প্রবাসী পাত্রপাত্রী খুঁজতে বিবাহ বিডি

পরিবারের প্রিয় সদস্যটির জন্য প্রবাসী পাত্রপাত্রী খুঁজতে সম্পূর্ন অনলাইন বেইজ ম্যাট্রিমনিয়াল সার্ভিস বিবাহ বিডি ডট কম।

দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে আস্থার সাথে আমরা সেবা দিচ্ছি, তাই ঘরে বসেই আপনার চাহিদা অনুযায়ী প্রফেশন, শিক্ষাগত যোগ্যতা, দেশে বা প্রবাসে বসবাসরত পাত্রপাত্রীর প্রোফাইল দেখে পাত্রপাত্রী কিংবা তাদের অভিভাবকের সাথে সরাসরি নিজেরাই যোগাযোগ করতে নিশ্চিতে প্রোফাইল করুন।

★ যে ধরনের প্রোফাইল পাবেনঃ

– ১৮৫ টি প্রফেশন ক্যাটাগরি
– যেকোন শিক্ষাগত যোগ্যতার
– যেকোন ধর্মাবলম্বী, যেকোন গোত্র কিংবা কাষ্টের
– যেকোন বয়সের অবিবাহিত, ডিভোর্স, বিধবা / বিপত্নীক
– বাংলাদেশের যেকোন জেলার অধিবাসী
– বিশ্বের প্রায় ৯৫ টি দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশী পাত্র পাত্রী

★ ষ্পেশাল সার্চ ক্যাটাগরী যেমন –

– সিঙ্গেল ফাদার ( সন্তান সহ ডিভোর্স / বিপত্নীক)
– সিঙ্গেল মাদার ( সন্তান সহ ডিভোর্স / বিধবা)
– রিটায়ার্ড / বয়স্ক ( ডিভোর্স / বিধবা/ বিপত্নীক)
– ডিসএবিলিটি (শারীরিক প্রতিবন্ধকতা আছে )

★ কেন বিবাহবিডিতে পাত্র পাত্রী খুঁজবেনঃ

জীবন একটাই আর একটি সুখী ও সুন্দর জীবনের জন্য চাই একজন সুন্দর মনের মানুষ। অসংখ্য প্রোফাইল দেখে সঠিক সিদ্ধান্তে পৌছাতে নিজেই বিবাহবিডিতে প্রোফাইল করুন, নিজেই খুঁজুন এবং নিজেরাই পাত্রপাত্রী কিংবা তাদের অভিভাবকের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করুন।

এতে লোক জানাজানির ঝামেলা যেমন নেই তেমনি খরচ ও অনেক কম। আমাদের রয়েছে সার্বোক্ষনিক কলসেন্টার সাপোর্ট।

Popular Matchmaking Portals
Matchmaking Portals for Digital Bangladesh

তাই যদি বিয়ের ব্যাপারে সিরিয়াস হয়ে থাকেন এবং আমাদের সার্ভিস সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানার আগ্রহ হয় তবে ফোন করুন অথবা আমাদের অফিস ভিজিট করুন।

Support Center: 🇧🇩

BIBAHABD.COM
HOUSE: 02 (3rd Floor) BLOCK: G, SOUTH BANASREE, DHAKA-1219.
Hotline : +88 09612211555, +88019 22115555

ডিভোর্স কেন হয় ?

ইশতিয়াক আর সোনিয়া। দুজনই ঢাকা বিশ্বাবিদ্যালয় থেকে এমবিএ করেছেন। ছিলেন ব্যাচমেট। বন্ধুত্ব থেকে প্রেমে গড়িয়ে শেষমেশ সফল পরিণতি। একজন একটা মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানীতে কাজ করছেন বেশ ক বছর হল। আর সোনিয়া আছেন একটা ব্যাংকে। পরিবারে আর্থিক টানাপড়েন নেই। সমস্যা সময় নিয়ে।

ইশতিয়াকের মিটিং থাকলে ফিরতে রাত হয়। সেখানে সোনিয়া আগেই ফিরে বসে থাকেন মনমরা হয়ে। আর বাসায় এসে ইশতিয়াকের গভীর রাত অবধি অফিসের কাজ করার জন্য সোনিয়ার তো পর্বতসমান ক্ষোভ। অন্যদিকে কাজের ফাঁকে ইশতিয়াক হয়ত ফোন দিয়েছেন সেনিয়াকে। কিন্তু অফিসে এত ব্যস্ত সময় কাটে যে সোনিয়া হাই-হ্যালোর বেশি কথাই বলতে পারেন না। এসব নিয়ে বেশকিছুদিন ধরে মনোমালিন্য চলছে তাদের মধ্যে।  সম্পর্কটাও কেমন যেন একেবারেই থমকে গেছে। তবে কি ডিভোর্সে এর সমাপ্তি?

অপরদিকে চল্লিশোর্ধ রায়হান সাহেবের প্রমোশন হচ্ছে না পাঁচ বছর।বসের সাথে ঝামেলা। সন্তানেরা বড় হচ্ছে। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চাহিদাও বাড়ছে।রায়হান সাহেবের উপায় কী? এমনকি স্ট্রেস সামলাতে না পেরে ইদানীং স্ত্রীর গায়ে হাতও তুলছেন। ফলে স্ত্রী সন্তানসহ আলাদা হয়ে যাবেন বলে সরাসরি বলে দিয়েছেন। আইনী পরিভাষায় যা ডিভোর্স।

মনোবৈজ্ঞানিক গবেষণায় ডিভোর্সের পেছনের কিছু কারণ উঠে এসেছে। আর্থ-সামাজিক কারণগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সাধারণত আর্থ-সামাজিক ইস্যু পরিমাপের পদ্ধতি হল শিক্ষা আর উপার্জন। গবেষণায় দেখা গেছে, সাধারণত উচ্চবিত্ত ও উচ্চশিক্ষিত দম্পতিরা তাদের আবেগ, সময়, পার্টনারের আত্মকেন্দ্রিকতা, অসামঞ্জস্যতা, ভালোবাসার অভাব ইত্যাদির সাথে আপস করে না এবং শান্তিপূর্ণ বিচ্ছেদের দিকে এগিয়ে যায়।

অন্যদিকে আর্থ-সামাজিক মাপকাঠিতে নিজের সারিতে যারা রয়েছে তাদের বিচ্ছেদের কারণগুলো কখনও আর্থিক, কখনও নির্যাতন, কখনও বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক অথবা মাদকাসক্তি।

বিবাহবিচ্ছেদের আরও কিছু ব্যবহারিক নির্ধারক রয়েছে। কে কত বছর বয়সে বিয়ে করেছে, সাংসারিক জীবন কত বছরের কিংবা সন্তানের সংখ্যা বা সন্তানের বয়স। সাধারণত অল্প বয়সের বিয়ে সাংসারিক জীবনের আয়ু বাড়ায়। এখানে বিচ্ছেদের ঝুঁকি থেকে যায়। কারণ হিসেবে গবেষকেরা যে বিষয়গুলোকে সামনে এনেছেন সেগুলো হল, মানসিক অপরিপক্বতা, অস্থায়ী চাকরি ইত্যাদি। এছাড়া অল্প বয়সে লাইফ পার্টনারকে বুঝেই বা ওঠা যায় কতটুকু?

