থার কারনে অনেক কিছু সহ্য করতে হয়।মানুসিক অবস্থা ভেঙ্গে পড়ে, জীবনটা অনেক কঠিন হয়ে যায়। এই কঠিন সময়ে যে বিশেষ মানুষটা আপনাকে সম্পূর্ণ সস্থির স্থান করে দেবে, সেই আদর্শ জীবন সঙ্গী হবে।

প্রাক্তনের সাথে সম্পর্কঃ  সন্তানের কারনে বিচ্ছেদের পরেও প্রাক্তনের সাথে একটা যোগাযোগ রাখতে হয়, এই বিষয়টাকে আপনার নতুন সঙ্গী যদি খুব স্বাভাবিক ভাবে গ্রহণ করে তবে ব্যক্তিটি আপনার সকল সমস্যাকে সহজ করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।

আচরণঃ  যে ব্যক্তি আপনার মন বুঝে আপনার সাথে আচরণ করবে, আপনার মন খারাপ থাকলে আপনাকে হাঁসাবে, দুঃখে আপনার পাশে থাকবে । আপনার সাথে ও আপনার সন্তানের সাথে খুব সুন্দর ব্যবহার করবে, আপনাকে আপনার সন্তানের সামনে কখনো ছোট করবেনা। আপনাকে ভালোবাসার পাশাপাশি সম্মান করবে। এরকম মানুষ আদর্শ জীবন সঙ্গী।

প্রাক্তনকে নিয়ে মাথা না ঘামানোঃ  কোন বুদ্ধিমান ব্যক্তি অতীত ঘটনাকে নিয়ে বর্তমান সম্পর্ক নষ্ট করবেনা। যে কথায় কথায় আপনার অতীত নিয়ে নানান কথা শুনাবে, সে ব্যক্তি আপনার যোগ্য না।

দায়িত্ববোধঃ  যে আপনার সকল দায়িত্ব কে নিজের দায়িত্ব মনে করবে এমনকি আপনার সন্তানের দায়িত্বও নিতে পিছুপা হবেনা, এরকম মানুষ পাওয়াটা একটা আশীর্বাদ।

মনোযোগঃ  যে ব্যক্তির মনোযোগ শুধু আপনি হবেন না, সাথে আপনার সন্তানও থাকবে এবং জীবনে এগিয়ে যাবে আপনার সাথে, আপনাকে ছাড়া নয়।  সম্পূর্ণ মনোযোগ থাকবে আপনাদের সম্পর্কটা কিভাবে সফল হবে তার উপর। এরকম ব্যক্তির উপর ভরসা করা যায়। জীবনে একবার ঘটে যাওয়া ঘটনা বার বার ফিরে যেন না আসে, এজন্য কোন সিদ্ধান্ত খুব তাড়াহুড়া করে নেওয়া যাবে না। সময় দিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।