সিঙ্গেল মাদার, সিঙ্গেল ফাদার, পাত্র পাত্রী

ডিভোর্স / বিচ্ছেদ বা দূর্ঘটনায় অকাল মৃত্যুর পর বিভিন্ন বয়সের প্রতিষ্ঠিত অনেক ব্যাক্তি সন্তান সহ নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েন।

এমন নিঃসঙ্গতার যন্ত্রনা কেবল তারাই ( সিঙ্গেল মাদার, সিঙ্গেল ফাদার, পাত্র পাত্রী) উপলব্ধী করেন যারা এই পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে সময় অতিবাহিত করছেন।

তারা না পারছেন এই যন্ত্রনাগুলো অন্যকে বলতে বুঝাতে –
না পারেন নিজেকে পুনরায় প্রস্তুত করতে। আর এই ধরনের মানুষদের জন্য যোগ্যসঙ্গী খুঁজে পাওয়াও একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে পড়ে।

বিবাহবিডি’তে রয়েছে এমন –
হাজারো  সিঙ্গেল মাদার, সিঙ্গেল ফাদার, পাত্র পাত্রী, একক অভিভাবক  পাত্র পাত্রীর প্রোফাইল।

প্রত্যেকের সামাজিক ষ্টেটাস, পারিবারিক মূল্যবোধ, নিজস্ব চাহিদা ও পছন্দেও রয়েছে ভিন্নতা।

সিঙ্গেল মাদার


আমরা চ্যালেঞ্জ নিচ্ছি –
আপনার পরিবারে বা পরিচিতদের মাঝে যদি এমন কেউ থেকে থাকেন তাহলে আপনি নিশ্চিতে বিবাহবিডিতে রেজিষ্ট্রেশন করতে বলুন।

আমরা কনফিডেন্সের সাথে বলতে চাই, চাহিদা অনুযায়ী অবশ্যই সঠিক সঙ্গী বিবাহবিডি আপনাকে নিশ্চিত করবে।

শুধু বিবাহবিডিতে রেজিষ্ট্রেশন করুন
অথবা আমাদের ফোন করে আপনার চাহিদার কথা বলুন।

বিবাহবিডি ডট কম
Hotline : +88 01922 115555, 88 01944 115555 , 88 019 71 24 2242
IP Phone : +(88) 0961 22 11 555  Office land : 02-4729-1212



শর্ত : বিয়ের পর বউ চাকরি করতে পারবে না

বিয়ের জন্য পাত্রী খোঁজা হচ্ছে। আধুনিক প্রতিষ্ঠিত ছেলেটি চান ভালো মেয়ে, সুন্দর, বনেদি পরিবার ও শিক্ষিত। আর মেয়েটি যদি মেধাবী হন, তা হলে তো ষোলোকলা পূর্ণ। তবে শর্ত একটি, বিয়ের পর বাড়ির বউ চাকরি করতে পারবে না। আধুনিকতার মুখোশের আড়ালে এমন সংকীর্ণতা অনেক পাত্র ও তাঁর পরিবারের মধ্যে দেখা যায়। কর্মক্ষেত্রে নিজের যোগ্যতায় সফল মেয়েটি অনেক সময় চাকরি ছাড়তে বাধ্য হন। পরিবারের কথা ভেবে অনাকাঙ্ক্ষিত অশান্তি এড়াতে এমন সিদ্ধান্ত মেয়েরা নেন। বিয়ের পর স্বামী চান না বলে চাকরি ছেড়ে দিয়ে ঘরে বসে থাকেন অনেকেই। স্বামী বা শ্বশুরবাড়িকে খুশি করলেও নিজের ভেতরে গুমরে কেঁদে মরেন তাঁরা। নারীর ক্ষমতায়ন, আধুনিকতা ও ব্যক্তিস্বাধীনতার কথা কপচানো অনেক পুরুষই বাস্তবে কর্মজীবী স্ত্রী পছন্দ করেন না।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত অরিনের বিয়ের কথা চলছে। একজনের সঙ্গে বিয়ের পাকা কথা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিয়েটা হয়নি। রুচিশীল শিক্ষিত ছেলেটিকে অরিনের ভালো লেগেছিল। কিন্তু বিয়ের তারিখ চূড়ান্ত করার আগে ছেলেটি শর্ত দিয়ে বসলেন—বিয়ের আগেই অরিনকে চাকরি ছেড়ে দিতে হবে। কেননা, তাঁর বউ চাকরি করলে লোকে নাকি ভাববে, ভরণ-পোষণ দিতে পারছেন না। এমন হাস্যকর যুক্তি মেনে না নিতে পারায় বিয়েটা শেষ পর্যন্ত ভেঙে গেল। এ বিয়ে ভেঙে যাওয়ায় নাকি এখন অনেক বিয়ের কথাই বেশি দূর এগোচ্ছে না। হতাশ হয়ে অরিনের মা-বাবা মনে করেন, এই সামান্য শর্ত মানলে কী এমন ক্ষতি হতো!বিয়ের পর চাকরি ও সংসার কি একসঙ্গে সামলাতে পারবে? সন্তান হলে তাকে কাজের লোকের কাছে বড় হতে হবে। সারা দিন কাজ শেষে বউ বাড়ি ফিরবে। তখন পরিবারকে সময় দিতে চাইবে না। আর চাকরি করলে বউ বশে থাকে না। নিজের স্ত্রী চাকরি করার বিপক্ষে এসব যুক্তি দিয়েছেন বেশ কয়েকজন ছেলে। তাঁদের কেউ কেউ মনে করেন, ভালো মেয়েরা চাকরি করেন না।

