ডিভোর্স কেন হয় ?

ইশতিয়াক আর সোনিয়া। দুজনই ঢাকা বিশ্বাবিদ্যালয় থেকে এমবিএ করেছেন। ছিলেন ব্যাচমেট। বন্ধুত্ব থেকে প্রেমে গড়িয়ে শেষমেশ সফল পরিণতি। একজন একটা মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানীতে কাজ করছেন বেশ ক বছর হল। আর সোনিয়া আছেন একটা ব্যাংকে। পরিবারে আর্থিক টানাপড়েন নেই। সমস্যা সময় নিয়ে।

ইশতিয়াকের মিটিং থাকলে ফিরতে রাত হয়। সেখানে সোনিয়া আগেই ফিরে বসে থাকেন মনমরা হয়ে। আর বাসায় এসে ইশতিয়াকের গভীর রাত অবধি অফিসের কাজ করার জন্য সোনিয়ার তো পর্বতসমান ক্ষোভ। অন্যদিকে কাজের ফাঁকে ইশতিয়াক হয়ত ফোন দিয়েছেন সেনিয়াকে। কিন্তু অফিসে এত ব্যস্ত সময় কাটে যে সোনিয়া হাই-হ্যালোর বেশি কথাই বলতে পারেন না। এসব নিয়ে বেশকিছুদিন ধরে মনোমালিন্য চলছে তাদের মধ্যে।  সম্পর্কটাও কেমন যেন একেবারেই থমকে গেছে। তবে কি ডিভোর্সে এর সমাপ্তি?

অপরদিকে চল্লিশোর্ধ রায়হান সাহেবের প্রমোশন হচ্ছে না পাঁচ বছর।বসের সাথে ঝামেলা। সন্তানেরা বড় হচ্ছে। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চাহিদাও বাড়ছে।রায়হান সাহেবের উপায় কী? এমনকি স্ট্রেস সামলাতে না পেরে ইদানীং স্ত্রীর গায়ে হাতও তুলছেন। ফলে স্ত্রী সন্তানসহ আলাদা হয়ে যাবেন বলে সরাসরি বলে দিয়েছেন। আইনী পরিভাষায় যা ডিভোর্স।

মনোবৈজ্ঞানিক গবেষণায় ডিভোর্সের পেছনের কিছু কারণ উঠে এসেছে। আর্থ-সামাজিক কারণগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সাধারণত আর্থ-সামাজিক ইস্যু পরিমাপের পদ্ধতি হল শিক্ষা আর উপার্জন। গবেষণায় দেখা গেছে, সাধারণত উচ্চবিত্ত ও উচ্চশিক্ষিত দম্পতিরা তাদের আবেগ, সময়, পার্টনারের আত্মকেন্দ্রিকতা, অসামঞ্জস্যতা, ভালোবাসার অভাব ইত্যাদির সাথে আপস করে না এবং শান্তিপূর্ণ বিচ্ছেদের দিকে এগিয়ে যায়।

অন্যদিকে আর্থ-সামাজিক মাপকাঠিতে নিজের সারিতে যারা রয়েছে তাদের বিচ্ছেদের কারণগুলো কখনও আর্থিক, কখনও নির্যাতন, কখনও বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক অথবা মাদকাসক্তি।

বিবাহবিচ্ছেদের আরও কিছু ব্যবহারিক নির্ধারক রয়েছে। কে কত বছর বয়সে বিয়ে করেছে, সাংসারিক জীবন কত বছরের কিংবা সন্তানের সংখ্যা বা সন্তানের বয়স। সাধারণত অল্প বয়সের বিয়ে সাংসারিক জীবনের আয়ু বাড়ায়। এখানে বিচ্ছেদের ঝুঁকি থেকে যায়। কারণ হিসেবে গবেষকেরা যে বিষয়গুলোকে সামনে এনেছেন সেগুলো হল, মানসিক অপরিপক্বতা, অস্থায়ী চাকরি ইত্যাদি। এছাড়া অল্প বয়সে লাইফ পার্টনারকে বুঝেই বা ওঠা যায় কতটুকু?

ফলে তুলনামূলক পরিণত বয়সে বিয়ে অনেক জটিলতা থেকে বাঁচিয়ে দিতে পারে। অনেক সময় আমরা খুব দ্রুত দম্পতিদের ডিভোর্সের পথ বেছে নিতে দেখি। এর পেছনে যেসব করণ রয়েছে বলে মনে করা যায় সেসব হল, পার্টনারদের মাঝে পারস্পরিক মৌলিক সামঞ্জস্য আবিষ্কারে ব্যর্থ হওয়া, মূল্যবোধের সংঘাত এবং ব্যক্তিত্বের দ্বন্দ্ব।

আবার দীর্ঘসময় দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত করা মানুষদের যে ডিভোর্স হচ্ছে না তা নয়। সেক্ষেত্রে কারণগুলোও ভিন্ন। যেমন, সন্তান প্রতিপালনে বেশি মনোযোগ দিতে গিয়ে জীবনের সব কিছু থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে একসময় হতাশায় ভোগা, সম্পর্কের মাঝে কোন নতুনত্ব খুঁজে না পেয়ে একচক্রে ঘুরপাক খেতে খেতে ইদানীং অনেক দীর্ঘ সংসার ভেঙে যাচ্ছে। পাশ্চাত্যের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও এমন ঘটনা হরহামেশা ঘটছে।

এছাড়া লাইফ পার্টনার ব্যতীত গোপন অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে ডিভোর্সের মূল কারণগুলোর একটা বড় অংশজুড়ে। এর সাথে শারীরিক নির্যাতনও রয়েছে কারণ হিসেবে। গবেষণায় এসেছে, স্ত্রীর গায়ে হাত তোলার ব্যাপারে বাংলাদেশ প্রথম।

উক্ত বিষয়গুলো পাশ্চাত্যের গবেষণায় দেখা গেছে। আবার বাংলাদেশেও ডিভোর্সের কারণ হিসেবে এগুলোই উল্লেখযোগ্য। সম্পর্কের অবনতি আমাদের কারোরই কাম্য নয়, তেমনই অনেকে সামাজিকভাবে অথবা অর্থনৈতিক টানাপড়েনের ভয়ে কষ্টকর একটা সামাজিক সম্পর্কের জের টেনে বেড়ায়-সেটাও কাঙ্ক্ষিত নয়।

বিয়ে ভেঙে যাওয়া মানে ভালোবাসা শেষ হয়ে যাওয়া নয়। এর মানে একজন আরেকজনকে আর ঘৃণা না করা। অনেকেই বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর অনুশোচনায় ভোগে অথবা একটি অবাঞ্ছিত সম্পর্ক বয়ে নিয়ে কষ্টে থাকে। তাই এ রকম সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সবার সাথে পরামর্শ এবং সব ধরণের পরিস্থিতি বিবেচনা করা অনেক জরুরী।

লিখেছেনঃ  এ্যানি বাড়ৈ | সাইকোলজিক্যাল কাউন্সেলর, আপন

কতটুকু ভালো সঙ্গী পেলে সন্তুষ্টি আসে পুরুষের!

