দুজন ব্যক্তি মনস্তাত্ত্বিক ভাবে এক হলেই কোন সম্পর্কের সুচনা হয় ।বিবাহিত দম্পতি অথবা প্রেমিক যুগল সব ক্ষেত্রে সম্পর্কের সুস্থতা না থাকলে সম্পর্কে ধরতে পারে ফাটল। সম্পর্ক সুস্থ রাখতে অনেক বিষয় লক্ষ্য রাখতে হয় এবং অনেক বিষয় চর্চা করতে হয়, তবেই সম্পর্ক হয় মধুর। গবেষণায় দেখা যায় যে ‘আমি’ ও ‘তুমি’ এই শব্দের পরিবর্তে যদি ‘আমরা’ শব্দটি ব্যবহার করা হয় তবে অনেক সমস্যার সমাধান আপনা আপনি হয়ে যায়।
‘আমি’ ও ‘তুমি’ এই শব্দের পরিবর্তে ‘আমরা’ শব্দটি ব্যবহার করাকে ‘উই টক’ বলে। ‘উই টক’ এর অনুশীলন বৃদ্ধি করলে সম্পর্কের মনযোগটা ও বৃদ্ধি পায়। ৫,৩০০০ মানুষের উপর ত্রিশটি পরীক্ষা চালিয়ে এই গবেষণা দাঁড় করানো হয়। এর মাঝে অর্ধেক প্রেমিক প্রেমিকা এবং বাকি অর্ধেক বিবাহিত ছিলেন। এই গবেষণায় যে তথ্য গুলোর উপর গুরুত্ব প্রদান করা হয় তা হলো- তাদের সম্পর্ক, আচারন, মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য এবং তারা একে অন্যের প্রতি কতটা যত্নশীল ।
গবেষনায় অংশগ্রহণকারীরা সকলে স্বীকার করেছে যে ‘উই টক’ তাদের কাজে লেগেছে এবং উপকৃত হয়েছে। আমাদের প্রতিদিনের জীবনে, জীবন সঙ্গীর প্রভাব বিদ্যমান। এ প্রভাব দেখা যায় আমাদের কাজে, চিন্তায় ও আচারনে। ‘ইন্টারডিপেন্ডেন্স থিওরি’ দ্বারা এই প্রভাবকে বোঝানো হয়। এই থিওরি অনুসারে, বিপদের সময় সেই সকল দম্পতিরা সফল হয় যারা একে অন্যের প্রতি ভালো চিন্তা ও কাজ করে এবং যত্নশীল হয়। কোন কাজ সঙ্গীরা আমি করছি, না বলে আমরা করছি এবং আমরা কোন সমস্যার সমাধান করছি, এধরণের কথাটা বলা বেশী উপকারী।
দম্পতিদের মধ্যে ভরসার স্থান তখন বেশী হয়, যখন ‘আমরা’ ও ‘আমাদের’ শব্দগুলো বেশী ব্যবহৃত হয়।যে কোন সমস্যার সমাধান করা উভয়ের সমান দায়িত্ব, একসাথে মিলে সব দায়িত্ব পালন করতে হবে।। কোন কোন ক্ষেত্রে ‘উই টক’ হিতে বিপরীত হতে পারে। অনেক সময় সঙ্গীরা একে অন্যের বদ অভ্যাস রপ্ত করে ফেলতে পারে। আবার অনেক ক্ষেত্রে সম্পর্কের সুস্থতা বিবেচনায় সঙ্গীর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের অবস্থা মূল্যায়ণ করতে হবে। যেকোন সম্পর্ক, সেটা দাম্পত্য কিংবা ভালোবাসার যুগল হক, দুজনকে এক হয়ে সকল বিপদ মোকাবেলা করতে হবে। তাহলেই সম্পর্ক হবে সার্থক।