ছেলেদের এসব যুক্তির সঙ্গে মেয়েরা কি একমত? ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন হুমায়রা (ছদ্মনাম)। তিনি বলেন, ‘বিয়ের পর আমি চাকরি ছেড়ে দেব। আমার সন্তান একা বড় হবে, এটি চাই না। এতে আমার ব্যক্তিস্বাধীনতা থাকবে না কিংবা ব্যক্তিত্বে প্রভাব পড়বে, এমনটি মনে করি না। সুন্দরভাবে সংসার করাও একটি শিল্প।’

তা হলে এত দূর পড়াশোনা করার কোনো মূল্যই থাকবে না! বিয়ে নামের সামাজিক বন্ধন স্বপ্ন পূরণে বাধা দেবে, এটি মানতে পারেন না নৌশিন। তিনি মনে করেন, ভালো বোঝাপড়া থাকলে সংসার ও চাকরি—দুটোই সামলানো সম্ভব। এখানে স্বামী-স্ত্রী দুজনকেই ছাড় দিতে হবে। পরস্পরকে সহনশীল হলে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। আর যে ছেলে কোনো মেয়ের স্বপ্ন ও কাজকে শ্রদ্ধা না করবে, তিনি স্বামী হিসেবে কতটা ভালো হবেন, এ নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়। হুমায়রা আর নৌশিনের বাইরেও আছেন অনেকে। তাঁদের মতে, পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আর সেটা নিতে হবে মেয়েটিকেই। মেয়েটি যদি সবকিছু ঠিকঠাক সামলাতে পারে তা হলে সমস্যা কিসের!

অনেক সময় মেয়ের অভিভাবকেরাও চান, এই সামান্য ছাড় দিলে কী হয়? চাকরির জন্য সংসার টিকবে না, এটি তাঁরা মেনে নিতে পারেন না। ফলে মেয়ের মতামত গুরুত্ব পায় না তাঁদের কাছে। ব্যতিক্রমও আছেন কেউ কেউ। সরকারি কর্মকর্তা নজরুল ইসলামের তিন মেয়েই কর্মজীবী। বড় দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। ছোট মেয়ের বিয়ের কথা চলছে। তিনি ভাবতেও পারেন না, তাঁর মেয়েরা কখনো চাকরি ছেড়ে দেবেন। নজরুল ইসলাম বলেন, ‘মা-বাবা পাশে থাকলে মেয়েরা সব পারে। আমার তিন মেয়ে চাকরি করে। এটি কত বড় গর্বের, তা বোঝানো যাবে না। পাত্রপক্ষ কিছু বলার আগেই বড় দুই মেয়ের বিয়ের সময় আমি উল্টো শর্ত দিয়েছিলাম, বিয়ের পর মেয়েকে চাকরি করতে দিতে হবে।’

অভিভাবকদের বুঝতে হবে, মেয়ে স্বাবলম্বী হলে ভবিষ্যতে যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সামলাতে পারবেন। হতেই পারে বিয়ের পর স্বামীকে কোনো কারণে সাহায্য করতে হলো। তার চেয়ে বড় কথা, দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী ঘরে বসে না থেকে কাজ করলে পরিবার থেকে দেশ—সবার জন্যই ভালো। এ ক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে হবে ছেলেদেরই। চাকরিজীবী স্ত্রীকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করতে হবে। শুধু মুখে মুখে আধুনিক না হয়ে কাজেও দেখাতে হবে।

রাতারাতি সবার মানসিকতার পরিবর্তন হবে, এমনটা আশা করা ঠিক নয়। সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের পাশাপাশি সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের পরিবর্তনও জরুরি। নারীর ক্ষমতায়ন জোরদার করতে হলে রাষ্ট্রকে এগিয়ে আসতে হবে। মনে করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম। তাঁর সঙ্গে একমত বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু। তিনি জানান, ছেলেদের এই মনোভাব নারীর জন্য ইতিবাচক নয়; বরং বিবাহিত জীবনেও অনেকখানি ঝুঁকি রয়ে যায়।বন্ধুত্ব থেকে বিয়ে হলেও অনেক সময় মেয়েদের এসব সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সামাজিক নিরাপত্তাহীনতাবোধ অন্যতম একটি কারণ। বিয়ের পর সন্তানের মা হওয়ার পর বাড়িতে কোনো লোক না থাকলে, অফিসে শিশু দিবাযত্নকেন্দ্র না থাকলে তখন সাধারণভাবে মাকেই চাকরি ছাড়ার কথা বলে সবাই।ফলে এ ধরনের পরিস্থিতি যেন তৈরি না হয়, সেই পরিবেশ বাড়ির সদস্যদের বা প্রতিষ্ঠানকে দিতে হবে।