ফলে তুলনামূলক পরিণত বয়সে বিয়ে অনেক জটিলতা থেকে বাঁচিয়ে দিতে পারে। অনেক সময় আমরা খুব দ্রুত দম্পতিদের ডিভোর্সের পথ বেছে নিতে দেখি। এর পেছনে যেসব করণ রয়েছে বলে মনে করা যায় সেসব হল, পার্টনারদের মাঝে পারস্পরিক মৌলিক সামঞ্জস্য আবিষ্কারে ব্যর্থ হওয়া, মূল্যবোধের সংঘাত এবং ব্যক্তিত্বের দ্বন্দ্ব।

আবার দীর্ঘসময় দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত করা মানুষদের যে ডিভোর্স হচ্ছে না তা নয়। সেক্ষেত্রে কারণগুলোও ভিন্ন। যেমন, সন্তান প্রতিপালনে বেশি মনোযোগ দিতে গিয়ে জীবনের সব কিছু থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে একসময় হতাশায় ভোগা, সম্পর্কের মাঝে কোন নতুনত্ব খুঁজে না পেয়ে একচক্রে ঘুরপাক খেতে খেতে ইদানীং অনেক দীর্ঘ সংসার ভেঙে যাচ্ছে। পাশ্চাত্যের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও এমন ঘটনা হরহামেশা ঘটছে।

এছাড়া লাইফ পার্টনার ব্যতীত গোপন অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে ডিভোর্সের মূল কারণগুলোর একটা বড় অংশজুড়ে। এর সাথে শারীরিক নির্যাতনও রয়েছে কারণ হিসেবে। গবেষণায় এসেছে, স্ত্রীর গায়ে হাত তোলার ব্যাপারে বাংলাদেশ প্রথম।

উক্ত বিষয়গুলো পাশ্চাত্যের গবেষণায় দেখা গেছে। আবার বাংলাদেশেও ডিভোর্সের কারণ হিসেবে এগুলোই উল্লেখযোগ্য। সম্পর্কের অবনতি আমাদের কারোরই কাম্য নয়, তেমনই অনেকে সামাজিকভাবে অথবা অর্থনৈতিক টানাপড়েনের ভয়ে কষ্টকর একটা সামাজিক সম্পর্কের জের টেনে বেড়ায়-সেটাও কাঙ্ক্ষিত নয়।

বিয়ে ভেঙে যাওয়া মানে ভালোবাসা শেষ হয়ে যাওয়া নয়। এর মানে একজন আরেকজনকে আর ঘৃণা না করা। অনেকেই বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর অনুশোচনায় ভোগে অথবা একটি অবাঞ্ছিত সম্পর্ক বয়ে নিয়ে কষ্টে থাকে। তাই এ রকম সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সবার সাথে পরামর্শ এবং সব ধরণের পরিস্থিতি বিবেচনা করা অনেক জরুরী।

লিখেছেনঃ  এ্যানি বাড়ৈ | সাইকোলজিক্যাল কাউন্সেলর, আপন

Why Online Matrimony is so popular among Bangladeshi and NRB’s

A new business space technology driven online matrimonial service has been fast evolving in Bangladesh

And what was once considered a traditional at best community driven or through individual brokered –

Matrimonial Communication based service between bride and bridegroom families now online Matrimony is so popular among Bangladeshi and NRB’s.

Technology is dramatically and profoundly changing the nature of business by providing the potential for new services, radically revamping service delivery, and expanding customer service reach.

Online Matrimony BIBAHABD shall be considered as self service technology to search prospective bride or bridegroom to be enabling match makers offer services online through their web portal

To log in and register

participate, create their own pages of database and make it interactive through chatting. Hence, self service technology adopted in online matrimony provides consumers a greater convenience, accessibility, and ease of use.

Convenience is a big factor in online matrimony. It often make a business available 24 hours a day, seven days a week, rather than being limited to traditional working hours.

Consumers often find self service technology empowering, using the technology, the customer can control the service encounter and not feel rushed or pressured.

Bibahabd is a trusted and best Bangladeshi marriage media or matrimony service provider who provides online and offline matchmaking service to find a suitable life partner for marital relationship since 2007.

Social Media Interaction: Social Media interaction is technological interfaces allowing customers to produce services independent of involvement of direct service employee.

It is replacing many face-to face service interactions with the intention to make service transactions more accurate, convenient and faster.

Online Matrimony often make a business available 24 hours a day, seven days a week, rather than being limited to traditional working hours.

Online matrimony does facilitate social interaction online in a way that their offline counterparts do not.

This is through email, chat rooms and one-to one synchronous communications like Skype prior to developing any relationship offline.

Conventional Measures of matrimony sites:

  • Functionality
  • Enjoyment
  • Security/Privacy
  • Assurance
  • Design
  • Convenience
  • Customization

Bangladeshi Matrimonial web portals make for a perfect substitute for millions of Bangladeshis who are now connected to the web and still belong to traditional beliefs.

Considering the enhanced reach, extreme convenience and more privacy, online matrimonial portals are most definitely a preferred substitute to conventional sources to find brides and grooms.

It is simple for anyone to simply log onto a website of their choice and register by uploading a bio data with information of their choice.

It offers user-friendly interfaces for youth as well as parents to conduct searches based on their preferences and initiative conversation with a click of a mouse.

This ideal blend between Bangladeshi traditional systems and modern technology has made it possible for Bangladeshi bachelors and parents around the world and explore and find themselves the perfect match for life. Developed online-portals.

Types of users in Matrimonial Portals:

  • Visitors
  • Registered members
  • Moderators
  • Administrators

Visitor’s section member registration is paid or free as per the rules set by the site admin. You can browse categories that are sorted by region, community, religion.

You can advance search with additional parameters and non members can see results of listings but with limited info.

Members have unrestricted access to the complete profile, featured profile listings on homepage along with thumbnail images, static information pages.

You can upgrade free account to pay by paying for optional items like featured or bold profile. Payment gateway is integral part. The matrimony website manager enables a registered user to provide information through use to neat and well-organized forms.

While the parents would typically be depending on marriage brokers and classified ads, the web offers a larger variety of platforms to search for along with easier options to categorize search requirements to find a perfect match for daughter or son.

As a registered user and subscriber of online-matrimony Bibahabd for the past couple of years with the leading online web portals for matrimony, the author of this paper has spend hours in understanding the dynamics of these portals and in that context consumer perception of the online-matrimony as self service technology is viewed and analyzed.

The first impression is that these web portals of online matrimony has come to stay and do active business with subscribers or registered users.

Visit www.bibahabd.com to make your matrimonial search a successful one.

খ্রিস্টান ম্যারেজ অ্যাক্ট – খ্রিস্টান বিবাহ আইন

মুসলিম প্রাপ্ত বয়স্ত নর-নারীর লিখিত চুক্তির মাধ্যমে বিয়ে সম্পাদিত হয়। খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের কাছে বিয়ে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও পবিত্র চুক্তি। তাদের বিয়ে লিখিত মাধ্যমে সম্পাদিত হয়। বাধ্যতামূলকভাবে করতে হয় রেজিস্ট্রি। খ্রিস্টান  বিয়েতে রেজিস্ট্রেশন ও আইনগত যে বিধান রয়েছে তাতে স্বামী -স্ত্রী উভয়েরই স্বার্থ রক্ষার কথা বলা হয়েছে। 

বাংলাদেশে ১৮৭২ সালের খ্রিস্টান ম্যারেজ অ্যাক্ট (খ্রিস্টান বিবাহ আইন) অনুযায়ী, খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের বিয়ে সম্পাদিত হয়। তাদের বিয়ে রেজিস্ট্রি করার আগে কিছু নিয়ম পালন করতে হয়, যা অন্যান্য ধর্মের চেয়ে কিছুটা আলাদা।

আসুন জেনে নেই খ্রিস্টান বিয়েতে রেজিস্ট্রেশন করার আগে বাধ্যতামূলক বিষয়গুলো। 

গির্জার  কাছে নোটিশ

বিয়ে রেজিস্ট্রেশনের আগে পাত্রপাত্রীর পুরো নাম, ডাক নাম, পেশা বা অবস্থা ও বাসস্থানের ঠিকানা গির্জার কাছে নোটিশ আকারে দিতে পাঠাতে হবে। নোটিশ প্রাপ্তির পর গির্জার যাজক নোটিশটি খোলা জায়গায় টানিয়ে দেবেন যাতে বিষয়টি সবার নজরে আসে।

