পছন্দের পার্থক্য

দু’জন আলাদা মানুষের মধ্যে যে পছন্দের পার্থক্য থাকবে এ তো স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু অনেক সময় এর থেকেই আসে মতবিরোধ। কিন্তু খেয়াল মতবিরোধ যেন ঝগড়ার আকার না নেয়।

সম্বন্ধ হোক বা অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ, নিজের সঙ্গী এবং নতুন জীবন নিয়ে সকলের মনেই একটা স্বপ্ন থাকে। তবে অনেকসয়মই মনের মিল হলেও দেখা য়ায় সঙ্গীর সঙ্গে নানা বিষয়ে পছন্দের পার্থক্য রয়েছে। বিয়ের দিন যত এগিয়ে আসে, নতুন জীবন শুরু করার আগে সঙ্গীকে নিয়ে কনফিউশন হওয়া অস্বাভাবিক নয়। বিশেষ করে দু’জনের মধ্যে যদি পছন্দ অপছন্দের পার্থক্যটা বেশি হয় তাহলে তা আরও বড় হয়ে দেখা দেয়।

সাব্বির আর ফারজানার গল্পটাই ধরুন না। বিয়েটা ঠিক হয়েছিল সম্বন্ধ করেই। তারপর দু’জনেই একবছর সময় চেয়ে নেয় মেলামেশা করার জন্য। দু’জনের পরিবারেরও সকলেই এই সম্পর্কে খুশি। কিন্তু একটা সমস্যা ফারজানাকে প্রায়ই ভাবিয়ে তোলে। সাব্বিরকে তাঁর এমনিতে খুবই পছন্দ। হ্যান্ডসাম চেহারা, ভাল চাকরি, সুন্দর পার্সোনলিটি। কিন্তু ফারজানার সঙ্গে তাঁর পছন্দের আকাশপাতাল তফাৎ। ফারজানার পছন্দ লেটেস্ট বলিউড মুভি। আবার সাব্বির ভালবাসে থিয়েটার, নাটক। ফারজানা কন্টিনেন্টাল ডিশ প্রেফার করে। সাব্বির আবার বাঙালি কিংবা মোগলাই খানা ছাড়া মুখেই তুলবে না। বিয়ের পর ফ্ল্যাট উত্তরা হবে নাকি বসুন্ধরা, সেখানেও মতবিরোধ। ফলে টুকটাক ঝামেলা লেগেই থাকে। যদিও ঝগড়া মিটেও যায়। কিন্তু রিয়ার প্রশ্ন, ছোটখাট সব বেশিরভাগ বিষয়ে যদি মতের অমিল হয়, তাহলে সারা জীবন একসঙ্গে কাটানো যে মুশকিল! এদিকে বিয়ের দিন ক্রমশ এগিয়ে আসছে।

•  আমাদের নিজস্ব চিন্তাভাবনা, মতামত নিয়েই গড়ে ওঠে আমাদের স্বতন্ত্র ব্যক্তিত্ব। এই ব্যক্তিত্বই আকর্ষণ করে অন্য ব্যক্তিত্বকে। আপনার প্রিয় মানুষটির স্বাতন্ত্রর জন্যেই তো তাকে ভালবাসেন। সেই নিজস্বতাকে বাদ দিয়ে মানুষটিকে তো কল্পনাই করা যায় না। সেইজন্যে যাঁকে ভালবাসেন তাঁর ভালমন্দ সব মিলিয়েই বাসুন। তবে তার মানে কিন্তু আপনার পছন্দ অপছন্দ বিসর্জন দেওয়া নয়। নিজেদের ব্যক্তিগত পছন্দের সূক্ষ্ম ভারসাম্য বজায় রাখা সম্পর্ক বজায় রাখার একটা প্রধান শর্ত। আপনার সঙ্গী যদি সেটা না বোঝেন, তা হলে একটু কৌশলী হওয়ার দায়িত্ব আপনার উপরেই বর্তাবে। তবে একটা মানুষকে বদলে ফেলার চেষ্টা করলে ভুল করবেন।

