কালের এক অশুভ চিহ্নের নাম বিশ্বাসঘাতকতা। ভালোবাসায় বিশ্বাসঘাতকতার আঘাত হয় অনেক গভীর। সঙ্গীর বিশ্বাসঘাতকতার অনুভূতি দ্বারা মানুষ জানতে ও বুঝতে পারে অযোগ্য মানুষকে সে ভালোবেসেছিল। ইদানীং কালে বিশ্বাসঘাতকতার প্রবণতা বেশী বৃদ্ধি পেয়েছে। যদি কেউ কখনো তার নিজকৃত ভুল বুঝতে পারে তখন উচিৎ মাথা নত করে কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চাওয়া। আপনার সঙ্গী যদি আপনার বিশ্বাসে আঘাত করে তাহলে, ভালোবাসা টিকিয়ে রাখার জন্য আপনি সঙ্গীর সাথে কেমন আচারন করবেন সেগুলো সম্পর্কে কিছু চমৎকার বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা করা হলো।
১। মন থেকে বিষয়টিভুলে যেতে হবে অনেক সময় মানুষ ভুল করে ফেলে আবার ভুলটা বুঝতে পারে, তখন আমাদের উচিৎ সঙ্গীকে ক্ষমা করে বিষয়টি ভুলে যাওয়া এবং জীবনে এগিয়ে যাওয়া। যদিও ক্ষমা করাটা অনেক কঠিন একটা সিদ্ধান্ত, জীবনে ভবিষ্যতের কথা ভেবে অনেক সময় অনেক কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয় শুধু ভালোবাসার সম্পর্কের জন্য ।
২। সঙ্গীকে লাঞ্ছিত করা যাবেনা আপনি যদি বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হয়ে থাকেন এবং সঙ্গীকে ক্ষমা করে দিয়ে থাকেন, তবে তাকে এই বিষয়টি বার বার মনে করিয়ে দিয়ে অপমানিত করা যাবেনা এতে করে আপনাদের মধ্যকার সম্পর্ক আরো নাজুক হয়ে যেতে পারে। জনসম্মুখে সঙ্গীকে উচ্চস্বরে বকাবকি করবেন না, কারন এতে আপনি নিজেই ছোট হবেন।
৩। নতুন করে বিশ্বাস গোছানো একবার বিশ্বাস ভেঙ্গে গেলে নতুন করে বিশ্বাস করাটা অনেটা অসম্ভব কাজ, এজন্য একে অন্যকে সময় দিতে হবে এবং আলোচনার মাধ্যমে বোঝাপড়া করে নিতে হবে। একটা ঝড়ের পর নতুন করে ঘর বাঁধার মতো সম্পর্কের বিশ্বাসটাকে সুন্দর করে বাঁধতে হবে।
৪। সঙ্গীর ভালো দিকটাকে প্রাধান্য দিন সব মানুষের ভালো, খারাপ দুদিক থাকে। কোনো কারনে যদি আপনি সঙ্গী দ্বারা বিশ্বাসঘাতকতার স্বীকার হয়ে থাকেন, মনে রাখবেন আপনার সঙ্গীর আরো অনেক ভালো দিক আছে, শুধু একটা অপরাধের জন্য তাকে সম্পূর্ণ খারাপ ভাবা ঠিক হবেনা।
অবশ্য এক্ষেত্রে আপনার সঙ্গীকে তার ভুল শুধরাতে হবে। অনেক সময় জীবনের অনেক সিদ্ধান্ত অনেক কঠিন ভাবে গ্রহণ করতে হয়। আর কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হয় অনেকটা ভালোবাসার তাগিদে। আমাদের সবাইকে একটা বিষয়ে চর্চা করতে হবে, বিষয়টি হচ্ছে ভালোবাসার মানুষটাকে কোন ভাবে কষ্ট দেওয়া যাবেনা এবং তার বিশ্বাস নষ্ট করা যাবেনা।