আপত্তি বিবেচ্য

পাত্র ও পাত্রী পক্ষের পাঠানো নোটিশ কয়েক সপ্তাহ ঝোলানো থাকবে। নোটিশের কোনো বিষয়ে আপত্তি থাকলে তা গির্জায় জানাতে হবে। আর আপত্তি না পেলে গির্জার প্রধান বিয়ের দুটি পক্ষের কাছ থেকে একটি ঘোষণা গ্রহণ করবেন। এছাড়া এই ঘোষণাটি বিয়ের পক্ষগুলো ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির হয়ে দেবেন। সেই ঘোষণায় কিছু বিধিনিষেধ আছে যা দুই পক্ষকে পূরণ করতে হবে।


আত্মীয়তা বা রক্তের সম্পর্ক

পাত্র-পাত্রীর মধ্যে বিবাহ বা আত্নীয় সম্পর্কের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। পাত্রপাত্রীর মধ্যে জানা মতে এমন কোনো ঘনিষ্ঠ আত্মীয়তা বা রক্তের সম্পর্ক নেই যাতে তাদের বিয়েতে আইনসম্মত বাধা আছে।

পাত্র-পাত্রী সাবালক

বিয়ের জন্য পাত্র-পাত্রীকে অবশ্যই সাবালক হতে হবে। পাত্র-পাত্রী যদি সাবালক না হয় তবে বিবাহ আইননত বৈধ হবে না। 

এই ঘোষণা সম্পন্ন হওয়ার কমপক্ষে চারদিন পর গির্জার যাজক বিয়ের আবেদনকারীকে একটি সার্টিফিকেট দেবেন। সেই সার্টিফিকেট জারির দুই মাসের মধ্যে বিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।

খ্রিস্টীয় বিয়ের রীতিনীতি

বিয়ে একটি পারিবারিক বন্ধন। বিয়ের মাধ্যমে দুই হাত এক করে নেয়া হয় সারাজীবন একসঙ্গে চলার শপথ।

এছাড়া বিয়ে রেজিস্ট্রেশন ও আইনগত যে বিধান রয়েছে তাতে স্বামী -স্ত্রী উভয়েরই স্বার্থ রক্ষার কথা বলা হয়েছে। ধর্মগত কারণে মুসলমান, হিন্দু ও খ্রিস্টান ধর্মের বিয়েতে রীতিনীতি আলাদা।

তবে আমাদের দেশে খ্রিস্টীয় বিয়েতে দেশীয় রীতি, কৃষ্টি ও সামাজিক মূল্যবোধ উপলব্ধি করে লোকাচার ও স্ত্রী আচার মিলে একটি নান্দনিক, আনন্দময় ও সুন্দর রূপ দেয়া হয়েছে। আসুন জেনে নিই খ্রিস্টীয় বিয়ের রীতিনীতি।

কনে নির্বাচন: খ্রিস্টান বিয়েতে সবার প্রথমে যে কাজটি করা হয় সেটি হলো কনে নির্বাচন। বরপক্ষ সাধারণত কনের চরিত্র, দোষ-গুণ, বংশ পরিচয় জেনে কনে নির্বাচন করে থাকেন।

প্রস্তাব : কনে পছন্দ হওয়ার পর শুভদিন দেখে বরপক্ষ কনের বাড়ি যায়। তাদের উদ্দেশ্যের কথা জানায় ও বিয়ের প্রস্তাব দেয়।

বাগদান: বর ও কনেপক্ষ রাজি থাকলে বাগদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বাগদান উপলক্ষে পান, সুপারি, বিজোড়সংখ্যক মাছ আয়োজন থাকে।

আশীর্বাদ গ্রহণ: এই অনুষ্ঠানে বরপক্ষের লোকজন কনের বাড়িতে যায়, যা আগেই কথা বলে ঠিক করে রাখা হয়। এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত বর-কনে সবার আশীর্বাদ গ্রহণ করে।

নাম লেখা: বিয়ের ৩ সপ্তাহ আগে কনের বাড়িতে পুরোহিতের কাছে বর-কনে নাম লেখান। অনেকে এ অনুষ্ঠানে আতশবাজি ও বাজনার আয়োজন করে।

বান প্রকাশ: এই অনুষ্ঠানে বর-কনে বিয়ের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়। মণ্ডলীর বিধি অনুযায়ী এ সময় বিয়ের ক্লাস করতে হয়। এটি বিয়ে-পূর্ব ব্যাধতামূলক ক্লাস ব্যবস্থা।

অপদেবতার নজর: নাম লেখা থেকে শুরু করে বিয়ের আগ পর্যন্ত বর-কনেকে অতি সংযমী জীবন করতে হয়।

অনেকে এ সময় ভূত-প্রেত ও অপশক্তির নজর থেকে রক্ষার জন্য ‘রোজারি মালা’ বা ‘জপমালা’ গলায় পরেন।

খ্রীষ্টান ধর্মাবলম্বী বিয়ে
খ্রীষ্টান ধর্মাবলম্বী বিয়ে

কামানি বা গা-ধোয়ানি:

বিয়ের আগের রাতের অনুষ্ঠানকে গা-ধোয়ানি বলে। অনেক খ্রিস্টান সমাজে এই দিন গায়েহলুদ মাখিয়ে জাঁকজমকের সঙ্গে অনুষ্ঠান করা হয়।

কনে তোলা:

বিয়ের দিন ভোরে বাদকদলসহ বরের আত্মীয়স্বজন কনের বাড়ি গিয়ে কনেকে নিয়ে আসে। কনেকে ঘর থেকে আনার সময় তার হাতে পয়সা দেয়া হয়।

কনে বাড়ি থেকে আসার সময় সেই পয়সা ঘরের মধ্যে ছুড়ে ফেলে। এর অর্থ হলো যদিও সে বাড়ি থেকে চলে যাচ্ছে, তারপরও বাড়ির লক্ষ্মী ঘর থেকে চলে যাচ্ছে না।

গির্জার অনুষ্ঠান:

শুরুতে গির্জার প্রবেশপথে যাজক বর-কনেকে বরণ করে নেয়। তারপর বর-কনে দুজনের মধ্যে মালাবদল করা হয়। এরপর কনের সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দেয়া হয়।

ঘরে তোলা:

এই অনুষ্ঠানে উঠানের দিকে মুখ করে বড় পিঁড়ির উপরে বর-কনেকে দাঁড় করানো হয়। এরপর বর-কনে সাদা-লাল পেড়ে শাড়ির উপর দিয়ে হেঁটে ঘরে ওঠে। এ সময় বর ও কনে একে অপরের কনিষ্ঠ আঙুল ধরে থাকে।

ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে বিয়ের ক্ষেত্রে ১৮৭২ সালের বিশেষ বিয়ে আইন রয়েছে। এই আইন অনুযায়ী বিশেষ বিয়ের জন্য একজন রেজিস্টার থাকে।

প্রথমত বৈধ বিয়ে করা হচ্ছে এই হিসেবে এফিডেভিট করতে হয়, পরে রেজিস্টারের কাছে হলফনামা জমা দেয়।

এর ১৪ দিন পর একটি নোটিশ দেয়া হয়। পরে নোটিশ নিয়ে রেজিস্টারের কাছে গেলে বিয়ে নিবন্ধিত করা হয়

এই সম্পর্ক আমাদের জন্য ভালো হবে না

সম্পর্কটা দীর্ঘদিনের। বন্ধু, পরিবার সবাই জানে আপনাদের প্রেমের কথা। ধীরে ধীরে টের পাচ্ছেন সম্পর্কটার ছন্দ আগের মতো নেই। কোথায় যেন সুর কেটে গেছে। আলোচনার মাধ্যমেই হয়তো সিদ্ধান্ত নিলেন এই সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসার…