• যখনই কোনও পারিবারিক বা ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ভাববেন, তখন একবার সঙ্গীর মতামত নিন। ওঁর মতামতকে গুরুত্ব দিন। এভাবে যদি আপনি ওঁর পছন্দ-অপছন্দকে মেনে চলেন। তা হলে উনিও আপনার মতামতকে গুরুত্ব দেবেন। ফলে নিজেদের মধ্যে অশান্তিও কমে যাবে।

•  নিজেকে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল ও আপডেটেড রাখার চেষ্টা করুন। তা হলে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় তার সপক্ষে যুক্তিটা ভাল করে সাজাতে পারবেন। প্রয়োজনীয় তথ্য থাকলে অন্যকে কনভিন্স করতে সুবিধে হবে।            

•  নিজের পছন্দ-অপছন্দ কখনও জোর করে আপনার সঙ্গীর উপর চাপাবেন না। ওঁকে নিজের বক্তব্য প্রকাশ করার স্বাধীনতা দিন। এরপর যদি উনি আপনার উপর কিছু চাপিয়ে দিতে যান, তা হলে নিজের উদারতার কথা মনে করিয়ে দিন।

•  খাওয়াদাওয়া, জামাকাপড়, বেড়াতে যাওয়া, এইসব সিদ্ধান্ত ,সবসময় নিন সঙ্গীর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে। তাহলে দুজনে মতামতই গুরুত্ব পাবে। একজন হুকুম করছেন, অন্যজন সেই হুকুম মেনে চলছেন, সিচুয়েশনটা যেন কখনই এরকম না হয়।

•  আপনার সঙ্গী যদি আপনাকে ডমিনেট করতে চেষ্টা করেন, তাহলে তাঁর সঙ্গে তর্কাতর্কিতে না গিয়ে একটা ছোটখাট চুক্তি করে নিন। একে অন্যের কথা মেনে চলা এবং নিজের স্বাধীন মতামতের মিশেল দিয়ে তৈরি করুন আপনাদের চুক্তির শর্ত। পুরো ব্যাপারটা সিরিয়াস পর্যায়ে টেনে না গিয়ে, একটা মজার আবহে রাখুন। এতে কাজ বেশি হবে। 

প্রথম দেখা, প্রথম কথা

যাঁর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন, তাঁকে কোনওদিন দেখেননি! কিছুই জানেন না তাঁর ব্যাপারে। মনের মধ্যে চাপা উত্তেজনা বশে রেখে বরং উপভোগ করুন মুহূর্তগুলোকে।  গল্পগুজবের ফাঁকে চিনে নিন পরস্পরকে। এটাই ব্লাইন্ড ডেট-এর সার্থকতা সেখানেই।

সম্পূর্ণ অচেনা-অজানা একজন মানুষের সঙ্গে সাক্ষাৎ।  অবশ্য এ আবার যে-সে সাক্ষাৎ নয়, একেবারে ব্লাইন্ড ডেট! তবে ব্লাইন্ড ডেট-এর সঙ্গে আর পাঁচটা ডেট-এর তফাৎ হল, এক্ষেত্রে আপনি উলটোদিকের মানুষটির ব্যাপারে কিছুই জানেন না।  মনের মধ্যে এক ধরনের চাপা উৎকণ্ঠা আর উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণ করাই দায়! সাধারণত, বন্ধুবান্ধব বা পরিচিতরাই আয়োজন করেন এ ধরনের ডেট।  তবে, ডেটিংয়ে পৌঁছে আপনার অনুভূতি কীরকম হবে, সে নিশ্চয়তা কেউই দিতে পারবেন না! তা বলে কি ব্লাইন্ড ডেটে যাবেন না? অন্তত একবার তো এরকম অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতেই পারেন। শুধু মাথায় রাখুন কয়েকটি বিষয়:

  • কোনও প্রত্যাশা নিয়ে যাবেন না। যদি ভাবেন আপনার স্বপ্নের মানুষটিকে আপনি খুঁজে পাবেন, তাহলে আশাহত হতে পারেন।  আপনার প্রিন্স চার্মিংয়ের কথা ভেবেছেন আর বাস্তবের মানুষটি একেবারে আলাদা হতে পারে।
  • কথাবার্তার শুরুতেই উলটোদিকের মানুষটার সম্পর্কে কোনও ধারণা তৈরি করে ফেলবেন না। কারও ব্যাপারে সম্যক ধারণা তৈরি করতে একটা ব্লাইন্ড ডেট মোটেও যথেষ্ট নয়। তবে গল্পগুজবের মাধ্যমে একটা প্রাথমিক ধারণা তৈরি হয়েই যাবে।  তার ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নিন ভবিষ্যতে আবার এই লোকটির
  • সঙ্গে দেখা করবেন কি না। মনে রাখবেন, প্রত্যেকটা মানুষের মধ্যেই কিছু না কিছু ইন্টারেস্টিং এলিমেন্ট থাকে। সেই ছোট ছোট দিকগুলো উপভোগ করার চেষ্টা করুন।
  •  যদি মনে হয় একেবারে ভুল লোকের সঙ্গে ডেটিং করে দিনটাই মাটি হয়ে গেল, তাহলেও আফশোস করবেন না। খাওয়াদাওয়া, ড্রিংক উপভোগ করুন।  আগে থেকেই ঠিক করে নিন কোনও নতুন রেস্তরাঁয় যাবেন, কোনও নতুন ডিশ ট্রাই করবেন।  যদি খুব বোরিং লাগে, তাহলে সংক্ষিপ্ত কথায় সেরে ফেলুন।
  • একেকজন মানুষের ব্যক্তিত্ব একেক রকমের।  হতেই পারে যে উলটোদিকের মানুষটির সঙ্গে
  • প্রেম সম্ভব নয়। কিন্তু তিনি অন্য নানা বিষয়ে বেশ খোঁজখবর রাখেন। তাহলে সেই বিষয়ে নিজেকে সমৃদ্ধ করে তোলার সুযোগটা হারাবেন না যেন।  বন্ধুত্ব রাখা যেতেই পারে।
  •  অতিরিক্ত খাবার গ্রহন করে ফেলবেন না। আর সেন্স অফ হিউমার বজায় রাখা দু’পক্ষের জন্যই জরুরি।

প্রেমের অনুভূতিতে শারীরিক প্রতিক্রিয়া

‘প্রেম যে কাঁঠালের আঠা, লাগলে পরে ছাড়ে না।’ সত্যি প্রেমের অনুভূতি এক অদ্ভুত অনুভূতি।  প্রেমে পড়লেও জ্বালা আবার এর স্বাদ না নিলেও যেন মন ভরে না! আর এ কারণে জীবনে একবারের মতো হলেও প্রেমে পড়েনি, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া আসলেই মুশকিল।  প্রেমে পড়ার অসাধারণ এই অনুভূতিটা সব মানুষই পেতে চায়।  পৃথিবীর তাবড় তাবড় স্নায়ুচিকিৎসকরা এই নিয়ে অনেকদিন ধরেই গবেষণা করে চলেছেন।  খুঁজে পেয়েছেন আশ্চর্য কিছু তথ্য।