ভালোর আসলে শেষ কোথায়; একজন পুরুষ কতটুকু ভালো সঙ্গী পেলে সন্তুষ্ট হবে তার কি কোন মানদন্ড আদৌ আছে? অথচ প্রত্যেক পরিবারে চাহিদা থাকে একজন ভালো মেয়ে, ভালো বৌ;  যদি ও ভালো বৌ বলতে মুলত যা বুঝায় তা হলো – ঐ পরিবেশে খাপ খাইয়ে চলতে পারার সক্ষমতা। এক্ষেত্রেও মেধার বিকল্প নেই; একজন মেধাবী বৌ তার ধৈর্য্য, মানসিক শক্তি, বুদ্ধিমত্তা ও দুরদর্শিতা দিয়ে একটি পরিবারের সদস্যদের আচার আচারন, আয় উন্নতি এমন কি ঐ পরিবারের সামাজিক অবস্থানটিও পরিবর্তন করতে পারেন। এজন্যই হইতো শত শত বছর ধরে প্রবাদ প্রবাদটি প্রচলিত “নদীর পানি ঘোলা ভালো, জাতের মেয়ে কালো ভাল”।

বিয়ে করার পর আপনি অন্য একটি পরিবারের অংশ হয়ে গিয়েছেন। স্বামী-স্ত্রী ছাড়াও এ পরিবারের রয়েছে আরও অনেক সদস্য। আর এসব মিলে সবার মন যোগানোর কথা চিন্তা করতে গেলে হয়তো আপনার মাথাটাই খারাপ হয়ে যাওয়ার যোগাড় হবে। তবে চিন্তা করবেন না, এ লেখায় থাকছে সহজ কয়েকটি উপায়  যার মাধ্যমে ভালো বৌ হবার চর্চাটা অন্তত আপনি করতে পারবেন।  বাস্তবে অতি সাধারণ মনে হলেও এসব উপায় হয়ে উঠতে পারে আপনার ভালো স্ত্রী হিসেবে নিজেকে তুলে ধরার অন্যতম পন্থা। এসব বিষয় পালন করলে নিজেকে আকর্ষণীয় ও অন্যদের কাছে অনুকরণীয় একজন যথার্থ স্ত্রী হিসেবে প্রকাশ করা সম্ভব হবে।

পজেটিভ হতে একটু সময় নিনঃ প্রত্যেক  মানুষ আলাদা আলাদা আচারনের অধিকারী,  একটি পরিবারের সবাই একরকম মানসিকতার হবে না। তাই নতুন সংসারে যাবার পর তাড়াহুড়া না করে কিছুদিন ধৈর্য্য সহকারে প্রত্যেকের আচার আচারন মানসিকতা খুব ক্লোজলী পর্যবেক্ষন করতে হবে। এ জন্য সবার সাথে কথা বলা; একসাথে খাবার খাওয়া, গল্প করা, শপিং এ যাওয়া, প্রতিবেশী / আত্মীয় বাড়ি বেড়াতে যাওয়া অন্যতম উপায়;  এবং পরিবারে সকল সদস্যের মানসিক অবস্থা বুঝে প্রত্যেকের ব্যাপারে আপনার নিজস্ব ষ্ট্রেটিজি সেট করতে। কথা বলার ক্ষেত্রে ও স্বামী কিংবা পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সার্ভিস/ সেবা ক্ষেত্রে ধৈর্য্য, সহনশীলতা ও দায়িত্বশীলতার পাশাপাশি কৌশলী হওয়ার বিকল্প নেই।

পরিবারের ঐতিহ্যবাহী রেসিপির সন্ধান করুন
অনেক পরিবারেই থাকতে পারে দীর্ঘদিন থেকে প্রচলিত ঐতিহ্যবাহী কোনো রেসিপি। দেখা যাবে আপনার সঙ্গী ছোটবেলায় তার মা বা দাদির কাছ থেকে এমন খাবার খেয়েছে, যা তার স্মৃতিতে রয়ে গেছে। এ ধরনের ঐতিহ্যবাহী খাবার তৈরির পদ্ধতি আয়ত্ব করুন এবং তা রান্না করুন। যদি সম্পূর্ণভাবে সে খাবারের মতো নাও হয়, তার পরও আপনি এ উদ্যোগের প্রশংসা পাবেন। আর এতে স্বামী ও পরিবারের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক অনেক গাঢ় হবে।

লিখে ফেলুন
স্বামীকে একটি প্রেমপত্র লিখে দেওয়ার ধারণা অনেকের কাছেই হাস্যকর বলে মনে হতে পারে। কিন্তু নিজের মনের কথা লিখে তা প্রকাশ করার মধ্যে যে আনন্দ আছে তার কোনো তুলনা হয় না। আর এর মাধ্যমে আপনাদের হৃদয়ের মিলও অনেক বাড়বে।

নিজেদের যত্ন নিন
বিয়ের পরই যে সবকিছুর শেষ, তেমন কোনো কথা নেই। স্বামী ও পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি আপনার নিজের শরীরের যত্ন নেওয়া অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। এ ছাড়াও নিয়মিত চুলের পরিচর্যা, নখ ও দেহের পরিচর্যার মাধ্যমে শরীর ঠিকঠাক রাখার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এ ছাড়াও শারীরিক অনুশীলন ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই।

সমর্থন করুন
স্বামীর ভালো কাজে সমর্থন যোগানো উচিত স্ত্রীর। তার গুরুত্বপূর্ণ কাজ কিংবা মানসিকভাবে স্বস্তিকর বিষয়ে সাহায্য-সহযোগিতা করা যেতে পারে। তার যদি কোনো লুকানো প্রতিভা থাকে তবে তা বিকশিত হতে সাহায্য করুন। এসব বিষয়ে সে যদি প্রতিষ্ঠিত হয়ে ওঠে তাহলে তা আপনারই সাফল্য হিসেবে পরিগণিত হবে। তার কোনো শখ যদি আপনার নিজের আগ্রহের বিষয় নাও হয়, তার পরও তা হেলাফেলা করার প্রয়োজন নেই। কারণ কোন বিষয়ে তার প্রতিভার বিস্ফুরণ ঘটবে তা কেউ বলতে পারে না। হতে পারে গান গাওয়া, যন্ত্র সংগীত, আবৃত্তি, ছবি আঁকা, ধাঁধা কৌতুক বলা !