প্রেমে পড়তে নিষেধ নেই। ভালোবাসা কোনো কিছু মানে না। মানমর্যাদা, সামাজিকতার বিধিনিষেধ পেরিয়ে প্রেমের জয়জয়কার। জয়ধ্বনি তুলতে তুলতে হঠাৎ যদি প্রেমের ফোলানো বেলুনটি আলপিনের খোঁচায় চুপসে যায়, তখন কী হবে! প্রেমের এত সুর আর এত গান যদি ভালো না লাগে তখন কী করা? ভালো লাগা মানে হচ্ছে, রাস্তা থেকে পছন্দ হলে সেই ফুলটি ছিঁড়ে নেওয়া! শুকিয়ে গেলে বা গন্ধ চলে গেলে তা ছুড়ে ফেলা! আর ভালোবাসা হচ্ছে ফুলগাছটির পরিচর্যা করা। প্রেম থাকবে সারা জীবন। তাই এর সঠিক পরিচর্যা করা প্রয়োজন জীবনভর। একে টিকিয়ে রাখতে চাইলে চাই উভয় পক্ষের সমঝোতা। যত ঝড়ঝাপটা আসুক না কেন, কেউ তাতে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না। অস্থিরতা, লোভ, লাভক্ষতির হিসাবনিকাশ করলে প্রেম থাকে না।

অনার কিলিং প্রথা আমাদের দেশে চালু নয়। কিন্তু সে রকম পারিবারিক, সামাজিক টানাপোড়েন কিন্তু অস্বীকার করা যায় না। ঝাঁজ ও ঝকমারিও বেশ রয়েছে।

একজন ১৮-১৯ বছর বয়সী মেয়ে এল। সঙ্গে তার মা। মেয়েটি রাগে মরে যেতে চাইছে। কারণ, ওর সহপাঠীর সঙ্গে এক বছর ধরে সম্পর্ক চলছিল। এটা জানার পর থেকে ছেলেটির মা ওকে ফোনে বিভিন্নভাবে তাঁর ছেলে থেকে দূরে থাকতে বলছিলেন। মেয়েটি যত দূর পারে এড়িয়ে যাচ্ছিল। একপর্যায়ে মেয়েটি ভদ্রমহিলাকে জানায়, তার মাদকাসক্ত ছেলেটিই পিছু ছাড়ছে না। তখন ছেলেটির মা তাকে যা নয় তা বলে। টিনএজ মেয়েটি গালাগাল ও নোংরা কথার উত্তর দিতে পারেনি। এখন সে অপমানের জ্বালা সইতে পারছে না।

আগে ভাবলে পরে পস্তাতে হবে না
* প্রেমে যে পড়েছেন তার গন্তব্য কী? ‘টাইম পাস’ না সারা জীবনের জন্য গাঁটছড়া বাঁধার ইচ্ছা।
* যে সময় দুজন একসঙ্গে কাটালেন, এই সময়ে দুজনার মতের মিল-অমিল কতখানি মেপে নিন।
* একজনের পছন্দ-অপছন্দ অন্যজনের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার প্রবণতা কতখানি। বুঝে নিন।
* প্রেমে পড়লেই তো চলে না। এর পেছনে খরচও আছে। খরচ চালানো বড় একটা ব্যাপার বটে। মেয়েটি ভাবে, ছেলেটি সব সময় কিছু না কিছু খাওয়াবে, যাতায়াতের খরচ বহন করবে। কিন্তু ছেলেটি যদি ছাত্র হয়, তবে তাকে মা-বাবার পকেট কেটেই চলতে হয়।

* আবার এমনও দেখা গেছে, মেয়েটি ছেলেটির টিউশন ফি থেকে শুরু করে বাদাম খাওয়ার খরচ পর্যন্ত দিচ্ছে। আর জন্মদিন, ভালোবাসা দিবস, বন্ধু দিবস, প্রথম দেখার দিন—কত কিছুই না তালিকায় আছে। প্রেমে শত ঝকমারি। খরচের ক্ষেত্রে কার হাতখোলা, কে কৃপণ, কে প্রতারণার আশ্রয় নিচ্ছে; কে কতখানি বন্ধুবৎসল বুঝতে হবে।

* সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরস্পরের পরিবারের সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা থাকা প্রয়োজন।
* পেশাজীবন নিয়ে কে কী ভাবছেন, তা দুজনের কাছে পরিষ্কার থাকা উচিত।
* প্রেমের মধুর দিনগুলোয় সজাগ থাকাই ভালো। গড্ডলিকায় ভেসে যাওয়া চলবে না।
* আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করে বাস্তবতাকে মেনে নিতে মানসিক প্রস্তুতি যেন থাকে।
* ভুলেও ফাঁদে পড়া চলবে না। সুখের মুহূর্তগুলো ভাগাভাগি করুন। কিন্তু একান্ত মুহূর্তগুলো দাম্পত্য জীবনের জন্য রাখাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।

* সেলফি নিষেধ নয়। সুন্দর প্রেমের মুহূর্ত স্মৃতিছবির ফ্রেমে থাকুক—সেটা সবার কাম্য। কিন্তু সেই ফ্রেমে আপত্তিকর যেকোনো সম্পর্ক একদম এড়িয়ে চলা উচিত।
* ক্ষণিকের আবেগের জোয়ারে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের নানা ছবি সৃষ্টি হয়ে যায়। কিন্তু ব্ল্যাকমেলিংয়ের শিকার হতে পারেন—এমন আশঙ্কা মনে রাখতেই হবে।

* ভিডিও বা ফটো ব্ল্যাকমেলিং এখন মহামারি আকার ধারণ করেছে। সাবধানতা কাম্য। কোনোভাবেই নিরাপদ ও সহজ স্বাভাবিক প্রেম-বন্ধুতার বেশি চাওয়া পাওয়ায় জড়ানো ঠিক নয়।
* ডেটিংয়ের নামে অচেনা কোনো জায়গা, হোটেল, বন্ধুর বাসা নিরাপদ নয়।
* জীবন থেকে পলায়ন প্রেম নয়; প্রেমে পড়ে দূরে কোথাও কোনো হারিয়ে যাওয়া বা পালিয়ে যাওয়া ঠিক নয়।

* প্রেমে পড়াকে দুর্ঘটনা ভাবলে চলবে না। ভুল প্রেম থেকে ফিরে আসার সাবধানতা থাকতে হবে। আপসে মুক্তির বা বিচ্ছেদের পথ যেন খোলা থাকে।
* প্রেমের আবেগে পরিবারকে ভুললে চলবে না; বরং বিষয়টি নিয়ে সামাজিক, পারিবারিক মোড়কে সমাধানের উদ্যোগ থাকলে সেটা রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করবে।
* সারা জীবনের জন্য দুর্গতি ও কান্না কি না—প্রেমের পর্বে মনে রাখা চাই।
* প্রেম ছেলেখেলা বা টাইম পাস নয়। প্রেম হলো একটি সম্ভাবনাময় সুখের সংসারের ভিত্তি।

কীভাবে সরে আসবেন
মনোরোগবিদেরা এমন সমস্যার কাউন্সেলিংয়ে যে বিষয়ে গুরুত্ব দেন, তা হলো হুট করে রাগারাগির বশে; মাথা গরম করে সম্পর্ক ভাঙতে নেই। সেটা প্রচুর পার্শ্ব সমস্যার সৃষ্টি করে।
* দুয়ে দুয়ে চার না হলে মুশকিল। সময়ের এক ফোঁড় অসময়ের দশ ফোঁড়। অযথা ঝগড়া করে লোক হাসিয়ে সময় নষ্ট করে লাভ নেই।

* সম্পর্কের ক্ষেত্রে যে সমস্যাগুলো অনুভব করছেন, তা মনের মধ্যে পুষে রেখে বা চাপা দিয়ে কোনো লাভ নেই। এতে দুজনার সুসম্পর্কের মুহূর্তগুলো হারিয়ে যাবে। তিক্ততার সম্পর্ক বাসা বাঁধবে। সময় থাকতে নিজেদের নাখোশ মনোভাব নিজেদের মধ্যে আলোচনা করুন।
* দোষারোপের ভঙ্গিতে নয়। শান্ত ভঙ্গিতে আলাপচারিতাই কাম্য। কেন সরে আসা—তার ব্যাখ্যা ও যুক্তি মাথায় সাজিয়ে সমঝোতামূলক বিচ্ছেদ উত্তম।
* বলতে না পারলে কষ্ট হলে ধীরে ধীরে সম্পর্কের মাধ্যম যেমন ফোন, ফেসবুক থেকে নিজেদের সরিয়ে নিন।