মস্তিষ্কের কার্যকলাপ পরিবর্তিত হয়ে যায়:  একথা সত্যি যে মানুষ প্রেমে পড়লে মস্তিষ্কে কিছু পরিবর্তন আসে। এবং পরিবর্তন আসে বলেই উলটে যায় চেনা পৃথিবী। চূড়ান্ত যুক্তিবাদী ব্যক্তিও অসঙ্গত আচরণ করতে পারেন। গম্ভীর ব্যক্তির ঠোঁটেও ফুটে উঠে হাসি। ব্যবহারের দিক থেকেও একজন মানুষ আমূল পালটে যেতে পারেন। হয়ে উঠতে পারে ব্যাকুল, ভীত এবং অস্থির। সদ্য প্রেমে পড়েছেন এমন ব্যক্তির মস্তিষ্ক স্ক্যান করে অনেক তথ্য জানতে পেরেছেন নিউরোলজিস্টরা। জানা যায়, প্রেমে পড়লে মস্তিষ্কের সামনের দিকের অংশ, অর্থাৎ ফ্রন্টাল কর্টেক্স কাজ করা বন্ধ করে দেয়।এই অংশটি মানুষের বোধ-বুদ্ধি, বিচার-বিবেচনা নিয়ন্ত্রণ করে। ফলত, প্রেমে পড়লে প্রথমেই মানুষ বুদ্ধিভ্রষ্ট হয়। ঠিক-ভুল বিচারবোধ হারায়। আরও বেশি হারায় যদি, প্রেমিক/প্রেমিকার ফটো দেখানো হয়। ক্ষণিকের জন্য মানুষের ফ্রন্টাল কর্টেক্স কাজ করা বন্ধ করে দেয়।

লন্ডন ইউনিভার্সিটি অব কলেজের নিউরো-এসথেটিক্সের প্রফেসর সেমির জেকির মতে, ‘ভালোবাসার মানুষের ফটো দেখালে মানুষের মস্তিষ্কের বেশকিছু অংশ যেমন অ্যাকটিভ হয় ওঠে, ঠিক তেমনই ক্ষণিকের জন্য মানুষের ফ্রন্টাল কর্টেক্স কাজ করা বন্ধ করে দেয়। এমনটা আরও বেশি হতে পারে হঠাৎ কোনও মানুষের প্রেমে পড়লে। ব্যক্তি সৎ, না অসৎ, কেমন মানুষ, আর বিচার করার মতো অবস্থা থাকে না। তাই অনেক সময় ভুল ব্যক্তির প্রেমে পড়ে মানুষ। তারপর সারাজীবন অশান্তি ভোগ করে। মস্তিষ্কের এমআরআই স্ক্যান রিপোর্ট থেকে আরও জানা যায়, মস্তিষ্কের যে অংশগুলি ভয় ও নেতিবাচকতা নিয়ন্ত্রণ করে, সেগুলিও কাজ করা বন্ধ করে দেয়। যে কারণে প্রেমে পড়লে মানুষ অনেকবেশি হাসিখুশি হয়ে ওঠে। নেতিবাচক ধারণাগুলি পুরোপুরিভাবে মুছে যায় মন থেকে।

শরীরে হরমোনের পরিবর্তন ঘটে: বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, এক ধরণের হরমোন আমাদের মনে উত্তেজনা ছড়ায় আর তার প্রতিক্রিয়া হিসেবেই ওইসব ঘটে৷ প্রেমে পড়লে যে হরমোনের জন্য মন এত উতলা হয়-সেগুলো সম্পর্কে জানা যাক: প্রেমে পড়লে দেহ-মনে যেসব প্রতিক্রিয়া হয় তার জন্য দায়ী টেস্টোস্টেরন নামের এক হরমোন৷ কেউ বিপরীত লিঙ্গের কারো প্রতি আকৃষ্ট হলে টেস্টোস্টেরন বাড়তে শুরু করে৷ প্রেমের ওই প্রাথমিক ধাপেই দেখা দেয় হৃৎস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, হাত কাঁপার মতো উপসর্গগুলো৷ দেখা গেছে, প্রেমে পড়া মানুষের দেহে অন্য সব মানুষের তুলনায় টেস্টোস্টেরন অনেক বেশি থাকে।  প্রেমের সর্বোচ্চ পর্যায়ে কাজে নেমে পড়ে ডোপামিন৷ এই হরমোন-এর অন্য নাম, ‘সুখের হরমোন’৷ শুধু প্রেমে পড়লেই যে এই হরমোন ক্রিয়াশীল হয় তা কিন্তু নয়, কোকেন বা সিগারেটের নেশা করলেও ডোপামিন উজ্জীবিত হয় ৷ এ কারণেই অনেকে বলেন, প্রেমে পড়া আর নেশা করা একই। সেরোটোনিন নামে এক ধরণের হরমোন আছে যা আমাদের মনের আনন্দ আর আবেগকে স্থির রাখে ৷ প্রেমে পড়লে সেরোটোনিন কমে যায় ৷ ফলে প্রেমিক-প্রেমিকার আবেগ সংবরণ কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে ৷ তারা তখন ভালোবাসার মানুষটিকে ছাড়া আর কিছু ভাবতেই পারেনা ৷

