সম্পর্ক সুন্দর ও দীর্ঘমেয়াদী করার জন্য, সঙ্গীর মনের ওপরে চিরকাল আপনার দখল বজায় রাখার জন্য প্রয়োজন দুজনের মধ্যে মানসিক যোগাযোগটাকে ভালো করা। আর মানসিক যোগাযোগ ভালো করতে হলে দুজনকেই হতে হবে সচেষ্টা। আসুন জেনে নেয়া যাক ছোট্ট সেই কাজগুলো সম্পর্কে, যেগুলো সঙ্গীর মনকে চিরকাল রাখবে আপনারই!
মন দিয়ে সঙ্গীর কথা শুনুন
সঙ্গীর সাথে মানসিক যোগাযোগ বাড়িয়ে তোলার জন্য সঙ্গীর কথা মন দিয়ে শুনুন। আপনার সঙ্গী যখন আপনার সাথে গল্প করে কিংবা খুব আগ্রহ নিয়ে কোনো কথা বলতে আসে তখন তার কথা গুলো আগ্রহ নিয়ে শুনতে চেষ্টা করুন। আপনি যদি তার কথা শুনতে আগ্রহ প্রকাশ না করেন তাহলে সে মনঃক্ষুণ্ণ হবে এবং পরবর্তিতে আপনার সাথে মন খুলে কথা বলতে চাইবে না। ফলে আপনার সাথে তার মানসিক যোগাযোগ সৃষ্টি হবে।
সারাদিনের কথা জিজ্ঞেস করুন
দিনের শেষে আপনার সঙ্গীকে তার সারাদিনের কথা জিজ্ঞাসা করুন। দিনটি কেমন কেটেছে, কী করেছে সে সারাদিন, কী খেয়েছে ইত্যাদি বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করুন। তাহলে আপনার সঙ্গী বুঝতে পারবে যে আপনি তার ব্যাপারে আগ্রহী এবং যথেষ্ট যত্নশীল। একই সঙ্গে নিজেদের প্রাত্যহিক সুবিধা অসুবিধা গুলোর কথা আলাপ আলোচনার মাধ্যমে মানসিক যোগাযোগটা আরো ভালো হবে।
সর্বজান্তা ভাব দেখাবেন না
আপনার সঙ্গী যখন আপনাকে কিছু বলে তখন সর্বজান্তা ভাব দেখাবেন না। এমন অনেক কিছুই আছে যা আপনি জানেন। সেই বিষয়টি যদি আপনার সঙ্গী খুব আগ্রহ নিয়ে আপনাকে বলতে চায় তাহলে আপনিও আগ্রহ নিয়েই শুনুন। সব সময়েই ‘জানি’ বলে সঙ্গীর কথা বলার আগ্রহ কমিয়ে দেবেন না। সর্বজান্তা ভাব দেখালে আপনার সাথে তার মানসিক দূরত্বটা আরো বেড়ে যাবে।
সব কিছুতে নিজের মতামত চাপিয়ে দেবেন না
আপনার সঙ্গীর উপর আপনার অবশ্যই কিছু অধিকার আছে। কিন্তু তাই বলে তার সব ব্যাপারেই আপনার নাক গলানো ঠিক হবে না। প্রতিটি মানুষেরই ব্যক্তিগত জীবনও নিজস্ব কিছু মতামত থাকে। তাই আপনার সঙ্গীর কোনো ব্যাপারে জোর করে নিজের মতামত চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করবেন না।
দোষারোপ করবেন না
মানুষ মাত্রই ভুল হতে পারে। হতে পারে নানান দোষ। কিন্তু একটি ভুলে হয়ে গেলে সঙ্গীকে কখনো দোষারোপ করবেন না। সেই ভুল শুধরে নিতে তাঁর পাশে দাঁড়ান। তাঁকে বুঝিয়ে বলুন যে কাজটি ঠিক হয়নি। “তুমি এটা কেন করলে?” – এমন বাক্য না বলে বলুন। “এটা করা ঠিক হয়নি। সুত্রঃ বিজনেস আওয়ার