* সরে আসার পর্বে বিশ্বস্ত বন্ধুবান্ধব; সহানুভূতিশীল নিকটাত্মীয়দের পরামর্শ নেওয়া ভালো। তাদের এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত করা যেতে পারে। সেটা নানা অনাকাঙ্ক্ষিত উত্তেজনা ও বিপদকে প্রশমন করবে।
* কার কী ভুল, তা নিয়ে উত্তেজনা, উগ্রতা ও রাগ পরিহার করে আত্মোপলব্ধি ও আত্মমূল্যায়নের সঠিকতা নির্ণয় বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

* কোনো ধরনের অপরাধমূলক প্রতারণা ও ব্ল্যাকমেলিংয়ের আশঙ্কা থাকলে সেটা নিয়ে অতি গোপনীয়তার চেয়ে আইনি সুরক্ষা চিন্তা করা যেতে পারে।
আগে-পিছে দেখে চল, কাঁটা ফুটবে পায়ে; চোরকাঁটা হলে পরে তারে তোলা যায়; কিন্তু প্রেমের কাঁটা দুধারী তলোয়ার—কেবল প্রেমকেই বিষায় না, জীবনকেও বিষিয়ে তুলতে পারে। তাই আগাম সাবধানতাই সর্বাত্মক কাম্য।

তারপরও প্রেম কি বাধ মানে?
আড়ালে-আবডালে প্রেম নিয়ে চলে অভিভাবকদের নানা সমীকরণ। ছেলে-মেয়ে একে অপরকে শর্তহীন পছন্দ করলেও উভয় পক্ষের গুরুজন পরস্পরের বিত্তবৈভবের দিকে নজর রাখেন। ছেলের বাড়ির তরফ থেকে উচ্চশিক্ষিত মেয়ে খুব কাম্য নয়।

নরম-শরম গোবেচারা কি না, সেটা বড় কাঙ্ক্ষিত। গাত্রবর্ণ নিয়েও উৎকণ্ঠার শেষ নেই। মেয়ের বাবা-মায়ের তরফে প্রতিষ্ঠিত ছেলে; একনামে চেনে এমন পরিবারই পছন্দ। যখন এই চাওয়াপাওয়াগুলো গোলমেলে হয়, তখনই সামাজিক, পারিবারিক আপত্তির বাজনা বেশি বাজা শুরু হয়।

এত সমস্যা জানার পরেও প্রেমে পড়তে বা করতে মনে মনে সবাই আগ্রহী। প্রেমের রসায়ন প্রথম যৌবনের ঘূর্ণিঝড়। এর ঝাপটা কমবেশি সব প্রাণকেই করে আলোড়িত ও শিহরিত। দিল্লিকা লাড্ডুর মতো।

স্নাতক (সম্মান) তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। প্রথম বর্ষ থেকেই প্রেম। মেয়েটি অপেক্ষাকৃত ভালো ছাত্রী। প্রেম বলে কথা। দখল দেখভাল কম নয়। ছেলেটি ক্রমেই মেয়ের চলাফেরা, কার সঙ্গে কথা বলবে কি বলবে না তাতে বাধা দেওয়া শুরু করে। ক্যাম্পাসে সবাই মিলে ছেলেমেয়ে একসঙ্গে আড্ডা দিচ্ছে, তা মানতে নারাজ প্রেমিকটি। যখন-তখন রাতে ওর মোবাইল ফোনে মিসড কল বা কল দিয়ে চেক করে, মেয়েটির ফোন ব্যস্ত কি না। ব্যস্ত থাকলে ওর বন্ধুদের সামনে বকাঝকা শুরু করে। মেয়েটির বান্ধবীরা ওকে এই সম্পর্ক থেকে সরে আসতে বলেছিল। তারপরও অন্যায় আচরণগুলো সে মেনে নিয়েছিল। একদিন সবার সামনে ওকে ছেলেটি কথায় কথায় চড় মেরে বসে। পুষে রাখা দীর্ঘদিনের রাগ চাপতে না পেরে মেয়েটিও সজোরে চড় মেরে দেয়। শোধবোধ। পেছনে না তাকিয়ে ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে আসে সে। তারপর লেখাপড়ায় বেশ বিরতি। ছেলেটি ভয়ভীতি দেখায়—ভয়ংকর কোনো কাণ্ড করবে। হেনস্তা, অপমান করবে বন্ধুদের নিয়ে। উড়োচিঠি দেয়। অন্তরঙ্গ কিছু ছবি, ভিডিও ক্লিপস ফাঁস করার ব্ল্যাকমেলিং করতে শুরু করে।

এমন গল্প আমাদের যাপিত জীবনে কমবেশি চারপাশে সব জায়গায় ঘটছে। মহানগর থেকে মফস্বলের ছোট শহরে।

লিখেছেনঃ সুলতানা আলগিন, সহযোগী অধ্যাপক, মনোরোগ বিদ্যা বিভাগ,
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা

বিবাহ রেজিস্ট্রেশন কেন করতে হবে?

প্রশ্নটির উত্তর অতি ব্যাপক। সংক্ষেপে, সামাজিক মর্যাদা এবং আইনগত অধিকার রক্ষার জন্যই বিবাহ রেজিস্ট্রেশন করা অতি জরুরি। রেজিস্ট্রেশন ব্যাতীত আপনি আইনগত অধিকার থেকে বঞ্চিত হতে পারেন। মুসলিম পারিবারিক আইন অনুযায়ী বিবাহ রেজিস্ট্রেশন একটি প্রামাণ্য দলিল হিসেবে সাক্ষ্যগত মূল্য বহন করে। রেজিস্ট্রেশন ব্যাতিত বিবাহ প্রমাণ করা কঠিন ফলে মেয়েদের প্রতারিত হবার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয় সবচেয়ে বেশি। দেনমোহর, ভরণপোষণ, উত্তরাধিকার নির্ণয়, সন্তানের অভিভাবকত্ব ইত্যাদি দাবির ক্ষেত্রে বিবাহ রেজিস্ট্রিশন বা বিবাহের কাবিননামা আইনগত দলিল হিসেবে বিবেচিত হয়। পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে কাবিননামার গুরুত্ব ব্যাপক। কাবিননামায় বয়স উল্লেখ করতে হয় বিধায় বাল্য বিবাহ রোধও সম্ভব। এটি বিবাহিত ছেলে-মেয়ে উভয়ের ভবিষ্যত আইনগত অধিকার সংরক্ষণ করে। বিবাহ সম্পর্কে উভয় পক্ষ থেকেই যে কোন সময় জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে, তখন কাবিননামা প্রমাণ পত্র হিসেবে কাজ করে।

অন্যদিকে, আইনের দৃষ্টিতে বিবাহ রেজিস্ট্রেশন না করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ, তাই সকল বিবাহ রেজিস্ট্রেশন করা আইনত আবশ্যক।

বিবাহ রেজিস্ট্রেশন কী এবং কেন?