-তৌহিদা শিরোপা

সন্তানের উপর বিচ্ছেদের প্রভাব

বিবাহবিচ্ছেদ একজোড়া নারী-পুরুষ আর সেই সাথে তাদের সন্তানদের জন্য অত্যন্ত কষ্টদায়ক। যে কারণেই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদ হোক না কেন, শিশু সন্তানটির উপর তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।অত্যন্ত সচেতনতা, পারদর্শিতা আর অগাধ ভালোবাসা ও মানসিক সহায়তার মাধ্যমেই শিশুর মনের দ্বিধাদ্বন্দ্ব, হতাশা, অনিশ্চয়তা দূর করে তার সুস্থ মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে হয়। তা না হলে এর বিরূপ প্রভাব থেকে সারা জীবনেও হয়ত সে বের হতে পারবে না, তার ব্যক্তিত্বের মধ্যে সমস্যা থেকে যাবে এবং পরবর্তী জীবনে অন্যের সাথে সম্পর্ক স্থাপনেও তা বজায় রাখার ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরী করবে।

এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, বিবাহবিচ্ছেদের মতো বিষয় সাধারণত খুব সহজে সম্পাদিত হয় না, এর কিছু পূর্বগামী ঘটনা থাকে যেগুলো মোটেও সুখকর না। এই অপ্রীতিকর ঘটনাগুলোর সাক্ষী কিন্তু ছোট্ট শিশুটি। দীর্ঘদিন ধরে চলা দাম্পত্য কলহ, মানোমালিন্য, শারীরিক নির্যাতন, কান্নাকাটির মতো অপ্রীতিকর কিছু ঘটনার মধ্য দিয়ে শিশুটিকে যেতে হয়।বাড়ির ছোট শিশু এসব দেখে বাড়ির আবহ বুঝতে পারে। সরাসরি মা-বাবার কলহ না দেখেও মা-বাবার চেহারা, প্রকাশভঙ্গি, অঙ্গভঙ্গি দেখে তাদের রাগ, ক্ষোভ, হতাশা, কষ্ট বুঝতে পারে। আমাদের একটা ভুল ধারণা আছে যে, বাচ্চারা কিছু বোঝে না। প্রকৃতপক্ষে শিশুরা সবই বোঝে আর তারা তাদের নিজেদের মতো করে বিষয়টি বুঝে নেয়। অনেক স্বামী স্ত্রী সন্তানদের সামনেই পরস্পরের প্রতি কটূক্তি, গালাগালি, হাতাহাতি করে থাকে কিংবা শিশুটিকে ঘটনার সাক্ষী রাখে। এর সবই শিশুসন্তানটির উপর দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। বড়রা অনেক সময়ই নিজেদের স্বার্থে শিশুদের ব্যবহার করে যা অত্যন্ত অনুচিত।

একজন শিশুর পরিস্থিতি বোঝার দক্ষতা বড়দের মতো নয়। সে সব বোঝে, তবে নিজের মতো করে। তাই পরিস্থিতির সাথে নিজের মতো করে খাপ খাইয়ে চলার চেষ্টা করে। অনেক সময় ছোট ঘটনা তার মধ্যে বড় অনিশ্চয়তা তৈরী করে। সামান্য উদ্বেগ তার মধ্যে বিশাল ভীতির সঞ্চার করে। এর সবকিছু নিয়ে শিশুটি খুব নাজুক পরিস্থিতিতে থাকে। মা কিংবা বাবার মৌখিক আশ্বাসও তাকে নিরুদ্বেগ রাখতে পারে না। মানসিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায়, শিশুদের মধ্যে যেসব সমস্যা থাকে তা হলঃ

  • নিজেকে গুটিয়ে নেয়া
  • পারিবারের বাইরের লোকের সামনে লজ্জা পাওয়া, মিথ্যা বলা
  • মা বা বাবাকে (বা যার সাথে শিশুটি এখন থাকে )হারিয়ে ফেলার ভয়, অনিশ্চয়তার অনুভূতি
  • বিষন্ণতা
  • নিজের চাহিদার কথা না বলা
  • আগের তুলনায় চুপচাপ হয়ে যাওয়া
  • অস্থিরতা প্রকাশ করা বা অল্পতেই রেগে যাওয়া
  • পড়াশোনায় মনোযোগ হারানো
  • বাবা-মা অথবা নিজেকে দোষারোপ করা
  • নেশা করা বা অপরধমূলক কাজে জড়িয়ে যাওয়া
  • আচরনগত বৈকল্যের শিকার হওয়া

বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে এমন পরিবারের বিভিন্ন বয়সী শিশুদের উপর পরিচালিত গবেষণা থেকে দেখা যায়, ৭-৮ বছরের শিশুদের মাঝে দুঃখবোধ, মনমরা ভাব, হারানোর অনুভূতি- সেই সাথে ভয় আর অনিশ্চয়তা বিরাজ করে। একই সাথে তারা নিজেদের পরিত্যক্ত ও অবাঞ্ছিত ভাবে।৯-১০ বছর বয়সী শিশুরা রাগান্বিত বোধ করে। কারণ তারা নিজেদের অবহেলিত, বঞ্চিত এবং একাকী মনে করে। অপরদিকে ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সীরা রাগ, লজ্জা, মনখারাপ ইত্যাদি বোধ করে।