কাজ ভাগ করে নিন
অতীতের মতো এখন বাড়ির কাজ শুধু নারীরাই করে না। কর্মব্যস্ত জীবনে এখন উভয়কেই নিজের নিজের কাজ করতে হয়। এ কারণে নারীর বা পুরুষের কাজ বলে কোনো কাজ থাকছে না বাসায়। আর এ অবস্থায় আপনার স্বামীকে তার পছন্দমতো কিছু কাজ ঠিক করে দিন নিয়মিত করার জন্য। আপনিও করুন কিছু কাজ। অনেক নারীই বাড়ির সব কাজ একাই করতে চান। একই বিষয়ে পুরুষের করা কাজ তাদের মনমতো না হওয়ায় এ বিপত্তি বাধে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, সবার কাজের ধরন একরকম নয়। তাই মনমতো না হলেও তাকে তার মতো কাজ করতে দিন। সব কাজ একা করলে তাতে অন্যের অংশগ্রহণ যেমন থাকে না, তেমনি তৈরি হতে পারে দূরত্ব।

খেলাধূলা আর হাসি
বড় মানুষ হলে যে কোনো খেলাধূলা করা যাবে না, এমন কোনো কথা নেই। গুরুগম্ভীর ভাব বাদ দিয়ে হালকা মেজাজে চলুন। মেতে উঠুন খেলা আর হাসিঠাট্টায়। এতে জীবন হয়ে উঠবে আনন্দে পরিপূর্ণ।

সারপ্রাইজ দিন
আপনার স্বামী যে শুধু সারপ্রাইজ দেবে এমন কোনো কথা নেই। তার বদলে আপনি নিজেও তাকে সারপ্রাইজ দিন। কোনো ছুটির দিনকে দারুণভাবে ব্যবহার করে কিংবা বিশেষ কোনো দিনে তাকে মজার উপহার দিয়ে চমকে দিন সবাইকে।

বিচ্ছেদের পর ফের নতুন সম্পর্ক

বিচ্ছেদের পর ফের সম্পর্ক গড়ার জন্য কেউ আপনার দরজায় কড়া নাড়তেই পারে। কিন্তু আপনি প্রস্তুত তো? দেখা যায়, বিচ্ছেদের পর পুনরায় সম্পর্কে জড়াতে অনেকেই সংশয়ে ভুগে থাকেন। কিছু বিষয় আপনাকে নতুন সম্পর্কের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে –

অভ্যাস পরিত্যাগ

আপনার হয়তো কিছু বদভ্যাস আছে যা দ্বারা আপনি পূর্বের সম্পর্কে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বা আপনার প্রতি আপনার সঙ্গী বিরক্ত ছিল। সে অভ্যাসগুলো খুঁজে বের করুন ও পরিবর্তন করুন।

নিজেকে জানুন

আপনাকে কেউ ভালো রাখবে এরকম চিন্তা করে সম্পর্কে জড়াবেন না। অন্য কেউ কখনও আপনাকে ভাল রাখতে পারে না। নিজেকে নিজের ভালো রাখতে হয়।

অতীত

অতীতের যে কোন বিষয়ের সাথে বর্তমান পরিস্থিতি কে যেমন তুলনা করতে যাবেন না তেমনি প্রাক্তনের সাথে বর্তমান ব্যক্তিকেও তুলনা করবেন না।

বিশ্বাস

স্বাভাবিকভাবেই বিচ্ছেদের ফলে নতুন কাউকে বিশ্বাস করা আপনার পক্ষে কঠিন হতে পারে। তার মানে সবাই যে আপনার বিশ্বাস নষ্ট করবে এমন ধারণা দূর করুন। সবাইকে একই পাল্লায় মাপা উচিত নয়।

ধারণা নয় ব্যক্তির কথাকে গুরুত্ব দিন

অতীত সম্পর্ক থেকে নানান অভিজ্ঞতা হয় সবারই। কিন্তু এ অভিজ্ঞতা থেকে বর্তমান পরিস্থিতির ধারনা যাচাই করে থাকেন অনেকেই, এতে করে কিন্তু নতুন সঙ্গীর সাথে আপনার ভুল বোঝাবুঝি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়তে থাকবে। তাই ধারণা থেকে নয় সঙ্গীর কথাকে গুরুত্ব দিন।

সম্পর্কে ভবিষ্যত অঙ্কন করতে যাবেন না

একটি সম্পর্কের ভবিষ্যৎ কেমন যাবে বা কি হবে এসব চিন্তায় মগ্ন হবেন না, তাহলে সম্পর্কে আপনি ভালো-খারাপ পরিস্থিতিগুলো সামলাতে পারবেন না।

তাড়াহুড়ো করবেন না

বিচ্ছেদ হয়েছে বলে একাকীত্ব দূর করতে চট করেই নতুন সম্পর্কে জড়াবেন না। সময় নিন, স্বচ্ছ ও সততার সাথে নতুন কাউকে ভাবুন।

আপনি কি পুনরায় বিবাহ সম্পর্কে আবদ্ধ হতে #জীবনসঙ্গী #খুঁজছেন? আপনি যদি #ডিভোর্স/ #বিধবা/ বিপত্নীক #জীবনসঙ্গী খুঁজে থাকেন তাহলে আজই রেজিস্ট্রেশন করুন #বিবাহবিডি ডট কম ওয়েব পোর্টালে। রেজিস্ট্রেশন করার পর আমাদের সার্ভিস টিম আপনার সকল সত্যতা যাচাই করে আপনার প্রোফাইল একটিভ করলে, আপনি সুযোগ পাবেন বিবাহবিডির সকল ভেরিফাই করা প্রোফাইল থেকে আপনার পছন্দমত জীবনসঙ্গী খুঁজে পেতে।

কেমন জীবনসঙ্গী খুঁজবেন?

বিয়ে মানুষের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। নতুন জীবন শুরু করতে জীবনসঙ্গীর কিছু দিক অবশ্যই যাচাই করে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত এবং তাড়াহুড়া একেবারেই না। আসুন দেখি কোন দিক গুলো অবশ্যই বিবেচনায় আনতে হবে।

শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ

জীবনসঙ্গী খুঁজার ক্ষেত্রে অবশ্যই ব্যক্তির শিক্ষাগত যোগ্যতা আপনার কাছাকাছি বা সমপরিমাণ কিনা বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে নিবেন। অতিরিক্ত শিক্ষাগত যোগ্যতা বা কম শিক্ষা এরকম কাউকে নিয়ে ভাবেন না।

বয়সের পার্থক্যঃ

যাকে জীবনসঙ্গী বানাবেন ভাবছেন তার বয়সের সাথে আপনার বয়সের দূরত্ব কম বা বেশী না হয় এ বিষয়টি খেয়াল রাখবেন। পারিবারিক মতামতঃ যারা পারিবারিকভাবে বিয়ের জন্য জীবনসঙ্গী খুঁজছেন তারা পরিবারের মতামত বুঝে সিদ্ধান্ত নিন এতে করে পরিবারের সাথে আপনার জীবনসঙ্গীর সম্পর্ক ভালো থাকবে।

পেশাঃ

জীবনসঙ্গী বাছাইয়ে ব্যক্তির আর আপনার পেশা কি তা দেখে নিন। ভবিষ্যতে দুজন পেশাগত বিষয়ের দিকগুলো মানিয়ে নিতে পারবেন কি না এ বিষয়টি অবশ্যই খেয়ালে রাখবেন।

পারিবারিক কালচার ও আর্থিক অবস্থাঃ

পারিবারিক কালচার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দুই পরিবারেরে মধ্যে সম্পর্কের আন্তরিকতা বাড়ে বা থাকে, যদি পারিবারিক কালচারগত বিষয়ে সামঞ্জ্যসতা থাকে। দুই পরিবারের পারিবারিক আর্থিক অবস্থার সামঞ্জস্য কতটুকু এ বিষয়টি দেখুন।

ব্যক্তির আচরণঃ

যাকে জীবনসঙ্গী বানাবেন ভাবছেন শুধু তার গুনের প্রশংসা বা সৌন্দর্য না দেখে তার আচরনের প্রতিও খেয়াল রাখুন। আপনি একজন ব্যক্তির সাথে কিছুক্ষণ কথা বললেই বুজতে পারবেন তার আচরণগত কোন সমস্যা আছে কিনা বা তার কোন অভ্যাস যা আপনার পরে পছন্দ নাও হতে পারে।