বিবাহ রেজিস্ট্রেশন হচ্ছে সরকারিভাবে বিবাহকে তালিকাভুক্তি করা। সরকারের নির্ধারিত ফরমে বিবাহের তথ্যবলী দিয়ে এই তালিকাভূক্তি করতে হয়। তালিকাভূক্তি ফরমটিকে কাবিননামাও বলে। ১৯৭৪ সালের মুসলিম বিবাহ ও তালাক (রেজিস্ট্রেশন) আইন অনুযায়ী প্রতিটি বিবাহ সরকার নির্ধারিত কাজী বা নিকাহ্ রেজিস্ট্রার দ্বারা রেজিস্ট্রেশন করা বাধ্যতামূলক। ১৯৭৪ সালের মুসলিম বিবাহ ও তালাক (রেজিস্ট্রেশন) আইনটি ২০০৫ সালে সংশোধনী আনা হয় এবং বিবাহ রেজিস্ট্রেশন না করাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়।

ওই সংশোধনীতে বলা হয়েছে, নিকাহ্ রেজিস্ট্রার বা কাজী বিবাহ সম্পন্ন হবার সঙ্গে সঙ্গেই বিবাহ রেজিস্ট্রেশন করবেন অথবা তিনি ছাড়া অন্য কেউ বিবাহ সম্পন্ন করলে ৩০ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট নিকাহ্ রেজিস্ট্রার বা কাজীর নিকট বিবাহের তথ্য প্রদান করতে হবে এবং কাজী উক্ত তথ্য প্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে বিবাহ রেজিস্ট্রি করবেন। যদি কেউ বিবাহ রেজিস্ট্রেশনের এসব বিধান লঙ্ঘন করেন তাহলে তার ২ (দুই) বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা ৩০০০ (তিন হাজার) টাকা জরিমানা বা উভয়দণ্ড হতে পারে। আইন অনুযায়ী কেউ যদি রেজিস্ট্রেশন বিষয়ে ভুক্তভোগী হয়ে থাকেন তবে প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট অভিযোগ দায়ের করতে পারেন।

উল্লেখ্য যে, রেজিস্ট্রেশন না হলে বিবাহ বাতিল হয় না তবে আইনগত অধিকার থেকে বঞ্চিত হবার সম্ভাবনা থাকে।

খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ক্ষেত্রেও ১৮৭২ সালের খ্রিস্টান ম্যারেজ এ্যাক্ট অনুযায়ী খ্রিস্টানদের বিবাহ রেজিস্ট্রেশন করা বাধ্যতামূলক। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ক্ষেত্রে হিন্দু পারিবারিক আইন অনুযায়ী হিন্দু বিবাহ রেজিস্ট্রেশনের কোনো বিধি বিধান নেই। তবে ২০১২ সালে প্রণীত “হিন্দু বিবাহ নিবন্ধন আইন” অনুযায়ী বিবাহ নিবন্ধনের বিধান থাকলেও তা বাধ্যতামূলক করা হয়নি। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ক্ষেত্রেও এরূপ বিধান নেই। এসব ক্ষেত্রে ভবিষ্যত প্রয়োজনীয়তার কথা বিবেচনা করে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে হলফনামা করে রাখা যেতে পারে।


কখন এবং কিভাবে বিবাহ রেজিস্ট্রেশন করতে হয় :

২০০৫ সালের মুসলিম বিবাহ ও তালাক (রেজিস্ট্রেশন) সংশোধিত আইন অনুযায়ী বিবাহ সম্পন্ন হবার সাথে সাথে বিবাহ রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। তবে নিকাহ রেজিস্ট্রার ছাড়া বিবাহ সম্পন্ন হলে ৩০দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট নিকাহ রেজিস্ট্রারের নিকট বিবাহ রেজিস্ট্রি করতে হয়। রেজিস্ট্রি করতে রেজিস্ট্রেশন সরকারি ফি দিতে হয়। দেনমোহরের পরিমাণের উপর ভিত্তি করে রেজিস্ট্রেশন ফি নির্ধারিত হয়। ধার্য্যকৃত দেনমোহরের প্রতি হাজার বা তার অংশবিশেষের জন্য ১০ টাকা হারে রেজিস্ট্রেশন ফি দিতে হয়। তবে রেজিস্ট্রেশন ফি এর মোট পরিমাণ ১০০ টাকার কম হবে না এবং ৪০০০ টাকার উপর হবে না। এই ফি সরকার কর্তৃক নির্ধারিত এবং পরিবর্তন হয়ে থাকে। রেজিস্ট্রেশন ফি পরিশোধের দায়িত্ব বরপক্ষের।

আইন অনুযায়ী বিবাহের গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় বা শর্ত যেমন, বর কনের বয়স, উভয়ের সম্মতি, দেনমোহর, তালাক প্রদানের ক্ষমতা ইত্যাদি পূরণ সাপেক্ষে কাজী বা নিকাহ রেজিস্ট্রার বিবাহ রেজিস্ট্রি করবেন। খ্রিস্টান বিবাহের ক্ষেত্রে যিনি বিবাহ সম্পাদন করবেন তিনিই বিবাহ রেজিস্ট্রেশন করবেন। রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হবার পর কাজী উভয়পক্ষকে রেজিস্ট্রেশন ফরম বা কাবিননামার সত্যায়িত কপি প্রদান করবেন।

বিবাহ রেজিস্ট্রেশনের সুফল-কুফল :
বিবাহ রেজিস্ট্রেশন করলে আইনগত কিছু সুফল পাওয়া যায় কিন্তু রেজিস্ট্রেশন না করলে কুফলও রয়েছে অনেক, যেমন রেজিস্ট্রেশনের ফলে,

১) উভয় পক্ষ বিবাহ অস্বীকার করার আইনত সুযোগ থাকেনা এবং এর দ্বারা সামাজিক ও পারিবারিক দায়বদ্ধতা আরোপিত হয়।
২) রেজিস্ট্রেশনের ফলে সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার নির্ণয় সহজ হয়।
৩) স্ত্রী তার প্রাপ্ত দেনমোহর ও ভরণপোষণ আদায় বা দাবি করতে পারে।
৪) সন্তানের অভিভাবকত্ব নির্ণয় করতে সহজ হয়।
৫) স্বামী দ্বিতীয় বিবাহের জন্য উদ্যোগী হলে স্ত্রী আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারেন।
৬) রেজিস্ট্রেশনের ফলে বাল্য বিবাহ রোধ সম্ভব হয়।
৭) রেজিস্ট্রেশনের ফলে স্ত্রী ডিভোর্স দেয়ার ক্ষমতা প্রাপ্ত হতে পারে।

অন্যদিকে, বিবাহ রেজিস্ট্রেশন না হলে স্বামী বা স্ত্রীর আইনগত বৈধতা প্রমাণ করা কষ্টসাধ্য, অনেক ক্ষেত্রে প্রমাণ করা যায় না। রেজিস্ট্রেশন না হওয়ার ফলে স্বামী অথবা স্ত্রী উভয়ই আইনগত অধিকার থেকে বঞ্চিত বা প্রতারিত হবার সম্ভাবনা দেখা দেয়। আবার, রেজিস্ট্রেশন না করা আইনত শাস্তিযোগ্য অপরাধও বটে। মোট কথা, বিবাহ রেজিস্ট্রেশন একদিকে যেমন বাধ্যতামূলক অন্যদিকে এটি একটি সামাজিক এবং পারিবারিক প্রামাণ্য দলিল।

তথ্য সুত্রঃ advocateregan.com

কেন বিবাহবিডিতে জীবনসঙ্গী খুঁজবেন!

বিয়ে একটি অত্যন্ত পবিত্র বন্ধন। মনে করা হয় দুটি মানুষের এই বন্ধন জন্ম জন্মান্তরের। সামাজিক নিয়মে এ বন্ধনে আবদ্ধ হয় দুজন প্রাপ্তবয়স্ক নারী ও পুরুষ। বিয়ে শুধু দুজন ব্যক্তির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং তৈরী করে দুটি পরিবারের মধ্যে সামাজিক বন্ধন।

বিয়ে নিয়ে মানুষের মনে স্বাভাবিক ভাবেই থাকে নানান আশা ও স্বপ্ন, থাকে উত্তেজনা, চিন্তা দুশ্চিন্তা ও ভাবনা। আবার বিয়ের ব্যাপারে অনেকেই মানুষিক ভাবে নিজেকে প্রস্তুত করতে পারে না। এর প্রধান ও অন্যতম কারন হলো পছন্দ মত যোগ্য জীবনসঙ্গী খুঁজে না পাওয়া।

দীর্ঘ ১ যুগের বেশী সময় ধরে আমরা এই সমস্যাটির সহজ ও দ্রুত সমাধান দিচ্ছি – বাংলাদেশী ও প্রবাসী পাত্রপাত্রী সন্ধানের জন্য সম্পূর্ন অনলাইন ভিত্তিক ২৪ ঘন্টা কল সেন্টার সার্ভিস নিয়ে সর্বোক্ষনিক সেবা নিশ্চিত করছে বিবাহবিডি ডট কম সার্ভিস টিম।