৫ বছরব্যাপী আরেকটি গবেষণাঃ জরিপে অংশগ্রহণ করেছে এমন শিশুদের মধ্যে ৩৪ শতাংশ জানিয়েছে তারা এখন সুখী।২৯ শতাংশ মোটামুটি মানিয়ে চলছে। ৩৭ শতাংশ জানিয়েছে, তারা এখনও বিষন্ণতায় ভুগছে। এ ধরণের বহু গবেষণায় শিশুদের বিবাহবিচ্ছেদের নেতিবাচক প্রভাবের বিষয়টি উঠে এসেছে।

এ ক্ষেত্রে তার সাথে বেশি সময় কাটান। তার হতাশা, দুঃখ ও ভয় বোঝার চেষ্টা করুন। বাস্তবসম্মতভাবে মোকাবেলার উপায় শেখান। শিশু মা-বাবার (যিনি শিশুর সাথে থাকেন না ) অভাব অনুভব করছে কিনা তা বোঝার চেষ্টা করুন।কারণ শিশু হয়ত আপনাকে হারানোর ভয়ে অথবা আপনি কষ্ট পাবেন এ চিন্তা থেকে তার সত্যিকারের অনুভূতি আড়াল করে রেখেছে। তাকে আশ্বস্ত করুন, যা কিছু হয়েছে তার জন্য সে দায়ী নয়। কারণ ছোট শিশুরা অনেক সময় ভেবে থাকে যে, তার কারণেই এমনটি ঘটেছে। কখনোই শিশুর সামনে তার মা-বাবা সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করবেন না। এতে শিশুরা অত্যন্ত অসহায় বোধ করে এবং দিশেহারা হয়ে পড়ে। সম্ভব হলে তাকে এই বলে আশ্বস্ত করুন, যা কিছু হয়েছে তা আমাদের মধ্যে, তুমি আমাদের সন্তান, আমরা তোমাকে ভালোবাসি। একসাথে না থাকলেও। অনেক সময় যে পরিবারে শিশুটি রয়েছে সেখানে মা-বাবার প্রসঙ্গ কঠোরভাবে এড়িয়ে যাওয়া হয়। এতে শিশুর মধ্যে মা-বাবা সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা থাকলেও সে ভয়ে কোন কিছু বলতে পারে না। তাই তার মনে কোনো প্রশ্ন এলে তা যেন অবলীলায় জিজ্ঞেস করতে পারে-এরকম পরিবেশ বজায় রাখুন।

শিশুটির বাবা (অথবা মা )নেই।তাই তাকে বেশি বেশি খেলনা দেওয়া বা এধরণের আচর থেকে বিরত থাকুন। বস্তুর চেয়ে বড় তার আবেগ-অনুভূতির সঙ্গী হওয়া, তাকে আশ্বস্ত করা এবং এই কষ্টকর অনুভূতি থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করা।

বাবা-মা যে-ই থাকুক না কেন, শিশুর মানসিক সহয়তার জন্য তার পাশে দাঁড়াতে হবে। প্রয়োজনে শিক্ষা মনোবিজ্ঞান বা কাউন্সেলিং মনোবিজ্ঞানের সহায়তা নিতে হবে।

মানসিকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে এ ধরণের শিশুদের প্রতি আমাদের সচেতনতা, ভালোবাসা ও সহায়তা তাদের হতাশা, অনিশ্চয়তা, উদ্বেগ, একাকীত্বের বেড়াজাল থেকে মুক্ত হবার সাহস ও মনোবল জোগাবে।

লিখেছেনঃ

মেহজাবীন হক
প্রফেসর, 
এডুকেশনাল অ্যান্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

বিবাহবিডিতে চলছে T20 ভ্যালেন্টাইন অফার

বাংলাদেশী লিডিং ম্যাট্রিমনিয়াল ওয়েবপোর্টাল বিবাহবিডি ডট কম ভ্যালেন্টাইন ডে উপলক্ষ্যে  ডায়মন্ড ও পার্ল মেম্বারশীপে ২৫% ছাড় ঘোষনা করেছে। সেই সাথে যে সকল পাত্র/পাত্রী ১৬ মার্চ এর মধ্যে নিজেদের জীবন সঙ্গী বিবাহবিডি থেকে নিশ্চিত করবে তাদের মধ্যে প্রথম ৫ জোড়া জুটির জন্য বিবাহবিডির পক্ষ থেকে  রয়েছে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিতব্য  T20 বিশ্বকাপের টিকেট।

১ম ও ২য় জুটিকে ফাইনালের টিকেট, ৩য় ও ৪র্থ জুটিকে ভারত -পাকিস্থান ও ৫ম জুটিকে  উদ্ভোদনী ম্যাচের টিকেট প্রদান করা হবে। বিস্তারিত জানতে 24/7:  ০১৯২২১১৫৫৫৫ বিবাহবিডি ডট কমে রেজিষ্ট্রেশন করতে ক্লিক করুনঃ www.bibahabd.com

তরুণী পাত্রী চাই!