দায়িত্ববান ও কর্মক্ষমঃ

একটি নতুন সংসার শুরু করতে নারী-পুরুষ দুজনের ভূমিকা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে একজন দায়িত্ববান ও কর্মিক হবেন আরেকজন উদাসীন তা হলে সংসার শুরু হবে অশান্তি দিয়ে। তাই জীবনসঙ্গী বাছাইয়ে এ গুনাবলি আছে কিনা যাচাই করে নিন।

শারীরিক বিষয়ঃ

যাকে বিয়ে করবেন তার শারীরিক গঠন আপনার সাথে মানায় কি না খেয়াল রাখুন। ব্যক্তি স্বাস্থ্যগত দিক থেকে ঠিক আছে কিনা যাচাই করে নিন।

মানসিক প্রস্তুতিঃ

যাকে বিয়ে করতে চাচ্ছেন সে কি বিয়ের জন্য মানসিকভাবে তৈরি কিনা তা বোঝার চেষ্টা করুন। যদি সে বিয়ের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকে তাহলে ভাবতে পারেন।

জীবনসঙ্গী খুঁজার ক্ষেত্রে গুণবতী,সুন্দরী বা ছেলের অবস্থান বিষয়গুলো যাচাই করা ছাড়াও অনেক বিষয় রয়েছে যা আমরা দেখা প্রয়োজন মনে করি না। ফলে বিয়ের পর সংসারের অধ্যায় শুরু হয় ঝামেলা দিয়ে। তাই জীবনসঙ্গী খোঁজার ক্ষেত্রে অবশ্যই এ বিষয়গুলো প্রত্যেকের খেয়াল রাখা উচিত।

বিয়ের প্রস্তাব কাকে দিবেন;কিভাবে দিবেন

বিয়ে মানুষের জীবনে নতুন এক অধ্যায়। অনেক নারী ও পুরুষ আছেন বিয়ের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিলেও যাকে ভালো লাগে তাকে প্রস্তাব দিতে সংকোচবোধ করেন। এর প্রধান কারন অযাচিত ভয়; যদি বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখান হয়!

বিয়ের প্রস্তাব দেয়া মূলত তখনই সহজ হবে যখন আপনি বিয়ের প্রস্তাব কাকে দিবেন এ বিষয়টি যাচাই করে নেন। আপনার যেমন জীবনসঙ্গিনীর বিষয়ে কিছু প্রত্যাশা রয়েছে তেমনি বিপরীত ব্যক্তির মনেও রয়েছে নিজস্ব কিছু চাহিদা ও পছন্দ।

যে বিষয়গুলো দেখে ব্যাক্তি কে বিয়ের প্রস্তাব দিবেনঃ

ব্যাক্তির শিক্ষাগত যোগ্যতা আপনার থেকে অনেক কম বা বেশী হবে এমন কারও কথা না ভাবাই ভালো।

যাকে বিয়ে করতে চাচ্ছেন, তার আর আপনার পেশা, সামাজিক অবস্থান, পারিবারিক কালচার, ভবিষ্যতে দুজন পেশাগত বিষয়ের দিকগুলো মানিয়ে নিতে পারবেন কি না। এ বিষয়টি অবশ্যই খেয়ালে রাখবেন।

দুই পরিবারের অবস্থা কতটুকু সামঞ্জস্যক তা দেখা উচিত।

আগে জানার চেষ্টা করুন তার ব্যক্তিত্ব আর আপনার ব্যক্তিত্বে মিল রয়েছে কিনা বা মিলিয়ে নেয়ার মত কিনা।

ব্যাক্তির সাথে আপনার বয়সের ব্যবধান কত।

যাকে বিয়ে করতে চাচ্ছেন সে মানসিক দিক থেকে বিয়ের জন্য প্রস্তুত আছে কি না জেনে নিন।

যাকে পছন্দ করছেন তাকে বিয়ের প্রস্তাব পাঠানোর আগে তার সাথে আলোচনা করে জেনে নিন, অথবা বিশ্বস্ত কাউকে দিয়ে তার মনস্তাত্ত্বিক অবস্থা বুঝার চেষ্টা করুন।

যেভাবে বিয়ের প্রস্তাব দিবেনঃ

সাক্ষাতের জন্য এমন একটি পরিবেশ বাছাই করুন অথবা তৈরি করুন যে পরিবেশে পছন্দের ব্যক্তি মানসিক ভাবে উৎফুল্ল থাকে।

সময় ও দিন নির্ধারণ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যেদিন আপনি ব্যক্তির সাথে দেখা করতে যাবেন সেদিনটি দুজনের ছুটির দিনটি বেঁছে নিন ও সময় বিবেচনা করে দেখা করুন, যেনো কোন তাড়াহুড়ো না থাকে।

আকর্ষণীয় উপহার দিতে পারেন অথবা সম্ভব হলে তার পছন্দ জেনে প্রিয় কিছু উপহার দিন।

তার সাথে এমন ভাবে আচরণ করুন যেন সে যতটুকু সময় আপনার সাথে থাকবে অবশ্যই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবে।

আপনি তাকে পছন্দ করেন, বিয়ের কথা ভাবছেন; এ কথাটি এক লাইনে না বলে তার সাথে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি উপস্থাপন করুন, আপনি তাকে কেন বিয়ে করতে চাচ্ছেন।

বিবাহবিডিতে যাদের প্রোফাইল আছে তারা তাদের পছন্দের বিষয়গুলোকে প্রধান্য দিয়ে মুহুর্তের মধ্যেই জীবনসঙ্গী খুঁজতে পারেন। এবং সরাসরি অথবা বিবাহবিডির এক্সিকিউটিভদের মাধ্যমে প্রোপোজাল পাঠাতে পারেন।

বিবাহবিডিতে আপনি আপনার পছন্দের প্রফেশন, পাত্র-পাত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা, জেলা, আর্থিক অবস্থা, বৈবাহিক অবস্থা, বর্তমান অবস্থান, বর্ন, গোত্র, ধর্ম সহ ১৮ টি সার্চ ক্যাটাগরীর মাধ্যমে চাহিদা অনুযায়ী কাংখিত সঙ্গীকে সহজেই খুঁজতে সক্ষম হবেন।

তাছাড়া আপনার প্রদত্ত সঙ্গী বাছাইয়ের বিবরন (পার্টনার প্রেফারেন্স) এর সাথে মিলিয়ে বিবাহবিডি সার্চ ইঞ্জিন স্বয়ংক্রিয় ভাবে ডাটাবেইজের সেই সব প্রোফাইল খুঁজে আপনার সামনে এক নিমিষেই হাজির করে।

পছন্দের পার্থক্য

দু’জন আলাদা মানুষের মধ্যে যে পছন্দের পার্থক্য থাকবে এ তো স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু অনেক সময় এর থেকেই আসে মতবিরোধ। কিন্তু খেয়াল মতবিরোধ যেন ঝগড়ার আকার না নেয়।