বিবাহবিডি ডট কম একটি অনলাইন বেইজড সার্ভিস ওয়েব পোর্টাল। এ পোর্টালের সদস্য হয়ে আপনি নিশ্চিত খুঁজে পেতে পারেন আপনার পছন্দমত যোগ্য জীবনসঙ্গী।

আসুন জানি কেন বিবাহবিডিতে পাত্রপাত্রী খুঁজবেন
বিবাহবিডি সম্পূর্ন অনলাইন ভিত্তিক সেবা নিশ্চিত করে। অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসেই বিবাহবিডি ডট কম আপনার পছন্দমত পাত্রপাত্রী খুঁজে দিতে সহায়তা করবে।

বিবাহবিডি পোর্টালে লগ ইন করে পছন্দের প্রফেশন, পাত্র-পাত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা, জেলা / এলাকা ভিত্তিক, প্রবাসী, বৈবাহিক অবস্থা (যেমন – অবিবাহিত, ডিভোর্স, বিধবা অথবা বিপত্নীক), ধর্ম, গোত্র, বর্ণ সহ ১৮ টি সার্চ ক্যাটাগরীর মাধ্যমে চাহিদা অনুযায়ী আপনার কাংখিত সংঙ্গীকে সহজেই খুঁজে সরাসরি নিজেরাই যোগাযোগ করতে সক্ষম হবেন।

বিবাহ বিডি প্রোফাইল এক্টিভেট/সক্রিয় করার পূর্বে নিজস্ব কাষ্টমার সাপোর্ট টিম তা তিন স্থরের ভেরিফাই করে ।

পাত্র-পাত্রীর প্রোফাইল ভেরিফিকেশনের জন্য জাতীয় পরিচয় পত্র / জন্ম নিবন্ধন / একাডেমিক সার্টিফিকেট/ প্রবাসীদের জন্য ভিসা, পাসপোর্ট / ডিভোর্সদের জন্য ডিভোর্স সার্টিফিকেট যাচাই করে বিবাহবিডিতে একটি প্রোফাইল একটিভ করা হয় যার ফলে আপনি একজন পাত্র/পাত্রী পরিচয় বিষয়ক সঠিক তথ্য পাবেন।

বিবাহ বিডি ডট কম এর ব্যাপ্তি বিশ্বব্যপী এবং এটি সমকালীন একটি আধুনিক সেবা। তাই বিশ্বের যেকোন দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পাত্র-পাত্রী বা অভিভাবকগন প্রোফাইল দেখে নিজেরাই সরাসরি পাত্র/পাত্রী বা কাংখিত প্রোফাইলের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

বিবাহবিডি থেকে আপনি জীবনসঙ্গীর খোঁজ পাবার পর বিবাহবিডি আপনার কাছে কখনোই কোন সার্ভিস চার্জ দাবি করবেনা। বরংচ বিবাহবিডিতে আপনার সাক্সেস ষ্টোরী শেয়ার করলে বিবাহবিডিই আপনাকে অভিনন্দন জানিয়ে আপনার ঠিকানায় গিফট পাঠাবে।

সার্ভিস সংক্রান্ত যেকোন তথ্য ও সাপোর্টের জন্য ২৪ ঘন্টা ৭ দিনই হট লাইন ইউজার সাপোর্ট প্রস্তুত থাকে ।

আপনি বিবাহবিডিতে প্রোফাইল রেজিষ্ট্রেশন করার আগেই জানতে পারবেন আপনার চাহিদা অনুযায়ী কতজন সম্ভাব্য পাত্র পাত্রী বিবাহবিডিতে রয়েছে।তাই আপনার অথবা আপনার পরিবারের কোন সদস্যের জন্য যদি পাত্র/পাত্রী খুঁজে থাকেন তাহলে নিশ্চিন্তে বিবাহবিডি ডট কম ওয়েব পোর্টালে রেজিষ্ট্রেশন করুন। বিবাহবিডি ডট কম একটি নিরাপদ ও বিশ্বাসযোগ্য ওয়েব পোর্টাল ২৪ ঘন্টা / ৭ দিনই হট লাইন ইউজার সাপোর্ট প্রস্তুত থাকে।

শর্ত : বিয়ের পর বউ চাকরি করতে পারবে না

বিয়ের জন্য পাত্রী খোঁজা হচ্ছে। আধুনিক প্রতিষ্ঠিত ছেলেটি চান ভালো মেয়ে, সুন্দর, বনেদি পরিবার ও শিক্ষিত। আর মেয়েটি যদি মেধাবী হন, তা হলে তো ষোলোকলা পূর্ণ। তবে শর্ত একটি, বিয়ের পর বাড়ির বউ চাকরি করতে পারবে না। আধুনিকতার মুখোশের আড়ালে এমন সংকীর্ণতা অনেক পাত্র ও তাঁর পরিবারের মধ্যে দেখা যায়। কর্মক্ষেত্রে নিজের যোগ্যতায় সফল মেয়েটি অনেক সময় চাকরি ছাড়তে বাধ্য হন। পরিবারের কথা ভেবে অনাকাঙ্ক্ষিত অশান্তি এড়াতে এমন সিদ্ধান্ত মেয়েরা নেন। বিয়ের পর স্বামী চান না বলে চাকরি ছেড়ে দিয়ে ঘরে বসে থাকেন অনেকেই। স্বামী বা শ্বশুরবাড়িকে খুশি করলেও নিজের ভেতরে গুমরে কেঁদে মরেন তাঁরা। নারীর ক্ষমতায়ন, আধুনিকতা ও ব্যক্তিস্বাধীনতার কথা কপচানো অনেক পুরুষই বাস্তবে কর্মজীবী স্ত্রী পছন্দ করেন না।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত অরিনের বিয়ের কথা চলছে। একজনের সঙ্গে বিয়ের পাকা কথা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিয়েটা হয়নি। রুচিশীল শিক্ষিত ছেলেটিকে অরিনের ভালো লেগেছিল। কিন্তু বিয়ের তারিখ চূড়ান্ত করার আগে ছেলেটি শর্ত দিয়ে বসলেন—বিয়ের আগেই অরিনকে চাকরি ছেড়ে দিতে হবে। কেননা, তাঁর বউ চাকরি করলে লোকে নাকি ভাববে, ভরণ-পোষণ দিতে পারছেন না। এমন হাস্যকর যুক্তি মেনে না নিতে পারায় বিয়েটা শেষ পর্যন্ত ভেঙে গেল। এ বিয়ে ভেঙে যাওয়ায় নাকি এখন অনেক বিয়ের কথাই বেশি দূর এগোচ্ছে না। হতাশ হয়ে অরিনের মা-বাবা মনে করেন, এই সামান্য শর্ত মানলে কী এমন ক্ষতি হতো!বিয়ের পর চাকরি ও সংসার কি একসঙ্গে সামলাতে পারবে? সন্তান হলে তাকে কাজের লোকের কাছে বড় হতে হবে। সারা দিন কাজ শেষে বউ বাড়ি ফিরবে। তখন পরিবারকে সময় দিতে চাইবে না। আর চাকরি করলে বউ বশে থাকে না। নিজের স্ত্রী চাকরি করার বিপক্ষে এসব যুক্তি দিয়েছেন বেশ কয়েকজন ছেলে। তাঁদের কেউ কেউ মনে করেন, ভালো মেয়েরা চাকরি করেন না।

ছেলেদের এসব যুক্তির সঙ্গে মেয়েরা কি একমত? ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন হুমায়রা (ছদ্মনাম)। তিনি বলেন, ‘বিয়ের পর আমি চাকরি ছেড়ে দেব। আমার সন্তান একা বড় হবে, এটি চাই না। এতে আমার ব্যক্তিস্বাধীনতা থাকবে না কিংবা ব্যক্তিত্বে প্রভাব পড়বে, এমনটি মনে করি না। সুন্দরভাবে সংসার করাও একটি শিল্প।’

তা হলে এত দূর পড়াশোনা করার কোনো মূল্যই থাকবে না! বিয়ে নামের সামাজিক বন্ধন স্বপ্ন পূরণে বাধা দেবে, এটি মানতে পারেন না নৌশিন। তিনি মনে করেন, ভালো বোঝাপড়া থাকলে সংসার ও চাকরি—দুটোই সামলানো সম্ভব। এখানে স্বামী-স্ত্রী দুজনকেই ছাড় দিতে হবে। পরস্পরকে সহনশীল হলে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। আর যে ছেলে কোনো মেয়ের স্বপ্ন ও কাজকে শ্রদ্ধা না করবে, তিনি স্বামী হিসেবে কতটা ভালো হবেন, এ নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়। হুমায়রা আর নৌশিনের বাইরেও আছেন অনেকে। তাঁদের মতে, পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আর সেটা নিতে হবে মেয়েটিকেই। মেয়েটি যদি সবকিছু ঠিকঠাক সামলাতে পারে তা হলে সমস্যা কিসের!