বিয়ের মাধ্যমে জীবনসঙ্গী নির্বাচনের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষ উভয়ই সাধারণ কিছু বিষয় বিবেচনায় আনে। সামাজিক অবস্থানের ভিন্নতার কারণে বিবেচনার বিষয়গুলোও আলাদা হয়। মেয়েদের কাছ থেকে একটি অভিযোগের সুর প্রায়ই শোনা যায়, একটি ছেলের চেহারা বা বয়স যেমনই হোক না কেন, সঙ্গী নির্বাচনের ক্ষেত্রে অনেকেরই প্রধান মাপকাঠি থাকে চেহারার সৌন্দর্য এবং অপেক্ষাকৃত অল্প বয়স। তবে এ ক্ষেত্রে শুধু ছেলেদেরই দোষ দিলে চলবে না।  অনেক ক্ষেত্রে মেয়েদেরও অর্থনৈতিক স্বাবলম্বন বা শিক্ষাগত যোগ্যতা যা-ই থাকুক না কেন, সঙ্গীর পেশাগত প্রতিষ্ঠা এবং আর্থিক নিরাপত্তার বিষয়টিই তারা প্রাধান্য দেয়।  কিন্তু প্রশ্ন আসে এসব বিবেচ্য বিষয়গুলো দাম্পত্যজীবনের একট দীর্ঘ পথ সুন্দরভাবে চলার জন্য কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ। যে মেয়েটি তার চমৎকার মানসিক গঠন, বুদ্ধিমত্তা ও বিবেচনাবোধের কারণে দারুণ একজন পথ চলার সঙ্গী হতে পারত, শুধু বাহ্যিক বৈশিষ্ট্যের কারণেই কি সে উপেক্ষিত হবে? অথবা যে ছেলেটির দৃঢ় আত্মপ্রত্যয়, অনুভূতিশীল মন এবং দায়িত্ববোধ একজন নারীকে একটি সুন্দর দাম্পত্যজীবন দিতে পারে। কিন্তু আর্থিক সচ্ছলতার বিবেচনায় সে কি এ ক্ষেত্রে কম বিবেচিত হবে?

একটি সফল দাম্পত্য সম্পর্ক মূলত পারস্পরিক আকর্ষণ, ভালোবাসা ও বন্ধুত্বের দৃঢ় ভিত্তিতে গড়ে ওঠে। তবে সম্পর্কের প্রথম দিকে পরস্পরের প্রতি আগ্রহ তৈরিতে এবং কাছে আসতে এই আকর্ষণের গুরুত্ব একেবারে উপেক্ষা করা যায়না। অপরিচিত দুজন নর-নারীর মধ্যে তাদের বাহ্যিক ও আনুষঙ্গিক বৈশিষ্ট্য (যেমন—সৌন্দর্য, বয়স, বাচনভঙ্গি, এমনকি আর্থিক অবস্থান, ক্ষমতা ইত্যাদি) আকর্ষণ তৈরির ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে প্রয়োজনীয় হতে পারে। কিন্তু দাম্পত্য সম্পর্কের প্রতিদিনের জীবনে এবং দীর্ঘ পথ চলায় এই আকর্ষণ ক্রমেই ফিরে হয়ে আসে। শেষ পর্যন্ত ভালোবাসার মায়া এবং নিবিড় বন্ধুত্ব একটি আনন্দময় সম্পর্কের অন্যতম নির্ধারক হয়ে ওঠে। ফলে প্রথম দিকে যেসব গুরুত্বপূর্ণ ছিল, সেগুলো ম্লান হয়ে পরস্পরের মানসিক গঠনে মিল, দুজনের চিন্তা ও অনুভূতি বুঝতে পারা, মানসিক চাহিদা পূরণ করা ইত্যাদিই মুখ্য হয়ে ওঠে এবং তাদের ভালোবাসা ও বন্ধুত্বের ভিত মজবুত হয়।

অনেক ক্ষেত্রে একটি প্রশ্ন আসে, বয়সের কতটুকু ব্যবধান একটি সফল সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রয়োজন? মনোবিজ্ঞানে এর কোনো সুনির্দিষ্ট সীমারেখা নেই। মানসিক গঠনে মিল ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ থাকলে শুধু বয়স বা অন্য কিছুর ব্যবধান বাধা হয়ে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা কম।তবে সম্পূর্ণ অপরিচিত নারী-পুরুষ যখন একটি বিয়ের মাধ্যমে যুক্ত হয়, তখন অনেক ক্ষেত্রে বয়সের অতিরিক্ত ব্যবধান বড় হয়ে দেখা দিতে পারে।এটাও দেখা যায়, অনেক সময় ছেলেদের বয়স যথেষ্ট বেশি হলে পাত্রী হিসেবে কম বয়সের মেয়েদেরই প্রাধান্য দেওয়া হয়। যদিও ইদানীং অনেক ছেলের মধ্যেই এ ধরনের মনোভাবের পরিবর্তন দেখা যায়।দাম্পত্যজীবন নারী-পুরুষের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এ নতুন জীবনে তার সঙ্গীটি কেমন হবে এবং কীভাবে মানিয়ে নেবে তার ওপর অনেকাংশেই নির্ভর করছে তাদের ভালো থাকা, মন্দ থাকা। সুতরাং, প্রথাগত ভাবনা থেকে কিছুটা বেরিয়ে এসে সজীব মানসিক গঠন, জীবন সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গির মিল, ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্যের প্রতি আরও জোর দেওয়া প্রয়োজন। এ জন্য জীবনসঙ্গী নির্বাচনের সময় শুধু বাহ্যিক ও আনুষঙ্গিক বৈশিষ্ট্যের প্রতি মনোযোগী না হয়ে তার ভাবনাচিন্তা, রুচি ইত্যাদি জানার চেষ্টা জরুরি।