ক্ষুধা কমে যায়: প্রেমের যে পর্যায়ে বুক ধড়ফড় করে, হাত ঘামায় তখন অ্যাড্রেনালিন নামের একটা হরমোনও খুব বেড়ে যায় ৷ এই হরমোনের মাত্রা বেড়ে গেলে ক্ষুধা কমে যায়৷ কম খাওয়া-দাওয়া করার ফলে শরীর দ্রুত ভেঙে পড়তে থাকে ৷ প্রেমে পড়ার তিন-চার মাস পর সাধারণত সম্পর্কে একটা স্থিতি আসে ৷ তখন শুরু হয় আরেক হরমোন অকসিটোসিনের কাজ ৷ এই হরমোনের কারণে দু-জনের সম্পর্কটা আরেও ঘনিষ্ঠ হয় ৷ প্রেমিক-প্রেমিকা যখন চুম্বন করেন, তখনও দুজনের শরীরে অকসিটোসিন তৈরি হয় ৷ আর এভাবেই দুজন দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের পথে এগিয়ে যান ৷

ঘুম কম হয়: প্রেমে পড়লে কমপক্ষে একঘণ্টা কমে যায় রাতের ঘুম। একটি সমীক্ষায় পাওয়া গিয়েছে এই তথ্য। জার্নাল অফ অ্যাডোলেসেন্ট হেলথে প্রকাশিত হয়েছিল গবেষণাটি। আর তার কারণ হল, রাতে ঘুমাতে গেলেই প্রিয় মানুষটির কথা সবচাইতে বেশি মনে পড়তে থাকে এবং শারীরিক ও মানসিক অস্থিরতা বেড়ে যায়। ফলে ঘুমানোর জন্য প্রস্তুত হতে পারে না শরীর এবং ঘুমাতে দেরি হয়ে যায়।

শরীরের নানান ব্যথা কমে যায়:  স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অফ মেডিসিনের একটি গবেষণায় বলা হয়েছে যে, প্রেমে পড়লে মানুষের শরীরের নানান ধরনের ব্যাথা সেরে যায়। ভালোবাসা মস্তিষ্কের নিউরাল রিসেপটরের কার্যকারিতা বাড়িয়ে ব্যাথার অনুভূতি কমিয়ে দেয়। তাই ভালোবাসাকে বিজ্ঞানীরা ব্যথার ওষুধ বলে আখ্যায়িত করেছেন।

ভুলোমন: প্রেমে পড়লে সব কিছু ভুলে যাওয়া শুরু হয়৷ আর তার জন্য দায়ী হল অক্সিটসিন হরমোন। প্রেমে পড়লে মস্তিষ্কে প্রচুর পরিমাণে অক্সিটসিন হরমোন উৎপন্ন হয়, যা স্মৃতিশক্তি কিছুটা কমিয়ে দিতে পারে। আর তাই মানুষ কিছুটা অন্যমনষ্ক এবং ভুলোমনা হয়ে যায় প্রেমে পড়লে। স্বাদ বেশি লাগে: প্রেমে পড়লে নাকি খাবারের স্বাদও বেশি লাগে। আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের একটি গবেষণায় দেওয়া হয়েছে এমন তথ্য। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, যারা নতুন প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছে তাদের কাছে সব খাবারের স্বাদই অন্যদের তুলনায় একটু বেশিই লাগছে।  সূত্র: সংগ্রহিত