সম্বন্ধ হোক বা অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ, নিজের সঙ্গী এবং নতুন জীবন নিয়ে সকলের মনেই একটা স্বপ্ন থাকে। তবে অনেকসয়মই মনের মিল হলেও দেখা য়ায় সঙ্গীর সঙ্গে নানা বিষয়ে পছন্দের পার্থক্য রয়েছে। বিয়ের দিন যত এগিয়ে আসে, নতুন জীবন শুরু করার আগে সঙ্গীকে নিয়ে কনফিউশন হওয়া অস্বাভাবিক নয়। বিশেষ করে দু’জনের মধ্যে যদি পছন্দ অপছন্দের পার্থক্যটা বেশি হয় তাহলে তা আরও বড় হয়ে দেখা দেয়।

সাব্বির আর ফারজানার গল্পটাই ধরুন না। বিয়েটা ঠিক হয়েছিল সম্বন্ধ করেই। তারপর দু’জনেই একবছর সময় চেয়ে নেয় মেলামেশা করার জন্য। দু’জনের পরিবারেরও সকলেই এই সম্পর্কে খুশি। কিন্তু একটা সমস্যা ফারজানাকে প্রায়ই ভাবিয়ে তোলে। সাব্বিরকে তাঁর এমনিতে খুবই পছন্দ। হ্যান্ডসাম চেহারা, ভাল চাকরি, সুন্দর পার্সোনলিটি। কিন্তু ফারজানার সঙ্গে তাঁর পছন্দের আকাশপাতাল তফাৎ। ফারজানার পছন্দ লেটেস্ট বলিউড মুভি। আবার সাব্বির ভালবাসে থিয়েটার, নাটক। ফারজানা কন্টিনেন্টাল ডিশ প্রেফার করে। সাব্বির আবার বাঙালি কিংবা মোগলাই খানা ছাড়া মুখেই তুলবে না। বিয়ের পর ফ্ল্যাট উত্তরা হবে নাকি বসুন্ধরা, সেখানেও মতবিরোধ। ফলে টুকটাক ঝামেলা লেগেই থাকে। যদিও ঝগড়া মিটেও যায়। কিন্তু রিয়ার প্রশ্ন, ছোটখাট সব বেশিরভাগ বিষয়ে যদি মতের অমিল হয়, তাহলে সারা জীবন একসঙ্গে কাটানো যে মুশকিল! এদিকে বিয়ের দিন ক্রমশ এগিয়ে আসছে।

•  আমাদের নিজস্ব চিন্তাভাবনা, মতামত নিয়েই গড়ে ওঠে আমাদের স্বতন্ত্র ব্যক্তিত্ব। এই ব্যক্তিত্বই আকর্ষণ করে অন্য ব্যক্তিত্বকে। আপনার প্রিয় মানুষটির স্বাতন্ত্রর জন্যেই তো তাকে ভালবাসেন। সেই নিজস্বতাকে বাদ দিয়ে মানুষটিকে তো কল্পনাই করা যায় না। সেইজন্যে যাঁকে ভালবাসেন তাঁর ভালমন্দ সব মিলিয়েই বাসুন। তবে তার মানে কিন্তু আপনার পছন্দ অপছন্দ বিসর্জন দেওয়া নয়। নিজেদের ব্যক্তিগত পছন্দের সূক্ষ্ম ভারসাম্য বজায় রাখা সম্পর্ক বজায় রাখার একটা প্রধান শর্ত। আপনার সঙ্গী যদি সেটা না বোঝেন, তা হলে একটু কৌশলী হওয়ার দায়িত্ব আপনার উপরেই বর্তাবে। তবে একটা মানুষকে বদলে ফেলার চেষ্টা করলে ভুল করবেন।

• যখনই কোনও পারিবারিক বা ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ভাববেন, তখন একবার সঙ্গীর মতামত নিন। ওঁর মতামতকে গুরুত্ব দিন। এভাবে যদি আপনি ওঁর পছন্দ-অপছন্দকে মেনে চলেন। তা হলে উনিও আপনার মতামতকে গুরুত্ব দেবেন। ফলে নিজেদের মধ্যে অশান্তিও কমে যাবে।

•  নিজেকে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল ও আপডেটেড রাখার চেষ্টা করুন। তা হলে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় তার সপক্ষে যুক্তিটা ভাল করে সাজাতে পারবেন। প্রয়োজনীয় তথ্য থাকলে অন্যকে কনভিন্স করতে সুবিধে হবে।            

•  নিজের পছন্দ-অপছন্দ কখনও জোর করে আপনার সঙ্গীর উপর চাপাবেন না। ওঁকে নিজের বক্তব্য প্রকাশ করার স্বাধীনতা দিন। এরপর যদি উনি আপনার উপর কিছু চাপিয়ে দিতে যান, তা হলে নিজের উদারতার কথা মনে করিয়ে দিন।

•  খাওয়াদাওয়া, জামাকাপড়, বেড়াতে যাওয়া, এইসব সিদ্ধান্ত ,সবসময় নিন সঙ্গীর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে। তাহলে দুজনে মতামতই গুরুত্ব পাবে। একজন হুকুম করছেন, অন্যজন সেই হুকুম মেনে চলছেন, সিচুয়েশনটা যেন কখনই এরকম না হয়।

•  আপনার সঙ্গী যদি আপনাকে ডমিনেট করতে চেষ্টা করেন, তাহলে তাঁর সঙ্গে তর্কাতর্কিতে না গিয়ে একটা ছোটখাট চুক্তি করে নিন। একে অন্যের কথা মেনে চলা এবং নিজের স্বাধীন মতামতের মিশেল দিয়ে তৈরি করুন আপনাদের চুক্তির শর্ত। পুরো ব্যাপারটা সিরিয়াস পর্যায়ে টেনে না গিয়ে, একটা মজার আবহে রাখুন। এতে কাজ বেশি হবে। 

প্রথম দেখা, প্রথম কথা

যাঁর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন, তাঁকে কোনওদিন দেখেননি! কিছুই জানেন না তাঁর ব্যাপারে। মনের মধ্যে চাপা উত্তেজনা বশে রেখে বরং উপভোগ করুন মুহূর্তগুলোকে।  গল্পগুজবের ফাঁকে চিনে নিন পরস্পরকে। এটাই ব্লাইন্ড ডেট-এর সার্থকতা সেখানেই।

সম্পূর্ণ অচেনা-অজানা একজন মানুষের সঙ্গে সাক্ষাৎ।  অবশ্য এ আবার যে-সে সাক্ষাৎ নয়, একেবারে ব্লাইন্ড ডেট! তবে ব্লাইন্ড ডেট-এর সঙ্গে আর পাঁচটা ডেট-এর তফাৎ হল, এক্ষেত্রে আপনি উলটোদিকের মানুষটির ব্যাপারে কিছুই জানেন না।  মনের মধ্যে এক ধরনের চাপা উৎকণ্ঠা আর উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণ করাই দায়! সাধারণত, বন্ধুবান্ধব বা পরিচিতরাই আয়োজন করেন এ ধরনের ডেট।  তবে, ডেটিংয়ে পৌঁছে আপনার অনুভূতি কীরকম হবে, সে নিশ্চয়তা কেউই দিতে পারবেন না! তা বলে কি ব্লাইন্ড ডেটে যাবেন না? অন্তত একবার তো এরকম অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতেই পারেন। শুধু মাথায় রাখুন কয়েকটি বিষয়:

