সম্পর্ক তো সবারই হয়, কিন্তু সেই সম্পর্কে মধুরতা আছে কতজনের? এই মধুরতা নিজ থেকে আসে না, এই মধুরতা কেবল স্ত্রীর চেষ্টা থেকেও আসে না। বরং সুখের দাম্পত্য গড়ে তুলতে অনেক ক্ষেত্রেই স্বামীর ভূমিকা স্ত্রীর চাইতে বেশি। স্বামী কেবল নিজেকে অর্থ উপার্জনের মেশিন ভাবলেই চলবে না, বরং স্ত্রী ও সংসারে দিতে হবে সমান মনোযোগ। আজকাল অসংখ্য নারী চাকরি বা ব্যবসা করেন, কর্মজীবনে ব্যস্ততা তাদেরও আছে। তাই কর্মজীবনের বাহানায় স্ত্রীকে অবহেলা করার দিন ফুরিয়েছে।
আপনাকে নিয়ে স্ত্রীর অভিযোগের শেষ নেই? কিংবা সংসারে শান্তি রক্ষা করতে চান সবসময়ে? এই ফিচারটি তবে আপনারই জন্য! জেনে নিন কিছু দারুণ টিপস।
পরিকল্পনা করুনঃ বিয়ে হয়ে গেছে, ছেলে পুলে হয়ে গেছে, তাই বলে ফুরিয়ে গেছে দাম্পত্য? একদমই নয়। বরং এখনই সম্পর্কের পেছনে অধিক সময় দিতে হবে। স্ত্রী এমন কেউ নয় যে চিরকাল আপনার সাথে থাকতে বাধ্য। ভালোবাসা ও যত্ন না পেলে তার মনও অন্যদিকে চলে যেতেই পারে, তাই না? তাই কেবল জীবন নিয়ে পরিকল্পনা না করে সম্পর্ক নিয়েই করুন। কীভাবে দুজনে ভালো সময় কাটাবেন, কোথায় বেড়াতে যাবেন, কী উপহার দেবেন, কী বলবেন ইত্যাদি নিয়ে ভাবাও জরুরী। কারণ আমরা তাঁকে নিয়েই ভাবি, যে আমাদের জন্যে বিশেষ।
প্রতিদিন জানুনঃ সম্পর্কের একটা ভিত্তি থাকে। আর সেই ভিত্তি হচ্ছে ভালোবাসা। তাই প্রতিদিন সেই ভালোবাসার ভিত্তি স্পর্শ করুন। তাঁকে জানান যে ভালোবাসেন। তার সাথে কথা বলুন। তিনি কেমন আছেন জানতে চান। নিজের কোথাও তাঁকে জানান।
সংসারের দায়িত্বে আপনার ভূমিকা কী? সংসার স্ত্রীর একার নয়, আপনারও। সমস্ত বড় সিদ্ধান্তগুলো দুজনে একসাথে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিন। যেসব ব্যাপারে আপনি একাই সিদ্ধান্ত নিতেন, সেগুলোতে স্ত্রীকে ডাকুন। যেসব কাজ স্ত্রী একাই করেন, সেগুলোতে আপনি সাহায্য করুন।
বুঝতে শিখুন একটি বিশেষ ব্যাপার : মানুষ কোন মেশিন নয় যে আজীবন একই রকম চলবে। মাঝে মাঝে সকল মানুষেরই একটু বিশ্রাম দরকার হয়, রোজকার জীবন থেকে একটু ব্রেকের প্রয়োজন হয়। এই ব্রেক আমাদেরকে সম্পর্ক পরিচালনা করতে উজ্জীবিত করে থাকে। তাই, নিজের যখন অবসর চাই বুঝতে শিখুন। সঙ্গী কখন অবসর চাইছে সেটাও বুঝে নিন আর সেই সময়ে তাঁকে একটু নিজের মত থাকতে দিন।
কৃতজ্ঞতা প্রকাশে কেউ ছোট হয় না : তিনি আপনার জীবনে আছে বলেই জীবন সুন্দর, সংসার সুন্দর, আপনার জীবন চমৎকার ভাবে চলছে। বিষয়টি যদি এমন হয়ে থাকে তবে কৃতজ্ঞতা জানাতে ভুলবেন না। ভালোবাসার মানুষকে যত ধন্যবাদ জানাবেন, সম্পর্ক তত সুন্দর হতে উঠবে।
কিছু নিয়ম জরুরী: রোজকার কাজে কিছু নিয়ম মেনে চলাই উচিৎ। যেমন ধরুন, শাওয়ার শেষে টাওয়েল আপনি বিছানাতেই ফেলে রাখেন। কী দরকার বলুন তো? একটু কষ্ট করে বারান্দায় মেলে দিন কিংবা নিজের জুতগুলো গুছিয়ে রাখুন।
কীভাবে আপনাদের সংসার চলবে সেই বিষয়ে কিছু নিয়ম দুজনে একসাথে বসে তৈরি করে নিন আর সেগুলো মেনে চলুন। অনেক সমস্যাই সহজ হয়ে যাবে।
একজন চমৎকার স্বামী হয়ে ওঠার চর্চাটি প্রতিদিনের, একদিন দুদিনে তা ফুরিয়ে যায় না। তাই প্রতিদিন করুন সম্পর্কের চর্চা।