সুসম্পর্কের জন্য চাই ‘কাডলিং’ বা ‘আলিঙ্গন’

ভালোবাসা ও ভালোলাগার কোন দিন নেই৷ তবু্ও ভ্যালেন্টাইন উইকে একটি বিশেষ দিন রাখা হয়েছে শুধু মাত্র আলিঙ্গনের জন্য, ‘আলিঙ্গন দিবস’। আর সে আলিঙ্গনটি হতে পারে প্রিয় মানুষ, প্রিয় প্রাণীটির সঙ্গেও।  যখন মন খারাপ থাকে, কারো সঙ্গ পেতে ইচ্ছে করে তখন নিশ্চয়ই আমরা চাই প্রিয় মানুষটিকে জড়িয়ে ধরে একাকিত্ব কাটিয়ে উঠতে। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, মানুষকে আলিঙ্গন করলে, এমনকি পোষা প্রাণী এমনকি টেডি বিয়ারকেও জড়িয়ে ধরলে স্বাস্থ্যের ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে।

অনেক গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষে মানুষে আলিঙ্গন এমনকি সামান্য স্পর্শ প্রয়োজন সার্বিক মানসিক ও ইমোশনাল ভালো থাকার জন্য।  বিশেষ করে আলিঙ্গন মনোগত বিকাশ উন্নত করে, রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা উজ্জীবিত করে, স্ট্রেস হরমোন কর্টিসোল মান কমায় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

কাউকে জড়িয়ে ধরার ফলে সম্পর্ক আরও গাঢ় ও সুন্দর হয় বলে মনে করা হয়।  বিশেষজ্ঞরাও বলছেন,

সুসম্পর্কের জন্য চাই ‘কাডলিং’ বা ‘আলিঙ্গন’।  সম্পর্কে নৈকট্য ভীষণভাবেই জরুরি। একে অপরকে অনুভব করার মধ্যে দিয়েই প্রাণ পায় সম্পর্ক। সম্পর্কে স্পর্শের গুরুত্ব তাই অপরিসীম। ব্যস্ততার কারণে আমরা অনেক সময় সঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্কে এতোই দূরত্ব তৈরি করে নেই, যে পাশাপাশি দুজন মানুষ হয়তো বাস করছি, কিন্তু কেউ হয়তো কারও স্পর্শও পাচ্ছে না। এতে দুজনের সম্পর্কে দূরত্ব আরও বাড়ছে আর হালকা হচ্ছে মনের বাঁধনও। বাড়তি সময় পাচ্ছেন না, ঘর থেকে বের হওয়ার সময় প্রিয় মানুষটিকে একটু কাছে নিয়ে বিদায় বলুন, সারাদিন এই ভালোলাগা ঘিরে রাখবে দুজনকেই। এবার সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে একটু ভালোবাসার ছোঁয়ায়ই তাকে ওয়েলকাম করুন। সারাদিনের কাজ শেষে মুভি দেখতে বসেছেন, মাথাটা তার কাঁধে রাখতেই পারেন। গুড মর্নিং আর গুড নাইট বলার অভ্যাস না থাকলে আজ থেকেই শুরু করুন, প্রিয়জন দূরে থাক বা কাছে, ভালোবাসার একটু ছোঁয়া যেন সে অনুভব করে ২৪ ঘণ্টা, সপ্তাহে সাত দিন…পুরো বছর, সারা জীবন।

সুসম্পর্কের জন্য ‘কাডলিং’ বা ‘আলিঙ্গন’ প্রয়োজনয়ীতার পেছনে বেশকিছু যুক্তি দিয়েছেন গবেষকরা। আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনে সেই যুক্তি সকল তুলে ধরা হল-
১। ‘কাডলিং’ আপনার মনকে খুশি রাখে।  সম্পর্কে ইতিবাচক এনার্জি দেয়।
২। ‘কাডলিং’ ব্যথা, যন্ত্রণারও উপশম ঘটায় এবং মানসিক চাপ কমায়।
৩।  পার্টনারের সঙ্গে বন্ডিংকে আরও পাকা করে।
৪।  ‘কাডলিং’য়ের ফলে সবাই নিজেকে নিরাপদ অনুভব করে।
৫।  সম্পর্কে মনোমালিন্য কমে।
৬।  উষ্ণতা সম্পর্কের একঘেয়েমি কাটিয়ে বৈচিত্র্য আনে।
৭। ‘কাডলিং’-এর মাধ্যমে আপনি যে তাকে বিশ্বাস করেন, তা কথায় না বলেও বুঝিয়ে দেওয়া সম্ভব।

এই সবদিক বিবেচনা করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘কাডলিং’ আপনাকে আরও হাসিখুশি ও স্বাস্থ্যবান করে তোলে। যা আপনাকে একটি সুন্দর সম্পর্ক গড়ে তুলতে সাহায্য করে।
সুত্রঃ সংগ্রহিত