  • কোনও প্রত্যাশা নিয়ে যাবেন না। যদি ভাবেন আপনার স্বপ্নের মানুষটিকে আপনি খুঁজে পাবেন, তাহলে আশাহত হতে পারেন।  আপনার প্রিন্স চার্মিংয়ের কথা ভেবেছেন আর বাস্তবের মানুষটি একেবারে আলাদা হতে পারে।
  • কথাবার্তার শুরুতেই উলটোদিকের মানুষটার সম্পর্কে কোনও ধারণা তৈরি করে ফেলবেন না। কারও ব্যাপারে সম্যক ধারণা তৈরি করতে একটা ব্লাইন্ড ডেট মোটেও যথেষ্ট নয়। তবে গল্পগুজবের মাধ্যমে একটা প্রাথমিক ধারণা তৈরি হয়েই যাবে।  তার ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নিন ভবিষ্যতে আবার এই লোকটির
  • সঙ্গে দেখা করবেন কি না। মনে রাখবেন, প্রত্যেকটা মানুষের মধ্যেই কিছু না কিছু ইন্টারেস্টিং এলিমেন্ট থাকে। সেই ছোট ছোট দিকগুলো উপভোগ করার চেষ্টা করুন।
  •  যদি মনে হয় একেবারে ভুল লোকের সঙ্গে ডেটিং করে দিনটাই মাটি হয়ে গেল, তাহলেও আফশোস করবেন না। খাওয়াদাওয়া, ড্রিংক উপভোগ করুন।  আগে থেকেই ঠিক করে নিন কোনও নতুন রেস্তরাঁয় যাবেন, কোনও নতুন ডিশ ট্রাই করবেন।  যদি খুব বোরিং লাগে, তাহলে সংক্ষিপ্ত কথায় সেরে ফেলুন।
  • একেকজন মানুষের ব্যক্তিত্ব একেক রকমের।  হতেই পারে যে উলটোদিকের মানুষটির সঙ্গে
  • প্রেম সম্ভব নয়। কিন্তু তিনি অন্য নানা বিষয়ে বেশ খোঁজখবর রাখেন। তাহলে সেই বিষয়ে নিজেকে সমৃদ্ধ করে তোলার সুযোগটা হারাবেন না যেন।  বন্ধুত্ব রাখা যেতেই পারে।
  •  অতিরিক্ত খাবার গ্রহন করে ফেলবেন না। আর সেন্স অফ হিউমার বজায় রাখা দু’পক্ষের জন্যই জরুরি।

কোর্টশিপে যা করবেন না

দীর্ঘদিনের প্রেমপর্বই হোক বা দেখেশুনে অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ – চার হাত এক হওয়ার আগে কোর্টশিপের এই সময়টা সকলের জন্যই বিশেষ গুরুত্বের। যে মানুষটার সঙ্গে সারাজীবন থাকবেন বলে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে চলেছেন তাঁকে একবার পরখ করে নেবেন না!

অবশ্য লাভ ম্যারেজের ক্ষেত্রে সঙ্গীকে চেনার প্রক্রিয়াটা অনেকদিনের। রোজই তাঁকে একটু একটু করে নতুন করে আবিষ্কার করার সময়-সুযোগও বেশি। দেখেশুনে বিয়ের ক্ষেত্রে কিন্তু এতটাও বিলাসিতার জায়গা থাকে না। বরং, সম্পূর্ণ অচেনা-অজানা একজনের সঙ্গে একছাদের তলায় দীর্ঘজীবন কাটানোর আগে কম্প্যাটিবিলিটি মিলিয়ে দেখে নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে বই কী! তবে কোর্টশিপে দু’টো মানুষ কীভাবে নিজেদের মতো করে সময় কাটাবেন, সেটা একান্তই তাঁদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে কোর্টশিপের সময়টায় কী কী করবেন না, সেদিকেও একটু খেয়াল রাখা জরুরি।

  • যদিও আপনি আপনার বাগদত্তার সঙ্গে নিরিবিলিতে যতটা সম্ভব বেশি সময় কাটাতে চাইবেন, কিন্তু কখনওই যেন তিনি হাঁফিয়ে না ওঠেন। সম্পর্কের প্রাথমিক শর্তই হল একে অপরকে স্পেস দেওয়া। আপনার নানা প্রশ্নের উত্তর তিনি দেবেন অবশ্যই, কিন্তু প্রথমেই নানা অবাঞ্ছিত প্রশ্ন করে ফেললে দমবন্ধকর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। ফলে, উলটোদিকের মানুষটি নিজের ভবিষ্যত সম্পর্কে আন্দাজ করে ফেলতে পারবেন! আর সেই ভবিষ্যত মোটেও সুখকর হবে না!
     
  • সঙ্গীর ব্যাপারে পাহাড়প্রমাণ প্রত্যাশা রাখবেন না। আবার আপনিও নিজে থেকে এমন কোনও কথা দিয়ে বসবেন না যা পরে পূরণ করতে না পারেন। শুধু সাময়িকভাবে ভাল থাকার জন্য এমন কোনও কমিটমেন্ট করবেন না যা মিথ্যে। সত্যি কথা বলুন। এর মাধ্যমেই পারস্পরিক বিশ্বাস অর্জন করতে পারবেন।
     
  • কোর্টশিপের সময়ে অযথা নিজের অতীত নিয়ে ঘাঁটবেন না। সঙ্গীর অতীত সম্পর্ক নিয়েও বেশি জলঘোলা করার প্রয়োজন নেই। তার মানে এই নয় যে একে অপরের কাছে অতীত সম্পর্ক লুকোবেন। এতে পরে আরও জটিলতা হতে পারে। কিন্তু একে অপরের প্রতি এই বিশ্বাসটা থাকা প্রয়োজন যে অতীতের কোনও রেশ আপনাদের বর্তমান সম্পর্কে পড়বে না। সংবেদনশীল মানসিকতা নিয়ে এগোন। উলটোদিকের মানুষটার কথাও শুনুন। শুধু নিজেই একতরফা বলে যাবেন না।
     
  • শর্তসাপেক্ষে সম্পর্কে রাজি হবেন না। বিয়ের পর চাকরি ছাড়তে হবে বা সঙ্গীর পছন্দসই জীবনযাপন করতে হবে—এরকম শর্ত মেনে নিলে বিয়ের পর সমস্যা হতে পারে। এগুলো সঙ্গীর ডমিনেন্ট মানসিকতার পরিচায়ক। আজ কেরিয়ার নিয়ে কোনও শর্ত চাপিয়ে দিলে আগামী দিনে উনি আপনার ব্যক্তিগত জীবন, পছন্দ-অপছন্দও নিয়ন্ত্রণ করতে চাইবেন।
     
  • ভান করবেন না। ধরুন, আপনার স্কাইডাইভিং পছন্দ নয়। আপনি তা খোলাখুলি জানিয়ে দিন। আপনি রান্না করতে না জানলেও লুকোনোর কিছু নেই। নিজের স্বকীয়তাকে লুকিয়ে রাখবেন না। সুত্রঃ সানন্দা

