রোমান্সের ব্যাপারে আমরা খোলামেলা আলোচনা না করলেও, আমরা সবাই স্বীকার করি যে দাম্পত্য সুখের জন্য রোমান্সের গুরুত্ব অনেক। যারা নতুন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, বিয়ের প্রথম দিনের যে অনুভূতিটা পাচ্ছেন ঠিক প্রথম বিবাহ বার্ষিকী পর্যন্ত সেই একই রকম অনুভূতি পাওয়ার জন্য সম্পর্ককের যত্ন করতে হবে, বিষয়টা বলতে যতটা সহজ, মেনে চলা বেশ কঠিন।
বিয়ে করা মানে ভালোবাসা ফিকে হয়ে যাওয়া নয়। বিয়ের পরেও ভালোবাসাকে সতেজ রাখাটা দম্পতি দুজনের উপরই নির্ভর করে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, বিয়ের পর কিছু সময় পার হওয়ার পর দাম্পত্য জীবনের রোমান্স কমতে থাকে। বিশেষ করে বিয়ের পর বাবা, মা হওয়ার পর এই প্রবণতা বেশী বৃদ্ধি পেতে দেখা যায়। এরকম অবস্থা সৃষ্টিতে সঙ্গী একে অন্যকে দোষারোপ করে থাকে।
বিয়ের পরেও ভালোবাসাকে জীবিত রাখতে রোমান্স কে কি ভাবে কাজে লাগাবেন সে বিষয়ে ছোট একটা আলোচনা করা হলোঃ
বিয়ের পরের ডেটিং : বিয়ের আগে যেভাবে একে অন্যের সাথে সময় কাটাতেন ঠিক বিয়ের পরেও চেষ্টা করবেন অন্তত মাসে একবার হলেও দুজনে বাহিরে কোথাও একান্ত সময় কাটাতে এতে করে দাম্পত্য জীবনে ভালোবাসা উচ্ছল থাকবে।
উপহার দিনঃ সঙ্গীকে কোন কারন ছাড়াই প্রায়ই উপহার দিয়ে চমকে দিন এতে সঙ্গী অনেক খুশী থাকবে। ফলে দুজনের মধ্যের ভালোবাসা অটুট থাকে।
সঙ্গীকে প্রশংসা করুনঃ আপনার জীবনে সঙ্গীর গুরুত্ব বোঝানোর জন্য তার প্রশংসা করুন যেমন- দিন শেষে স্ত্রীকে তার সারা দিনের কাজের জন্য প্রশংসা করতে পারেন, সাথে বলতে পারেন যে তাকে জীবন সঙ্গী হিসাবে পেয়ে আপনি অনেক গর্বিত। এরকম প্রশংসা সম্পর্কের গভীরতা বৃদ্ধি পায়।
প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট সময় এক সাথে কাটানঃ সারা দিনের কর্মব্যস্ততার পরে দুজন একটা নির্দিষ্ট সময় ঠিক করে রাখবেন একসাথে সময়টা কাটানোর, এই সময়টা গল্প করে বা নিজেদের পছন্দের কোন গেম খেলে কাটাতে পারেন।
ঘর সাঁজানোর জন্য দুজনে মিলে নতুন পরিকল্পনা তৈরি করুনঃ নিজেদের শোবার ঘর নতুন করে সাজানোর পরিকল্পনা করুন, পরিকল্পনা অনুসারে দুজনে মিলে কাজ করুন এতে একসাথে সময় কাটানো হবে মনও প্রফুল্য থাকবে, ভালোবাসার বৃদ্ধি হবে।
ছোট খাটো মনোমালিন্যতা কে মজার ছলে উড়িয়ে দেওয়াঃ দম্পতিদের মধ্যে যদি কোন মনোমালিন্যতা সৃষ্টি হয় তবে বিভিন্ন মজা ছলে বিষয়টাকে স্বাভাবিক করতে হবে।আরো অনেক উপায় আছে যার মাধ্যমে সহজে বিবাহিত জীবনের রোমান্স কে সারা জীবন একই রকম রাখা যায়, তবে চেষ্টাটা দুজনকে সমান ভাবে করতে হবে। একতরফা চেষ্টায় ভালোবাসা কখনো দীর্ঘস্থায়ী হয়ে টিকে থাকেনা।