অনেক সময় মেয়ের অভিভাবকেরাও চান, এই সামান্য ছাড় দিলে কী হয়? চাকরির জন্য সংসার টিকবে না, এটি তাঁরা মেনে নিতে পারেন না। ফলে মেয়ের মতামত গুরুত্ব পায় না তাঁদের কাছে। ব্যতিক্রমও আছেন কেউ কেউ। সরকারি কর্মকর্তা নজরুল ইসলামের তিন মেয়েই কর্মজীবী। বড় দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। ছোট মেয়ের বিয়ের কথা চলছে। তিনি ভাবতেও পারেন না, তাঁর মেয়েরা কখনো চাকরি ছেড়ে দেবেন। নজরুল ইসলাম বলেন, ‘মা-বাবা পাশে থাকলে মেয়েরা সব পারে। আমার তিন মেয়ে চাকরি করে। এটি কত বড় গর্বের, তা বোঝানো যাবে না। পাত্রপক্ষ কিছু বলার আগেই বড় দুই মেয়ের বিয়ের সময় আমি উল্টো শর্ত দিয়েছিলাম, বিয়ের পর মেয়েকে চাকরি করতে দিতে হবে।’

অভিভাবকদের বুঝতে হবে, মেয়ে স্বাবলম্বী হলে ভবিষ্যতে যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সামলাতে পারবেন। হতেই পারে বিয়ের পর স্বামীকে কোনো কারণে সাহায্য করতে হলো। তার চেয়ে বড় কথা, দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী ঘরে বসে না থেকে কাজ করলে পরিবার থেকে দেশ—সবার জন্যই ভালো। এ ক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে হবে ছেলেদেরই। চাকরিজীবী স্ত্রীকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করতে হবে। শুধু মুখে মুখে আধুনিক না হয়ে কাজেও দেখাতে হবে।

রাতারাতি সবার মানসিকতার পরিবর্তন হবে, এমনটা আশা করা ঠিক নয়। সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের পাশাপাশি সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের পরিবর্তনও জরুরি। নারীর ক্ষমতায়ন জোরদার করতে হলে রাষ্ট্রকে এগিয়ে আসতে হবে। মনে করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম। তাঁর সঙ্গে একমত বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু। তিনি জানান, ছেলেদের এই মনোভাব নারীর জন্য ইতিবাচক নয়; বরং বিবাহিত জীবনেও অনেকখানি ঝুঁকি রয়ে যায়।বন্ধুত্ব থেকে বিয়ে হলেও অনেক সময় মেয়েদের এসব সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সামাজিক নিরাপত্তাহীনতাবোধ অন্যতম একটি কারণ। বিয়ের পর সন্তানের মা হওয়ার পর বাড়িতে কোনো লোক না থাকলে, অফিসে শিশু দিবাযত্নকেন্দ্র না থাকলে তখন সাধারণভাবে মাকেই চাকরি ছাড়ার কথা বলে সবাই।ফলে এ ধরনের পরিস্থিতি যেন তৈরি না হয়, সেই পরিবেশ বাড়ির সদস্যদের বা প্রতিষ্ঠানকে দিতে হবে।

-তৌহিদা শিরোপা

জীবনসঙ্গীকে যে কথা বলতেই হবে

দুটি মানুষের কথোপকথনের মাধ্যমেই একটি সম্পর্কের সূচনা হয়। এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই কেউ একজনকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নেন। জীবনভরই দুজনের মধ্যে চলে কথার বিনিময়। তবে কিছু কিছু কথা আছে যেগুলো নিয়ে নারীরা লুকোচুরি করেন। ওই কথাগুলো তিক্ত হলেও আপনার জীবনসঙ্গীকে বলতেই হবে।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এমন সাতটি বিষয় সম্পর্কে বলা হয়েছে, যেগুলো আনন্দময় সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে বড় ভূমিকা রাখে।

এ মুহূর্তে শারীরিক সংসর্গ নয়
আপনি চাইছেন না, অথচ আপনার সঙ্গী আপনাকে খুব কাছে পেতে চাইছেন। তাঁর ইচ্ছার কাছে আত্মসমর্পণ করবেন না। আপনি শারীরিক সংসর্গে লিপ্ত হতে না চাইলে সঙ্গীকে সরাসরি না বলে দিন। আপনার অনিচ্ছার কথাটি জানাতে রাখঢাক করবেন না।

আপনার প্রত্যাশা
আপনার সম্পর্ক কোন দিকে মোড় নিচ্ছে, আপনি কি মনের মানুষের কাছ থেকে আরও বেশি কিছু চান? তাঁর সঙ্গটাকে কেমন অনুভব করছেন? এসব বিষয় অবশ্যই তাঁকে জানাতে হবে।

অন্য কাউকে ভালোবাসা
আপনি একজনের সঙ্গে চার বছর ধরে সংসার করছেন। এরই মধ্যে অন্য একজনকে আপনার মনে ধরেছে। কিন্তু এটি লুকিয়ে রাখবেন না। প্রথম মানুষটিকে জানিয়ে দিন। অন্যথায় আপনি একই সঙ্গে দুজন মানুষের সঙ্গে অন্যায় করবেন।

বেশি খরচ করে ফেলেছি
এখানে-সেখানে সামান্য অর্থ খরচের বিষয়টি না জানালেও চলে। তবে কখনো কখনো গয়না, সম্পত্তি বা অন্য কোনো খাতে বেশি অর্থ খরচ হয়ে যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে খরচের বিষয়টি প্রিয় মানুষটিকে জানিয়ে দেন।

মানসিকভাবে বিপর্যস্ত
আপনার জীবনসঙ্গীর চাচি বা খালা আপনার পোশাক-আশাক নিয়ে বিদ্রূপাত্মক মন্তব্য করেছেন কিংবা আপনার দেবরের প্রেমিকা বিষয়টি ফাঁস করে দিলেন। এমন বিষয় নিয়ে আপনি প্রিয়জনের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলবেন। আপনি তাঁর কাছে জানতে চাইবেন কীভাবে উদ্ভূত পরিস্থিতি থেকে নিজেকে বাঁচানো যায়।

পছন্দ, অপছন্দ এবং আরও কিছু
আপনার পছন্দ-অপছন্দ, পছন্দের খাবার, অতীতের গভীর সম্পর্ক কোনো কিছু বর্তমান সঙ্গীর কাছে আড়াল করবেন না।

আমার জন্য কিছুটা সময়
কিছু সময় আছে, যখন আপনি একাকীই কাটাতে চান। এ বিষয়ে সঙ্গীকে স্পষ্ট করে বলে দিন। এতে করে ওই মুহূর্তে আপনি সংঘাত এড়াতে পারবেন। কিন্তু আপনার একান্ত মুহূর্ত সম্বন্ধে কাছের মানুষটি যদি না জানে, তবে হিতে বিপরীত হতে পারে। সুত্রঃ প্রথম আলো