  • কম বয়স প্রাধান্য দেওয়ার নানা মনস্তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা থাকতে পারে।  যেমন: জৈবিক আকর্ষণ বিবেচনায় রেখে। সেখানে মানসিক আকর্ষণের বিষয়টি সম্পূর্ণ উপেক্ষিত হয়।
  • সন্তান ধারণের বিষয় মাথায় রেখে।
  • অল্প বয়সের মেয়েদের সঙ্গে পরিবার ও নিজের ব্যক্তিত্বের সংঘাত কম হওয়ার প্রত্যাশায়।
  • সম্পর্কের মধ্যে নিজের আধিপত্য ও নিয়ন্ত্রণ রাখার ইচ্ছা।
  • পারিবারিক চাপ।
  • সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রভাব।


এসব বিবেচনা এলেও তা কতটুকু গ্রহণযোগ্য ও সফল দাম্পত্য সম্পর্কের সহায়ক সেটি প্রশ্নবিদ্ধ। অনেক সময়ই বয়সের ব্যবধান বেশি হলে হিতে বিপরীত হয়ে যায়।  যেমন –

  • পুরুষেরা তাদের বেশি বয়স নিয়ে হীনম্মন্যতায় ভুগতে পারে।
  • বয়সের সঙ্গে আমাদের মানসিক গঠন ও মানসিক চাহিদা-সম্পর্কিত বলে অনেক ক্ষেত্রে ভিন্নতা থাকার সম্ভাবনা বেশি থাকে। যার ফলে মানসিক দূরত্ব তৈরি হতে পারে। পরস্পরের প্রতি আকর্ষণের ক্ষেত্রে প্রভাব পড়তে পারে।
  •  বেশি বয়স অনেকের মধ্যে সম্পর্কজনিত নিরাপত্তাহীনতা বোধ তৈরি করতে পারে। যা থেকে স্ত্রীর প্রতি অহেতুক সন্দেহ, অধিক নিয়ন্ত্রণ করার প্রবণতা এবং দাম্পত্য অশান্তি দানা বাঁধতে পারে।
  • ক্ষেত্রবিশেষে কম বয়সের মেয়েদের মানসিক গঠন অপরিপক্ব থাকে। ফলে দাম্পত্যজীবনের নতুনত্ব ও শ্বশুরবাড়ির ভিন্ন পরিবেশের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিয়ে সমস্যা হতে পারে।

লেখক: মেখলা সরকার
সহকারী অধ্যাপক, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, মানসিক রোগবিশেষজ্ঞ
সুত্রঃ নকশা

হু হু করে বয়স বেড়ে যাচ্ছে মনের মত জীবন সঙ্গী পেয়েছেন কি?

আপনি কি আপনার পরিবারের কোন সদস্যের জন্য ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যাংকার অথবা পছন্দের কোন প্রফেশনের  পাত্র/পাত্রী খুঁজছেন? তাহলে  নিশ্চিন্তে লগ ইন করুন বাংলাদেশের লিডিং ম্যাট্রিমিনিয়াল পোর্টাল  বিবাহবিডি ডট কম এ,  ২০০৯ সাল থেকে বিবাহবিডির সেবা নিয়েছে ১০,০০০ এর বেশী উচ্চ শিক্ষিত পরিবার।

বিবাহবিডি (বিবাহবিডি ডট কম) আপনার শতভাগ সেবা নিশ্চিত করতে  ২৪ ঘন্টা ৭ দিনই  প্রস্তুত আছে। এ সেবাটি সম্পূর্ন অনলাইন বেইজ  এবং  ১০০ ভাগ সেলফ সার্ভিস। ঘরে বসেই অনলাইনে রেজিষ্ট্রেশন করে নিজের মত করে প্রফেশন, এডুকেশন ব্যাকগ্রাউন্ড অনুযায়ী প্রতিষ্ঠিত পাত্র/পাত্রীর প্রোফাইল গুলো দেখে সহজেই বাচাই করে সরাসরি পাত্র/পাত্রী বা তার অভিভাবকের সাথে  নিজেই যোগাযোগ করতে পারবেন এবং তা অতি দ্রুত সময়ের মধ্যেই।

তাছাড়াও বিবাহবিডিতে আপনার অথবা  আপনার পরিবারের সদস্যের প্রোফাইলটি দেখে আপনাদের চাহিদা অনুযায়ী পাত্র/পাত্রী বা তাদের অভিভাবকেরাও সরাসরি আপনার সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবে।

আপনি কেন  বিবাহবিডিতে পাত্র/পাত্রী খুঁজবেন ?