সঙ্গীর সন্তানই প্রায়োরিটি

যাঁকে মনে ধরেছে, তিনি হয়তো কারওর মা কিংবা বাবা। তা বলে প্রেমে বাধা কোথায়! প্রেমিক বা প্রেমিকার সন্তান থাকলেও দিব্যি সম্পর্ক তৈরি করতে পারেন। শুধু সন্তানকে প্রায়োরিটি দেওয়া জরুরি।

কে ভবিষ্যতের সঙ্গী হিসেবে ভেবে নিয়েছেন, হতেই পারে তিনি একটা সময়ে বিবাহিত ছিলেন! আর তিনি হয়তো এক বা দুই সন্তানের মা কিংবা বাবা।কিন্তু এসবে কি আর প্রেম আটকায়! যাঁকে মনে ধরেছে, তাঁর সঙ্গে দেখা করতে ইচ্ছে করবে, সেটা স্বাভাবিক। আর সেই ইচ্ছের সৌজন্যেই নিয়মিত ডেটিং। কফিশপে, রেস্তরাঁয়, লং ড্রাইভে…সঙ্গী সেই বিশেষ বন্ধুটি। কিন্তুটি তাঁর সন্তানকে তো অগ্রাহ্য করলে চলবে না! তিনিও তা চাইবেন না। হ্যাঁ, নিজেরা কিছুটা সময়ে একান্তে কাটাতেই পারেন। 

কিন্তু একই সঙ্গে জরুরি হল হবু সঙ্গীর সন্তানকে আপন করে নেওয়া। সন্তান-সহ কাউকে ডেট করার আগে কয়েকটা বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন। আপনি হয়তো আগ্রহী তাঁর ছেলে বা মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে! তবে উত্তেজনায় খুব তাড়াহুড়ো করে ফেলবেন না। আগে নিজেকে মানসিক ভাবে প্রস্তুত করুন। সাধারণত, এই পর্যায়ে এসে ক্যাজ়ুয়াল ডেটিংয়ের ইচ্ছে আপনার সঙ্গী প্রকাশ করবেন না।তিনি যদি আপনাকে জীবনসঙ্গী নির্বাচন করবেন বলে ভাবেন, তা হলে আপনারও প্রয়োজন নিজেকে মানসিক ভাবে প্রস্তুত করে তোলা। শুধুমাত্র প্রেমিক বা স্বামী নয়, সম্পর্কের অব্যবহিত পর থেকেই আপনাকে বাবা-মা বা কেয়ারগিভারের দায়িত্ব সামলাতে হবে। 

আগে নিজেকে জিজ্ঞেস করুন, সেই দায়িত্ব নিতে আপনি তৈরি তো! বাচ্চাটির সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে তোলা জরুরি। একজন নতুন মানুষকে সে তার জীবনে জায়গা করে দিতে চলেছে—এর প্রতিক্রিয়া এক একটি বাচ্চার এক একরকম। তাই, ওর মনোজগৎটা বোঝা একান্ত দরকার। ডেটিংয়ের জায়গা নির্বাচনের ক্ষেত্রেও সন্তানকে প্রায়োরিটি দিতে হবে। কোনও কিড-ফ্রেন্ডলি কাফে বা পার্কে যেতে পারেন। ডেটিংয়ের যাবতীয় পরিকল্পনা শেষ মুহূর্তে বাতিলও হতে পারে! সৌজন্যে সন্তানের শরীর খারাপ বা পরীক্ষার চাপ। সেরকম পরিস্থিতির জন্যও তৈরি থাকতে হবে। সঙ্গীকে ভালবাসার অর্থ এখানে তাঁর ছেলেমেয়েকেও সমান ভাবে ভালবাসা। আর এটি সচেতন সিদ্ধান্তের মাধ্যমেই সম্ভব। উনি যদি তাঁর প্রাক্তন স্বামী বা স্ত্রীর সঙ্গে সন্তানের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কারণে যোগাযোগ রাখেন, তা হলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবেন না। 

যদি কোনও কারণে নিরাপত্তাহীনতা তৈরি হয়, সেক্ষেত্রে সঙ্গীর সঙ্গে আলাদা করে কথা বলুন, সন্তানের সামনে নয়।সন্তানের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো আপনার সঙ্গী ও তাঁর প্রাক্তন নিতেই পারেন। কিন্তু প্রাক্তনের সঙ্গে তিনি ঠিক কতটা সম্পর্ক রাখবেন, সে ব্যাপারে পারস্পরিক সিদ্ধান্তে আসা চাই। সুত্রঃ সানন্দা

ট্রেডিশনাল ঘটক বনাম বিবাহবিডি ডট কম

একজন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ ও নারীর জীবনে অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি সিদ্ধান্ত হচ্ছে ‘বিবাহ’ এবং দাম্পত্য জীবন নিয়ে প্রতিটি মানুষের থাকে বিভিন্ন রকম আশা ও স্বপ্ন। একটি বিয়ে শুধু দুজন ব্যক্তির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং তৈরী করে দুটি পরিবারের মধ্যে সামাজিক বন্ধন। তাই একটি পরিবার সামাজিক ভাবে আরেকটি পরিবারের সাথে বন্ধন তৈরীর পূর্বে অনেক হিসেব নিকেশ করে থাকে।  এজন্য সঠিক ও যোগ্য পাত্র/পাত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রতিটি পরিবার নিজেদের চাহিদাকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকে বারংবার, এক্ষেত্রে অতিরিক্ত আবেগ বা আপোসকামীতা বয়ে আনতে পারে দুটি জীবনে অসহনীয় যন্ত্রনা ।

পরিবারের কোন সদস্যের বিয়ের জন্য উপযুক্ত সঙ্গী নির্বাচনে আমরা সাধারনত সাহায্য নিয়ে থাকি নির্ভরযোগ্য কোন মাধ্যমের। কখনো তা নিকট আত্মীয়, কখনো প্রফেশনাল ঘটক, আবার কখনো প্রযুক্তি নির্ভর অনলাইন ম্যাট্রিমনিয়াল ওয়েব পোর্টালের।

প্রশ্ন হচ্ছে সম-সাময়িক বিবেচনায় ঘটক কিংবা ম্যাট্রিমনিয়াল ওয়েব পোর্টাল বিবাহবিডি ডট কমের মধ্যে কোনটি বেশী গ্রহন যোগ্য, আস্থাশীল এবং দ্রুততর? বিবাহবিডি উপস্থাপন করছে এমনই তুলনামূলক কিছু তথ্য যা আপনাদের প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে সহায়ক হবে।

আসুন দেখি একটি তুলনা মূলক পার্থক্য –

১।  নিবন্ধনঃ


ঘটক: একজন শহরের প্রফেশনাল ঘটকের কাছে পাত্র-পাত্রীর বায়োডাটা জমা দেয়ার সময় নিবন্ধন ফী হিসাবে প্রথমেই এককালীন ফী দিতে হয় যা ক্ষেত্র বিশেষে ৩ থেকে ১৫ হাজার পর্যন্ত হয়ে থাকে।