  • বিবাহবিডি সম্পূর্ন একটি সেলফ সার্ভিস। যেখানে পাত্র/পাত্রী কিংবা অভিভাবকেরা অনলাইনে ফ্রী রেজিষ্ট্রেশন করে ৩ দিনের ট্রায়াল মেম্বারশীপ নিয়ে, নিজেরাই পাত্রপাত্রীর প্রোফাইল দেখে বাছাই করেন এবং পরবর্তীতে পছন্দের পাত্র/পাত্রী কিংবা তাদের অভিভাবকের সাথে নিজেরাই সরাসরি যোগাযোগ করে থাকেন।
  • প্রফেশন অনুযায়ী, অবিবাহিত,  ডিভোর্স, বিধবা/বিপত্নীক  পাত্র/পাত্রী খুঁজতে
  • প্রবাসী প্রতিষ্ঠিত পাত্র/পাত্রী খুঁজতে
  • বাংলাদেশের যে কোন জেলার প্রতিষ্ঠিত পাত্র/পাত্রী খুঁজতে

বিবাহবিডিতে আসা প্রোফাইল গুলো যাচাই হয় কিভাবে?

  • বিবাহবিডি ডট কম এ আছে (২৪/৭ দিন) এক্সপার্ট কাষ্টমার সাপোর্ট টিম। একটি প্রোফাইল আসার সাথে সাথেই আমাদের কাষ্টমার সাপোর্ট প্রোফাইলটিকে  বেশ কিছু পন্থায় যাচাই করে থাকে এবং পাত্র-পাত্রী ও অভিভাবকের সাথে সরাসরি ফোনে কথা বলে তার প্রদত্ত প্রত্যেকটি তথ্য সম্পূর্ন নিশ্চিত হয়ে তারপরই একটি প্রোফাইল এক্টিভ করে।

বিবাহবিডিতে প্রোফাইল প্রোফাইল করতে কি কি যোগ্যতা প্রয়োজন?

  • বিবাহবিডি ডট কম ছেলেদের  ক্ষেত্রে  শিক্ষাগত যোগ্যতা নূন্যতম ব্যাচেলর ডিগ্রী সহ চাকুরীজীবি কিংবা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠিত।
  • ডিভোর্স/ বিধবা কিংবা অবিবাহিত মেয়েদের ক্ষেত্রে নূন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা ইন্টারমিডিয়েট।

৩ দিন ফ্রী মেম্বারশীপের মেয়াদ কালীন সময়ে আপনি বিবাহবিডির সবগুলো প্রোফাইল দেখে পছন্দের প্রোফাইল গুলোকে (শর্টলিষ্ট/ ফেভারিট) করে নিতে পারবেন ।

কিভাবে পছন্দের কারো সাথে যোগাযোগ করবেন ?
বিবাহবিডি ডট কমের  রয়েছে  ৪ টি প্যাকেজ । অনিক্স, রুবী, পার্ল, ডায়ামন্ড। এই চারটি প্যাকেজের যে কোন একটি কিনে আপনি পছন্দের যে কারো সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবেন ।  

কোন প্যাকেজের কি কি সুবিধা ?
প্যাকেজ অনুযায়ী আপনি সয়ংক্রিয় ভাবে যোগাযোগের তথ্য পাবেনঃ

অনিক্স মেম্বারশীপ – মেয়াদ ৪৫ দিন – পছন্দের ৩ জনের সাথে যোগাযোগের তথ্য
রুবী মেম্বারশীপ – মেয়াদ ৯০ দিন  – পছন্দের ১০ জনের সাথে যোগাযোগের তথ্য
পার্ল মেম্বারশীপ – মেয়াদ ১৮০ দিন – পছন্দের ২৫ জনের সাথে যোগাযোগের তথ্য
ডায়ামন্ড মেম্বারশীপ – মেয়াদ ১৮০ দিন – পছন্দের ৪০ জনের সাথে যোগাযোগের তথ্য

যোগাযোগের তথ্যঃ  
পাত্র/পাত্রী ও অভিভাবকের ফোন নাম্বার, ইমেইল আইডি,  বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা।

 ** আপনি প্রাইভেসী ফিচার অন করে আপনার যোগাযোগের তথ্য লুকিয়ে রাখতে পারবেন। আপনি না চাইলে কোন ইউজার আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারবে না। 

বিবাহবিডির মুড অফ পেমেন্ট কি? কিভাবে সার্ভিস কেনা যায় ।

  • আপনার যদি ইন্টারনেশনাল পেমেন্ট গেটওয়ে পেপল এর কার্ড কিংবা একাউন্ট থেকে থাকে অথবা
  • বিশ্বের যেকোন দেশ থেকে আপনার  ভিসা, মাষ্টার কার্ড দিয়ে আপনি  অনলাইনেই সার্ভিস কিনতে সক্ষম ।
  • বাংলাদেশের ডাচবাংলা ব্যাংক ও ব্র্যাক ব্যাংকের ডেবিট কার্ড ও ক্রেডিট কার্ড দিয়ে অনলাইনেই সার্ভিস কেনা যায়।
  • আমাদের ৩ টি অনলাইন ব্যাংক একাউন্ট আছে সে গুলোতে সরাসরি ডিপোজিট করে আপনি সার্ভিস কিনতে  পারবেন –  ব্যাংক গুলো – ১)  ডাচ বাংলা ব্যাংক  ২) ব্র্যাক ব্যাংক  ৩) ব্যাংক এশিয়া

বিবাহবিডির বিগত দিনের কার্যক্রমঃ
BIBAHABD CEO @ ATN NEWS Young Nite :

TEAM LEADER @ SATV Web Intro

BIBAHABD UK Coordinator
@ বাংলাদেশ – ইউকে  যৌথ ই-কমার্স ফেয়ার – ২০১৩, গ্লুচেষ্টার মিলিনিয়াম হোটেল, লন্ডন
আয়োজকঃ গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, আইসিইটি মন্ত্রনালয় ও কম্পিউটার জগত


ডিসি, ঢাকা ও তথ্য মন্ত্রনালয় আয়োজিত ডিজিটাল ইনোভেশন ফেয়ার – ২০১৩,
পাব্লিক লাইব্রেরী চত্তর, শাহবাগ – ঢাকা
 

ডিজিটাল ইনোভেশন ফেয়ার – ২০১৩, বাঁ থেকে –
CEO BIBAHABD, DC – DHAKA,  Information Secretary – N.I Khan

7-9 Feb, 2013 পাব্লিক লাইব্রেরী প্রঙ্গনে : ই-বাণিজ্য মেলায় BIBAHABD.COM এর ষ্টল ।

বেসিস সফট এক্সপো ২০১২, বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক  সম্মেলন কেন্দ্র, ঢাকা

 

বেসিস সফট এক্সপো ২০০৯, বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র, ঢাকা

বিভিন্ন সময় আমাদের নিউজ কভারেজ এর স্ক্রীন শর্ট দেখতে ক্লিক করুনঃ এইখানে 

বিবাহবিডি ডট কমে রেজিষ্ট্রেশন করে ফ্রী ৩ দিন ট্রায়াল মেম্বারশীপের জন্য
নীচের ছবিতে ক্লিক করুনঃ

চার্চ

১৮৭২ সালের খ্রিস্টান ম্যারেজ এ্যাক্ট অনুযায়ী খ্রিস্টানদের বিয়ে সম্পাদিত হয়। খ্রিস্টান বিয়ে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং একটি পবিত্র চুক্তি।
খ্রিস্টান বিয়ে লিখিত মাধ্যমে সম্পাদিত হয় এবং রেজিষ্ট্রি বাধ্যতামূলকভাবে করতে হয়।খ্রিস্টান বিয়ের ক্ষেত্রে যিনি বিয়ে সম্পাদন করবেন তিনিই বিয়ে রেজিস্ট্রেশন করবেন। খ্রিস্টান বিয়ে রেজিস্ট্রেশনের প্রয়োজনীয় ধাপগুলো হলো:

১)  বিয়ের পাত্র-পাত্রীর পুরো নাম ও ডাক নাম এবং পেশা বা অবস্থা
২)  পাত্র-পাত্রীর আবাসস্থল ও বাসস্থানের ঠিকানা
৩)  পাত্র-পাত্রী কতদিন ধরে ঐ এলাকায় বসবাস করছে তার প্রমাণ পত্র
৪) বিয়ে সম্পাদনের চার্চ বা অন্যকোন স্থান
নোটিশ প্রাপ্তির পর চার্চের ধর্মযাজক নোটিশটি খোলা জায়গায় লাগিয়ে দেবেন। যাতে নোটিশটি সকলের নজরে আসে। এভাবে নোটিশ কয়েক সপ্তাহ ঝোলানো থাকবে যাতে কারো কোনো আপত্তি থাকলে তিনি যেন আপত্তি করতে পারেন। যদি কোন আপত্তি না পান তাহলে চার্চ প্রধান বিয়ের পক্ষগণের নিকট থেকে একটি ঘোষণা গ্রহণ করবেন।
এই ঘোষণাটি বিয়ের পক্ষগণ ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির হয়ে দিবেন যাতে থাকবে-

১) বিয়ের পাত্র-পাত্রীর মধ্যে জানামতে এমন কোন ঘনিষ্ট আত্মীয়তা বা রক্তের সম্পর্ক নেই যাতে তাদের বিয়েতে আইনসম্মত বাধা আছে।
২)বিবাহের পাত্র-পাত্রী দুজনেই আইন অনুযায়ী সাবালক।

এই ঘোষণা সম্পন্ন হওয়ার কমপক্ষে ৪ দিন পর চার্চের ধর্মযাজক বিয়ের আবেদনকারীকে একটি সার্টিফিকেট প্রদান করবেন।সার্টিফিকেট জারির ২ মাসের মধ্যে বিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
ঢাকার কিছু চার্চ এ্রর  তথ্য নিচে তুলে ধরা হলঃ

১) ঢাকা  ইন্টারন্যশনল  খ্রিস্টান চার্চ ( গুলশান-২)
২) মিরপুর ব্যপ্তিস্ট চার্চ। (সেনপারা, ঢাকা-১২১৬)
৩) ঢাকা চার্চ অব খ্রীস্ট সোসাইটি (ইন্দিরা রোড,ফার্ম গেট,তেজগাঁও ঢাকা।)