বিবাহবিডি ডট কম: বিবাহবিডি ডট কম মূলত পাত্র-পাত্রী খোঁজার ও সরাসরি নিজেরাই যোগাযোগ করার জন্য বিশেষ ভাবে তৈরি করা একটি অনলাইন বেইজ সার্চ ইঞ্জিন। এখানে রেজিষ্ট্রেশন সম্পূর্ন ফ্রী। যে কেউ বিশ্বের যেকোন প্রান্ত থেকে সহজেই ফ্রী রেজিষ্ট্রেশন করতে পারে। এক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা, প্রফেশন, প্রোফাইল ভ্যারিফিকেশন এর উপর ভিত্তি করে বিবাহবিডি একটি ইউজার গ্রেড নিশ্চিত করে তারপরই প্রোফাইল এক্টিভেট করে এবং ৩ দিনের ফ্রী ট্রায়াল মেম্বারশীপ প্রদান করে, যেনো ব্যবহারকারী লগিন করে পছন্দের প্রোফাইল গুলো দেখে সহজেই বাছাই করতে পারে।

২।  পছন্দ ও যোগাযোগঃ


ঘটক: এক জন ঘটকের কাছে নিবন্ধন পরবর্তীতে প্রতিবার পাত্র-পাত্রীর সন্ধান ও মুখোমুখি সাক্ষাতের জন্য আপনাকে গুনতে হবে ২ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত।  ফলে আপনি চাইলেও সময় ও অর্থের কথা ভেবে খুব বেশী যাচায় বাছাই করার সুযোগ পাবেন না।  এক্ষেত্রে আপনার পছন্দের ব্যাপারে ঘটকের উপরই নির্ভর করতে হবে।  নিত্যনতুন বায়োডাটা দেখতে ও নিজেরাই পাত্র-পাত্রী কিংবা অভিভাবকের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করার কোন সুযোগ ঘটকের কাছ থেকে পাওয়া যায় না।

বিবাহবিডি ডট কম: বিবাহবিডি পাত্র পাত্রীর মধ্যে কোন রকমের মধ্যস্থতা করে না। এখানে আপনি নিজেই ঘরে বসেই কম্পিউটারে/মোবাইলে বিবাহবিডির ডাটাবেইজের সর্বশেষ সংগ্রহিত/ এক্টিভেট করা প্রোফাইল গুলো দেখে পাত্র-পাত্রী কিংবা তাদের অভিভাবকের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবেন। এজন্য বিবাহবিডিতে রয়েছে ৪ টি সহজলভ্য বিভিন্ন মেয়াদী মেম্বারশীপ প্যাকেজ। যার মাধ্যমে পাত্র-পাত্রীর পরিবার একে অন্যের সাথে তাৎক্ষনিক যোগাযোগ করতে পারে।

৩।  বায়োডাটা সংগ্রহ ও ব্যাপ্তিঃ


ঘটক: একজন ট্রেডিশনাল ঘটক নির্দিষ্ট একটি এলাকা/মহল্লার মধ্য সীমিত তথ্য নিয়ে তার পেশাগত দায়িত্ব পালন করে থাকে এবং অতি সনাতন পদ্ধতিতে।

বিবাহবিডি ডট কম:  বিবাহবিডি সম্পূর্ন অনলাইন ভিত্তিক সেবা নিশ্চিত করে। তাই বিশ্বের যেকোন দেশ ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে  পাত্র-পাত্রী বা অভিভাবকেরা প্রোফাইল দেখে নিজেরাই সরাসরি যোগাযোগ করতে পারে।  তাই এর ব্যাপ্তি বিশ্বব্যাপী এবং তা সমকালীন একটি আধুনিক সেবা।

৪।  বায়োডাটার তথ্য যাচাই ও সত্যতাঃ


ঘটক: প্রফেশনাল ঘটকের কাছে যে বায়োডাটা থাকে তা কতটুকু গ্রহনযোগ্য, তার সত্যতা নিয়ে আপনার সংশয় থাকতে পারে।  এবং একজন ঘটক কখনোই তার গ্রাহক প্রদত্ত বায়োডাটা গুলোর ভেরিফিকেশনের দায়িত্ব নেয় না।

বিবাহবিডি ডট কম: বিবাহবিডি প্রোফাইল এক্টিভেট/সক্রিয় করার পূর্বে নিজস্ব কাষ্টমার সাপোর্ট টিম দ্বারা তা ভেরিফাই করে এবং পাত্র/পাত্রী ও অভিভাবকের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত হওয়ার তারপরই একটি প্রোফাইল একটিভ করে।  এক্ষেত্রে প্রোফাইল ভেরিফিকেশনের  জন্য জাতীয় পরিচয় পত্র / জন্ম নিবন্ধন / একাডেমিক সার্টিফিকেট/ প্রবাসীদের জন্য ভিসা, পাসপোর্ট / ডিভোর্সদের জন্য ডিভোর্স সার্টিফিকেট যাচাই করন বিবাহবিডিতে বাধ্যতামূলক।

৫।  প্রোফাইল সার্চ ও ম্যাচমেকিং :


ঘটক: সাধারনত একজন ঘটক তার কাছে থাকা সীমিত বায়োডাটার মধ্যেই আপনার সঙ্গী খুঁজার জন্য আপনাকে বিভিন্ন ভাবে প্রভাবিত করে থাকে এবং এতে ক্ষেত্র বিশেষে ভুল সঙ্গী বাছায়ের সম্ভাবনা থাকে।

বিবাহবিডি ডট কমবিবাহবিডিতে আপনি আপনার পছন্দের প্রফেশন, পাত্র-পাত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা, জেলা, আর্থিক অবস্থা, বৈবাহিক অবস্থা, বর্তমান অবস্থান, বর্ন, গোত্র, ধর্ম সহ ১৮ টি সার্চ ক্যাটাগরীর মাধ্যমে চাহিদা অনুযায়ী কাংখিত সংঙ্গীকে সহজেই খুঁজতে সক্ষম হবেন।  তাছাড়া আপনার প্রদত্ত সঙ্গী বাছাইয়ের বিবরন ( পার্টনার প্রেফারেন্স) এর সাথে মিলিয়ে বিবাহবিডি সার্চ ইঞ্জিন স্বয়ংক্রিয় ভাবে ডাটাবেইজের সেই সব প্রোফাইল খুঁজে আপনার সামনে এক নিমিষেই হাজির করে।

৬।   বিবাহ ঠিক হলে সার্ভিস চার্জঃ


ঘটক: একজন ঘটকের মাধ্যমে বিবাহ সম্পাদনের পর আপনাকে মোটা অংকের চুক্তি ভিত্তিক অর্থ প্রদান করতে হয়, যা ২০ হাজার থেকে কখনো লাখ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।

বিবাহবিডি ডট কম: বিবাহবিডি থেকে আপনি জীবন সঙ্গীখোঁজে পাবার পর বিবাহবিডি আপনার কাছে কখনোই কোন সার্ভিস চার্জ দাবি করবেনা। বরংচ বিবাহবিডিতে আপনার সাকসেস ষ্টোরী শেয়ার করলে বিবাহবিডিই অাপনাকে অভিনন্দন জানিয়ে আপনার ঠিকানায় গিফট পাঠাবে।

সম্মানিত পাঠক, আশাকরি আপনারা উপরোক্ত অালোচনা ও পার্থক্য গুলো থেকে সহজেই সঠিক বিষয়টি অনুধাবন করে নিজেরাই যথাযথ সিদ্ধান্তে উপনিত হতে সক্ষম হবেন।